পৃথিবীতে ১৯৫টি দেশে ছয় হাজারেরও বেশি ভাষা রয়েছে। সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনার কাব্য রচিত হয় ভাষার জাদুকরী শক্তিতে। প্রতিটি ভাষায় কিছু শব্দ রয়েছে- যেগুলো মনে শক্তি যোগায়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। বিভিন্ন ভাষার এমনই পাঁচটি চমৎকার শব্দ সম্পর্কে জেনে নাও লেখাটি থেকে।
Ho’oponopono
হাওয়াইয়ান এই শব্দটির এক শব্দে অর্থ করলে হয়- “ক্ষমা”। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি কেবল একটি শব্দ নয়, এটি একটি দর্শন যা হাওয়াইয়ের অধিবাসীদের জীবনবোধের সাথে অনাদিকাল থেকে একাত্ম হয়ে রয়েছে।
চার্লস সুইন্ডলের খুব সুন্দর একটি বাণী রয়েছে, “Life is 10% of what happens to you & 90% of how you react to it.” জীবনটা আসলেই এমন, মনের প্রশান্তি ধরে রাখতে পারলেই জগতের বন্ধুর ময়দানে পথচলা সহজ হয়ে আসে অনেকখানি।
“হোপোনোপোনো” শব্দটি ঠিক তাই বলে। সময়ের ব্যাপ্তির হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের জীবন এতোটাই ক্ষুদ্র যে হৃদয়ে নেতিবাচক অনুভূতির বিষাক্ত বীজ পোষণের কোন মানেই হয় না। অনুতাপ, ক্ষমা, কৃতজ্ঞতা এবং ভালবাসা- এই চারটি নীতি অবলম্বন করলে জীবন হয়ে উঠবে অনাবিল প্রশান্তির।
Carpe Diem
তোমাদের কেউ যদি রবিন উইলিয়ামসের “Dead Poets Society” মুভিটি দেখে থাকো (অসাধারণ একটি মুভি, না দেখলে শীঘ্রই দেখে নিও!), সেখানে লাতিন এই কথাটি শুনে থাকবে- “কার্পে ডিয়েম”, ইংরেজিতে “Seize the day!”
ছোট্ট দুই শব্দের এই কথাটির অর্থটি কিন্তু খুব গভীর। অতীতে কী হয়েছে ভুলে যাও, ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে তার জন্য মাথা ঘামিও না, আজকের দিনটিকে নিজের সবটুকু সামর্থ্য অনুসারে কাজে লাগাও।
স্টিভ জবস প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলতেন, “আজকে আমি যা যা করবো প্ল্যান করেছি, যদি আজ আমার জীবনের শেষ দিন হতো তাহলেও কি সেগুলোই করতাম?”
যদি একাধারে টানা কয়েকদিন নেতিবাচক উত্তর আসতো, তিনি নিজের কর্মপ্রণালী বদলে ফেলতেন। আমরা সবাই চাই পৃথিবীর বুকে একটা চিহ্ন রেখে যেতে, জীবনের শেষ দিনটি নিশ্চয়ই কেউ শুয়ে-বসে-খেলা দেখে-ফেসবুক চালিয়ে কাটিয়ে দিতাম না, তাই না?! তাই প্রতিটা দিনই হোক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন, প্রতিটা সকালেই নিজেকে তাগাদা দাও- Carpe Diem!
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Cartoon Animation Course
Que Sera Sera
ডোরিস ডে নামে একজন বিখ্যাত শিল্পী ছিলেন, তার একটি অস্কারজয়ী গানের নাম “কেই সেরা সেরা”, সেখান থেকেই ইতালিয়ান এই কথাটি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অর্থটি গানের লিরিক থেকেই বলি,
“Que sera sera!
Whatever will be, will be!
The future’s not ours to see!
Que sera sera!”
অর্থাৎ যা হওয়ার তা তো হবেই! যা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই তা নিয়ে খামাখা দুশ্চিন্তা কেন করতে যাবো?
পৃথিবীর সব সফল ব্যক্তিদের মননে এই বিশ্বাসটি বিরাজমান- কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলে না
একটা কমন উদাহরণ দেই- SSC/HSC এর সময় অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করছে, যে সময়টায় পরের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল।
সেটিই কি বুদ্ধিমানের কাজ হতো না? যতোক্ষণ তুমি পরীক্ষার হলে আছো ততোক্ষণ ভাগ্য তোমার নিয়ন্ত্রণে, তুমি জীবনবাজি রেখে চেষ্টা করবে খুব ভালমতো পরীক্ষা দেওয়ার। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিষয়টি আর তোমার নিয়ন্ত্রণে নেই, সুতরাং এটি নিয়ে সবধরণের চিন্তাও বাদ! Que sera sera! Life is that simple!
আরো পড়ুন: ভাষার ভালোবাসায় – ভাষা নিয়ে যা যা জানতে হবে
Woohitike
যুক্তরাষ্ট্রে নানারকম আদিবাসী গোষ্ঠী আছে, তেমনই একটি গোষ্ঠীর নাম “লাকোতা”। লাকোতাদের সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে উঠেছে চারটি ভিত্তিকে কেন্দ্র করে- দয়া (Wacantognaka), সাহস (Woohitike), সম্মান (Wowacintanka), এবং প্রজ্ঞা (Woksape)
দ্বিতীয় ভিত্তিটিই হচ্ছে “উহিতিকা” বা সাহস। কেমন সাহস? লাকোতারা বিশ্বাস করে, আমাদের সবার মাঝেই ক্ষমতা রয়েছে বিশ্বসেরা হওয়ার, পৃথিবী বদলে দেওয়ার। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই নিজের ভেতরের সেই সুপ্ত শক্তিটি সম্পর্কে অবগত নয়।
দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায়, কেবল তখনই আমরা বুঝতে পারি আসলে আমরা কতোটা শক্তিশালী, কতোটা সাহসী। (পরীক্ষার আগের রাতে আমরা যেই তুফান গতিতে সবকিছু পড়ে ফেলি, এভাবে সারাবছর পড়াশোনা করলে কীরকম একটা বিপ্লব ঘটে যেতো কল্পনা করা যায়?!)
প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয়েই একটি ছাইচাপা বারুদ আছে। কেউ যদি সেই বারুদটিকে বের করে জ্বালিয়ে দিতে পারে, পুরো পৃথিবী বদলে যেতে পারে তার শক্তিতে। একজন বঙ্গবন্ধু, একজন ম্যান্ডেলা, একজন আইনস্টাইন- সবাই নিজের অন্তরের ডাক শুনতে পেয়েছিলেন, woohitike নামের ভেতরের সেই শক্তিটিকে বের করে এনেছিলেন।
Ex Nihilo Nihil Fit
লাতিন এই কথাটির ইংরেজিতে অর্থ, “From nothing, comes nothing.” কথাটির অনেকরকম ব্যাখ্যা রয়েছে, গ্রীক বিশ্বতত্ত্ব থেকে শুরু করে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণে এটি ব্যবহৃত হয়। কিন্ত অতো জটিলতায় না গিয়ে খুব সহজ ব্যাখ্যা করলে হয়, “তুমি কিছু পেতে চাইলে সেজন্য পরিশ্রম করতে হবে।”
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
সহজে Spoken আরবি
আমাদের অনেকরকম পরিকল্পনা থাকে বিভিন্ন জিনিস শেখার; অনেকের শখ লেখালেখি করার, গান গাওয়ার, নানারকম ভিডিও বানানোর। কিন্তু সেটি ইচ্ছা পর্যন্তই, সত্যিকার কাজে নামা হয় খুব অল্প মানুষেরই।
তুমি আর দশজনের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাও অথচ আর দশজনের মতোই যদি ঘুরাঘুরি-আড্ডাবাজি-ফেসবুকিং করে সময় নষ্ট করো তাহলে কখনোই এগিয়ে থাকতে পারবে না। পৃথিবীতে মাত্র ১% মানুষের হাতে রয়েছে সমগ্র বিশ্বের ৮০% সম্পদ, তুমি তাদের সম্পর্কে পড়াশোনা করলে দেখবে তাদের জীবনযাপনের ধরণ সাধারণ মানুষের চেয়ে কতোটা আলাদা।
আমাজনের মালিক জেফ বেজোস (কিছুদিন পরপরই শেয়ারবাজার দরের উত্থানপতন হয় আর জেফ বেজোসের নাম বিল গেটসকে টপকে বিশ্বের সেরা ধনীর তালিকায় প্রথম স্থানে চলে আসে ঘণ্টাখানেকের জন্য!) দাঁত মাজতে যে সময়টুকু লাগে সেটিরও রুটিন করে রেখেছেন যেন একটি মিনিটও অযথা নষ্ট না হয়। পৃথিবীর সব সফল ব্যক্তিদের মননে এই বিশ্বাসটি বিরাজমান- কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলে না।
উদ্যম+পরিশ্রম=সাফল্য।
এক্স নিহিলো নিহিল ফিট। সুতরাং তুমি যেটাই করার স্বপ্ন দেখো না কেন, আজকেই কাজে নেমে পড়ো। “সামনে পরীক্ষা” “আমি তো কিছুই পারি না” “বাবা-মা সাপোর্ট দিবে না” “কোত্থেকে শিখবো?” এসব প্রশ্ন বন্ধ করো, এগুলো অজুহাত ছাড়া আর কিছুই না। সাহস করে একবার প্রথম পদক্ষেপটি নাও, আমি বাজি ধরে বলতে পারি একদম অবাক হয়ে যাবে ফলাফল দেখে!
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন