মার্শাল আর্টের কথা বললেই সবার আগে মাথায় আসবে কিংবদন্তি ব্রুস লি’র নাম। হাজার বছরের পুরোনো এই আত্মরক্ষার কৌশলকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। এই মার্শাল আর্টেরই একটি ধরণ হলো ‘কারাতে’।
কারাতের ইতিহাস:
কারাতের উৎপত্তি কোথায় বা এর অতীত ইতিহাস নিয়ে খুব স্পষ্ট করে কিছু না বলা গেলেও এটা নিশ্চিত যে, কারাতের উৎপত্তি হয়েছে হাজার বছরেরও বেশি আগে এবং এর জনক হচ্ছেন একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী যিনি বর্তমানে সর্বাধিক পরিচিত ‘দারুমা’ নামে। আনুমানিক ৫০ খৃষ্টপূর্বাব্দে এই ভারতীয় বৌদ্ধ ধর্মগুরু চীনের একটি ছোট উপাসনালয়ে প্রথম বারের মত নিয়মতান্ত্রিক ব্যায়ামের প্রচলন করেন। দেহ ও মনকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে উদ্ভাবিত এই কলা কালক্রমে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে ‘কারাতে’ এর বর্তমান রূপ লাভ করে।
কারাতের এই বর্তমান রূপ বা আধুনিক কারাতের উৎপত্তিস্থল হলো জাপানের রিউকু দ্বীপ (যার বর্তমান নাম আকিনাওয়া)।
এটা আংশিকভাবে দেশীয় যুদ্ধ পদ্ধতি নাম তে (? 手 আক্ষরিক অর্থ, “হাত”; ওকিনাওয়ান তি ) থেকে এবং চীনা কেনপো থেকে বিকশিত হয়েছে। কারাতে হলো এমন একটি আঘাত করার কৌশল যা ঘুষি, লাথি, হাঁটু এবং কনুইয়ের আঘাত ও মুক্তহস্ত কৌশলের মাধ্যমে করা হয়। কারাতের মাধ্যমে বেশ কয়েক পদ্ধতিতে কাউকে আঁকড়ে ধরা, আবদ্ধ করা, বাঁধা, আছাড় দেওয়া এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আঘাত শেখানো হয়। কারাতে অনুশীলনকারীকে ‘কারাতেকা (空手 家?)’ বলা হয়।
কারাতে শেখা হয়তো বা বেশ সহজ মনে হলেও, এর কৌশলগুলো রপ্ত করতে হলে প্রচুর পরিশ্রম ও সাধনার প্রয়োজন। তবুও বেসিক কিছু জিনিস জানা থাকলে একজন ‘কারাতেকা’ হয়ে ওঠার দিকে আপনি অন্যদের থেকে অন্তত এক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারবেন। চলুন তাহলে, কারাতের বেসিক কয়েকটি জিনিস সম্পর্কে জেনে আসা যাক!
১. ধ্যান বা মেডিটেশন:
আমাদের মানবদেহের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কোনটি? অবশ্যই আমাদের মস্তিষ্ক! আমাদের সকল কাজই এই মস্তিষ্কের ইশারাতেই হয়ে থাকে৷ তাই আমাদের এই মস্তিষ্ককে সতেজ রাখা খুব জরুরি৷ আর মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে মেডিটেশনের জুড়ি মেলা ভার! কারাতের প্র্যাক্টিস শুরু করার আগে কমপক্ষে ৫ মিনিট মেডিটেট করতে হবে৷
প্রথমেই একটা নিস্তব্ধ কক্ষের সমতল জায়গায় আসন গ্রহণ করুন৷ এরপর মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসার পর চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলুন। পড়াশুনার ভাবনা, সিজিপিএর চিন্তা, দৈনন্দিন জীবনের ঝামেলা- এসব কিছু ভুলে যান। এমনভাবে ভুলে যান, যাতে চোখ বন্ধ করার পর মনে হবে, আপনি যেন একটা বদ্ধ কামরায় বসে আছেন৷ সেই কামরায় কিচ্ছু নেই, শুধু একটি অগ্নিগোলক ছাড়া৷ আস্তে আস্তে আপনার মনে হবে, অগ্নিগোলকটা আপনার চারপাশে ঘোরাফেরা করছে৷ এই গোলক হলো আপনার অন্তরের শক্তি ও তেজ, যা আপনি কারাতে শেখার মাধ্যমে অর্জন করতে চান৷ এই গোলকটা নিজের মধ্যে এমনভাবে পাকাপোক্ত করে রেখে দিতে হবে, যাতে চোখ খোলার পরেও তা আপনার সামনে থেকে না যায়৷ এরপর আস্তে আস্তে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে থাকুন। ১০ বার শ্বাস-প্রশ্বাসের এই প্রক্রিয়া চালানোর পর আস্তে আস্তে আপনার নিজেকে বেশ সতেজ ও প্রাণবন্ত মনে হবে৷
২. শরীর গরম করা বা ওয়ার্ম আপ:
যেকোনো ব্যায়াম করার আগেই অন্তত ১০-২০ মিনিট ওয়ার্ম আপ করে নেওয়া জরুরি৷ ওয়ার্ম আপের কারণে আপনার শরীরের মাংসপেশিগুলো একটু শিথিল ও সচল হয়৷ ওয়ার্ম আপ না করেই প্র্যাক্টিস শুরু করে দিলে মাংসপেশিতে টান পড়ার সম্ভাবনা থাকে৷ তখন সাধারণ স্টেপগুলো করতেও বেশ কষ্ট হবে এবং দেখা যাবে, আপনি খুব দ্রুতই হাঁপিয়ে উঠছেন।
ওয়ার্ম আপের জন্য একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ১৫ মিনিটের মতন জোরে জোরে দৌড়াতে থাকুন৷ এরপর ৫ মিনিট পুশ আপ (কমপক্ষে ২০ বার) ও ৫ মিনিট সিট আপ, লেগ লিফটিং, রিভার্স পুশ আপ বা ক্রাঞ্চিংয়ের (কমপক্ষে ২০ বার) মাধ্যমে ওয়ার্ম আপ সেশন শেষ করুন।
৩. স্ট্রেচিং:
৪. কারাতের পেছনের দর্শন:
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Personal Fitness
৫. পায়ের পাতার অবস্থান ঠিক রাখা:
বিভিন্ন রকমের কারাতে অনুশীলনে বিভিন্ন ধরণের পায়ের পাতার অবস্থান অনুসরণ করা হয়৷ যেমন:
- Shizentui-dachi: স্বাভাবিক অথবা হাঁটাচলা করার সময় আমার যেভাবে পা দু’টো রাখি, এখানেও সেভাবেই রাখতে হবে৷ এই নিয়মে, আপনার ফ্রন্ট ফুট সামনে থাকবে এবং ব্যাক ফুট ৪৫ ডিগ্রী কোণ করে পেছনে থাকবে। আর এক পায়ের পাতা থেকে অপর পায়ের পাতার দূরত্ব হবে স্বাভাবিকভাবে হাঁটার সময় যেরকম থাকে, সেরকমই।
- Zenkutsu-dachi: এই পদ্ধতি অনেকটা Shizentui-dachi এর মতনই, তবে এইখানে দুই পায়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব একটু বেশি এবং পুরো শরীরের ভর আপনার সামনের পায়ের পাতার উপর থাকবে।
- Nekoashi-dachi: এটাকে ‘ক্যাট স্টেন্স’-ও বলা হয়৷ এই পদ্ধতিতে আপনার পা দুটো স্বাভাবিকভাবেই রাখতে হবে, তবে আপনার পুরো ভর থাকবে আপনার পেছনের পায়ের পাতায়৷
আরো পড়ুন: ক্র্যাক প্লাটুন: একাত্তরের এভেঞ্জারস
৬. ভারসাম্য বজায় রাখা:
৭. নিজের শক্তি ও গতির ওপর ফোকাস করুন:
পুরো শরীরের শক্তি কাজে লাগালে বেশি বল তৈরি হবে৷ অবশ্য, কারাতে শেখা মানে এই না যে আপনি কোনো বড় বস্তুকে বল প্রয়োগ করে সরানোর দক্ষতা অর্জন করে ফেলবেন৷ কারাতে শেখার উদ্দেশ্য হলো আপনি কীভাবে যেকোনো আকারের কোনো বস্তুকে কতটা দ্রুততার সাথে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাবেন।
৮. পাঞ্চিং ও ব্লকিং:
আর কারাতের মধ্যে ব্লকিং বেশ জরুরি, কারণ আপনি যতক্ষণ আপনার প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে পারবেন, তত দ্রুত আপনার প্রতিপক্ষ ক্লান্ত হয়ে পড়বে৷ আর প্রতিপক্ষ ক্লান্ত হয়ে গেলে তাকে ঘায়েল করা বেশ সহজ হয়ে যায়৷
১০. কারাতের কিক:
- ফ্রন্ট স্ন্যাপ কিক: এই পদ্ধতিতে সামনের হাঁটু একটু বাঁকিয়ে সামনের পা দিয়ে জোরে লাথি হাঁকাতে হবে৷ আর পেছনের পা পেছন দিকেই থাকবে৷ লাথি দেওয়ার সাথে সাথে সামনের পা আবার আগের জায়গাতেই নিয়ে আসতে হবে।
- সাইড স্ন্যাপ কিক: এইটা ফ্রন্ট স্ন্যাপ কিকের মতনই, তবে কিক সামনের দিকে না দিয়ে সাইডে দিতে হবে৷
- সাইড ট্রাস্ট কিক: যেই পা দিয়ে লাথি দিবেন, সেই পা তার বিপরীত হাঁটুর উপর রেখে আপনার শরীর একটু পেছনে নিয়ে সজোরে লাথি দিবেন।
- ব্যাক ট্রাস্ট কিক: এইটা সাইড ট্রাস্ট কিকের মতনই, তবে এই কিকে আপনার দৃষ্টি থাকবে পেছন দিকে, এবং আপনার দৃষ্টি যেদিকে থাকবে, আপনার কিকটাও সেদিকেই যাবে।
- রাউন্ড কিক: এই কিকে ক্যাট স্টেন্সের মতনই আপনার পা দুটো থাকবে। শুধু সামনের পাটা ঘুরিয়ে আপনাকে সামনের দিকে লাথি দিতে হবে৷
বেল্টের রকমভেদ:
বেল্টের এই রকমভেদ শুরু হয় সাদা রঙ থেকে৷ বিংশ শতাব্দীর আগে এই বিভিন্ন রংয়ের বেল্টের প্রচলন খুব একটা ছিল না। সাধারণত সব জায়গাতেই একদম নতুন শিক্ষার্থীদের সাদা রংয়ের বেল্ট দেওয়া হয়৷ এই সাদা বেল্ট দিয়ে তাদের স্টুডেন্ট র্যাংকিং যে ১০ম কিউ, তা বোঝানো হয়৷
এরপর আসে হলুদ বেল্ট৷ যদি কোনো শিক্ষার্থী নিয়মিত কারাতের ট্রেইনিং নেয়, তাহলে তাকে কয়েক মাস পরে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে হয়৷ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই তাকে এই হলুদ বেল্ট দেওয়া হয়। হলুদ বেল্ট পাওয়ার পর সেই শিক্ষার্থীর র্যাংকিং হয় ৮ম কিউ।
কারাতের বেল্টের রঙ আস্তে আস্তে হালকা থেকে গাঢ় হতে থাকে৷ তৃতীয় ধাপের বেল্টের রঙ একেক জায়গায় একেক রকম হয়৷ সাধারণ ৭ম কিউয়ের জন্য কমলা রঙ এবং ৪র্থ কিউ এর জন্য নীল, সবুজ ও পার্পেল রংয়ের বেল্ট দেওয়া হয়৷
এরপর প্রায় এক বছর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ৩য় কিউ হিসেবে ব্রাউন বেল্ট দেওয়া হয়। এরপর আরো দুই বছর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ১ম ব্রাউন বেল্ট দেওয়া হয়।
কারাতের সর্বোচ্চ বেল্টের রঙ হলো কালো। একজন কারাতে শিক্ষার্থীর কাছে ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করাটা বেশ সম্মানজনক। এই বেল্ট পাওয়ার মাধ্যমে তারা অন্যদেরও কারাতের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করে থাকে৷ তবে ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়া মানে এই না যে এরপর সেই শিক্ষার্থী আর পয়েন্ট পাবে না। তার পয়েন্ট বাড়তে থাকবে, তবে বেল্টের রঙ একই থাকবে। আর পয়েন্ট তখন কিউ থেকে ড্যান হিসেবে গণনা করা হবে৷ যেমন: ১ম স্টেজ ড্যান, ২য় স্টেজ ড্যান ইত্যাদি।
এ তো গেলো কারাতের বেসিক কিছু টেকনিক। আপনি যদি একদম ভালোভাবে কারাতের প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাহলে নিচের এসকল স্থানে একবার উঁকি মেরে দেখতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুডো-কারাতে সেন্টার:
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও যে কেউ প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হতে পারেন এই সেন্টারে। ভর্তি ফি ৮৭০ টাকা, মাসিক ফি ৫০০ টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ফি ১০০ টাকা। ঠিকানা: শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৫৯১৪০৫৭
বাংলাদেশ কারাতে দো:
এখানে সপ্তাহের প্রতিটি দিনেই সকাল-বিকেল কারাতে শেখার সুযোগ আছে। ঠিকানা: ২৭৮/৩ (দ্বিতীয় তলা) এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা।
ফোন: ০২-৮৬২৫৩৫৮।
ওয়েবসাইট: www.bd-karate-do.com
শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম:
এখানে সপ্তাহে তিন দিন করাতে-জুডো শেখা যায়। জুডো শেখার জন্য ভর্তি ফি ৩৬০ টাকা এবং মাসিক ফি ২০০ টাকা। ঠিকানা: সামসির আলম ভূঁইয়া, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম, মিরপুর ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৭১১৩৩৪৩।
ইয়ং ড্রাগন মার্শাল আর্ট:
ইয়ং ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টারে প্রতি শুক্রবার সকালে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ আছে।
ঠিকানা: মহাখালী আইপ্যাক স্কুলের সামনের মাঠ।
ফোন: ০১৭২৯৭৭০২৩৯। ভর্তি ফি ৭০০ টাকা, মাসিক ফি ২০০ টাকা।
উত্তরা কারাতে দো দোজো:
এখানে সপ্তাহে তিন দিন কারাতে শেখার সুবিধা রয়েছে। ভর্তি ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা এবং মাসিক ফি এক হাজার ৫০০ টাকা।
ঠিকানা: বাড়ি ৩, রোড ৪, সেক্টর ১, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৭০৪৮২২৭
উত্তরা কারাতে ক্লাব:
ঠিকানা: বাড়ি ১, রোড ১০. সেক্টর ৩, উত্তরা, ঢাকা।
বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন:
ঠিকানা: কক্ষ: ২৩৬-২৩৭, মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১২২২৯১১৭, ০১৯১১৫৯৬৩৬৭। ওয়েব: www.bkf-bd.com
বাংলাদেশ সিতোরিউ কারাতে দো ইউনিয়ন:
সপ্তাহে চার দিন সকাল-বিকেল অনুশীলন করা যায় এখানে। ঠিকানা: জাতীয় ক্রীড়া কাউন্সিল জিমনেসিয়াম, ৬২/৩ পুরানা পল্টন, ঢাকা। ০২-৯৫৬৯১৪৩, ০১৭১১৮৩৯৩৪৫।
ওয়েব: www. bsku.net
বাংলাদেশ ড্রাগন কারাতে অ্যাসোসিয়েশন:
ভর্তি ফি এক হাজার টাকা, মাসিক ফি ৫০০ টাকা। যোগাযোগ: আসানো রহমান টাওয়ার, ২৫/এফ/৬, নর্থ শ্যামলী,
ফ্ল্যাট: এ-১, পশ্চিম আগারগাঁও, ঢাকা।
ফোন: ০১১৯৭১৫৪১১৮
ব্ল্যাক বেল্ট একাডেমি:
সপ্তাহে ছয় দিন সকাল-বিকেল কারাতে, ব্রাজিলিয়ান জুজুৎসু শেখার সুবিধা রয়েছে। ঠিকানা: নার্গিস হাউস, বাড়ি ৬ (নিচতলা), রোড: ১১৩/এম গুলশান, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৪০৫৫৫৫৭৭।
সোবহান মার্শাল আর্ট:
ঠিকানা: রোড ৭/এ, বাড়ি ৮৪ (ষষ্ঠ তলা), ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোন: ০১৭১১৫২৯৩৮১
চট্টগ্রাম মার্শাল আর্ট একাডেমি:
এখানে ভর্তি ফি ৬০০ টাকা এবং মাসিক ফি ২৫০ টাকা। ফোন: ০১৭১৩৬০৩৩৩১
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা:
সিজেকেএস ভবন তৃতীয় তলা, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম। চট্টগ্রাম। ফোন: ০৩১-৬৩৭৮৫২।
হোনকে সোতোকান কারাতে-দো অ্যাসোসিয়েশন:
৬৪ এস এস খালেদ রোড, উত্তর আসকার দীঘি, চট্টগ্রাম। ফোন: ০১৮১৭৭০০৭০০।
খুলশী কারাতে ক্লাব:
১০ জাকির হোসেন রোড, দক্ষিণ খুলশী-২ নম্বর রোড, চট্টগ্রাম। ফোন: ০১৮১৯৬৪৮৪৫৬।
আরো পড়ুন: গড়ে উঠুক দারুণ এক অভ্যাস
ফুলকি:
৪৬ বৌদ্ধমন্দির সড়ক, নন্দনকানন, চট্টগ্রাম। ফোন: ০৩১-৬১৮১৩৭।
এ ছাড়া ঢাকার ধানমন্ডির সুলতানা কামাল উইমেন্স কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা সদরের স্টেডিয়াম এবং জিমনেসিয়ামগুলোয় নিয়মিত কারাতে শেখার সুযোগ আছে।
আর কারাতে শেখার উপকারিতা সম্পর্কে যদি জানতে চান, তাহলে তা বলে শেষ করা যাবে না! কারাতের বিধিবদ্ধ অনুশীলনের বিস্তীর্ণ পদ্ধতি এবং যুদ্ধের ঐতিহ্য যেটি বিভিন্ন কারনে অনুশীলন করা হয়। যেমন- নিজস্ব-প্রতিরক্ষা, প্রতিযোগিতা, শারীরিক আরোগ্য এবং সুস্থতা, সেই সাথে মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি। কারাতেকে এক প্রকার উচ্চমাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়ামও বলা যায়। শিল্প, ক্রীড়া ও আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে এটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। সুপ্রাচীন কাল থেকেই পূর্ব এশিয়ায় মার্শাল আর্ট ও কারাতের প্রচলন রয়েছে। যেকোনো বয়সী মানুষ নিয়ম মেনে এই ব্যায়াম করতে পারেন। তবে যাঁদের মেরুদণ্ড ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে, তারা মার্শাল আর্ট চর্চা করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। চলুন জেনে আসা যাক কারাতের কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে-
১. শরীরের প্রায় সব মাংসপেশি বিভিন্ন মাত্রায় ব্যবহৃত হয়। ফলে এসব মাংসপেশির নমনীয়তা, ভারসাম্য ও শক্তি বাড়ে। কারাতের চর্চা করলে নানা ধরণের ব্যথা ও হাড়ের জোড়া বা সন্ধির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. হৃদযন্ত্রের সক্ষমতা বাড়ায়। কেননা, এই ব্যায়ামের ফলে প্রশ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া অক্সিজেন ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. এক ঘণ্টা সাধারণ মাত্রায় কারাতের চর্চায় প্রায় ৫০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ক্ষুধা ও তৃপ্তি নিয়ন্ত্রক এলাকার ওপর প্রভাব পড়ে। তখন অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমে।
৪. বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা যায়, দৈনন্দিন জীবনে মার্শাল আর্ট বা কারাতের বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। এটি অনুশীলনকারীরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ও কাজ করতে সক্ষম হয়ে ওঠেন।
৫. প্রয়াত মার্শাল আর্ট তারকা ব্রুস লি বলেছিলেন, প্রতিটি লাথি (কিক) বা ঘুষির (পাঞ্চ) ফাঁকে একজন মার্শাল আর্টিস্ট নিজের দুর্বলতাগুলো টের পান, নিজেকে চেনেন। নিজেকে যত চেনা যায়, ততই তার মনোনিবেশ করার ও নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা বাড়ে। এর একটা চমৎকার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে।
৬. বিজ্ঞানীদের মতে, কারাতের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, এটি মানুষের আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো সমস্যা সামলে নেওয়ার মতো সাহস জোগায়।
৭. যুদ্ধের কৌশল হলেও কারাতে আদতে মানুষের আগ্রাসী মনোবৃত্তি ও হিংস্রতাকে দমন করে।
৮. কারাতে একই সাথে আত্মরক্ষার জন্যেও বেশ ভালো এক কৌশল।
তাই আর দেরি না করে এখনই নিজের সুবিধামতো কোনো এক কারাতে ক্লাসে ভর্তি হয়ে যান এবং মার্শাল আর্টের এক অনন্য জগতে নিজেকে আবিষ্কার করুন!
সূত্র:
https://m.wikihow.com/Identify-Karate-Belts
https://m.wikihow.com/Understand-Basic-Karate
https://m.wikihow.com/Teach-Yourself-the-Basics-of-Karate?amp=1#referrer=https://www.google.com
https://m.wikihow.com/Kick-(in-Martial-Arts)
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন