তুমি হয়তো খুবই অল্প সময়ের মধ্যে মিরপুর থেকে ধানমন্ডি যেতে চাচ্ছো। পকেট থেকে স্মার্টফোন বের করে রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে একটা বাইক ডেকে ফেললে। হয়তো তোমার সামনে এক্সাম। ফিজিক্স সিলেবাস শেষ হয় নি এখনো। চট করে স্মার্টফোন হাতে নিয়ে টেন মিনিট স্কুলের ফিজিক্স ক্লাসগুলো করা শুরু করলে। ফেসবুকে গ্রুপের মাধ্যমে ফ্রেন্ডদের সাথে নোটস শেয়ার করছো প্রতিনিয়ত।
কোন হাইভোল্টেজ ফুটবল ম্যাচ মিস করলে ইউটিউবে ঢুঁ মেরে হাইলাইটস দেখে ফেলছো মিনিটের মধ্যেই। আবার এই লেখাটাও হয়তো স্মার্টফোনেই পড়ছো! এ রকম উদাহরণ আরও হাজারটা দেয়া যাবে। এখন প্রশ্ন হলো, স্মার্টফোন কি তোমার লাইফস্টাইলকে প্রভাবিত করছে? অবশ্যই! টেকনোলজি দিন দিন যত বেশি উন্নত হচ্ছে আমাদের জীবনযাত্রাও তার সাথে সাথে একটু একটু করে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কথা হলো এই পরিবর্তন ততক্ষণ পর্যন্ত সুন্দর যতক্ষণ পর্যন্ত তা ইতিবাচক।
প্রথম আলো পত্রিকায় একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম। সেখানে একটা সুন্দর গল্প বলা হয়েছিলো। সেটা তোমাদের সাথেও শেয়ার করি। লিফটে এক ভদ্রলোক চারতলায় যাবেন বলে উঠলেন। কিন্তু লিফটে উঠেই তিনি তার মুঠোফোনে এমন মশগুল হয়ে গেলেন যে চারতলার বোতাম চাপতেই ভুলে গেলেন। খানিক বাদে তার হুশ ফিরে এল। ততক্ষণে লিফট ছয়তলায় পৌঁছে গেছে। তড়িঘড়ি করে একবার দরজা, একবার লিফটের বোতামগুলো দেখতে দেখতে হতাশ হয়ে আবার মুঠোফোনে মনোযোগ দিলেন।
এই গল্পটার প্রেক্ষিতে আরও কিছু কথা বলি। অনেক সময় এমন দেখা যায়, যে কেউ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে লাইভ কনসার্ট দেখতে এসে ফোনে ভিডিও করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে! দেখা যাচ্ছে লাইভে শিল্পী গান করছে আর লোকটা ফোনের মধ্যে দিয়ে তার গান দেখছে আর ভিডিও করছে। আবার অনেক সময় আমরাই কারো বাসায় বেড়াতে গেলে তাদের জিজ্ঞেস করি, “ওয়াইফাই আছে?” ফোনে চার্জ না থাকলে জিজ্ঞেস করি, “চার্জার আছে?”
আসলে এই অভ্যাসগুলো আমাদের মাঝে দিন দিন ঢুকে পড়ছে। এখন আবার আরেকটি প্রশ্ন স্মার্টফোন কি আমাদের লাইফস্টাইলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে? হ্যাঁ, ফেলছে। ইতিবাচক প্রভাব অনেক থাকা সত্ত্বেও নেতিবাচক প্রভাবগুলো বর্তমানে আমাদের কাছে ভয়ংকর চিন্তার বিষয়। সাম্প্রতিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গড়ে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় স্মার্টফোনের পিছনে ব্যয় করে এমন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আরও কিছু পরিসংখ্যান থেকে আমরা নেতিবাচক দিক সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে পারি।
- ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী স্মার্টফোন ইউজারদের উপর একটি সার্ভে করে দেখা যায়, ২২% ব্যবহারকারী ৪-৫ মিনিট পর পর তাদের স্মার্টফোন চেক করে এবং ৫১% ব্যবহারকারী প্রতি ঘণ্টায় তাদের ফোন চেক করে!
- একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী প্রতিদিন গড়ে সাতচল্লিশবার স্মার্টফোন হাতে তুলে নেয়। এক বছরে যার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭,১৫৫ বার!
- ৮৫% স্মার্টফোন ব্যবহারকারী পরিবার কিংবা বন্ধুদের সাথে কথা বলার সময় স্মার্ট ফোন হাতে তুলে নেয়!
- ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনের পিছনে গড়ে প্রতিদিন ২৬১মিনিট (প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা) সময় ব্যয় করেন একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী।
- সেরা ৫ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী গড়ে দৈনিক ৭৬মিনিট (১ঘণ্টা ১৬মিনিট) ব্যয় করেন।
- গড়ে একজন স্বাভাবিক স্মার্টফোন ইউজার ২৬১৭ বার Tap, Swipe, Click করে থাকে!
আরো পড়ুন: যেসব এপ্লিকেশন আপনার স্মার্টফোন ব্যবহারকে করবে আরো সহজ
এই পরিসংখ্যানগুলোর মধ্যে দিয়ে মানুষের স্মার্টফোন ব্যবহারের ভয়ংকর মাত্রা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোনের প্রতি মানুষের আসক্তি তৈরি হচ্ছে যা কিনা যে কোন মাদকদ্রব্য অথবা জুয়ার প্রতি আসক্তির মতনই ভয়াবহ! অনেকেই হয়তো বিষয়টাকে তাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে দিতে চাইবেন বা অস্বীকার করবেন এরকম কথাবার্তাকে, কিন্তু দিন শেষে এটিই বাস্তবতা। স্মার্টফোনের প্রতি এই আসক্তিকে Nomophobia বলা হয়ে থাকে। যার অর্থ হচ্ছে হাতের কাছে মোবাইল ফোন না থাকার ভীতি। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের উপর নির্ভরশীলতার মাত্রা এত বেশি হয়ে যায় যে স্মার্টফোন হাতের কাছে না থাকলেই এটি উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়। এই বিষয়টিকে অনেক জায়গায় বলা হয়, “মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছে না, স্মার্টফোনই বরং মানুষকে ব্যবহার করছে!”
এখন চলো একটা পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করি, তুমি স্মার্টফোন ব্যবহার করছো নাকি স্মার্টফোনই তোমাকে ব্যবহার করছে!
তুমি কি স্মার্টফোনের প্রতি আসক্ত?
আসলে প্রশ্নের উত্তরটা নির্দিষ্ট করে দেয়া সম্ভব না। আবার কাউকে সরাসরি “স্মার্টফোনের প্রতি আসক্ত” বলে আহত করার উদ্দেশ্য অবশ্যই আমার নেই। কিন্তু যে দশটি Yes-No Question করা হয়েছে তার উত্তরের ভিত্তিতে কোন মানুষ অন্তত স্মার্টফোনের প্রতি তার নির্ভরশীলতার বিষয়টি আরও ভালোভাবে অনুভব করতে পারবে।
এখন চট করে নিচের দশটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলো আর কয়টা উত্তরে “হ্যাঁ” আসে তা গুনতে থাকো। তারপরে রেজাল্ট মিলিয়ে তোমার বর্তমান অবস্থান যাচাই করে নাও।
১. তুমি কি ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার করো এবং ফোন হাতে রেখেই ঘুমিয়ে পড়ো?
২. সকালে অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙার পর বিছানায় শুয়ে শুয়েই সবার প্রথমে কি তুমি ফোনে নোটিফিকেশন চেক করতে শুরু করো?
৩. বন্ধুদের সাথে বাহিরে কোথাও খেতে গেলে কি তাদের সাথে কথা বলার পরিবর্তে স্মার্টফোন নিয়ে বিজি থাকো?
৪. বাসায় ডাইনিং টেবিলে খাওয়ার সময় কি ফেসবুক স্ক্রল অথবা ম্যাসেজিং করো?
৫. ফোন না নিয়ে বাসার বাহিরে বের হলে কিংবা বের হয়ে যদি দেখো ব্যাটারি প্রায় শেষের দিকে তাহলে কি তোমার মাঝে উদ্বিগ্নতা সৃষ্টি হয়?
৬. ইউটিউবে কি মাঝে মাঝেই একের পর এক ভিডিও দেখতে দেখতে নিজের অজান্তেই ঘণ্টা খানেক সময় পার করে ফেলো?
৭. তুমি কি বিকেলবেলা বাহিরে হাঁটাহাঁটি করা বা বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার পরিবর্তে বাসায় কোন মাল্টিপ্লেয়ার গেমস খেলতে বেশি পছন্দ করো?
৮. পড়ার মাঝে কিছুক্ষণ বিরতির জন্যে স্মার্টফোন হাতে নিয়ে কি ঘণ্টা দু’য়েক ফেসবুক ইউটিউব ঘেঁটে আবার পড়ার কাছে ফিরে আসো?
৯. স্মার্টফোনে গেমস খেলতে খেলতে কিংবা মজার কোনো ভিডিও দেখতে দেখতে সময়ের প্রতি বেখেয়াল সৃষ্টি হয়েছে। এমন কারণে কি মাঝে মাঝেই ক্লাসে বা কোনো জায়গাতে দেরিতে পৌঁছাতে হয়?
১০. তোমার নিজের কাছে কি মাঝে মাঝেই মনে হয় যে, “আমি প্রয়োজনের বেশি সময় স্মার্টফোনের প্রতি ব্যয় করে ফেলছি?”
Result Time!
“হ্যাঁ” এর সংখ্যা ১-৪: তোমার আসলে ভয়ের কিছুই নেই তুমিই তোমার স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করছো। পরিমিত স্মার্টফোন ব্যবহারের রোল মডেল বলা যায় তোমাকেই! এত চমৎকার নিয়ন্ত্রিতভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্যে তুমি আছো সকল ধরণের আশঙ্কার বাহিরে। তাই তোমাকে অভিনন্দন!
“হ্যাঁ” এর সংখ্যা ৫-৭: মাঝারি পর্যায়ে যে আছো তা নিশ্চয় বুঝতেই পারছো। আরেকটু চেষ্টা করে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলেই তুমিও আরও নিয়ন্ত্রিতভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে।
“হ্যাঁ” এর সংখ্যা ৮-১০: স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রতি আরও সতর্কতা বৃদ্ধি করা উচিত। যদি সম্ভব হয় চেষ্টা করো মাঝে মাঝেই স্মার্টফোন থেকে বিচ্ছিন্ন সময় পালন করতে। নিজের সময়গুলোকে সৃজনশীল কাজে ব্যবহার করে নিজেকে ব্যস্ত রাখলেই স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করতে পারবে।
আশা করি এই প্রশ্নের উত্তরগুলো করার মাধ্যমে তোমার মাঝে এক ধরণের ‘Realization’ এর সৃষ্টি হবে। এখন তাহলে স্মার্টফোন আসক্তি নিয়ে আরও কিছু কথা বলা যাক।
আচ্ছা মানুষ স্মার্টফোনে আসলে করে কী যে তারা আসক্ত হয়ে পড়ে?(!) সাধারণভাবে যোগাযোগ এবং সকলের সাথে সংযোগ রাখার জন্যে ফোনে কথাবার্তা বললে তো এতটা আসক্তির জন্ম হওয়ার কথা ছিলো না। খুব সাধারণ দৃষ্টিতেই যদি খেয়াল করো তাহলেই বোঝা যায় আসক্তি জন্ম হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর স্মার্টফোন গেমস থেকে। এখন চলো এগুলো নিয়ে আলোচনা করে গভীরে ঢোকা যাক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্তি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সৃষ্টি হয়েছিলো আসলে মানুষের সাথে মানুষকে কানেক্ট করার জন্যে। যোগাযোগের জন্যে এটি ব্যবহার করতে বলা হলেও পরবর্তীতে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই হয়ে উঠেছে অনেকের জন্যে ব্যাবসা করার প্লাটফর্ম। অনেকে এখানে পড়ালেখা করে আবার অনেকে পড়ালেখা করায়। আবার অনেকের জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো সেলফি তুলো আর আপলোড দাও! কয়টা লাইক, কয়টা লাভ রিয়াক্ট, কয়টা কমেন্ট, কয়টা শেয়ার-এগুলো কাউন্ট করা আর নিজেকে স্বস্তি দেয়া। এখন কেউ যদি কোন প্রয়োজন ছাড়াই জাস্ট ছবি আপলোড দেয়া আর লাইক কাউন্ট করার জন্যেই ফেসবুক চালায় তাহলে তো সে তার এত মূল্যবান সময় এভাবেই নষ্ট করে চললো।
আসলে আসক্তির জন্ম নেয় তখনই যখন কেউ সেটা প্রোডাক্টিভভাবে ব্যবহার না করে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পজিটিভলি ব্যবহার করাটাই সবার জন্যে পরামর্শ হিসেবে থাকবে।
অনেকে আছে যারা ফেসবুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করে কাটিয়ে দেয়, আর পোস্টে পোস্টে রিয়্যাকশন দিয়ে সময় নষ্ট করে। এটাও দূর করা সম্ভব ‘Realization’ এর মাধ্যমেই। যখন কেউ নিজে থেকে উপলব্ধি করতে পারবে যে আমি আমার অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলছি সোশ্যাল মিডিয়াতে, তখন সে নিজে থেকেই নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমিত সময় ব্যয় করার মন মানসিকতা তৈরিতে এটাই সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয়।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
ঘরে বসে Freelancing
“গেমস” এর প্রতি আসক্তি
যত দিন যাচ্ছে, আস্তে আস্তে বিশ্বব্যাপী গেমিং ইন্ডাস্ট্রিও অনেক সমৃদ্ধ হচ্ছে। অসাধারণ সব গেমস মানুষেরা দারুণ উপভোগও করে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত উপভোগ করা আবার দিনশেষে আমাদের আসক্তির দিকেই ঠেলে দেয়। বিশ্বজুড়ে তার সাথে আমাদের দেশেও হুট করে কিছু গেমসের “ট্রেন্ড” শুরু হয়ে যায় আবার দেখা যায় নতুন কেউ এসে সে “ট্রেন্ড” ভেঙে নতুন করে আবার তৈরি করে। খুব বেশি আগের কথা না Clash of Clans গেমস এর ভয়ংকর “ট্রেন্ড” তৈরি হয়েছিলো। তারপর সেই “ট্রেন্ড” Clash Royale, Mini Militia হয়ে বর্তমানে Player Unknown Battle Ground বা PUBG তে এসে ঠেকেছে। মাল্টিপ্লেয়ারে বন্ধুদের সাথে কথা বলে মজা করে গেমস খেলার মধ্যে দিয়ে ভয়ংকর আনন্দ পাওয়া যায় তা অবশ্যই ঠিক কিন্তু প্রতি ম্যাচে ত্রিশ-চল্লিশ মিনিট সময় ব্যয় করে দুই-চারটে ম্যাচ খেলতে খেলতে যে তা এক পর্যায়ে নেশায় পরিণত হয় সেদিকে আমাদের কোন মনোযোগই নেই।
তোমাদের একটা গল্প বলি, তোমরা কি জানো কীভাবে আমাদের উপমহাদেশের মানুষেরা “চা” খাওয়া শুরু করেছে অর্থাৎ চায়ের প্রচলন শুরু হয়? এটা ব্রিটিশ আমলে শুরু হয়। ইংরেজরা বিভিন্ন অঞ্চল নির্ধারণ করে মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান করে দেয় এবং তিন মাস সেখানে ফ্রীতে চায়ের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে মানুষেরা তিন মাস পর্যন্ত ফ্রীতে চা পান করেছে এবং তিন মাস পর চায়ের দাম ঠিক করা হয় এক পয়সা। জনসাধারন তিন মাস ফ্রী চা পান করে চায়ের নেশা আর ছাড়তে পারেনি। এক পয়সা, দু পয়সা করে করে চায়ের দাম বাড়তে থাকে আর এভাবেই চা এর প্রচলন হতে থাকে।
এখন কথা হলো গেমস থেকে হঠাৎ চায়ে কেনো ঢুকে গেলাম! কারণ এটা খুবই চমৎকার একটা বিজনেস স্ট্র্যাটেজি। যেটা ব্যবহার করা হয় গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতেও। Clash of Clans এর সময় দেখতাম প্রথমে মানুষ সাধারণভাবে গেমস খেলছে। কয়েকদিন পর দেখা গেলো টাকা দিয়ে “জেমস” কিনছে। তারপর Asphalt গেমসে কিছুদিন ফ্রি সুন্দর সুন্দর গাড়িতে খেলা করে পরবর্তীতে টাকা দিয়ে গাড়ি কেনা শুরু করলো। যে গাড়ির বাস্তবে কোন অস্তিত্বই নেই। স্ক্রিনের ভিতরে থাকা স্বপ্নের Lamborghini (!)।
এরকম হাজার উদাহরণ দেয়া সম্ভব। কিন্তু জীবনের এত গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোকে পরিবার বন্ধুদের সাথে না কাটিয়ে স্মার্টফোন গেমস কিংবা এরকম কিছুর আসক্তিতে পড়ে পার করা সত্যিই হতাশাজনক। শুধু উপলব্ধি করাই হয়তো হতে পারে এই সমস্যার সমাধান। ভালোভাবে বুঝতে পারা এবং সময়ের সঠিক ব্যবহারের ইচ্ছাই এরকম আসক্তির ভেতর থেকে কাউকে বের করতে পারে।
তথ্যসূত্র:
১. https://m.huffpost.com/us/topic/smartphone-addiction
২. https://www.bankmycell.com/blog/smartphone-addiction/#chapter2
৩. https://www.prothomalo.com/amp/technology/article/1445171/প্রযুক্তি-আসক্তি-আসলে-কী
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Adobe Illustrator Course (by Mohammad Yeasir)
- Graphic Designing with Photoshop Course (by Sadman Sadik)
- Graphic Designing with PowerPoint Course (by Anisha Saiyara Taznoor)
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing Course (by Sadman Sadik)
- Facebook Ads Mastery by Mark Anupom Mollick
- Web Design Course (by Fahim Murshed)
- Communication Masterclass Course by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadiq and Sadman Sadik)
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course (by Joyeta Banerjee)
- SEO Course for Beginners (by Md Faruk Khan)
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন