দেশভাগের পর ঢাকাই তথা বাংলাদেশি সিনেমা ঘিরে শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়। সেই অধ্যায় যেকোনো চলচ্চিত্রপ্রেমীকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে স্বপ্নলোকের সুখস্মৃতির মতো করেই!
দেশভাগ পরবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশকে দু’টি পর্বে ভাগ করা যায়। পূর্ব পাকিস্তানকালীন চলচ্চিত্র ও স্বাধীনতা-উত্তরকালীন চলচ্চিত্র।
পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা চলচ্চিত্রের পুনর্জন্ম
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট জন্ম হয় পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের। পাকিস্তানের অন্যতম একটি প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে নতুন করে শুরু হলো সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশও চলতে থাকলো বেশ জোরেশোরেই। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সিনেমা প্রযোজনা, পরিবেশনা এবং স্টুডিও নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১৯৪৮ সালে নাজীর আহমেদ তৈরি করেন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম তথ্যচিত্র ইন আওয়ার মিডস্ট।
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। ভাষা আন্দোলনের উত্তাপে যেন পুড়ছে সারাদেশ। এরই মধ্যে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর লেলিয়ে দেয়া বাহিনী শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালায়, রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। বারুদের গন্ধে ভারি হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। প্রতিশোধের আগুন ধিকিধিকি জ্বলে বাঙালিদের হৃদয়ে, পুনর্জন্ম হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক শোষণ উপেক্ষা করে পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে ইকবাল ফিল্মস এবং কো-অপারেটিভ ফিল্ম মেকার্স লিমিটেড নামে দু’টি চলচ্চিত্র সংস্থার জন্ম হয়। ১৯৫৩ সালে সরকারি উদ্যোগে চলচ্চিত্র ইউনিট গঠিত হয়। এর দু’বছর পর তেজগাঁওয়ে সরকারি ফিল্ম স্টুডিও চালু হয়।
১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (ইপিএফডিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এফডিসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এখানকার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ১৯৫৯ সালে থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিবছর চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে থাকে। এফডিসির ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে পপুলার স্টুডিও , বারী স্টুডিও, বেঙ্গল স্টুডিও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দারুণ সব সিনেমা, দারুণ সব বিষয়বস্তু!
গ্রামের এক জোতদার। তার দুই ছেলে। ছেলেদের শৈশবে ঘটলো এক বিচিত্র ঘটনা। এক ছেলে ডাকাতদলের খপ্পরে পড়ে তাদের সাথে থেকে যায়, তাদের মতো বেড়ে ওঠে। অন্যদিকে, আরেক ছেলে পড়ালেখা করে, আমাদের সমাজের ভাষায় ‘মানুষের মতো মানুষ’ হয়, একসময় পুলিশে চাকরি নেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কিন্তু ডাকাতদলের সঙ্গে পুলিশের সখ্য ছিল! ভাই-ভাই পরিচয় না জানলেও ডাকাত-পুলিশ দুইভাইয়ের মধ্যেও সুন্দর সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে ডাকাত ছেলে তার সর্দারকে খুন করে। গ্রেফতার হয় অসৎ পুলিশ। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে কাহিনীর পরিণতি বাবার কাছে দুই ছেলেকে ফিরে পাওয়ার মধ্য দিয়ে।
গল্পটা পড়ে চমকে চমকে উঠছো তো? কিংবা ভাবছো, এমন আজগুবি গল্প কেন-ই বা বললাম! আসলে, যে গল্পটি এইমাত্র পড়লে, তা হচ্ছে সংক্ষেপে একটি চলচ্চিত্রের কাহিনী। পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সবাক বাংলা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ এর কাহিনী!
১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট ইকবাল ফিল্মস এর ব্যানারে সিনেমাটি মুক্তি পায়। পরিচালক আবদুল জব্বার খানের স্বরচিত নাটক ডাকাত অবলম্বনে এ ছবির কাহিনী তৈরি হয়। তিনি নিজেই নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন পূর্ণিমা সেন।
এরপর চলচ্চিত্রশিল্প ক্রমাগত সামনে এগিয়ে চলে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মানদীর মাঝি অবলম্বনে ১৯৫৯ সালে নির্মিত হয় উর্দু চলচ্চিত্র জাগো হুয়া সাভেরা । এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুরস্কৃত ও আলোচিত হয়। একই বছরে এহতেশাম নির্মাণ করেন গ্রামীণ পটভূমিতে এ দেশ তোমার আমার । ফতেহ লোহানীর আকাশ আর মাটি এবং মহিউদ্দিনের মাটির পাহাড় — এই বছরের অন্য দু’টি সিনেমা। ফতেহ লোহানীর আসিয়া এবং এহতেশামের রাজধানীর বুকে পঞ্চাশের দশকের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। আসিয়া প্রেসিডেন্ট পুরস্কার ও নিগার পুরস্কার লাভ করে।
ষাটের দশকের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন পরিচালক হলেন সালাহ্উদ্দিন, জহির রায়হান ও খান আতাউর রহমান। সালাহউদ্দিনের যে নদী মরূপথে, সোনার কাজল, সঙ্গম (উর্দু), বাহানা (উর্দু) এই সময়ের উজ্জ্বল সৃষ্টি। জহির রায়হানের নির্মিত জীবন থেকে নেয়া , লেট দেয়ার বি লাইট (অসমাপ্ত), স্টপ জেনোসাইড ও এ স্টেট ইজ বর্ন চলচ্চিত্রগুলো ছিল বহির্বিশ্বের চলচ্চিত্রের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত। খান আতাউর রহমানের পরিচালিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র হচ্ছে অনেক দিনের চেনা, আবার তোরা মানুষ হ , দিন যায় কথা থাকে প্রভৃতি। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃত-স্বরূপ তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও পাকিস্তান, মস্কো এবং তাসখন্দ চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৭১ সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন অধ্যায় শুরু হয়। তবে এ অধ্যায়ের শুরুতেই ভীষণ আফসোসের একটা ব্যাপার থেকে যায়, আর তা হলো জহির রায়হানের অন্তর্ধান। ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনিও, ফিরে আসেননি আর কোনোদিন আমাদের মাঝে! এক সমুদ্র শ্রদ্ধা তাঁর প্রতি।
নতুন দেশ, নতুন বেশ!
নতুন দেশ, চলচ্চিত্রের যাত্রাও নতুনভাবে! স্বাধীনতার বছর ১৯৭১ সালে এদেশে ৮টি সিনেমা মুক্তি পায়। এর মধ্যে নজরুল ইসলামের স্বরলিপি, খান আতাউর রহমানের সুখ-দুঃখ সামাজিক চলচ্চিত্র হিসেবে উল্লেখযোগ্য।
১৯৭২ সালে আলমগীর কবিরের ধীরে বহে মেঘনা, জহিরুল হকের রংবাজ , সুভাষ দত্তের বলাকা মন, ঋত্বিক ঘটকের তিতাস একটি নদীর নাম বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশেষ মানে উন্নীত করে। এই সুস্থ ও সৃজনশীল ধারায় ১৯৭৪ সালে নির্মিত হয় নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল । সত্তরের দশকের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে আলমগীর কবিরের সূর্য কন্যা , সীমানা পেরিয়ে, রূপালী সৈকতে; আমজাদ হোসেনেরনয়নমনি, গোলাপী এখন ট্রেনে, আবদুল্লাহ আল মামুনের সারেং বৌ প্রভৃতি।
স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয় ১৯৭৯ সালে। মসিউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলীর যৌথ নির্মাণ সূর্য দীঘল বাড়ি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচয় করিয়ে দেয়। ও এই সময়ের উৎকৃষ্ট চলচ্চিত্র। আশির দশকে আমজাদ হোসেনের জন্ম থেকে জ্বলছি, সখিনার যুদ্ধ ও ভাত দে; চাষী নজরুল ইসলামের দেবদাস, শুভদা; মোস্তফা আনোয়ারের কাজল লতা , আবদুস সামাদ খোকনের বড় বাড়ির মেয়ে, আলমগীর কবিরের পরিণীতা, মোহনা; সুভাষ দত্তের সকাল সন্ধ্যা, ফুলশয্যা; রাজ্জাকের সৎভাই প্রভৃতি সকল অর্থে সুস্থধারার ও আলোচিত চলচ্চিত্র।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Video Editing with Premiere Pro
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। তার রচিত উপন্যাস অবলম্বনে মুস্তাফিজুর রহমান নির্মাণ করেন শঙ্খনীল কারাগার। হুমায়ূন আহমেদ সেরা কাহিনীকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি নিজেই গড়ে তোলেন প্রযোজনা সংস্থা নুহাশ চলচ্চিত্র। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি। এরপর একে একে নির্মাণ করেন শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া, নয় নম্বর বিপদ সংকেত ও আমার আছে জল। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ঘেঁটুপুত্র কমলা। প্রতিটি চলচ্চিত্রই ব্যাপক প্রশংসা, দর্শকপ্রিয়তা ও সম্মাননা লাভ করে।
তবে, নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু হয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্রশিল্পের অন্ধকার যুগ। অল্প কিছু পরিচালক ছাড়া, বেশিরভাগ পরিচালকই বাণিজ্যিক কারণে চলচ্চিত্রে যোগ করেন অতিরিক্ত মারপিট, সস্তা আবেগ, যৌনতা, ভাঁড়ামি, অশ্লীলতা এবং বিদেশি ভাবধারা ও কাহিনীর হুবহু নকল। ফলে শিক্ষিত ও রুচিশীল দর্শকরা টিকেট কিনে প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখতে যাওয়া বন্ধ করে দেন, হুমকির মুখে পড়ে চলচ্চিত্রশিল্প। এ ধারা অব্যাহত থাকে মোটামুটি ২০০৭ সাল পর্যন্ত। ২০০৭ সালে সেন্সর বোর্ড, এফডিসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অশ্লীল ছবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে রুচিশীল দর্শক আবার হলমুখী হন।
ঢাকাই চলচ্চিত্রে আলোচিত পরিচালকদের মধ্যে ফতেহ লোহানী, এহতেশাম, খান আতাউর রহমান, জহির রায়হান, চাষী নজরুল ইসলাম, নায়করাজ রাজ্জাক, আমজাদ হোসেন, আলমগীর কবির, তারেক মাসুদ, হুমায়ূন আহমেদ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। বর্তমান সময়ের আলোচিত পরিচালকদের কথা বলতে গেলে মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর নাম উপরের দিকেই থাকবে। তার নির্মিত প্রথম দুটি চলচ্চিত্র ব্যাচেলর ওমেড ইন বাংলাদেশ ছিল বেশ আলোচিত-সমালোচিত। এরপরে একে একে নির্মিত থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার, টেলিভিশন, পিঁপড়াবিদ্যা, ডুব ব্যাপক প্রশংসিত হয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মাননা লাভ করে।
ঢাকাই চলচ্চিত্রে বিভিন্নসময় আলোচিত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন সোহেল চৌধুরী, রিয়াজ, সালমান শাহ, শাকিল খান, মান্না, ববিতা, শাবান, শবনম, চম্পা, শাবনূর, পপি, পূর্ণিমা প্রমুখ। বর্তমান সময়ের আলোচিত শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন শাকিব খান, আরেফিন শুভ, অনন্ত জলিল, ফেরদৌস, জয়া আহসান, অপু বিশ্বাস, পরীমণি, বিদ্যা সিনহা মীম প্রমুখ। দুই বাংলার চলচ্চিত্রকারদের যৌথ প্রযোজনায় বেশ কিছু ছবিও নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে জাজের আমি শুধু চেয়েছি তোমায়, রোমিও বনাম জুলিয়েট, আশিকী, ব্লাক, অঙ্গার, বাদশা, শিকারি, নবাব, চালবাজ, বস টু প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আরো পড়ুন: বাংলা সিনেমা ও ইতিহাস: সেকাল থেকে একাল! (পর্ব ১)
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
২০০৩ সালে তারেক মাসুদ পরিচালিত মাটির ময়না ছবিটি সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য পেশ করা হয়। চূড়ান্ত পুরস্কারের জন্য মনোনীত না হলেও এটি বেশ গুরুত্ববহ ছিল। কারণ এটিই প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র যা অস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রেরণ করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে একটি চলচ্চিত্র অস্কারের জন্য পেশ করা হচ্ছে। ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পেশ করা সিনেমা তিনটি হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের শ্যামল ছায়া, আবু সাইয়িদের নিরন্তর এবং গোলাম রাব্বানী বিপ্লবের স্বপ্নডানায় ।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে পেশ করা হয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ডুব চলচ্চিত্রটি। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত ছবির মধ্যে রয়েছে নাসিরুদ্দিন ইউসুফের গেরিলা, মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর টেলিভিশন , অমিত আশরাফের উধাও এবং দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত ছবি রুবাইয়াত হোসেনের মেহেরজান।
শেষকথা
বাংলা চলচ্চিত্রের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত বাংলা সিনেমা ছিল আন্তর্জাতিক মানের। এরপর অন্ধকার যুগে নব্বই দশক থেকে শুরু করে কয়েকবছর আগ পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্রে মন্দাভাব গেলেও, সম্প্রতি কয়েকবছর ধরে এ শিল্প আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা, দেশে বিদেশে পাচ্ছে ব্যাপক প্রশংসা। কে জানে, হয়তো একদিন বলিউড-হলিউডের সঙ্গে সমানতালে টেক্কা দেবে আমাদের চলচ্চিত্রও। আর সেজন্য, চলচ্চিত্রশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার দায় কিন্তু আমাদের, সাধারণ দর্শকদের ওপরও বর্তায়! বাংলা চলচ্চিত্রের প্রতি আমাদের আগ্রহ এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর।
হয়তো এতটাই দূর, যে তা কল্পনার সীমাকেও একদিন ছাড়িয়ে যাবে!
নিশ্চয়ই যাবে!
রেফারেন্স:
https://www.bd-pratidin.com/various/2016/11/13/184356
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন