বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়াটা যতোটা না ভাগ্যের খেলা, তার চেয়েও বেশি তা বুদ্ধির খেলা। ৩০ নম্বরের ব্যাকরণ নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি পুরোটাই বুঝে বুঝে বই পড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এক্ষেত্রে না বুঝলে ভালো করা একদমই সম্ভব না।
এ তো গেল ব্যাকরণ। বাকি ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে খাতা ভরে লেখার পরও অনেকেই সত্তরে সত্তর উত্তর করে পরীক্ষার হল থেকে বের হতে পারে না। বন্ধুরা হল থেকে বের হয়ে কুশলাদি বিনিময় না করে চট করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় আমাদের দিকে,
“কীরে বন্ধু! রচনা কয় পৃষ্ঠা?” আমাদের, “আঠারো পৃষ্ঠা লিখেছি” উত্তরের বিপরীতে যখন আমরা শুনি, “আমি বন্ধু ছাব্বিশ পৃষ্ঠা লিখেছি। আরও লেখা উচিত ছিল।” তখন আসলে আশেপাশে ডুব দেয়ার জন্য কূপ খোঁজা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
আবার প্রতিবেদন, ভাবসম্প্রসারণ এমনকি সারাংশও অনেকে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে সন্তুষ্টির জন্য। একটা বিষয় পরিষ্কার করে নেয়া প্রয়োজন সবার, সেটা হলো, নম্বরটা আসলে পৃষ্ঠার উপর মোটেও নির্ভর করে না।
তবে কীসের উপর নির্ভর করে? কী করা উচিত তবে?
বাংলা ২য় পত্রে কী কী থাকে?
বাংলা ২য় পত্রকে মূলত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
বাংলা ব্যাকরণ
ব্যাকরণ কাকে বলে?
ব্যাকরণ হলো ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভাষাতত্ত্বে ব্যাকরণের ব্যবহার খুবই প্রয়োজনীয়। যে শাস্ত্রের দ্বারা ভাষাকে বিশ্লেষণ করে এর বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক সম্বন্ধ নির্ণয় করা যায়, তার নাম ব্যাকরণ।
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে ব্যাকরণ হলো,
যে বিদ্যার দ্বারা কোনো ভাষাকে বিশ্লেষণ করিয়া তাহার স্বরূপটি আলোচিত হয় এবং সেই ভাষার গঠনে ও লিখনে এবং তাহাতে কথোপকথনে শুদ্ধ-রূপে তাহার প্রয়োগ করা যায়, সেই বিদ্যাকে সেই ভাষার ব্যাকরণ বলে।
ব্যাকরণ সম্পর্কে ডক্টর সুকুমার সেন বলেন,
যে বইয়ে ভাষার বিচার ও বিশ্লেষণ আছে, তা-ই ব্যাকরণ।
বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে?
ব্যাকরণ কি, সেটা তো জানলাম। এখন প্রশ্ন হলো বাংলা ব্যাকরণ কি? যে শাস্ত্রে বাংলা ভাষার নানা উপাদানের প্রকৃতি এবং স্বরূপের বিচার ও বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়, তাই বাংলা ব্যাকরণ।
বাংলা ব্যাকরণ সম্পর্কে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বলেছেন,
যে শাস্ত্র জানিলে বাংলা ভাষা শুদ্ধ রূপে পড়িতে, লিখিতে ও বলিতে পারা যায়, তাহার নাম বাংলা ব্যাকরণ।
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বাংলা ব্যাকরণ সম্পর্কে বলেছেন,
যে শাস্ত্রে বাংলা ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি সব দিক দিয়ে আলোচনা করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তাকে বলে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বা বাংলা ব্যাকরণ।
আরও পড়ুন:
বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়
বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো:
- ধ্বনিতত্ত্ব
- শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব
- বাক্যতত্ত্ব
- অর্থতত্ত্ব
বাংলা নির্মিতি
নির্মিতি কী?
নির্মিতি শব্দটির মধ্যেই এর অর্থ নিহিত আছে। নির্মিতি শব্দ থেকে বোঝা যায়, নির্মিতি অর্থ নির্মাণ করা। ভাষাতত্ত্বের যে অংশে ভাষা বিষয়ক বিভিন্ন জিনিস নির্মাণ তথা রচনা করা হয়, তাকে নির্মিতি বলে।
বাংলা নির্মিতি কী?
নির্মিতি যেহেতু বুঝেছি, এখন তাই বাংলা নির্মিতি কি সেটা জানা যাক। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে, নির্মিতি অর্থ নির্মাণ করা। বাংলা ভাষাতত্ত্বের যে অংশে বাংলা বিষয়ক বিভিন্ন জিনিস নির্মাণ তথা রচনা করা হয়, তাকে বাংলা নির্মিতি বলে।
বাংলা নির্মিতির আলোচ্য বিষয়
বাংলা নির্মিতির মধ্যে মুলত বিভিন্ন প্রকারের রচনামূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ অংশের মাধ্যমে একজন খুব সহজেই লেখালেখিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। এ অংশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো: প্রবন্ধ রচনা, ভাবসম্প্রসারণ, সারাংশ ও সারমর্ম, চিঠি, আবেদনপত্র ইত্যাদি।
বাংলা ২য় পত্র কোথায় কোথায় প্রয়োজন?
বাংলা ২য় পত্র বিষয়টি ক্লাস ৬-৭ এর বাংলা বিষয়ে ও ক্লাস ৮-১২ এর বাংলা ২য় পত্র বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়, চাকরির পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রয়োজন হয়। বাংলা ২য় পত্রের বিষয়গুলো অর্থাৎ ব্যাকরণ ও নির্মিতি এমন কিছু জিনিস, যা একবার ভালো শিখে নিলে সকল ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। কেননা ব্যাকরণ তো প্রতি শ্রেণিতেই একই। আবার লিখিত অংশ তথা নির্মিতির ক্ষেত্রে একবার দক্ষ হয়ে গেলে, মুখস্ত করার একদমই প্রয়োজন পরবে না। ফলে নিজে নিজেই সহজে সবকিছু লেখা যাবে।
বাংলা ২য় পত্র -এর নির্মিতি অংশে নম্বর পাওয়াটা পরীক্ষার্থীর সৃজনশীলতা আর বিচক্ষণতার উপর নির্ভর করে। পরীক্ষার খাতার সুন্দর উপস্থাপনা আর পরিচ্ছন্নতার উপর অনেকটা নম্বর আসে আর যায়। তাই একটু কৌশল করে নির্মিতি অংশের ২.৩০ মিনিটের ব্যবহার করলে ভালো নম্বর প্রাপ্তি কোনো ব্যাপারই না!
বাংলা ব্যাকরণ
বাংলা ব্যাকরণের বিভিন্ন অংশ:
- ভাষা ও ব্যাকরণ
- উচ্চারণ
- বানান
- পদ
- উপসর্গ
- প্রকৃতি-প্রত্যয়
- সমাস
- বাক্য
- ণত্ব ও ষত্ব বিধান
- বিরাম চিহ্ন / যতি চিহ্ন
নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দেয়া আছে।
বাংলা নির্মিতি
বাংলা নির্মিতির বিভিন্ন অংশ:
- পরিভাষা ও পারিভাষিক শব্দ
- দিনলিপি
- অভিজ্ঞতা বর্ণনা
- প্রতিবেদন
- খুদেবার্তা / এসএমএস লিখন
- ইমেইল লিখন
- পত্র লিখন
- সারাংশ / সারমর্ম
- ভাবসম্প্রসারণ
- সংলাপ / কথোপকথন
- ক্ষুদে গল্প
- অনুচ্ছেদ
- রচনা
নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দেয়া আছে।
বাংলা ব্যাকরণ: ভাষা ও ব্যাকরণ
বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির মাধ্যমে মানুষের মনোভাব প্রকাশ করাকে ‘ভাষা’ বলে। বাংলা ভাষার বিভিন্ন অবস্থার ভিত্তিতে প্রকারভেদ রয়েছে। প্রতিটি সচল ও শুদ্ধ ভাষার দুটো রূপ থাকে। বাংলা ভাষারও দুটো রূপ আছে। সেগুলো হলো:
- মৌখিক ভাষারূপ
- লৈখিক ভাষারূপ
মৌখিক ভাষারূপ
মৌখিক ভাষার আবার দুটো রূপ। যথা:
- মান মৌখিক ভাষা
- আঞ্চলিক মৌখিক ভাষা
মান মৌখিক ভাষা
মান মৌখিক ভাষা পরিমার্জিত ও সার্বজনীন মৌখিক ভাষাকে মান মৌখিক ভাষা বলে।
আঞ্চলিক মৌখিক ভাষা
আঞ্চলিক মৌখিক ভাষা হলো বিভিন্ন অঞ্চলের কথ্যরীতির ভাষা আঞ্চলিক মৌখিক ভাষার অন্তর্ভুক্ত।
লৈখিক ভাষারূপ
লৈখিক ভাষারও দুটো রূপ। যথা:
- সাধু ভাষা
- চলিত ভাষা
সাধু ভাষা
যে ভাষা প্রধানত তৎসম শব্দবহুল, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদসমূহ অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ অনেকটা গুরুগম্ভীর ও কৃত্রিম তাকেই সাধু ভাষা বলে।
চলিত ভাষা
অ-তৎসম শব্দবহুলতা, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্ত রূপ তাকেই চলিত ভাষা বলে।
সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য
সাধু ও চলিত ভাষার মৌলিকপার্থক্যগুলো হলো:
সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য | |
---|---|
সাধু ভাষা | চলিত ভাষা |
সাধু ভাষা বাংলা লেখ্য সাধুরীতি ও সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে। | চলিত ভাষারীতি পরিবর্তনশীল। |
সাধু ভাষার পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। | চলিত ভাষারীতি তদ্ভব শব্দবহুল। |
সাধু ভাষারীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতায় অনুপযোগী। | চলিত ভাষারীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতায় বিশেষ উপযোগী। |
সাধু ভাষার সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে। | চলিত ভাষারীতি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য। |
সাধু ভাষা মার্জিত ও সর্বজনবোধ্য কিন্তু বহুলাংশে কৃত্রিম। | চলিত ভাষা সাবলীল ও স্বচ্ছন্দ গতিময়। |
সাধু ভাষা তৎসম শব্দবহুল। | চলিত ভাষার সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের রূপ সংক্ষিপ্ত। |
বাংলা ব্যাকরণ: উচ্চারণ
শব্দের যথাযথ উচ্চারণের জন্য নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণরীতি বলে। ভাষাতত্ত্ববিদ ও ব্যাকরণবিদগণ বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের যথাযথ সঠিক উচ্চারণের জন্য কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণয়ন করেছেন। এই নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে বলা হয় বাংলা ভাষার উচ্চারণরীতি। বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা উচ্চারণের নিয়ম
বাংলা উচ্চারণের দশটি নিয়ম হলো:
- শব্দের আদ্য ‘অ’ এর পরে ‘য’ ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সেক্ষেত্রে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’ কারের মতো হয়। যেমন: অদ্য (ওদ্দো), কন্যা (কোন্না) ইত্যাদি ।
- শব্দের গোড়ায় ব-ফলার কোনো উচ্চারণ নেই। যেমন: শ্বাস, শ্বাপদ, দ্বাপর, দ্বিজ, দ্বার। শব্দের মধ্যে ব-ফলা ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব ঘটায়-বিধান (বিদ্দান্), স্বত্ব (শৎতো)।
- যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সংযুক্ত ম-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন: সূক্ষ্ম (শুকখোঁ), যক্ষ্মা (জক্খাঁ) ইত্যাদি।
- পদের মধ্যে কিংবা অন্তে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে য-ফলা যুক্ত হলে সাধারণত তার উচ্চারণ হয় না। যেমন: সন্ধ্যা (শোন্ধা), স্বাস্থ্য (শাস্খো) ইত্যাদি।
- শব্দের মাঝে বা শেষে ‘ক্ষ’-এর উচ্চারণ ‘ক্খ’ হয়ে থাকে। যেমন: দক্ষতা (দোক্খোতা), পক্ষ (পোক্খো) ইত্যাদি।
- ‘জ্ঞ’ অর্থাৎ জ + ঞ শব্দের গোড়ায় গ্ঁ উচ্চারিত হয়। যেমন: জ্ঞান, জ্ঞাপন। শব্দের মধ্যে গ্ঁগ উচ্চারিত হয়। যেমন: বিজ্ঞান, সজ্ঞান।
- শব্দের দ্বিতীয় শব্দাংশে ই বা উ ধ্বনি থাকলে প্রথম শব্দাংশের এ বা এ-কার এ উচ্চারিত হয়। ফেন = ফ্যান, কিন্তু ফেনিল = ফেনিল্; পেঁচানো = প্যাচানো, কিন্তু পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে।
- রেফ (র্) এবং র-ফলার বৈশিষ্ট্য এই যে শব্দের মধ্যে বা শেষে এরা ব্যাঞ্জনের দ্বিত্ব ঘটায়। গর্ব, দর্প, সর্ব প্রভৃতি শব্দের উচ্চারণ ঠিক গর্বো, দরূপো, শর্বো নয়। লিখতে হয় গর্ব্বো, দর্প্পো, শর্ব্বো। তবে, প্রথম ব্যঞ্জাটি খণ্ডিত। অর্থাৎ দ্বিত্ব আংশিক।
- হ-য়ের সঙ্গে মূর্ধন্য-ণ, দন্ত্য-ন ও ম-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে হ পরে চলে যায়। অপরাহ্ণ = অপোরান্ন্হো/অপোরান্হো, ব্রাহ্মণ = ব্রাম্হোন।
- বাংলায় বিসর্গের উচ্চারণ সম্পর্কে একটি কথাই স্মরণীয়। বিসর্গের উচ্চারণ নেই। কেবল তার প্রভাবে পরবর্তী ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব হয়। যেমন: দুঃখ = দুখ্খো, অধঃপতন = অধোপ্পতন।
বাংলা ব্যাকরণ: বানান
যেকোনো ভাষার ক্ষেত্রেই বানান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বানান ভুলের কারণে পুরো লেখাই গুরুত্ব হারায়। বাংলা ২য় পত্র বিষয়ে বানান নিয়ে পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে।
বাংলা বানানের নিয়ম
বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের ছয়টি নিয়ম নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
- তৎসম অর্থাৎ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবিকৃত সংস্কৃত শব্দের বানান যথাযথ ও অপরিবর্তিত থাকবে। যেমন: চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ধর্ম ইত্যাদি।
- রেফ (র্)-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: কার্য, কর্ম, কর্দম, অর্জন, অর্চনা ইত্যাদি।
- ‘আলি’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ‘ই’ কার ব্যবহৃত হবে। যেমন : সোনালি, মিতালি, বর্ণালি ইত্যাদি।
- ‘আনো’ প্রত্যয়ান্ত শব্দের শেষে ও-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন : করানো, বলানো, খাওয়ানো, পাঠানো, দেখানো, বুঝানো ইত্যাদি।
- হসন্ত (্) চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে। যেমন : কলকল, ফটফট, ঝরঝর, চেক, মদ ইত্যাদি।
বাংলা ব্যাকরণ: পদ
বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের ব্যাকরণ অংশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। বাক্যে ব্যাবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দগুলোকে পদ বলে।
পদের প্রকারভেদ
- বিশেষ্য:থালা, বাটি, ঢাকা ইত্যাদি
- সর্বনাম: তুমি, সে
- বিশেষণ: নীল, ভালো, বুদ্ধিমান
- ক্রিয়া: খাওয়া, যাওয়া
- ক্রিয়া-বিশেষণ: দ্রুত, ভালোভাবে
- যোজক: এবং, ও, আর
- অনুসর্গ: এ, ওই
- আবেগ শব্দ: চমৎকার, বাহ
আরও পড়ুন:
বাংলা ২য় পত্রের টুকিটাকি: সারাংশ লেখার নিয়ম
বাংলা ২য় পত্রের টুকিটাকি: সারমর্ম লেখার নিয়ম
ইমেইল লেখার সঠিক নিয়ম: কী লিখবেন ও কী এড়িয়ে চলবেন
বাংলা ব্যাকরণ: উপসর্গ
বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের উপসর্গ হলো এমন সব শব্দ যা বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না, এগুলো অন্য শব্দের পূর্বে বসে। এর প্রভাবে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি ও শব্দের অর্থের পূর্ণতা সাধিত হয় এবং শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ, সংকোচন ও পরিবর্তন ঘটে। ভাষায় ব্যবহৃত এসব অব্যয়সূচক শব্দাংশকে ‘উপসর্গ’ বলে।
উপসর্গের প্রকারভেদ
উপসর্গ তিন প্রকার। যথা:
- খাঁটি বাংলা উপসর্গ
- সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
- বিদেশি উপসর্গ।
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
নৃতাত্ত্বিক বিচারে আর্যবসতিপূর্ব জাতিগোষ্ঠীর ব্যবহৃত ভাষা থেকে এসে বাংলা ভাষায় : ব্যবহৃত হচ্ছে এমন উপসর্গকে খাঁটি বাংলা বা দেশি উপসর্গ বলে। খাঁটি বাংলা উপসর্গ মোট ২১টি। যথা: অ, অঘা, অম্ল, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊন), কদ্, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত এবং বর্তমানে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে ‘সংস্কৃত’ বা ‘অসম উপসর্গ’ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি : প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দূর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।
বিদেশি উপসর্গ
বিদেশি ভাষা থেকে এসে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে ‘বিদেশি উপসর্গ’ বলে। যেমন:
- ফারসি ভাষা থেকে আগত ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম ইত্যাদি।
- আরবি ভাষা থেকে আগত আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর ইত্যাদি
- ইংরেজি ভাষা থেকে আগত ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, হাফ ইত্যাদি
- উর্দু-হিন্দি ভাষা থেকে আগত উর্দু-হিন্দি উপসর্গ: হয় ইত্যাদি
বাংলা ব্যাকরণ: প্রকৃতি-প্রত্যয়
প্রকৃতি
কোনো মৌলিক শব্দের যে অংশকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না তাকে প্রকৃতি বলে। যেমন: গোলাপ । প্রকৃতি ২ প্রকার। যথা:
- নাম প্রকৃতি
- ধাতু প্রকৃতি
প্রত্যয়
ধাতুর সাথে যা যুক্ত করে শব্দ কিংবা কালরূপ এবং শব্দে যা যুক্ত করে অন্য শব্দ বা ধাতু হয় তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় ২ প্রকার। যথা:
- ধাতু প্রত্যয় বা কৃৎ প্রত্যয়
- শব্দ প্রত্যয় বা তদ্ধিত প্রত্যয়
ধাতু প্রত্যয় বা কৃৎ প্রত্যয়
ধাতু বা কৃৎ প্রত্যয় আবার ২ প্রকার। যথা:
- বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
- সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
শব্দ প্রত্যয় বা তদ্ধিত প্রত্যয়
শব্দ বা তদ্ধিত প্রত্যয় ৩ প্রকার। যথা:
- বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
- বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়
- তৎস তদ্ধিত প্রত্যয়
বাংলা ব্যাকরণ: সমাস
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদ এক পদে মিলে পরিণত হওয়াকে ‘সমাস’ বলে। সমাসের রীতি মূলত সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।
সমাসের প্রকারভেদ
সমাস মোট ৬ প্রকার। যথা:
- দ্বন্দ্ব সমাস
- কর্মধারয় সমাস
- তৎপুরুষ সমাস
- বহুব্রীহি সমাস
- অব্যয়ীভাব সমাস
- দ্বিগু সমাস
বাংলা ব্যাকরণ: বাক্য
বাক্য কাকে বলে?
যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্য বলে।
বাক্যের প্রকারভেদ
গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা:
- সরল বাক্য
- জটিল বা মিশ্র বাক্য
- যৌগিক বাক্য
বাংলা ব্যাকরণ: ণত্ব ও ষত্ব বিধান
বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধান হলো বাংলা ব্যাকরণের একটি বিশেষ নিয়ম। বাংলা ভাষার তৎসম শব্দে দন্ত্য-ন এর ব্যবহার না হয়ে মূর্ধন্য-ণ তে পরিবর্তনের নিয়মসমূহকে ণ-ত্ব বিধান এবং দন্ত্য-স এর মূর্ধন্য-ষ তে পরিবর্তনের নিয়মসমূহকে ষ-ত্ব বিধান বলা হয়।
ণ-ত্ব বিধান বা ণ ব্যবহারের নিয়ম
- ঋ, র (্র), রেফ (র্), ষ (ক্ষ) বর্ণের পরে দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বিষ্ণু, বরণ, ঘৃণা।
- যদি ঋ, র(্র), ষ (ক্ষ) বর্ণের পরে স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ, য় অথবা অনুস্বার (ং) থাকে, তার পরবর্তী দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়ে যায়। যেমন: কৃপণ, নির্বাণ, গ্রহণ।
- ট-বর্গের পূর্বের দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: বণ্টন, লুণ্ঠন, খণ্ড।
- প্র, পরা, পরি, নির্- উপসর্গের এবং ‘অন্তর’ শব্দের পরে নদ্, নম্, নশ্, নহ্, নী, নুদ্, অন্, হন্- কয়েকটি ধাতুর দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ নয়। যেমন: প্রণাম, পরিণাম, প্রণাশ, পরিণতি, নির্ণয় ইত্যাদি।
- প্র, পরা প্রভৃতির পর ‘নি’ উপসর্গের দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: প্রণিপাত, প্রণিধান ইত্যাদি।
- কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: চাণক্য, মাণিক্য, কণা, গৌণ, নিপুণ, বাণিজ্য, লবণ, পণ্য, পুণ্য, বণিক, মণ, শোণিত, বিপণী, পণ, বীণা, বাণ, লাবণ্য, কণিকা, মণি, শাণ প্রভৃতি।
ষত্ব বিধান বা ষ ব্যবহারের নিয়ম
- ঋ-কারে পরে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: ঋষি, বৃষ, বৃষ্টি।
- অ, আ, বাদে অন্য স্বরবর্ণ, ক এবং র বর্ণের পরের প্রত্যয়াদির দন্ত্য-স এর মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ, পরিষ্কার, মুমূর্ষ।
- ‘অতি’, ‘অভি’ এমন শব্দের শেষে ই-কার উপসর্গ এবং ‘অনু’ আর ‘সু’ উপসর্গের পরে কতগুলো ধাতুর দন্ত্য-স এর মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: অতিষ্ঠ, অনুষ্ঠান, নিষেধ, অভিষেক, বিষণ্ন(‘ণ্ন’ মূর্ধ-ণ পরে দন্ত্য-ন), সুষম।
- নিঃ, দুঃ, বহিঃ, আবিঃ, চতুঃ, প্রাদুঃ এ শব্দগুলোর পর ক্, খ্, প্, ফ্ থাকলে বিসর্গ (ঃ) এর জায়গায় মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: নিঃ + কাম > নিষ্কাম, দুঃ + কর > দুষ্কর, বহিঃ + কার > বহিষ্কার, নিঃ + পাপ > নিষ্পাপ।
- কিছু শব্দ স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: আষাঢ়, নিষ্কর, পাষাণ, ষোড়শ ইত্যাদি।
- কতগুলো শব্দ বিশেষ নিয়মে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: সুষুপ্তি, বিষম, বিষয়, দুর্বিষহ, যুধিষ্ঠির ইত্যাদি।
বাংলা ব্যাকরণ: বিরাম চিহ্ন / যতি চিহ্ন
বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝাবার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের সমাপ্তিতে কিংবা বাক্যে আবেগ (হর্ষ, বিষাদ), জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বাক্য গঠনে যেভাবে বিরতি দিতে হয় এবং লেখার সময় বাক্যের মধ্যে তা দেখাবার জন্য যেসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে যতি চিহ্ন’, ‘ছেদচিহ্ন’ বা ‘বিরাম চিহ্ন’ বলে।
বিরাম চিহ্ন বা যতি চিহ্নের তালিকা
বাংলা ভাষায় নিম্নলিখিত বিরাম বা যতিচিহ্নসমূহ ব্যবহৃত হয়:
যতিচিহ্নের নাম | আকৃতি | বিরতি কাল |
---|---|---|
কমা বা পাদচ্ছেদ | , | ১ (এক) বলতে যে সময় প্রয়োজন |
সেমিকোলন | ; | ১ বলার দ্বিগুণ সময় |
দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ | । | ১ সেকেন্ড |
প্রশ্নবোধক চিহ্ন | ? | ১ সেকেন্ড |
বিস্ময় ও সম্বোধন চিহ্ন | ! | ১ সেকেন্ড |
কোলন | : | ১ সেকেন্ড |
ড্যাস | — | ১ সেকেন্ড |
কোলন ড্যাস | :- | ১ সেকেন্ড |
হাইফেন | – | থামার প্রয়োজন নেই |
ইলেক বা লোপ চিহ্ন | ’ | থামার প্রয়োজন নেই |
একক উদ্ধৃতি চিহ্ন | ‘ ‘ | ‘এক’ উচ্চরণে যে সময় লাগে |
যুগল উদ্ধৃতি চিহ্ন | “ ” | ‘এক’ উচ্চরণে যে সময় লাগে |
ব্র্যাকেট (বন্ধনি চিহ্ন) | ( ) { } [ ] |
থামার প্রয়োজন নেই |
ধাতু দ্যোতক চিহ্ন | √ | থামার প্রয়োজন নেই |
পরবর্তী রূপবোধক চিহ্ন | < | থামার প্রয়োজন নেই |
পূর্ববর্তী রূপবোধক চিহ্ন | > | থামার প্রয়োজন নেই |
সমান চিহ্ন | = | থামার প্রয়োজন নেই |
বর্জন চিহ্ন | … | থামার প্রয়োজন নেই |
সংক্ষেপণ চিহ্ন | . | থামার প্রয়োজন নেই |
বিকল্প চিহ্ন | / | থামার প্রয়োজন নেই |
বাংলা নির্মিতি: পরিভাষা ও পারিভাষিক শব্দ
জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সমাজ বাস্তবতার সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেসব শব্দ সুনির্দিষ্ট বা বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয় তাকে পরিভাষা বা পারিভাষিক শব্দ বলে। অভিধানে পরিভাষা অর্থ সংক্ষেপার্থ শব্দ। অর্থাৎ যে শব্দের দ্বারা সংক্ষেপে কোনো বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে ব্যক্ত করা যায় তাই পরিভাষা। যেমন: Act = আইন, Acting = ভারপ্রাপ্ত।
বাংলা ভাষায় এরূপ অনেক পারিভাষিক শব্দ ব্যবহৃত হয়। এসব পারিভাষিক শব্দ বাংলা ভাষাকে করেছে সমৃদ্ধ। এর ফলে বাংলা ভাষায় প্রচুর শব্দ যুক্ত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিক তথা এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নে এরকম কিছু শব্দের তালিকা দেয়া থাকবে। তা থেকে ১০টি উত্তর করতে হবে। এতে ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
পারিভাষিক শব্দের তালিকা
ক্রম | মূলশব্দ | অর্থ |
---|---|---|
১ | A.C (Ante Christien) | খ্রিস্টপূর্ব |
২ | A.D (Anno Domini) | খ্রিস্টাব্দ |
৩ | Abbreviation | সংক্ষেপণ |
৪ | Abstract | সার, সংক্ষিপ্ত |
৫ | Academic | অধিবিদ্যা / শিক্ষায়তনিক |
৬ | Academic year | শিক্ষাবর্ষ |
৭ | Academy | বিদ্যাপীঠ |
৮ | Accessories | সরঞ্জাম |
৯ | Accused | অভিযুক্ত |
১০ | Acknowledgement | প্রাপ্তিস্বীকার |
১১ | Acting | ভারপ্রাপ্ত |
১২ | Acting editor | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক |
১৩ | Address of welcome | অভিনন্দন পত্র বা সংবর্ধনা ভাষণ |
১৪ | Ad-hoc | অনানুষ্ঠানিক / তদর্থক |
১৫ | Administrator | প্রশাসক |
১৬ | Admit card | প্রবেশ পত্র |
১৭ | Adult education | বয়স্ক শিক্ষা |
১৮ | Adviser | উপদেষ্টা |
১৯ | Affidavit | শপথনামা / হলফনামা |
২০ | Agenda | আলোচ্য-সূচি |
২১ | Agreement | চুক্তি / সম্মতি / মতৈক্য |
২২ | Aid | সাহায্য |
২৩ | Air-conditioned | শীতাতপনিয়ন্ত্রিত |
২৪ | Air-mail | বিমান-ডাক |
২৫ | Allotment | বরাদ্দ |
২৬ | Appendix | পরিশিষ্ট |
২৭ | Article | অনুচ্ছেদ |
২৮ | Articles | নিয়মাবলি / ধারা |
২৯ | Assembly | পরিষদ, সভা |
৩০ | Assembly house | সংসদ ভবন |
৩১ | Auditor | হিসাবনিরীক্ষক |
৩২ | Author | লেখক / গ্রন্থকার |
৩৩ | Autonomous | স্বায়ত্তশাসিত |
৩৪ | Background | পটভূমি |
৩৫ | Bail | জামিন |
৩৬ | Ballot paper | ভোটপত্র |
৩৭ | Bankrupt | দেওলিয়া |
৩৮ | Basic | মৌলিক, মৌল |
৩৯ | Basic pay | মূল বেতন |
৪০ | Bearer | বাহক |
৪১ | Bidder | নিলাম ডাকিয়ে |
৪২ | Bidding | নিলাম ডাক |
৪৩ | Biodata | জীবনবৃত্তান্ত |
৪৪ | Biography | জীবনচরিত, জীবনী |
৪৫ | Book post | খোলাডাক |
৪৬ | Boyscout | ব্রতী বালক |
৪৭ | Brand | ছাপ, মার্কা |
৪৮ | Break of study | অধ্যয়ন-বিরতি, শিক্ষা বিরতি |
৪৯ | Broker | দালাল |
৫০ | Budget | আয়ব্যয়ক |
৫১ | Bureau | সংস্থা |
৫২ | Bureaucracy | আমলাতন্ত্র |
৫৩ | Cabinet | মন্ত্রিপরিষদ |
৫৪ | Cable | তার |
৫৫ | Calendar | পঞ্জিকা |
৫৬ | Calender | ইস্ত্রি |
৫৭ | Campaign | প্রচারাভিযান |
৫৮ | Campus | অঙ্গন / ক্যাম্পাস |
৫৯ | Canon | নীতি |
৬০ | Capital | পুঁজি, মূলধন |
৬১ | Caption | শিরোনাম, পরিচিতি |
৬২ | Carbohydrate | শ্বেতসার |
৬৩ | Carbon di-oxide | অঙ্গারাম্লজান |
৬৪ | Care-taker | তত্ত্বাবধায়ক |
৬৫ | Cargo | মালবাহী জাহাজ |
৬৬ | Cartoon | ব্যঙ্গচিত্র |
৬৭ | Catalogue | তালিকা, গ্রন্থতালিকা |
৬৮ | Census | আদমশুমারি |
৬৯ | Chancellor | আচার্য |
৭০ | Cheque | হুণ্ডি |
৭১ | Civil | বেসামরিক |
৭২ | Civil war | গৃহযুদ্ধ |
৭৩ | Code | বিধি, সংকেত |
৭৪ | Co-education | সহ-শিক্ষা |
৭৫ | Coldstorage | হিমাগার |
৭৬ | Colony | উপনিবেশ |
৭৭ | Compliment | সৌজন্য |
৭৮ | Conduct | আচরণ |
৭৯ | Conference | সম্মেলন |
৮০ | Constitution | সংবিধান |
৮১ | Contemporary | সমকালীন |
৮২ | Copy | প্রতিলিপি |
৮৩ | Copyright | লেখকস্বত্ব |
৮৪ | Cordon | বেষ্টনী |
৮৫ | Council | পরিষদ |
৮৬ | Crown | মুকুট |
৮৭ | Data | উপাত্ত |
৮৮ | Dbenture | ঋণপত্র |
৮৯ | Deed | দলিল |
৯০ | Deed of gift | দানপত্র |
৯১ | Defence | প্রতিরক্ষা |
৯২ | Democracy | গণতন্ত্র |
৯৩ | Demonstrator | প্রদর্শক |
৯৪ | Deputation | প্রেষণ |
৯৫ | Deputy | উপ-প্রতিনিধি |
৯৬ | Deputy Secretary | উপ-সচিব |
৯৭ | Devaluation | অবমূল্যায়ন |
৯৮ | Diagnosis | নিদান / রোগনির্ণয় |
৯৯ | Diagram | নকশা |
১০০ | Dialect | উপভাষা |
১০১ | Diploma | উপাধিপত্র |
১০২ | Diplomacy | কূটনীতি |
১০৩ | Diplomat | কূটনীতিক |
১০৪ | Donation | দান, অনুদান |
১০৫ | Donor | দাতা |
১০৬ | Dowry | যৌতুক |
১০৭ | Dynamic | গতিশীল, গভীর |
১০৮ | Edition | সংস্করণ |
১০৯ | Editor | সম্পাদক |
১১০ | Editorial | সম্পাদকীয় |
১১১ | Element | উপাদান |
১১২ | Embargo | অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা |
১১৩ | Emigration | অভিভাসন |
১১৪ | Engineer | প্রকৌশলী |
১১৫ | Enquiry | অনুসন্ধান, তদন্ত |
১১৬ | Enterprise | উদ্যোক্তা |
১১৭ | Equality | সমতা |
১১৮ | Equation | সমীকরণ |
১১৯ | Exchange | বিনিময় |
১২০ | Excise | আবগারিশুল্ক |
১২১ | Ex-officio | পদাধিকার বলে |
১২২ | Faculty | অনুষদ |
১২৩ | Farm | খামার |
১২৪ | Federal | যুক্তরাষ্ট্রীয় |
১২৫ | Fiction | কথাসাহিত্য |
১২৬ | file | নথি |
১২৭ | final | সমাপ্তি |
১২৮ | Follow-up | অনুসরণ করা |
১২৯ | Forecast | পূর্বাভাস |
১৩০ | Fund | তহবিল |
১৩১ | Fundamental | মৌলিক / মৌল / মূল |
১৩২ | Galaxy | ছায়াপথ |
১৩৩ | Gazette | ঘোষণাপত্র |
১৩৪ | Gazetted | ঘোষিত |
১৩৫ | general manager | মহাব্যবস্থাপক |
১৩৬ | Geology | ভূতত্ত্ব |
১৩৭ | Global | বৈশ্বিক |
১৩৮ | Godown | গুদাম |
১৩৯ | Goods | পণ্য, মাল |
১৪০ | Goodwill | সুনাম |
১৪১ | Govering Body | পরিচালনা পর্ষদ |
১৪২ | graduate | স্নাতক |
১৪৩ | Gratuity | আনুতোষিক |
১৪৪ | Green house | সবুজ বলয় / গ্রিন হাউস |
১৪৫ | Green Room | সবুজ বলয় |
১৪৬ | Green-room | সাজঘর |
১৪৭ | Guide | পথপ্রদর্শক |
১৪৮ | Gunny | চট |
১৪৯ | Hand bill | প্রচারপত্র |
১৫০ | Hand-book | তথ্যপুস্তিকা |
১৫১ | Harbor | পোতাশ্রয় |
১৫২ | Headline | শিরোনাম |
১৫৩ | Home Minstry | স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় |
১৫৪ | Hood | বোরখা, বোরকা |
১৫৫ | Hospitality | আতিথেয়তা |
১৫৬ | Hostage | জিম্মি |
১৫৭ | Hostile | বৈরী, প্রতিকূল |
১৫৮ | hydrogen | উদযান |
১৫৯ | Hygiene | স্বাস্থ্যবিদ্যা |
১৬০ | Hypocrisy | কপটতা, ভণ্ডামি |
১৬১ | Immigrant | অভিবাসী |
১৬২ | Index | নির্ঘণ্ট, নির্দেশক |
১৬৩ | Interim | অন্তর্বর্তীকালীন |
১৬৪ | Internal | অভ্যন্তরীণ |
১৬৫ | Interpreter | দোভাষী |
১৬৬ | Interview | সাক্ষাৎকার |
১৬৭ | Investigation | অনুসন্ধান |
১৬৮ | Invisilstor | পরিদর্শক |
