মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার জন্য পাঁচটি অবশ্য করণীয়

February 2, 2022 ...

গায়ে সাদা এপ্রোন আর গলায় স্টেথোস্কোপ ঝোলানোর স্বপ্ন অনেক শিক্ষার্থীর, কিন্তু তাদের মধ্যে অল্প কিছু ছাত্র-ছাত্রী সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে পড়ার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যতগুলো ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা। 

বর্তমানে দেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা ৩ হাজার ২১২। অথচ ২০২০-২১ সেশনে মেডিকেল এডমিশন টেস্ট দিয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী! তাই এখনই কঠোর পরিশ্রম না করলে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। 

মেডিকেল এডমিশন কোর্স ২০২২

কোর্সটিতে যা যা থাকছে

  • ৫টি বিষয়ের ওপর ৮৬ টি লাইভ ক্লাস, ৮৬ টি লেকচার শীট ও ৯টি রিভিশন ক্লাস।
  • ডেইলি এক্সাম, মান্থলি এক্সাম, পেপার ফাইনাল, সাবজেক্ট ফাইনাল ও ৫ সেট পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট।
  •  

    এডমিশন টেস্ট হলো এমন এক পরীক্ষা যার কোনো শর্টকাট নেই। মনে রাখবে, ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থী বাছাই না, বরং বাদ দেওয়ার পরীক্ষা। আর তোমার কাজ হলো তুমি যেন কিছুতেই সেই বাদ পড়ে যাওয়া অংশে না পড়ো সেটা নিশ্চিত করা। 

    মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন:

    মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ৩০০। এর মধ্যে ২০০ নম্বর থাকে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ওপর। এক ঘণ্টাব্যাপী এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত নম্বর ১০০। তার মধ্যে:

    • জীববিজ্ঞান- ৩০
    • রসায়ন- ২৫
    • পদার্থবিজ্ঞান- ২০
    • ইংরেজি- ১৫
    • বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ- ১০

    এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ১৫ দিয়ে গুণ করার পর এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২৫ দিয়ে গুণ করে প্রাপ্ত গুণফল দুটির সমষ্টি থেকে জিপিএ মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ন্যূনতম ৯.০০ থাকতে হবে। সেই সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। পাশ নম্বর ন্যূনতম ৪০ না পেলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও আবেদন করা যাবে না। 

    মেডিকেল অ্যাডমিশন, মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্ট, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল এডমিশন
    মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য একনজরে

    মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার জন্য পাঁচটি অবশ্য করণীয় কাজ মেনে চললে তুমিও সেই সাদা এপ্রোন পরা একজনের হতে পারো। 

    ১. বিষয়ভিত্তিক  প্রস্তুতি:

    বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ:

    মেডিকেল প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনেককেই দেখা যায় এই অংশটুকু হেলাফেলা করতে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যেখানে ০.২৫ নম্বরের জন্যেও তোমার সিরিয়াল শ’খানেক পিছিয়ে যেতে পারে, সেখানে সাধারণ জ্ঞান অংশের জন্য বরাদ্দ আছে দশটা নম্বর! বাজার থেকে সাধারণ জ্ঞানের যেকোনো একটা বই কিনে নিয়ে বাংলাদেশ বিষয়াবলিটা আয়ত্ত করে নাও। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, শেখ মুজিবুর রহমান, পদ্মা সেতু, বাংলাদেশের নদ-নদী,  সম্পদ, বনাঞ্চল, সীমানা, উপজাতি, ছিটমহল- অন্যান্য বিষয়গুলোর সাথে এই কয়টা বিষয়ে জোর দিতে হবে। 

    ইংরেজি:

    ইংরেজির জন্য বিগত সালের এমবিবিএস, বিডিএস, বিসিএস ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বেশি করে পড়তে হবে। সাধারণত এগুলো থেকেই হুবহু প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়। 

    ইংরেজির বেশি গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো হলো: 

    • Synonym
    • Antonym
    • Voice change
    • Translation
    • Spelling 
    • Vocabulary 
    • Transformation
    • Phrase and Idioms 
    • Preposition 

    রসায়ন:

    মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে রসায়ন অংশে নম্বর তোলাটাই বেশ কঠিন। প্রথম পত্রের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ অধ্যায় থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। আর দ্বিতীয় পত্রের ১ম, ৪র্থ, ৫ম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় পত্রের ৩য় অধ্যায়ের ছোট ছোট অংকগুলো প্রায়ই আসে।

    রসায়ন অংশে ভালো করতে হলে রসায়ন দ্বিতীয় পত্রকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত এই অংশে জৈব যৌগ আছে যেটায় অনেকেরই সমস্যা থাকে। তাছাড়া কিছু বিক্রিয়া, রাসায়নিক বন্ধন, মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম, জৈব এসিড, তড়িৎ রাসায়নিক কোষ, অ্যালডিহাইড, হাইড্রোকার্বন ইত্যাদি বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে।

    মেডিকেল এডমিশন কোর্স ২০২২

    কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:

  • ২ ঘন্টা করে ৮৬ টি স্পেশাল লাইভ ক্লাস
  • মডেইলি এক্সাম, মান্থলি এক্সাম, পেপার ফাইনাল, সাবজেক্ট ফাইনাল, ৫ সেট পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট - সলভসহ এমসিকিউ এর উত্তরপত্র প্রদান
  •  

    পদার্থবিজ্ঞান:

    মেডিকেল এডমিশনে পদার্থবিজ্ঞান অংশে অংকের চেয়ে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন বেশি আসে। পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের অনুশীলনী থেকেই বেশি প্রশ্ন আসে। তাই প্রতিটি অধ্যায় পড়া শেষে সেই অধ্যায়ের অনুশীলনীতে যা যা আছে সব সমাধান করে ফেলতে হবে। এছাড়াও অধ্যায় শেষে ‘এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য নামের একটা অংশ আছে, সেটাও মুখস্থ করতে হবে। উদাহরণের গাণিতিক সমস্যাগুলোর নিয়ম ভালো করে রপ্ত করবে।

    জীববিজ্ঞান:

    এটাকে বলা যায় গেমচেঞ্জার। জীববিজ্ঞানে যদি তুমি ২৩-২৫টা উত্তর ঠিক করে আসতে পারো তাহলে তোমার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। 

    প্রাণিবিজ্ঞান থেকেই বেশি প্রশ্ন করা হয়, তাই প্রাণিবিজ্ঞানের মূল বইয়ের সংজ্ঞা, বইয়ের সব ছক, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য খুবই ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে। বিশেষ করে মানবদেহ-সম্পর্কিত খুঁটিনাটি সব তথ্য বারবার পড়ো। সবসময় একদম আপডেটেড সংস্করণ পড়বে। 

    উদ্ভিদবিজ্ঞানের প্রশ্নগুলো উদ্ভিদের বিভিন্নতা, অণুজীব, জৈবনিক প্রক্রিয়া, অর্থনৈতিকভাবে উপকারী উদ্ভিদ— এসব বিষয় থেকে আসে। এছাড়াও কোন বিজ্ঞানী কোন মতবাদের জন্য বিখ্যাত, কোন সূত্রটি কত সালে আবিষ্কৃত হয়েছে— এসব তথ্যও নখদর্পণে থাকতে হবে।


    Oct 4 2018আরো পড়ুন: মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্ট : মেধাবীদের পরামর্শ


    ২. বই দাগিয়ে পড়া:

    বই দাগানো অনেকেরই অপছন্দ হলেও এটা কিন্তু তোমার অনেক সময় বাঁচিয়ে দিবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো লাল কালি দিয়ে দাগাও, তার চেয়ে একটু কম গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো নীল কালি দিয়ে দাগাবে। অনেকে আবার বইয়ের প্রতিটা পাতার সবগুলো লাইনই একবারে দাগিয়ে যায়! তুমিই বলো, সব লাইনই কি গুরুত্বপূর্ণ? না, একদমই না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, “আচ্ছা তাহলে আমি বুঝবো কীভাবে কোন তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ আর কোনগুলো না?”

    প্রথমে তুমি একটা অধ্যায় শুধু রিডিং পড়বে। এবার অধ্যায় শেষে যেই এমসিকিউ আছে সেগুলো ভালোভাবে খেয়াল করে সমাধান করো। বাজার থেকে যেকোনো একটা প্রশ্নব্যাংক কিনে সেটার অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নগুলো সমাধান করো। সমাধান করতে যেয়ে দেখবে একই তথ্য থেকেই ঘুরেফিরে প্রশ্ন করছে। কিংবা একই টপিক থেকে একাধিক বছর প্রশ্ন এসেছে। সেগুলো লাল-নীল কালি দিয়ে বইয়ে দাগিয়ে ফেলো৷ এছাড়াও বিজ্ঞানীদের নাম, সংখ্যা, বিক্রিয়া, সাল, পার্থক্য, ছক– এগুলো তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই দাগানো লাইনগুলোতে চোখ বুলিয়ে গেলে দেখা যাবে দাগানো লাইনগুলো তোমার সারাজীবন মনে থাকবে, তা না হলেও অন্তত এই ৩/৪ মাস মাথায় থাকবে। 

    ৩. প্রশ্নব্যাংক সমাধান:

    মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে হলে বেশি বেশি এমসিকিউ সলভ করার বিকল্প কিছু নেই। তাই বলে মূল বই না পড়ে শুধু প্রশ্ন সমাধান করে গেলেই হবে না। কারণ প্রশ্ন কখনো হুবহু প্রশ্নব্যাংক থেকে আসে না, বরং একই টপিক থেকে অনেক বেশি প্রশ্ন রিপিট হয়। প্রশ্নব্যাংক এইজন্য সমাধান করতে বলা হয় যাতে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা তৈরি হয়৷ সেজন্য দরকার প্রশ্ন সলভ করার সময় সেই প্রশ্ন সম্পর্কিত টপিক পড়ে ফেলা।

    প্রথমে এমন একটি প্রশ্নব্যাংক হাতে নাও যেটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল সেশনের মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন রয়েছে এবং ব্যাখ্যাসহ উত্তর রয়েছে। 

    মেডিকেল এডমিশন কোশ্চেন সল্ভ কোর্স

    কোর্সটিতে যা যা থাকছে

  • বিগত ১৫ বছরের মেডিকেল কোশ্চেন ব্যাংক সমাধান
  • ৫টি বিষয়ের ওপর মোট ১৫টি মক টেস্ট
  •  

    প্রশ্নব্যাংকটি কমপক্ষে ২ বার পড়ো। পড়ার সাথে সাথে প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো মার্ক করে ফেলো। বিগত ১০ বছরের মেডিকেল এবং ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর বারবার রিভিশন দিতে হবে। 

    তুমি যদি ঘরে বসেই মেডিকেল এডমিশন টেস্টের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে চাও, তাহলে তোমার জন্য আছে ১০ মিনিট স্কুলের প্রি-মেডিকেল কোর্স! লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি এখানে থাকছে লেকচার শিট, সলভ শিট ও কুইজ। তাই দেরি না করে ঝটপট ভর্তি হয়ে যাও এই কোর্সে


    Slide7আরো পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা যখন দোরগোড়ায়


    ৪. শেষ প্রস্তুতি হোক জোরদার:

    বিষয়ভিত্তিক একবার রিভিশন তো হয়ে গেল, এবার দ্বিতীয় রিভিশনের পালা। ভর্তি পরীক্ষার আগে পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়াটা খুব জরুরি। এইচএসসির পর হাতে সময় একদমই থাকে না বললেই চলে। সময় কম হলেও সিলেবাস পাহাড়সম। সত্যিই যদি ভালো প্রিপারেশন নিতে হয়, দৈনিক কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা শ্রম দিয়ে সিলেবাস শেষ করে ফেলতে হবে এবং যত বেশি সম্ভব রিভিশন দিতে হবে। প্রতিদিন ছয়টি বইয়ের যেকোনো একটির কমপক্ষে ৩-৪ টি অধ্যায় পড়ে শেষ করতে হবে। মনে করতে হবে আগামীকাল এডমিশন টেস্ট। সেই লক্ষ্য নিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

    টেক্সট বইয়ের দাগানো টপিকগুলো রুটিন করে পড়তে থাকো। তুমি কোন বিষয়ে ভালো আর কোথায় তোমার দুর্বলতা, সেটা তো তুমিই সবচেয়ে ভালো জানো। একেকজনের পড়ার কৌশল একেক রকম। তাই তোমার পড়ার ধরনের সঙ্গে মেলে, এমনভাবেই কোনো পরিকল্পনা করা উচিত। কখনো অমুক ২০ ঘণ্টা পড়েছে, আমাকেও ২০ ঘণ্টা পড়তে হবে, এমনটা ভাবা যাবে না। কারো একবার পড়লেই মনে থাকে, কারো একই জিনিস বারবার অনুশীলন করতে হয়। যেমন আমারই এক ফ্রেন্ড দিনে সর্বোচ্চ ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতো। কারণ কোনো একটা লাইন একবার পড়লেই সেটা তার মাথার মধ্যে ঢুকে যেত। আমার ক্ষেত্রে আবার উল্টো ঘটনা, একই লাইন বারবার লিখে লিখে পড়তে হয়, তাই সময়টাও তার চেয়ে বেশিই লাগতো। 

    সেজন্য তুমি যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করো সেভাবেই একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে নাও। যত বেশি সম্ভব মডেল টেস্ট দাও। যত বেশি পরীক্ষা দেবে, তত নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারবে।

    পরীক্ষার ঠিক আগের দিনটিতে বেশি পড়ালেখা করার কোনো দরকার নেই। রিলাক্স মুডে থাকতে হবে। নিজের সিট কোথায় পড়লো সেটা একবার দেখে আসাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ পরীক্ষার দিন সকালে তাহলে আর তাড়াহুড়ো করতে হবে না।

    ৫. পরীক্ষার হলে যা যা করবে ও করবে না:

    হলে ঢুকে প্রথমেই নিজের রোল মিলিয়ে বেঞ্চ খুঁজে নাও। এরপর ধীর-স্থির হয়ে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন কলম, পেনসিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র টেবিলে রাখো। পরীক্ষক প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর সাবধানে নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ওএমআর ফরমের নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণে ভুল না হয়।

    প্রথমে যেগুলোর উত্তর শতভাগ নিশ্চিত সেগুলো আগে দাগিয়ে ফেলো। এভাবে প্রথম ৩০ মিনিটে ৫৮-৬০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলতে হবে। পরের ২০ মিনিটে বাকি ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। শেষ ৮-১০ মিনিট রিভিশন এবং উত্তর না দেওয়া প্রশ্নগুলো সমাধান করার চেষ্টা করবে। কিন্তু কোনো একটি প্রশ্ন না পারলে সেটির পেছনে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।

    মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার এমসিকিউতে একটা উত্তরের পাশাপাশি কখনো কখনো ২টি বা কখনো ৩টি উত্তর থাকতে পারে। আবার কখনো কোনো সঠিক উত্তর না-ও থাকতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে অপশনের ২টি বা ৩টি সঠিক উত্তরই বৃত্ত ভরাট করতে হবে পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তির জন্য। কোনো সঠিক উত্তর না থাকলে কোনো অপশনই বৃত্ত ভরাট করা যাবে না। অন্যথায় ওই প্রশ্নের জন্য কোনো নম্বর তো পাওয়া যাবেই না- উল্টো সেটা ভুল উত্তর ধরা হবে এবং নেগেটিভ মার্কিং হবে।  

    তুমি যখন এডমিশন টেস্ট দিতে যাও তখন আসলে একটা না, তুমি দুইটা টেস্ট দিচ্ছো। একটা হলো ভর্তি পরীক্ষা, আরেকটা হলো সাইকোলজিকাল টেস্ট। অনেকসময় অনেক ভালো প্রস্তুতি থাকার পরেও পরীক্ষার হলে চাপের কারণে জানা প্রশ্নের উত্তরও ভুল দাগিয়ে আসে। তুমি যদি এই ষাটটা মিনিট মাথা ঠাণ্ডা রেখে সব উত্তর করে আসতে পারো, তাহলে নিশ্চিত থাকো সেই সাদা এপ্রোনটা তোমারই হবে। 


    মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:



    ১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন