দেশের সর্বপ্রাচীন ও গৌরবময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম জিজ্ঞেস করলে সবার আগেই মাথায় আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম। এসব কারণেই উচ্চমাধ্যমিকের পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশোনা করার। কিন্তু এই পথ খুব একটা মসৃণ নয়। প্রতিবছর লাখ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র হাজারখানেক শিক্ষার্থী এই দেশসেরা শতবর্ষী বিদ্যাপীঠে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার সুযোগ পায়। কারণ ৫টি ইউনিটে মোট ৭১৪৮টি সিট বরাদ্দ থাকে। বুঝতেই পারছ, এখানে টিকে থাকতে হলে যুদ্ধের মতো তুমুল সংগ্রাম করতে হয়।
তবে তুমি যদি আগেভাগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতে আবেদন করার খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নাও, তাহলে ভর্তি প্রস্তুতি নেওয়া তোমার জন্য বেশ সহজ হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রতিবছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম হালনাগাদ করে। তাই সেই বিষয়েও জেনে নেওয়াটা জরুরি!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার নতুন নিয়ম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতে আগে শুধু MCQ বা বহুনির্বাচনিমূলক প্রশ্ন থাকলেও, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতে নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। উক্ত ভর্তি পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার প্রচলন করা হয়। এর আগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতে পূর্ণমান ২০০ নম্বর হলেও এই শিক্ষাবর্ষ থেকে মোট নম্বর কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ফলাফলের উপর যে ৮০ নম্বর ধার্য ছিল তা কমিয়ে ২০ নম্বর করা হয়েছে। আর MCQ পরীক্ষার নম্বর ৬০ নম্বর করা হয়েছে। অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বর থাকবে ৪০। MCQ ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন: ক ইউনিট
১০টি অনুষদ এবং ৩২টি বিভাগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট গঠিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ক ইউনিটে কেবল বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা, অর্থাৎ যারা এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ছিল, কেবল তারাই অংশ নিতে পারবে।
ঢাবি ক ইউনিট মানবন্টন (MCQ):
|
১৫ নম্বর |
|
১৫ নম্বর |
|
১৫ নম্বর |
|
১৫ নম্বর |
|
১৫ নম্বর |
|
১৫ নম্বর |
এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে। একজন প্রার্থী যে ৪টি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিলে তার উপর নির্ভর করবে সে কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হতে পারবে।
ঢাবি ক ইউনিট মানবন্টন (লিখিত):
|
১০ নম্বর |
|
১০ নম্বর |
|
১০ নম্বর |
|
১০ নম্বর |
|
১০ নম্বর |
|
১০ নম্বর |
আবশ্যিক বিষয় এর সাথে অন্য যেকোনো ২টি বিষয়সহ মোট ৪ টি বিষয় এর উপর পরীক্ষা দিতে হবে। মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরা করা হবে। MCQ ও লিখিত পরীক্ষা মিলে ১০০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে এবং অবশিষ্ট ২০ নম্বর মাধ্যমিক পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ ২ দিয়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ ২ দিয়ে গুণ করে এই দুয়ের যোগ ফল ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যোগ করে মোট ১২০ নম্বরের উপর শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:
ভার্সিটি A Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স
ঢাবি ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার পাশ নম্বর
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার এমসিকিউ অংশের পাস নম্বর ২৪। উল্লেখ্য, এমসিকিউ পরীক্ষায় ২৪ নম্বরে পেলে কেবল লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে। তবে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ‘ক’ ইউনিট এর মোট আসনের কমপক্ষে ৫ গুণ লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত অংশের পরীক্ষায় পাস নম্বর ১২। তবে ১০০ নম্বরের মধ্যে MCQ এবং লিখিত পরীক্ষার মোট পাস নম্বর ৪০। যারা ৪০ এর কম নম্বর পাবে তাদের কে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন: খ ইউনিট
ঢাবি খ ইউনিট তিনটি অনুষদ ও মোট ৩৪ টি বিভাগ নিয়ে নিয়ে গঠিত । মানবিক বিভাগ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার খ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারে। সুতরাং বুঝতেই পারছো মানবন্টন হবে মানবিকের বিষয়গুলো অনুসারে।
ঢাবি খ ইউনিট মানবন্টন (MCQ):
|
১৫ নম্বর |
|
১৫ নম্বর |
|
৩০ নম্বর |
এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে।
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:
ভার্সিটি B Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স ২০২২
ঢাবি খ ইউনিট মানবন্টন (লিখিত):
|
২০ নম্বর |
|
২০ নম্বর |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন: গ ইউনিট
শুধুমাত্র বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার গ ইউনিটে অংশ নিতে পারে। সুতরাং বুঝতেই পারছো মানবন্টন হবে বাণিজ্য বিভাগের বিষয়গুলো অনুসারে।
ঢাবি গ ইউনিট মানবন্টন (MCQ):
|
১২ নম্বর |
|
১২ নম্বর |
|
১২ নম্বর |
|
১২ নম্বর |
|
১২ নম্বর |
ঢাকা ইউনিভার্সিটি MCQ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে।
ঢাবি গ ইউনিট মানবন্টন (লিখিত):
|
৫ নম্বর |
|
৫ নম্বর |
|
৫ নম্বর |
|
৫ নম্বর |
|
৫ নম্বর |
|
১৫ নম্বর |
মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরা করা হবে। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা মিলে ১০০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে এবং অবশিষ্ট ২০ নম্বর মাধ্যমিক পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ ২ দিয়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ ২ দিয়ে গুণ করে এই দুয়ের যোগ ফল ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যোগ করে মোট ১২০ নম্বরের উপর শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:
ভার্সিটি C Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন: চ ইউনিট
ঢাবি চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২টি অংশে অনুষ্ঠিত হবে: সাধারণ জ্ঞান (৪০ নম্বর + অঙ্কন বা ফিগার ড্রয়িং (৬০ নম্বর) = ১০০ নম্বর।
সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা:
এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজিসহ চারুকলার বিভিন্ন বিভাগ সম্পর্কিত বা বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমসাময়িক ঘটনাবলি প্রভৃতি বিষয় প্রশ্ন থাকবে।
‘সাধারণ জ্ঞান’ পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নাম্বার কর্তন করা হবে। সাধারণ জ্ঞান’ ও ‘অঙ্কন’ (ফিগার ড্রয়িং) দুইটি পরীক্ষার মোট প্রাপ্ত নম্বরের ৪০% পাশ নম্বর হিসেবে গণ্য করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এর সময় বন্টন:
সময় বন্টনের ক্ষেত্রে আগের মতোই ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট রাখা হয়েছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর ক, খ, গ এবং ঘ উনিটের জন্য MCQ পরীক্ষার সময়কাল হবে ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট। ঢাকা ইউনিভার্সিটি চ ইউনিটে, MCQ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারিত রয়েছে।
লিখিত অংশে প্রশ্ন থাকবে সকল সংক্ষিপ্ত উত্তরের জন্য। বহু নির্বাচনী এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে। একটি পরীক্ষা শেষ হলে, তার উত্তরপত্র সংগ্রহ করে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেয়া হবে।
ঢাকা সহ ৮টি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, যে কোনো ধরণের ইলেক্টিক ডিভাইস সম্বলিত ঘড়ি ও কলম ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা:
২০২২ সাল এবং এর পরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, তোমরা যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিবে, এই দিকনির্দেশনাটা তাদের জন্যই।
প্রার্থীকে অবশ্যই ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে । শুধুমাত্র ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন । নিচে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সমূহ এর আবেদন যোগ্যতা দেওয়া হল:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সমূহ
ঢাবি ক ইউনিট (বিজ্ঞান বিভাগ):
বিজ্ঞান ও কৃষিবিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বাের্ডের বিজ্ঞান শাখায় আলিম ও IGCSE/O Level এবং IAL/GCE A Level পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএদ্বয়ের যােগফল ন্যুনতম ৮.০০ আছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে কোন পরীক্ষাতে ৩.৫ এর কম জিপিএ থাকলে আবেদন করতে পারবে না।
ঢাবি খ ইউনিট (মানবিক বিভাগ):
মানবিক শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বাের্ডের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৭.৫০ আছে তারা ঢাকা ইউনিভার্সিটি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে কোন পরীক্ষাতে ৩.০ এর কম জিপিএ থাকলে আবেদন করতে পারবে না।
ঢাবি গ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ):
ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক, ডিপ্লোমা-ইন-বিজনেস স্টাডিজ, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৭.৫০ আছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে কোন পরীক্ষাতে ৩.০০ এর কম জিপিএ থাকলে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবে না।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ডিপ্লোমা-ইন-বিজনেস স্টাডিজ, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শাখা থেকে আগত প্রার্থীদের একাউন্টিং বিষয়টি অবশ্যই থাকতে হবে এবং উক্ত বিষয়ে ন্যূনতম বি-গ্রেড (গ্রেড-পয়েন্ট ৩.০) হতে হবে।
ঢাবি চ ইউনিট (চারুকলা বিভাগ):
উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার যে কোন শাখায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যােগফল ন্যূনতম ৬.৫০ আছে তারা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে কোন পরীক্ষাতে ৩.০০ এর কম জিপিএ থাকলে আবেদন করতে পারবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য: ভর্তি পরীক্ষায় যেভাবে আবেদন করতে হবে
সাধারণ তথ্য (আবেদনের ধাপসমূহ):
- প্রথমেই সাইন ইন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট https://admission.eis.du.ac.bd তে চলে যাও। এরপর রেজিস্ট্রেশন করতে নিজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল ও বোর্ড এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল টাইপ করো।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকের তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (ঐচ্ছিক) দিতে হবে।
- শিক্ষার্থীকে ৮টি বিভাগীয় শহরের যেকোন ১ টি কে তার ভর্তি কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
- স্ক্যান করা একটি ছবির (Format: jpg, Size: 30 – 200KB, Width: 360-540px, Height: 540-720px) প্রয়োজন।
- SMS করার জন্য শিক্ষার্থীর কাজে টেলিটক, রবি, এয়ারটেল অথবা বাংলালিংক অপারেটর এর একটি মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
- ঢাবি আবেদন ফি তাৎক্ষণিক অনলাইনে (VISA /Mastercard/ American Express ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং , ইন্টারনেট ব্যাংকিং ) বা চারটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা প্রদান করা যাবে।
সমতা নিরূপণের জন্য:
- এ-লেভেল/ও-লেভেল/সমমান বিদেশী পাঠ্যক্রমে বা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সমতা নিরূপণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট https://admission.eis.du.ac.bd এ গিয়ে “সমমান আবেদন” বা “Equivalence Application” মেনুতে আবেদন করে তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
- সমতা নিরূপণের পর প্রাপ্ত “Equivalence ID” ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মত তারাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এ লগইন করে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা এর জন্য আবেদন করতে পারবে।
ঢাবি আবেদন ফি
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ঢাবি আবেদন ফি ছিল ৩৫০ টাকা। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাবি আবেদন ফি ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৪৫০ টাকা। এরপর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে ঢাবি আবেদন ফি করা হয় ৬৫০ টাকা। এবার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরমের মূল্য আরও ৩৫০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে।
এইচএসসির পরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এর জন্য তেমন একটা সময় পাওয়া যায় না। তাই এখন থেকেই একটু একটু করে নিজেকে তোমার কাঙ্ক্ষিত ইউনিটের জন্য প্রস্তুত করো। মনে রাখবে, কঠোর অনুশীলন, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো কঠিন বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। All the best!
আপনার কমেন্ট লিখুন