ডাটা এন্ট্রি শিখে ফ্রিল্যান্সিং করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন

August 25, 2024 ...

বর্তমানে সবাই ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চায়। আর যদি খুব সহজ একটি স্কিল কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায় তাহলে কিন্তু খারাপ হয় না, তাইনা? ডাটা এন্ট্রি এমনই একটি স্কিল যার মাধ্যমে একদম সহজে আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা রাখতে পারবেন এবং আয় শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা হাজার হাজার টাকা আয় করছে শুধুমাত্র এই একটি স্কিল কাজে লাগিয়ে। 

আজকের এই ব্লগটিতে আমরা আলোচনা করবো সেই সবকিছু নিয়ে যা আপনার ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার রাস্তাটা সহজ করে দিবে এবং একটি রোডম্যাপ প্রদান করবে। এই ব্লগটিতে আপনি জানতে পারবেন, ডাটা এবং ডাটা এন্ট্রি কী, ফ্রিল্যান্সিং কী ও অনলাইন জগতে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয়, ডাটা এন্ট্রি দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন, কিভাবে রপ্ত করবেন প্রয়োজনীয় স্কিল, ডাটা এন্ট্রির ডিমান্ড কেমন এই সবকিছু নিয়ে। পাশাপাশি আমরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিভাবে অ্যাকাউন্ট  ক্রিয়েট করতে হয়, ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু টিপস ও স্ট্র্যাটেজি, করণীয় সম্পর্কে জানবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক!

ডাটা এবং ডাটা এন্ট্রি কী?

শুরুতেই জেনে নেই ডাটা এবং ডাটা এন্ট্রি কী!

ডাটা কী?

ডাটা (Data) হচ্ছে যেকোনো বিষয়ের উপর কোনো তথ্য বা ইনফরমেশন।  এই তথ্য যেকোনো কিছু হতে পারে। যেমন: ছবি, মোবাইল নং, ইমেইল, টেক্সট ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো সাধারণত সংরক্ষণ করে রাখা হয় পরবর্তী কোনো কাজের জন্য। 

ডাটা এন্ট্রি কী?

ডাটা এন্ট্রি হলো যেকোনো ডাটাকে ডিজিটাল ফরম্যাটে কনভার্ট করা বা সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া। এই কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন উৎস (অডিও, ভিডিও, কাগজপত্র) থেকে ডাটা সংগ্রহ করে কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। সাধারণত ডাটা এন্ট্রির কাজ করা হয় মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা এক্সেলে। ডাটা এন্ট্রির প্রধান লক্ষ্য ডাটাকে সঠিকভাবে গোছানো এবং সহজলভ্য রাখা। 

ডাটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট কারা?

ডাটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট এমন একজন প্রফেশনাল ব্যক্তি যে সঠিকভাবে এবং দক্ষতার সাথে ডাটা এন্ট্রির বিভিন্ন কাজ করে থাকে। একজন ডাটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট এর টাইপিং দক্ষতা থাকে এবং বিভিন্ন সফটওয়্যারে পারদর্শী হয়ে থাকেন। 

একজন ডাটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট এর কাজ হয়ে থাকে-

  • ডাটা ইনপুট: বিভিন্ন উৎস থেকে ডাটা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সিস্টেমে ইনপুট দেওয়া
  • ডাটা যাচাই: ডাটার নির্ভুলতা যাচাই করা 
  • ডাটা রক্ষণাবেক্ষণ: একজন ডাটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট নিয়মিত ডাটা আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন

ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ অর্থ মুক্ত পেশা বা মুক্তভাবে কাজ করা। যখন কেউ নিজের সময়মতো, নিজের ডিভাইস দিয়ে মুক্তভাবে কোনো কাজ করে এবং বিনিময়ে শুধু সেই কাজের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করে, এই ধরনের কাজকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। 

বর্তমানে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের চাহিদা পূরণ হচ্ছে বিভিন্ন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে। ঘরে বসে আয় করার সুযোগ এবং কাজের ফ্লেক্সিবিলিটির জন্য এই পেশা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি এমন একটি পেশা যেখানে কাজ করার কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। আপনার যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা কাজ করতে পারেন। সাধারণ চাকরি থেকে এখানে আরেকটি বিষয়-এর ভিন্নতা আছে। সেটি হলো কাজের স্থান। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো অফিস নেই। আপনি বাসায় বসে কাজ করতে পারবেন নিজের পছন্দের সময়ে। 

বিভিন্ন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা যায়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ যে উপায় এবং অনেকেরই পছন্দের তা হলো— ডাটা এন্ট্রি। ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই, শুধু কম্পিউটার ও ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অনেকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। আমরা এই ব্লগটিতে ধীরে ধীরে জানবো কিভাবে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যাত্রা শুরু করতে পারবেন এবং একজন সফল ডাটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট হতে পারবেন। 

 

ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ডাটা এন্ট্রি দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা বেশ জনপ্রিয়। ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রির স্কিল কাজে লাগিয়ে আপনি হাজার হাজার টাকা আয় করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। তবে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ শুধু ডাটা এন্ট্রির কাজ নয় বরং লিড জেনারেশন, রিসার্চ ইত্যাদি এডভান্সড কাজও হয়ে থাকে। 

অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে বিভিন্ন মানুষ একত্রিত হয়। একদল থাকে যারা নির্দিষ্ট কোনো এরিয়াতে সার্ভিস চাচ্ছেন এবং আরেকদল থাকেন যারা ওই এরিয়াগুলোতে দক্ষ হয়ে থাকে। মার্কেটপ্লেসে যারা কাজটিতে দক্ষ তারা সেটি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করে। অথবা কিছু মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট-ই বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। তারপর যারা কাজটিতে দক্ষ তারা যোগাযোগ করে ক্লায়েন্ট এর সাথে এবং কাজটি সম্পন্ন করে দেয়। এবং ক্লায়েন্ট নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করে। 

এইসব মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড সার্ভিসগুলো অফার করে প্রতি মাসে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডাটা এন্ট্রি এর ডিমান্ড কেমন?

মার্কেটিং থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে আমরা বিভিন্ন ডাটা কালেক্ট করে থাকি। হতে পারে, কাস্টমারের ডাটা, কম্পিটিটরের ডাটা কিংবা অন্য যেকোনো কিছু। এসব ডাটা বা লিড প্রতিটি বিজনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুধুমাত্র ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে নয়, লোকাল মার্কেটেও এই ডাটা এন্ট্রি বা লিড জেনারেশন এর চাহিদা ব্যাপক। 

অনলাইন পোর্টাল টেকনাভিও অনুযায়ী, ২০২২ – ২০২৭ সালের মধ্যে ডাটা এন্ট্রি আউটসোর্সিং রিলেটেড কাজগুলোর চাহিদা ১৮৬ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্দি পাবে। টাকায় হিসেব করলে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২১৮৮ কোটি টাকা! 

আপওয়ার্ক কিংবা ফাইভারের মতো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোতে গেলেই আপনি বুঝতে পারবেন এই সেক্টরের ডিমান্ড কেমন। এইসব মার্কেটপ্লেসে টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে লেভেল -১, লেভেল -২ ফ্রিল্যান্সারদেরও আয় খুবই ভালো। একজন ফ্রিল্যান্সার এই সেক্টরে ঘণ্টায় ১০ ডলার থেকে ২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে এক্সপেরিয়েন্স ও কাজের ধরন অনুযায়ী। 

যেহেতু শিক্ষাগত যোগ্যতা এই পেশায় খুব বেশি প্রয়োজন হয় না, বাংলাদেশের মতো জায়গা থেকেও সমগ্র বিশ্বে ভালোভাবে ডাটা এন্ট্রি ক্যারিয়ার গড়া যায়। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া বা পাকিস্তান ডাটা এন্ট্রি জবে সমগ্র বিশ্বে বেশ ভালো পজিশনে আছে। 

কেন ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন?

বিভিন্ন কারণে আপনার ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত।

এই স্কিল আয়ত্ত্ব করা সহজ

আপনি খুব সহজে ডাটা এন্ট্রির সাথে সম্পর্কিত স্কিলগুলো আয়ত্ত্ব করতে পারবেন। এই কাজের জন্য কোনো বিশেষায়িত ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয়না। অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স থেকে ইচ্ছাশক্তি থাকলে খুব কম সময়ের মধ্যে বেসিক জিনিসগুলো শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিতে পারবেন। 

ব্যাপক চাহিদা

যেহেতু প্রতিটি ব্যবসার জন্য ডাটা বা ইনফরমেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ, কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত ডাটা কালেক্ট করে থাকে বিভিন্ন উপায়ে। আর এই ডাটা অর্গানাইজ বা এন্ট্রি দেওয়ার জন্যও তো মানুষ প্রয়োজন। তাই এই সেক্টরে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 

সাধারণ সরঞ্জাম

শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ ও কম্পিউটার থাকলেই ডাটা এন্ট্রির কাজটি শুরু করা যায়। এছাড়া এই কাজে কোনো জটিল সফটওয়্যারেরও ব্যবহার নেই। বেসিক কিছু সফটওয়্যারের ব্যবহার জানলেই যথেষ্ট। 

ফ্লেক্সিবিলিটি

যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং এর কাজেই থাকে ফ্লেক্সিবিলিটি এবং নিজের মতো করে কাজ করার স্বাধীনতা। আপনি যেকোনো জায়গায় বসে শুধুমাত্র ডিভাইস, ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনি নিজের ইচ্ছা মতো প্রজেক্টস নিতে পারবেন এবং বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

বিজনেস গ্রোথ

যেহেতু আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন তাই আপনি আপনার সময় এবং ইচ্ছা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং এর সার্ভিস এক্সপেন্ড করতে পারবেন। আপনি চাইলে কিছু মানুষ হায়ার করে আপনার সাথে রাখতে পারবেন যারা আপনাকে সাহায্য করবে এবং বিজনেস গ্রোথে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া আপনার এক্সপিরিয়েন্স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই সেক্টরে আয়ও বাড়বে। 

 

Data Entry দিয়ে Freelancing

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার জন্য ডাটা এন্ট্রি স্কিল
  • প্রফেশনালভাবে কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং জগতে টাকা উপার্জন করার উপায়
  •  

    এক্সপেরিয়েন্স এবং প্রোফাইলের লেভেল অনুযায়ী, ডাটা এন্ট্রি করে সম্ভাব্য আয়ের পরিমাণ

    বর্তমানে ডাটা এন্ট্রি করে আয়ের সম্ভাবনা অনেক। বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজের জন্য বিভিন্ন অ্যামাউন্ট আয় করা পসিবল। 

    যেমন: 

    • লেভেল – ১ঃ একজন লেভেল – ১ ফ্রিল্যান্সার ডাটা এন্ট্রি করে প্রতি মাসে গড়ে ২০ – ২৫  হাজার টাকা আয় করে থাকেন।
    • লেভেল – ২ঃ একজন লেভেল – ২ অর্থাৎ যাদের কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে তারা প্রতি মাসে ২৫ – ৪০ হাজার টাকার মতো আয় করে থাকেন। 
    • লেভেল – ৩ঃ এক্সপেরিয়েন্সড যারা রয়েছেন তাদের মাসিক আয় ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

     

    ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কিত কাজ

    যখনি আমরা শুনি, ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং আমরা শুধু কিছু ডাটা কপি পেস্ট করে এন্ট্রি করাই বুঝি। তবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এই কাজ বিভিন্ন রকম হতে পারে। চলুন জেনে নেই, ডাটা এন্ট্রির সাথে সম্পর্কিত কাজগুলো সম্পর্কে। 

    বেসিক ডাটা এন্ট্রি

    একদম শুরুতে আলোচনা করা যাক বেসিক ডাটা এন্ট্রি নিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে

    • অডিও বা ভিডিও থেকে টেক্সটে পরিণত করা
    • হাতের লেখা কোনো ডকুমেন্টকে পিডিএফ বা ডিজিটাল ফরম্যাটে পরিণত করা
    • কোনো ডাটাকে কপি-পেস্ট এর মাধ্যমে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ট্রান্সফার করা

    ডাটা ক্লিনিং ও ভেলিডেশন

    • যেকোনো ডাটার মধ্যে ভুল খুঁজে বের করা 
    • ডাটার এক্যুরেসি যাচাই করা

    ডাটা কনভার্শন

    ডাটা কনভার্শন  বলতে ডাটাকে এক ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে পরিণত করাকে বোঝায়। যেমনঃ 

    • পিডিএফ থেকে ওয়ার্ড বা এক্সেলে পরিণত করা
    • ইমেইজ থেকে ওয়ার্ড বা এক্সেলে পরিণত করা
    • বিজনেস কার্ড থেকে ইনফরমেশন এক্সেলে ইনপুট করা

    ওয়েব রিসার্চ 

    ক্লায়েন্ট এর ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী বিভিন্ন ডাটা ওয়েব থেকে রিসার্চ করে কালেক্ট করা। এক্ষেত্রে ম্যানুয়াল উপায়ে করা যায় কিংবা বিভিন্ন টুল ও ব্যবহার করা যায়। 

    CRM ডাটা এন্ট্রি

    CRM এর পূর্ণরুপ হচ্ছে – Customer Management System

    এইধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজে বিভিন্ন কাস্টমারের ডাটা ইনপুট ও ম্যানেজ এর কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়। যেমন: 

    • Salesforce
    • Hubspot
    • Zoho

    প্রোডাক্ট লিস্টিং

    আপনাকে বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রোডাক্টের ইনফরমেশন, মূল্য, বর্ণণা, ছবি ইত্যাদি সম্পর্কিত ডাটা এন্ট্রির কাজ করা লাগতে পারে। 

    স্বাস্থ্যসেবায় ডাটা এন্ট্রি

    স্বাস্থ্যসেবা ইন্ডাস্ট্রিতে ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড যে কাজগুলো হয়ে থাকে

    • মেডিকেল রেকর্ড ট্রান্সকাইভ করা
    • রোগীর বিভিন্ন রেকর্ড এন্ট্রি দেওয়া 
    • ইন্স্যুরেন্স ইনফরমেশন এর ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি

    সার্ভে ডাটা এন্ট্রি

    বিভিন্ন সার্ভের ডাটা এন্ট্রি করা এবং গুছিয়ে রাখার কাজও পেয়ে থাকেন ফ্রিল্যান্সাররা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সার্ভেতে কাস্টমাররা যে উত্তরগুলো দিয়ে থাকে, তা একটি এক্সেল বা ওয়ার্ডে ইনপুট করতে হয়। 

    কিভাবে ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখবেন— স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন

    ডাটা এন্ট্রি শেখার জন্য এই ধাপগুলো ফলো করুন-

    ধাপ – ১। ডাটা এন্ট্রির সাথে রিলেটেড সফটওয়্যার গুলো শিখুন

    একদম প্রথম টাস্ক ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড সফটওয়্যারগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া এবং দক্ষ হয়ে উঠা। ডাটা এন্ট্রির জন্য সচরাচর যে সফটওয়্যারগুলো ব্যবহৃত হয় তা হলো: 

    • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও গুগল ডকস 
    • মাইক্রোসফট এক্সেল ও গুগল স্প্রেডশীটস
    • মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ও গুগল স্লাইডস

    মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও গুগল ডকস 

    ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য অন্যতম সফটওয়্যার হচ্ছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)। এছাড়া আপনি গুগল ডকস ও ব্যবহার করতে পারেন। আপাতত অর্থে দুটোই একই ধরনের কাজ করে থাকলেও এই দুটো সফটওয়্যারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমন: গুগল ডকস আপনি যেকোনো ডিভাইস থেকে যেকোনো সময় এক্সেস করতে পারবেন এবং ক্লায়েন্ট এর সাথে শেয়ার করতে পারবেন। ক্লায়েন্ট রিয়েল টাইমে দেখতে পারবে কাজের প্রোগ্রেস কতদূর হচ্ছে। তবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে সেটি করতে পারিনা। 

    আবার, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে এমন অনেক এডভান্সড ফিচার রয়েছে যা গুগল ডকসে পাওয়া যাবে না। 

    তাই দুটো সফটওয়্যারের ব্যবহারই জানা আবশ্যক। 

    মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও গুগল স্প্রেডশীটস

    ডাটা এন্ট্রির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার হচ্ছে মাইক্রোসফট এক্সেল বা গুগল স্প্রেডশীট। ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ডাটা কালেক্ট করতে হবে এবং তা স্টোর করতে হবে। মাইক্রোসফট এক্সেলে বা গুগল স্প্রেডশীট ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে হাজার হাজার ডাটা স্টোর করতে পারবেন।

    মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ও গুগল স্লাইডস

    Data Entry এর কাজে মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এর কাজ জানা উপকারী হতে পারে তবে এই সেক্টরের জন্য সরাসরি প্রয়োজনীয়তা নেই। আপনি যদি মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট বা গুগল স্লাইডস এর কাজ জানেন তাহলে তা ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট এর জন্য বিভিন্ন রিপোর্ট বানাতে পারবেন। পাশাপাশি নিজের কাজগুলো প্রদর্শন করার জন্য পোর্টফোলিও ক্রিয়েট করার কাজে এই টুলটির ব্যবহার করতে পারবেন। 

    ধাপ – ২। ফাইল কনভার্শন করা শিখুন

    ডাটা এন্ট্রি কাজ এর জন্য আপনাকে ফাইল কনভার্শন  শিখতে হবে। ফাইল কনভার্শন  বলতে যেকোনো একটি ফাইল এর ফরম্যাট অন্য কোনো ফরম্যাটে পরিবর্তন করাকে বোঝায়। ফ্রিল্যান্সিং করার সময় ক্লায়েন্ট আপনাকে ডাটা বিভিন্ন ফরম্যাটে দিতে পারে। যেমন: PDF, JPEG/Image ইত্যাদি। আপনাকে জানতে হবে কিভাবে এই ফরম্যাট থেকে এক্সেল বা ওয়ার্ডে কনভার্ট করবেন। 

    বিভিন্ন ধরনের কনভার্টার

    ফাইল কনভার্ট করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন কনভার্টার রয়েছে। 

    অফলাইন কনভার্টার

    অফলাইনে কনভার্ট করার জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি Adobe Acrobat Pro Dc সফটওয়্যারটি। যেকোনো  সফটওয়্যার ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট থেকে ডিরেক্টলি এটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

    অনলাইন কনভার্টার

    অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কনভার্টার রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

    • Small pdf
    • Ilovepdf
    • Adobe 

    গুগলে গিয়ে সার্চ করলেই আপনি এমন অসংখ্য সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন ফাইল কনভার্ট করার জন্য। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কনভার্টার থাকে। তবে এই কনভার্টারগুলো ব্যবহার করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায় অনেক। তাই ম্যানুয়ালি কাজটা করা উত্তম। 

    PDF to Excel

    আপনাকে ক্লায়েন্ট যদি কোনো পিডিএফ ফাইল দেয় কিভাবে সেই ফাইলটি এক্সেলে কনভার্ট করবেন? খুব সহজে কিছু স্টেপ ফলো করে এই কাজটি করতে পারবেন। 

    ১। Abobe Acrobat Pro Dc সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন আপনার পিসি বা ল্যাপটপে। 

    ২। এবার যে ফাইলটি কনভার্ট করতে চান Adobe Acrobat এর সাহায্যে ওপেন করুন

    ৩। ওপেন করার পর ডানে ‘Export PDF’ এ ক্লিক করুন

    ৪। Microsoft Excel সিলেক্ট করুন

    ৫। একটি ফোল্ডার সিলেক্ট করে ফাইলটি সেইভ করে নিন

    ফাইলটি এক্সেলে কনভার্ট হওয়ার পর ফরম্যাটিং করে ঠিক করে নিন। 

    PDF to Word

    অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং এর সময় আপনার ক্লায়েন্ট বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট দিতে পারে। আপনাকে পিডিএফ ফাইল থেকে সরাসরি ওয়ার্ডে কনভার্ট করা লাগতে পারে আবার স্ক্যান কপি থেকেও ওয়ার্ডে কনভার্ট করা লাগতে পারে। 

    PDF থেকে Word ফাইলে কনভার্ট করার জন্য আমরা Adobe Acrobat Pro Dc সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারি। অথবা একটি CloudConvert প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারেন। 

    • প্রথমে CloudConvert ওয়েবসাইটে যান
    • আপনি কোন ফরম্যাটের ফাইল থেকে কোন ফরম্যাটে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তা সিলেক্ট করুন
    • সিলেক্ট ফাইলে ক্লিক করে ফাইলটি সিলেক্ট করুন
    • Convert এ ক্লিক করুন
    • আপনি আরও ফাইল কনভার্ট করতে চাইলে ‘Add more files’ এ ক্লিক করুন
    • ডাউনলোড করুন ফাইলটি।

    আচ্ছা এটাতো গেলো নরমাল পিডিএফ ফাইল থেকে ডকে কনভার্ট করার পদ্ধতি। যদি আপনাকে ক্লায়েন্ট এমন একটি ফাইল দেয় যা স্ক্যান করা, লেখা ভালভাবে বুঝা যাচ্ছে না। তখন কী করবেন?

    যদি এমন হয় ফাইলের লেখাগুলো বোঝা যাচ্ছে না, তাহলে ক্লায়েন্ট এর রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে টেক্সটগুলো ম্যানুয়ালি টাইপ করতে হবে। 

    Cloudconvert ছাড়াও আরও নিম্নোক্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে PDF থেকে Word এ কনভার্ট করা সম্ভব:

    JPEG/Image to Excel/Word

    অনেকসময় ক্লায়েন্ট বিভিন্ন ইমেইজ দিয়ে ফাইলটিকে এক্সেল বা ওয়ার্ডে কনভার্ট করতে বলতে পারে।  

    • প্রথমে ইমেইজটি ভালোভাবে অ্যানালাইজ করুন। 
    • কিছু ইমেইজ সহজে অনলাইন কনভার্টর দিয়ে কনভার্ট করা সম্ভব। তবে কিছু ইমেইজ থাকবে যা হয়তো অনলাইন কনভার্টর দিয়ে কনভার্ট করার সময় ফরম্যাটিং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা ইরর দেখাচ্ছে। সেই ইমেইজগুলো ম্যানুয়ালি ওয়ার্ডে বা এক্সেলে টাইপ করে নিতে হবে। 

    Business Card Info to Excel

    বিজনেস কার্ড থেকে এক্সেলে ইনফরমেশন নেওয়ার অনেক কাজ এসে থাকে ফ্রিল্যান্সারদের কাছে। ক্লায়েন্ট আপনাকে অনেকগুলো বিজনেস কার্ড এর ছবি পাঠাতে পারে একসাথে এবং খুব সাবধানতার সাথে বিজনেস কার্ড এর ইনফরমেশন এক্সেলে ইনপুট করে ক্লায়েন্টকে সাবমিট করতে হবে। 

    এই কাজটি করার সময় দুটি টিপস ফলো করতে পারেন। 

    • ডেক্সটপে দুইটি উইন্ডো ওপেন করে একপাশে বিজনেস কার্ড এর ছবি রাখুন এবং অপর পাশে এক্সেলে ইনফরমেশন ইনপুট দিন
    • দুইটি ফোল্ডার ওপেন করতে পারেন। একটি ফোল্ডারে যে কার্ডগুলোর ইনফরমেশন ইনপুট দেওয়া হয়ে যাবে সেগুলো ট্রান্সফার করে দিলে কোনো কার্ড রিপিট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

    রিসার্চ স্কিল

    ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আরেকটি স্কিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো— রিসার্চ স্কিল। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ডাটা কালেক্ট করা লাগবে ক্লায়েন্ট এর রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী। এটাকে বলা হয়– লিড জেনারেশন। 

    আপনাকে আপনার ক্লায়েন্ট বলতে পারে তার কোনো একটা ডাটা দরকার এবং সেই ডাটা এক্সেলে জমা দিতে হবে। তাই রিসার্চ স্কিল এর মাধ্যমে লিড কালেক্ট করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

    রিসার্চ ও বিভিন্ন ধরনের লিড জেনারেশন  সম্পর্কে জানুন

    B2B Lead Generation

    B2B বলতে বোঝায় বিজনেস টু বিজনেস। এই লিড জেনারেশনে একটি বিজনেস এর পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট আরেকটি বিজনেস হয়ে থাকে। ধরুন আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে পারে কোনো একটি এরিয়ার কোম্পানিগুলোর লিস্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি গুগলে গিয়ে সেই এরিয়ার কোম্পানিগুলোর লিস্ট বের করে এক্সেলে বা স্প্রেডশিটে ইনপুট দিয়ে ক্লায়েন্টকে সাবমিট করে দিবেন। 

    গুগল ছাড়াও লিংকডইন B2B লিড জেনারেশন এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

    সোশ্যাল মিডিয়া রিসার্চ

    লিড কালেকশন এর আরেকটি উপায় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। এমন হতে পারে আপনাকে ক্লায়েন্ট বললো কোনো একটা ইন্ডাস্ট্রির টপ ফেসবুক পেইজগুলোর ডাটা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুক ব্যবহার করে লিডগুলো কালেক্ট করতে হবে। 

    ফেসবুকের সার্চ অপশনে গিয়ে আপনি রিলেটেড কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে খুঁজে বের করতে পারেন। অথবা ফেসবুকের ফিল্টার অপশন ও কাজে লাগাতে পারেন। ডাটাগুলো কালেক্ট করে এক্সেলে ইনপুট দিয়ে ক্লায়েন্টকে সাবমিট করলেই কাজ শেষ!

    ইমেইল রিসার্চ

    বিভিন্ন সেক্টরে ইমেইল মার্কেটিং কিংবা কোম্পানির এমপ্লয়িদের কাছে ইমেইল পাঠানোর জন্য ইমেইল রিসার্চ এর কাজ করা লাগতে পারে। 

    ইমেইল কালেক্ট করার জন্য আপনি গুগলে গিয়ে ম্যানুয়ালি কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে কালেক্ট করতে পারেন। কিন্তু এটি অনেক সময়সাপেক্ষ এবং অনেক সময় আপনি সব ইমেইল খুঁজেও পাবেন না। এক্ষেত্রে আপনি একটি টুল ব্যবহার করতে পারেন।

    • আপনি Email Extractor এক্সটেনশনটি আপনার ক্রোমে এড করে নিন। এই এক্সটেনশনটি ব্যবহার করে আপনি সজজেই যেকোনো ওয়েবসাইটের ইমেইলটি দেখতে পাবেন
    • আরেকটি টুল আছে— Shane’s Tool. এই টুলটি ব্যবহার করে আপনি একসাথে অনেকগুলো ইমেইল স্ক্র্যাপ করতে পারবেন। 

    লিংকডইন রিসার্চ

    ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক ক্লায়েন্ট চায় কোনো কোম্পানির লিংকডইন ডাটা কালেক্ট করে তাদের কাছে পৌঁছাতে। তখন আপনাকে লিংকডইন এর মাধ্যমে লিড জেনারেশন এর এই কাজটি করতে হবে। এর জন্য

    • প্রথমে একটি  লিংকডইন প্রোফাইল ওপেন করুন
    • ক্লায়েন্ট কোন ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী লিড চাচ্ছে, সেটি বুঝে নিন
    • এক্সেলে ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী মেইন ফিল্ডগুলো ইনপুট দিয়ে দিন
    • লিংকডইনে কোম্পানির নাম বা ইন্ডাস্ট্রির নাম লিখে সার্চ করুন
    • রিলেভেন্ট ইনফরমেশনগুলো কালেক্ট করে এক্সেলে ইনপুট দিয়ে ক্লায়েন্টকে সাবমিট করুন। 

    Shopify প্রোডাক্ট রিসার্চ

    প্রথমে চলুন জেনে নেই Shopify সম্পর্কে। Shopify এমন একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে খুব সহজে প্রোডাক্ট লিস্ট করে প্রোডাক্ট সেল করা যায়। এটি নেভিগেট করা এবং এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি করা সহজ বিধায়, বাহিরের দেশগুলোতে অনেক বিজনেস Shopify এর মাধ্যমেই প্রোডাক্ট বেচাকেনা করে থাকে। 

    Shopify এ ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন উইনিং প্রোডাক্ট নিয়ে রিসার্চ করার জন্য ও আপলোড করার জন্য ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে। 

    ইনফ্লুয়েন্সার রিসার্চ

    ইন্সটাগ্রামের ইনফ্লুয়েন্সার রিসার্চ করার জন্য আমরা একটি টুল ব্যবহার করতে পারি — HypeAuditor

    ক্লায়েন্ট সাধারণত কাজ দিয়ে থাকে তখন ইনফ্লুয়েন্সারদের বিভিন্ন ডাটা চেয়ে থাকে। 

    কিভাবে ডাটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং করবেন— স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন

    ডাটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নিম্নোক্ত ধাপগুলো ফলো করুন।

    মার্কেট রিসার্চ করুন

    শুরুতে মার্কেট ও ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হয়ে নিন, যে আপনি কি ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে ইচ্ছুক না কি! ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ও লোকাল ইন্ডাস্ট্রিতে ডাটা এন্ট্রির ডিমান্ড ও কাজের ধরন সব কিছু সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করুন।

    প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করুন

    ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অর্জন করুন। ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় স্কিলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো

    • বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারে দক্ষ হওয়া। যেমনঃ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট, মাইক্রোসফট এক্সেল ইত্যাদি
    • কিভাবে ফাইল কনভার্ট করতে হয়
    • কিভাবে লিড জেনারেশন করতে হয় ইত্যাদি

    পোর্টফোলিও তৈরি করুন

    ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে যাওয়ার আগে লোকাল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করুন এবং নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করুন। পোর্টফোলিওতে সাধারণত আপনার বিভিন্ন কাজের ডিটেইলস থাকে, সাকসেস স্টোরি এবং কেইস স্টাডি থাকে, যা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ক্লায়েন্টকে আইডিয়া দিবে। একটি স্ট্রং পোর্টফোলিও আপনাকে অনেক সুবিধা দিবে যেমন নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়া, কিংবা অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেশি চার্জ করা ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিসের জন্য। 

    প্রথম দিকে আপনি যখন শিখছেন, তখন পোর্টফোলিও বিল্ড করার জন্য ফ্রি-তে কাজ করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে এক্সপেরিয়েন্স বাড়াতে পারেন। 

    ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ সাইন আপ করুন

    আপনি যখন নিজের কাজ নিয়ে কনফিডেন্ট হবেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করতে পারেন। মার্কেটপ্লেসে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন এবং নিজের দক্ষতা প্রকাশ করুন। 

    জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলো হচ্ছে-

    Fiverr

    ফাইভার অন্যতম ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। ফাইভারে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস অফার করা হয়। এখানে যারা বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হয়ে থাকে তারা সেইসব কাজ শো-কেস করে এবং ‘গিগ’ ওপেন করে। ২০১০ সালে এই প্ল্যাটফর্মটির যাত্রা শুরু হয় এবং ইতিমধ্যে ফাইভার একটি লিডিং ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।

    এই প্ল্যাটফর্মে ৫ ডলার থেকে শুরু হয় বিভিন্ন কাজের রেট এবং কয়েকশো ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। একজন ক্লায়েন্ট যদি আপনার প্রোফাইল পছন্দ করে তাহলে আপনাকে কাজের জন্য সিলেক্ট করবে এবং কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আপনি নির্ধারিত ফি পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি অর্ডার সম্পন্ন হওয়ার জন্য ফাইভার ২০% কমিশন নিয়ে থাকে।

    ডাটা এন্ট্রি সংক্রান্ত আপওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য

    • ডাটা ক্লিনিং ও ডাটা মাইনিং
    • ফাইল কনভার্শন 
    • লিড জেনারেশন
    • সার্ভে ডাটা এন্ট্রি
    • বিভিন্ন ফর্ম ক্রিয়েশন ইত্যাদি 

    Upwork

    আরেকটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে– আপওয়ার্ক।  ২০১৫ সালে আপওয়ার্ক যাত্রা শুরু করে এবং ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্টকে একত্রিত করে। 

    আপওয়ার্ক ফাইভারের চেয়ে একটু ভিন্ন। ফাইভারে যেমন ক্লায়েন্ট নিজে খুঁজে নেয় কোন ফ্রিল্যান্সার দিয়ে তিনি কাজটি করাতে ইচ্ছুক, আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সার ক্লায়েন্ট খুঁজে নেয়।  

    কোনো ক্লায়েন্ট এর সার্ভিস প্রয়োজন হলে তিনি তা পোস্ট করেন এবং যারা এই কাজে পারদর্শী এসে ‘বিড’ করে। তারপর ক্লায়েন্ট যার কাজ ভালো মনে করেন তাকে কাজটি দিতে পারেন। মাইক্রোসফট, গুগলের মতো বড় বড় কোম্পানিগুলো আপওয়ার্ক থেকে ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করিয়ে থাকে। কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর প্ল্যাটফর্মটি ফ্রিল্যান্সার এর থেকে প্রতি অর্ডারের জন্য ১০% কমিশন নিয়ে থাকে। 

    Freelancer

    ফ্রিল্যান্সার আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু এই প্ল্যাটফর্মটির, যা বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস প্রদান করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মটিতে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে পোস্ট করে এবং ফ্রিল্যান্সাররা বিড শুরু করে। তারপর ক্লায়েন্ট নিজের সুবিধামতো ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজটি করাতে পারে। 

    কাজের রেট ঠিক করুন

    কোন ধরনের কাজের জন্য কেমন চার্জ করবেন তা ঠিক করুন। আপনি চাইলে ঘণ্টা বেসিসে তা করতে পারেন অথবা প্রজেক্ট বেসিসে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে পারেন। শুরুতে কম্পিটিটিভ প্রাইসিং রাখুন বেশি ক্লায়েন্টকে অনবোর্ড করার জন্য এবং ধীরে ধীরে চার্জ বৃদ্ধি করুন। 

    ক্লায়েন্ট এর কাছে পোঁছান 

    যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শুরুর দিকে ক্লায়েন্ট পাওয়া খুব চ্যালেঞ্জিং। চেষ্টা করুন বিভিন্ন উপায়ে পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট এর কাছে আপনার সার্ভিস এর কথা পৌঁছে দিতে। তাদের জানান আপনার সার্ভিস কেন নেওয়া উচিত। বিভিন্ন উপায়ে আপনি পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট এর কাছে পোঁছাতে পারেন। যেমনঃ

    • পার্সোনালাইজড ইমেইলঃ পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টকে সার্ভিস অফারিং, রেট সবকিছু নিয়ে পার্সোনালাইজড ইমেইল পাঠান। ইমেইলে মেনশন করুন কিভাবে আপনার ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিসটি তাদের ব্যবসায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে। 
    • কোল্ড কলিংঃ পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টকে কোল্ড কলিং করতে পারেন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে পারেন। 
    • কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ বিভিন্ন উপায়ে কন্টেন্ট মার্কেটিং করে আপনি ক্লায়েন্টদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন। যেমনঃ ব্লগ, ভিডিও, টেক্সট ইত্যাদি।

    টেস্টিমোনিয়াল ও রেফারেল কালেক্ট করুন

    আপনার সন্তুষ্ট ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে টেস্টিমোনিয়াল কালেক্ট করুন। এইসব টেস্টিমোনিয়াল বা রিভিউ আপনার পোর্টফোলিও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং আপনার ক্রেডিবিলিটি বাড়াবে যা নতুন ক্লায়েন্ট পেতেও সাহায্য করবে। 

    পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করুন

    ক্লায়েন্ট বা প্রজেক্ট পাওয়ার জন্য পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট (ফেইসবুক, লিংকড-ইন) এ আপনার ইমেইল মার্কেটিং দক্ষতাগুলো নিয়ে লিখুন, ক্লায়েন্ট এর সাকসেস স্টোরি সম্পর্কে জানান। এতে আপনার ক্রেডিবিলিটি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি নতুন ক্লায়েন্ট পাবেন।

    হাই-কোয়ালিটি সার্ভিস ডেলিভার করুন

    আপনি যখন ক্লায়েন্ট পাওয়া শুরু করবেন, চেষ্টা করবেন সবসময় সেরা কোয়ালিটি প্রদান করতে। নিজের কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করুন, ক্লায়েন্টের থেকে রেগুলার ফিডব্যাক নিন। চেষ্টা করুন সময়ের মধ্যে হাই কোয়ালিটি সার্ভিস প্রদান করে ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট করতে। ক্লায়েন্ট একবার আপনার কাজ পছন্দ করলে পরের বার আপনাকেই অ্যাপয়েন্ট করবে।  

    প্রতিনিয়ত শিখুন

    আপনার এই জার্নি কিন্তু শেষ না। আপনাকে প্রতিনিয়ত শিখতে হবে। বিভিন্ন ক্লায়েন্ট এর সাথে যখন কাজ করবেন, প্রতিবারই নতুন কিছু না কিছু শিখতে পারবেন। আর একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আপনাকে রিসেন্ট ট্রেন্ড, আপডেট সম্পর্কেও জানতে হবে। তাই শেখা কখনোই থামানো যাবে না। 

    ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং— ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কিভাবে অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন?

     

    Data Entry দিয়ে Freelancing

    ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকের গাইডলাইন পেতে আজই এনরোল করুন!

     

    নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে খুব সহজে ফাইভারে অ্যাকাউন্ট  ওপেন করতে পারবেন। 

    ১। ফাইভার (fiverr.com) মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করে প্রথমেই ওয়েবসাইটের ডান দিকের ওপরে থাকা ‘Become a Seller’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

    ২। তারপর ইমেইল, ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ‘Join’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

    ৩। এবার আপনার দেওয়া ই-মেইল ঠিকানা যাচাই করতে ফাইভার একটি ই-মেইল পাঠাবে। পাঠানো ইমেইলে ক্লিক করে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

    ৪। তারপরের ধাপে ফাইবার প্রোফাইলের অ্যাকাউন্ট সেকশনে প্রবেশ করে আপনার নাম (জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নাম), টেলিফোন নম্বর দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। 

    ৫। টেলিফোন নম্বর যাচাই হয়ে গেলে স্টার্ট সেলিং বাটনে ক্লিক করে নিচের তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে।

    ফাইভারে গিগ ক্রিয়েশন পদ্ধতি

    খুব সহজে আপনি ফাইভারে গিগ ক্রিয়েশন করতে পারবেন। 

    ধাপ – ১:  ওভারভিউ

    • প্রথমে ওভারভিউ বিভাগে আপনাকে গিগের একটি টাইটেল দিতে হবে। সাধারণত এই টাইটেলগুলো ‘I Will’ দিয়ে শুরু হয়। আপনি যেহেতু ডাটা এন্ট্রি করবেন আপনি লিখতে পারেন— I will convert files for you or I will do lead generation for your company.
    • এরপর গিগটির বিভাগ উপবিভাগ নির্বাচন করুন। 
    • সেবার ধরন বিভাগে আপনি কোন ধরনের সেবা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তা নির্বাচন করতে হবে।
    • গিগ মেটাডেটা বিভাগে গিগ-এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অপশনগুলো নির্বাচন করতে হবে। এবার আপনার গিগের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ৫টি ট্যাগ দিতে হবে।

    ধাপ – ২: প্রাইসিং 

    তারপরের ধাপে আপনাকে প্রাইসিং আপডেট করতে হবে। সচরাচর তিন ধরনের প্রাইসিং প্যাকেজ দেওয়া হয় তবে আপনি চাইলে একটিও দিতে পারেন। প্যাকেজ তৈরির সময়, সেগুলোর নাম, প্রাইস, কী ধরনের সার্ভিস ক্লায়েন্ট পাবে সব উল্লেখ করুন। প্রতিটি প্যাকেজের নিচে বেশ কিছু অপশন দেখাবে ফাইভার, প্যাকেজের বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অপশনগুলো নির্বাচন করতে হবে। এবার প্যাকেজগুলো ব্যবহারের জন্য আপনি কত টাকা নেবেন, তা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে। আপনি চাইলে প্যাকেজগুলোর সঙ্গে অতিরিক্ত সেবাও দিতে পারেন। 

    ধাপ – ৩: ডেস্ক্রিপশন

    ডেস্ক্রিপশনে আপনার তৈরি গিগ সম্পর্কে বিস্তারিতে লিখুন। ক্লায়েন্ট কী ধরনের সুবিধা পাবে এবং কেন ক্লায়েন্ট এর উচিত আপনার সার্ভিস গ্রহণ করা এইসব কিছু মেনশন করুন। এই সেগমেন্টে আপনি কিছু কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন, যা দিয়ে ক্লায়েন্টরা ফাইভারে সার্চ করে থাকে। 

    এরপর গিগ বিষয়ে সচরাচর ক্লায়েন্টরা যেসব প্রশ্ন করেন, সেগুলোর উত্তর লিখতে হবে। সর্বোচ্চ ১০টি প্রশ্নের উত্তর এ বিভাগে যুক্ত করে দেওয়া যাবে।

    ধাপ – ৪: রিকোয়ারমেন্ট

    তারপরের ধাপ এ আপনি মেনশন করুন কাজ ডেলিভার করার জন্য আপনার রিকোয়ারমেন্টগুলো কী কী। বা কী জিনিসপত্র লাগবে। যেমন আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করেন, আপনার ক্লায়েন্ট এর থেকে একটি ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন লাগবে এবং ফাইলগুলো লাগবে। 

    ধাপ – ৫: ইমেইজ ও ভিডিও আপলোড

    ইমেইজ গ্যালারি বিভাগে আপনি আপনার সার্ভিসের সাথে রিলেটেড ছবি ব্যবহার করুন। এখানে আপনি তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও যুক্ত করতে পারবেন। ছবিগুলো এমন হতে হবে, যেন সেগুলো দেখেই ক্লায়েন্টরা আপনার সেবা সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে পারেন। ছবিতে গিগের মূল তথ্যগুলো টেক্সট আকারে লেখার পাশাপাশি সহায়ক ছবি বা আইকন ব্যবহার করতে হবে। 

    গ্যালারি বিভাগের নিচে আপনি দুটি পিডিএফ ডকুমেন্ট যুক্ত করতে পারবেন। ফলে চাইলেই আপনার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ডকুমেন্ট তৈরি করে পিডিএফ ফরম্যাটে যুক্ত করতে পারবেন, যা আপনার পেশাগত পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে।

    ধাপ – ৬: পাবলিশ

    পাবলিশ এর আগে আপনাকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যে আপনি আমেরিকার বাসিন্দা নাকি না। আপনি এখানে ‘নো’ অপশনে ক্লিক করবেন এবং পাবলিশ বাটনে ক্লিক করবেন। ব্যাস— সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার গিগটি পাবলিশ হয়ে যাবে এবং ফাইভার আপনাকে গিগটির লিংক দিবে।

    গিগ পাবলিশ হওয়ার পর ক্লায়েন্টরা আপনার গিগে এসে ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড অর্ডার প্লেস করতে পারবে। 

    ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং— আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কিভাবে অ্যাকাউন্ট  ওপেন করবেন?

    বর্তমানে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আপওয়ার্ক। আর এ কারণে মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ পেতে প্রতিযোগিতাও করতে হয় অনেক বেশি। আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বেশ কিছু বিষয় নজর দেওয়া প্রয়োজন। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, মার্কেটপ্লেসে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করলেই কেবল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারণ, অ্যাকাউন্ট খোলার পর কোনো কাজ না পেলে বা কাজ না করলে আপনার অ্যাকাউন্টটি প্রাইভেট হয়ে যাবে এবং প্রোফাইল নিয়ে অহেতুক ঝামেলায় পড়তে হবে।

    আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট  খোলার ধাপসমূহ

    প্রথম ধাপ – অ্যাকাউন্ট  ক্রিয়েশন

    ১। প্রথমেই আপওয়ার্কের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন (www.upwork.com)

    ২। আপনি যে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান তা সিলেক্ট করুন

    ৩। আপনার নাম, ইমেইল, পাসওয়ার্ড প্রদান করুন

    ৪। আপওয়ার্কে নীতিমালা অপশনে সম্মতি জানিয়ে Create My Account এ ক্লিক করুন

    ৫। এবার ইমেইল ভেরিফিকেশন এর পালা। আপওয়ার্ক আপনাকে একটি ইমেইল পাঠাবে সেটিতে ক্লিক করে ইমেইলটি ভেরিফাই করে নিন

    ৬। ইমেইল ভেরিফিকেশনের পর আপওয়ার্ক আপনার কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবে। এক এক করে এগুলোর উত্তর দিন। 

    দ্বিতীয় ধাপ – প্রোফাইল ক্রিয়েশন

    এরপর আপওয়ার্ক ১০টি ধাপের মধ্যে আপনার প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে সাহায্য করবে। 

    প্রথমে আপনার বেসিক ইনফরমেশনের জন্য আপওয়ার্ক তিনটি অপশন প্রদান করবে। যেমন- লিংকডইন ইম্পোর্ট করা, রেজ্যুমে আপলোড করা অথবা আপনি চাইলে একটি ফর্ম আপডেট করতে পারেন। 

    তারপরের ধাপগুলোতে একে একে আপনার এক্সপেরিয়েন্স, এডুকেশন, ভাষা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাইবে। 

    এরপর আপনার স্কিলগুলো সিলেক্ট করুন।

    স্কিল সিলেক্ট করার পরবর্তী ধাপে, আপনার নিজেকে নিয়ে ডেস্ক্রিপশন লিখতে হবে। এখানে নিজের স্ট্রেন্থগুলো ফুটিয়ে তুলুন এবং স্কিলগুলো সম্পর্কে লিখুন।

    পরবর্তী ধাপে আপনাকে সার্ভিস ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে এক বা একাধিক ক্যাটাগরি আপনি সিলেক্ট করতে পারবেন। 

    এবার প্রাইসিং এর পালা। আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি প্রতি ঘণ্টার জন্য কত টাকা চার্জ করবেন। আপনি যে অ্যামাউন্ট চার্জ করবেন তার ১০% ফাইভার কমিশন হিসেবে গ্রহণ করবে। ধরুন, আপনি যদি প্রতি ঘণ্টায় ১০ ডলার চার্জ করেন ক্লায়েন্ট থেকে, ফাইভার আপনার থেকে ১ ডলার কমিশন হিসেবে নিবে। 

    পরবর্তী ধাপে আপনার আরও কিছু ইনফরমেশন এবং ছবি আপলোড করলেই আপনার প্রোফাইলটি তৈরি হয়ে যাবে। 

    ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু ইফেক্টিভ টিপস

    টাইপ করার স্পিড বৃদ্ধি করুন

    ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে যেহেতু অনেক টাইপিং এর কাজ থাকে, তাই চেষ্টা করুন আপনার টাইপিং এর গতি যেন বৃদ্ধি হয়। এতে আপনার জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে। টাইপ করার স্পিড বৃদ্ধি হলে, যেকোনো প্রজেক্ট দ্রুত শেষ হবে যা আপনার আয় ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। টাইপিং স্পিড বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন: 

    মাউসের পরিবর্তে হটকি ব্যবহার করুন

    ডাটা এন্ট্রির কাজের গতি বৃদ্ধি করার জন্য আরেকটি উপায় হচ্ছে মাউসের ব্যবহার কমানো। টাইপিং এর সময় মাউসের ব্যবহার গতি অনেক কমিয়ে দেয়। মাউসের পরিবর্তে বিভিন্ন হট-কী ব্যবহার করুন। আপনি যেকোনো একটি একশন এর জন্য হট-কী সিলেক্ট করে দিন। অথবা একাধিক হট-কী এর কম্বিনেশনও ব্যবহার করতে পারেন। এই হট-কী গুলো আপনার টুলবারে তালিকাভুক্ত করে রাখুন। 

    নির্ধারিত কর্মঘণ্টা রাখুন

    ফ্রিল্যান্সার হিসাবে সফল হতে আপনার কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। ফ্লেক্সিবল কর্মঘণ্টা ফ্রিল্যান্সারদের একটি বিশেষ সুবিধা। একজন ফ্রিল্যান্সার যখন ইচ্ছা কাজ শুরু করতে পারে এবং শেষ করতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট কাজে সময় থাকলে অযথা আলসেমি কিংবা কাজ না করার মনোভাব থাকে না, এবং প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পায়। কাজের পাশাপাশি আপনার ঘুমানোর ও অবসরের জন্য সময় নির্ধারণ করা প্রয়োজন। 

    আপনার কম্পিউটারে ফাইলগুলো গুছিয়ে সংরক্ষণ করুন

    ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজগুলোতে অনেক ধরনের ফাইল নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই ফাইলগুলো গোছানো অবস্থায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। যেকোনো প্রোজেক্ট যখন শুরু করছেন, সেগুলো লেভেল করে নির্দিষ্ট ফোল্ডার অনুযায়ী রাখতে ভুলবেন না। এতে করে সহজেই নির্দিষ্ট ফাইল খুঁজে পেতে এবং কাজ করতে সুবিধা হবে। 

    আপনার এক্যুরেসি বৃদ্ধি করুন

    ডাটা এন্ট্রি ও লিড জেনারেশনের কাজে ভালো রিসার্চ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই রিসার্চ হতে হবে নির্ভুল এবং রেলিভেন্ট। অনেকসময় ফ্রিল্যান্সাররা এমন লিড সংগ্রহ করে যা ক্লায়েন্ট এর কাজেই লাগে না। তাই ডাটা কালেক্ট এর সময় চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব নির্ভুল যেন হয়। 

    ফ্রিল্যান্স ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য মাল্টিটাস্ক করা শিখুন

    এই এরিয়ায় মাল্টি টাস্কিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্র্যাক্টিস এর মাধ্যমে নিজের মাল্টি টাস্কিং ক্যাপাবিলিটি বৃদ্ধি করুন। এতে করে আপনি একসাথে কাজগুলো ইফেক্টিভ উপায়ে সামলাতে পারবেন।

     

    ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং— কিভাবে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করবেন?

    আপনার সেলফ ব্র্যান্ডিং বা পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর উপর অনেকটাই নির্ভর করছে আপনি কেমন কাজ পাবেন। পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর জন্য নিম্নোক্ত উপায়গুলো ফলো করুন।

    ভিজিবিলিটি বাড়ান

    আপনার কাজের ভিজিবিলিটি বাড়ান। আপনি যখন কোনো প্রোগ্রেস করছেন বা এচিভমেন্ট করছেন সেগুলো একজায়গায় ভিজিবল রাখুন। দরকার হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট দিন। আপনি চাইলে নিজের ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার সম্পর্কে সকল ইনফরমেশন একটি জায়গায় থাকবে এবং যে কেউ চাইলেই দেখে নিতে পারবে।

    স্পেশালিটি ক্রিয়েট করা

    আরেকটি উপায় হচ্ছে নিজের একটি স্পেশালিটি ক্রিয়েট করা এবং সেই ব্যাপারে টিপস ও ট্রিকস শেয়ার করা। এতে করে সবার আপনার কাজের উপর ভরসা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সবাই জানতে পারবে। সবাই আপনার কাছেই আসবে যদি ওই সেক্টরে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয়। 

    নেটওয়ার্কিং

    ফ্রিল্যান্সিং জগতে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর জন্য নেটওয়ার্কিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সেক্টরে যারা কাজ করছে কিংবা নতুন যারা জয়েন করছে তাদের সাথে নেটওয়ার্কিং ও সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে করে যখন নতুন কাজ আসবে বা অপরচুনিটি আসবে তারা কিন্তু আপনাকে রেকমেন্ড করবে। ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে। 

    স্টোরিটেলিং ক্যাপাসিটি

    স্টোরিটেলিং স্কিল এর মাধ্যমে কিন্তু সহজেই যেকোনো অডিয়েন্স এর মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়। আপনি স্টোরির মাধ্যমে আপনার বিভিন্ন স্কিল প্রদর্শন করুন। 

    সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার

    সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলোতে নিজের পার্সোনালিটি মেইনটেইন করুন এবং প্রফেশনালিজম দেখান। আপনার স্কিলগুলো ফুটিয়ে তুলুন। 

    সারমর্ম

    আশা করছি এতোক্ষণে আপনার ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন এই ব্লগটিতে। আমরা আলোচনা করেছি ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক বিষয়গুলো নিয়ে। এই স্টেপগুলো ফলো করে আপনি খুব সহজেই আপনার ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু করতে পারবেন। 

    তাছাড়া, টেন মিনিট স্কুলের “Data Entry দিয়ে Freelancing” কোর্সটি আপনার এই যাত্রায় সহায়ক হতে পারে। কোর্সটিতে টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার জয়িতা ব্যানার্জি ধাপে ধাপে শিখিয়েছেন কিভাবে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। বাস্তব প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এই কোর্সটিতে আপনারা বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারবেন যেমন কিভাবে ইফেক্টিভ উপায়ে লিড জেনারেশন করবেন, কিভাবে ক্লায়েন্ট এর কাছে পৌছাবেন, ফাইল কনভার্ট করা, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কাজ পাওয়ার বিভিন্ন টিপস ও ট্রিকস ইত্যাদি সম্পর্কে। 


    ক্যারিয়ারে নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে, আজই ভিজিট করো আমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সগুলোতে:


    তথ্যসূত্র:


    টেন মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com

    এছাড়াও যেকোনো জিজ্ঞাসায় কল করুন 16910 নম্বরে।

    আপনার কমেন্ট লিখুন