গল্পে গল্পে বাগধারা এবং প্রবাদ প্রবচন

June 21, 2018 ...

অলঙ্কার একটা মানুষকে যেমন আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে, তেমনি আমাদের বাংলা ভাষাকেও আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য কিছু অলঙ্কার আছে। বাংলা ভাষার সেরকম অলঙ্কার হলো দৈনন্দিন জীবনে আমাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন বাগধারা এবং প্রবাদ প্রবচন।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র পড়ার সুবাদে এদের সাথে আমাদের প্রায় সবার পরিচয় রয়েছে। কিন্তু আমরা কখনো কী ভেবে দেখেছি, এই যে মজার মজার বাগধারা আর প্রবাদ প্রবচনগুলো আমরা পড়ছি, কথা বলতে ব্যবহার করছি, এদের পেছনে একটা গল্প থাকতে পারে? হ্যাঁ, আমাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত এসব বাগধারার প্রায় প্রতিটির পেছনেই একটা গল্প আছে। কখনো সে গল্পটা মজার, কখনো সে গল্পটা একটা তিক্ত অভিজ্ঞতার। আজকে এরকম কয়েকটি গল্প আমরা জানব।

৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৪

ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:

  • প্রতি ক্লাসে ২ জন শিক্ষক পড়াবেন; একজন ক্লাস নিবেন, অন্যজন সমস্যার সমাধান দিবেন
  • দেশের যেকোনো জায়গায় বসে দেশসেরা শিক্ষকদের কাছ থেকে অনলাইনে সর্বোচ্চ মানের পড়ালেখার সুযোগ
  • লাইভ ক্লাসের ভেতরেই পরীক্ষা দেওয়ার সুবিধা
  •  

    মগের মুল্লুক

    এইতো সেদিন, বিশাল এক জ্যামে আটকে বসে ছিলাম। আর এদিকে গরমও ছিল প্রচণ্ড। সব মিলিয়ে মেজাজ ছিল চরমে। ঢাকা শহরের ওপর রাগ হচ্ছিল আর মনে হচ্ছিল, “এক মগের মুল্লুকে বাস করছি”।

    এই “মগের মুল্লুক” কথাটি কীভাবে এল? গ্লাসের কিংবা জগের মুল্লুক নয় কেন?

    এই মগ কিন্তু আমাদের পানি খাবার মগ নয়।

    মোগল আমলের কথা। তখন আমাদের এই দেশ অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য জাতি এবং দস্যুদের চোখ পড়ল এদেশের ওপর। সেসময় আমাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরাকান থেকে আগত মগ জলদস্যুরা অনেক লুটপাট আর অরাজকতা চালাত। আমাদের ওসময়ের শাসকেরা তো আফগান থেকে আসা মোগল, জলে যুদ্ধে ওরা অতটা পারদর্শী ছিল না। আর এখনকার বার্মা বা মায়ানমার থেকে আসা মগরা ছিল খুব দুর্ধর্ষ জলদস্যু।

    সেসময় ঢাকার সুবেদার খানজাদ খাঁর কাছে প্রজারা গেল এর প্রতিকারের আশায়। ভীরু খানজাদ খাঁ এর কোনো বিহিত তো করলেনই না বরং চলে গেলেন রাজমহলে। ফলে মগরা যাচ্ছেতাই করতে লাগল। অত্যাচার, লুটপাট, এদেশের লোকদের ধরে নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রি, কিচ্ছুই বাদ রাখেনি তারা। তাই সেসময়ের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করে, এখন যখন কোথাও আমরা অরাজকতা, দুর্বলের ওপর সবলের নির্যাতন, অত্যাচার, অনাচার দেখি, তাকে বলি “মগের মুল্লুক”।

     

    লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন

    কেউ যখন আমাদের কাছে টাকা চায়, তখন আমরা মজা করে হাসতে হাসতে বলি, “লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন”। কে এই গৌরী সেন? কেনই বা তিনি টাকা দেবেন?

     

    হুগলির বাসিন্দা গৌরী সেন সপ্তদশ শতকের লোক। কথিত আছে, ব্যবসাসূত্রে তিনি দস্তার পরিবর্তে এক জাহাজ রূপো পেয়েছিলেন। পারিবারিক আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায় তিনি বিপুল ধনসম্পদ অর্জন করেন। সেই লাভের টাকা তিনি সৎকর্মে ব্যয় করবেন বলে সংকল্প করেন। দুহাতে অসহায়দের মাঝে দান করতে থাকেন। সবার প্রয়োজনে মুক্তহস্তে দান করে তিনি প্রবাদে স্থান করে নিয়েছেন।

    আর এভাবেই লোকমুখে চলে এসেছে, “লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন”।

    মান্ধাতার আমল

    অনেক পুরনো কিছু বোঝাতে আমরা “মান্ধাতার আমল” কথাটি ব্যবহার করি।

    এই মান্ধাতা হলো একজন ব্যক্তি কিংবা হিন্দু পুরাণের চরিত্র। সূর্যবংশ অর্থাৎ রামচন্দ্রের বংশের এক অতিপ্রাচীন পূর্বপুরুষ এই মান্ধাতা। তাই বহু প্রাচীন কোনো ঘটনা বোঝাতে “মান্ধাতার আমল” ব্যবহৃত হয়।

    ধ্রুব সত্য

    চরম সত্য বোঝাতে আমরা বলি “ধ্রুব সত্য”। এর পেছনেও আছে পুরাণের একটি গল্প

    রাজা উত্থানপাদের দুয়োরানির পুত্র ধ্রুব একদিন সৎভাইদের সঙ্গে সিংহাসনে বাবার কোলে বসতে চান। তখন তার সৎমা তাকে পরামর্শ দেন কৃষ্ণ ভজনা করে এই অধিকার লাভ করতে। কঠিন তপস্যার মাধ্যমে ধ্রুব কৃষ্ণকে অবতরণ করালেন। তো কৃষ্ণ এসে তাকে বর দিতে চান। ধ্রুব বর হিসেবে চাইলেন কৃষ্ণের চরণে স্থান।

    সত্যের জন্য তার এই চরম নিষ্ঠা থেকেই এল “ধ্রুব সত্য”। রাতে উত্তর আকাশে যে ধ্রুবতারা, তা কিন্তু এই অবিচল সত্যনিষ্ঠারই প্রতীক।

    অগস্ত্য মুনির সেই না ফেরা থেকেই এল “অগস্ত্য যাত্রা”।

     

    ধুন্ধুমার কাণ্ড

    বিশাল হাঙ্গামা বোঝাতে আমরা “ধুন্ধুমার কাণ্ড” ব্যবহার করি।

    কে এই ধুন্ধুমার? কী কাণ্ড সে করেছিল?

    পুরাণ মতে, ধুন্ধু ছিল এক বিশাল দৈত্য। ব্রহ্মার বর পেয়ে প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে সে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালে গণ্ডগোল শুরু করেছিল। তাকে থামাতে এক ঋষির সহায়তায়  রাজা কুবলাশ্ব তাকে হত্যা করেন। সে থেকে রাজা কুবলাশ্ব উপাধি পেলেন “ধুন্ধুপরামর্শ দেন কৃষ্ণ ভজনা করে এই অধিকার লাভ করতে। কঠিন তপস্যার মাধ্যমে ধ্রুব কৃষ্ণকে অবতরণ করালেন। তো কৃষ্ণ মার” নামে।

    কিন্তু ধুন্ধুর সাথে যুদ্ধটা সহজ ছিলনা মোটেই। এই যুদ্ধে বিশাল দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়। বহু লোক মারা যায়। তাই সে থেকে মারপিট, দাঙ্গা-হাঙ্গামা অর্থে আমরা “ধুন্ধুমার কাণ্ড” কথাটি ব্যবহার করি।

    Microsoft Word Course

    ডকুমেন্ট তৈরি ও ফরম্যাটিং থেকে শুরু করে চার্ট ও গ্রাফ দিয়ে ডাটা ভিজ্যুয়ালাইজ করা শিখুন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে। আজই কোর্সে এনরোল করে শিখুন নিজের সিভি তৈরিসহ MS Word -এর গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যবহার!

     

    তুঘলকি কাণ্ড

    সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলকের নাম আমরা মোটামুটি সবাই পড়েছি। তিনি ছিলেন খামখেয়ালি শাসক। একদিন তার হঠাৎ মনে হল রাজধানী দিল্লি থেকে সরিয়ে দেবগিরিতে নিয়ে গেলে সাম্রাজ্য পরিচালনায় সুবিধা হবে। যে কথা সেই কাজ।

    খুবই স্বল্প সময়ের নোটিশে তিনি সাম্রাজ্যের সব অফিস-আদালত, উজির-নাজির নিয়ে চলে গেলেন দেবগিরিতে। সেখানে যেয়ে সৃষ্টি হল বিশাল এক সমস্যা। কেননা, সাম্রাজ্যের রাজধানী হওয়ার জন্য যে স্থাপনা বা কাঠামো দরকার তার কোনো ব্যবস্থা না করেই রাজধানী স্থানান্তর ছিল অবিবেচকের মত একটি সিদ্ধান্ত। তার ফলও তিনি পান হাতেনাতে। অল্পদিনেই আবার তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিরে আসেন দিল্লীতে।

    আর এই খামখেয়ালি সুলতানের নাম থেকেই এল “তুঘলকি কাণ্ড”।

    অগস্ত্য যাত্রা

    প্রাচীন পুরাণের অগস্ত্য মুনির নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। তাঁর নাম থেকেই এই বাগধারাটি এসেছে।

    পুরাণ মতে, বিন্ধ্যপর্বত একবার কঠিন তপস্যা করে হিমালয়ের মত বড় হতে চেয়েছিল। কিন্তু বিন্ধ্যপর্বত এত বড় হয়ে পড়ায় সূর্যের আলো আসতে বাঁধা পেতে থাকে। মহা মুশকিল!

    এর একটা সুরাহা করার জন্য দেবতারা ধরলেন বিন্ধ্যপর্বতের গুরু অগস্ত্য মুনিকে। অগস্ত্য মুনি যাত্রা শুরু করলেন দক্ষিণে, বিন্ধ্যপর্বতের উদ্দেশ্যে। তিনি সেখানে পৌঁছামাত্র বিন্ধ্যপর্বত তাকে নিচু হয়ে প্রণাম করল। এই সুযোগে অগস্ত্য মুনি বিন্ধ্যপর্বতকে আদেশ করলেন তিনি ফিরে আসা পর্যন্ত যেন বিন্ধ্যপর্বত এভাবেই নত হয়ে থাকে। অগস্ত্য মুনি সেই যে গেলেন, আর ফিরলেন না। আর বিন্ধ্যপর্বতও নত অবস্থায়ই থেকে গেল। অগস্ত্য মুনির সেই না ফেরা থেকেই এল “অগস্ত্য যাত্রা”


    আরও পড়ুন:

    বাংলা ২য় পত্রের টুকিটাকি: দরখাস্ত লেখার নিয়ম

    বাংলার প্রাচীন জনপদ ও রাজনৈতিক অবস্থা: কেমন ছিল প্রাচীন বাংলা?


    সাক্ষী গোপাল

    এই বাগধারাটি এসেছে প্রাচীন লোকগাঁথা থেকে।

    অনেক অনেক কাল আগে, পুরীতে তীর্থ করতে যেয়ে এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেসময় এক তরুণ তার সেবা করে তাকে সুস্থ করে তোলে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ব্রাহ্মণ নিজের মেয়ের সাথে ওই তরুণের বিয়ে দিতে চাইলেন।

    তীর্থ শেষে ব্রাহ্মণ নিজের দেশে ফিরে গেলেন। আর ভুলেও গেলেন তরুণের কথা।

    এদিকে তরুণ দেশেবিদেশে ঘুরে অবশেষে ব্রাহ্মণের সন্ধান পেল। ব্রাহ্মণকে যেয়ে তার প্রতিজ্ঞার কথা বলতেই ব্রাহ্মণ বেঁকে বসলেন। ব্রাহ্মণ দাবী জানালেন প্রতিজ্ঞার সাক্ষী হাজির করার।

    তরুণ গেল শ্রীকৃষ্ণের কাছে। তাকে অনুনয় জানাল সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। তরুণের অনুনয় বিনয় শুনে তিনি রাজী হলেন সাক্ষ্য দিতে। তবে একটা শর্ত বেঁধে দিলেন। কী সেই শর্ত?

    তিনি সাক্ষ্য দিতে তরুণের পেছন পেছন ব্রাহ্মণের গ্রামে যাবেন। তবে যাত্রাপথে তরুণ পেছন ফিরে তাকালেই তিনি থেমে যাবেন। আর সাক্ষ্য দিতে যাবেন না। ভয়ে ভয়ে তরুণ যাত্রা করল। যাত্রাপথে কৃষ্ণের মাথায় দুষ্টবুদ্ধি চাপল। তিনি পায়ের শব্দ লুকিয়ে ফেললেন। এতে তরুণ ভয় পেয়ে গেল। পেছন ফিরে তাকাল। আর কৃষ্ণ সেখানেই দাঁড়িয়ে গেলেন।

    সেই থেকে যারা কোনো সমস্যা দেখেও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তাদের বলা হয় “সাক্ষী গোপাল”।

    হরি ঘোষের গোয়াল

    নিতান্ত অলস আর নিষ্কর্মা লোকদের আড্ডাকে বলে হরি ঘোষের গোয়াল

    এই হরি ঘোষ একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি নদীয়ার বাসিন্দা হরি ঘোষের বাড়ির গোয়ালে ছিল এক পণ্ডিতের পাঠশালা সেখানে দূরদূরান্ত থেকে ছাত্ররা আসত বিদ্যালাভের আশায় সেই পাঠশালায় সমবেত ছাত্রের কোলাহল থেকেই এই বাগধারাটির উৎপত্তি

    তবে এটি নিয়ে ভিন্ন মতামতও পাওয়া যায় কলকাতা শহরের শোভাবাজার এলাকায় হরি ঘোষ নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি বাস করতেন তার ছিল বিশাল এক অতিথিশালা যেখানে তিনি সবাইকে আশ্রয় দিতেন ফলে ক্রমেই সেটা অলস আর কুঁড়ে লোকের আস্তানায় পরিণত হয় সে থেকেও “হরি ঘোষের গোয়াল” বাগধারাটি আসতে পারে বলে ধারণা করা হয়

     

    এরকম আরো অসংখ্য বাগধারা এবং প্রবাদ প্রবচন আমাদের বাংলা ভাষায় আছে। যেগুলোর প্রতিটির পেছনেই আছে এমন অসাধারণ সুন্দর কিছু গল্প। কোনো গল্প হয়তো এসেছে পৌরাণিক উপাখ্যান থেকে, কোনোটা বা সরাসরি ইতিহাস থেকে। এভাবেই কালের পরিক্রমায় আমাদের বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে এই প্রবাদপ্রবচন আর বাগধারাগুলো। প্রতিটি বাগধারা এবং প্রবাদপ্রবচনের পেছনে এইযে গল্প বা ইতিহাসগুলো, সেগুলোও কিন্তু আমাদের ভাষা এবং সাহিত্যের বিশাল সম্পদ আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।

    সবশেষে একটা ইংরেজি Idiom-এর মজার উপাখ্যান জানিয়ে আজকের লেখাটা শেষ করি “French Leave”- এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত এর অর্থ হলো “ফাঁকি দেওয়া” ফাঁকি দেওয়া অপকর্মটির সাথে ফরাসি জাতির নাম কীভাবে জড়ালো নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে?

    এর পেছনের গল্পটা বেশ মজার এর পেছনে আছে ব্রিটিশ আর ফরাসিদের দীর্ঘবৈরীতার ইতিহাস সাম্রাজ্য বিস্তার আর ব্যবসাবাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ফরাসি আর ব্রিটিশদের শত্রুতা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে তাই চিরশতরু ফরাসিদের অপদস্থ করার জন্যই এই অপর্কমটির নাম দেওয়া “French Leave” আর মজার ব্যাপারটা হলো পাশ্ববর্তী ফ্রান্সে এই “ফাঁকি দেওয়া” অপকর্মটির জন্য ব্যবহৃত বাগধারা “English Leave”!

    এই লেখাটির অডিওবুকটি পড়েছে মেহের আফরোজ শাওলী


    আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:


    HSC 2023 ব্যাচের জন্য


    HSC 2024 ব্যাচের জন্য


    ১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com


    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন