আজ থেকে অনেক অনেক দিন আগের কথা। মানুষ তখনও ঘর বাঁধতে শেখেনি। তখন কেবল বনে বনে ঘুরে বেড়ানোর সময়। ক্ষুধা পেলে গাছের ফল আর বিভিন্ন পশুর কাঁচা মাংসই উপাদেয় খাদ্য। ধীরে ধীরে মানুষ দল বাঁধে। আগে ছোট পশুতেই ক্ষুধা মিটতো। দল বড় হওয়ার পরে ক্ষুধা মেটাতে বড় পশু শিকারের প্রয়োজন হয়। বড় পশু শিকার মানেই যুদ্ধযাত্রা। সেই যুদ্ধে মানুষের প্রয়োজন পড়লো অস্ত্রের। পাথর দিয়ে হাতিয়ার বানানো হলো। এক সময় পাথর ঘষতে ঘষতেই আলাদিনের দৈত্যের মত এক জাদু সামনে এলো। মানুষ আগুন জ্বালাতে শিখে গেলো।
এই হলো পৃথিবীতে সভ্যতা শুরুর ঠিক আগের দিনগুলোর ঘটনা।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় মহাদেশের নাম আফ্রিকা। এই আফ্রিকাতেই এমন একটি দেশ আছে যেখানে রচিত হয়েছিলো অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা। মিশরীয় সভ্যতা।
মজার ব্যাপার হলো, মিশরীয় সভ্যতার টুকটাক বিষয়গুলো আমরা ছোটবেলা থেকেই জানি। যেমন- কারো লেখার ভাষা খুব কঠিন মনে হলে আমরা বলি, এটা কি হায়ারোগ্লিফিক ভাষা নাকি! তেমনি এক্স-মেন এবং আরও অন্যান্য বিখ্যাত মুভির কল্যাণে পিরামিড, মমির ব্যাপারেও সবারই কিছুটা ধারণা আছে। আবার মুসা (আ) ও ফেরাউনের ঘটনা থেকে ফারাওদের কথাও আমরা কমবেশি জানি।
তাহলে মিশরীয় সভ্যতা নিয়ে কংক্রিট ধারণা পেতে হলে আমাদের জানা, এই বিচ্ছিন্ন বিষয়গুলোকে জোড়া দিলেই চলবে।
মিশরীয় সভ্যতায় নীল নদের অবদান
মধ্য আফ্রিকার পাহাড় থেকে জন্ম হলো নীল নদের। এই পাহাড়ী নদ এঁকেবেঁকে নেমেছে উত্তরে, মিশেছে ভূমধ্যসাগরে। ভালো ক্রিকেট খেলা দল হিসেবে সাউথ আফ্রিকাকে তো আমরা চিনি। মিশরকেও এমনিভাবে সাউথ ও নর্থে ভাগ করা হয়েছিলো। নীল নদের উৎস হলো সাউথ বা দক্ষিণ মিশরে। এই দক্ষিণ মিশরকে বলা হতো আপার ইজিপ্ট। স্বাভাবিকভাবেই উত্তর মিশরকে বলা হতো লোয়ার ইজিপ্ট। প্রশ্ন আসতে পারে, মিশরের অধিবাসীরা কি তবে দুই জায়গাতেই থাকতো? এর উত্তর লুকিয়ে আছে নীল নদের চলাচলের মধ্যে। আগেই বলেছি নীল নদ মিশেছে ভূমধ্যসাগরে। নীল নদ এই ভূমধ্যসাগরে মিশে যাওয়ার আগে উত্তরে তৈরি করেছে এক উর্বর বদ্বীপ। এখন বোঝাই যাচ্ছে একদম শুরুর দিকে লোয়ার ইজিপ্টই মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পারফেক্ট ছিলো। মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল উত্তর মিশরে।
চারদিকে নদী সেই সাথে উর্বর বদ্বীপ- কৃষি কাজের জন্য এক চমৎকার পরিবেশ। প্রতি বছর বন্যা হয় নীল নদে । আর বন্যার পর জমিতে পলিমাটি জমে। পলি জমা উর্বর মাটিতে প্রচুর ফসল ফলে। সমস্যা আছে দু’টো । হঠাৎ বন্যা হলে জমির পাকা ফসল নষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেক দিন বৃষ্টি না হলে মাঠঘাট শুকিয়ে যায়। এতে ফসল ফলানাে কঠিন হয়ে যায়। তাহলে পানিকে কৃষি কাজের সুবিধার্থে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় কি?
নীল নদের তীরে ছিলো ছােট ছােট গ্রাম। মিসরের কৃষিজীবী মানুষেরা থাকতো এই গ্রামগুলোতে। কৃষি কাজের সুবিধার জন্য এবং বন্যার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে বাঁধ দেওয়ার চিন্তা করল তারা। বাঁধ দিলে বন্যা ঠেকানাে যাবে আবার বর্ষার পানিও ধরে রাখা যাবে। তাহলে শুকনাে মৌসুমে মাটি শুকিয়ে গেলে জমে থাকা পানি দিয়ে জমিতে সেচও দেওয়া যাবে।
বুদ্ধি তো বের হলো কিন্তু বাস্তবায়ন তো করতে হবে। প্রচুর কাজ। প্রচুর মানুষ দরকার।
কৃষি কাজ কিন্তু পশু শিকারের তুলনায় জীবিকা নির্বাহের জন্য স্হায়ী ও অনেকটা নিরাপদ। তাই খবর পেয়ে প্রচুর লোকজন মিশরে ছুটে আসে। এভাবে ধীরে ধীরে নীল নদের তীরে মানুষের বসতি বাড়ে।
সেচ ব্যবস্থা থাকায় ধীরে ধীরে কৃষি জমির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এজন্য প্রচুর কৃষি উপকরণের প্রয়োজন হয়। তাই চাষবাসের যন্ত্রপাতি বানাতে কারিগরেরা বসতি গড়ে। নীল নদের তীরে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা গড়ে ওঠে।
কোর্সটিতে যা যা পাচ্ছেন:
বিসিএস প্রিলি লাইভ কোর্স
জমি চাষের জন্য কৃষকেরা ব্যবহার করত এক ধরনের কাঠের ছুরি। ছুরির মাথায় থাকতো পাথরের ধারালাে ফলা। পাথর দিয়ে বানানাে কাস্তেও পাওয়া গেছে এখানে। কারিগরেরা নিপুণ হাতে মাটির পাত্র ও ঝুড়ি বানাতো। তামার হাতিয়ার, কালাে- লাল রঙের মাটির পাত্র পাওয়া গেছে এই অঞ্চলে।
কুমারেরা ফসল জমা রাখার জন্য মাটির পাত্র তৈরি করতো। জেলেরা জলহস্তী আর মাছ শিকার করতো।
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ফসল নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং মানুষের চলাচলের জন্য তৈরি হতে থাকে রাস্তাঘাট । এভাবে নীল নদের তীরের গ্রামগুলােয় ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে নগর। সেজন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন। বোঝা যাচ্ছে, কত পেশার মানুষের কাজের জায়গা তৈরি হচ্ছে দিন দিন।
সমাজ গড়তে হলে এমন একজন মানুষ দরকার যার কথা সবাই মেনে চলবে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ যাতে নিয়ম মেনে চলতে পারে, তার জন্য শক্তিশালী একজন নেতার দরকার হয়ে পড়ে। এই নেতাই পরবর্তীতে হয়ে যান রাজা।
এভাবে প্রথম একটি সমাজ গড়ে ওঠে মিশরে। প্রথম দিকে বিচ্ছিন্নভাবে ছােট ছােট এলাকা নিয়ে নগর রাষ্ট্র গড়ে উঠলো। এগুলােকে বলা হতাে ‘নােম। ধীরে ধীরে নোমগুলাে একত্র হয়ে মিশরীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মিশরকে প্রথমবারের মত একক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তােলেন রাজা মেনেস। মিশরের দক্ষিণ দিকে মেম্ফিস নামের একটি শহরে প্রথম রাজধানী স্থাপন হয়। শুরু হয় মিশরীয় রাজবংশের যুগ।
প্রাচীন মিশরে নগররাষ্ট্রের উদ্ভব ও ফারাওয়ের যুগের সূচনা
মিশরের এই রাজাদের বলা হতো ফারাও। ‘পের-অ’ শব্দটি থেকে ফারাও শব্দটি এসেছে। ‘পের-অ’ শব্দের অর্থ ‘বড় বাড়ি’ বা ’রাজার বাড়ি’। ফারাও নির্বাচন হতো বংশ পরম্পরায়। অর্থাৎ রাজা মারা গেলে রাজার ছেলে হতেন নতুন রাজা।
ফারাওদের সময়ে মিশর বেশ উন্নত হয়ে উঠে। মিশরের উর্বর জমিতে পেঁয়াজ, গমসহ প্রচুর ফসল উৎপন্ন হতো। ব্যবসায়ীরা আমদানী -রপ্তানী করতেন, বণিকেরা নানা দেশের সাথে বাণিজ্য করতেন। মিশরের বিখ্যাত ফারাওরা হলেন খুফু, তুতেনখামেন, রামেসেস, নেফারতিতি প্রমুখ।
ফারাওরা নিজেদের সূর্যদেবতার বংশধর বলে ভাবতেন। সাধারণ মানুষের মৃত্যুর মতাে রাজার মৃত্যু নেই।মিশরের মানুষ বিশ্বাস করত, কবরে রেখে আসার পর ফারাও আবার বেঁচে উঠবেন। পরকালের পৃথিবীতে আবারও তিনি রাজত্ব করবেন।
ফারাওরা যাতে পরকালে রাজত্ব করতে পারেন, সেইজন্য দুইটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। মৃত্যুর পর ফারাওয়ের মৃতদেহ পচে গেলে চলবে না। মৃতদেহের সাথে থাকতো নতুন রাজত্বের জন্য অঢেল অর্থ-কড়ি, মণি-মানিক্য। তাই চোরের উপদ্রব ঠেকানোর জন্য এইসব কিছুই নিরাপদ রাখা প্রয়োজন।
এই দুই সমস্যার সমাধানেই ইতিহাস বিখ্যাত দুই চমকপ্রদ আবিষ্কার রচিত হলো। মমি ও পিরামিড।
আরও পড়ুন:
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কী? জেনে নিন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড -এর কিছু কার্যকরী ব্যবহার
নামাজ পড়ার নিয়ম: কোন নামাজ কত রাকাত ও নামাজের ফরজ কয়টি?
মমি ও পিরামিডের কথা
পিরামিড তৈরির অনেক আগেই মমি বানানো শিখেছিলো মিশরীয়রা। মৃতদেহ যাতে না পচে যায় সে কারণে মিশরের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বেরিয়ে এল নতুন পদ্ধতি।
মৃতদেহের পচন ঠেকানোর জন্য শরীরের পচনশীল অংশ সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রথমে মাথার খুলি অপারেশন করে ভেতর থেকে মগজ বের করে আনা হতাে। একইভাবে পেট কেটে বের করা হতাে নাড়িভুড়ি। সব পচনশীল অংশ সরিয়ে বাকি থাকতো হাড়, মাংস আর চামড়া পেঁচানাে দেহ। এর ভেতরে ভরে দেওয়া হতাে কাঠের গুঁড়াে বা পাতলা কাপড়। এরপরে মৃতদেহটি এক ধরণের তরল ওষুধে ভিজিয়ে রাখা হতো। গাছগাছড়া দিয়ে তৈরি মলম শরীরে লাগিয়ে দেওয়া হতো। পাতলা, নরম একগাদা কাপড় দিয়ে খুব সাবধানে মৃতদেহের পা থেকে মাথা পর্যন্ত পেঁচানো হতো। এই কাপড়ও এক ধরণের তরলে ভিজিয়ে নেওয়া হতো। এতে করে মমিটি জমে শক্ত হয়ে যেত।
এভাবে মমি বানানোর পরে কবর দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। মমি এবং এর সাথে থাকা অর্থ-অলঙ্কারের সুরক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয় পিরামিড।
মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিডটি রাজা খুফুর। এর উচ্চতা ছিল প্রায় সাড়ে চারশ ফুট। পাথরের পর পাথর বসিয়ে বানানো হতো পিরামিড।
পিরামিডের ভেতর অনেকগুলো ঘর বানানো হতো। একটিতে থাকতো ফারাওয়ের কফিন। পাশের ঘর রানির কুঠুরি । রানি মারা গেলে এখানেই কবর দেওয়া হতাে। অন্য ঘরগুলােতে দাসদাসীদের কবর দেওয়া হতাে। ফারাওয়ের ঘরের সামনে থাকত স্টেডিয়ামের মতাে গ্যালারি। ধারণা করা হতো, পরজগতে প্রজারা ফারাওয়ের সঙ্গে দেখা করতে এলে এখানে বসবে।
প্রাচীন মিশরের ধর্ম
প্রাচীনকালে ধর্ম ছিলো মিশরীয়দের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা বিশাল আকারের পিরামিড বানিয়েছে,, মমি বানিয়েছে, ভাস্কর্য গড়েছে,পিরামিডের দেয়ালে ছবি এঁকেছে , ছবি এঁকে এঁকে এক ধরনের লেখা উদ্ভব করেছে- এ সবকিছুই করেছে ধর্মের অনুপ্রেরণায় ।
মিসরীয়দের প্রধান দেবতা ছিলেন সূর্য। প্রথম দিকে সূর্যদেবতার নাম ছিল রে’ বা ‘রা। পরবর্তী সময়ে নাম কিছুটা পরিবর্তন করে বলা হয় ‘আমন’ বা ‘আমন রে’ । এ ছাড়া ক্ষমতাশালী দেবতা ছিলেন ওসিরিস । তিনি ছিলেন। প্রাকৃতিক শক্তি, নীল নদ ও শস্যের দেবতা। প্রাচীন মিসরীয়রা বিশ্বাস করত, আমন রে আর। ওসিরিস—এই দুই দেবতা মিলে পরিচালনা করছেন পুরাে পৃথিবী।
লেখালেখির সূচনা
প্রথম দিকে মিশরের মানুষেরা পাথর আর কাঠ খােদাই করে লিখত। এসবের গায়ে অতি প্রয়ােজনীয় দলিলপত্রই শুধু লেখা হতাে। কবিতা, গান, ধর্মকথা—এসব লেখার জন্য মিশরীয়রা খুঁজতে থাকে লেখার জন্য সহজ কোনাে উপাদান। নীল নদের তীরে জলাভূমিতে সাইপেরাস প্যাপিরাস নামে একধরনের নলখাগড়া-জাতীয় উদ্ভিদ জন্মাত। এই গাছ থেকেই কাগজ তৈরি করলো মিশরের মানুষেরা।
এই লেখালেখির বেশির ভাগই পাওয়া গেছে পিরামিডের দেয়ালে আর মন্দিরে। পিরামিডের ভেতরে এক ধরনের ছবি আঁকা কাগজ পাওয়া গেছে। গবেষকেরা যখন এসব লেখা পড়তে পেরেছিলেন তখন দেখেছেন, বেশির ভাগই ধর্মীয় বাণী লেখা হয়েছে। আর এ কারণেই পণ্ডিতেরা এই লিপির নাম দিয়েছেন ’হায়ারােগ্লিফিক’, র অর্থ পবিত্র লিপি।
মিশরীয় সভ্যতার ভাষ্কর্য ও দেয়ালচিত্র
পিরামিড আর মন্দিরের ভেতরের দেয়ালের সৌন্দর্য বর্ধনে মিশরীয় শিল্পীরা ছবি আঁকা শুরু করেন। ১৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে নারী ফারাও হাটশেপসুটের শিল্পীরা বেশি ছবি এঁকেছেন। এ সময়ে আঁকা অনেক ছবি পাওয়া যায় পিরামিডের ভেতরে এবং রানীর মন্দিরে।
প্রাচীন মিসরীয় ভাষ্কর্যগুলোর বেশিরভাগ পাওয়া গেছে পিরামিডের ভেতরে এবং মন্দিরের দেয়ালে । প্রথম দিকে দেয়ালের গায়ে খােদাই করে এবং পরে পাথর কেটে ভাষ্কর্য তৈরি হতাে। মিশরীয় ভাষ্কর্যগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় হচ্ছে স্ফিংস । স্ফিংসের দেহ ছিল সিংহের এবং মাথা আর মুখ ছিল ফারাওয়ের। পরবর্তীতে মিশরে ফারাও এবং নানা দেবদেবীর মূর্তি তৈরি হতে থাকে।
বিজ্ঞান চর্চায় মিশরীয়দের অবিশ্বাস্য অবদান
মিশরীয়রাই প্রথম পাটিগণিত ও জ্যামিতির উদ্ভাবন করেছিল। তবে তারা দশমিকের হিসাব জানলেও শূন্যের ব্যবহার তখনাে করতে শেখেনি। পিরামিড নির্মাণ করতে গিয়ে জ্যামিতিচর্চার দরকার পড়ে।
মিশরের প্রাচীনতম চিকিৎসকের নাম ইমহােতেপ। তিনি ছিলেন ফারাও জোসারের মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও স্থপতিও ছিলেন। এক সমাধিক্ষেত্রে একটি কঙ্কালের চোয়ালের হাড় ও দাঁত পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সে যুগের দাঁতের চিকিৎসক এখানে অপারেশন করেছিলেন।
মিশরীয় সভ্যতার পতন
মিশরের শেষ শক্তিশালী ফারাওয়ের নাম তৃতীয় রামসেস। তিনি ১১৯৮ থেকে ১১৬৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত প্রাচীন মিশরের শাসক ছিলেন। দীর্ঘকাল টিকে থাকার পর দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে ফারাওদের সাম্রাজ্য। তৃতীয় রামসেসের পরের সব ফারাও ছিলেন দুর্বল।
বারবার বিদেশী শক্তি আক্রমণ করতে থাকে মিশরে। ১০০০ – ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘকাল ধরে লিবিয়া বারবার আক্রমণ করে। একপর্যায়ে তারা সফল হয়, দখল করে নেয় ফারাওয়ের সিংহাসন।
৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে মিশরীয়রা আবার স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে পারেনি তারা। আর এভাবেই চূড়ান্ত পতন ঘটে মিশরীয় সভ্যতার।
আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Study Smart Course by Seeam Shahid Noor
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Course by Abtahi Iptesam
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
- Personal Finance Course by Nafeez Al Tarik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন