বিশ্বের সব বিখ্যাত লোগোগুলোর বাইরের রূপ দেখেই সবাই এতদিন কমবেশি মুগ্ধ হয়েছি আমরা। কিন্তু কখনো এই লোগোগুলোর লোগোগুলোর ভিতরের রহস্য জানার চেষ্টা করেছি কি? আসলে কিন্তু বাইরের সৌন্দর্যের চেয়ে অনেক বেশী অর্থ বহন করতেই লোগোগুলোর ডিজাইন করা হয়। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে লোগোগুলোর প্রতিটি লাইন, বক্ররেখা এবং রংয়েরও অর্থ আছে।
তাই চেষ্টা করলাম বিখ্যাত ব্র্যান্ডের লোগোগুলোর ভেতরের গল্প গুলো খুঁজে বের করতে। মিলিয়ে নিন তো, আপনিও কি এই গল্প গুলো জানেন কিনা। চলুন তবে দেখে নেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসাধারণ সব লোগোর লুকানো দারুণ সব গল্প–
Hyundai
দক্ষিণ কোরিয়ার বিজনেস জায়ান্ট হুন্দাই। স্টিল, কনস্ট্রাকশন থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা সব ক্ষেত্রেই তাদের সরব পথচলা। ‘৭০ এর দশক থেকে কোরিয়ানরা গাড়ি তৈরি করে আসছে। প্রাথমিকভাবে কোরিয়ার তিনটি কোম্পানি গাড়ি তৈরি বা উৎপাদন করেছে, এই তিনটি কোম্পানি হলো– হুন্দাই, কিয়া (কেআইএ) এবং স্যাংইয়ং।
৪৮ বছর ধরে এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকা কোম্পানিটি বার্ষিক গাড়ি বিক্রি এবং উৎপাদন সংখ্যার দিক দিয়ে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বে চতুর্থ বৃহৎ গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি হুন্দাই। গাড়ির কোম্পানি গুলো নিয়ে কথা উঠলে অনেকের পছন্দের তালিকায় অনেক উপরে থাকবে হুন্দাই।
তবে আমার পছন্দের পাল্লাটা ভারী করেছে কোম্পানির অসাধারণ লোগোটি। আপাতদৃষ্টিতে লোগোতে সাদামাটা H অক্ষরটি শুধু দৃশ্যমান হলেও বাস্তব কাহিনী ভিন্ন। আদতে তা ক্রেতা ও কোম্পানির প্রতিনিধির মেলবন্ধন এর প্রতীক। যেখানে দুইজনের হ্যন্ডশেকিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টিকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Logo Design করে Freelancing
Adidas
আপনাকে যদি বলতে বলা হয় কিছু জুতার দামি ব্র্যান্ডের নাম বলুন, প্রথমেই যে নামটি মাথায় চলে আসবে সেটা হলো অ্যাডিডাস। ইউরোপের সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খেলাধুলার সামগ্রী নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো জার্মান মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন অ্যাডিডাস।
আজ থেকে ৬৮ বছর আগে ১৯৪৯ সালে অ্যাডিডাস নাম নিয়ে অ্যাডলফ ড্যাজলারের হাত ধরে শুরু হয় কোম্পানির যাত্রা। নিজের নামের দুই অংশ Adolf ও Dassler-কে একত্রিত করে তিনি নাম ঠিক করেন ‘Addas’। কিন্তু এ নামে আগে থেকেই আরেকটি শিশুদের জুতা তৈরির প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন করা ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি ‘Adidas’ নামটিকে বেছে নেন।
অ্যাডলফ ডাসসেলার অ্যাডিডাসের প্রতিষ্ঠাতার নামের শুরুর আদ্য অক্ষর নিয়ে লোগোর প্রথম অক্ষর শুরু। কোম্পানিটি তাদের লোগোটি অনেক কয়েকবার পরিবর্তন করেছে, কিন্তু এটি সর্বদা তিনটি স্ট্রাইপে অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমান যে লোগোটি রয়েছে সেখানে লোগোতে তিনটি মোটা রেখা মিলে পর্বতের আকার ধারণ করেছে। এখানে বুঝানো হয়েছে সাফল্যের জন্যে একজন মানুষের যেসব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করতে হয়, সেগুলোর প্রতীক হলো এই পর্বত।
Apple
একটা ব্যাপার নিয়ে প্রায়ই ভাবতাম অ্যাপেল কোম্পানি কেনো নিজেদের নাম অন্য কোনো ফলের নাম না রেখে অ্যাপেল ই কেনো রাখলো? লোগোটিই বা কীভাবে আসলো? এই ভাবনা থেকে ব্যাপারটা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলাম, আর ঘাটাঘাটি করে যা জানতে পারলাম লোগো সম্পর্কে তা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
অ্যাপলের প্রথম লোগো ছিল স্যার আইজ্যাক নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে আছেন। সেই বিখ্যাত আপেল থেকেই অ্যাপল এর লোগো। এখানে ব্যবহার করা হয়ে ছিল Wordsworth এর একটি উক্তিঃ
Newton… A Mind Forever Voyaging Through Strange Seas of Thought… Alone
আমার মনে হয়েছে স্টিভ জবস রোনাল্ড ওয়েনের অ্যাপলের প্রথম লোগোটির বড় ফ্যান ছিলেন না। তাই এক বছরের মধ্যে স্টিভ আরেকজন গ্রাফিক ডিজাইনার রব ইয়ানভফকে একটি নতুন লোগো ডিজাইন করতে বললেন। তিনি অ্যাপল লোগোতে “কামড়” নিয়ে এসেছিলেন এবং স্টিভ এটিকে স্ট্রিংবোর রং যোগ করেছেন।
ডিজাইনার রব ইয়ানভফ, যিনি বিশ্ববিখ্যাত অ্যাপল কোম্পানির লোগো তৈরি করেছেন, তিনি এই লোগোর পেছনের গল্প ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, “আমি এক ব্যাগ ভর্তি আপেল কিনেছি এবং আপেলগুলো একটি বাটিতে রেখেছি এবং এক সপ্তাহ ধরে তাদের এঁকেছি, তারপর তার মাঝে থেকে সহজ কিছু বের করে আনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তেমন কিছু তৈরি করতে পারিনি। নিরীক্ষার অংশ হিসেবেই, আপেলে একটি কামড় (বাইট) বসাই এবং সম্পূর্ণ কাকতালীয়ভাবে আমি অনুভব করি, কামড় (bite) কম্পিউটারের ‘বাইট’ (byte) এর মতোই শোনাচ্ছে।”
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সকলেই গুগলের সঙ্গে পরিচিত। বর্তমানে গুগলকে ইন্টারনেট এর রাজা বললেও কম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউনটেইন ভিউ শহরে অবস্থিত গুগলের প্রধান কার্যালয়। মানুষের কাছে তথ্য সহজলভ্য করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গুগল একসঙ্গে এত বিষয় নিয়ে কাজ করে যে সবকিছুর হিসাব রাখাই কঠিন। সফলদের স্বপ্নগাথা ইন্টারনেট জগতে সার্চ ইঞ্জিন গুগলকে কে না চেনে। ল্যারি পেইজ এই গুগলেরই উদ্ভাবক।
আজ থেকে ১৯ বছর আগে ১৯৯৮ সালে ল্যারি ও তার বন্ধু সার্জি ব্রিন মিলে যাত্রা শুরু করে বর্তমানের সার্চ জায়ান্ট গুগল। তবে ‘গুগোল’ থেকে এসেছে আজকের গুগলের নাম। ইংরেজিতে এর বানান ‘জি ও ও জি ও এল’। যার মানে হচ্ছে একের পর ১০০টি শূন্য। নামকরণে সংখ্যাকে গুরুত্ব দেয়া প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার অঙ্কটিও কিন্তু কম নয়।
সার্চ জায়ান্ট এই প্রতিষ্ঠানটির প্রথম লোগো তৈরি করেন সের্গেই ব্রিন আর এর জন্য তিনি সাহায্য নেন ফ্রি গ্রাফিক সফটওয়্যার জিআইএমপি’র। সাতবার পরিবর্তন হয় গুগলের লোগোটি। সবশেষ গুগল তার লোগো পরিবর্তন করেছে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। তবে বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে গুগল তাদের লোগো পাল্টে ফেলে। আর এই পাল্টে ফেলা বিশেষ লোগোর নাম ‘ডুডল’।
এখন পর্যন্ত গুগল ১৯০০– এর বেশি ডুডল প্রকাশ করেছে। ১৯৯৮ সালের ‘বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যাল’-এর জন্য প্রথম ডুডলটির ডিজাইন করেন গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রাইন। তবে বর্তমানে লোগোর ডিজাইন করার জন্য গুগলের একটি বিশেষ টিম রয়েছে, এই টিমের সদস্যদের ডাকা হয় ডুডলার নামে।
আরও পড়ুন:
লোগো ডিজাইন কীভাবে করে? জেনে নিন ১০টি সেরা লোগো ডিজাইনিং টিপস
ওয়ার্ডপ্রেস কী? ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন যেভাবে
Amazon
বিখ্যাত ক্রয়–বিক্রয় সাইট আমাজন। যাত্রা শুরু করে জেফ বেজোসের হাত ধরে। জেফ বেজোস, আমাজন সাইটের প্রতিষ্ঠাতা যাঁর জন্ম হয়েছিল ১২ জানুয়ারি। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার, প্রেসিডেন্ট ও চিফ এক্সিকিউটিভ পদে আছেন।
আমেরিকান ই–কমার্স কোম্পানি Amazon.com স্থাপিত হয় ১৯৯৪ সালে। প্রথম দেখায়, আমাজনের লোগোটি বিশেষ কিছু মনে হয়না। শুধুই একটি কোম্পানি নাম। কিন্তু আসল বিশেষত্ব, এর নিচের কমলা রঙের তীর চিহ্নটিতে।
প্রথমত এটি এমনভাবে দেয়া, যাতে একটি স্মাইলি ফেস বা হাস্যমুখী প্রতীক দেখায়, যাতে বোঝা যায়, এ কোম্পানিটি তার প্রত্যেকটি কাস্টমারকে খুশি করতে চায়। কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন এদের একটা বড় অঙ্গীকার। দ্বিতীয়ত, তীর চিহ্নটি “A” থেকে শুরু করে “Z” এ যেয়ে শেষ হয়েছে। অর্থাৎ এদের এখানে আপনি A to Z সব কিছুই পাবেন।
Unilever
বিশ্বের বৃহত্তম মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার। খাদ্য, পানীয়, প্রসাধানী থেকে শুরু করে চার শতাধিক ব্র্যান্ডের পণ্য আছে এই ব্রিটিশ–ডাচ কোম্পানিটির। গৃহস্থালীর পণ্য উৎপাদনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান এটি। তবে এই ইউনিলিভারের নাম এক সময় ইউনিলিভার ছিল না।
১৯৩০ সালে নেদারল্যান্ডসের কোম্পানি ‘মার্জারিন ইউনি’ এবং ব্রিটিশ কোম্পানি ‘লিভার ব্রাদার্স’ মিলে তৈরি করে ইউনিলিভার। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির যে লোগো দেখা যায় তার পেছনেও রয়েছে এক গল্প। তাদের লোগো দেখতে ইংরেজি বর্ণ ইউ–র (U) মতো এর ভেতরে আছে এলোমেলো কিছু নকশা। আমাদের কাছে এলোমেলো লাগলেও এর ভেতরে থাকা ২৫টি আইকনের নকশা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সাজানো হয়েছে।
এগুলো ইউনিলিভারের ২৫ ধরনের পণ্য এবং তাদের কোম্পানি ভ্যালুকে তুলে ধরে। সাবানের ব্যবসায়ী লিভার ব্রাদার্স থেকে ইউনিলিভার, যেমন: চুল দিয়ে তাদের শ্যাম্পু প্রোডাক্ট বোঝানো হয় আবার চুল মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক সেটা বোঝানো হয়। আর চুলের আইকনের পাশে রয়েছে ফুলের আইকন, যা ঘ্রাণ বোঝায়। এভাবে তারা ওই আইকনগুলো সুচিন্তিতভাবে বসিয়েছে।
Formula 1
ফর্মুলা ওয়ান মানেই গতি, সেই ১৯৫০ সাল থেকে ট্র্যাকে মার্সিডিজ, ফেরারি, হোন্ডা আর রেনো নিয়ে রোমাঞ্চকর গতির ঝড় তুলে যাচ্ছেন লুইস হ্যামিল্টন, জনসন বাটন, জিম ক্লার্করা ও হ্যাঁ, এবং অবশ্যই দ্যা গ্রেটেস্ট মাইকেল শুমাখার।
ফর্মুলা ওয়ানের লোগোটিও কিন্ত কম মুগ্ধকর নয়। যদি আপনি সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে ফর্মুলা ওয়ান লোগোর ‘এফ’ অক্ষর এবং লাল রেখার মধ্যে সাদা অবস্থানে তাকান, তাহলে আপনি সেখানে ‘ওয়ান’ মুদ্রিত দেখতে পাবেন। আবার, লোগোটির লাল স্ট্রাইপগুলো ফর্মুলা ওয়ান গাড়িগুলোর গতির চিত্রভিত্তিক উপস্থাপন করে।
Baskin robbins
আইসক্রিম! আইসক্রিম! ছোট বেলায় যখন টুনটুন করে বেজে উঠতো ঘণ্টা আমরা অনেকেই দৌড়ে যেতাম আইসক্রিমের ছোট গাড়িটির কাছে আর লুফে নেয়ার চেষ্টা করতাম পছন্দের আইসক্রিমটি।
যাইহোক, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা এই বিশ্বে যে এই লোভনীয় খাবারটি একেবারেই পছন্দ করেন না। যদিও আমরা অনেকেই ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে আইসক্রিমের লোভ এড়িয়ে চলি এই মজাদার খাবারটি থেকে। কিন্তু আমার অনেক পছন্দের খাবারের তালিকায় এটি অনেক উপরেই আছে।
বর্তমানে আইসক্রিম অত্যন্ত সহজলভ্য একটি খাবার। বিভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম রাজত্ব করছে বিশ্বব্যাপী। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই আছে নিজস্ব নামিদামি ব্র্যান্ড। পাশ্চাত্যের আইসক্রিম কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় মূলত ফ্লেভারের সংখ্যা নিয়ে। হাওয়ার্ড জন্সন যদি তৈরি করে ২৮ রকম, তা হলে বাসকিন রবিন্স তৈরি করবে ৩১ রকম।
বাসকিন রবিন্স আমার পছন্দের একটি আইসক্রিম কোম্পানি। বিখ্যাত আইসক্রিম চেইনশপ বাস্কিন রবিন্স ১৯৪৫ সালে বার্ট বাস্কিন ও আর্ভ রবিন্স প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মাসের ৩১ দিনেই ৩১ রকম স্বাদের আইসক্রিম সরবরাহের জন্য বিখ্যাত। কেউ যদি বাস্কিন রবিন্সের লোগোর দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকায়, তাহলে ইংরেজিতে ৩১ লেখার আবহ খুঁজে পাবেন।
প্রতিনিয়ত আমরা অনেক লোগো দেখে থাকি। শুধুমাত্র লোগো দেখেই আমরা কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থা সম্পর্কে আঁচ করতে পারি। প্রতিটা লোগোর মাঝে এমন বিশেষ কিছু ভাব ফুটিয়ে তোলা হয় যার মাধ্যমে ঐ লোগোটি একটি ইউনিক বিষয়ে পরিণত হয়।
আরো অনেক লোগো আছে যাদের মধ্যে লুকোনো আছে আরো অনেক কথা, অনেক ইতিহাস। আপনার যদি নতুন কোনো লোগো তৈরির ইতিহাসের গল্প জানা থাকে তাহলে শেয়ার করে ফেলুন আমাদের সাথে। কেননা আমরাও সব সময় অপেক্ষায় থাকি নতুন কিছু শেখার!
আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:
- Adobe Illustrator Course (by Mohammad Yeasir)
- Graphic Designing with Photoshop Course (by Sadman Sadik)
- Graphic Designing with PowerPoint Course (by Anisha Saiyara Taznoor)
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing Course (by Sadman Sadik)
- Facebook Ads Mastery Course (by Mark Anupom Mollick)
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন