Not Found

The requested URL was not found on this server.


Apache/2.4.52 (Ubuntu) Server at streamcore.pro Port 80
কেন পড়তে যাবে জাপানে ?

কেন পড়তে যাবে জাপানে ?

March 5, 2019 ...

ছবিঃ Searching For Beauty

অষ্টম শতাব্দীতে “নিপ্পন-কোকু”র মানুষেরা জলঘড়ি বানানো শিখে গেলো। সেই জলঘড়ি আবার নিজে নিজেই চলে। জাপানের আরেক নাম হোল “নিপ্পন-কোকু” যার মানে হোল “দ্যা স্টেট অফ জাপান”।

এই সূর্যোদয়ের দেশে মুরাসাকি শিকিবু নামের একজন লেখিকা লিখে ফেলেলেন দুনিয়ার প্রথম উপন্যাস  “The Tale of genji”. শিল্প সাহিত্যের মাত্রা আরও এক ধাপ উপরে নিয়ে গেলো এই দেশের “জমন” নামে অভিহিত একদল যাযাবর মানুষ যারা মাটি দিয়ে অনবদ্য সুন্দর সব জিনিস গড়তে পারতো।

সতেরো শতাব্দীর মধ্যেই এই দেশের মানুষ বানিয়ে ফেলে মেকানিক্যাল পাপেট “কারাকুরি”। এই মেকানিক্যাল পাপেটগুলো নিজে নিজেই অভিনয় করতে কিংবা নাচতে পারতো।  আর উনিশ শতকের মধ্যেই সাড়া বিশ্বে খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে তীর ছোঁড়া- প্রায় সব কাজের জন্যই জনপ্রিয় হয়ে গেলো এই কারাকুরি।

জাপান নিয়ে পড়াশোনা করে দেখলাম তাঁদের সতেরো শতকের “যুগের চেয়েও আধুনিক” মার্কা মেকানিক্যাল পাপেট “কারাকুরি” রোবটিক্স নিয়ে যাবতীয় গবেষণার টাইম লাইন পেরিয়ে  অন্তত দশ রকমের ডাইমেনশন পেয়েছে। এই যেমন ধরো জাপানিজদের আছে হিউম্যান রোবট, ডোমেস্টিক রোবট, অ্যানিম্যাল রোবট, সোশ্যাল রোবট, রেসকিউ রোবট কিংবা মহাকাশচারী রোবটসহ আরও অনেক ধরনের জটিল সব রোবট।

এশীয়দের মধ্যে পড়াশোনা, গবেষণা আর নিত্যনতুন আবিষ্কারের ব্যাপারগুলোকে জাপান নিয়ে গিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। সংখ্যায় বললে জাপানে ২২ জন নোবেল বিজয়ী আছেন। সংখ্যাটি এশীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে ১৭ জনই নোবেল পেয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান কিংবা চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্য।

১৫ মিলিয়ন বছর বয়সের দ্বীপপুঞ্জ আর ১০০,০০০ বছরের বর্ণিল ইতিহাসে সমৃদ্ধ জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ পেরিয়ে আজ বর্তমান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি।

“পোষ্ট ওয়ার মিরাকেলের” এই কঠোর পরিশ্রমের দেশ জাপানে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সুপ্ত ইচ্ছা তোমার মনে থাকতে পারে। কিন্তু আমি তোমাকে হলফ করে বলতে পারি যে , এই দেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার  সুপ্ত ইচ্ছাটা দৃঢ় সিদ্ধান্তে রুপ নিলে সেটি হবে  খুবই যুগোপযোগী এবং বুদ্ধিমানের কাজ।

কিন্তু কেন পড়তে যাবে জাপানে?

যে কোনো দেশে পড়তে যাওয়ার  জন্য় অন্তত হাজারটা কারণ থাকে। কিন্তু জাপান কেন অন্য সব দেশ থেকে আলাদা সেটি আমি তোমাকে দেখিয়ে দিতে পারি। চলো দেখে নেওয়া যাক।

হাই-স্ট্যান্ডার্ড জাপান:

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি জাপানের স্কুল, কলেজ আর ইউনিভার্সিটির স্ট্যান্ডার্ড OECD (Organisation of economic co operation and develeopment) গবেষণার  ফলাফল দেখলেই বোঝা যায়। সাড়া দুনিয়ায় গণিত শেখার জন্য জাপানিজ হাই স্কুলগুলোর র‍্যাংকিং হচ্ছে ১ নম্বর আর বিজ্ঞান বিষয়ক পড়াশোনার জন্য স্কুলগুলোর র‍্যাংকিং হচ্ছে ২ নম্বর। এ তো গেলো  জাপানিজ হাই স্কুলের কথা। জাপানে প্রায় ৭০০ এর মতো ইউনিভার্সিটি রয়েছে। সাড়া বিশ্বের সেরা ইউনিভার্সিটির র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে আছে জাপানের “দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও” আর “কিয়োটো ইউনিভার্সিটি”। সেরা ৫০০ ইউনিভার্সিটির মধ্যে কেবল জাপানেই আছে  ১৬টি ( ARWU)।

এই লিঙ্কে গেলেই  জাপানিজ ইউনিভার্সিটির র‍্যাংকিং সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবে।
লিঙ্কঃ http://www.shanghairanking.com/World-University-Rankings-2018/Japan.html 

ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা টেলিগ্রাফের মতে, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য সেরা শহরগুলোর মধ্যে টোকিওর অবস্থান ৩ নম্বরে। আর এশিয়ার মধ্যে পড়াশোনার জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা হচ্ছে জাপান। টাইমস হায়ার এডুকেশন এর “এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংয়ে” সেরা ১০০ ইউনিভার্সিটির তালিকায় জাপানের ২০টি ইউনিভার্সিটি জায়গা করে নিয়েছে। এদের মধ্যে ১ নম্বর হচ্ছে “দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও”। শিক্ষা আর গবেষণায় জাপানের প্রায় সব ইউনিভার্সিটিই এশিয়ার অন্যান্য ইউনিভার্সিটি থেকে বেশ এগিয়ে আছে আর সারা বিশ্বে অন্যান্য সব সেরা ইউনিভার্সিটির সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।  

জাপানের সেরাদের সেরা সব ইউনিভার্সিটিগুলোর মান নিয়ে ছোটখাটো একটি পরিসংখ্যান তোমার সামনে তুলে ধরলাম। প্রায় সব ডিসিপ্লিনেই পড়াশোনা করার সুযোগ জাপানে রয়েছে। কিন্তু তোমার যদি রোবটিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মতো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যান্য সব বিষয়ে আগ্রহ থেকে থাকে,  সেক্ষেত্রে জাপানের “হাই-স্ট্যান্ডার্ড” ইউনিভার্সিটিগুলো তোমার আগ্রহের বিষয়গুলোতে তোমাকে “হাই- স্ট্যান্ডার্ড” করে গড়ে তুলবে ।

এভাবে ক্যারিয়ারের দৌড়ে  অনেকটা এগিয়ে গেলে মন্দ হয় না কিন্তু!

IELTS Course by Munzereen Shahid

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • IELTS পরীক্ষার বিভিন্ন অংশের ফরম্যাট, প্রশ্ন ও উত্তরের ধরন, গুরুত্বপূর্ণ টিপস, ট্রিকস ও স্ট্র্যাটেজি।
  • IELTS Reading, Listening, Speaking ও Writing, প্রতিটি মডিউলের নিয়ম-কানুনসহ খুঁটিনাটি বিষয়াদি।
  •  

    তোমাকেই খুঁজছে জাপান:

    জাপানে প্রায় ৭০০ ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য ভোকেশনাল স্কুল আর ল্যাংগুয়েজ স্কুল। বর্তমানে জাপানে প্রায় দেড় লাখের মতো বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। আর জাপানের টার্গেট হচ্ছে সংখ্যাটাকে ২০২০ সালের মধ্যে  তিন লাখে রূপ দেয়া। বিদেশী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপসহ যাবতীয় সাপোর্ট প্রোগ্রামের জন্য জাপান ১৫.৩ বিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ রেখেছে।

    জাপানিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপগুলোর ধরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই লিঙ্কটি থেকে ঘুরে আসতে পারো।
    লিঙ্কঃ https://www.studyjapan.go.jp/en/toj/toj0302e.html   

    বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে জাপানের কারিকুলার কাজকর্মগুলো সেপ্টেম্বরের দিকে শুরু হয়।

    ৮০০টি জাপানিজ কোম্পানিকে নিয়ে গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়যে, ৫০ শতাংশ জাপানিজ কোম্পানিগুলো চাকুরী নিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানিজ ইউনিভার্সিটির বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদেরই প্রাধান্য দেয়। অনেক কোম্পানিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে  বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের  জন্য আবার ১০ শতাংশ কোটাও বরাদ্দ থাকে! তার উপরে জাপানিজ ভাষা শেখা থাকলেতো জাপানের “লুক্রেটিভ স্যালারি” আয় করার ব্যাপারটা একদম দুধ ভাত হয়ে দাঁড়ায়!

    “ কিন্তু টিউশন ফি এর অঙ্কটা কেমন?”

    এই বিশাল চিন্তার ক্ষেত্রেও জাপান তোমাকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দিচ্ছে। ইউনাইটেড কিংডম কিংবা ইউএসএ, এই সব লুক্রেটিভ জায়গায় পড়াশোনার খরচ মেটাতে হিমশিম খাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে জাপান তোমাকে দেবে “সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ”। ইউকে কিংবা ইউএসএতে প্রতিবছর টিউশন ফি যেখানে প্রায় ১০ থেকে ১১ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়, সেখানে জাপান বিশ্বমানের পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে এর অর্ধেকেই। অঙ্কে বললে  বার্ষিক ৫,৫০০ ডলারের মধ্যেই টিউশন ফি এর ব্যপারটি জাপানে সেরে ফেলা যায়।  

    মেডিকেল কেয়ার নিয়ে  টেনশন নেইঃ

    একটি চমকপ্রদক তথ্য দেই।  অন্যান্য দেশে মেডিসিন কিংবা চিকিৎসার ব্যাপারে বিদেশি শিক্ষার্থীরা কিছুটা  হলেও বিপাকে পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে জাপান দিচ্ছে সুবর্ণ সুযোগ!  বিদেশি শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল হেলথ ইন্সুরেন্স প্রোগ্রামে তালিকাভুক্ত হলে সব ধরনের  মেডিক্যাল খরচাপাতির মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা বহন করবে। বাকি সব ধরনের খরচ বহন করবে ইন্সুরেন্স।

    ইউএসএ কিংবা বিশ্বের অন্যান্য জায়গার প্রাইভেট হেলথ কেয়ার সিস্টেম থেকে জাপানের হেলথ ইন্সুরেন্স সিস্টেম হাজার  গুনে সাপোর্টিভ।

    ওল্ড বয় ভিসিটঃ

    “ওবি হউমন  (OB HOUMON)”  বলতে জাপানে বুঝানো হয় “ওল্ড বয় ভিজিট”। কিন্তু এই ওল্ড বয় কারা?

    ওল্ড বয় হচ্ছে ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন সব শিক্ষার্থী, ইংরেজিতে যাকে বলা হয় “Alumni”। গ্রাজুয়েশনের পড়ে যখন চাকুরি খোঁজার পর্ব শুরু হয় তখন ওল্ড বয়েজরা  নিজ নিজ ইউনিভার্সিটির  সবে মাত্র পাশ করে বের হওয়া প্রাক্তনদের সাথে ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করে থাকেন। অনেকেই আবার নিজ নিজ কোম্পানির হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট আর নিজের ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগসাজশ তৈরি করে দেন। এতে করে গ্রাজুয়েশনের পরে চাকুরির জন্য দৌড়ঝাঁপের পর্বটা আরও সোজা এবং ইফেক্টিভ হয়।  

    এমন হেল্পফুল ওল্ড বয়েজের ট্র্যাডিশন জাপানের ইউনিক বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।


    আরও পড়ুন:

    মহাদেশ কী? মহাদেশ কয়টি ও কি কি?

    মজার প্রশ্ন, সহজ উত্তর: রসায়ন


    জাপানিজ মার্শাল আর্ট আর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি থেকে শেখার সুযোগঃ

    জাপানিজ ভাষা থেকে শুরু করে জাপানিজ মার্শাল আর্ট- জাপানের কালচারের প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে শিক্ষালাভ করার সুযোগ রয়েছে জাপানে। আর সেই সুযোগ দিচ্ছে প্রায় জাপানের প্রত্যেকটি ইউনিভার্সিটি। আবারো একটি ছোট পরিসংখ্যান দেই। সামার অলিম্পিকে জাপানের মেডেল সংখ্যা হচ্ছে ৪৩৯ আর উইন্টার অলিম্পিকে সংখ্যাটি ৫৮।  ইউনিভার্সিটি অফ সুকিউবা এই পর্যন্ত  তাঁদের প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থীকে এথলেট হিসেবে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর রিও অলিম্পিক ২০১৬ তে জাপানের টোকাই ইউনিভার্সিটির ৩ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে গোল্ড মেডেল। তারা প্রায় প্রত্যেকেই ভার্সিটির জুডো, কেন্ডো, কাইউডো কিংবা কারাতে ক্লাব থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।  এছাড়াও তাইকো ড্রামিং, শামিসেন ( ট্র্যাডিশনাল জাপানিজ বাদ্যযন্ত্র)  জাপানিজ ক্যালিগ্রাফি, চা উৎসবের মতো অনেক রকমের জাপানি সংস্কৃতির উপাদান সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে জাপান কখনই কার্পণ্যবোধ করেনা।

     অদ্ভুত স্বাদের সুশি কিংবা জাপানের মন ভোলানো আর্কিটেকচার ছাড়াও জাপানের সভ্যতার প্রায় প্রতিটি উপাদান তোমাকে পড়াশোনার জন্য “জাপানমুখী” করে ফেলতে পারে। বিশ্বাস না হলে এই লিঙ্কটিতে ঘুরে আসতে পারো!

     লিঙ্কঃ     https://www.japan-talk.com/jt/new/japan-culture

    জাপানের “ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটস” গুলো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেতে ঘুরে আস্তে পারো এই লিঙ্কে।

    লিঙ্কঃ  https://www.japan-guide.com/e/e2251.html 

    আরও আছে বসন্ত, গ্রীষ্ম, হেমন্ত আর শীত- জাপানের এই চার ঋতুর অনবদ্য সুন্দর সব দৃশ্য। পড়াশোনার পাশাপাশি  জাপানের “ন্যাচার আর কালচার” থেকে প্রাপ্ত এমন সব অভিজ্ঞতা তোমার জ্ঞানের পরিসীমাকে আরও বহু গুনে বাড়িয়ে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।  


    GIF: Gifer  

    GIF:Fantastic Japan 

    GIF: Giphy
    GIF: Gifer

    GIF: Tenor

    ওয়ার্ক পারমিটঃ

    অনেক দেশেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে স্বীকৃত কোনো ওয়ার্কপারমিট থাকে না। জাপানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে ২৮ ঘন্টার মতো ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। এর ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার মাধ্যমে  জাপানে দৈনন্দিন জীবনের খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

    এক্সট্রাকারিকুলার এক্টিভিটির জন্য সার্কেল:


    ছবিঃ Ritsumeikan University

    ধরো কোনো এক্সট্রাকারিকুলার এক্টিভিটি যেমন মিউজিক, আর্ট, সাইক্লিং কিংবা পেইন্টিং তোমার খুবই ভালো লাগে। এক্ষেত্রে জাপানে খুবই অসাধারণ একটি ট্র্যাডিশন রয়েছে। যারা পড়াশোনার পাশাপাশি মিউজিক নিয়ে আগ্রহী তারা কয়েকজন মিলে তৈরি করে ফেলে একটি মিউজিক সার্কেল। এই রকম আরও আছে পেইন্টিং সার্কেল, সাইক্লিং সার্কেল সহ আরও অনেক রকমের সার্কেল। সার্কেলের শিক্ষার্থীরা একে অপরকে নিজের ইন্টারেস্টের জায়গায় তুখোড় হয়ে উঠতে সাহায্য করে।  

    জাপানে পড়তে যাবার জন্য এই সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলো অন্য সব দেশের সাথে জাপানের পার্থক্য চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

    আমি তো অনেকগুলো কারণ দেখালাম। এবার তোমার জাপানে পড়তে যাবার সুপ্ত ইচ্ছাকে দৃঢ় সিদ্ধান্তে রুপ দেবার পালা।

    আমার দেখানো কারণগুলো মাথায় রেখে ভালো করে ভেবে চিন্তে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলো এইবার। জাপানে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্তই কিন্তু হতে পারে তোমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট!


    আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:


    HSC 2023 ব্যাচের জন্য


    HSC 2024 ব্যাচের জন্য


    ১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com


     

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের ?তে? প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন