ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ প্রকৌশল পড়ার জন্য দেশের সকল প্রথম সারির শিক্ষার্থীদের নজর থাকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েটের দিকেই। বুয়েটের পরপরই যেসব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসে, সেসব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাদের আজকের ব্লগের আলোচ্য বিষয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা চুয়েট (CUET), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা কুয়েট (KUET) আর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তথা রুয়েট (RUET) – এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামই চলে আসবে বুয়েটের সাথেসাথেই।
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:
ইঞ্জিনিয়ারিং এডমিশন কোর্স ২০২২
আজকের লেখাটি থেকে আমরা জানবো গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রস্তুতি সম্পর্কে সকল খুঁটিনাটি। অর্থাৎ কোন কোন ভার্সিটি আছে এই গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যা, ভর্তির আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতা, মানবণ্টন, আবেদনের প্রক্রিয়া, পরীক্ষা থেকে শুরু করে সব! তাহলে আর দেরি না করে, চলো শুরু করা যাক।
গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা
গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা বিষয়টা বেশ নতুন, ২০২০ সাল থেকে কেবল শুরু হয়েছে। এই গুচ্ছ বা সমন্বিত ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েট একযোগে। চুয়েটের মোট ৯০১ জন, কুয়েটের ১০৬৫ জন এবং রুয়েটের ১২৩৫ জন অর্থাৎ সর্বমোট ৩২০১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে এই পরীক্ষার দ্বারা। এই সর্বমোট আসনসংখ্যা কিন্তু সংরক্ষিত আসনগুলো মিলিয়ে। চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েটে সংরক্ষিত আসন যথাক্রমে, ১১, ৫ এবং ৫ জন। আর নির্দিষ্ট করে বিষয়ভিত্তিকভাবে আসনসংখ্যা নিচে দেয়া হলো।
ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বিষয়ভিত্তিক আসন সংখ্যা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
বিভাগের নাম | আসনসংখ্যা |
---|---|
আর্কিটেকচার | ৩০ |
বায়োমেডিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৩০ |
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৩০ |
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৮০ |
ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৮০ |
মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং | ৩০ |
ওয়াটার রিসোর্চ ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)
বিভাগের নাম | আসনসংখ্যা |
---|---|
আর্কিটেকচার | ৪০ |
বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট | ৬০ |
বায়োমেডিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং | ১২০ |
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং | ১২০ |
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং | ১২০ |
ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট | ৬০ |
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং | ১২০ |
মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং | ৬০ |
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)
বিভাগের নাম | আসনসংখ্যা |
---|---|
আর্কিটেকচার | ৩০ |
বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট | ৩০ |
কেমিক্যাল অ্যান্ড ফুড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৮০ |
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৮০ |
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৮০ |
ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৮০ |
ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং | ৬০ |
আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং | ৬০ |
গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা
১. ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা হিসেবে প্রথমে প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২. প্রার্থীকে অবশ্যই ফার্স্ট টাইমার (First Timer) হতে হবে।
৩. এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সর্বোচ্চ তিন বছর আগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ (বা সমমান) পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:
বুয়েট কোশ্চেন সলভ কোর্স
৪. গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি প্রতিটিতে গ্রেড পয়েন্ট ৫.০০ পেতে হবে এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়তে চাইলে জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে ৪.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৫. প্রার্থী GCE ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা পাশ করে থাকলে সেখানেও একইভাবে ও লেভেল (O Level) গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজি প্রতিটিতে আলাদা আলাদাভাবে ‘এ’ গ্রেড পেতে হবে। আর এ লেভেলে (A Level) ইংরেজিতে এ না পেলেও চলবে। আর বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে এ লেভেল পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে বি গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
আরো পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা জয়ের নীল নকশা: কিছু অজনপ্রিয় টিপস!
ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: মানবণ্টন ও পাঠ্যসূচি
দুইটি গ্রুপে সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ক. ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। এবং
খ. ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ।
এই গ্রুপ দুটিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়সমূহ এবং পাঠ্যসূচি নিম্নরূপ:
বিভাগ | বিষয় | পাঠ্যসূচি |
গ্রুপ ক
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নগর পরিকল্পনা বিভাগ |
গণিত | উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য যে পাঠ্যসূচি নির্ধারিত ছিল*
বি. দ্র. এইচএসসিতে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও ভর্তি পরীক্ষায় পুরো বই সিলেবাস হতে পারে। |
পদার্থবিজ্ঞান | ||
রসায়ন | ||
ইংরেজি |
বিভাগ | বিষয় | পাঠ্যসূচি |
গ্রুপ খ
ইঞ্জিনিয়ারিং, নগর পরিকল্পনা এবং স্থাপত্য বিভাগ |
গণিত | উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য যে পাঠ্যসূচি নির্ধারিত ছিল*
বি. দ্র. এইচএসসিতে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও ভর্তি পরীক্ষায় পুরো বই সিলেবাস হতে পারে। |
পদার্থবিজ্ঞান | ||
রসায়ন | ||
ইংরেজি | ||
মুক্তহস্ত অঙ্কন (Free-hand Drawing) শুধুমাত্র স্থাপত্য বিভাগে ভর্তিচ্ছুদের জন্য প্রযোজ্য। |
এবার মানবণ্টন সবিস্তারে দেয়া হলো:
গ্রুপ ক | গ্রুপ খ | ||||
বিষয় | প্রশ্নসংখ্যা | নম্বর | বিষয় | প্রশ্নসংখ্যা | নম্বর |
গণিত | ২৫ | ১৫০ | গণিত | ২৫ | ১৫০ |
পদার্থবিজ্ঞান | ২৫ | ১৫০ | পদার্থবিজ্ঞান | ২৫ | ১৫০ |
রসায়ন | ২৫ | ১৫০ | রসায়ন | ২৫ | ১৫০ |
ইংরেজি | ২৫ | ১৫০ | ইংরেজি | ২৫ | ১৫০ |
সর্বমোট নম্বর | ৬০০ | মুক্তহস্ত অঙ্কন | ৪ | ২০০ | |
সর্বমোট নম্বর | ৮০০ |
ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: আবেদন করার নিয়ম
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে প্রদানের পর আবেদন ফরম ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই অনলাইনেই পূরণ করতে হবে।
১. শুরুতে গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং – এর অফিশিয়াল সাইটে (https://admissionckruet.ac.bd/) যেতে হবে।
২. এসএসসি, এইচএসসির বোর্ড, ইন্সটিটিউট, পাস করার সাল, রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর সব পূরণের পর নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩. এবার ফি পরিশোধের পেজে চলে যাবে, এডিট অপশন সক্রিয় করে এডিট করতে পারবে।
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:
ইঞ্জিনিয়ারিং এডমিশন কোর্স ২০২২
৪. পরীক্ষার্থীর সদ্য তোলা রঙিন ছবি এবং সাক্ষর আপলোড শেষে সাবমিট এবং প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৫. সফলভাবে আবেদন শেষ হলে ব্রাউজারে “You have successfully completed online application” লেখা আসবে।
৬. আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে “Download Application Information” এ ক্লিক করে পেজটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে।
এপর্যন্ত কাজ আপাতত শেষ, বাকি কাজ ভর্তি পরীক্ষার জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার পর।
আরো পড়ুন: ঢাবি ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা: শেষ সময়ে কীভাবে প্রস্তুতি নেবো?
গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা: প্রবেশপত্র সংগ্রহ ও পরবর্তী কার্যক্রম
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়নের পর প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে।
- শুরুতে গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং তথা https://admissionckruet.ac.bd/ এই সাইটে যেতে হবে।
- অ্যাডমিট কার্ড মেনুতে ক্লিক করে অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে।
- সব তথ্য দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই পিডিএফ ভার্সনে অ্যাডমিট কার্ড চলে আসবে। এই অ্যাডমিট কার্ডটি এ৪ কাগজে প্রিন্ট করে রাখত হবে, এটি ছাড়া কাউকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না।
শেষ সময়ের প্রস্তুতি
এখন আবেদন করা শেষ, পরীক্ষার দিনগণনা শুরু। ঠিক এই মুহূর্তে শেষ ক’টা দিন পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। সময় যেহেতু কম, তাই সিলেক্টিভ প্রস্তুতি নেয়া ভালো। এর মানে এই না যে, চ্যাপ্টার কম করে পড়বে। পুরো অ্যাডমিশন সিজন তো পুরোটাই পড়ে আসতে হবে, কিন্তু শুধু পরীক্ষার আগে একটু পিকি আর চুজি হতে হবে। যেসব অধ্যায় থেকে পরীক্ষায় অঙ্ক বেশি আসে, সেসব দেখে যেতে হবে। প্রশ্নব্যাংক সমাধান করা এসময় বেশি কাজে আসে।
পরীক্ষার হলের স্ট্র্যাটেজি
মনে রাখতে হবে, সব প্রশ্নের মান সমান। তাই কঠিন কোনো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজেকে বীর প্রমাণ করার কিছু নেই। উল্টো এমন কিছু করতে গিয়ে যদি সময় অনেক চলে যায়, পরের অনেক সহজ প্রশ্নও সময়ের অভাবে উত্তর করতে হয়তো পারবে না। তাই যেগুলো চট করে উত্তর করে ফেলা যায়, এমন প্রশ্ন দিয়ে আন্সার শুরু করা ভালো স্ট্র্যাটেজি। আর মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। অনেকেই এত ঘাবড়ে যায় যে নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারে না। এক্ষেত্রে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
শেষকথা
সর্বোপরি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনো বড় লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা তার ব্যতিক্রম নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যক্তি তার সামর্থ্যের থেকেও বড় কোনো বাঁধা টপকে ফেলে শুধু নিজে মন থেকে তার উপর দৃঢ় বিশ্বাস করেছিল বলে। আবার অনেক সহজ কাজও হীনমন্যতার কারণে ভালমত করতে পারে না। আর আত্মবিশ্বাস গড়ে দিতে, প্রায়সময়ই গাইডলাইন দরকার পড়ে।
১০ মিনিট স্কুল এই গাইডলাইন নিয়েই হাজির হয়েছে এবার। গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির জন্য আমরা এবার তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি পুর্ণাঙ্গ কোর্স। নিজেকে শাণিত করে নেয়ার এই সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করবেই বা কেন! সব কোর্স ম্যাটেরিয়াল তোমাকে যেমন পড়াশুনার দিক থেকে সাহায্য করবে, তেমনি মনোবলও বাড়িয়ে দেবে। তাই দেরি না করে এক্ষুণি এনরোল করে ফেলো কোর্সটিতে! পছন্দের ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তোমাদের সবার ঠাঁই হোক, এই কামনাই নিরন্তর!
তথ্যসূত্র: গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়েবসাইট
ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- ঢাবি-ক কোশ্চেন সলভ কোর্স
- ভার্সিটি A Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স
- ভার্সিটি B Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স
- ভার্সিটি C Unit + গুচ্ছ এডমিশন কোর্স
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন