ছোটবেলা থেকেই আমাদের মনে অনেক ইচ্ছা থাকে, বিজ্ঞানের নানা এক্সপেরিমেন্ট করার। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় এসব করার যে উপকরণ, সেগুলো খুঁজে পাওয়াই যায় না। আর আমাদের ভবিষ্যত বিজ্ঞানী হবার আশাটা সেখানে কুঁড়িতেই বিনষ্ট হয়ে যায়, আমাদের আর বিজ্ঞানী হয়ে ওঠা হয় না।
নতুন প্রজন্ম যাতে এই হতাশার মধ্যে দিয়ে না যায়, এইজন্যেই বিজ্ঞান বাক্সের আবির্ভাব। বিজ্ঞান বাক্সকে বলা যায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্যে সাক্ষাৎ জাদুর কাঠি! দারুণ কাজের এই বিজ্ঞান বাক্স নিয়েই এই লেখাটি।
চুম্বকের চমক
চুম্বকের চমক বিজ্ঞানবাক্সটি কেন তৈরি হয়েছে?
ছোট্ট একটা গল্প শুনুন। আয়ান নামে আট বছর বয়সী ছোট্ট একটি ছেলে একদিন চুম্বকের চমক থেকে দুটি দন্ড চুম্বক নিয়ে জিজ্ঞেস করলো, দুটো সমধর্মী চুম্বক তো পরস্পরকে বিকর্ষণ করে, কী হবে যদি তাদেরকে সে সবসময় চেপে ধরে থাকে? এরই মাঝে চুম্বক ডোমেইন সম্পর্কেও তারা জানা হয়ে গেছে বেশ! এই যে বাচ্চা একটি ছেলের প্রশ্নের উদয় হচ্ছে, জানছে, এই প্রশ্নগুলো জাগাবার জন্যেই চুম্বকের চমক বিজ্ঞানবাক্সটি। চুম্বক এক অসাধারণ পদার্থ, এটা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে গেলে শিশুমনে নানারকম প্রশ্ন জাগবেই, শিখবেই, আর সময়টাও খুব ভালো কাটবে।
ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:
৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৫
কী কী আছে চুম্বকের চমকে?
দণ্ড চুম্বক, নিয়োডিমিয়াম চুম্বক, লোহার গুড়ো, কম্পাস, সুইচ, জেমস ক্লিপ, রিং ম্যাগনেট, খেলনা কুমির, খেলনা সুপারম্যান, পেন্সিল, মোটর, রিড সুইচ, সুতো, ফোম, ডিম্বাকৃতির চুম্বক ইত্যাদি!
কী কী করা যায় এগুলো দিয়ে?
নিয়োডিমিয়াম চুম্বক, ব্যাটারি এবং পেরেক ব্যবহার করে ম্যাজিক মোটর তৈরি, চুম্বকের চারপাশে লোহার গুড়ো ছড়িয়ে দিয়ে বলরেখা দৃশ্যায়ন, ডিম্বচুম্বক ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের সঙ্গীত তৈরি করা, বড় চুম্বক থেকে বাচ্চা চুম্বক তৈরির মাধ্যমে পাঠ্যবইয়ের ডোমেইন তত্ব প্রয়োগ করা , হাতের স্পর্শ ছাড়াই কোন বস্তুকে সরানো, ম্যাগনেটিক নিক্তি তৈরি, অচুম্বক পদার্থের সাথে চুম্বকের সংস্পর্শে স্লো মোশন ম্যাজিক দেখা, কলিং বেল তৈরি, তারকে লাফাতে সাহায্য করা ইত্যাদি। মোট এক্সপেরিমেন্ট সংখ্যা-২৬টি।
আরো পড়ুন: বিজ্ঞানের ভয়, করে ফেলো জয়!
চুম্বক জিনিসটা বড়ই অদ্ভুত! কেনই বা তারা একে অপরের কাছে আসে, আর কেনই বা দূরে সরে যায় এ বড় অদ্ভুত ব্যাপার! আর এই আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে অচুম্বক পদার্থকে বানিয়ে ফেলা যায় চুম্বক, বানানো যায় কম্পাস, তৈরি করা যায় সুইচ! এমন মোট ২৬টি মাইন্ড ব্লোয়িং এক্সপেরিমেন্ট আছে চুম্বকের চমকে।
অদ্ভুত মাপজোখ
অদ্ভুত মাপজোখ বিজ্ঞানবাক্সটি কেন তৈরি হয়েছে?
জায়ানের স্বভাবটা হলো সবকিছু একটু পরখ করে দেখা, বিশেষ করে ইলেকট্রিকাল যন্ত্রপাতিগুলো। এটা ঠিক আছে তো? ওটা ভালোভাবে কাজ করছে তো? জায়ানদের জন্যেই অদ্ভুত মাপজোখ।
অদ্ভুত মাপজোখের মাধ্যমে একটু বড় ক্লাশে পড়া শিশুদের সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন ধরুন আপনি খেলা দেখতে বসলেন, কিন্তু রিমোট কাজ করছে না। সমস্যাটা কি রিমোট, না ব্যাটারির? দোকানে পাঠাতে হবে এখন? কোনো দরকার নেই! অদ্ভুত মাপজোখের উপকরণগুলো ব্যবহার করে আপনার ক্ষুদে বিজ্ঞানীটি বলে দিতে পারবে গড়বড়টা কোথায়! এই কিটের এক্সপেরিমেন্টগুলোতে বাড়তি কিছু সমস্যা দিয়ে রেখে দেয়া হয়েছে, যেগুলো সে নিজেই মাথা খাটিয়ে বের করতে পারবে।
কী কী আছে অদ্ভুত মাপজোখে?
অদ্ভুত মাপজোখে অনেক মজার একটি যন্ত্র আছে। আর তা হল মাল্টিমিটার। এটা দিয়ে কারেন্ট মাপা যায়, ভোল্টেজ মাপা যায়, রেজিস্ট্যান্স মাপা যায়। এছাড়াও থাকছে থার্মিস্টার, এল.ডি.আর, রেজিস্টার, সাধারন ডায়োড, জেনার ডায়োড, এল.ই.ডি, IR রিসিভার, ব্যাটারি, বাযার, ছোট ব্যাটারি, ব্যাটারি কেসিং, ওয়্যারলেস মডিউল, ক্যাপাসিটর, অডিও জ্যাক, মিউজিক্যাল মডিউল, ক্রোকোডাইল ক্লিপ, সাউন্ড সেন্সর। আরো প্রয়োজন হতে পারে মোমবাতি, টর্চ, গরম চায়ের কাপ, বরফ আর বাসার টিভি রিমোট।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
ঘরে বসে Freelancing
কী কী করা যায় এগুলো দিয়ে?
এখানে প্রথমেই জানা যাবে মাল্টিমিটার সম্পর্কে। ছোট্ট মিটারের যে কত কারিশমা তার ইয়ত্তা নেই! মিটার স্কেল এ কোনটা কি একক নির্দেশ করে সে ব্যাপারে থাকছে বিস্তর আলোচনা। মূল এক্টিভিটিগুলোতে থাকছে মিটার, ব্যাটারি এবং নানান রং এর LED লাইটের সাহায্যে পরিমাপ করা কোন রং এর লাইটে কতটুকু কারেন্ট প্রয়োজন, রোধের সাহায্যে দেখা যাবে কোন জিনিস বিদ্যুৎ পরিবাহী আর কোনটি নয়, LDR ব্যবহার করে মাপা যাবে আলোর তীব্রতা, ক্যাপাসিটরে চার্জ দেয়া এবং তা ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা দেখা, থার্মিস্টারের সাহায্যে পরিমাপ করা ঠান্ডা নাকি গরম। আরো মজার একটি জিনিস হল সাউন্ড সেন্সর মডিউল। এটা দিয়ে মাপা যাবে কে কত জোরে চিৎকার করতে পারে। আর রিমোটের অদৃশ্য রশ্মি খুঁজে বের করার কাজটাও ঠিকঠাক করে দিতে পারবে বিজ্ঞানবাক্সের IR রিসিভার।
শিশুর প্রাপ্তি:
বেশিরভাগ শিশুরা মাল্টিমিটারের নাম জানে ঠিকই কিন্তু এটি দেখতে কেমন? কেমন করে কাজ করে? কীভাবে বোঝা যায়? এর কোন কিছু সম্পর্কে তাদের ধারণা থাকেনা। থাকবেই বা কি করে এই নিয়ে তাদেরতো কেউ কৌতুহলী করে তোলেনি। কিন্তু অদ্ভুত মাপজোখের এক্টিভিটি পুরোটাই মিটার ঘিরে।
অদ্ভুত মাপজোখ বিজ্ঞানবাক্স বিজ্ঞানের কিছু চমৎকার বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। যেমন IR রশ্মি। প্রতিদিন যে রিমোট দিয়ে কার্টুন চ্যানেল চেঞ্জ করছে সেই রিমোটেরই মূল রহস্য অদৃশ্য এই রশ্মি। আর সেই রশ্মিকে হাতের মুঠোয় এনে মাপা যাচ্ছে IR সেন্সর, ব্যাটারি আর মিটারের সাহায্যে। শিশুর মনে অনুসন্ধিৎসা মনোভাব গড়ে তুলতে পারে এই এক্টিভিটিগুলো।
বিজ্ঞানের সুন্দর কিছু উপাদানের সাথেও দেখা হবে এই অদ্ভুত মাপজোখে। ক্যাপাসিটর কেমন করে চার্জ ধরে রাখে আবার সেই চার্জ মিটারের সাথে যুক্ত করলে তা কিভাবে খরচ হতে থাকে, সাউন্ড সেন্সর মডিউল কেমন করে শব্দের তারতম্য বুঝতে পারে। শিশুর মনের অজানা বিজ্ঞান রহস্য উন্মোচন হবে এসব দেখে।
একেক রং এর LED লাইট জ্বলতে একেক পরিমান বিদ্যুৎ প্রয়োজন! এমন নানান অদ্ভুত তথ্য জানতে পারবে শিশুরা। এছাড়াও অদ্ভুত মাপজোকে থাকছে রোবেকুব আর অরণীকে নিয়ে মজার সব ধাধা। আর ধাধার সমাধান করতে গিয়ে শিশুরা নিজেদের আরো নতুন রূপে আবিষ্কার করবে।
লাল আলো, নীল আলো, সবুজ আলো শুধু রঙধনুতে বসে থাকবে কেনো? তাদের ইচ্ছে হলো কারেন্টের ওপর খবরদারী করতে। সেটা কেমন? অদ্ভুত মাপজোখের এই অদ্ভুত এক্সপেরিমেন্টটি করে দেখিয়েছে জায়ান।
বিশেষ ছাড়ে বিজ্ঞানবাক্সের সেট কিনতে চলে যাও এই লিংকে!
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন