এখন তুমি কী করছো? উত্তরটা আমি আন্দাজ করতে পারছি। যেহেতু উপরের প্রশ্নটি তুমি পড়েছো, তার মানে তুমি আজকের এই লেখাটি পড়ছো। পড়তে পড়তে হয়তো তোমার আরেকটি কাজ করার কথা মনে হতে পারে। তখন তুমি কোনটা করবে? লেখাটা পড়বে নাকি সেই কাজটা করবে?
আচ্ছা ধরে নিলাম, তোমার পুরো লেখা পড়ার ঠিক তেমন একটা সময় নেই। তাই তুমি ব্লগ পড়া বাদ দিয়ে ব্লগটি শুনতে থাকলে। কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে ব্লগটি শুনছো আর পাশাপাশি অন্য কাজ ও সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছো। তখন তোমার এক ফ্রেন্ড তোমাকে মেসেজ দিল। মেসেজ থেকে জানতে পারলে আগামীকাল দুপুরে তোমাকে সে কাচ্চি ট্রিট দেবে। কাচ্চির নাম শুনেই তো তুমি খুশিতে আটখানা!
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তোমার খুশিটা কিছুক্ষণ পরই ম্লান হয়ে গেলো, যখন মনে পড়ল আগামীকাল দুপুরে তোমার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ক্লাস আছে যেটা একদমই মিস দেওয়া যাবে না। তো এখন তুমি কী করবে? মন বলে কাচ্চি কিন্তু মাথা বলে ক্লাস! অনেক বড় ঝামেলাই বটে। কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরবে? কোনটা ছাড়লে লাভ কম, ক্ষতি বেশি আর কোনটা ছাড়লে লাভ বেশি, ক্ষতি কম?
আমাদের প্রায় সবাইকেই তোমার মতো এরকম ঝামেলায় পড়তে হয়। আমাকে তো অহরহ পড়তে হয়। বিশ্বকাপে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার খেলা দেখবো, নাকি বসে বসে ব্লগের কাজ করবো? এই সমস্যাটাতে আমি সম্প্রতি পড়েছি। খাওয়া-দাওয়া থেকে টাকা বাঁচিয়ে ট্যুরে যাবো, নাকি প্রতিদিনই শান্তিমতো খাবো? এভাবেই প্রায়ই আমাকে নানারকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের সম্মুখীন হতে হয়।
ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:
৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৫
মাঝেমাঝে বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে হলেও আমাকে এরকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন, আমি আবারো আমার কথাই বলি। আমি অর্থনীতি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। আমাদের হয়েছে কি, ৪র্থ সেমিস্টার শুরু হয়েছে। আর আমাদের সবাইকেই নিজ নিজ অপশনাল সাবজেক্ট নির্বাচন করতে হবে। আমি তো ভালো সমস্যাতেই পড়েছি। অ্যাকাউন্টিং নেবো, নাকি অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স? কারণ অপশনাল সাবজেক্টের উপরও নির্ভর করে ক্যারিয়ারে আমি কোনদিকে যেতে চাই।
আবার ভর্তি পরীক্ষার সময় আমি তো এর চেয়েও বড় সমস্যাতে পড়েছিলাম। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বো, নাকি বিভাগ পাল্টিয়ে ডি ইউনিটে পরীক্ষা দেবো? বিশাল সমস্যা ছিল। অনেক দুশ্চিন্তা ছিল আমার। অনেক ভেবেচিন্তে ডি ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ফলাফলটা আশা করি সবাই বুঝতে পারছো।
এরকম ছোট বড় নানারকম সিদ্ধান্ত আমাদের জীবনে নিতে হয়। এবং সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েই আমরা কেউ হয়তো ভ্রুটাকে কুঁচকে কিম্ভূতকিমাকার চেহারা বানিয়ে ভাবতে বসি, হয়তোবা কেউ ভাবতে ভাবতে মাথার চুলগুলো ছিঁড়তে থাকি। দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ে না আমাদের। বসে বসে লাভ ক্ষতির হিসাব মিলাতে থাকি। হিসাব আর মিলতে চায় না। হেডফোনের তারের মতোই সব যেন প্যাঁচ খেয়ে যায়।
আসলে ঢেঁকি যেমন স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে, আমারো তেমন অবস্থা। এখানেও অর্থনীতিকে নিয়ে এলাম। তবে অপরচুনিটি কস্ট কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে, সেটারই খোলাসা করছি ধীরে ধীরে।
আমাদের সবারই তো অনেক অনেক ইচ্ছা থাকে। কিন্তু আমাদের সম্পদ বা রিসোর্স সে তুলনায় যারপরনাই কম। তো অর্থনীতি কী করে, আমাদের অপরিসীম চাওয়া এবং স্বল্প সম্পদের মধ্যে সামঞ্জস্য ঘটায়। আর সেটি এমনভাবে ঘটায় যাতে করে সর্বাধিক লাভ হতে পারে। একে আমরা বলি রিসোর্স এলোকেশন। যেহেতু রিসোর্স অনেক কম তাই মানুষের সব ইচ্ছা একসাথে পূরণ হতে পারে না।
আরো পড়ুন: মিয়ানমার : অর্থনীতি বনাম মানবতা
অর্থনীতি মানুষের আচার-আচরণ, এসব পর্যালোচনা করে যেটা মানুষের জন্য সবচেয়ে লাভজনক, সেটাই বাছাই করে দেয়। তবে সবচেয়ে ভালো জিনিসটা বাছাই করার জন্য অন্যান্য বিকল্প জিনিসকে স্যাক্রিফাইস করতে হয়।
আর এভাবে করে অর্থনীতি মানুষের আচার আচরণ, ইচ্ছা, রিসোর্স ইত্যাদির সুন্দর বিশ্লেষণ করে আমাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে। তাই অর্থনীতি নামটা যতটা খটমট শুনায় এর ভিতরের কন্সেপ্টগুলো ঠিক ততটা মজার। আমাদের জেনারেশনের ভাষায় আমরা যাকে বলি “কুল”।
অপরচুনিটি কস্ট এর মধ্যে সবচেয়ে কুল একটা কনসেপ্ট। আমরা যে একটু আগে বিকল্প কাজগুলোকে স্যাক্রিফাইস সম্পর্কে জানলাম তার পিছনের যে কস্ট তাকেই বলে সুযোগ ব্যয়। আরেকটু সাজিয়ে বললে বলা যায়, Opportunity Cost বা সুযোগ ব্যয় হচ্ছে,
“অনেকগুলো কাজের মধ্যে যখন একটি কাজকে বেছে নিতে হয় তখন অন্য কাজগুলো করার যে সুযোগ হারাতে হচ্ছে সেটা।“
তুমি এখন এই ব্লগটি পড়ছো বা শুনছো। তুমি বন্ধুদের সাথে চ্যাট করে, ইন্সটাগ্রামে ছবি দেখে, ফেসবুকে মিমগুলোতে হাহা রিয়েক্ট দিয়ে, কিংবা গান শুনে, এমনকি শুধু উদাস হয়ে বসে বসেও সময়টা কাটিয়ে দিতে পারতে। কিন্তু তুমি সেটা না করে আমার এই লেখাটি পড়েই যাচ্ছো (যার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে)। এই যে তুমি এই লেখাটি পড়ার জন্য বাকি সব কাজ বাদ দিলে সেই কাজগুলোর সুযোগ হারানোর মূল্যকেই অপরচুনিটি কস্ট বলা হয়।
এই সুযোগ ব্যয় বেশি না কম হচ্ছে সেই হিসাব করে কাজ করলে আমাদের লাভ বৈ ক্ষতি হবে না।
আরেকটা উদাহরণ দিই। ধরো, আগামীকাল তোমার পরীক্ষা। তোমার এখন পড়ালেখা করা উচিত। কিন্তু তুমি যদি এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি না নিয়ে বসে বসে গল্পের বই পড়তে থাকো, তাহলে তোমার যে সুযোগটি হারাতে হচ্ছে সেটা হলো পরীক্ষার প্রস্তুতি না
নেওয়াটা, যার অপরচুনিটি কস্ট নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। কারণ, পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিকমতো না নিলে রেজাল্ট খারাপ হবে। অপরদিকে যখন তুমি গল্পের বই পড়া বাদ রেখে মনোযোগ দিয়ে পড়তে বসবে, তখন সুযোগ ব্যয়টা হবে গল্পের বইটা পড়তে না পারা। এবং এটার কস্ট আগেরটার থেকে কম হবে। কারণ গল্পের বই পরীক্ষার পরেও যেকোনো সময় পড়া যাবে। কিন্তু পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিতেই হবে।
ঠিক তেমনি এরকম ছোট বড় নানান রকমের সিদ্ধান্ত খুব সহজেই নেওয়া যায় অপরচুনিটি কস্টকে মাথায় রেখে। ধাপে ধাপে কাজটি করা যেতে পারে।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Facebook Marketing
১। বুঝতে পারা:
প্রথমেই বুঝতে হবে যে তোমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এবং কেন সিদ্ধান্তটি নিতে হচ্ছে, কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেটা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
উদাহরণ দিয়ে বুঝালে আরো ভালো হবে। আমি আমার কথাই বলি। আমি এবার ঈদে সালামি পেয়েছি ২০০০ টাকা। এই ২০০০ টাকা কীভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে খরচ করা যায় সেটির জন্য আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২। প্রয়োজনীয় তথ্য জানা:
সিদ্ধান্তটা যেন সঠিক হয় তার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত তথ্য জানা। তাই আমাকে জানতে হবে ২০০০ টাকা দিয়ে আসলে কী কী করা যায়। যেমন, আমি যদি ভাবি যে এই ২০০০ টাকা দিয়ে আমি মোটরবাইক কিনব তাহলে তা হবে অবান্তর। কারণ, এত অল্প টাকায় আমি সেকেন্ড হ্যান্ড তো নয়ই, থার্ড হ্যান্ড মোটরবাইকও পাবো না। তাই সঠিক তথ্য জানতে হবে। কী কী করা যেতে পারে এই পরিমাণ টাকা দিয়ে।
৩। বিকল্পগুলোকে চিনে রাখা:
কোনো একটা জিনিস বেছে নেওয়ার জন্য আমাদের আরো অনেক বিকল্প জিনিসকে বাদ দিতে হয়। আমাদের যেহেতু লক্ষ্যই হচ্ছে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যা থেকে সবথেকে বেশি উপকৃত হওয়া যায়, তাই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে যতরকমের
বিকল্প আছে তা জেনে নিতে হবে।
তথ্য জানার পর আমার বিকল্পগুলোকে একটা লিস্ট করলাম। যেমন আমি এখন জানি কত রকমের বিকল্প আছে আমার। আমি আমার সেই ২০০০ টাকা দিয়ে যা যা করতে বা কিনতে পারি তা হল,
একটা জামা
অনেকগুলো গল্পের বই
একটা অনেক সুন্দর ব্যাগ
একটা চশমা
অনেক প্লেট কাচ্চি
ট্যুরে যেতে পারি
ব্র্যান্ডেড জুতা
আরও অনেক অনেক কিছু করা যেতে পারে। তবে আমার জন্য এইগুলোই হচ্ছে আমার বিকল্প। যার মধ্যে আমি সবচেয়ে যেটা আমার দরকার সেটা বেছে নিব।
৪। প্রায়োরিটি ঠিক করা:
অনেক সময় অনেকগুলো বিকল্প আমাদের সামনে চলে আসে। একগাদা কাজ করার ইচ্ছা জাগে। তখন প্রায়োরিটি সেট করতে হয়। আর সেটা ঠিক করতে হয় নিজেদের ভালোলাগা, প্রয়োজন, ইচ্ছা এসবের উপর নির্ভর করে। এবার প্রায়োরিটি ঠিক করার পালা। সবচেয়ে বেশি থেকে কম এইভাবে লিস্ট করা উচিত।
আমারগুলো হল,
i. চশমা, অনেকগুলো গল্পের বই
ii. ট্যুর
iii. অনেক প্লেট কাচ্চি
iv. জামা
v. ব্যাগ, জুতা
আমি মনে করি, চশমা এবং বই কেনা বাদে বাকিগুলো স্যাক্রিফাইস করার অপরচুনিটি কস্ট অনেক কম। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি এইগুলোকে বাদ দিতে পারি। কিন্তু তারপরও আমার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা হচ্ছে না। কারণ চশমা কিনবো নাকি
অনেকগুলো বই কিনবো, তা নিয়ে আমি সন্দিহান। আর সেই সমস্যা সমাধান করতে গিয়েই অপরচুনিটি কস্ট তার কারিশমা দেখায়।
আরো পড়ুন: সিদ্ধান্ত নেবার সময় মাথায় রাখবে যে ১০টি বিষয়!
৫। হিসাব-নিকেশ করা:
বিকল্পগুলোকে কাটছাঁট করে ছোট একটা লিস্টে আনার পর এবার হিসাব-নিকেশ করতে হবে। যেটাতে কস্ট বেশি সেটা স্যাক্রিফাইস করলে বোকামি হবে। কিন্তু এখানে তো টাকা পয়সার কিছু ব্যাপার নেই। হিসেব কীভাবে করবো?
ঠিক এখানেই অপরচুনিটি কস্ট তার কুলনেসটা দেখায়। ইমপ্লিসিট কস্ট বা ইন্ডিরেক্ট কস্ট হিসেবে এর অবদানের জুড়ি নেই। মানে কোনো কিছুকে টাকার সমান ধরা। এখন একটা ছকে যৌক্তিক অযৌক্তিক কারণগুলো বা সুবিধা-অসুবিধাগুলো লিখে ফেলো। তারপর সুবিধাগুলোকে ১ পয়েন্ট দাও আর অসুবিধেগুলোকে ০। এভাবে যে কাজে যত বেশি পয়েন্ট সেটার অপরচুনিটি কস্ট তত বেশি।
চশমা
পাওয়ার বেশি। না পড়লে চোখে কিচ্ছু দেখি না (১)
শখ নেই (০)
চশমাতে স্ক্র্যাচ পড়ে গিয়েছে। দেখতে সমস্যা হয়। (১)
চশমা না কিনলে বই পড়তে অসুবিধে হবে। (১)
টোটাল: ৩
বই
অনেক কিছু জানা যাবে (১)
শখ পূরণ হবে (১)
পরেও কেনা যাবে (০)
তেমন জরুরি না (০)
টোটাল: ২
তো আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, আমি বইয়ের অপরচুনিটি কস্ট চশমার থেকে কম।
৬। সিদ্ধান্তে আসা:
সর্বশেষ ধাপ। বেস্ট বিকল্পটি বেছে নেওয়া। আমার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে চশমা কেনাটাই বিজ্ঞের মত কাজ হবে। কারণ আমি আমার নতুন স্ক্র্যাচবিহীন চশমা পরে পরবর্তীতে কোনো না কোনো সময় অনেকগুলো বই কেনার শখ পূরণ
করতে পারব।
আর এভাবেই অপরচুনিটি কস্ট (Opportunity Cost) হিসেব করে তোমরাও আমার মতো ছোট-বড়-মাঝারি যেকোনো রকমের সিদ্ধান্ত খুব সহজেই নিতে পারো। কেবল দৈনন্দিন জীবনেই নয় এই অসাধারণ অথচ খুবই সহজ কন্সেপ্টটির উপর ভিত্তি করেই নানারকম বাণিজ্যিক, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।
যেমন ধরো, সরকার যদি বাজেটে খুব কম অংশ শিক্ষাখাতে রেখে বিরাট অংশ প্রশাসনিক কাজে লাগাতো তাহলে কেমন হতো? এই সিদ্ধান্তের অপরচুনিটি কস্ট হতো অনেক অনেক ছেলেমেয়ের পড়তে না পারার সুযোগ। তাই পলিসি মেকাররা এমনভাবে সব কিছু ঠিক করেন যাতে যে কাজকে স্যাক্রিফাইস করছেন সেটার কস্ট বেশি না হয়ে যায় এবং তা যেন দেশের জন্য উলটো ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
আবার কোনো প্রতিষ্ঠানের সিইও যদি ভাবেন তিনি তিনি তার কোম্পানীর প্রোডাক্টের পিছনে বিনিয়োগ না করে কেবল প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিংকেই সুন্দর করে সাজাবেন তাহলে তার সেই সিদ্ধান্তের পিছনের অপরচুনিটি কস্ট কী হবে, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো। তিনি বড় রকমের লোকসানের সম্মুখীন ও হতে পারেন। তাই তিনিও অনেক ভেবেচিন্তে সুযোগ ব্যয়ের হিসাব নিকাশ করেই সিদ্ধান্ত নেন।
এতক্ষণে আশা করি বুঝতে পারছো, অর্থনীতি– এই কঠিন শব্দটির পিছনে কী কুল একটি কন্সেপ্ট লুকিয়ে আছে! ডাক্তারি পড়বে না ইঞ্জিনিয়ারিং, চাকরি করবে না ব্যবসা, গান শুনবে না বই পড়বে সবকিছুর সিদ্ধান্তই এখন তোমার কাছে কোনো ব্যাপারই না।
আশা করছি এতক্ষণে কাচ্চি খাবে নাকি ক্লাস অ্যাটেন্ড করবে সেটারও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পেরেছো। কখনো কখনো ভবিষ্যতে অত্যধিক ভালো কিছু পাওয়ার কথা ভেবে কাচ্চিকে স্যাক্রিফাইস করতেই হয়!
তথ্যসূত্রঃ
১। https://simplyeducate.me/2012/12/16/opportunity-cost-decision-making-plus-examples/
২। https://www.umassd.edu/fycm/decisionmaking/process/
৩। নিঃস্বার্থ অর্থনীতি – What is Economics? http://shoshikkha.com/archives/4658
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Adobe Illustrator Course (by Mohammad Yeasir)
- Graphic Designing with Photoshop Course (by Sadman Sadik)
- Graphic Designing with PowerPoint Course (by Anisha Saiyara Taznoor)
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing Course (by Sadman Sadik)
- Facebook Ads Mastery by Mark Anupom Mollick
- Web Design Course (by Fahim Murshed)
- Communication Masterclass Course by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadiq and Sadman Sadik)
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course (by Joyeta Banerjee)
- SEO Course for Beginners (by Md Faruk Khan)
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন