আমাদের বন্ধুমহলে এমন কিছু বন্ধু আছে, যারা প্রচুর পড়াশোনা করার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারে না। আবার অনেকে আছে যারা একসাথে অনেক কিছুতে একদম ফাটাফাটি পারফর্ম করে। বিতর্কে তারা পুরস্কার জিতছে, খেলাধুলায় কাঁপিয়ে দিচ্ছে, কেউ হয়তো আঁকাআঁকি করছে, বিভিন্ন স্কিল শিখছে, আবার কীভাবে যেন পরীক্ষায়ও টপ পজিশন ধরে রাখছে!
তোমার-আমার মতো সাদামাটা ছাত্র যারা, তাদের অনেক সময় এই ব্যাপারটি দেখে কেমন সুক্ষ্ম একটি হতাশা ও ক্ষোভের অনুভূতি জন্ম নেয়। কিন্তু সত্যি কথা হলো, তোমার-আমার আর তাদের মধ্যে তেমন কোনো অস্বাভাবিক পার্থক্য নেই! এমনকি বলা যায়, একসাথে অনেক কিছুতে ভালো করা স্বল্প পড়ুয়া বন্ধুটি আমাদের থেকে কেবল একটু বেশি সচেতন।
একটা গল্প বলি। টনি রবিনস নামের এক ভদ্রলোক একবার গলফ খেলতে গিয়েছিলেন। খেলার সময় গলফ বলটি হিট করতে গিয়ে বলটি সামনের লেকে গিয়ে পড়ে। তিনি দ্বিতীয়বার বল মারার পরেও বলটি আবার লেকে পড়ে। পরবর্তী ৫-৬ বারও তার সাথে একই ঘটনা ঘটে। কিছুতেই তিনি বলটিকে হোলের মধ্যে ফেলতে পারছিলেন না। তিনি এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তার ইন্সট্রাকটরকে ডেকে বলেন, “এটা তো অনেক কঠিন খেলা, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এই গেমে এভারেজ লেভেলে পৌঁছাতেও আমার হাজার বছর লেগে যাবে।”
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Microsoft Office 3 in 1 Bundle
তখন ইন্সট্রাক্টর হেসে বলেন, তুমি শুধু ১-২ মিলিমিটার দূরে রয়েছো বেস্ট প্লেয়ার হওয়া থেকে। টনি রবিনস তখন বললেন, “এই গলফ বল প্রতিবার নির্দিষ্ট হোল থেকে কমসে কম ৫০-৬০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ছে।” ইন্সট্রাক্টর সাহেব হেসে বললেন, “বল হিট করার সময় তুমি যদি মাত্র ১-২ মিলিমিটার অন্য দিকে হিট করো, তাহলে বলটি ঠিক নির্দিষ্ট স্থানে গিয়েই পড়বে।”অর্থাৎ ইন্সট্রাক্টরের মতে, টনি রবিনস সফলতার লেভেল থেকে মাত্র অল্প কিছু মিলিমিটার দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি শুধু সঠিক কৌশলটা প্রয়োগ করেননি।
আমাদের মধ্যে অনেকের মাঝেই পড়াশোনা নিয়ে টনি রবিনস এর মতো হতাশা কাজ করে, অথচ আমরা হয়তো সফলতা থেকে মাত্র কয়েক পা (পড়ো কয়েক কৌশল) দুরেই দাঁড়িয়ে থাকি।
পড়া আয়ত্ত হয়না, হলেও মনে থাকেনা- এই সমস্যা আমাদের মাঝে অনেকেরই দেখা যায়। আমরা এখন যা করতে পারি তা হলো ওই দুরত্বটা মেটানোর চেষ্টা। কাজটা মোটেই কঠিন না। একটু মনোযোগ আর দৃঢ় সংকল্প থাকলে তুমিও হয়ে যেতে পারো তোমার অলরাউন্ডার বন্ধুটির মতো একজন। নিচের কৌশলগুলো তোমাকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুন: পড়ার সময় অন্য সব চিন্তা দূর করার জাদুকরী টিপস
পড়াশোনা টিপস ১: ৫ মিনিটে সময় ব্যবস্থাপনা
পড়াশোনা শুরুর আগেই আমাদের যেই একটা জিনিস নিয়ে খুব মাথা ঘামাতে দেখা যায় সেটা হলো এই সময় ব্যবস্থাপনার মারপ্যাঁচ। কোন সাবজেক্ট কতক্ষণ পড়বো, কোন চ্যাপ্টার প্রথমে পড়বো, কোনটা শেষে ধরবো- এগুলা চিন্তা করতে করতেই আমাদের অনেকটা মূল্যবান সময় চলে যায়। শেষে দেখা যায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একটা রিসার্চে পাওয়া গিয়েছে যে, যতক্ষণ আমাদের মস্তিষ্ক বিভিন্ন কাজের চিন্তা-ভাবনার সাথে সমঝোতা করতে পারে না, ততক্ষণ আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থির হতে পারে না।
তাই আমাদের উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠামাত্র দিনের সব দরকারি কাজ একটি কাগজে বা ডায়েরীতে লিখে ফেলা। এক্ষেত্রে ফোনের রিমাইন্ডার/টু ডু লিস্ট অ্যাপ ও ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব টু ডু লিস্ট আমাদেরকে দিনের সব কাজের একটা নির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারবে এবং এর ফলে আমাদের মস্তিষ্ক আরও বেশি কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। এর মাধ্যমে কাজের বিভিন্ন অগ্রাধিকারও নির্ধারণ করে ফেলা সম্ভব। তবে সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপারটি হলো, পুরো কাজটি করতে ৫-১০ মিনিটের বেশি সময় নেয়া যাবে না। খুব দ্রুতই কাজের লিস্টটি বানিয়ে ফেললে আমরা দ্রুত পড়াশোনার কাজ শুরু করে দিতে পারবো।
পড়াশোনা টিপস ২: Procrastination এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা!
বর্তমান বিশ্বে প্রোক্রাস্টিনেশন একটা কমন সমস্যা। ফেসবুকে মানুষের বায়ো ঘাটাঘাটি করলে যতটা প্রোক্রাস্টিনেটর পাওয়া যায়, বাস্তব জীবনে তার সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। আলসেমি বা শ্রমবিমুখ স্বভাবকে আধুনিক ইংরেজিতে বলা হয় প্রোক্রাস্টিনেশন। আলসেমিতে “কালকে থেকেই পড়তে বসবো” স্বভাব আমাদেরকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দেয়। এক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান হলো প্রোক্রাস্টিনেশনের বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা। দেখা যায়, শুরুতে আমাদের অনেকেই অনেক পদক্ষেপ ঠিক করি আলসেমি ছেড়ে দেবার, কিন্তু বাস্তবে সে অনুযায়ী কাজ করা যে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
পড়াশোনা টিপস ৩: হিসাব মাফিক পড়াশোনা
পড়াশোনার অগ্রগতির হিসাব রাখতে হবে। কোন চ্যাপ্টার কতটুকু শেষ হয়েছে, সিলেবাসের কোন অংশে বেশি গুরুত্ব না দিলেই নয়- এইরকম বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো বিষয় পড়তে গেলে প্রয়োজনীয় অনেক উপকরণ, দরকারি সহায়তা পাওয়া যায় না। আবার অনেক সময় বেশি রাত হয়ে গিয়েছে কিংবা পড়তে ইচ্ছা করছে না- এইরকম নানা বাহানার ফাঁদেও আমরা পা দেই। ফলস্বরূপ, আমরা ঐ বিষয়টিকে পরবর্তীতে পড়ার জন্য রেখে দিই। এমনটা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজ চেষ্টায় যতটুকু সম্ভব, ততটুকু পড়ার চেষ্টা করাটাই শ্রেয়।
পড়াশোনা টিপস ৪: দেহযন্ত্রের যত্ন সবার আগে
শরীর নামক যন্ত্রটিতে পর্যাপ্ত জ্বালানী সরবরাহ করতে হবে। শরীর দুর্বল থাকা মানেই প্রোক্রাস্টিনেশনের দিকে অগ্রসর হওয়া। তুমি যদি অনেক ক্লান্ত থাকো অথবা পেটে যদি ক্ষুধার তাড়না থাকে, তুমি কিন্তু কিছুতেই পড়ায় মন দিতে পারবে না। আর যদি তুমি জোর করে পড়াশুনা চালিয়েও যাও, তবেও কিন্তু তোমার মস্তিষ্কে ঐ পড়ার স্থায়িত্ব খুব অল্প সময়ের জন্য হবে। এজন্য খেয়াল রাখতে হবে, দিনের কোনো বেলার খাবার যেনো বাদ না যায় এবং একই সাথে অতিরিক্ত পরিমাণে খাদ্যগ্রাসও যেন না হয়। নিজেকে সর্বদা জলযোজিত (hydrated) রাখতে হবে, কিছুতেই দেহে পানির অভাব ঘটতে দেয়া যাবে না। পড়াশোনার সময়ে প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর পানি পান করা উচিত।
পড়াশোনা টিপস ৫: অতিরিক্ত চাপ সামাল দেওয়া
অনেক সময় দেখা যায়, কোনো একটা সময় আমাদের উপর দিয়ে পড়াশোনার অনেক চাপ যায়। টার্ম পেপার, অ্যাসাইনমেন্ট, ল্যাব, প্রেজেন্টেশন, টার্ম ফাইনাল, কুইজ সব একসাথে এসে হাজির হয়। এসব সময়ে সামান্য প্রোক্রাস্টিনেশনের জন্য আমাদের মারাত্মক মূল্য পরিশোধ করতে হতে পারে। তাই সপ্তাহের অন্তত একটি দিন আমাদের উচিত সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন রেখে ভার্সিটি-কলেজ-স্কুলের বাড়তি চাপকে সামাল দেয়া।
পড়া মনে রাখার উপায় ৬: কখন পড়াশোনা করবো?
এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে সকালবেলা। এক রিসার্চে দেখা যায়, সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আমাদের মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি নির্ভার থাকে এবং এসময় যেকোনো বিষয় দ্রুতই বুঝে ফেলা সম্ভব। অন্য একটু সুবিধা হলো, সাধারণত সকালবেলায় ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের আনাগোনা কম থাকে। সেকারণে, সকালবেলা এসব মিডিয়াতে সময় নষ্ট করার সুযোগ ও থাকে না।
অনেক সময় দেখা যায়, সকাল সকাল ক্লাস থাকে, যে কারণে খুব ভোরেই আমাদের ছুটতে হয় ভার্সিটি-কলেজের উদ্দেশ্যে। তাছাড়া, ক্লাসের বিরতিতে আমরা লাইব্রেরিতে গিয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশুনা করতে পারি। সঙ্গে এমন কোনো বন্ধুকে নিয়ে যেতে পারি, যার কাছে পড়াশুনার নানা সহায়তা পাওয়া সম্ভব। সকালবেলার ঠান্ডা পরিবেশে পড়াশোনা হতে পারে পড়া মনে রাখার উপায় হিসেবে চমৎকার।
আরো পড়ুন: পরীক্ষায় ভালো করার উপায়: জানতে হবে যা কিছু
পড়া মনে রাখার উপায় ৭: কতক্ষণ পড়বো?
প্রকৃতপক্ষে এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই। কেননা, কোন বিষয়ে ঠিক কতটুকু সময় দেয়া উচিত, সেই উত্তর শুধু তোমারই জানা উচিত। কোনো সাবজেক্টে বেশি সময় দেয়া লাগতে পারে, কোনোটায় কম। শুধু জেনে রাখা উচিত, প্রতি ১-১.৫ ঘণ্টা পড়ার পর পর ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নেয়া উচিত। আমাদের দেহ রোবট নয় যে আমরা একটানা ৬-৭ ঘণ্টা পড়াশুনার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবো। যতক্ষণই পড়াশুনা করি না কেন, পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে অবশ্যই বিরতি প্রয়োজন রয়েছে। পড়াশুনার মাঝে বিরতিতে কিছু খেয়ে নিতে পারো, হালকা হাঁটা চলা কিংবা বডিস্ট্রেচিং করে নিতে পারো। তাই বলে, ১ ঘণ্টা পড়াশুনা করে ২ ঘণ্টার বিরতি নিলে কিন্তু আবার হিতে-বিপরীত হয়ে যেতে পারে।
Study SMART, not HARD!
পড়া মনে রাখার উপায় ৮: নিমোনিক হোক ভরসা
শৈশবে আমাদের অনেকের কাছে এক প্রকার আতংক ছিলো ‘সরল’ নামের বৃহদাকার অংকগুলো। নামে সরল হলেও এটাকে শেষ পর্যন্ত মেলাতে গিয়ে রীতিমতো ঘাম বেরিয়ে যেতো আমাদের অনেকের। এসব পড়া মনে রাখার উপায় নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে! এরপরই স্কুলে শেখানো হলো সেই যুগান্তকারী মনে রাখার অস্ত্র “BODMAS” যেটা কিনা সরলের জটিলতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিলো। এই “BODMAS” হলো নিমোনিক-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নিমোনিক-এর আরো একটা বেশ পরিচিত উদাহরণ দিতে গেলে বলতে হবে সেই পরিমাপের একক মনে রাখার জন্যে একদম ছোট্ট বেলায় শেখা চিরপরিচিত বাক্য-
কিলায়ে হাকায়ে ডাকাত মারিলে দেশে শান্তি মিলিবে।
SMART ও একটি চমৎকার নিমোনিকের উদাহরণ। আমরা প্রায়ই বলে থাকি SMART Goal Setting এর কথা। এই SMART প্রকৃত অর্থে একটা Acronym. চলো দেখে নেই SMART শব্দের অক্ষরগুলো আসলে কী কী নির্দেশ করে।
S = Specific
M = Measurable
A = Attainable
R = Realistic
T = Time Bound
এরকম মজার মজার নিমোনিক তৈরি করে সহজেই মনে রাখা সম্ভব হবে ইংরেজির আতংক ভোকাবুলারি, পদার্থবিদ্যা বা গণিতের যেকোনো কঠিন আর হিজিবিজি সূত্র কিংবা রসায়নের নিরস আর তিতকুটে তত্ত্ব বা বিক্রিয়া।
ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:
৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৪
পড়া মনে রাখার উপায় ৯: মোবাইলকে ‘না’ বলো
এখনকার এই প্রজন্ম মোবাইল ছাড়া একটা মুহূর্ত কল্পনা করতেও ভয় পায়। কিন্তু পড়াশোনার সময় এই মোবাইল হলো সবচেয়ে বড় মনোযোগ বিনষ্টকারী। তাই পড়ার সময়টায় মোবাইলকে না বলতে হবে। যদিও মোবাইল থেকে দূরে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়, আজ তিনটা ছোট্ট হ্যাক শিখিয়ে দিতে চাই যেগুলো তোমাকে পড়ার সময় মোবাইল থেকে দূরে রাখবে।
- পড়তে বসো বিকেল বেলায় কিংবা এমন একটা সময়ে যে সময়টায় মানুষ সাধারণত অনলাইনে থাকে না।
- মোবাইলটাকে রাখো হাতের নাগালের বাইরে। অর্থাৎ এমন একটা জায়গায় যাতে করে হাত বাড়ালেই না পাওয়া যায়। জায়গা থেকে উঠে গিয়ে আনতে হবে এমন জায়গায় রেখে তবেই পড়তে বসো।
- পড়ার ফাঁকের বিরতিটাকে বিচক্ষণতার সাথে কাজে লাগাও। আমরা পড়ার ফাঁকে বিরতি নিলে সাধারণত সবার আগে সেই মোবাইলটাকেই হাতে নিই। এই জিনিসটা করা যাবে না।
এই ট্রিক তিনটাকে কাজে লাগিয়ে পড়ার সময় দূরে থাকো মোবাইল থেকে।
পড়া মনে রাখার উপায় ১০: একটি নির্দিষ্ট স্থানে পড়ো
পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখতে কোথায় পড়া হচ্ছে সেই জায়গাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেটা হতে পারে তোমার বাসার একটা কোলাহলহীন, নির্জন আর পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখা তোমার পড়ার টেবিলটা কিংবা জানালার পাশে রাখা বিছানায়! জায়গাটা এমন হতে হবে যেখানে তুমি যেতে অভ্যস্ত যাতে করে সেখানে যাওয়া মাত্রই মনোযোগ চলে আসে।
তাই, পড়াশোনা মনে রাখার উপায় হিসেবে চমৎকার একটা জায়গা নির্ধারণ করে ফেলো আজই।
১১) স্মৃতিশক্তি স্পেসড রিপিটেশন টেকনিক ব্যবহার করো
‘পড়া – পড়া – পড়া’ নাকি ‘পড়া – বিরতি/ঘুম – পড়া’?
একটানা পড়ে যাওয়ার চাইতে মাঝখানে বিরতি নিয়ে পড়লে সেই পড়া স্মৃতিতে অধিকতর স্থায়ী হয়। পড়ার মাঝখানে বিরতি নিয়ে পুনরায় পড়ার যে প্রক্রিয়া এর নামই স্পেসড রিপিটেশন সিস্টেম। পড়া ভুলে যাওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে এই ট্রিকটি কাজে লাগানো যেতেই পারে। আর পড়া মনে রাখার উপায় হিসেবে, বিরতিতে একটুখানি ঘুমও কয়েকগুণ স্থায়িত্ব বাড়াবে পড়ার। তাই, ঘুমের ব্যাপারটা ভুলে গেলে চলবে না।
১২) নিজে শিখে অন্যকে শেখাও, বাস্তব প্রয়োগ করো
“If you can’t explain it simply, you don’t understand it well enough.” -Albert Einstein
অর্থাৎ, কেউ কিছু শেখার পর পর সেটা যদি অন্যকে শেখাতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে শেখায় ঘাটতি রয়েছে! তাই এখন থেকে নিজে নতুন যাই শেখো না কেন সেটা অন্যকে শেখানোর চেষ্টা করবে। তাহলেই সে শেখা অধিকতর স্থায়ী হবে।
যখন যাই শেখো না কেন সেটাকে বাস্তবে ব্যবহারিক প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে জ্ঞান আর দক্ষতা দু’টোই বাড়বে। কোনো নতুন বই পড়লে বা মুভি দেখলে চেষ্টা করবে সেগুলোর রিভিউ লিখতে। সেগুলো থেকে নিজে কী বুঝলে বা শিখলে সেটা সবাইকে বোঝানোর ক্ষমতা থাকতে হবে। কোনো সফটওয়্যার স্কিল শিখলে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে ব্যবহারিকভাবে। শিখতে হবে কী করে শিখতে আর কী করে নিজের শেখা জিনিস অন্যকে শেখাতে হয়।
১৩) Sticky Notes, Marker Pens ও Highlighters ব্যবহারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হবে দুর্দান্ত
পড়তে গিয়ে যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, বাক্য বা তথ্য চোখে পড়বে সবসময় সেটাকে হাইলাইটার বা অন্য রঙয়ের কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রাখলে রিভিশনের সময় কাজে দেবে। নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংযুক্ত করতে হলে স্টিকি নোটে লিখে বই কিংবা নোটে যুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে। তথ্যের পরিমাণ বেশি হলে প্রয়োজনে অন্য রঙয়ের কলম দিয়ে বইতে বা নোটে লিখেও রাখা যেতে পারে। এই স্টিকি নোটস, হাইলাইটেড পয়েন্টস আর অন্য কালিতে লেখা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোই রিভিশনের সময় চোখে পড়বে সবার আগে। এতে করে পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে রিভিশন দেওয়া সহজ হবে।
১৪) গাইতে গাইতে গায়েন –
যেকোনো জিনিস মনে রাখা কিংবা যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে সবচাইতে কার্যকরী উপায় হলো অনুশীলন বা চর্চা। যাই শেখা হোক না কেন সেটা প্রতিনিয়ত অনুশীলন করতে হবে, যাচাই করতে হবে দক্ষতাগুলো। এখন যাচাই করার উপায় হিসেবে কাজে লাগাতে পারো টেন মিনিট স্কুল (www.10minuteschool.com) এর কুইজগুলোকে। কুইজ দেওয়ার সাথে সাথে মিলবে রেজাল্ট, জানতে পারবে অন্যদের তুলনায় তোমার প্রস্তুতি ঠিক কোন অবস্থানে সেটাও।
তাই, এখন থেকেই যেকোনো ক্লাসের যেকোনো বিষয়ের যে টপিকই পড়া হোক না কেন কুইজ দিয়ে যাচাই করো তোমার দক্ষতা!
১৫) হারানো মনোযোগ ফেরাতে “Pomodoro Technique” কাজে লাগাও
মনোযোগ ধরে রাখা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি। যেকোনো একটা ক্লাস কিংবা লেকচারের শুরুতে মনোযোগ বা আকর্ষণ থাকে একেবারে শীর্ষে অর্থাৎ চূড়ায়। সময়ের সাথে সাথে এটা প্রতিনিয়ত কমতে থাকে। এই লেখার কথা যদি বিবেচনা করা হয়, পাঠকের আকর্ষণ শুরুতে যতখানি ছিলো লেখার এ অংশে এসে এর চেয়ে অনেকখানি কমে গেছে এটা নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া যায়।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এটা প্রমাণিত যে, মানব মস্তিষ্ক একটানা ২০-৩০ মিনিটের বেশি কখনো মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। এই সময়ের পর মনোযোগ ক্রমশ কমতে থাকে। কিন্তু এই ক্রমশ কমে যাওয়া মনোযোগকে ফিরিয়ে আনার আর পড়াশোনা মনে রাখার উপায় উপায়? উপায় আছে বৈকি। এই উপায় এর নামই হলো “Pomodoro Technique.” পড়া কিংবা যেকোনো কাজ করার সময় ২৫ মিনিট পরপর ৫-১০ মিনিটের ছোট্ট একটা বিরতি নেওয়া এবং এরপর আবার শুরু করার প্রক্রিয়াই হলো “Pomodoro Technique.” এতে করে আগ্রহ, মনোযোগ দু’টোই ফিরবে।
পড়তে বসার আগে একটু হালকা ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করে নিলে অনেকটা সতেজ লাগবে পড়ার সময়। গোসলও করা যেতে পারে। ব্যায়ামে আগ্রহ না থাকলে পুরো বাসায় একটা চক্করও দেওয়া যেতে পারে। প্রফুল্ল আর সতেজ মন নিয়ে পড়তে বসলে সেই পড়াটা মনেও থাকবে বেশি।
১৬) নোট রাখা
নোট নেওয়া বেশ কষ্টকর একটি প্রক্রিয়া। সাধারণত এটি কেউ শখ করে করতে চায় না। ক্লাসে যখন নোট নেওয়ার প্রয়োজন হয় তখন বেশিরভাগ মানুষ টিচার যা বলছেন সেগুলো কিছু না বুঝে ঘ্যাঁচঘ্যাঁচ করে খাতায় লিখে নেয়, সেটি করে আসলে তেমন লাভ হয় না। বাসায় এসে পুরো বিষয়টি বুঝে একদম নিজের মতো করে লিখে আবার একটি নোট তৈরি করা (ব্যাপারটি শুনে অনেকের গায়ে জ্বর চলে আসতে পারে, কিন্তু ভাল কিছু পেতে হলে একটু কষ্ট করতেই হয়, তাই না ?) দারুণ কাজের একটি বিষয়।
নিজে থেকে লিখে একটি বিষয়ের নোট তৈরি করলে বিষয়টি মনে রাখার ক্ষমতা ৪০% বেড়ে যায়!
১৭) গল্পে গল্পে শেখা
মানুষের একটি মজার বৈশিষ্ট্য হলো সে গল্প শুনতে অসম্ভব ভালবাসে! ক্লাসে স্যার অনেক কিছু পড়িয়েছেন সেগুলো এখন জিজ্ঞেস করলে কিছু বলতে পারবো না কিন্তু একদিন স্যার পড়ার ফাঁকে একটি গল্প বলেছেন সেটি এতদিন পরেও হুবহু মনে আছে! আমাদের বইগুলোয় ইতিহাস ভূগোল বিষয়গুলো খুব কাঠখোট্টাভাবে লেখা, একগাদা দিন-তারিখ-সংখ্যা দেওয়া থাকে সেগুলো মুখস্থ করতে নাভিঃশ্বাস ছুটে যায়!
কিন্তু তুমি যখন বিষয়টিকে গল্পের মতো করে সাজিয়ে নেবে তখন সেটি অনেকদিন পরও খুব ভালোভাবে মনে থাকবে। মানুষ আর যাই কিছু ভুলুক, গল্প কোনদিন ভুলে না সহজে! এজন্যই অনেকরকম থিওরি-ফর্মুলা-তালিকা ইত্যাদি প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে ছোটখাটো ছড়া বানিয়ে ফেললে সেটি মনে রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়!
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
ঘরে বসে Spoken English
১৮) শব্দ করে পড়া
ছোট থাকতে জোরে জোরে পড়ার একটি অভ্যাস ছিলো সবার, বড় হতে হতে সেই অভ্যাসটি বেশিরভাগ মানুষের আর থাকে না। তুমি শেষ কবে জোরে জোরে পড়েছ মনে করতে পারো? ব্যাপারটি শুনতে অবাক লাগে- জোরে জোরে পড়া কিন্তু পড়া মনে রাখার জন্য চমৎকার একটি কৌশল! মনে মনে পড়লে অনেককিছু ভাসাভাসা ভাবে দেখে যাওয়া হয় মাথার ভেতর তেমনভাবে গেঁথে যায় না তথ্যগুলো, হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো জোরে জোরে পড়লে তখন বেশ ম্যাজিকের মতো কাজ করে সেটি!
১৯) ঘুমানোর আগে পড়তে বসা
কী, আমাকে পাগল ভেবে বসছো? পড়তে বসলে ঘুমে ঢুলুঢুলু হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি বিচিত্র কিছু নয়, এটি হয় না এমন কথা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে তেমন মানুষ খুব বেশি নেই! আমার এক বন্ধু আছে সে এমন ঘুম পেলে বই দাঁতে কামড়ে ধরে হাঁটাহাঁটি করে, প্রক্রিয়াটি শুনতে খুব সুখকর নয় মোটেই, কিন্তু সেটি তার জন্য দারুণ কাজ করে! ঘুম পাওয়ার এই বিষয়টিকে কিন্তু চমৎকারভাবে কাজে লাগানো যায়, তুমি কি জানো ঘুমানোর আগে আগে কিছু পড়লে সেটি মনে থাকার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়?
আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক সারাদিনে ধারণ করা তথ্যগুলো সাজিয়ে রাখে। দিনের বেলা আমরা পড়ালেখা ছাড়াও নানা রকম কাজে ব্যস্ত থাকি। মস্তিষ্ক কোন স্মৃতিটিকে সাজিয়ে রাখবে কোনটিকে মুছে ফেলবে বলা কঠিন, কিন্তু একদম ঘুমানোর আগে আগে পড়লে সেটি মস্তিষ্ক বেশ যত্ন করে সংরক্ষণ করে তাই মনে থাকার হার বেড়ে যায় অনেকখানি!
২০) নিয়মিত ব্যায়াম করা
ব্যায়াম করার অনেক উপকার আছে, ব্যায়াম করলে বিভিন্ন হরমোনের নিঃসরণ ঘটে সেগুলো নানারকম কাজে দেয়। মস্তিষ্কে স্মৃতি এবং বিশ্লেষণের যেই অংশটি রয়েছে নিয়মিত ব্যায়াম করলে তার উপাদানগুলো বেড়ে যায়। কর্টিসোল নামে একটি হরমোন রয়েছে সেটি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এমন অনুভূতিগুলোর জন্য দায়ী, এই অনুভূতিগুলো মনে রাখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ঘরে বসে অনেকরকম ব্যায়াম করা যায়, নিয়মিত ব্যায়াম করলে এই ক্ষতিকর হরমোনগুলোর নিঃসরণ রাতারাতি কমে যায়, তখন পড়ায় মন বসাতে পারবে তুমি নিশ্চিন্তে!
২১) গ্রুপ স্টাডি করা
বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে পড়তে বসলে পড়ার চেয়ে আড্ডাবাজি বেশি হয় স্বাভাবিক, তাই বলে ব্যাপারটি যে কাজের নয় তা বলা যাবে না! মানুষ একটি জিনিস শিখে অনেকরকম উপায়ে- শুনে, পড়ে, লিখে, বলে। একবার পরীক্ষার জন্য সারাদিন নাক-মুখ গুঁজে বই পড়ে দেখি মাথায় আসলে কিছুই ঢুকেনি, আমি বেশ মনমরা হয়ে ক্লাসে গেলাম। সেখানে অনেকে একসাথে বসে পড়ালেখা করছে, এক বন্ধু বিশাল টপিকটি দুই মিনিটে আমাকে ঝটপট বুঝিয়ে বললো এবং ম্যাজিকের মতো পুরো বিষয়টি আমি ধরে ফেললাম!
গ্রুপ স্টাডির আনন্দ এখানেই- কেউ চুপচাপ বসে থাকে না, সারাক্ষণ কেউ কিছু বলছে শুনছে লিখছে এবং এর মাঝে কখন যে বিষয়টি তোমার মনে গেঁথে যাবে ভাবতেও পারবে না!
২২) অনলাইন ব্যবহার করে পড়ালেখা করা
পরীক্ষা এসে গেছে, এতদিন গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি এবার একটু বই খাতার সাথে পরিচয় হওয়া দরকার, আমি বইটি খুলে একেবারে থতমত খেয়ে গেলাম! পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠাজুড়ে অনেক কিছু লেখা। কিছু মাথায় ঢুকছে না। আমার মনে হচ্ছে অথৈ সমুদ্রে ভাসছি, অনেকক্ষণ বোঝার চেষ্টা করে আমার মাথা গরম হয়ে গেল। আমি তখন টপিকটি নিয়ে 10 Minute School, Khan Academy, YouTube ইত্যাদি সাইটে ঘাঁটাঘাঁটি করলাম এবং কিছুক্ষণের ভেতর টপিকটি সম্পর্কে আমার একটি পরিষ্কার আইডিয়া তৈরি হয়ে গেল!
মস্তিষ্ক একসাথে একগাদা তথ্য পছন্দ করে না, তাই হঠাৎ করে বই খুলে এত বিশাল আলোচনা দেখে বেশ চমকে যেতে হয়! অনলাইনে বিভিন্ন ছোট ছোট ভিডিও/ছবি/লেখার মাধ্যমে খুব ইন্টারেস্টিং ভাবে বিষয়গুলো বোঝানো হয়, তাই খুব কম সময়ে একটি জিনিস ভালোভাবে বুঝতে চাইলে অনলাইনের কোন বিকল্প নেই!
২৩) নিয়মিত অল্প করে পড়া
একটি দেয়াল তৈরি করতে ইটের উপর ইটের অনেকগুলো সারি বসাতে হয়, কেবল একটি সারি দিয়ে দেয়াল তৈরি হয়ে যায় না। আমরা অনেকেই বেশ ফাঁকিবাজ, পরীক্ষার আগের রাতে হুলস্থুল বই উল্টেপাল্টে একটি জগাখিচুড়ি প্রস্তুতি নেই এবং কখনোই বিষয়গুলো ভালোভাবে শেখা হয় না!
কিন্তু বইটি যদি নিয়মিত অল্প অল্প করেও পড়া হয় তবে এটি সেই সারি সারি ইটের মতো কাজ করে, আমাদের মস্তিষ্কে পড়াটি তখন বেশ সুন্দরভাবে গেঁথে যায়। একটি জিনিস একবারে শিখতে যাওয়ার চেয়ে নিয়মিত একটু একটু করে পড়লে সেটি মনে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ।
২৪) Concept Tree ব্যবহার করে পড়া
কোন বিষয় পড়ার আগে অধ্যায়গুলোকে কয়েকটি অংশে ভাগ করে নিলে পড়তে সুবিধা হয়। একে একটি গাছের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। গাছটিকে একটি অধ্যায় বিবেচনা করে প্রতিটি পাতায় অংশ গুলোর একটি করে সারমর্ম লিখে পড়লে পড়া মনে রাখতে সহজ হয়। এ পদ্ধতিকে কনসেপ্ট ট্রি বলা হয়। পড়া মনে রাখতে এটি বেশ কার্যকর।
২৫) পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা
কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে এই বিষয়ে অনেকেরই ধারণা এমন যে সারাদিন-সারারাত পড়লেই পড়া বেশি মনে থাকে। এটা নিতান্তই ভুল ধারণা। কারণ সবসময় আমাদের ব্রেইন একইভাবে কাজ করতে পারে না। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিকালের পর আমাদের ব্রেইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বিকালের পরে অর্থাৎ সন্ধ্যায় বা রাতে পড়া বেশি কার্যকর হয়।
তথ্যসংগ্রহ:
https://www.wikihow.com/Study-More-Effectively
১০ মিনিট স্কুলের অনলাইন ব্যাচগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করো:
- ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির পড়াশোনার সবকিছু নিয়ে টেন মিনিট স্কুল অনলাইন ব্যাচ!
- ৯ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩ [বিজ্ঞান বিভাগ]
- ১০ম শ্রেণি [SSC 2024] অনলাইন ব্যাচ [বিজ্ঞান বিভাগ]
- SSC 2023 শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কোর্স [বিজ্ঞান বিভাগ]
- HSC 2023 শর্ট সিলেবাস ক্র্যাশ কোর্স [বিজ্ঞান বিভাগ]
- HSC 2024 ক্র্যাশ কোর্স – প্রথম পত্র [বিজ্ঞান বিভাগ]
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com
টেন মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন