এইচএসসি ২০২২
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে তৈরি হওয়া প্যান্ডেমিকে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে শিক্ষা খাতে। প্যান্ডেমিকের প্রভাবে সবার আগেই বন্ধ হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপরে কয়েক দফায় স্কুল-কলেজ খুললেও, পরিস্থিতির কারণে আবারও সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ দীর্ঘদিন ক্লাসরুমের বাইরে থাকার কারণে তোমাদের নিশ্চয়ই পড়াশোনায় একটা বিশাল বড় গ্যাপ পড়ে গিয়েছে? কিন্তু সামনেই চলে এসেছে এইচএসসি পরীক্ষা, এসএসসিতে পুরো দুই বছর সময় পাওয়া গেলেও এইচএসসির সময় এমনিতেই হাতে দেড় বছরও থাকে না। ২০২২ এর পরীক্ষার্থীদের জন্য সেটি আরো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে। সেই সাথে ভর্তি পরীক্ষার টেনশন তো আছেই৷
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে এইচএসসি ২০২২ এর সিলেবাস কিছুটা কমিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তবু পরীক্ষার্থী হিসেবে তোমার চিন্তা থাকতে পারে কীভাবে এই সিলেবাসটাই ঠিকঠাকমতো শেষ করা যায় তাই নিয়ে। তোমার এই দুশ্চিন্তা দূর করতে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি জোরদার করতে কীভাবে মাত্র ৯০ দিনে এইচএসসির সিলেবাস শেষ করা যায় তা জানা যাক!
সময়ের পড়া সময়ে শেষ করা:
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আমরা ঠিক করি, “আজকে তো পড়াশুনা করে পুরো বই শেষ করে ফেলব! এ প্লাস পাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না!” কিংবা, “আরেহ পরীক্ষা তো শর্ট সিলেবাসে হবে, এত প্যারা খাওয়ার কী আছে? আগের এক মাস ধুমায় পড়ে সব কভার দিব!”
সারাবছর আজ পড়ব, কাল পড়ব ভেবে সব পরীক্ষার আগের রাতের জন্য জমিয়ে রাখার শোচনীয় অভিজ্ঞতা কম-বেশি সবারই আছে। এমন ঝামেলার মুখোমুখি আমাদের হতে হয় আমরা সময়ের কাজ সময়ে করি না বলে। তুমি যদি একটা রুটিন করে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই শেষ করে ফেলো, তাহলে কিন্তু এই ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
রুটিন করে পড়া:
দিনের শুরুতে অনেক কিছুই পড়ার ইচ্ছা থাকলেও দিনশেষে দেখা যায় তাড়াহুড়ো করে পড়তে যেয়ে কোনো পড়াই ঠিকমতো হয়নি। এর মূল কারণ হলো, পড়তে বসার সময় আমাদের স্বচ্ছ ধারণা থাকে না আমরা কী পড়বো সেই বিষয়ে। তাই পড়তে বসার আগে রুটিন সেট করে নেওয়াটা খুবই কার্যকর। কোন দিন কী কী বিষয়ের কতটুকু অংশ ঠিক কতটা সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে তার একটা রুটিন তৈরি করে নাও। বুঝতে পারছ না কোন বিষয়ে কতটা সময় দেওয়া উচিত? তোমার দুশ্চিন্তা কাটাতে টেন মিনিট স্কুলের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা তৈরি করেছেন মাত্র ৯০ দিনেই এইচএসসির সিলেবাস শেষ করার দারুণ এক রুটিন!
সব চ্যাপ্টার সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে গেলে সময়মতো সিলেবাস শেষ করা বেশ কঠিন একটা কাজ। এজন্যেই এই রুটিনটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে বেশি কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোতে তুমি বেশি সময় ও মনোযোগ দিতে পারো। চলো, রুটিনটি দেখে নেয়া যাক-
এই কোর্স প্ল্যানে প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের পেছনে কতটুকু সময় দিতে হবে, তা খুব ভালোভাবে বর্ণনা করা আছে৷ তোমরা যদি এই রুটিনটা ফলো করো তাহলে খুব সহজেই মাত্র ৯০ দিনে তোমার পুরো সিলেবাস শেষ হয়ে যাবে!
একটানা একই বিষয় পড়া নয়
ধরা যাক, তোমার পছন্দের বিষয় হচ্ছে প্রাণিবিজ্ঞান। তুমি এইটা খুব ভালো পারো আর তোমার এটা পড়তেও খুব ভালো লাগে৷ এতই ভালো লাগে যে প্রতিদিনই এই একটা বিষয়ই তুমি পড়ে যাচ্ছ। এদিকে ম্যাথ আর ফিজিক্স পড়ার কথা তোমার মনেই নেই৷ অথবা তুমি ঠিক করেছ সামনের এক সপ্তাহের মধ্যে তুমি তোমার ফিজিক্স সিলেবাস শেষ করবে। টানা তিন দিন ফিজিক্স পড়ার পর তোমার এই বিষয়ের প্রতি বিরক্তি চলে এসেছে৷ এক জিনিস কতক্ষণ পড়া যায়? আসলে আমরা সবসময় শুনে এসেছি “স্টাডি হার্ড”। যেন বেশি বেশি পড়াশোনা করলেই ভালো রেজাল্ট হবে। আসলে বলে উচিত “স্টাডি স্মার্ট”। কারণ সঠিক নিয়মে পড়াশোনা এরচেয়ে অনেক বেশি ফলপ্রসূ।
আমাদের এইচএসসির রুটিনটিতে প্রতিটি বিষয়ের অধ্যায় এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে পড়ার সময় একটুও একঘেয়েমি না লাগে৷ ধাপে ধাপে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজিসহ অন্যান্য সব বিষয়ের রুটিন ঠিক করা আছে। এভাবে সব বিষয়েই সমান ফোকাস থাকবে। এতে করে তোমরা একদমই দিশেহারা না হয়ে খুব ভালোমতো এইচএসসির সিলেবাস শেষ করতে পারবে।
সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে এইচএসসির বাধা জয় করার পথে তোমার জন্য শুভকামনা!
আপনার কমেন্ট লিখুন