বর্তমান যুগে রোবট কি কিংবা রোবটিক্স কি, এসব না জানলেই নয়। কেননা আমাদের চারিদিকে রোবটিক্স বিষয়ক নানান প্রযুক্তি ছড়িয়ে আছে। দাবা খেলা থেকে শুরু করে হাসপাতালের সার্জারি, সাবমেরিন থেকে মহাকাশ, গাড়ি বানানো থেকে শুরু করে ঘরের ধুলা-ময়লা পরিষ্কার, সবজায়গায় যখন আমরা রোবট আর এআই-এর বহুল ব্যবহার দেখছি, সে সময়ে এসে রোবটিক্স নিয়ে না জানা পিছিয়ে থাকারই নামান্তর।
সেকারণেই আজকে আমরা কথা বলবো বিজ্ঞানের এই চমকদার অংশ নিয়ে। কথা হবে রোবটিক্স কি, কী কী নিয়ে কাজ করে, এর সুবিধাগুলো কী, এর পেছনের ইতিহাসটাই বা কী; সাথে সাবজেক্ট হিসেবে রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, এর প্রায়োগিক দিক- সবকিছু নিয়েই গল্প হবে আজ!
রোবটিক্স কি? রোবটিক্স কাকে বলে?
তেমন জটিল সংজ্ঞায়ন না করে সহজভাবে রোবটিক্স কাকে বলে বললে, রোবটিক্স হলো বিজ্ঞানের সেই শাখা যেখানে এমন সব কম্পিউটার নিয়ে আলোচনা করা হয়, যেগুলো নড়াচড়া করতে পারে, বাস্তব জগতের সাথে মিথিস্ক্রিয়া করতে পারে এবং এত কঠিন সব কাজ করতে পারে যা মানুষও পারে না। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, আগের লাইনের যে যন্ত্রের কথা বললাম তথা রোবট, সেটি এক ধরনের কম্পিউটারই! আশ্চর্যের হলেও, এটা সত্য।
সে যাই হোক, রোবটিক্সের শুরুটা কিন্তু হয়েছিল খুব সামান্য যন্ত্র তৈরির মধ্য দিয়ে, যা আজকের দিনের মত ইলেক্ট্রনিক তো ছিলই না উপরন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ছিল অনেক জটিল, যা অপারেট করতেও বেশ বেগ পেতে হত।
সেখান থেকে কীভাবে হালের পর্যায়ে এলো তা জানবো আমরা এই নিবন্ধে। রোবটিক্স মূলত রোবট নিয়েই আলোচনা, তো চলুন শুরুতে জেনে নিই রোবট বলতে আমরা কী বুঝি।
রোবট কি? রোবট কাকে বলে?
রোবটিক্স কাকে বলে তো জানলাম, এখন রোবট নিয়ে জানার সময়। রোবট বলতে সাধারণত এমন যন্ত্রকে বোঝায়, যা এর আশেপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝতে বা কিছু সুচকের মাধ্যমে পরিমাপ করতে সক্ষম এবং তাকে দেয়া নির্দিষ্ট কাজ সুচারুরূপে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে সম্পাদন করতে পারদর্শী। বর্তমান সময়ে সচরাচর রোবট মানেই ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রকে নির্দেশ করে, যদিও শুরুতে এমনটি ছিল না।
সব রোবটেরই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে যা তাদের অন্যান্য যন্ত্রাদি থেকে আলাদা করে, যেমন,
- এদের বস্তুগত অস্তিত্ব বিদ্যমান। অর্থাৎ শুধু কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে, কোড থেকে কোডে এদের বিচরণ না। এদেরকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায় এবং বাস্তবে পরখ করা যায়।
- এদের সেন্সিং ফিচার আছে। অর্থাৎ পরিবেশের নিয়ামক পরিমাপ করে এরা সিদ্ধান্তে আসতে পারে। যেমন আলো, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি। এসব নির্ভর করে কোন কাজের জন্য তাদের বানানো হয়েছে। এর জন্য রোবটে সেন্সর ব্যবহৃত হয়।
- এদের ব্যাকএন্ডে কম্পিউটারের প্রগাঢ় যোগসূত্র রয়েছে, যাকে বলা হয় কম্পিউটেশন। অর্থাৎ এদের যা করতে আদেশ দেয়া হয়, সে সেই সূত্র মেনেই এগোয়, নিজে থেকে কিছু করতে পারে না।
- রোবটে পাওয়ার সাপ্লাই দরকার পড়ে সবসময়ই, সেহেতু কেবল তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। এর থেকে ভালো সমাধান বের করেছেন ডিজাইনাররা ব্যাটারির মাধ্যমে। এর আবার প্রতিকূল দিকও আছে, ব্যাটারি যত ভারী হবে, রোবটের চলাচলে তত বিঘ্ন সৃষ্টি হবে।
- সাধারণত ভারী কাজের জন্য রোবট ব্যবহার হয়, যেগুলো মানুষের করতে জটিল হবে বা অতি সূক্ষ্ম কাজ যেগুলোতে প্রিসিশন খুবই জরুরি তেমন কাজেও রোবট ব্যবহার করা হয়।
- রোবট অনেক প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে সক্ষম যেমন, সমুদ্রের গহীন তলদেশে, মহাকাশে, চিকিৎসাক্ষেত্রের সারজারিতে ইত্যাদি। আবার কিছু রোবট কাজ করে বোমা নিষ্কাশনে! এধরণের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে রোবট নির্দ্বিধায় ব্যবহার করা যায়।
রোবট ও রোবটিক্স এর মধ্যে পার্থক্য
রোবট আর রোবটিক্সের পার্থক্যের বিষয়টি খুবই সুস্পষ্ট, রোবট হলো তৈরিকৃত বস্তু, আর যে শাস্ত্রে এ নিয়ে গবেষণা করা হয় সেটিই রোবটিক্স। রোবটিক্স আসলে বেশ বিস্তৃত ক্ষেত্র, এর সাথে সংযোগ আছে মেকানিক্যাল আর ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এরও। আবার রোবটগুলোর মুভমেন্টের জন্য যে সফটওয়্যার কাজ করে, সেজন্য আবার রোবটিক্সকে কম্পিউটার সায়েন্স আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাথেও যোগাযোগ রাখতে হয়! এখন আশা করি ভালোভাবে বুঝেছো যে, রোবট ও রোবটিক্স কাকে বলে।
রোবট ও মানুষের পার্থক্য
আচ্ছা, তুমি কি রোবট না মানুষ? খেয়াল করেছ কি, কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলে শুরুতেই তোমার পরিচয় জানার জন্য ক্যাপচা কোড লিখতে হয়? সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষ এবং কম্পিউটার বা রোবটের মধ্যে পার্থক্য যাচাইকরণের প্রক্রিয়া হলো ক্যাপচা। ক্যাপচার মাধ্যমে একটি সিস্টেম এটি নির্ধারণ করে যে কোনো প্রক্রিয়ায় মানুষ সংযুক্ত আছে, নাকি কোনো স্প্যাম রোবটের মাধ্যমে কাজটি করানো হচ্ছে। ক্যাপচা প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা, লেখা কিংবা এমন কিছু তথ্য দেখে দেখে ইনপুট করতে বলা হয় যা শুধুমাত্র মানুষের দ্বারাই সম্ভব।
সাধারণত, কোনো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম ক্যাপচা পূরণ করতে পারে না। ক্যাপচা পূরণ না করতে পারার মতো এমন আরো অনেক জিনিস আছে যা কোনো রোবট করতে পারে না। রোবট মানুষের তুলনায় যতই শক্তিশালী ও দ্রুত হোক না কেন, তারা কিন্তু মানুষ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়।
অন্যদিকে, মানুষের জীবন আছে। সে একবার মারা গেলে আর জীবিত হবে না। কিন্তু রোবটের কোনো অংশ বিকল হয়ে গেলে তা ঠিকই মেরামত করা যাবে। মানুষের উচ্চ বিকশিত মস্তিষ্ক আছে যা রোবটের নেই। রোবটের মধ্যে নেই কোনো উদ্ভাবনী শক্তি বা সৃজনশীলতাও।
আরো পড়ুন: গ্রাফিক ডিজাইন এর আদ্যোপান্ত: একজন সফল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে যা জানা প্রয়োজন
রোবটিক্স -এর ইতিহাস
নামকরণ
রোবট শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯২০ সালে একটি চেক নাটকে, তখন এটি কৃত্রিম এবং হিউম্যানয়েড (তথা মানুষের মত) কিছু বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছিল। রোবট শব্দটি আসে স্লাভিক শব্দ রোবোটা থেকে, যেটি বুঝাত কাউকে বাধ্য করে কাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছে এমন। ঊনবিংশ শতকে সামন্ততান্ত্রিক ইউরোপে কৃষকদের জোর করে কাজ আদায় করে নেয়া হত, এই দৃষ্টিভঙ্গিতে এই শব্দের চল শুরু হয়েছিল।
রোবটিক্স শব্দটি প্রথম ব্যবহার হয় ১৯৪২ সালে, শুরুটা করেন আইজ্যাক অ্যাসিমভ। বিখ্যাত সাই-ফাই লেখক অ্যাসিমভ রোবটিক্সের তিনটি সূত্রও দেন, তার হাত ধরেই এই শব্দ ব্যবহার হতে থাকে, এবং হালের আমলে প্রতিদিনকার রোবট বিষয়ক আলোচনায় যা হরহামেশাই চর্চা হয়।
রোবটিক্স এর জনক কে?
রোবট কি ও রোবটিক্স কি সেটা জানার পর প্রশ্ন আসতেই পারে, রোবটিক্স এর জনক কে? কিন্তু এটা বলতে হলে শুরু করতে হবে পটভূমি থেকে। একদম শুরু থেকে বলতে গেলে দ্বাদশ শতক থেকে আসতে হবে, তখন চলছে ইসলামি স্বর্ণযুগ। মধ্যযুগের যে সময়ে ইউরোপ ডুবেছিল অন্ধকারে, সেসময় জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় আরব-পারস্যের পলিম্যাথগণ অবদান রেখে যাচ্ছিলেন অসাধারণভাবে। এমনই একজন ছিলেন বদিইউজ্জামান আবুল ইজ ইবনে ইসমাইল ইবনে রাজ্জাজ আল জাজারি, যিনি সংক্ষেপে আল জাজারি নামে সুখ্যাত।
তিনি ডিজাইন করেছিলেন এক অত্যাশ্চর্য এলিফ্যান্ট ক্লক, যেটি একা একাই অপারেট করতে পারত, এবং ঠিকভাবে ২৪ ঘণ্টা সময় দিতে পারত। এছাড়াও তিনি আরও ৫০টি মেকানিক্যাল ডিভাইস তৈরি করেছিলেন, সবগুলো সুন্দরভাবে আঁকানোও আছে। এজন্য আল জাজারিকে রোবটিক্স এর জনক বলা হয়।
আর আধুনিক সময়ের কথা বললে, ১৯৬১ সালে নিউ জার্সিতে ইউনিমেট নামে প্রথম রোবট বানানো হয়। এটা ছিল আসলে ১ টনের মত ওজনের এক জায়ান্ট রোবটিক হাত, যেটি প্রোগ্রাম অনুযায়ী কাজ করতে পারত। এর পরপরই কার কোম্পানিগুলোর মাঝে রোবট তৈরির হুলস্থূল পড়ে গেলো। কিন্তু সেসময় সেগুলো ছিল শুধুই রোবটিক হাত, বেশ ভারী থাকায় সেসব অপারেট করাও কঠিন ছিল। ১৯৭৪ সালে যখন আইআরবি-৬ আসে, সেটা অনেক বড় একটা ব্যাপার ছিল, কারণ এটিই প্রথমবারের মত মাইক্রোকম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ছিল।
সত্তরের দশকে যে সমস্যাটি হত, তা হলো যন্ত্রগুলো উন্নত হচ্ছিল কিন্তু বাস্তব জগতের সাথে ইন্টার্যাক্ট করতে যন্ত্রগুলোর বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। এর থেকে মুক্তি মেলে আশির দশকে, এতে প্রথমবারের মত ভিশন তথা দেখার ফিচার যুক্ত করা হয় রোবটে। এরপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি বিজ্ঞানী আর ইঞ্জিনিয়ারদের, বাকি দুই দশক চলেছে অসাধারণ সব উৎকর্ষ সাধনের মহোৎসব! ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এই রোবটগুলো যেমন চলাচলে উন্নতি করেছে, তেমনি ভিশন বা দেখা এবং অন্যান্য সেন্সরে সাড়া প্রদান সবদিকে এগিয়েই গেছে শুধু! তাই, আল জাজারি তথা রোবটিক্স এর জনক কে এখনও স্মরণ করা হয় এ প্রযুক্তির জন্য।
ওয়াবট-১ কে বলা হয় প্রথম ফুল স্কেল হিউম্যানয়েড রোবট, ১৯৭৩ সালে জাপানের ওয়াসেডা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি তৈরি হয়েছিল। এটা হাঁটতে পারত, জিনিসপাতি নাড়াচাড়া করতে পারত এবং এমনকি কথাও বলতে পারত। এর উত্তরসূরি ওয়াবট-২ ও অনেক উন্নতি করেছিল।
ক্রমেই ইঞ্জিনিয়ারগণ বুঝতে শুরু করেন রোবট সবথেকে ভালো পারফর্ম করবে যদি একে কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য বানানো হয়। এ লক্ষ্যেই গত দশ বছরে বাসাবাড়ির কাজে সাহায্য করার উপযোগী অনেক অনেক রোবটের বিকাশ হয়েছে, যেমন রুমের ময়লা পরিষ্কার করা, লনের ঘাস কাটা, জানালা পরিষ্কার করা বা সুইমিং পুল পরিষ্কার কর- এমন কাজে সিদ্ধহস্ত রোবটের উদ্ভব ঘটেছে ভুরিভুরি! এ থেকে বজা যায় যে রোবটিক্স কি যে কাজের বিষয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শুরু
গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সা, সিরি- এদের চেনো তো? এরা হলো গুগল, অ্যামাজন ও অ্যাপলের তৈরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাসিস্ট্যান্ট। শারীরিক অস্তিত্বহীন এই অ্যাসিস্ট্যান্ট শুধু গ্রাহকের কমান্ড মেনে কাজই করে না, আগে থেকে বলে রাখা হুইপ যথাসময়ে সঠিকভাবে করে রাখে। রোবটিক্স কাকে বলে যেহেতু আলোচনা করা হয়েছে, সেহেতু এ বিষয়টি বুঝতে তেমন বেগ পেতে হবে না তোমার।
ইতোমধ্যেই তো জানোই কম্পিউটারের নিজস্ব কোনো বুদ্ধিমত্তা নেই। যার কারণে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে কম্পিউটারের মধ্যে বাইরে থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করতে হয়। এটি হলো এক ধরনের সফটওয়্যার টেকনোলজি, যা রোবট বা কম্পিউটারকে মানুষের মতো কাজ করায় এবং ভাবায়। যেমন: কারো কথা বুঝতে পারা, সিদ্ধান্ত নেয়া, দেখে চিনতে পারা ইত্যাদি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের চিন্তা ভাবনাকে কম্পিউটারের মধ্যে দিয়ে অসম্পূর্ণ তথ্য ব্যবহার করে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত পৌঁছানো, জটিল সমস্যার সমাধান, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং গবেষণার কাজে ব্যবহার হয়।
সর্বপ্রথম ১৯২০ সালের দিকে “রুশম’স ইউনিভার্সেল রোবটস” নামে একটি সায়েন্স ফিকশান থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পথচলা শুরু ১৯৪০ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ব্রিটিশ গণিতবিদ অ্যালান টুরিং এবং নিউরোলজিস্ট গ্রে ওয়াল্টার বুদ্ধিমান মেশিন এবং তার বিভিন্ন সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দেন। ১৯৪৮ সালের দিকে ‘টুরিং টেস্ট ও যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ নিয়ে কাজ শুরু করেন টুরিং। তবে জন ম্যাক্যার্থি সর্বপ্রথম Artificial Intelligence নামক টার্মটি ব্যবহার করেন ১৯৫৫ সালে। এই ক্ষেত্রটিও রোবট কি পরিমাণ কাজে আসতে পারে, সেটা বোঝায়।
আরো পড়ুন: কম্পিউটার কী? কম্পিউটার কত প্রকার? জেনে নিন বিস্তারিত
রোবটিক্স -এর প্রায়োগিক ক্ষেত্রসমূহ
রোবটিক্সের প্রায়োগিক ক্ষেত্র বলতে মূলত রোবটদের কথাই বোঝায়, সাথেও আরও কিছু অন্যান্য ক্ষেত্রও আছে:
- সেইফটি এবং সিকিউরিটি: একটা প্রতিষ্ঠানে যদি সিকিউরিটি গার্ডের জায়গায় রোবট দেখতে পান, ভাবুন তো পরিস্থিতিটা কেমন হবে? চোর-ডাকাতও ভয় পেয়ে যাবে। সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে কোনো পক্ষপাতিত্ব করারও প্রশ্ন আসবে না। এবং সিকিউরিটি কনসাল্টেন্ট হিসেবেও ভূমিকা রাখবে অতি সার্থকতার সাথেই। নাইটস্কোপ নামে এক মার্কিন কোম্পানি ইতোমধ্যেই সিকিউরিটি গার্ডদের সহায়ক হিসেবে রোবট ব্যবহার শুরু করেছে! ভাবা যায়, রোবটিক্স কি চমৎকার বিষয়?
- মহাকাশ পর্যবেক্ষণ: মহাকাশে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় মহাকাশচারীদের, এসব ক্ষেত্রে রোবট কাজে দিবে। যেমন: মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে মাটির স্যাম্পল নিয়ে আসার কাজ হতে পারে এমন উদাহরণ! নাসা ইতোমধ্যেই এমন কিছু কঠিন কাজে মহাকাশে রোবট ব্যবহার করছে, যেখানে মানুষের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ। আগামীর দিনে এসব ব্যবহার আরও বাড়বে।
- বিনোদনের ক্ষেত্র: রোবট বিনোদন বাজারে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে যেসব রিপিটিটিভ কাজ বারবার করতে হয়। যেমন: শট নেয়া, এডিট করা এইসব কাজে অটোমেটেড রোবট বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজনি ওয়ার্ল্ড এর ব্যবহার ইতোমধ্যেই কিছুটা শুরুও করেছে।
- স্বাস্থ্য আর কৃষি: জীবনঘনিষ্ঠ এই দুই সেক্টরে রোবট অনেক সম্ভাবনাময় এক উদ্ভাবন। দ্য ভিঞ্চি রোবট যেমন অনেক স্পর্শকাতর সার্জারি ইতোমধ্যেই করছে, যা হৃৎপিণ্ড, মাথা, ঘাড় এবং বিভিন্ন অঙ্গে অপারেট করে থাকে। তেমনি ফসলের মাঠে আগাছা পরিষ্কার করতে যে রোবট কাজ করে তার নাম অ্যাক্রোবোটিক্স! এটি সৌর শক্তি দিয়ে কাজ করে এবং ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতে পায় কোথায় কতটা ঘাস জমেছে। আর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বললে তো সেটি অসীম, অনেক অনেক সেক্টর আছে এই বিষয়ে এখনও আনএক্সপ্লোরড!
- ম্যানুফ্যাকচার আর মিলিটারি: ম্যানুফ্যাকচার ক্ষেত্র হলো সবথেকে পুরাতন সেক্টর যেখানে আদিতে রোবট ব্যবহার হয়েছে। রোবটিক হাত দিয়ে যা শুরু তা আজ আমাদের ধারণারও বাইরে চলে গেছে। অটোমেশনের এই যুগে আগামীতে এই সম্ভাবনা যে আরও কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা কেউ জানে না। সামরিক কাজেও বহুল ব্যবহৃত হতে দেখা যায় রোবটকে। কারণ, স্বভাবতই মানুষের জীবনের দাম অনেক বেশি, যেখানে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে এবং অপারেশন পরিচালনা করতে সামরিক সেক্টরে রোবট ব্যবহার করা বেশ সহায়ক। এরকম ভয়াবহ ক্ষেত্রে রোবট কি যে চমৎকার যন্ত্র, সেটা আর নাই বলি।
এছাড়াও আরও অসংখ্য ক্ষেত্রে রোবট এবং রোবটিক্স ব্যবহার হয়ে আসছে হরহামেশাই!
রোবটিক্স এর গুরুত্ব
রোবটিক্সের এত এত প্রায়োগিক দিক দেখার পর আর নতুন করে রোবটিক্স কি পরিমাণ গুরুত্ব বহন করে তা বলার কিছু নেই। যে সেক্টর শুরু হয়েছিল মাত্র এক মেকানিক্যাল হাত তৈরি থেকে, আরও আগের থেকে বললে শুরুতে স্বয়ংক্রিয় ঘড়ি বানানোর মাধ্যমে যার সূচনা, সেই খাত আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে দেখলে অবাক হতে হয়। টেকনোলজির এই যুগে অটোমেশন আরও বাড়বে, এই ফেনোমেনার সাথে কীভাবে আমরা মানিয়ে নিতে পারি সেটিই দেখার বিষয়। এই সেক্টর যেহেতু অবধারিতভাবেই আগাবে, তাই আমাদের নিজেদের জন্যই উপকারী হবে যদি আমরা রোবটিক্স তথা রোবটের সাথে খাপ খাইয়ে নিই এবং একে সাথে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করি।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Robotics for Beginners
বিষয় হিসেবে রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয় হিসেবে রোবটিক্স অনেক সম্ভাবনাময় এক ক্ষেত্র, এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে প্রকৌশলের অসাধারণ কিছু শাখা। যেমন, একদম সরাসরি রোবটিক্সের সাথে কাজ করতে হয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং আর কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর। কোনো সাবজেক্ট কতটা সম্ভাবনাময় তা সাধারণত যাচাই করা হয় সেই বিষয়ে গবেষণার ফিল্ড কতটা ওপেন এবং জব অপারচুনিটি কেমন, এইসব দেখে।
আমাদের দেশে রোবটিক্স বেশ দ্রুত বর্ধনশীল এবং আগামীর বাজারে সম্প্রসারণশীল এক ক্ষেত্র। এখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে যেমন কাজের সুযোগ আছে, তেমনি অটোমেশন, সাইবারনেটিক্স প্রভৃতি সেক্টরেও কাজ এবং গবেষণা দুইয়ের দরজাই খোলা আছে। তবে, এখানে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে জেনে নেবে, রোবটিক্স কি এবং রোবটিক্স কাকে বলে। না জেনে ভর্তি হলে একসময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
রোবট তৈরির উপাদান
হয়তো ভাবতে পারো রোবট তৈরি বেশ সহজ কাজ। আদতে সেটা নয়। এমনকি রোবট তৈরির উপাদান তালিকাও অনেক লম্বা! মনে আছে, ছোটবেলায় আমরা কম-বেশি সবাই লেগো দিয়ে রোবট বানাতাম? এরপর আমরা যখন বড় হতে থাকি, তখন জানতে পারি সত্যিকারের রোবট লেগো না, কিছু যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি। একেক কাজের জন্য তৈরি রোবট একেক জিনিস দিয়ে গঠিত হলেও, প্রতিটি রোবটে তুমি তিনটি সামঞ্জস্যপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য করবে।
রোবট তৈরির উপাদান প্রথমটি হলো নড়াচড়া করার ক্ষমতা। এই কাজটি সাধারণত বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা উৎপন্ন হয়. তবে, এটি হাইড্রলিক্স তারও হতে পারে যেখানে তুমি বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করতে পারবে।
রোবট তৈরির উপাদান দ্বিতীয়টি হলো সেন্সর। কিছু গাড়ির পেছনের বাম্পারে সেন্সর থাকে যা রাস্তায় কিছু থাকলে গাড়িকে থামতে বলবে, এমনকি চালক না দেখলেও।
রোবট তৈরির উপাদান শেষটি হলো বুদ্ধিমত্তা। রোবটটি কত ভাবে নড়াচড়া করতে পারে বা কীভাবে চারপাশ উপলব্ধি করতে পারে তা চিন্তার কারণ নয় যদি সে সেই তথ্যগুলো কীভাবে ব্যাখ্যা করতে হয় তা না জানে। সাধারণত একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম ডেটা ব্যাখ্যা করার জন্য তৈরি করা হয় এবং সে অনুযায়ী তার প্রতিক্রিয়া জানায়। রোবটের রিমোট কন্ট্রোল অনেকটা এরকমই, কিন্তু কম্পিউটারের বদলে তুমিই তার মস্তিষ্ক! তোমার চোখ হলো সেন্সর এবং তুমি রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে রোবটকে যেভাবে চালাতে চাও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
রোবট তৈরির উপাদান: যন্ত্রপাতি
- একটি আরডুইনো বোর্ড (বা অন্যান্য মাইক্রোকন্ট্রোলার বোর্ড, যেমন রাস্পবেরি পাই)
- মোটর ড্রাইভার বোর্ড
- রাডার সেন্সর
- রোবটের চাকা
- বল চাকা
- ব্রেডবোর্ড
- রোবটের বডি
- রিচার্জেবল ব্যাটারি
- গিয়ার মোটর
- জাম্পার ওয়্যার
- ড্রিল মেশিন
- স্ক্রু ড্রাইভার
- স্ক্রু
- সোল্ডারিং আয়রন ও লিড
- ৬-৮ ভোল্ট এর লিথিয়াম ব্যাটারি
- পাওয়ার জ্যাক
আরো পড়ুন: ওয়েব ডিজাইন কী? জেনে নিন ৯টি অসাধারণ ওয়েব ডিজাইন স্ট্র্যাটেজি
রোবট তৈরির ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে আরডুইনো অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে কারণ আরডুইনোর দাম খুবই কম এবং এটা তোমরা নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রোগ্রাম করতে পারবে ও নানান সুবিধা যোগ করতে পারবে। তোমরা চাইলে সাধারন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে এই সব কাজ করতে পারবে। এটি ব্যবহার করে সিকিউরিটি সিস্টেম, রোবট কন্ট্রোল সিস্টেম ও বিভিন্ন সেন্সর টাইপ প্রজেক্ট তৈরি করা যায়।
রোবট তৈরির উপাদান: আরডুইনো
আরডুইনো হলো একটি অত্যন্ত ছোট আকারের মাইক্রোকন্ট্রোলার। এর সাহায্যে অনেক বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজেক্ট খুব সহজেই তৈরি করা যায়। কারণ সি এবং সি++ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা অরডুইনোকে প্রোগ্রাম করা যায়। যাদের মাত্র প্রোগ্রামিংয়ের হাতেখড়ি হয়েছে তারা বাস্তব জীবনে প্রোগ্রামিংয়ের প্রয়োগ শেখার জন্য আরডুইনো ব্যবহার করতে পারবে। আরডুইনোর মাধ্যমে তুমি খুব সহজেই কোন সিস্টেম বা যন্ত্রকে তোমার দেওয়া ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী চালাতে পারবে।
রোবট তৈরির উপাদান: প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ছাড়া রোবটকে কিন্তু নিজের ইশারায় নাচানো যাবে না! অনেক অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ থাকলেও হাতেগোনা চার-পাঁচটা ভাষাই বহুলব্যবহৃত। চলো তাহলে সেসব ভাষার কথা জেনে নেওয়া যাক।
সি/সি++ (C/C++)
রোবোটিক্স শুরু করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সি এবং সি++ শেখা। এটি নিম্ন-স্তরের হার্ডওয়্যার ইন্টারফেসে কাজ করতে সক্ষম এবং এটি রিয়েল-টাইম কর্মক্ষমতা প্রদান করে। আধুনিক প্রতিটি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের মূল ভিত্তি সি++। উন্নতমানের সফটওয়্যার ডেভলপের ক্ষেত্রে সি++ এর বিকল্প নেই। বিশেষ করে হাই গ্রাফিক্যাল কম্পিউটার গেম তৈরির জন্য এটি একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রোগ্রামিং ভাষা।
পাইথন (Python)
পাইথন একটি শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা যা রোবট তৈরি এবং পরীক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়। অটোমেশন এবং পোস্ট-প্রসেস রোবোটিক প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে, এটি অন্যান্য প্ল্যাটফর্মকে ছাড়িয়ে যায়। পাইথনের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো প্রোগ্রামিং সহজ এবং দ্রুত করা। উচ্চ কর্মদক্ষতা, সহজ সিনট্যাক্স, পড়ার উপযোগিতা ও স্বাধীন প্লাটফর্মের সুবিধা নিয়ে পাইথন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে পূর্বের কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই পাইথন সরাসরি শেখা যায়।
জাভা (Java)
জাভা রোবটকে এমন ক্রিয়াকলাপ করতে সক্ষম করে যা মানুষের দ্বারা সঞ্চালিত হয়। এটি রোবটের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের এপিআই প্রদান করে। জাভা ভার্চুয়াল কম্পিউটার কমান্ডের ব্যাখ্যা করে, এর ফলে রোবোটিক্সের ক্ষেত্রে জাভা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রোবট ছাড়াও বর্তমানে জাভা প্রায় ৩ বিলিয়ন ডিভাইসে রান করছে।
ম্যাটল্যাব (MATLAB)
রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ম্যাটল্যাব অত্যন্ত জনপ্রিয়। ডেটা অ্যানালাইসিসের ক্ষেত্রে এটি অন্যান্য অনেক প্রোগ্রামিং ভাষার তুলনায় যথেষ্ট এগিয়ে। এর ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন সুবিধা সম্পূর্ণ রোবোটিক সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টে বেশ সহায়ক। প্রকৌশলীরা এই ভাষাটি সিস্টেম ডিজাইনকে ফাইন-টিউন করতে ব্যবহার করে।
রোবটিক্স কীভাবে শিখব?
রোবটিক্স কি আপনার প্রিয় বিষয়? রোবট কি তৈরি করতে চাচ্ছেন? রোবটিক্স ও রোবট কি সেটা তো জানলেন। এখন কথা হচ্ছে, রোবটিক্স কোথায় শেখা যায়? এখানে আমরা কোথায় কোথায় শেখা যেতে পারে সে রিসোর্সগুলো সম্পর্কেই জানবো:
তুমি চাইলে রোবটিক্স নানান উপায়ে শিখতে পারো। শেখার উপরে ভিত্তি করে এগুলোকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। সেগুলো হলো:
- অনলাইন
- অফলাইন
এখানে সহজে শেখার কিছু উপায় আলোচনা করা হলো।
অনলাইন
অনলাইন কোর্স
রোবট ও রোবটিক্স নিয়ে অনলাইনের বেশিরভাগ কোর্স ইংরেজিতে। তবে, টেন মিনিট স্কুলের Robotics for Beginners কোর্সে রয়েছে বাংলা ভাষায় রোবটিক্স শেখার পরিপূর্ণ প্যাকেজ! রোবোটিক্স প্রযুক্তিতে আগ্রহ থাকলে একদম বেসিক থেকে শেখো রোবট এবং রোবটিক্স সম্পর্কে।
এই রোবটিক্স কোর্সটি তোমাকে যে যে উপায়ে সাহায্য করবে?
- রোবট ও রোবটিক্স -এর বেসিক কনসেপ্টগুলো সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দেওয়ার মাধ্যমে।
- বর্তমান প্রযুক্তি-চালিত বিশ্বে ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে প্রস্তুত করে।
- রোবট ও রোবটিক্স শিল্পে আপনার যাত্রা সফল করার জন্য সঠিক গাইডলাইন প্রদান করে।
- রোবটিক্স নিয়ে থাকার মনে সকল ভয় ও সংশয় দূর করে।
কোর্সটি করে যা শিখবে:
- রোবটিক্স -এ যাত্রা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু।
- রোবট ও রোবোটিক্সের জটিল সব বিষয় খুব সহজেই আয়ত্ত করার কৌশল।
- কীভাবে বাস্তব জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বৈজ্ঞানিক এবং গাণিতিক ধারণাগুলো প্রয়োগ করা যায়।
- কীভাবে নিজেই রোবট তৈরি করবে।
ভর্তি হও এই কোর্সে: Robotics for Beginners
ইউটিউব
ইউটিউবের মাধ্যমে বিনামূল্যেও এ সংক্রান্ত প্রচুর টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবে। এটি যদিও কোর্সের মতো গোছানো হবে না। কিন্তু ইউটিউব টিউটোরিয়ালও পর্যাপ্ত, যদি শিখতে চান। ইউটিউবে বাংলা, ইংরেজি থেকে শুরু করে যেকোনো ভাষায়ই টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইট
বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকেও অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন। ইংরেজিতে যদিও বেশি টিউটোরিয়াল, তবুও বাংলায়ও বেশ কিছু টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবে।
অফলাইন
বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবটিক্স নিয়ে পড়ানো হয়। রোবটিক্স কি পরিমাণ দরকারি সেটা বিবেচনা করে, ভবিষ্যতে এ সংখ্যাটা যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। ৪ বছরের একটি ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়ে পরিপূর্ণভাবেই শিখে নাও রোবট কি আর রোবটিক্স কি!
ট্রেনিং সেন্টার
চাইলে অফলাইনে যেকোনো ট্রেনিং সেন্টার থেকেও শিখতে পারো। এভাবে ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমেও শিখতে পারবে খুব সহজেই। এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এর মাধ্যমে তুমি কারো থেকে হাতে-কলমে শিখতে পারো। ফলে, এসব জায়গায় সরাসরি সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে।
শেষ কথা
তো, এই ছিল রোবট কি, রোবটিক্স কি, রোবট তৈরির উপাদান, রোবট কীভাবে তৈরি করতে হবে, তার গাইডলাইন। আশা করছি লেখাটি দ্বারা রোবট কি অসাধারণ উপায়ে আমাদের জীবনে জড়িয়ে যাচ্ছে, তা বোঝাতে পেরেছি। সাথে ছিল রোবট তৈরির নিয়মাবলী। আরও বিস্তারিত ও ব্যবহারিকভাবে শিখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করে ভর্তি হও আমাদের রোবটিক্সের কোর্সে।
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ভিজিট
- Robotics for Beginners Course (by Fuad Alhasan)
- Adobe Illustrator Course (by Mohammad Yeasir)
- Graphic Designing with Photoshop Course (by Sadman Sadik)
- Graphic Design করে Freelancing Course (by Md. Kamruzzaman Shishir and A.S.M Asifuzzaman)
- Graphic Designing with PowerPoint Course (by Anisha Saiyara Taznoor)
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing Course (by Sadman Sadik)
- Web Design Course (by Fahim Murshed)
- Communication Masterclass Course (by Tahsan Khan)
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadiq and Sadman Sadik)
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course (by Joyeta Banerjee)
- SEO Course for Beginners (by Md Faruk Khan)
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন