বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহার করেন এমন যে কেউ-ই জানেন ইউটিউব কী। যেকোনো ধরণের ভিডিও দেখার কথা বললেই প্রথমে যে ওয়েবসাইটটির কথা মনে হয় তা হলো: ইউটিউব। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এক চতুর্থাংশ প্রতি সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে ইউটিউব ভিডিও দেখেন। তবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন।
তাই এই ব্লগের শুরুতেই আলোচনা করবো ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম নিয়ে। এরপর ইউটিউব চ্যানেল সেটিংগুলোর পরিচয় দিয়ে শুরু করে আলোচনা এগিয়ে যাবে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায় তা নিয়ে এবং শেষ হবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম জানার মধ্য দিয়ে। এছাড়াও কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো অথবা মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো এই প্রশ্নগুলোর উত্তরও পেয়ে যাবেন ব্লগটি শেষ পর্যন্ত পড়লে।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Video Making Course
ইউটিউব মার্কেটিং কি?
সহজ কথায়, ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing) হলো ইউটিউবে বিজনেস, ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের প্রচারণা করা। ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোম্পানি বা ব্র্যান্ড একই সাথে ট্রাফিক বুস্ট করতে পারে আবার নতুন কাস্টমার তৈরিও করতে পারে। শুধুমাত্র টার্গেটেড অডিয়েন্সের জন্যই নয়, সামগ্রিকভাবে এসইও (SEO) এবং ব্র্যান্ডের উপস্থিতি উন্নয়নে ইউটিউব মার্কেটিং কাজ করে থাকে। তাছাড়া ইউটিউব মার্কেটারদের সহজ ও অনন্য কন্টেন্ট তৈরিতে উৎসাহিত করে যেনো দর্শকদের কাছে তা সহজে পৌঁছায় ও সহজে শেয়ার করা যায়।
এক বা একাধিক স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing) করা হয়:
- অর্গানিক প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করে;
- ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কাজ করে;
- ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বা এডভার্টাইজ করে।
আপনার ব্যবসার প্রসারের জন্য কেন ইউটিউব মার্কেটিং করবেন?
ইউটিউবের রয়েছে দুই মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা ওয়েবসাইটের তালিকায় ইউটিউব রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ইন্টারনেটের প্রায় ৭৪% অনলাইন ট্রাফিক আসে ইউটিউবের হাত ধরেই। ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম এখন এতটাই বিস্তৃত যে, ৭৬টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ইউটিউবকে এক্সেস করা যায়।
অর্থাৎ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর অন্যতম সুবিধাজনক মাধ্যম ইউটিউব। আর তাই ইউটিউবের মাধ্যমে নিজের বিজনেস বা সার্ভিস প্রোমোট করার বিষয়টিও এখন বেশ জনপ্রিয়। ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing) এর মাধ্যমে প্রোডাক্টের প্রচারণা তো হয়ই পাশাপাশি এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়ও করা যায়।
প্রতি মাসে ২২.৮ বিলিয়ন মানুষ ইউটিউব ভিজিট করেন। অর্থাৎ ইউটিউবকে শুধুমাত্র বিনোদনের উৎস ভাবলে ভুল হবে বরং ইউটিউব বেশ ভালো একটি বিজনেস প্ল্যাটফর্মও। ইউটিউব চ্যানেল ভিন্ন ভিন্ন জিওগ্রাফিক লোকেশন থেকে ভিউ আনতে সক্ষম। যার মাধ্যমে শক্তিশালী কাস্টমার বেজ তৈরি হয় এবং ব্র্যান্ডের বিক্রয় বৃদ্ধি পায়।
ইউটিউব একটি ভালো শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও পরিচিত। বিভিন্ন টিউটোরিয়াল, লেসন, গাইড ইত্যাদি সম্পর্কিত বিস্তারিত ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলো গুগলে ভালো র্যাংক পেতে পারে। পাশাপাশি, ফেসবুক- ইন্সটাগ্রামের তুলনায় কম খরচে বিজ্ঞাপন দেয়া যায় বলে অনেক ব্র্যান্ডই বিজ্ঞাপনের জন্য ইউটিউবকে বেছে নেন। সামগ্রিকভাবে ব্যবসার প্রসারে ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing) যেভাবে লাভজনক:
হেভি ট্রাফিক
২০২৩ এর তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন ৫ বিলিয়নেরও বেশি ভিডিও দেখা হয় ইউটিউবে! স্বাভাবিকভাবেই অন্য যেকোনো প্ল্যাটফর্মের চেয়ে ইউটিউবে ট্রাফিক অনেক বেশি। নিজে ভিডিও তৈরি না করেও শুধুমাত্র ভিডিওতে এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমেও অসংখ্য অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানো সম্ভব ইউটিউবের মাধ্যমে। ইউটিউবে ট্র্যাফিক এত বেশি যে আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত অডিয়েন্সের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন ততক্ষণ অবধি আপনার সম্ভাব্য গ্রাহক খুঁজে পেতে কোনো অসুবিধাই হবে না!
কিছু পরিসংখ্যান দেখা যাক:
- প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন মানুষ ইউটিউবে ভিজিট করে।
- প্রতি মিনিটে ইউটিউবে ৩০০ ঘণ্টার মতো ভিডিও আপলোড করা হয়।
- ৬৮% ব্যবহারকারীর মতে, ইউটিউব তাদের পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
- গত দুই বছরে ইউটিউবে ছোট ও মাঝারি এডভার্টাইজিং বিজনেস প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
- ইউটিউব ৭৬টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় এক্সেস করা যায় যা সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯৫% কে কাভার করে।
- ৮৮টিরও বেশি দেশে ইউটিউবের নিজস্ব লোকাল ভার্সন রয়েছে।
গুগলে ভিজিবিলিটি বেশি
খেয়াল করে দেখবেন, গুগল সার্চ রেজাল্টে অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় ভিডিও অনেক বেশি। আর ভিডিওর ক্ষেত্রে গুগল বেশিরভাগ সময় সরাসরি ইউটিউবকেই রেকমেন্ড করে। এই পুরো ব্যাপারটির সুবিধা আপনি নিতে পারেন ইউটিউবে উচ্চমানের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে। পাশাপাশি, কন্টেন্টগুলোকে নিজের ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক করে দিতে পারেন। এতে গুগলে সার্চ ইঞ্জিন পেইজে আপনার র্যাংক বৃদ্ধি পাবে এবং ভিজিবিলিটি বাড়বে।
ইমেইল লিস্ট তৈরি করার সুবিধা
ইউটিউব মার্কেটিং এর একটি বড় সুবিধা হলো ইমেইল লিস্ট তৈরি করা। এমন অনেক সফটওয়্যার আছে যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি ভিডিওগুলোতে আপনার ব্র্যান্ড বা কোম্পানির সাইন আপ ফর্ম বসাতে পারবেন। এমনকি ইনফর্মেশন নেয়া বা সাবস্ক্রাইব করার সময় ভিডিও সাময়িকভাবে বন্ধও রাখার সুবিধা আছে। এতে একইসাথে দর্শকদের মানসম্মত কন্টেন্ট প্রদান করার পাশাপাশি তাদের ইমেইল লিস্টও তৈরি করে ফেলা যায়।
উচ্চ কনভার্সন রেট
কথায় বলে, একটি ছবি হাজারটা শব্দকে প্রকাশ করতে পারে। সেখানে একটি ভিডিওর কোনো কিছু প্রকাশ করা অথবা কোনো মেসেজ দেয়ার ক্ষমতা আরও অনেক বেশি। ভিডিও কন্টেন্ট অন্য যেকোনো ধরণের কন্টেন্টের চেয়ে গ্রাহকের ইমোশনকে বেশি প্রভাবিত করতে পারেন। তাছাড়া অডিয়েন্স ভিডিও কন্টেন্টের সাথে বেশি রিলেট করতে পারেন এবং এনগেজড হন। পাশাপাশি, ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যমে অডিয়েন্সের বিশ্বাস অর্জন করাও তুলনামূলকভাবে সহজ। অর্থাৎ, সামগ্রিকভাবে আপনার বিজনেসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে ভিডিও -এর জুড়ি মেলা ভার।
মজার ব্যাপার হলো, ভিডিও কন্টেন্ট প্রায় ৮০% পর্যন্ত কনভার্সন বৃদ্ধি করতে পারে।
বিভিন্ন ধরণের ভিডিও ব্যবহার
ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing) এর আরেকটি বড় সুবিধা হলো আপনি আপনার ব্র্যান্ডের প্রচারণার জন্য বিভিন্ন রকমের ভিডিও কন্টেন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। লক্ষ্য করলেই ইউটিউবে অসংখ্য ধরণের ভিডিও দেখতে পাবেন: ব্যখ্যামূলক ভিডিও, প্রেজেন্টেশন ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও, সেলস ভিডিও ইত্যাদি। আপনি খুব সহজেই এক বা একাধিক ধরণের ভিডিও নিয়ে কাজ করতে পারেন।
কী ধরণের ভিডিও তৈরি করা যায় তা নিয়ে এখনও দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকলে দেখে নিন নিচের টিপসগুলো:
- এনগেজিং ভিডিও তৈরি করুন।
- আপনার ব্র্যান্ড বা বিজনেস সম্পর্কিত সাধারণ যে প্রশ্নগুলো ক্রেতারা করতে পারেন সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন- উত্তর ভিডিও তৈরি করুন।
- ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ ভিডিওর মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড বা বিজনেস কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন।
- কাস্টমারদের রিভিউ নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন।
- লাইভে যান।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম : কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো?
ইউটিউবের দুই ধরনের চ্যানেল (YouTube Channel) অপশন রয়েছে: পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্র্যান্ড একাউন্ট। চ্যানেল আর্ট, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, পরিচালনা পদ্ধতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুই ধরনের চ্যানেল ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করে।
পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল ব্যক্তিগতভাবে পরিচালনা করা হয় এবং সাধারণত এককভাবে ব্যক্তির কন্টেন্টকে রিপ্রেজেন্ট করে। অন্যদিকে ব্র্যান্ড একাউন্ট বিজনেস, অর্গানাইজেশন অথবা কোনো ব্র্যান্ডের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং সেই পুরো ব্র্যান্ডের কন্টেন্টকে রিপ্রেজেন্ট করে। এক্ষেত্রে একটি ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে একাধিক ইউটিউব চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং একাধিক ব্যক্তি একাউন্ট পরিচালনার কাজে নিয়জিত থাকতে পারেন।
কন্টেন্ট ও উদ্দেশ্যর ওপর ভিত্তি করে পার্সোনাল চ্যানেল বা ব্র্যান্ড একাউন্ট খোলা হয়। সাধারণত ইউটিউব মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড একাউন্টই গ্রহণযোগ্য। ইউটিউব ব্র্যান্ড একাউন্ট বা চ্যানেল খোলার নিয়মগুলো দেখে নিন:
১) আপনার গুগল একাউন্টে সাইন-ইন করুন:
ইউটিউবে ভিডিও (YouTube video) দেখা, শেয়ার করা বা কন্টেন্ট তৈরির জন্য প্রথমেই গুগল একাউন্ট থাকা প্রয়োজন। গুগল একাউন্টের মাধ্যমে ইউটিউব তার ব্যবহারকারীকে ভেরিফাই (YouTube verify) করে নেয়। একাউন্ট খুলতে প্রথমেই www.youtube.com এই সাইটে গিয়ে ওপরে, ডান পাশে ‘সাইন ইন’ এ ক্লিক করলে গুগল সাইন ইন পেইজে নিয়ে যাবে:
- আপনার ইতিমধ্যে গুগল একাউন্ট থাকলে সাইন ইন করুন।
- একাধিক গুগল একাউন্ট থাকলে, যে একাউন্টটি ইউটিউব একাউন্টের সাথে যুক্ত রাখতে চান সেটি সিলেক্ট করুন।
- আপনার যদি গুগল একাউন্ট না থাকে তাহলে ‘Create Account’ অপশনটি সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
২) গুগল একাউন্ট ব্যবহার করে ইউটিউব একাউন্ট খুলুন
- গুগল একাউন্টে সাইন ইন করা হয়ে গেলে এবার চ্যানেল খোলার পালা। আপনার ইউটিউবের ইউজার আইকনে ক্লিক করুন। ইউজার আইকনটি একই সাথে গুগল একাউন্ট ও ইউটিউব একাউন্টকে রিপ্রেজেন্ট করে। ইউজার আইকনে ক্লিক করলে একটি ড্রপ ডাউন মেন্যু আসবে। সেখান থেকে ‘Settings’ সিলেক্ট করুন।
- পরবর্তীতে সেখান থেকে ‘Create a New Channel’ বা ‘Your Channel’ অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- পপ আপ উইন্ডোতে ‘Get Started’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
- দুটো অপশন দেখতে পাবেন। ‘Use a custom name’ সিলেক্ট করুন। পরের পেইজে ব্র্যান্ড একাউন্ট নেইম দিয়ে সেভ করুন।
- যেভাবে একাউন্টের নাম পরিবর্তন করবেন (How to change YouTube channel name?): একাউন্টের নাম আপনি চাইলে যেকোনো সময় ইউটিউব চ্যানেল সেটিংস থেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
৩) আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি কাস্টমাইজ করে নিন
ইউটিউব চ্যানেল খোলা শেষ হলে এবার চ্যানেলটি কাস্টমাইজ করে নেয়ার পালা।
- চ্যানেল ড্যাশবোর্ডে গিয়ে “Customize channel” অপশনে ক্লিক করুন।
- Layout, Branding এবং Basic Info: এই তিনটি ট্যাবে গিয়ে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে তথ্য প্রদান করুন। এতে অডিয়েন্স আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে বেসিক তথ্যগুলো জানতে পারবে।
- তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে এমন কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা সাধারণত সার্চ করলে আসে।
- “Branding” ট্যাবে গিয়ে আপনার চ্যানেলকে আকর্ষণীয় ও অনন্য করে তুলবে এমন আইকন ও চ্যানেল আর্ট আপলোড করুন। অবশ্যই আপনার ব্র্যান্ড এবং তার উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আইকন, লোগো বা আর্টকে বেছে নিন।
আপনি চাইলে আপনার ব্র্যান্ডের জন্য একাধিক ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবেন। ইউটিউব সেটিংস এর ব্র্যান্ড একাউন্ট ড্যাশবোর্ড থেকে আপনি আপনার ব্র্যান্ডের সবগুলো ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজ করতে পারবেন।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Video Editing with Premiere Pro
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম : মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো?
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে “মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো?” মোবাইল দিয়েও খুব সহজে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়।
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়মগুলো হলো:
- প্রথমেই প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে গিয়ে আপনার মোবাইলে ইউটিউব এপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নিন। অথবা Chrome browser বা অন্য যেকোনো ব্রাউজারে www.youtube.com এই সাইটে গিয়ে ওপরে, ডান পাশে ‘সাইন ইন’ এ ক্লিক করে আপানার গুগল একাউন্টে Sign in করুন।
- তারপর ইউটিউবে প্রবেশ করে উপরে ডান দিকে বৃত্তাকারে থাকা আপনার প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করুন। পরবর্তীতে সেখান থেকে ‘Create a channel’ বা ‘Your Channel’ অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- এরপর Name ও Handle লিখে, “Create Channel” উপরে ক্লিক করে আপনার চ্যানেল তৈরি করে ফেলুন।
- আর যদি আপনার মোবাইলে আগে থেকে যদি ইউটিউব চ্যানেল খোলা থাকে, তাহলে আপনি মোবাইলের সাহায্যে আবারও নতুন করে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন।
- প্রথমে Chrome browser ওপেন করে সার্চ অপশনে লিখুন www.youtube.com/account এবং আপনার মোবাইলটি Desktop mode করুন। যদি আপনার গুগল একাউন্টে Log in করা না থাকে তাহলে আপনার জিমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Log in করে নিন।
- ‘Create a new channel’ সিলেক্ট করুন। তারপর আপনি যে নামে আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান সেই নাম দিয়ে create অপশন ক্লিক করুন।
এভাবেই প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করে আপনি মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়?
গত কয়েক বছর ধরে আয়ের উৎস হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউটিউব। ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় এটা হয়তো প্রায় সবারই জানা, তবে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায় তা সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। তাই এবার জানবো “কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়?”
বিজ্ঞাপন দিয়ে আয়
নিশ্চয়ই আপনিও খেয়াল করেছেন, বেশিরভাগ ইউটিউব ভিডিও দেখার শুরুতেই বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আসলে এই বিজ্ঞাপনগুলোই হলো ইউটিউব থেকে আয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু আপনার ভিডিওর উপরে দেখানো লিঙ্কে ক্লিক করে কেউ সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবেই আয় হবে ইউটিউব থেকে। তবে ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতে আপনাকে অবশ্যই YouTube Partner Program -এর সদস্য হতে হবে। এছাড়াও YouTube Partner Program -এর সদস্য হওয়ার আগে এই কয়েকটি শর্ত মানতে হবে:
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবক্রাইবার সংখ্যা ১০০০ অতিক্রম করতে হবে;
- গত ১২ মাসে আপনার চ্যানেলের মোট ভিউ ৪,০০০ ঘন্টা হতে হবে;
- আপনার ভিডিওগুলিকে অবশ্যই YouTube -এর monetization policies মেনে চলতে হবে;
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাথে একটি Google AdSense অ্যাকাউন্ট লিংক করতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইউটিউব থেকে আয়ের অন্যতম একটি উপায়। বর্তমানে অনলাইনে পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করে এমন প্রতিষ্ঠান বেশ জনপ্রিয়। যেমন: Daraz, Amazon, AliExpress সহ আরো এমন অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি রেজিস্ট্রেশন করলে, পরর্বতীতে তারা তাদের পণ্যের লিংক পাঠাবে।
এরপর আপনার কাজ হবে ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে তাদের পণ্যের লিংক দেওয়া, সেই সাথে ভিডিওতে পণ্যের সম্পর্কে কিছু বলা। এরপর আপনারর চ্যানেলের এই লিংকে গিয়ে যারা পণ্য কিনবে, সেই পণ্যের দাম থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ হবে আপনার আয়।
স্পন্সরড ভিডিও
ইউটিউব অ্যাড অথবা অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে যে পরিমাণ আয় করা যায়, শুধু স্পন্সরড ভিডিও পাবলিশ করে তার চেয়ে বেশি আয় করা সহজ। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবার বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য আপনার চ্যানেলে পণ্য বা সেবাটির স্পন্সরড ভিডিও করার জন্য যোগাযোগ করবে। এবার আপনার কাজ হবে সেই পণ্য বা সেবার রিভিউ দেওয়া অথবা এর বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে পাবলিশ করা।
ভিডিওটির মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবাররা সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে। এর বিনিময়ে আপনি প্রতি মাসে সেই পণ্য বা সেবা দেওয়া কোম্পানি থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকা ইউটিউব চ্যানেলগুলো বেশি সুবিধা পায়।
নিজের পণ্য বিক্রি করে আয়
ইউটিউব থেকে আয় করার আরেকটি উপায় হলো নিজের পণ্য বিক্রি করা। এই কাজটি সহজে করার জন্য শর্টস ভিডিও-এর মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচার সুযোগ চালু করতে ইউটিউব। ইউটিউব শর্টসে সর্বোচ্চ ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। তবে এই সুযোগটি কাজে লাগান আগে আর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা আর ভিউ দুটোই খুব বেশি হতে হবে।
কী ধরনের ভিডিও তৈরি করলে ইউটিউবে বেশি ভিউ পাওয়া যায়?
আপনার ব্র্যান্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কোন ধরণের ভিডিও বেশি সহায়ক হবে সে সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা উচিত। সাধারণত যেসব ভিডিও তৈরি করলে ইউটিউবে বেশি ভিউ পাওয়া যায়:
গ্রাহকের প্রশংসামূলক ভিডিও
আপনার বিজনেস বা পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্ট এমন গ্রাহকদের সংক্ষিপ্ত ইন্টারভিউ বা রিভিউ নিয়ে এ ধরণের ভিডিও তৈরি করা হয়। এই ধরণের ভিডিও ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করে।
প্রোডাক্ট ডেমনস্ট্রেশন ভিডিও
কোনো প্রোডাক্ট এর সঠিক ব্যবহার এবং ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে এ ভিডিও তৈরি করা হয়। সাধারণত গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ডেমনস্ট্রেট করা হয়। অডিয়েন্সের থেকে এ ধরণের ভিডিও ব্যাপক সাড়া লাভ করে।
টিউটোরিয়াল ও ব্যাখ্যামূলক ভিডিও
এ ধরণের ভিডিওতে কোনো প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণণা দেয়া হয়। পাশাপাশি, প্রোডাক্ট সংক্রান্ত কাস্টমারদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। প্রডাক্টের নতুন ফিচার নিয়েও এ ধরণের ভিডিও হতে পারে।
এক্সপার্টের ইন্টার্ভিউ
পণ্য বা পরিষেবার ব্যাপারে বিভিন্ন এক্সপার্ট বা জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের ইন্টারভিউ আপনার ব্র্যান্ডের ভ্যালু অনেকাংশে বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
প্রজেক্ট রিভিউ এবং কেস স্টাডি
কোনো প্রজেক্ট বা ক্যাম্পেইন শেষে তার বিহাইন্ড দ্য সিন অথবা রিভিউ ভিডিও করা যেতে পারে। ওই ক্যাম্পেইনের পরিসংখ্যান এবং ফলাফলও ভিডিওতে দেখানো যেতে পারে।
ইউটিউব লাইভ
ইউটিউব লাইভের মাধ্যমে সরাসরি ভিউয়ারদের কাছে বিভিন্ন বিষয় ব্রডকাস্ট করা যায়। এতে দর্শকরাও সরাসরি কমেন্ট, রিয়াকশনের মাধ্যমে অংশ নিতে পারেন। লাইভের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই বিভিন্ন মুহুর্ত অডিয়েন্সের সামনে তুলে ধরা যায়। এতে অডিয়েন্সের এনগেজমেন্ট ও বিশ্বস্ততা দুই-ই বৃদ্ধি পায়।
ভিডিও ব্লগ
প্রতিদিন বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে দৈনন্দিন জীবন বা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে ভিডিও-ই মূলত ভিডিও ব্লগ বা ভ্লগ। আপনার ব্র্যান্ড বা বিজনেস নিয়ে এ ধরণের ভ্লগ চাইলেই তৈরি করে ফেলতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেল সেটিং : কীভাবে অপটিমাইজ করলে ইউটিউব ভিডিওতে বেশি ভিউ পাওয়া যায়?
শুধুমাত্র এনগেজিং ভিডিও তৈরি করা ইউটিউব মার্কেটিং এ সফলতার মূলমন্ত্র নয়। ভিডিওগুলোকে এমনভাবে অপটিমাইজ করতে হবে যেন তা ইউটিউব ও গুগল সার্চে র্যাংক করে। ভিডিওতে বেশি ভিউ পেতে এবং সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করতে কিছু অপটিমাইজেশন টিপস:
টাইটেল (Title)
একটি ওয়েবপেইজের অন-পেজ এসইও (On-page SEO) এর মতো ইউটিউব ভিডিও’র ক্ষেত্রেও টাইটেল ও ডেস্ক্রিপশন অপটিমাইজ করা জরুরি। একজন অডিয়েন্স ভিডিওর লিস্ট স্ক্রল করার সময় প্রথমেই ভিডিওর টাইটেলটি পড়েন। তাই টাইটেল যেন যথাসম্ভব আকর্ষণীয়, স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এমনভাবে টাইটেল দেয়ার চেষ্টা করুন যেন অডিয়েন্স ভিডিও দেখতে আগ্রহী হয়।
দর্শক যে ধরণের ভিডিও সার্চ করে সেসব কীওয়ার্ড সম্পর্কে রিসার্চ করুন। আপনার টাইটেলের শুরুতে ভিডিওর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন। রেজাল্ট পেইজ থেকে যেন বাদ না পরে যায় এজন্য চেষ্টা করুন টাইটেলটি ৬০টি অক্ষরের মধ্যে লিখতে।
ডেস্ক্রিপশন (Description)
ভিডিওর ডেস্ক্রিপশনে মাত্র প্রথম দুই-তিন লাইন দেখায়। বাকি অংশ দেখতে “See more” বাটনে ক্লিক করতে হয়। এজন্য ডেস্ক্রিপশনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ লিংক দিয়ে রাখা ভালো।
ডেস্ক্রিপশনে ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট যুক্ত করার চেষ্টা করুন। ট্রান্সক্রিপ্ট ব্যাপকভাবে এসইও-র উন্নয়নে সাহায্য করে।
একটি ডিফল্ট চ্যানেল ডেস্ক্রিপশন এড করুন যেখানে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক, ভিডিও ক্রেডিট ইত্যাদি দেয়া থাকে। চাইলে পরিমিত পরিমাণে হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করতে পারেন।
ট্যাগ (Tag)
ট্যাগের মাধ্যমে আপনার ভিডিও একই ধরণের অন্য ভিডিওর সাথে সংযুক্ত হয়। এতে ভিডিওর রিচ বৃদ্ধি পায়। ট্যাগ করার সময় চেষ্টা করুন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড আগে ট্যাগ করার। সেই সাথে লং টেইল কীওয়ার্ড এবং সাধারণ কীওয়ার্ডগুলোও যুক্ত করুন।
ক্যাটাগরি (Category)
ভিডিও আপলোডের পর “ম্যানেজ ভিডিও” -তে গিয়ে ক্যাটাগরি নির্বাচন করা যায়। ক্যাটাগরি আপনার ভিডিওকে ইউটিউবের রিলেটেড কন্টেন্টের সাথে যুক্ত করে। ইউটিউবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির অপশন রয়েছে। যেমন: ফিল্ম ও এনিমেশন, মিউজিক, নিউজ ও পলিটিক্স, এডুকেশন, কমেডি, এন্টারটেইনমেন্ট ইত্যাদি।
থাম্বনেইল (Thumbnail)
ভিডিওর থাম্বনেইল হলো কোনো ইমেইজ বা ছবি যা ভিডিওটিকে রিপ্রেজেন্ট করে। অনেকটা বই এর কাভার এর মতো, যা দেখে পুরো বইটাই পড়তে ইচ্ছা করে।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে চ্যানেল আর্ট ও থাম্বনেইল হলো বিলবোর্ডের মতো। প্রথম দেখাতেই একজন দর্শক আকৃষ্ট হয় থাম্বনেইলের মাধ্যমে। সার্চ করার পর থাম্বনেইল দেখেই মূলত দর্শকরা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা ভিডিওটি দেখবে কিনা।
যদিও ইউটিউবের নিজস্ব কিছু থাম্বনেইল থাকে তবে কাস্টমাইজড থাম্বনেইল তৈরি করে নেয়া ভালো। এক পরিসংখ্যান বলছে, ৯০% ভালো পারফর্মিং ভিডিওর কাস্টমাইজড থাম্বনেইল রয়েছে।
টাইমস্ট্যাম্পস ব্যবহার
টাইমস্ট্যাম্পস আপনার ভিডিওকে কয়েকটি চ্যাপ্টারে ভাগ করে দিবে। অডিয়েন্সরা ভিডিওতে তাদের প্রয়োজনীয় অংশটুকুই দেখে নিতে পারবেন। এতে আপনার চ্যানেলের আরও ভিডিও দেখার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া
ইউটিউব মূলত একটি সোশ্যাল মিডিয়া। তাই চেষ্টা করুন আপনার ভিউয়ারদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে। এতে যেমন আপনার প্রতি আপনার গ্রাহকদের আস্থা তৈরি হবে, তেমনই আপনার কাস্টমার বেজ শক্তিশালীও হবে। অডিয়েন্সের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরির প্রথম ধাপ হতে পারে তাদের কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া। এর মাধ্যমে আপনার কন্টেন্টের স্ট্যাটাসও বাড়ে কারণ যত বেশি কমেন্ট, কন্টেন্ট তত বেশি জনপ্রিয়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেল কীভাবে প্রোমোট করবেন?
ইউটিউব থেকে আয় করার অন্যতম পদ্ধতি হলো ইউটিউব মার্কেটিং যার পূর্বশর্ত ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ বাড়ানো। এজন্য প্রয়োজন ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করা। যেভাবে ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করবেন:
সোশ্যাল মিডিয়া
ইউটিউব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা বেশি অডিয়েন্স রিচ করার সবচেয়ে সহজ উপায়। অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ভিডিও শেয়ার করার উপায়টাও বেশ সহজ।
ভিডিও শেয়ার করতে ভিডিওর নিচে থাকা ‘Share’ বাটনে ক্লিক করুন। এবার কোন মাধ্যমে ভিডিওটি শেয়ার করতে চান তার অনেকগুলো অপশন পাবেন। চাইলে ভিডিওর URL লিংক কপি করেও শেয়ার করতে পারবেন। ইউটিউবের সুবিধা এই যে, ইউটিউব প্রতিটি ভিডিওর জন্য খুব ছোটো URL লিংক দেয়।
Facebook Marketing
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ইউটিউব চ্যানেল বা ভিডিও প্রমোট করার ক্ষেত্রে কিছু স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করা ভালো। আপনি যদি শুধুই ভিডিও লিংক শেয়ার করেন তবে অডিয়েন্সকে সহজে আকৃষ্ট করতে পারবেন না। ধরা যাক, আপনার কোনো প্রোডাক্টের ব্যাপারে গ্রাহকরা জানতে ভীষণ আগ্রহী এবং ওই প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন গ্রাহকের কাছ থেকে আপনি পেয়ে আসছেন। আপনি যদি ওই প্রোডাক্টের টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করেন সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দেয়ার সময় গ্রাহকদের করা প্রশ্নের উত্তরের সাথে যদি ভিডিও লিংক শেয়ার করেন তাহলে আপনার ওই প্রোডাক্টটির প্রচারণা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ব্লগ পোস্ট এবং ওয়েবসাইট
আপনার ওয়েবসাইট এবং ব্লগেও ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করতে পারেন। ওয়েবসাইট এবং ব্লগে ইউটিউব চ্যানেল ফলো করার জন্য একটি ইউটিউব ফলো আইকন যুক্ত করে রাখুন। এতে আপনার অডিয়েন্স সহজেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে পাবে।
কোনো ব্লগ পোস্ট রিভিউ, কাস্টমার রিভিউ অথবা কেস স্টাডির মতো ভিডিও তৈরি করে তা ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে পারেন। এতে যেমন একদিকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের প্রমোশন হবে, আরেকদিকে ওয়েবসাইটে ট্রাফিকও বাড়বে।
ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ইউটিউব ভিডিও এড করতে ভিডিওর নিচে থাকা৷ Embed লিংক কপি করে ওয়েবসাইটে যুক্ত করুন।
ইমেইল
লিড জেনারেশন ও নতুন কাস্টমার বেজ তৈরি করতে গিয়ে পুরনো কাস্টমারদের ভুলে যাবেন না। নতুন ভিডিও দেখতে এবং ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (YouTube subscribe) করতে আপনার ইমেইল লিস্টে থাকা কাস্টমারদের উৎসাহিত করুন। তথ্যসমৃদ্ধ ইমেইল নিউজলেটার এবং তার সাথে ভিডিও কন্টেন্ট এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করার দারুণ উপায়।
প্রশ্ন- উত্তর সাইট
আপনার ভিডিওগুলো কি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে অথবা প্রশ্নের উত্তর দেয়? তাহলে Quora এর মতো প্রশ্ন- উত্তর সাইটগুলোতে আপনার ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করা হতে পারে একটি ভালো মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি।
অন্যদের সাথে কোলাবরেট করা
আপনার কোম্পানির যদি অন্য কোনো কোম্পানির সাথে ভালো সম্পর্ক থেকে থাকে সেক্ষেত্রে কোলাবরেট করে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো, উভয় চ্যানেলই নিজেদের অডিয়েন্সের সাথে সাথে অন্য জনের অডিয়েন্সকেও ভিউয়ার হিসেবে পেয়ে যান। এতে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায় এবং অধিক লিড জেনারেট হয়।
কোলাবরেট করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে ব্র্যান্ডের সাথে কোলাবরেট করা হচ্ছে তার এবং আপনার ব্র্যান্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একইরকম।
ভিউয়ারদের সাথে এনগেজ করা
আগেই বলেছি, ইউটিউব একটি সোশ্যাল মিডিয়া। তাই ভিউয়ারদের সাথে এনগেজ করার চেষ্টা করুন। কমেন্টের রিপ্লাই বা তাদের করা প্রশ্নের উত্তর দিন। পাশাপাশি, প্রোডাক্টের ফীডব্যাক নিন তাদের কাছ থেকে।
সেরা ৫টি ইউটিউব মার্কেটিং টুল
আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে সমৃদ্ধ করতে এবং সাবস্ক্রাইবার (YouTube subscriber) বৃদ্ধি করতে কিছু টুল ব্যবহার করতে পারেন:
Canva
অডিয়েন্সকে আকর্ষণ করতে একটি ইউটিউব চ্যানেলের রুচিসম্মত থাম্বনেইল ও ফিচার ইমেজ প্রয়োজন হয়। এ ধরণের গ্রাফিক্যাল কাজে সাহায্য করার জন্য রয়েছে ক্যানভা। ক্যানভার ড্রাগ এন্ড ড্রপ সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি নিজেই খুব সহজেই বিভিন্ন ডিজাইন করতে পারবেন। তাছাড়া, ক্যানভার রয়েছে অসংখ্য টেম্পলেট যা আপনার ভিডিওতে যোগ করবে নতুন মাত্রা!
মূল্য:
- ফ্রি প্ল্যান: ক্যানভার রয়েছে ৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল ব্যবস্থা এবং
- পেইড প্ল্যান: পেইড ভার্সনের মূল্য মাসিক ১২.৯৯ ডলার পাঁচজন ব্যবহারকারীর জন্য।
Keyword Tool
ইউটিউবও গুগলের মতোই কীওয়ার্ড, টাইটেল ও ডেস্ক্রিপশনের ওপর ভিত্তি করে ভিডিও র্যাংক করে। এজন্য আপনার প্রয়োজন এমন একটি টুল যা ভিডিওকে প্রয়োজন অনুযায়ী অপটিমাইজ করে ভিডিও র্যাংক করতে সাহায্য করে। ফলে চ্যানেলের ভিউ ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। এমনই একটি টুল হলো কীওয়ার্ড টুল। এই টুলের মাধ্যমে কী ধরণের কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত, তা আপনি জানতে পারবেন।
মূল্য:
- ফ্রি প্ল্যান: কীওয়ার্ড টুল একদম বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে সার্চ ভলিউম, কম্পিটিশন ইত্যাদির মতো ফিচারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন না।
- পেইড প্ল্যান: মাসিক ৬৯ ডলার থেকে শুরু।
BuzzSumo
এটি একটি বহুমাত্রিক টুল। ভালো কন্টেন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে আইডিয়া জেনারেট করে দর্শকপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে এই টুলটি সাহায্য করে। তাছাড়া আপনার সমসাময়িক প্রতিযোগী বা কম্পিটিটরদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য অসাধারণ একটি টুল এটি। সোশ্যাল শেয়ারিং থেকে শুরু করে ফরম্যাটিং পর্যন্ত তাদের কন্টেন্ট কেমন পার্ফর্ম করছে তা এই টুলের মাধ্যমে লক্ষ্য রাখতে পারবেন। এমনকি আপনার ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করতে পারবে এমন ইনফ্লুয়েন্সারদের সন্ধানও আপনি এই টুলের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
মূল্য:
- ফ্রি প্ল্যান: BuzzSumo এর ফ্রিমিয়াম (ফ্রি+প্রিমিয়াম) মডেল। অর্থাৎ ফ্রি ও পেইড দুই ধরনের ভার্সনই রয়েছে। মাসে ১০টি কন্টেন্ট রিসার্চ ফ্রি-তে করা যাবে।
- পেইড প্ল্যান: প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনে মাসিক খরচ হতে পারে ৯৯ থেকে ২৯৯ ডলার পর্যন্ত।
Agorapulse
এই টুলটি ভিন্ন ভিন্ন ইউটিউব একাউন্ট থেকে যোগাযোগ রক্ষা করার কাজ করে থাকে। ফলে একেক সময় একেক একাউন্টে সুইচ করে আলাদা করে নোটিফিকেশন চেক করা বা কাজ করার প্রয়োজন নেই। এই টুলের মাধ্যমে আপনি কমেন্ট ম্যানেজ করতে পারবেন, অপ্রয়োজনীয় কমেন্ট বা স্প্যাম কমেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যানও করতে পারবেন।
মূল্য:
- ফ্রি প্ল্যান: একজন ব্যবহারকারী ও তিনটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্য ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল সুবিধা।
- পেইড প্ল্যান: দুজন ব্যবহারকারী ও দশটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্য মাসিক খরচ ৭৯ ডলার থেকে শুরু।
TubeBuddy
এই ব্রাউজার এক্সটেনশনটি দ্রুত সময়ে আপনার কন্টেন্ট অপটিমাইজ করতে সাহায্য করে। এর ভিডিও SEO টুল অন্যান্য ভাষায় টাইটেল, ডেস্ক্রিপশনকে অনুবাদ করে যেনো আপনার ভিডিও আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। তাছাড়া এর রয়েছে অনন্য টেস্ট ফিচার। এর কীওয়ার্ড এক্সপ্লোরার আপনার ভিডিওকে র্যাংক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব কীওয়ার্ড জেনারেট করে থাকে।
মূল্য: এই টুলটি বিনামূল্যেই ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া পেইড প্ল্যান একজন ব্যবহারকারীর জন্য ৭.২০ ডলার থেকে শুরু।
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম : কম্পিউটার ব্যবহার করে
এবার জানবো কম্পিউটার ব্যবহার করে ধাপে ধাপে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম:
১) YouTube এ যান এবং “Settings” -এ ক্লিক করুন
কম্পিউটার ব্যবহার করে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করতে প্রথমে গুগল স্ক্রোম বা অন্য যে কোনো ব্রাউজার ব্যবহার করে YouTube -এ যান। এরপর বাম দিকের সাইডবারে “Settings” -এ ক্লিক করুন।
২) “Additional Settings” -এ ক্লিক করুন
একবার “Settings” উইন্ডোতে যাওয়ার পর, আপনাকে ‘Your account’ এর নিচে থাকা “View Additional Features” সিলেক্ট করতে হবে।যেখানে আপনি community guidelines status এবং copyright status দেখতে পাবেন।
৪) ভেরিফিকেশন কোড
আপনার YouTube চ্যানেল ভেরিফাই করতে আরও কয়েকটি ধাপ আছে।
- প্রথমত, আপনি বর্তমানে যেখানে বসবাস করছেন বা যেখান থেকে আপনার YouTube অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন সেই দেশটি সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপর ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপগুলি সম্পন্ন করতে আপনার মোবাইল নাম্বার লিখুন। আপনার মোবাইল ডিভাইসে কল বা মেসেজের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন কোডটি পাঠানো হবে৷ ভয়েস কলের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন কোডটি পেতে চাইলে, তার ভাষাও বেছে নিতে হবে।
৫) ভেরিফিকেশন কোড নিশ্চিত করুন
দ্বিতীয় ধাপে ডায়ালগ বক্সে আপনার মোবাইলে মেসেজ বা কলের মাধ্যমে পাওয়া প্রাপ্ত ছয়-সংখ্যার কোডটি টাইপ করুন এবং “Submit” -এ ক্লিক করুন।
সবশেষে, YouTube আপনার ভেরিফিকেশন কোডটি যাচাই করবে এবং সফলভাবে আপনার YouTube চ্যানেলের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে।
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম : মোবাইল ফোন ব্যবহার করে
এই ব্লগটি পরে এতোক্ষণ জানলেন ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়মকম্পিউটার আর মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম প্রায়ই একই, তবে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তাই চলুন এবার জেনে নেই, ধাপে ধাপে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম –
১) YouTube অ্যাপে যান
আপনার অ্যান্ড্রয়েড বা iOS ডিভাইস থেকে YouTube অ্যাপে যান এবং উপরে ডানদিকের কোণায় আপনার প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করে আপনার চ্যানেলে যান। আপনার চ্যানেলটি লোড হলে, উপরের দিকে search আইকনের পাশে ক্যামেরা আইকনটিতে ক্লিক করুন৷
২) Go Live এ ক্লিক করুন
ক্যামেরা তে ক্লিক করার পর Record ও Go Live এই দুটি অপশন থেকে Go Live -এ ক্লিক করুন। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, আপনি লাইভ হবেন না কারণ আপনি এখনও আপনার YouTube চ্যানেল ভেরিফাই করেননি৷ লাইভে যাওয়ার আগে ফোন নাম্বার দিয়ে আপনার পরিচয় যাচাই করতে হবে। এবার ভেরিফাই করার পরবর্তী ধাপে যেতে ‘Get Started’ -এ ক্লিক করুন।
৩) ভেরিফিকেশন শুরু করুন
এবার আপনি বর্তমানে যেখানে বসবাস করছেন বা যেখান থেকে আপনার YouTube অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবে্ন সেই দেশটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর ভেরিফিকেশন মেসেজ বা কল পাওয়ার জন্য আপনার মোবাইল নাম্বার লিখে, আপনি মেসেজ বা ফোন কল কোনটি পেতে চান তা সিলেক্ট করুন। তারপর সবশেষে, Submit -এ ক্লিক করুন।
৪) ভেরিফিকেশন কোডটি লিখুন
ডায়ালগ বক্সে আপনার মোবাইলে মেসেজ বা কলের মাধ্যমে পাওয়া প্রাপ্ত ছয়-সংখ্যার কোডটি টাইপ করুন এবং “Submit” -এ ক্লিক করুন। এরপর আপনি একটি পপ-আপ পাবেন যেখানে আপনার অ্যাকাউন্ট যাচাই করা হয়েছে।
তবে মনে রাখবেন, আপনার অ্যাকাউন্ট যাচাই করতে YouTube -এর ২৪ ঘন্টা সময় লাগবে। এভাবে মোবাইল দিয়েও সফলভাবে আপনার YouTube চ্যানেলের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে।
শেষ কথা
এই ব্লগটি পরে এতোক্ষণ জানলেন ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম, কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায় এবং সবশেষে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম। এখন নিশ্চয়ই আপানার মনে প্রশ্ন জাগছে ইউটিউবের জন্য ভিডিও বানাবো কিভাবে কিংবা ভিডিও এডিট করবো কিভাবে? ভিডিও মেকিং বা ভিডিও এডিটিং নিয়ে সব সমস্যার সমাধান নিয়ে রয়েছে টেন মিনিট স্কুলের Video Making Course এবং Video Editing with Premiere Pro Course! এছাড়াও এই দুটি কোর্স একসাথে করতে এনরোল করতে পারেন আমাদের কন্টেন্ট ক্রিয়েশন বান্ডেল।
তথ্যসূত্র
- What is YouTube Marketing: Guide
- The Beginner’s Guide to YouTube Marketing!
- YouTube Marketing (Creating a YouTube Account)
- The Complete Guide to YouTube Marketing in 2023
- How to Make Money on YouTube in 2023: 5 Ways to Get Paid
- Top 6 Advantages of YouTube Marketing: Traffic, Visibility & More
- Wondering How to Verify a YouTube Channel? Here’s What to Know
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন