যখন আমাকে কেউ প্রশ্ন করে, “ আমি ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শিখবো? আমি কি পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ শিখতে পারব? ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কী প্রয়োজন?” এত ভাবনা? কিন্তু আমি যদি আপনাকে এমন কিছু শেখাই যা দিয়ে নিজেই খুঁজে বের করতে পারবেন কোন কাজে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো আয় করতে পারবেন? মাত্র ৪টি ধাপ অনুসরণ করে আপনি ঠিক করে নিতে পারবেন কী কাজ আপনার শেখা উচিত, কী করলে আপনার জন্য সহজে আয় করা সম্ভব হবে কিংবা কোন কাজে আপনার পক্ষে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব। প্রথম ধাপে, আপনি নিজের কম্পিউটার সম্পর্কে জানবেন।
স্টেপ ১: আপনার ডিভাইস সম্পর্কে জানুন
আপনার ডিভাইস সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে খেয়াল করতে হবে:
- আপনার কম্পিউটার/ল্যাপটপের মডেল কী?
- আপনার কম্পিউটারে কোন প্রসেসর ব্যবহার করছেন?
- অপারেটিং সিস্টেম কোনটি ব্যবহার করছেন?
- অপারেটিং সিস্টেম কত বিট?
- কোন কোন মাইক্রোসফট সফটওয়্যারগুলাে ইন্সটল করা আছে?
যদি এই তথ্যগুলো আপনার জানা না থাকে, তবে আপনার কম্পিউটার/ ল্যাপটপের “My Computer” -এ ক্লিক করে “Properties” এ গিয়ে দেখে নিতে পারেন।
আমরা ভাবি, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ শেখার জন্য অনেক হাই-কনফিগারেশনের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার লাগে। কিন্তু না, আপনার কাছে যেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আছে, আপনি সেটি দিয়েই শুরু করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের উপযোগী স্কিল শিখতে হবে।
যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসতে চায় তাদের অনেকেরই ইচ্ছে থাকে এমন কোনো স্কিল শেখা যেটা সহজে শেখা যায়। যদি আপনার বেসিক কম্পিউটার স্কিল থাকে এবং এই স্কিল নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে কিছু সহজ স্কিল শিখে নেয়া আপনার জন্য ভালো হবে। আবার সময়, সুযোগ, সামর্থ্য থাকলে কিছু বিশেষ স্কিল শিখে নিলে আপনিই বরং এগিয়ে থাকবেন এই প্রতিযোগিতার জগতে।
স্টেপ ২: আপনার জন্য কোন স্কিল ভাল হবে নির্ধারণ করুন
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ করার জন্য প্রয়োজনীয় স্কিলগুলোকে মূলত ৩ ভাগে ভাগ করা যায়:
- সহজ স্কিল,
- ইন্টারমিডিয়েট স্কিল ও
- কঠিন স্কিল।
কোন স্কিলটি শিখবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখতে হবে। এর পাশাপাশি জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
কখন সহজ স্কিল শিখবেন?
যখন আপনি:
- ১- ২ মাসে স্কিল শিখতে চান
- ইন্টারনেটে রিসার্চ করতে পারেন
- সহজেই দক্ষতা অর্জন করতে চান
- ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা আছে
ফ্রিল্যান্সিং কাজের সহজ স্কিলের মধ্যে পড়ে:
- ডাটা এন্ট্রি (Data Entry)
- আর্টিকেল রাইটিং (Article Writing)
- অ্যাডমিন টাস্ক (Admin Task)
- ছােট ছােট ডিজাইন স্কিল যেমন – ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি।
আপনার যদি রিসার্চ করতে ভালাে লাগে তাহলে আপনি এই স্কিলগুলাে শিখে নিতে পারেন। চলুন পরের ধাপে চলে যাই। ইন্টারমিডিয়েট স্কিল কখন শিখবেন?
ইন্টারমিডিয়েট স্কিল কখন শিখবেন?
যখন:
- ২-৩ মাসে স্কিল শিখতে চান
- ভালাে কম্পিউটার স্কিল আছে
- আপনি বেশ টেক স্যাভি
- অ্যানালিটিক্যাল স্কিল আছে
ইন্টারমিডিয়েট স্কিল তখন শিখবেন যখন আপনার মনে হবে আপনি শুধু ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ মার্কেটপ্লেসেই নয়, বরং বাইরের ক্লায়েন্টদের জন্যও করবেন। এই স্কিলগুলাে সেক্ষেত্রে সময় নিয়ে শিখতে হবে। ভালো হয় যদি আপনার আগে থেকেই কম্পিউটারের নানা সফটওয়্যার নিয়ে ধারণা থাকে। আপনার অ্যানালিটিক্যাল স্কিলের মাধ্যমে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন কাজটি শেখা আপনার প্রজেক্টের জন্য ভালো হবে।
যদি ইন্টারমিডিয়েট স্কিল শিখতে চান তাহলে যেসব স্কিল শিখতে পারেন:
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing),
- ডিজাইন (Design),
- ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন (WordPress Customization) ইত্যাদি ।
তবে, ইন্টারমিডিয়েট স্কিলগুলো অনেকগুলো ছোটো ছোটো স্কিল মিলিয়ে তৈরি হওয়ায় একবারেই পুরো স্কিলটা শিখে ফেলা সম্ভব হয় না। যেমন, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবকিছু একসাথে শিখতে পারবেন না। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media marketing), ইমেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing), অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing), টেমপ্লেট ডিজাইন (Template Design), মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো, ইত্যাদি প্রতিটি স্কিল আলাদা আলাদা করে শিখতে হবে।
কখন কঠিন স্কিল শিখবেন?
যদি ইন্টারামিডিয়েট স্কিল শিখবেন না ভেবে থাকেন, আপনার বেসিক ভালাে এবং আপনি একটু সময় নিয়ে স্কিল শিখতে আগ্রহী, তাহলে আপনি কঠিন স্কিল শিখতে পারবেন। অনেকেই থাকে যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রােগ্রামিং (Programming), এবং ডেভেলপমেন্ট (Development) সংক্রান্ত স্কিল শিখতে চায়। এই ক্ষেত্রে তাদেরকে অনেক সময় নিয়ে শিখতে হয়।
আপনি কঠিন স্কিল তখনই শিখবেন যখন:
- ৩–৪ মাসে স্কিল শিখতে চান
- ভালাে প্রােগ্রামিং/ ডিবাগিং স্কিল আছে
- সফটওয়্যার জ্ঞান আছে
- প্রতিদিন ২ – ৩ ঘণ্টা প্র্যাকটিসে সময় দিতে পারবেন
যদি আপনি সময় নিয়ে শিখে ফেলেন, তাহলে পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ তো বটেই, এই সকল স্কিল দিয়ে আপনি দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরিও পাবেন। তাছাড়া লােকাল মার্কেটপ্লেসেও কাজ করতে পারবেন। কঠিন স্কিলগুলাে শিখতে একটু বেশি কষ্ট হলেও ভালো করে শিখে নিলে এটি আপনার সময়ের একটি চমৎকার বিনিয়োগ। এখন আপনি নিজে নিজে ভেবে দেখতে পারেন কোনটি আপনার জন্য ভালাে হবে।
স্টেপ ৩: নির্ধারিত স্কিল সম্পর্কে জানুন
দ্বিতীয় ধাপটি ঠিকভাবে অনুসরণ করে ফেললে আপনি হয়ত এতক্ষণে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আপনি কোন স্কিল শিখতে চান। পরের ধাপে, আপনাকে এই স্কিলটি শেখার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনি যেই স্কিল শিখবেন, সেই সেক্টরে কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের প্রােফাইল রিসার্চ করতে হবে শুরুতেই। দেখবেন, তারা কী রকম প্রজেক্ট কমপ্লিট করেছে।
- আগে জানুন স্কিলটি কী
- স্কিল সম্পর্কিত বিস্তারিত জানুন।
- প্রাকটিস করুন
- পাের্টফলিও তৈরি করুন
চাইলে কোনাে পরিচিত ফ্রিল্যান্সার থেকে জেনে নিতে পারেন কী কী কাজ করছে। এতে করে আপনি অনেক কিছু সহজেই গুছিয়ে শিখতে পারবেন। একটা ব্যাপার সবসময় মনে রাখবেন, সময় নিয়ে আগে রিসার্চ করে তারপর কাজটি শিখলে গোছানো প্রস্তুতি হবে। অর্ধেক কাজ শিখে তারপরে রিসার্চ করবেন না। কাজের মাঝে মাঝে রিসার্চ করে নিজেকে সঠিক পথ নির্ধারণ সাহায্য করতে পারেন।
স্টেপ ৪: মার্কেটপ্লেস রিসার্চ
এই স্টেপে আপনাকে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে। এখানে আপনি জানতে পারবেন, কোন স্কিলের কাজ কী রকম হয়ে থাকে। তাছাড়া, আমাদের সবার উচিত শুরুতেই মার্কেটপ্লেসে প্রােফাইল না ক্রিয়েট করে প্রথমে হােম পেইজে রিসার্চ করা। চতুর্থ ধাপে আপনি শুধু বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের চলমান কাজ দেখে দেখে রিসার্চ করবেন। চাইলে নােট করে রাখতে পারেন। রিসার্চ করা শেষ হলে তবেই প্রােফাইল ক্রিয়েট করুন।
- মার্কেটপ্লেসের ক্যাটাগরি রিসার্চ করবেন
- ফ্রিল্যান্সারদের প্রােফাইল চেক করবেন
- তাদের ওভারভিউ দেখবেন
- ফ্রিল্যান্সারদের পাের্টফলিও ডিজাইন দেখবেন
মার্কেটপ্লেসে গিয়ে এভাবে রিসার্চ করার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন নির্ধারিত স্কিলটি শিখতে আপনাকে আসলে কী কী বিষয় শিখতে হবে। কথায় বলে, চোখের দেখা আমাদেরকে আইডিয়া দেয়। আর মার্কেটপ্লেস থেকে এই আইডিয়া নিয়েই আপনি জানতে পারবেন কোন স্কিল আপনার জন্য ভালো হবে বা কোন স্কিলের জন্য কী কী শেখা প্রয়োজন হয়।
ফ্রিল্যান্সিং স্কিল রিসার্চ কীভাবে করবেন?
প্রত্যেক স্কিল রিসার্চে কিছু প্রাথমিক নিয়ম আছে। তার মধ্যে একটা হলাে আপনাকে গুগলে সার্চ করে দেখতে হবে মার্কেটপ্লেসে কী ধরনের জব আছে। যেমন ধরুন:
স্টেপ ০১: ওয়েব ব্রাউজারে “www.upwork.com” ওপেন করুন
আপওয়ার্ক ওপেন করার পরে উপরে দেখতে পাবেন প্রত্যেক সেক্টর নিয়ে সেকশন করা আছে।
তাছাড়া হায়ার বাটনের ড্রপ ডাউনে আপনি টাইপ অফ ওয়ার্কেও দেখতে পারবেন কী ধরনের সেক্টর রয়েছে এবং এখান থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সারদের প্রােফাইল ও কাজের ধরন দেখতে পারবেন। গুগলে ‘Top Freelancer in Data Entry Sector Upwork’ লিখে সার্চ করলে আপওয়ার্কে ডাটা এন্ট্রি নিয়ে কাজ করা টপ ফ্রিল্যান্সারদের কাজ সম্পর্কে ধারণা পাবেন। এভাবেই আপনার নির্ধারিত স্কিল ও মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন। সার্চ করার সময় আপনি শুধু সেক্টর, প্লাটফর্ম এবং কোন স্কিল সম্পর্কে জানতে চান, তা লিখলেই প্রচুর তথ্য পাওয়া সম্ভব।
ধরুন, আপনি লেখালিখির কাজ করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি “রাইটিং” সেকশনে ক্লিক করলে লেখালিখি সম্পর্কিত জবগুলো দেখতে পাবেন।কনটেন্ট রাইটিং নিয়ে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই আগে দেখে নেয়া উচিত মার্কেটপ্লেসে কী ধরনের কনটেন্ট খুঁজছেন বায়ার বা ক্রেতারা। আবার ভাববেন না যেন এই কনটেন্ট লেখা যাবে। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে কনটেন্ট রাইটিং মানেই ইংরেজিতে কনটেন্ট রাইটিং। স্প্যানিশ বা আরো কিছু ইউরোপীয় ভাষায়ও লেখা যায় বটে, তবে বাংলা কনটেন্টের কাজ নেই বললেই চলে।
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ভালাে হলে এই স্কিলটি সম্পর্কে রিসার্চ করে ভালাে কিছু কাজের স্যাম্পল নিয়ে শুরু করে দিতে পারেন। এর সাথে যদি বোনাস হিসেবে এসইও রাইটিং নিয়ে ধারণা থাকে, তাহলে কাজ পাওয়া অনেক সহজ হয়। এসইও রাইটিং অনেক বিস্তারিত একটি ধারণা, তবে সংক্ষেপে বলতে গেলে, এসইও রাইটিং হচ্ছে কনটেন্টটাকে এমনভাবে লেখা যাতে সার্চ ইঞ্জিন এটি যত বেশি সম্ভব ইউজারের কাছে পৌঁছে দেয়।
স্টেপ ০২: টপ স্কিলস ও ট্রেন্ডিং স্কিলস
প্লাটফর্মের নিচের দিকে ট্রেন্ডিং স্কিলগুলাে দেখতে পাবেন এবং সাথে সাথে যে স্কিলগুলাের ডিমান্ড বর্তমানে বেশি সেগুলােও দেখতে পাবেন। অনেকেই আকাশে ঢিল মারার মতাে করে বলেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিন, ভালাে হবে! এটা কি আমরা রিসার্চ করে বলি? মােটেও না!
আমার মনে হয় আমরা কিছুটা হুজুগে চলি। পরিচিত কেউ যদি কোনো একটা স্কিল দিয়ে সফল হয়, তবে আমরাও সেই দিকেই যেতে চাই। কিন্তু মাথায় রাখা প্রয়োজন, সবার মেধা কিন্তু এক না। সবার সুযোগ সুবিধা বা বেসিকও একরকম নয়। কাজেই, ভালো হয় যদি আপনি সব প্ল্যাটফর্মে একটু ঘুরে দেখতে পারেন। এভাবে আপনি এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যা আপনার নিজের জন্য সবচেয়ে ভালো। এতে আপনার হতাশ হয়ে যাবার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যাবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ ও এর ধরন:
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি এই ৩ ধরনের কাজ করতে পারবেন।
- Long Term (1-6 Months)
- Short Term (1-4 Weeks)
- Complex Project (Specific Requirements)
প্রত্যেক কাজে আপনাকে ২ ধরনের প্রজেক্ট প্রাইস (Hourly/Fixed Price) করতে হয়।
যে কোনাে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করলে আপনার কাছে আপনার স্কিল লেভেল জানতে চাওয়া হবে এবং আপনি এন্ট্রি, ইন্টারমিডিয়েট অথবা এক্সপার্ট লেভেল দিতে পারেন। শুরুর দিকে যেহেতু আপনি রিসার্চ করছেন, “এন্ট্রি লেভেল” দেয়া নিরাপদ অপশন এবং এই ধরনের জব খোঁজা ভালাে। পরবর্তীতে মার্কেটপ্লেসে একবার খাপ খাইয়ে ফেলতে পারলে নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার স্কিল লেভেল আসলে কেমন।
মার্কেটপ্লেসে এমন কিছু স্কিলের চাহিদা রয়েছে যা আমাদের আগে থেকেই জানা থাকে। এই ধরনের স্কিলকে আমরা বলি বেসিক স্কিল। আবার এমন স্কিলেরও চাহিদা আছে যা সাধারণত প্রয়োজন বা লক্ষ্য ছাড়া কেউ শেখে না। অর্থাৎ, যেটা জানা নেই সেটা শিখতে হবে আর যেটা জানা আছে তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। মার্কেটপ্লেস রিসার্চ করার মাধ্যমেই আপনি নিজের বর্তমান অবস্থা ও কোথায় কোথায় কাজ করতে হবে সেগুলো সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
রিসার্চ চলাকালে রিসার্চে পাওয়া কিছু ছোটোছোটো কাজ শিখে নিতে পারেন। এতে করে আপনি ফিক্সড প্রাইসের কাজগুলো করতে পারবেন। শুধু টাকা আয়ই নয়, এই কাজগুলো আপনার পোর্টফোলিও বিল্ড করতেও সাহায্য করবে। এর পরে আরাে স্কিলড হলে তখন Long Term জব করতে পারবেন।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Data Entry দিয়ে Freelancing
বিগিনার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছু টিপস
- সব সময় জবের ডেসক্রিপশন মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিত। প্রত্যেক প্রজেক্ট ভালােভাবে বুঝে ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে আপনি কীভাবে তার প্রজেক্ট কমপ্লিট করতে পারবেন।
- আমাদের দেশে আমরা সাধারণত কাউকে স্যার/ম্যাম বলি, কিন্তু ক্লায়েন্টকে যদি আপনি মিস্টার/ মিস (উনার নাম) দিয়ে সম্বােধন করেন তবে উনি কিছু মনে করবেন না।
- কাজের কথা বলবেন কিন্তু ক্লায়েন্টের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করতে পারেন। সবসময় ওয়েবসাইট দেখে অথবা ফেসবুক দেখে ক্লায়েন্টের সার্ভিস বা বিজনেস নিয়ে তাকে কিছু সুচিন্তিত পরামর্শ দিতে পারেন। এতে করে সে বুঝবে আপনার রিসার্চ করার ক্যাপাবিলিটি ভালাে এবং আপনি প্রজেক্টটিকে তার মনের মতাে করে গ্রো করে দিতে পারবেন।
- সম্ভব হলে ক্লায়েন্টের সাথে সােস্যাল মিডিয়া বা স্কাইপে যুক্ত থাকতে পারেন। এতে করে তার যদি পরবর্তীতে কোনাে প্রজেক্ট আসে যা আপনার সাথে মানানসই, তাহলে সে আপনাকে খুঁজে বের করে আবার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ দিতে পারে। এবং অন্যদেরকে রেকমেন্ড করতে পারে।
- ফ্রিল্যান্সিংয়ে পাওয়ার বুস্টার হচ্ছে আপনার প্রােফাইল। আর এখনকার যুগে ভিডিও কনটেন্ট সবচেয়ে শক্তিশালী মেসেজ দিতে পারে। তাই আপনি আপনার প্রোফাইলে একটি ভিডিও অ্যাড করে দিতে পারেন যেখানে আপনার ইন্ট্রোডাকশন থাকবে। এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে আপনি কতটা প্রফেশনাল এবং সে আপনার সাথে কাজ করতে পারবে কি না।
- প্রজেক্ট শেষ হবার পরেও ক্লায়েন্টদেরকে অনেক দিন পর পর মেসেজ দিয়ে খোঁজ রাখতে পারেন, কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে পারেন। এতে করে ক্লায়েন্ট মনে করেন আপনি শুধু তার প্রজেক্ট নিয়েই নয়, বরং আপনাদের মধ্যকার ওয়ার্ক রিলেশনশিপ নিয়েও যত্নবান। পরবর্তীবার যখন তার একই সার্ভিস প্রয়োজন হবে, অবশ্যই তখন সে আপনাকে মনে করবে।
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- ঘরে বসে Freelancing
- Facebook Marketing
- Data Entry দিয়ে Freelancing
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing
- Graphic Designing with PowerPoint
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন