করোনা মহামারীর সময়ে কোম্পানির ব্যবসা কমে যাওয়ায় চাকরি হারান তিশা। এরপর তিনি একদিন খেয়াল করলেন, মহামারীর কিছুটা শিথিল হওয়ার পরও মানুষ বাসা থেকে কম বের হওয়ার কারণে অনলাইন শপিংয়ের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তাই স্বামীর পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেন নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কিছু একটা শুরু করবেন। ছোটবেলা থেকেই তিশা বিভিন্ন ধরনের ক্রাফটিং আর হস্তশিল্পে দক্ষ ছিলেন। তাই তিনি চিন্তা করলেন তার নিজ হাতে তৈরি হস্তশিল্প পণ্য অনলাইনে বিক্রি করবেন। যেই ভাবা, সেই কাজ। তারপর পরের দিনই “তিশা’স ক্রাফটস” একটি ফেসবুক পেজ খোলেন, তারপর সেখানে নিজের পণ্যের ছবি ও বিবরণ পোস্ট করতে থাকেন। স্বামী আর পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে পণ্যের প্যাকেজিং ও ডেলিভারির কাজ শুরু করেন।
প্রথম প্রথম পরিচিতদের কাছে কয়েকটি পণ্য বিক্রি হলেও, কিছুদিন পর তিশার অনলাইন ব্যবসার গতি কমে যায়। এরপর একদিন তার এক বান্ধবী তাকে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানিয়ে বললো, ফেসবুকের মাধ্যমে সে সহজেই তার পণ্যগুলো অনেক মানুষের কাছে প্রচার করতে পারবেন। তারপর ফেসবুক মার্কেটিংয়ের হাত ধরে তিশার ছোট্ট হস্তশিল্প ব্যবসাকে পরিণত করলেন এক সফল অনলাইন ব্যবসায়।
আপনিও কি তিশার মতো ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করে নিজের অনলাইন ব্যবসাকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে চান? তাহলে এই ব্লগটি আপনার জন্যই। কারণ এই ব্লগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা আলোচনা করবো অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। তবে শুরুতেই জানাবো অনলাইন ব্যবসা বলতে কি বোঝায়? আর এর জন্য মার্কেটিং করার গুরুত্ব কতটুকু। এছাড়াও থাকছে ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রকারভেদ আলোচনাসহ অনলাইন ব্যবসার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং করার বেশ কিছু টিপস আর ট্রিকস। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!
অনলাইন ব্যবসা কী?
অনলাইন ব্যবসা হলো এমন এক ধরনের ব্যবসা, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই ব্যবহার পণ্য বা সেবার ক্রয় ও বিক্রয় অনলাইনেই সম্পন্ন হয়। অনলাইন ব্যবসার জন্য সাধারণত একটি ওয়েবসাইট, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়, যেখানে ক্রেতারা ঘরে বসেই অনলাইনে পণ্য বা সেবা অর্ডার করতে পারেন এবং ব্যবসায়ীরা অনলাইনে পণ্য বা সেবা অর্ডার গ্রহণ করে, কুরিয়ারের মাধ্যমে ক্রেতার দেওয়া ঠিকানায় পণ্য বা সেবা পৌঁছে দেন।
অনলাইন ব্যবসার সুবিধা
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান প্রসারের কারণে বর্তমানে অনলাইন ব্যবসার জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এখন মানুষ ঘরের বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করার চেয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফলে অনেক মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই গতানুগতিক ব্যবসা বা চাকরির বাইরে পেশা হিসেবে অনলাইন ব্যবসাকে বেছে নিচ্ছেন। এর পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে অনলাইন ব্যবসার বেশ কিছু সুযোগ ও সুবিধা।
অনলাইন ব্যবসার অসংখ্য সুবিধার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো:
বিশ্বব্যাপী বাজারে পৌঁছানো
অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারের গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বের ক্রেতাদের কাছে নিজেদের পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে পারেন। যা একটি ব্যবসার পরিধি আরো বাড়িয়ে দেয়।
কম খরচে বেশি মুনাফা
একটি সাধারণ অফলাইন ব্যবসা শুরু করতে হলে দোকান, কারখানা বা অফিসের জন্য একটি জায়গার প্রয়োজন হয়। তবে সাধারণ ব্যবসার তুলনায় অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিক খরচ কম হয়। কারণ আপনি ঘরে বসেই খুব অল্প বিনিয়োগ করে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইন ব্যবসায় দোকান ভাড়া, ইউটিলিটি বিল, কর্মচারী ব্যয় ইত্যাদি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এভাবে কম খরচে অধিক বিক্রয়ের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসায়ীরা উচ্চ মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
ডাটা বিশ্লেষণ
অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব সহজেই ক্রেতাদের আচরণ ও প্রবণতা বিশ্লেষণ করা যায়। এতে ক্রেতাদের মাঝে কোন পণ্যটি বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তা বুঝে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বা সেবা সরবরাহ করতে পারেন।
পণ্য ব্যবস্থাপনা
প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন ব্যবসায় পণ্য ব্যবস্থাপনা (Product Management) করাও অনেক সহজ হয়। এক্ষেত্রে পণ্যের স্টক, বিক্রয় আর পণ্য সরবরাহের তথ্য সহজেই ট্র্যাক করা যায়।
হোম ডেলিভারি সুবিধা
সাধারণভাবে কোনো কেনাকাটা করতে হলে, আমাদের বাসা থেকে বাজারে, মার্কেটে বা শপিং মলে যেতে হয়। এখানে যাতায়াত খরচ তো আছে, আর সেই সাথে বাড়ি ফেরার সময় হাতে থাকে একগাদা বাজারের ব্যাগ। কিন্তু অনলাইন কেনাকাটা করলে এই অসুবিধা নেই। এখানে একদিকে ক্রেতা যেমন সামান্য পরিমান ডেলিভারি চার্জ দিয়ে ঘরে বসেই নিজের কাঙ্ক্ষিত পণ্য বা সেবা কিনতে পারছেন। তেমনি অনলাইন ব্যবসায় বিক্রেতারাও বিভিন্ন কুরিয়ার কোম্পানির সাহায্য নিয়ে খুব সহজেই পণ্য বা সেবা ক্রেতার কাছে পাঠাতে পারছেন।
মার্কেটিং ও প্রচারণা
অনলাইন ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে কম খরচে আর কার্যকরভাবে প্রচারণা চালানো যায়। সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদির মাধ্যমে নিজের পণ্য বা সেবা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো সহজ হয়।
অনলাইন ব্যবসার জন্য মার্কেটিং করার গুরুত্ব
আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এখন ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে শুধুমাত্র একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পেজ খুলে ব্যবসা শুরু করে দিলেই যে আপনি অনলাইন ব্যবসায় সফল হয়ে যাবেন, তা কিন্তু নয়। একটি সফল ব্যবসার চালিকা শক্তি হচ্ছে সেই ব্যবসার গ্রাহক বা ক্রেতা। আর গ্রাহক বা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রয়োজন মার্কেটিং। শুধু অনলাইন ব্যবসাই না, যে কোনো ব্যবসার প্রচার ও প্রসারের জন্য মার্কেটিং করার কোনো বিকল্প নেই।
অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য মার্কেটিং করার গুরুত্ব অনেক। এটি আপনার অনলাইন ব্যবসাকে সফল করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করতে পারে, যেমন:
বিক্রয় বৃদ্ধি
সঠিক মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিক্রয় বাড়াতে পারেন। বিভিন্ন প্রমোশন, ডিসকাউন্ট, গিভ অ্যাওয়ে কিংবা বিশেষ দিন বা উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বিশেষ অফারের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে আরো বেশি কেনাকাটা করার জন্য উৎসাহিত করা যায়।
গ্রাহকের আগ্রহ তৈরি
মার্কেটিং বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে গ্রাহকদের আগ্রহ তৈরি করে এবং সেই সাথে তাদেরকে আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি আকৃষ্ট করে।
ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি
মার্কেটিং এর দুনিয়ার বেশ জনপ্রিয় একটি শব্দ হলো Brand Awareness বা ব্র্যান্ড সচেতনতা। মার্কেটিং আপনার ব্র্যান্ডকে সাধারণ মানুষের মাঝে আরও পরিচিত করে তোলে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচার করলে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষ আরও জানতে পারে।
আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি
একটি ভালো মার্কেটিং কন্টেন্ট গ্রাহকদের মধ্যে আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
বাজার বিশ্লেষণ
মার্কেটিং কৌশলের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহক বা টার্গেট অডিয়েন্সের পছন্দ, অপছন্দ, অভ্যাস, প্রয়োজনগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর সেই অনুযায়ী তার কাছে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারণা করতে পারবেন।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা
শুরুর দিকে অনলাইন ব্যবসার ধারনা সবার কাছে নতুন মনে হলেও, এখন কিন্তু অনলাইন ব্যবসার কথা সবাই কম বেশি জানেন। তাই বর্তমানে অনলাইন ব্যবসায় প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। সঠিক মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে আপনি প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে থাকতে পারবেন।
গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া
অনলাইন ব্যবসায় মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকদের মতামত সংগ্রহ করতে পারবেন, যা আপনার পণ্য বা সেবার মান আরো এক ধাপ উন্নত করতে সাহায্য করবে।
ফেসবুক অনলাইন ব্যবসার জন্য মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কেমন?
প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক।
বর্তমানে সারা বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহার করছেন ২.৯৩ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০০ জন। গত এক বছরের মধ্যে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ১০০ জনে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ৬ হাজার ৮০০ জন।
আধুনিক যুগের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক পুরো বিশ্বব্যপী পরিচিত। এর বিপুল পরিমাণ ব্যবহারকারী আর উন্নত প্রযুক্তিগত সুবিধাসমূহের কারণে ফেসবুক কেবলমাত্র একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই নয়, বরং এটি একটি অনলাইন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে শুধু বাংলাদেশেই না, বিশ্বের বেশির ভাগ অনলাইন ব্যবসাগুলো ফেসবুক ভিত্তিক। তাছাড়া প্রযুক্তির উন্নয়নের হাত ধরে ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের পণ্য ও সেবা প্রচারের জন্য এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে।
গতানুগতিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর তুলনায় ফেসবুক ব্যবহার করে বিক্রেতার সাথে ক্রেতার যোগাযোগ তুলনামূলক সহজ। তাছাড়া ফেসবুকে লাইভ ভিডিও দেখে ক্রেতারা নিজের পছন্দের পণ্য যাচাইয়ের সুযোগ পান। এসব কারণে ফেসবুক অনলাইন কেনাকাটায় অন্যতম জনপ্রিয় মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর একটি সমীক্ষা অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবুককেন্দ্রিক ব্যবসা করেন প্রায় ৩ লাখ উদ্যোক্তা, যাদের অধিকাংশই নারী।
বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ছোট থেকে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবার প্রচারের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো, ফেসবুকের ব্যবহারকারী সংখ্যা ও তাদের প্রোফাইলের তথ্যের ভিত্তিতে লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে খুব সহজের মার্কেটিং করা যায়। এছাড়াও, ফেসবুকের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ফরম্যাট, ইনসাইটস এবং অ্যানালিটিক্স, কমিউনিটি বিল্ডিং সুবিধা, আর ই-কমার্স ইন্টিগ্রেশন এর মত বৈশিষ্ট্যগুলো অনলাইন ব্যবসার জন্য একে একটি অতুলনীয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে। তাই বলা যায় যে, অনলাইন ব্যবসার জন্য ফেসবুক একটি শক্তিশালী মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম।
ফেসবুকে কোনো পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করতে কী কী প্রয়োজন?
ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের জগতে একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ফেসবুক মার্কেটিং। আপনার অনলাইন ব্যবসাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাইলে ফেসবুক মার্কেটিং এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, ফেসবুকে নিজের অনলাইন ব্যবসার কোনো পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করতে কী কী প্রয়োজন?
জেনে নিন, ফেসবুকে কোনো পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করতে কী কী প্রয়োজন হয়:
১) ফেসবুক বিজনেস পেজ
ফেসবুকে কোনো পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করার জন্য প্রথমেই আপনার পণ্য বা সার্ভিসের জন্য একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকেও কাজ করতে পারবেন, তবে ফেসবুক বিজনেস পেজ -এর সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে হবে। ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করার সময় ব্যবসার নাম, পেজের ধরন, প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো, আর আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণী বা বায়ো যোগ করতে হবে। এরপর পেজ তৈরি করা হয়ে গেলে পেজের অন্যান্য সকল তথ্য, যেমন: যোগাযোগের তথ্য, ঠিকানা, ওয়েবসাইট লিঙ্ক ইত্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
২) কন্টেন্ট
ফেসবুকে শুধুমাত্র বিজনেস পেজ খুলে বসে থাকলে হবে না, আপনার পেজে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে। ফেসবুক বিজনেস পেজে নিয়মিত আপনার পণ্য বা সার্ভিসের আকর্ষণীয় আর মানসম্পন্ন ছবি ও ভিডিও কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে। এছাড়াও ফেসবুক বিজনেস পেজে পণ্য বা সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট যেমন: প্রমোশনাল পোস্ট, শিক্ষামূলক কন্টেন্ট, কাস্টমার রিভিউ ইত্যাদি পোস্ট করতে হবে।
৩) ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট
ফেসবুকে কোনো পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সার্ভিসের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে বিনামূল্যে ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারবেন। তেমনি ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার ব্যবহার করে পেইড বিজ্ঞাপনের সাহায্যে পেইড মার্কেটিং করতে পারবেন।
ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার হলো ফেসবুকে প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি, সম্পাদনা ও বিশ্লেষণ করার জন্য একটি বিজ্ঞাপন পরিচালনার টুল। এখানে আপনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ফরম্যাট ব্যবহার করতে পারেন, যেমন: ইমেজ অ্যাড, ভিডিও অ্যাড, ক্যারাউজেল অ্যাড ইত্যাদি। তবে ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার ব্যবহার করার জন্য আপনাকে আলাদা করে ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট খোলা লাগবে না, আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি হওয়ার সাথে সাথে আপনার ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার অ্যাকাউন্টও তৈরি হয়ে যাবে। আপনাকে শুধু ফেসবুক বিজনেস ম্যানেজার অ্যাপটি ডাউনলোড করে সাইন-আপ করতে হবে। তারপর নিজের ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য, নিজের নাম দিয়ে ‘সাবমিট’ এ ক্লিক করলেই আপনার ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে।
৪) মেটা বিজনেস সুট
মেটা বিজনেস সুট হলো ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা দ্বারা অফার করা একটি প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসায়ীদের তাদের অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে, গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এটি মেটার অন্তর্ভুক্ত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং মেসেঞ্জারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে একত্রিত করে। মেটা বিজনেস সুট ব্যবহার করে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। যা আপনার অনলাইন ব্যবসার বিক্রয় বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫) ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য বাজেট
আপনার পণ্য বা সেবার জন্য অর্গানিক মার্কেটিং করতে ফেসবুক বিজনেস পেজ ও কন্টেন্ট ছাড়া আর কিছু লাগবে না। শুধুমাত্র আপনার ফেসবুকে বিজনেস পেজ ব্যবহার করে আপনি চাইলে কোনো টাকা পয়সা খরচ না করে ফ্রি তে মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে যদি অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং আপনার অনলাইন ব্যবসার সেলস বৃদ্ধি করতে ভালোভাবে কাজ না করে, সেক্ষেত্রে আপনি পেইড ফেসবুক মার্কেটিংয়ের ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
কারণ আপনার পণ্য বা সার্ভিসের বিক্রির হার বাড়াতে ফ্রি মার্কেটিং এর চেয়ে পেইড মার্কেটিং বেশি কার্যকরভাবে কাজ করবে। তবে এর জন্য কিছু টাকা পয়সা খরচ করতে হবে। তাই একটি নির্দিষ্ট মার্কেটিং বাজেট নির্ধারণ করুন যা আপনি ফেসবুক বিজ্ঞাপনে ব্যয় করবেন। বাজেটের ভিত্তিতে আপনার বিজ্ঞাপন প্রচারণার স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন।
৬) পেমেন্ট পদ্ধতি নির্ধারণ করা
পেইড মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুকে ডলারের মাধ্যমে পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়। তাই ফেসবুকে আপনার কোনো পণ্য বা সার্ভিসের পেইড মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন হবে ডলার। ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড রয়েছে, যেমন: Visa Card (ভিসা কার্ড), MasterCard (মাস্টারকার্ড), American Express Card (আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড) ইত্যাদি । আপনার জন্য সুবিধাজনক যে কোনো একটি পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন।
Facebook Marketing
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রকারভেদ
ফেসবুক মার্কেটিং মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
১) অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং/ ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং
২) পেইড মার্কেটিং
আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার ও প্রসারের জন্য আপনি যেকোনো ধরনের ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে শুরু দিকে সবাই ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং
বিনামূল্যে ফেসবুক মার্কেটিং করাকে অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয়। অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য কোনো ধরনের টাকা পয়সা খরচ করতে হয় না বিধায়, একে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং -ও বলা হয়ে থাকে।
কিভাবে করবেন অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং?
একদম বিনামূল্যে এই অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং করার কাজ কিন্তু অনেক সহজ। তবে অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং বা ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করার আগে আপনাকে প্রথমেই আপনার পণ্য বা সার্ভিসের ধরন অনুযায়ী একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ খুলতে হবে। এরপর আপনার ব্যবসার নাম, প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো ও আপনার ব্যবসার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণি দিয়ে পেজটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে হবে।
আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজের পণ্য বা সেবার জন্য অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং বা ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করতে আপনি যা যা করতে পারেন:
১) নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করা:
ফ্রি তে আপনার পণ্য বা সেবার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজে নিয়মিত মানসম্মত কন্টেন্ট, যেমন: আপনার পণ্য বা সেবার ছবি, ভিডিও, রিলস, স্টোরি ইত্যাদি শেয়ার করে ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। তবে এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে পোস্ট না করাই ভালো।
২) এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি:
সবসময় আপনার পোস্ট করা ছবি, ভিডিও বা রিলসে ফলোয়ারদের করা মন্তব্যে সাড়া দেওয়া, লাইক দেওয়া কিংবা কমেন্টের উত্তর দিয়ে উৎসাহিত করার চেষ্টা করবেন। এছাড়া আপনার পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে দেওয়া রিভিউ পোস্ট কিংবা পেজের ইনবক্সে দেয়া রেভিউ শেয়ার করতে কখনই ভুলবেন না।
৩) গ্রুপ মার্কেটিং:
ফেসবুকে কিন্তু ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন গ্রুপ আছে। এই গ্রুপগুলোকে ব্যবহার করে আপনার পণ্য, সেবা, বা কন্টেন্ট প্রচার করে ফ্রি মার্কেটিং করতে পারবেন। এছাড়া চেষ্টা করবেন এই সব ফেসবুক গ্রুপগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে আর গ্রুপগুলোর নিয়ম মেনে আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক পোস্ট শেয়ার করতে। এনগেজমেন্ট বৃদ্ধির জন্য গ্রুপের অন্যান্য পোস্টেও লাইক বা রিয়েক্ট আর কমেন্ট করতে পারেন।
৪) ফেসবুক লাইভ:
বর্তমানে অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ফেসবুক লাইভ। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার করে অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার মাধ্যমে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারেবন। ফেসবুক লাইভে ভিডিও এর মাধ্যমে আপনি নতুন পণ্যের কালেকশন কিংবা কোনো অফারের জন্য নিদির্ষ্ট পণ্যগুলো দেখাতে পারেন।
৫) গিভ অ্যাওয়ে আয়োজন:
ফেসবুক বিজনেস পেজে গিভ অ্যাওয়ে আয়োজন করা একটি কার্যকরী ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং কৌশল, যা অডিয়েন্সের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে আর সেই সাথে ফেসবুক পেজের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। গিভ অ্যাওয়েতে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করতে হয়, যেমন: পেজ ফলো করা, গ্রুপে জয়েন করা, পোস্ট লাইক করা, কমেন্ট করা, পোস্ট শেয়ার করা ইত্যাদি। তারপর একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে গিভ অ্যাওয়ের অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করতে হয়। বিজয়ীর জন্য পুরষ্কার হিসেবে থাকতে পারে আপনার পেজের পণ্য, সার্ভিস, বা কোনো জনপ্রিয় আইটেম।
৬) ফেসবুক মার্কেটপ্লেস:
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস হলো ফেসবুকের এমন একটি ফিচার, যার সাহায্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের স্থানীয় এলাকায় পণ্য কিনতে ও বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে ক্রেতারা বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে পণ্য ব্রাউজ করে, পণ্যের ছবি ও বিবরণ দেখে, বিক্রেতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে কেনাকাটা করতে পারেন।
অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা
ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং বা অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজের যে কোনো পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করতে পারবেন। অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর আরো কিছু সুবিধা হলো:
১) বিনামূল্যে ফেসবুক মার্কেটিং | ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করে কোনো রকম বিজ্ঞাপন খরচ ছাড়াই অর্গানিকভাবে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজের যে কোনো পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন। |
২) বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে | আপনার পোস্ট অর্গানিকভাবে যতো আকর্ষণীয় হবে, আপনার পেজের ফলোয়াররা আপনার পণ্য বা সার্ভিসের কথা ততো সহজে মনে রাখবেন। এভাবে অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এ গ্রাহকের কাছে পোস্ট বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়, যা অডিয়েন্সের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। |
৩) এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি | অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করা খুব সহজ। নিয়মিত আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কীত মানসম্মত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য কন্টেন্ট শেয়ার করলে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়। |
৪) ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি | অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে ব্র্যান্ডের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। এটি একদিকে নতুন ফলোয়ার বাড়াতে সাহায্য করে এবং অন্যদিকে পুরোনো ফলোয়ারদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতেও সহায়তা করে। |
৫) সরাসরি সম্পর্ক গঠন | ফেসবুক গ্রুপ ও কমিউনিটির সাহায্যে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করার মাধ্যমে সরাসরি অডিয়েন্সের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়। এটি আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি অডিয়েন্সের সম্পর্ক আরো গভীর করতে সাহায্য করে। |
অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর অসুবিধা
অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং বা ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর কয়েকটি অসুবিধা হলো:
১) কম রিচ | পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর বিজ্ঞাপনের তুলনায় অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর পোস্টের রিচ কিছুটা কম হতে পারে। অর্থাৎ, ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর পোস্টগুলো তুলনামূলক কম মানুষের কাছে পৌঁছে। |
২) সময়সাপেক্ষ | ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং কিছুটা সময়সাপেক্ষ। তাই অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিংয়ে ফলাফল পেতে বেশি সময় লাগতে পারে। |
৩) নিয়মিত মনিটরিং প্রয়োজন | অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্যে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে হলে নিয়মিত মনিটরিং প্রয়োজন। তাই ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং পোস্টের কার্যকারিতা মনিটর করতে নিয়মিত সময় দিতে হয়। |
৪)অ্যালগোরিদমের পরিবর্তন | ফেসবুকে অ্যালগোরিদম কিছু দিন পর পরই পরিবর্তন হতে থাকে। আর ফেসবুকের অ্যালগোরিদম পরিবর্তনের কারণে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং পোস্টের রিচ কমে যেতে পারে। |
৫) প্রতিযোগিতা | বর্তমানে ফেসবুকের সাহায্যে অনলাইন ব্যবসা বেশ জনপ্রিয়। অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার জন্য ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করছেন, তাই ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেশি। |
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং
সহজভাষায়, অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক মার্কেটিং করাকে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে টার্গেট অডিয়েন্স অর্থাৎ কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়ার জন্য পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করা হয়।
আপনার নিউজফিডে স্ক্রোল করার সময় মাঝে মাঝে এমন কিছু পোস্ট আসে যেগুলো আপনি ফলো করেন নি, আর সেই পোস্টের উপরেই Sponsored লেখা থাকে। এই পোস্টগুলো আসলে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর ফলে আপনার নিউজফিডে দেখা যায়। একটা সময় শুধু বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ফেসবুক পেইজে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করতো। কিন্তু বর্তমানে ছোট, মাঝারি আর বড় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সার্ভিসের বিক্রি বাড়াতে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করছে।
ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করে টার্গেট অডিয়েন্স নির্দিষ্ট করা যায় না। তবে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট জায়গা, লিঙ্গ বা বয়সভেদে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে নিজের পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন পৌঁছাতে পারবেন। যেমন: আপনার পেজের পোস্টগুলো ঢাকায় বসবাস করা ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীরা দেখবেন। পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্যে এই কাজটা আপনি খুব সহজে করতে পারবেন।
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রকাভেদ: কিভাবে করা যায় পেইড ফেসবুক মার্কেটিং?
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং কয়েক ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে। পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর কয়েকটি ধরন হলো:
১) বুস্ট পোস্ট (Boost Post)
কোনো একটি নির্দিষ্ট পোস্ট বুস্ট করার এই পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীরা তাদের ফেসবুক পেজের পোস্টকে আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে। অল্প সময়ের মধ্যে কোনো পোস্টের মাধ্যমে দ্রুত রিচ বাড়াতে চাইলে বুস্ট পোস্ট (Boost Post) ব্যবহার করা হয়।
২) ইমেইজ অ্যাডস (Image Ads)
ফেসবুকের সবচেয়ে সাধারণ এবং কার্যকর বিজ্ঞাপন প্রকারভেদগুলোর একটি হলো ইমেজ অ্যাডস (Image Ads)। এটি একটি একক ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ফেসবুক নিউজ ফিড কিংবা ফেসবুকের বিভিন্ন স্থানীয় বিজ্ঞাপন প্লেসমেন্টে ইমেজ অ্যাড প্রদর্শিত হতে পারে। মেজ অ্যাড এর সাহায্যে চমৎকার ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। পণ্যের ছবি, প্রমোশনাল ব্যানার, বা ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ইমেজ অ্যাড তৈরি করা যায়।
৩) ভিডিও অ্যাডস (Video Ads)
ভিডিও অ্যাডস (Video Ads) ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভিডিও প্রদর্শন করতে পারেন। এটি ব্র্যান্ডের ভিজ্যুয়াল উপস্থিতি বাড়াতে সাহায্য করে। ভিডিও অ্যাডসকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে সাধারণ ভিডিও এর পাশাপাশি অ্যানিমেশনও ব্যবহার করা যায়।
৪) ক্যারাউজেল অ্যাডস (Carousel Ads)
ক্যারাউজেল অ্যাডস (Carousel Ads ব্যবহার করে একাধিক ছবি বা ভিডিও একসাথে প্রদর্শন করা যায়। গ্রাহকরা স্ক্রল করে বিভিন্ন পণ্য বা সেবা দেখতে পারেন। ক্যারোসেল অ্যাডে সর্বোচ্চ ১০টি ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে যে কোনো ফেসবুক বিজনেস পেজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করা যায়। এই ধরনের অ্যাডের ফরম্যাট ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রোডাক্টের নাম বা অন্য তথ্য হাইলাইট করা যায়। ক্যারোসেল অ্যাডে প্রতিটা ছবি বা ভিডিওতে “Buy now” বা “Shop now” এর মতো আলাদা আলাদা লিংকও যুক্ত করার সুবিধা থাকে।
৫) কালেকশন অ্যাডস (Collection Ads)
কালেকশন অ্যাডস (Collection Ads) ফেসবুকের একটি বিশেষ ধরনের বিজ্ঞাপন ফরম্যাট, যা শুধু ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এ ধরনের অ্যাডে একটি প্রাইমারি ভিডিও বা ইমেজ আর এর নিচে কয়েকটি পণ্যের থাম্বনেইল দেখা যায়, যার মাধ্যমে কাস্টমাররা খুব সহজেই আপনার পণ্য বা সার্ভিস কিনতে পারবেন। কালেকশন অ্যাডে সাধারণত একসাথে ৫ টি ছবি বা ভিডিও থাকে।
৬) কনভার্শন অ্যাডস (Conversion Ads)
কনভার্শন অ্যাডস (Conversion Ads) ফেসবুকের একটি বিশেষ ধরনের বিজ্ঞাপন, যা প্রধানত গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট কাজ করতে উৎসাহিত করে, যেমন: পণ্য কেনা, সাইন আপ করা, বা কোনো ফর্ম পূরণ করা। কনভার্শন অ্যাডসের প্রধান লক্ষ্য হলো ব্যবসায়ীদের ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে নির্দিষ্ট অ্যাকশন সম্পন্ন করা।
৭) পোল অ্যাডস (Poll Ads)
পোল অ্যাডস (Poll Ads) হলো এক ধরনের ইন্ট্যার্যাক্টিভ পোস্ট। কারণ এই ধরনের বিজ্ঞাপন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সাথে ইন্টারেকশন বা সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। পোল অ্যাডস -এর মধ্যে একটি প্রশ্ন থাকে, সেই সাথে থাকে দুই বা ততোধিক অপশন। এই অপশনগুলো থেকে যে কোনো অপশন নির্বাচন করার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে জানা যায়। তবে শুধু ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপেই এই ধরনের পোল অ্যাডস দেখা যায়।
৮) স্লাইডশো অ্যাডস (Slideshow Ads)
ছবির স্লাইডশো তৈরি করে ভিডিওর মতো স্লাইডশো অ্যাডস (Slideshow Ads) প্রদর্শিত হয়। এই ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে খুব সহজেই ছবি, টেক্সট বা ভিডিও ক্লিপসের মাধ্যমে শর্ট ভিডিও তৈরি করা যায়। আপনি চাইলে এই শর্ট ভিডিওতে মিউজিকও ব্যবহার করতে পারবেন। স্লাইডশো অ্যাডস কম ব্যান্ডউইথে দ্রুত লোড হয়, তাই এটি ভিডিও অ্যাডের মতোই কার্যকর।
৯) স্টোরি অ্যাডস (Story Ads)
স্টোরিতে অনলাইন ব্যবসায়ীরা নিজের পণ্য বা সার্ভিসের ছবি বা ভিডিও দিয়েও কিন্তু পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারেন। আজকাল এই ধরনের বিজ্ঞাপন বেশ জনপ্রিয়, তাই অনেকেই নিজের ব্যবসার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে আকর্ষণ করতে স্টোরি অ্যাড ব্যবহার করেছেন। তবে স্টোরি অ্যাডস (Collection Ads) এর মেয়াদ মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কারণ ফেসবুক বা অন্য স্যোশাল মিডিয়াগুলোতে স্টোরি মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য দৃশ্যমান থাকে। আর এই অ্যাড ফুলস্ক্রিন মোডে প্রদর্শিত হয়, তাই মোবাইলে স্টোরি অ্যাড ভালোভাবে দেখা যায়।
১০) মেসেঞ্জার অ্যাডস (Messenger Ads)
আপনিও নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, ম্যাসেঞ্জারের মেসেজের মাঝেও অনেক সময় কিছু বিজ্ঞাপন থাকে, এই বিজ্ঞাপনগুলোই হচ্ছে মেসেঞ্জার অ্যাডস (Messenger Ads)। এই ধরনের অ্যাড ব্যবহার করে অনলাইনব্যবসায়ীরা সরাসরি ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন এবং চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
এছাড়াও লিড জেনারেশন অ্যাডস (Lead Generation Ads), ডায়নামিক অ্যাডস (Dynamic Ads), ক্যানভাস অ্যাডস (Canvas Ads), ইভেন্ট রেসপন্স অ্যাডস (Event Response Ads), অফার ক্লেইম অ্যাডস (Offer Claim Ads) ও রিমার্কেটিং অ্যাডস (Remarketing Ads) ইত্যাদির ব্যবহার করেও পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়।
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্য আপনি খুব সহজেই টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজের যে কোনো পণ্য বা সার্ভিস বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারবেন। পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর আরো কিছু সুবিধা হলো:
১) বিস্তৃত রিচ | পেইড ফেসবুক মার্কেটিং আপনার কন্টেন্টকে বিপুল সংখ্যক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম। তাই ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং -এ করা পোস্টের তুলনায় পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এ করা পোস্টের রিচ অনেক গুণ বেশি হয়। |
২) টার্গেটিং অপশন | ফেসবুকের উন্নত টার্গেটিং ফিচার ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের অবস্থান, লিঙ্গ, বয়স ইত্যাদি নির্দিষ্ট ডেমোগ্রাফিক, আগ্রহ, বা আচরণের উপর ভিত্তি করে অডিয়েন্স টার্গেট করা যায়। |
৩) ফাস্ট রেজাল্ট | ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর তুলনায় পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর বিজ্ঞাপন দ্রুত ফলাফল প্রদান করে এবং সেই সাথে আপনার ব্যবসায়িক লক্ষ্য পূরণ করতে সাহায্যে করে। |
৪) কাস্টমাইজেশন | পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এ ইমেইজ অ্যাড, ভিডিও অ্যাড, মেসেঞ্জার অ্যাড, স্টোরি অ্যাডসহ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ফরম্যাট আর কন্টেন্ট কাস্টমাইজ করার সুবিধাও পাওয়া যায়। |
৫) রিমার্কেটিং | পেইড ফেসবুক মার্কেটিং -এ রয়েছে রিমার্কেটিং এর সুবিধা। এখানে ফেসবুক পিক্সেল ব্যবহার করে পূর্বে আপনার সাইট ভিজিট করা ব্যবহারকারীদের পুনরায় টার্গেট করা যায়। |
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর অসুবিধা
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর বেশ সুবিধা থাকলেও এর গুটিকয়েক অসুবিধাও রয়েছে। পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর কয়েকটি অসুবিধা হলো:
১) বেশি খরচ | পেইড ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য নির্দিষ্ট বাজেট প্রয়োজন, যা ডলারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। যা সব ধরনের অনলাইন ব্যবসায়ের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। |
২) এড ব্লকিং | অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী বিজ্ঞাপন না দেখার জন্য এড ব্লকার ব্যবহার করে থাকেন, যার কারণে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে করা বিজ্ঞাপনগুলি তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে না। |
৩) প্রতিযোগিতা | ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন ব্যবসা বর্তমানে বেশ জনপ্রিতা পেয়েছে, এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। আজকাল অনেক ব্যবসায়ী তাদের অনলাইন ব্যবসায় বিক্রি বাড়াতে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর ওপর নির্ভর করে। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ড পেইড বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার ফলেও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায় যার কারণে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আপনার পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন পৌঁছানো কঠিন হতে পারে। |
৪) অ্যালগোরিদমের পরিবর্তন | ফেসবুকে অ্যালগোরিদম কিছু দিন পর পরই পরিবর্তন হতে থাকে। আর ফেসবুকের অ্যালগোরিদম পরিবর্তন হলে পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে করা বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতাও কমে যেতে পারে। |
৫) এড ফ্রিকোয়েন্সির নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া | পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এ একই বিজ্ঞাপন বারবার দেখানোর ফলে অডিয়েন্স বিরক্ত হতে পারে। যা আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। |
ফেসবুক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি: ফেসবুক মার্কেটিং করার স্টেপ গুলো কী কী?
ফেসবুক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি বলতে বোঝায় ফেসবুকে আপনার পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করার জন্য কিভাবে মার্কেটিং করবেন তার পরিকল্পনা। ফেসবুক মার্কেটিং করার প্রাথমিকভাবে যেই স্টেপ গুলো অনুসরণ করা যায়:
১) লক্ষ্য নির্ধারণ করা
২) লক্ষ্যভিত্তিক কাস্টমার নির্ধারণ করা
৩) আপনার মার্কেটিং বাজেট নির্ধারণ করা
৪) আকর্ষণীয় কনটেন্ট পরিকল্পনা করা
৫) সমানভাবে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন পরিকল্পনা করা
৬) প্রতিদিন মনিটর করা
৭) A/ B স্প্লিট টেস্ট
I would suggest making an infographic containing 7-Steps Facebook Marketing Strategy.
এবার ফেসবুক মার্কেটিং করার এই স্টেপ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত লিখছি:
১) লক্ষ্য নির্ধারণ করা
ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করার প্রথম ধাপ হচ্ছে লক্ষ্য নির্ধারণ করা। তাই শুরুতে ফেসবুক মার্কেটিং প্রচারণার জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থাপন করুন। হতে পারে আপনার মার্কেটিং করার লক্ষ্য হলো আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে অধিক সংখ্যক মানুষকে জানানো কিংবা কারো লক্ষ্য হতে পারে ব্যবসায় বিক্রি বাড়নো। আপনার ব্যবসার ধরন হিসেবে আপনার লক্ষ্য ভিন্ন হতে পারে, তবে ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
২) লক্ষ্যভিত্তিক কাস্টমার নির্ধারণ করা
মার্কেটিং এর জন্য লক্ষ্য নির্ধারনের পরের ধাপ হলো লক্ষ্যভিত্তিক কাস্টমার নির্ধারণ করা, মার্কেটিং এর ভাষায় যাকে বলা হয় টার্গেট অডিয়েন্স। মার্কেটিং এর লক্ষ্য নির্ধারণ করার পর আপনার কাস্টমারদের নির্দিষ্ট করুন, যাদেরকে আপনি টার্গেট করে মার্কেটিং করতে চান।
যে সব মানুষ আপনার পণ্য বা সেবা বেশি কেনার সম্ভাবনা রয়েছে, তারাই আপনার টার্গেট অডিয়েন্স। প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের ভিন্নতার ভিত্তিতে টার্গেট অডিয়েন্স ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট বিক্রি করে এমন ফেসবুক পেইজের মার্কেটিং -এ টার্গেট অডিয়েন্স হতে পারেন ১৮ বছর থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত। আবার, শাড়ি বা প্রসাধনী সামগ্রীর পেইজের অডিয়েন্স হতে পারেন ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীরা।
আপনার অনলাইন ব্যবসার বিক্রি বৃদ্ধি করতে ফেসবুক মার্কেটিং করার আগে টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আপনি কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে পারেন, যেমন:
- বয়স (Age),
- লিঙ্গ (Gender),
- শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education),
- আয়ের সীমা (Income)
- লাইফস্টাইল (Life Style)
৩) আপনার মার্কেটিং বাজেট নির্ধারণ করা
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করে আপনার পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। তাই ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য আপনি কত টাকা ব্যয় করতে পারবেন, তার একটি বাজেট নির্ধারণ করুন।
টার্গেট অডিয়েন্স, প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞাপনের প্রাসঙ্গিকতা এবং ক্যাম্পেইনের ধরনের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপনের খরচ অনেকটাই নির্ভর করে। তাই ফেসবুক মার্কেটিং সবার জন্য এক নাও হতে পারে। তবে শুরুতেই আপনার সাধ্যমতো কম বাজেট দিয়ে শুরু করুন। বিজ্ঞাপন কেমন পারফর্ম করছে তা দেখে, তারপর একটি নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারণ করুন। যেমন-
ক্যাম্পেইন ধরন | বাজেট | উদ্দেশ্য |
Awareness Campaign | 3–4$ |
|
Engagement Campaign | 2–3$ |
|
Traffic Campaign | 2–3$ |
|
Conversions Campaign | 3–4$ |
|
৪) আকর্ষণীয় কনটেন্ট পরিকল্পনা করা
আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দৃষ্টিনন্দন পোস্ট বা কনটেন্ট তৈরি করার জন্য কনটেন্ট প্ল্যানিং এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ যেকোনো কাজ পরিকল্পিতভাবে করলে যতোটা সুন্দর আর গুছানো হয়, ঠিক তেমনি অপরিকল্পিতভাবে ঐ একই কাজ করলে কাজটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই পরিকল্পনার মাধ্যমে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন, যা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
৫) সমানভাবে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন পরিকল্পনা করা
টার্গেট অডিয়েন্সের মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুধু কন্টেন্ট নিয়ে পরিকল্পনা করলেই হবে না, এর সাথে সাথে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর কোন অ্যাড ব্যবহার করবেন তার পরিকল্পনাও করতে হবে। বুস্ট পোস্ট, ইমেইজ অ্যাড, ভিডিও অ্যাড, মেসেঞ্জার অ্যাড, স্টোরি অ্যাডসহ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ফরম্যাটে ব্যবহার করে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়। তবে এতো এতো অপশন দেখে দিশেহারা না হয়ে, আপনার কনটেন্টের মতো পরিকল্পনার মাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন তৈরি করুন।
৬) প্রতিদিন মনিটর করা
আপনার ফেসবুক মার্কেটিং ফলাফল জানতে প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার করা মার্কেটিং পদ্ধতি কতোটা সফল হয়েছে। সফলতার হারের ওপর ভিত্তি করে আপনি প্রয়োজনে আপনার ফেসবুক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই ফেসবুক মার্কেটিং এর ভালো ফল পেতে নিয়মিত মনিটর করতে হয়।
৭) A/ B স্প্লিট টেস্ট
মার্কেটিং এর দুনিয়ায় বেশ পরিচিত একটি শব্দ A/ B স্প্লিট টেস্ট, যা বাকেট টেস্টিং , স্প্লিট-রান টেস্টিং বা স্প্লিট টেস্টিং নামেও পরিচিত। A/ B স্প্লিট টেস্ট হলো একটি পরীক্ষার পদ্ধতি যেখানে দুটি ভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট (A ও B) একে অপরের সাথে তুলনা করা হয়, যাতে বোঝা যায় কোনটি ভালো পারফর্ম করছে। ধরুন, আপনি আপনার ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন ব্যবসায় বিক্রি বৃদ্ধি করতে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করতে চান। এক্ষেত্রে আপনি দুই ধরনের অ্যাড ব্যবহার করে তুলনা করে দেখতে চান, কোনটি আপনার অনলাইন ব্যবসার Sales rate বা বিক্রির হার বৃদ্ধি করতে বেশি কাজে দিবে। এভাবে দুটি ভিন্ন পদ্ধতি টেস্ট করাকে A/ B স্প্লিট টেস্ট বলা হয়।
ফেসবুক মার্কেটিং শেখার স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন
ফেসবুক এখন শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়; এটি একটি শক্তিশালী মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে ছোট থেকে শুরু করে মাঝারি ও বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রচারের জন্য ফেসবুকের উপর নির্ভর করছে। কারণ ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আপনার পণ্য বা সার্ভিস পৌঁছে দিতে পারেন এবং সেইসাথে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। শুধু তাই ফেসবুক মার্কেটিংয়ের সাহায্যে আপনি আপনার ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও লিড জেনারেট করার পাশাপাশি আপনার ব্যবসার বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্যে ব্যবসায় সফলতা অর্জনের জন্য আগে ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে হবে। চলুন, ধাপে ধাপে শিখি কিভাবে ফেসবুককে আপনার ব্যবসার জন্য একটি কার্যকর মার্কেটিং টুল হিসেবে ব্যবহার করবেন।
১) ফেসবুক পেজ তৈরি করা
ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য কিংবা ফেসবুকে আপনার ব্যবসা পরিচালনার জন্য অবশ্যই ফেসবুকে একটি বিজনেস পেজ খুলতে হবে। ফেসবুক পেজ খোলার আগে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে। এরপর ফেসবুকের ইন্টারফেজের ডান দিকে Page অপশন খুঁজে বের করে, সেখানে থাকা Create Page এ ক্লিক করুন। এরপর পেজের নাম আর Category সিলেক্ট করে, Bio তে নিজের ব্যবসা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখুন। সবশেষে আপনার বিজনেস পেজের জন্য একটি আকর্ষনীয় প্রোফাইল পিকচার আর কভার ফটো আপলোড করে, তৈরি হয়ে যাবে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ।
২) ফেসবুক পেজ সেট আপ করা
ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে শুধু ফেসবুক পেজ খুললেই হবে না, পেজটি সেটআপও করতে হবে। ফেসবুক পেজ সেটআপ করার জন্য আপনি যা যা করতে পারেন:
- About সেকশন পূরণ করা: ফেসবুক পেজে About সেকশনে আপনার ব্যবসা সম্পর্কীত সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ওয়েবসাইট, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল ইত্যাদি আপডেট করতে হবে।
- Call-to-Action (CTA) বাটন যোগ করা: আপনার পেইজে আসলেই আপনি দর্শকদের কোন বাটনটি দেখাতে চান তা সিলেক্ট করুন, যেমন: Like, Follow, Contact Us, Shop Now ইত্যাদি।
- Product List/ Service List: আপনার ব্যবসার পণ্য বা সার্ভিসের একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন। তালিকায় অবশ্যই পণ্য বা সার্ভিসের ছবি রাখতে ভুলবেন না।
৩) কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা
ফেসবুক পেজ সেট আপ করার পর আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে জানানোর জন্য বিভিন্ন মানস্মত কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যে ধরনের কন্টেন্ট পোস্ট করতে পারেন:
- ইমেজ পোস্ট: আপনার পণ্য বা সার্ভিসের আকর্ষণীয় ছবি তুলে পেজে পোস্ট করতে পারেন।
- ভিডিও পোস্ট: প্রোডাক্ট ডেমো প্রোমোশনাল ভিডিও, কিংবা নতুন প্রোডাক্টের ভিডিও ইত্যাদি পোস্ট করতে পারেন।
- লিংক পোস্ট: অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের লিংক, ব্লগ বা আপনার ব্যবসার কোনো ওয়েবসাইট থাকলে তার লিংক অবশ্যই শেয়ার করবেন।
- টেক্সট পোস্ট: লিখিত আকারে সংক্ষিপ্ত আর আকর্ষণীয় বার্তা শেয়ার করে আপনার পেইজে ফলোয়ারদের আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে জানাতে পারেন। এছাড়া প্রতি মাসে ফেসবুক পেজের ফ্যানদের উৎসাহিত করেও পোস্ট দিতে পারে।
- পোস্ট শিডিউলিং: সবসময় পোস্ট করার সময় বা সুযোগ না থাকলে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজারের বিনামূল্যে শিডিউল পোস্টের সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন।
৪) অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট
অডিয়েন্স এনগেজমেন্টের মাধ্যমে আপনি বিনামূল্যে ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমন:
- পোল ও কুইজ তৈরি করা: আপনার ফলোয়ারদের মতামত চেয়ে বিভিন্ন পোল বা কুইজ পোস্ট আকারে দিতে পারেন।
- কাস্টমার ফিডব্যাক সংগ্রহ করা: যখন কোনো ক্রেতা আপনার পণ্যটি হাতে পাবে তার কাছ থেকে পণ্য সম্পর্কীত ফিডব্যক সংগ্রহ করুন। তারপর মতামতকে প্রধান্য দিয়ে পণ্যের মান উন্নয়নের চেষ্টা করুন।
- কমেন্ট ও মেসেজের উত্তর দিন: নিয়মিত আপনার পেজের পোস্টের কমেন্ট আর ইনবক্সে আসা মেসেজের উত্তর দিন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমেন্ট ও মেসেজের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
- গিভ অ্যাওয়ে আয়োজন: আপনার পেজের ফলোয়ার আর কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে কয়েক মাস পর পর পেজে গিভ অ্যাওয়ে আয়োজন করতে পারেন।
- কমিউনিটি বিল্ডিং: ফেসবুক পেজের পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করুন, আপনার ফলোয়ার আর ফ্রেন্ডলিস্টের মানুষদের গ্রুপে ইনভাইট করুন। পেজের পাশাপাশি গ্রুপেও আপনার পণ্য ও সার্ভিস নিয়ে নিয়মিত পোস্ট করুন।
৫) পেইড ফেসবুক মার্কেটিং
বিনামূল্যে ফেসবুক মার্কেটিং করা যতোটা সহজ, পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ করা সেই তুলনায় কিছুটা জটিল। পেইড ফেসবুক মার্কেটিং সংক্রান্ত কিছু শব্দের অর্থ আগে থেকেই জেনে নিলে, পেইড ফেসবুক মার্কেটিং শেখা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। যেমন:
পোস্ট রিচ (Post Reach)
পোস্ট রিচ বলতে বোঝায় কতজন মানুষ আপনার পোস্ট দেখেছেন তার সংখ্যাকে। পোস্টের রিচ বেশি মানে অনেক মানুষ আপনার পোস্টটি দেখেছে।
এনগেজমেন্ট (Engagement)
ফেসবুক মার্কেটিং এর জগতে এনগেজমেন্ট বলতে বোঝায় আপনার পোস্টে ফেসবুক ব্যবহারকারী বা আপনার পেজের ফলোয়াররা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, যেমন: লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, ক্লিক ইত্যাদি। একটি পোস্টের এনগেজমেন্ট যতো বেশি হবে, সেই পোস্টে থাকা কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা ততো বেশি।
ফেসবুক এডস (Facebook Ads)
ফেসবুক এডস হলো ফেসবুকের পেইড বিজ্ঞাপন, যা ব্যবহার করে আপনি আপনার পণ্য বা সার্ভিস টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এর আগেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক অ্যাড নিয়ে জেনেছি।
ফেসবুক ইনসাইটস (Facebook Insights)
ফেসবুক ইনসাইটস হলো এমন একটি টুল, যা আপনাকে আপনার পেজ ও পোস্টের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে। এটি থেকে রিচ, এনগেজমেন্ট, ফলোয়ার ডেমোগ্রাফিক্স ইত্যাদি তথ্য দেখা যায়।
ফেসবুক এড ম্যানেজার (Facebook Ad Manager)
ফেসবুক এড ম্যানেজার হলো পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এ করা বিজ্ঞাপনগুলো পরিচালনা পর্যবেক্ষণ করার একটি শক্তিশালী টুল। এই টুলটি ব্যবহার করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন তৈরি ও পরিচালনা থেকে শুরু করে আপনার করা পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর ফলাফলও বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
শেষ কথা
ঘরে বসেই আপনার অনলাইন ব্যবসাকে সফল করার যাত্রাকে আরো সহজে করতে 10 Minute School নিয়ে এসেছে Facebook Marketing কোর্স। এই কোর্সে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে ফেসবুক পেজ আর ফেসবুক গ্রুপের সাহায্যে মার্কেটিং করে নিজের ব্যবসার বিক্রি বৃদ্ধি করা যায় এবং ফেসবুক বুস্টিং এর মাধ্যমে আপনার ফেসবুক ব্যবসাকে টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অসংখ্য ফেসবুক মার্কেটিং টিপস ও ট্রিকস। আর এর পাশাপাশি থাকছে ফেসবুক মার্কেটিং-এর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা। এছাড়াও ৪৯ টি ভিডিও, ৪৯ টি নোট আর ৯ সেট কুইজসহ এই কোর্সের মেয়াদ থাকবে আজীবন। সেই সাথে কোর্সটিতে আপনি পাচ্ছেন ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে ফেসবুক সাপোর্ট গ্রুপ।
তাই ফেসবুক মার্কেটিং শিখে আপনার অনলাইন ব্যবসাকে সফল করে একজন সফল ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেতে চাইলে, দেরি না করে আজই এনরোল করুন 10 Minute School এর Facebook Marketing কোর্সে!
জেনে নিন জবায়ের ও মাহদির ফেসবুক মার্কেটিং সফলতার গল্প!
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadik and Sadman Sadik)
- Adobe Illustrator Course (by Mohammad Yeasir)
- Graphic Designing with Photoshop Course (by Sadman Sadik)
- Graphic Design করে Freelancing Course (by Md. Kamruzzaman Shishir and A.S.M Arifuzzaman)
- Graphic Designing with PowerPoint Course (by Anisha Saiyara Taznoor)
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing Course (by Sadman Sadik)
- Facebook Ads Mastery by Mark Anupom Mollick
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course
- Graphic Design করে Freelancing Course
- T-Shirt Design করে Freelancing Course
- SEO Course for Beginners
- WordPress দিয়ে Freelancing
- YouTube Marketing করে Freelancing
তথ্যসূত্র
- ফেসবুক লাইভ ব্যবহার করে কীভাবে মার্কেটিং করবেন | 10 Minute School Blog
- ফেসবুকে বুস্টিং এবং পেইড ফেসবুক মার্কেটিং -এর আদ্যোপান্ত | 10 Minute School Blog
- ফেসবুক মার্কেটিং কী? জেনে নিন ফেসবুক মার্কেটিং -এর আদ্যোপান্ত | 10 Minute School Blog
- ফেসবুক থেকে কীভাবে টাকা উপার্জন করতে হয় শিখে নাও ধাপে ধাপে | 10 Minute School Blog
- দেশে এক বছরে ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ল পৌনে ২ কোটি | দৈনিক জনকণ্ঠ | ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
- বেচাকেনায় ফেসবুকের হিস্যা কত? | সময় স্পেশাল নিউজ | ২৩ মার্চ ২০২৪
টেন মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
এছাড়াও যেকোনো জিজ্ঞাসায় কল করুন 16910 নম্বরে।
আপনার কমেন্ট লিখুন