১৬৯ | Irrigation | সেচ |
১৭০ | Judge | বিচারক |
১৭১ | Justice | বিচারপতি |
১৭২ | Key note | মূল ভাব, মূল সুর |
১৭৩ | Keyman | অপরিহার্য কর্মী |
১৭৪ | Key-word | মূল-শব্দ |
১৭৫ | Kingdom | রাজ্য |
১৭৬ | Knight | বংশীয় |
১৭৭ | Leap- Year | অধি-বর্ষ |
১৭৮ | Leap-year | অধিবর্ষ |
১৭৯ | Legend | কিংবদন্তি |
১৮০ | Leisure | অবকাশ |
১৮১ | Liability | দায় |
১৮২ | Lien | পূর্বস্বত্ব / লিয়েন |
১৮৩ | Limited | সীমিত, সীমাবদ্ধ |
১৮৪ | Literal | আক্ষরিক |
১৮৫ | Literature | সাহিত্য |
১৮৬ | Lock-up | হাজত |
১৮৭ | manager | ব্যবস্থাপক |
১৮৮ | Manifesto | ইশতেহার |
১৮৯ | Manuscript | পাণ্ডুলিপি |
১৯০ | Mayor | মেয়র, পুরকর্তা |
১৯১ | Memorandum | স্মারকলিপি |
১৯২ | Mercury | পারদ |
১৯৩ | Method | প্রণালি |
১৯৪ | Millennium | সহস্রাব্দ |
১৯৫ | National Assembly | জাতীয় পরিষদ |
১৯৬ | Nationalisation | জাতীয়করণ / রাষ্ট্রীয়করণ |
১৯৭ | Nationality | জাতীয়তা |
১৯৮ | Nitrogen | যবক্ষারজান |
১৯৯ | Note | মন্তব্য |
২০০ | Notice Board | বিজ্ঞপ্তি ফলক |
২০১ | Nursery | শিশুমালা / তরুশালা |
২০২ | Obedient | অনুগত, বাধ্য |
২০৩ | Occupation | বৃত্তি / পেশা / দখল |
২০৪ | Office-bearer | কর্মচারী |
২০৫ | Option | ইচ্ছা |
২০৬ | Optional | ঐচ্ছিক |
২০৭ | Out-post | ফাঁড়ি |
২০৮ | oxygen | অম্লজান |
২০৯ | Para | অনুচ্ছেদ |
২১০ | Parliament | সংসদ |
২১১ | Passport | ছাড়পত্র / পাসপোর্ট |
২১২ | Pay-bill | বেতন-বিল / বেতন-পত্র |
২১৩ | Payee | প্রাপক |
২১৪ | periodical | সাময়িকী |
২১৫ | Philanthropist | লোকহিতৈষী |
২১৬ | Pollution | দূষণ |
২১৭ | post graduate | স্নাতকোত্তর |
২১৮ | Principal | অধ্যক্ষ / প্রধান |
২১৯ | Principle | তত্ত্ব / সূত্র / নীতি |
২২০ | Public | সরকারি লোক / জনসাধারণ |
২২১ | Public works | গণপূর্ত |
২২২ | Publication | প্রকাশনা |
২২৩ | Quarantine | সঙ্গরোধ |
২২৪ | radio | বেতার |
২২৫ | Rank | পদমর্যাদা |
২২৬ | Ratio | অনুপাত |
২২৭ | Regiment | সৈন্যদল |
২২৮ | Registration | নিবন্ধন |
২২৯ | Relation | সম্পর্ক |
২৩০ | Republic | প্রজাতন্ত্র |
২৩১ | Routine | রুটিন / নিত্যক্রম |
২৩২ | Sabotage | অন্তর্ঘাত |
২৩৩ | Salary | বেতন |
২৩৪ | Sanction | অনুমোদন / মঞ্জুরি |
২৩৫ | Scale | মাপনী / স্কেল / ক্রম |
২৩৬ | Secondary | মাধ্যমিক |
২৩৭ | Secretary | সচিব |
২৩৮ | Specialist | বিশেষজ্ঞ |
২৩৯ | Telecommunication | টেলিযোগাযোগ |
২৪০ | Termination | অবসান |
২৪১ | Theory | তত্ত্ব / সিদ্ধান্ত / সূত্র |
২৪২ | training | প্রশিক্ষণ |
২৪৩ | Union | সংঘ / ইউনিয়ন; সংযোগ |
২৪৪ | Up-to-date | হালনাগাদ |
২৪৫ | Urbanization | নগরায়ন |
২৪৬ | Vacation | অবকাশ / ছুটি |
২৪৭ | Valid | বৈধ / সিদ্ধ / চালু |
২৪৮ | Vehicle | যান / গাড়ি |
২৪৯ | Venue | স্থান |
২৫০ | Viva-voce | মৌখিক পরীক্ষা |
২৫১ | Vocation | বৃত্তি |
২৫২ | Walk-out | সভাবর্জন / ওয়াক আউট |
২৫৩ | White paper | শ্বেতপত্র |
২৫৪ | Worship | পূজা |
২৫৫ | Year-Book | বর্ষপঞ্জি |
২৫৬ | Zone | অঞ্চল; বলয় / মণ্ডল |
বাংলা নির্মিতি: দিনলিপি
ইংরেজিতে যাকে আমরা বলি ডায়েরি লেখা, বাংলায় সেটাই হলো বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের দিনলিপি। দিনলিপিতে মূলত প্রাত্যহিক বিভিন্ন ঘটনাবলী থাকে। এর মধ্যে যেমন আনন্দের ঘটনা থাকতে পারে, তেমনি থাকতে পারে দুঃখের ঘটনাও। তাই ডায়েরি হলো জীবনের গল্প প্রকাশের একটি মাধ্যম। সুন্দরভাবে ডায়েরি তথা দিনলিপি লেখার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।
দিনলিপি লেখার নিয়ম
- দিনলিপির পৃষ্ঠার একেবারে উপরের ডান বা বাম পাশের তারিখ ও বারের নাম লিখতে হয়। কেননা এর মাধ্যমে বোঝা যায় ঘটনাটি কত তারিখে এবং কি বারে ঘটেছিল।
- দিনলিপিতে ঘটনার সময় ও স্থানের নাম লিখতে হবে এর মাধ্যমে ঘটনাটির সময় ও স্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
- দিনে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা এর বিস্তারিত বিবরণ নয়, বরং উল্লেখযোগ্য বিশেষ বিশেষ ঘটনা সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
- দিনলিপিতে সহজ, সরল, স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষ ভাষায় কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোন বিশেষ ভাবনা চিন্তা বা কৌতূহলজনক কিছু লিখে রাখা হয়।
- দিনলিপিতে নিজের বা উত্তম পুরুষ (আমি, আমরা) লেখা হয়।
- দিনলিপিতে সাধারণত কোন অনুষ্ঠান, কোন বিপর্যয়, কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, কোন বিশেষ ভাবনাচিন্তা বা কৌতূহলজনক কিছু লিখে রাখা হয়।
- দিনলিপির ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত চরিত্রগুলোর পরিচয় সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে।
- দিনলিপিতে লেখক এর বর্ণনা বা বিবরণ গোছালো ও পরিচ্ছন্ন লেখা হওয়া উচিত।
- দিনলিপি একান্ত ব্যক্তিগত রচনাবলী। এতে নিজস্ব অভিমত দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ইত্যাদি খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করা চলে।
- দিনলিপিতে সব সময় সত্য ও প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে হবে।
বাংলা নির্মিতি: অভিজ্ঞতা বর্ণনা
অভিজ্ঞতা বর্ণনা বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। এই টপিকে শিক্ষক একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট প্রদান করবেন সে বিষয়ে একটি কাল্পনিক অভিজ্ঞতার গল্প লেখার জন্য।
অভিজ্ঞতা বর্ণনা লেখার নিয়ম
- অভিজ্ঞতাকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করতে হবে। অযথা বাড়তি কথা সংযুক্ত করে বড় করা যাবে না।
- যথাসম্ভব সুসামঞ্জস্য প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতা বর্ণন করতে হবে। বিক্ষিপ্ত বিষয়গুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিতে হবে।
- অভিজ্ঞতা বর্ণনে ভূমিকা, মূল অংশ এবং উপসংহার থাকতে পারে; তবে সর্বক্ষেত্রে যে আলাদাভাবে লিখতে হবে এমন নয় ৷ একটি অখণ্ড ভাবের মধ্যেও সমস্ত আলোচনা করা যেতে পারে।
- অভিজ্ঞতা বর্ণনার শুরুটা যেন আকর্ষণীয় হয়; এছাড়া বর্ণনাটাও যতদূর সম্ভব পাঠকের হৃদয়ের কাছাকাছি যেন যেতে পারে সে বিষয়ে মনোযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয় ।
- বর্ণিত বিষয়টিকে দৃশ্যের মতো চোখের সামনে উদ্ভাসিত করতে হবে। এটাই একটি সফল অভিজ্ঞতা বর্ণনার মূলমন্ত্র।
- অভিজ্ঞতা বর্ণনার ভাষা সহজ-সরল ও সাবলীল হতে হবে।
- যে বিষয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হবে তার প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো আলোচনায় আসা প্রয়োজন। তবে সেটা করতে গিয়ে সেই প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো যেন মূল বিষয়কে ছাপিয়ে না যায়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা আবশ্যক।
- অভিজ্ঞতা বর্ণনার ক্ষেত্রে সূচনা, প্লট তৈরি ইত্যাদি যেন ছকে বাধা হয়, সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং পরিশেষে আকর্ষণীয়ভাবে বিষয়টির বর্ণনা সমাপ্ত করতে হবে।
বাংলা নির্মিতি: প্রতিবেদন
যেকোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ বিবরণীকেই সংক্ষেপে প্রতিবেদন বলা যেতে পারে। ইংরেজিতে যাকে বলে রিপোর্ট লেখা, বাংলায় সেটিই হলো প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনের প্রকারভেদ
- সংবাদ প্রতিবেদন
- প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন
- তদন্ত প্রতিবেদন
আরও পড়ুন:
বাংলা নির্মিতি: খুদেবার্তা / এসএমএস লিখন
ক্ষুদেবার্তা যাকে ইংরেজিতে বলে এসএমএস হলো বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় আসা একটি রচনামূলক অংশ। এসএমএস আমরা সচরাচর যেভাবে লিখে থাকি, এক্ষেত্রেও লেখাটা সেরকমই হবে। খুদেবার্তার ইংরেজি অর্থাৎ এসএমএস এর পূর্ণরূপ হচ্ছে শর্ট মেসেজ সার্ভিস। অর্থাৎ, এসএমএস -কে সংক্ষিপ্ত হতে হবে এর সংজ্ঞা অনুযায়ীই।
ক্ষুদে বার্তা মূলত অনানুষ্ঠানিক বা ইনফরমাল হয়ে থাকে। তবে, আনুষ্ঠানিক বা ফরমাল এসএমএস-ও ব্যবহৃত হয়। যদি এতে ভালো নম্বর পেতে চাও তবে ক্ষুদে বার্তা লেখার কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
ক্ষুদে বার্তা লেখার নিয়ম
- খুদেবার্তা অবশ্যই একটি বক্সের আকার করে নিতে হবে। কারণ ক্ষুদে বার্তা মোবাইল ফরম্যাটে আকারে লিখতে হবে।
- খুবই সংক্ষিপ্ত লেখা হতে হবে।
- বার্তাটি সর্বোচ্চ ৩-৪ লাইনের হতে হবে।
- বার্তা লেখার সময় প্রেরকের নাম লিখতে হবে।
- তুমি যার কাছে বার্তা প্রেরণ করবে, সেই ফোন নম্বরটি লিখতে হবে।
- ফোন নম্বরের সাথে সেই দেশের কান্ট্রি কোড যুক্ত করে মোবাইল নম্বর লিখতে হবে।
- সাথে অবশ্যই পাঠানোর তারিখ এবং সময় উল্লেখ করে দিতে হবে।
বাংলা নির্মিতি: ইমেইল লিখন
বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের রচণামূলক অংশের একটি বিশেষ অংশ হলো ইমেইল লিখন। এর মাধ্যমে সচরাচর ব্যাক্তিগত আলাপচারিতা ফুটে ওঠে। পত্র লিখনে মূলত অনানুষ্ঠানিক ধারায় লেখা হয়। ইমেইল ছোটও হতে পারে, আবার বড়ও হতে পারে। এর নির্দিষ্টতা নেই।
কিন্তু বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় যে ইমেইল লিখতে দেয়া হয়, সেটি ছোট ও সংক্ষিপ্ত হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। কেননা এটি এক পৃষ্ঠার মধ্যে লেখা উত্তম।
ই-মেইল লেখার নিয়ম
- প্রাপক ঘরে যাকে ইমেইল পাঠানো হচ্ছে তার ইমেইল ঠিকানা লিখতে হবে।
- ইমেইল অ্যাড্রেসে কোন স্পেস বা ফাঁকা জায়গা না রাখতে হয় না। “@” চিহ্নের পর gmail.com, hotmail.com, yahoo.com ইত্যাদি কিংবা তার ইমেইল প্রোভাইডারের ওয়েব অ্যাড্রেস লেখা হয়। যেমন: name@gmail.com।
- ইমেইল ঠিকানা সব সময় ছোট হাতের অক্ষর বা Small letter-এর মাধ্যমে লেখা হয়।
- ইমেইলের উপরাংশে From, To, Cc এবং Bcc অপশন থাকে। From এর স্থানে প্রেরকের ঠিকানা, To এর স্থানে প্রাপকের ঠিকানা লিখতে হয়। Cc অর্থ কার্বন কপি। একাধিক ঠিকানায় একই ইমেইল পাঠানোর জন্য Cc বক্সে প্রাপকদের ঠিকানা লিখতে হয়। Bcc অর্থ ব্লাইন্ড কার্বন কপি। একাধিক ঠিকানায় একই ইমেইল পাঠানোর জন্য এবং প্রাপকদের অন্য প্রাপকদের ইমেইল গোপন রাখতে Bcc বক্সে প্রাপকদের ঠিকানা লিখতে হবে।
- Subject অংশে যে বিষয়টি নিয়ে ইমেইল রচনা করতে হবে তা অত্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করতে হবে। যেমন: চাকরির আবেদন জানিয়ে ইমেইল লিখতে চাইলে Subject অংশে লেখা যায় ‘শিক্ষক পদের জন্য আবেদন’।
- Body হলো ইমেইলের প্রধান অংশ। এই অংশে প্রাপকের নিকট মূল বার্তাটি লেখা হয়।
- ইমেইলের বার্তাটি সংক্ষিপ্ত হতে হবে।
- স্থান, কাল, পাত্র ভেদে সম্মানসূচক শব্দ যেমন: প্রিয়, মহোদয়, জনাব, সুধি ইত্যাদি সম্বোধন ব্যবহার করতে হবে।
- ইমেইলের তারিখ কিংবা প্রেরকের ইমেইল ঠিকানা উল্লেখ দরকার হয় না।
- ইমেইলে বার্তা লেখার পাশাপাশি ভিডিও, ছবি বা নথিপত্র ইত্যাদি প্রেরণ করা যায়। এর জন্য Attachment বা সংযুক্তি অংশের সাহায্য নিতে হবে। যেমন: ই-মেইলে চাকরির আবেদন করার সময় সিভি বা ছবি সংযুক্ত করে পাঠানো যায়।
বাংলা নির্মিতি: চিঠি বা পত্র লিখন
বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পত্র লিখন। এর মাধ্যমে সচরাচর ব্যাক্তিগত আলাপচারিতা ফুটে ওঠে। পত্র লিখনে মূলত অনানুষ্ঠানিক ধারায় লেখা হয়। পত্র ছোটও হতে পারে, আবার বড়ও হতে পারে। এর নির্দিষ্টতা নেই।
চিঠি বা পত্রের প্রকারভেদ
বিষয়বস্তু বিবেচনায় পত্র বা চিঠিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যথা:
- ব্যক্তিগত চিঠি। যেমন: মা-বাবা বা বন্ধু-বান্ধবকে ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে লেখা চিঠি।
- সামাজিক চিঠি। যেমন: সামাজিক কোনো সমস্যা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য কিংবা প্রশাসনকে জানানোর জন্য লেখা চিঠি।
- ব্যবহারিক চিঠি। যেমন: ব্যবহারিক প্রয়োজনে লেখা আবেদনপত্র, ব্যবসাপত্র, নিমন্ত্রণপত্র ইত্যাদি।
চিঠি বা পত্র লেখার নিয়ম:
- অনানুষ্ঠানিক বা ইনফরমাল ভাষায় লেখা
- সুন্দর ও স্পষ্ট হস্তাক্ষরে লেখা
- সহজ, সরল ভাষায় লেখা
- জটিল কোন শব্দ ব্যবহার না করা
- নির্ভুল বানানে লেখা
- চলিত ভাষায় লেখা
- বিরামচিহ্নের যথাযথ ব্যবহার করা
- একই কথার পুনরাবৃত্তি না করা
- পাত্রভেদে সম্মান ও স্নেহসূচক বাক্য ব্যবহার
বাংলা নির্মিতি: সারাংশ / সারমর্ম
যদিও এখানেও অনুচ্ছেদের মতো দশের উপর নম্বর দেয়া হবে, তবু মনে রেখো, এখানে কিন্তু বলেই দেয়া আছে যে হয় সারমর্ম অথবা সারাংশ লিখতে হবে। শুরুতেই উল্লেখ করা দরকার যে সারমর্মে বিশেষ কোনো কবিতাংশ এবং সারাংশে কোনো গল্প বা প্রবন্ধের কিছু অংশ প্রশ্নে তুলে দেয়া হয়। দুই ক্ষেত্রেই উল্লেখিত অংশের মূল বক্তব্য লিখতে হয়।
সারাংশ ও সারমর্ম লেখার টিপস
এখানে যে ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করে নম্বর দেয়া হয়:
- তোমার লেখার ধরণ দেখে আঁচ করা হয় যে তুমি উদ্ধৃতাংশটুকু পড়ে দেখেছো কিনা।
- মূল বক্তব্যটা আসলে কোথায়, তুমি ধরতে পেরেছো কিনা।
- একই বাক্য বারবার ব্যবহার করা থেকে বিরত ছিলে কিনা।
- লিখতে লিখতে অন্য প্রসঙ্গে চলে গিয়েছো কিনা।
তাই, খুব ভালোমতো উদ্ধৃতাংশটুকু পড়ে দেখবে। অংশটুকুর বিষয়বস্তু আসলে কী, তা খুঁজে দেখবে। একই বাক্য বারবার ব্যবহার থেকে বিরত থেকো আর গাছ নিয়ে লিখতে গিয়ে দেশ নিয়ে লিখে ফেলো না যেন!
উদ্ধৃতাংশে বিশেষ কোনো উক্তি থাকলে অবশ্যই তা হুবহু উল্লেখ করবে না, ধারণাটা লিখবে শুধু। খাতার উপরে সুন্দর করে প্রশ্নের নম্বর দেয়ার পর নীল রংয়ের কলম দিয়ে বাক্যাংশের প্রথম কয়েকটা শব্দ লিখে পরে ‘…’ দিয়ে শেষ বাক্যাংশের দুটি শব্দ লিখবে। এভাবে,
কে তুমি ……………………… জন্মদাতারে চিনি।
এরপর আলাদা অনুচ্ছেদে সারাংশ বা সারমর্ম লিখে লেখা শুরু করবে মূল বক্তব্য। সর্বোচ্চ ছয় লাইনের মধ্যে লিখে শেষ করা শ্রেয়। একটা ভালো ব্যাপার হলো, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সুন্দর বই দেয়া হয়েছে, নাম রচনা সম্ভার। সেখানে বেশ কয়েকটা নমুনা সারাংশ/সারমর্ম দেয়া আছে। মূলত, সেগুলো পড়লেই হবে।
বাংলা নির্মিতি: ভাবসম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ মূলত একটি ভাবকে পূর্ণতা দেয়। এর মাধ্যমে পরীক্ষায় এক বা একাধিক বাক্য দেয়া হয় এবং সেটিকে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে হয়।
ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম
- ভাব-সম্প্রসারণ করতে হলে উদ্ধৃত অংশ বা সারগর্ভ বাক্যটি মনোযোগ দিয়ে বারবার পড়ে তার প্রচ্ছন্ন ভাবটুকু বুঝে নিতে হবে। লেখকের রসঘন অর্থবহ রচনার মূল্যবান অংশ, কবিগণের ভাবগর্ভ পঙক্তি, প্রবাদ, কবিতার উজ্জ্বল পঙক্তি ইত্যাদি যেসব অংশ ভাব-সম্প্রসারণের জন্যে দেয়া হয়, তার যথার্থ মর্ম বুঝতে পারলে ভাব-সম্প্রসারণ সহজ হয়।
- মূলভাব উপমা, রূপক, প্রতীক বা সংকেতের আড়ালে আছে কিনা তা দেখে, মূল তাৎপর্য বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
- ভাব-সম্প্রসারণ কথাটির অর্থ যেহেতু ভাবের সম্প্রসারণ বা বৃদ্ধি, তাই প্রয়োজনীয় উপমা বা দৃষ্টান্ত এবং যুক্তি দিয়ে বক্তব্য-বিষয়কে সহজ-সরলভাবে উপস্থাপন করতে হবে। প্রাসঙ্গিক হলে ঐতিহাসিক, পৌরাণিক বা বৈজ্ঞানিক তথ্য উল্লেখ করা যেতে পারে।
- ভাব-সম্প্রসারণের সময় ভাবের সম্প্রসারণ বা বৃদ্ধি করতে হয় বলে বাহুল্য বর্জন করতে হবে, অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় কথা কিংবা একই কথার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে। সম্প্রসারিত লেখার আয়তন হবে প্রদত্ত মান নির্ধারক নম্বর অনুযায়ী।
- সম্প্রসারিত-ভাবের বিষয়বস্তুকে ছোট ছোট অনুচ্ছেদের মাধ্যমে স্পষ্ট করে তুলতে হবে। তবে দুই-তিন অনুচ্ছেদের বেশি না হওয়াই ভাল।
- আলোচনাটি যাতে রসহীন মনে না হয় সেদিকে মনোযোগী হতে হবে। প্রকাশভঙ্গির সৌন্দর্যের ওপরে ভাব সম্প্রসারণের সার্থকতা নির্ভর করে।
- কাজটি যেহেতু ভাবের বিস্তার তাই কবি বা লেখকের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। এমনকি প্রদত্ত কবিতা বা গদ্যের শব্দ বা শব্দগুচ্ছ হুবহু ব্যবহার করা যাবে না। যেমন: ‘কবি এখানে বলতে চেয়েছেন ….. ‘; ‘লেখকের মতে …….’ ইত্যাদি।
- প্রবাদ-প্রবচনের সঠিক ব্যবহার লেখার তীক্ষ্নতা বৃদ্ধি করে বলে তা গ্রহণযোগ্য। প্রয়োজনে যুক্তিযুক্ত উপমা কিংবা উদ্ধৃতি ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অযথা উদ্ধৃতির ব্যবহার মূল বিষয়ের সৌন্দর্যহানি ঘটায় বলে তা অবশ্যই বর্জনীয়।
বাংলা নির্মিতি: সংলাপ / কথোপকথন
ইংরেজিতে যেমন আমরা ডায়ালগ লিখি, বাংলায় তেমনি সংলাপ। সংলাপ বলতে কথোপকথন বোঝানো হয়। অর্থাৎ, একাধিক মানুষ যা যা কথা বলতে পারে, তা-ই সংলাপ। তবে, বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় যে সংলাপ আসে, তা দুইজন মানুষের মধ্যকার কথোপকথন হয়ে থাকে। নিচে এই অংশে ভালো করার নিয়মগুলো দেয়া আছে।
সংলাপ লেখার নিয়ম
- বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষায় সাধারণত কাল্পনিক সংলাপে দুটি চরিত্র থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুই বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন লিখতে হয়।
- সংলাপ শুরু করার আগে প্রেক্ষাপট যোগ করা যেতে পারে, আবার না করলেও দোষের নয়। তবে, প্রেক্ষাপট লিখে অযথা সংলাপ বড় করা যাবে না।
- সম্ভাষণে বেশি বাক্যব্যয় করা যাবে না।
- পুরো রচনাটি ১২-১৪ বাক্যে লিখতে হবে।
- প্রশ্নে যে বিষয় নিয়ে সংলাপ রচনা করতে বলা হয়, সেই বিষয়টিকে নিয়েই লিখতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে লেখা যাবে না।
- অন্যান্য রচনার মতো সংলাপের শুরুটা হবে ভূমিকার মতো। অর্থাৎ, যে বিষয়ে সংলাপ রচনা করতে বলা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রবেশ করতে হবে একেবারে শুরুর দিকেই।
- সংলাপে যেন দুজনের কথার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। যেমন: একজন যদি প্রশ্ন করে তো পরের জন তার উত্তর দেবে।
- সংলাপের শেষটা হবে আলোচ্য বিষয়ের উপসংহারের মতো। অর্থাৎ, এরপর আর কিছু বলার থাকবে না। চেষ্টা করতে হবে এমনভাবে শেষ করা যেন, যেই বিষয়টি বোঝানোর পরিকল্পনা ছিল, অপরপক্ষ সেটি বুঝতে পারে।
- বিদায় জানিয়ে সংলাপ শেষ করা হবে।
বাংলা নির্মিতি: ক্ষুদে গল্প
বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার ক্ষুদে গল্প মূলত শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য খুবই সহায়ক একটি বিষয়। খুদে গল্প লেখার সময় অল্প কথায় একটি গল্প লিখতে হয়। ফলে সাহিত্যের জগতে প্রবেশের একটা ভালো সুযোগ থাকছে। খুদে গল্প মূলত অনেকটাই ছোট হবে। এবং এর সৃজনশীলতা থাকা জরুরি। পাশাপাশি গল্পটি গ্রহণযোগ্য হওয়াটাও জরুরি।
খুদে গল্প লেখার নিয়ম
ক্ষুদে গল্প লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশনা মেনে চললে ভালো মানের খুদে গল্প লেখা যায়। যেমন-
- ক্ষুদে গল্প লেখার আগে যে বিষয়ে কাহিনী সূত্র বা সংকেত অবলম্বন করে লিখতে হবে সে বিষয়ে মনের মধ্যে কাহিনীর একটি খসড়া তৈরি করে নিতে হবে।
- যদি গল্প লেখার অভ্যাস করতে হয় তাহলে সবার আগে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে হবে।
- ক্ষুদে গল্প লেখার সময় কাহিনীটিকে জটিল না করাই ভালো। এ ধরনের গল্পে কোন চরিত্র যাতে ভিড় না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ক্ষুদে গল্পের শুরু থেকেই পাঠকের মনে কৌতুহল সৃষ্টি করে রাখতে হবে। যাতে করে গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠকের পড়ার আগ্রহ থাকে।
- খুদে গল্পের পরিবেশ রচনার জন্য ঘটনা ঘটার জায়গা, সময়, আবহাওয়া ও পরিবেশ ইত্যাদি উল্লেখ করা প্রয়োজন।
- ক্ষুদে গল্পের চরিত্র অনুযায়ী ভাষা প্রয়োগ করতে হবে।
- সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্ষুদে গল্প লিখনের ক্ষেত্রে তিন ধরনের বিষয়ে লেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সেগুলো হলো:
- বিষয়সূত্র অবলম্বনে
- সংকেত সূত্র অবলম্বনে
- কোন নীতিবাক্য অবলম্বনে
বাংলা নির্মিতি: অনুচ্ছেদ
বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় অনুচ্ছেদ লিখতে নম্বর দেয়া হবে দশের উপর। কোন বিষয়ের উপর অনুচ্ছেদ লিখতে হবে, তা প্রশ্নে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। কিন্তু বিষয়টা পূর্ব-নির্ধারিত হবে না। সেক্ষেত্রে সাজেশন দিলেও আসলে লাভ নেই। কারণ, কোন অনুচ্ছেদ আসবে তা আঁচ করা একটু কঠিন। তবে সাম্প্রতিক বিশ্ব সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে এবং বাংলা ১ম পত্রের গল্পগুলো ভালোমত পড়া থাকলে, প্রশ্নের এই অংশ উত্তর করতে পরিশ্রম করার কোনো দরকার নেই বললেই হয়।
আর পৃষ্ঠার হিসাব? কোনো দরকার নেই। একেবারে খাতার উপরে সুন্দর করে প্রশ্নের নম্বর দেয়ার পর নীল কালির কলম ব্যবহার করে অনুচ্ছেদের নাম লিখবে। এক অনুচ্ছেদে (প্যারায়) শুরু হবে এবং মাঝে নতুন কোন অনুচ্ছেদ (প্যারা) থাকবে না। পুরো অনুচ্ছেদে তিনটি বিষয়ের উপর নম্বর দেয়া হবে:
- তুমি বিষয়টা সম্পর্কে কতটুকু জানো
- ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা
- প্রভাব
আর যেহেতু এখানে দশের উপর নম্বর দেয়া হচ্ছে, অবশ্যই দুই-তিন লাইন লিখে ভালো নম্বর আশা করা যাবে না।
বাংলা নির্মিতি: রচনা
রচনা লেখার ক্ষেত্রে খুব প্রাথমিক যে পরামর্শটা আমলে নেয়া উচিত, সেটা হলো, নীল আর কালো কালির কলমের যৌথ ব্যবহার আর যথেষ্ট সময় হাতে রাখা। অন্তত পঞ্চাশ মিনিট তো রাখা আবশ্যক। রচনার নাম আর প্রত্যেকটা বিষয়বস্তুর নাম নীল রং দিয়ে লিখলে পয়েন্টগুলো চোখে পড়ে আর পরীক্ষকের বিবেচনা করে নম্বর দিতে সুবিধা হয়।
মনে রেখো, যে বিষয়ের উপরই রচনা লিখো না কেন, সেটা যাতে সাহিত্যগুণ বর্জিত না হয়। তাছাড়া-
- প্রত্যেকটা প্যারায় বিষয়বস্তু নিয়ে যুক্তিসংগত আলোচনা করতে হবে।
- প্রশ্ন দেখে রচনা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রবন্ধ রচনা নির্বাচন করা সবচেয়ে ভালো।
- বিশেষ কিছু প্যারায় কবিতার চরণ বা ব্যক্তিবিশেষের স্মরণীয় উক্তি উদ্ধরণ চিহ্নের মধ্যে রেখে লিখলে অতিরিক্ত নম্বর পাওয়ার জায়গা আসে। সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য নীল কালির কলমের ব্যবহার বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
- যেহেতু রচনায় ২০ নম্বরের উপর মান দেয়া হবে, অবশ্যই চেষ্টা করবে যাতে ভালো রকম বড় হয় তোমার রচনাটি। তবে অযৌক্তিক কথা লিখলে কিন্তু নম্বর পাওয়ার আশা করা ঠিক না। হাতে সময় রেখে রচনা লিখবে, যাতে রচনা লিখতে গিয়ে অন্য প্রশ্নগুলো উত্তর করার সময় না চলে যায়। রচনা সম্ভার বইয়ে বেশকিছু নমুনা রচনা দেয়া হয়েছে, যেগুলো পড়া যথেষ্ট। তবে আরেকটু ভালো লিখতে চাইলে আরো দুইটা বই ঘাটতে দোষ কী?
উপসংহার
বাংলা ২য় পত্র বিষয়ে ভালো করা এবং এ প্লাস পাওয়ার জন্য উপরের গাইডলাইনটি তোমাকে অনেকটাই সাহায্য করবে। কেননা এখানে একই সাথে বাংলা ব্যাকরণ ও বাংলা নির্মিতি উভয় অংশের বিস্তারিত আলোচনা দেয়া আছে। ফলে প্রস্তুতি হবে পুরদমে!
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- ঘরে বসে Spoken English Course (by Munzereen Shahid)
- Microsoft Word Course (by Sadman Sadik)
- Microsoft Excel Premium Course (by Abtahi Iptesam)
- Microsoft PowerPoint Course (by Sadman Sadik)
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Web Design Course (by Fahim Murshed)
- Communication Masterclass Course (by Tahsan Khan)
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadiq and Sadman Sadik)
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course (by Joyeta Banerjee)
- SEO Course for Beginners (by Md Faruk Khan)
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন