পরীক্ষাটা কে আবিষ্কার করেছেন!!!

February 1, 2019 ...
পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবার শুনে নাও।

ছাত্রজীবনের সকল সুখকর মুহূর্ত গুলো যেই একটি শব্দ শোনার পর বিষাদে রূপ নেই, তারই নাম পরীক্ষা। অনেকের কাছে এটা এতটায় বিভীষিকাময় যে, পরীক্ষার নাম শুনলেই জ্বর চলে আসে। পরীক্ষার আবিষ্কারক কে নিয়ে চিন্তা করেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কমবেশি সকলেই আমরা আমাদের ছাত্রজীবনে প্রত্যেক পরীক্ষার আগে একবার হলেও সেই মানুষটিকে স্মরণ করি। একই সাথে তাকে যদি একবার সামনে পেতাম তাহলে তাকে যে কিভাবে শায়েস্তা করতাম সেই নীল নকশাও মনের অজান্তে করে ফেলি। কিন্তু এই ভয়ানক পরীক্ষা কে আবিষ্কার করেন, সেটা জানার আগে আমাদের জানতে হবে কিভাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতির সূত্রপাত হয়েছে…  

mW ExRB24A e52iZzBcRJuoJkhLuDned6UPwIXlt6sQmsKTRV31hAvr8xle MaQA SMDjeISNem41U01NS2VC pVz4AoqWhiu0MPggVYlTO2FE0PLf7v

পরীক্ষা পদ্ধতি

পরীক্ষার পদ্ধতির সূত্রপাত হয়েছে প্রাচীন চীনে। জি! এটাও Made in China. চীনে সর্বপ্রথম Standardized Test বা সার্বভৌম পরীক্ষার প্রচলন করা হয়। এই পরীক্ষার ছিল মূলত একটি বাছাই পরীক্ষা। যার মাধ্যমে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হত। এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয় ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে। সুই রাজবংশ (Sui Dynasty) এই পদ্ধতি চালু করে। এর প্রায় ১৩০০ বছর পরে কুইং রাজবংশ (Qing Dynasty) ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে এই পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু ১৮০৬ সালে ইংল্যান্ড এই পরীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং সরকারি বিভিন্ন কাজে প্রার্থী নিয়োগের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। পরবর্তীতে তারা ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষা পদ্ধতির সংযোজন করে। এইভাবে আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশে দেশে গ্রহনযোগ্যতাও পেতে থাকে। বিশ্বব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হয়।  

৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৪

ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:

  • প্রতি ক্লাসে ২ জন শিক্ষক পড়াবেন; একজন ক্লাস নিবেন, অন্যজন সমস্যার সমাধান দিবেন
  • দেশের যেকোনো জায়গায় বসে দেশসেরা শিক্ষকদের কাছ থেকে অনলাইনে সর্বোচ্চ মানের পড়ালেখার সুযোগ
  • লাইভ ক্লাসের ভেতরেই পরীক্ষা দেওয়ার সুবিধা
  •  

    পরীক্ষার আবিষ্কারক কে

    পরীক্ষার আবিষ্কারক কে লিখে যদি আমরা গুগল বা যেকোন সার্চ মাধ্যমে খোঁজার চেষ্টা করি তাহলে একজন ব্যাক্তির ছবি আমাদের সামনে চলে আসে। তার নাম হল “হেনরি এ ফিশেল” (Henry Fischel)। সাধারনত তাকেই “পরীক্ষার জনক”  হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৩ সালের ২০শে নভেম্বর জার্মানিতে। তিনি ছিলেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি গ্রীক ও ইহুদি সাহিত্যের উপর বই লিখেছেন। তিনি ২০০৮ সালের মার্চ মাসের ১৮ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। 

    The inventor of exams, Henry Fischel (পরীক্ষার আবিষ্কারক)

    পরীক্ষার আবিষ্কারক কে এই সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে আরো একজনের নাম আসে। তার নাম “মিশেল হেনরি ” (Michel Henry)। তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক, যিনি পরীক্ষা এবং পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা করেছেন। পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি যে দার্শনিক ধারনা দেন তা হল , “কোন বিষয়ে উপসংহারে পৌছানোর পূর্বে সেই বিষয় নিয়ে খুব বিচক্ষনতার সাথে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।” ধারনা করা হয়  মিশেল হেনরিই সর্বপ্রথম দার্শনিক যিনি পরীক্ষার দর্শন নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    Michel Henry

    তাহলে পরীক্ষার জন্ম কি জনকের আগে!!!

    আসলে পরীক্ষা পদ্ধতি কবে থেকে প্রচলন হয়েছে সেটা যদি তোমরা খেয়াল কর তাহলে দেখবে, আসলে আমরা যাকে পরীক্ষার জনক বলে আখ্যায়িত করছি তার জন্মের অনেক আগে থেকেই পরীক্ষার প্রচলন হয়েছে। হেনরি এ ফিশেলের ক্ষেত্রে ধারনা করা হয় তিনিই যে পরীক্ষার জনক এটি একটি ভুল ধারনা। মুলত বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইন্টারনেট ভিত্তিক হাস্যরস সম্পর্কিত প্লাটফর্ম গুলোতে তাকে নিয়ে অনেক বেশি গল্প / আলোচনা শেয়ার করা হয় যার ফলে তাকেই অনেকে পরীক্ষার জনক হিসেবে মেনে নেয়। কিন্তু মজার বিষয় হল যদি আমরা পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনার সময়ের কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে হেনরি এ ফিশেল বা  মিশেল হেনরি সকলেই পরীক্ষা দেওয়া লেগেছে।

    Microsoft Word Course

    কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • একাডেমিক পেপার, অ্যাসাইনমেন্ট, কিংবা যেকোনো ডকুমেন্ট প্রফেশনালি ফরম্যাট ও উপস্থাপন করা
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর বিভিন্ন ফিচার ও টুলসের ব্যবহার, যেমন: হেডিং, সাব-হেডিং, টেবিল, স্মার্ট আর্ট, স্পেল চেকার, টেবিল অফ কন্টেন্ট, ফাইন্ড এন্ড রিপ্লেস, হেডার ও ফুটার
  •  

    আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি

    পরীক্ষার সাথে এখন অনেক কিছু জড়িত। রুটিন, গ্রেড, জিপিএ কিংবা ফলাফল সবকিছুই পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত। তাই এই বিষয়গুলো কে আরো সহজ করতে দিন দিন নতুন নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হচ্ছে। যেমন আগে পরীক্ষা মানেই ছিল বড় বড় করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অনেকটা রচনার মত। এর পরে শুরু হল Multiple Choice Question(MCQ) পদ্ধতি। যেখানে শুধু টিক দেওয়া লাগে বা বৃত্ত পূরণ করা লাগে। বিজ্ঞান শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে যেটি সবচেয়ে মজার পরীক্ষা সেটি হল ব্যবহারিক পরীক্ষা বা প্র্যাকটিকেল পরীক্ষা। যেখানে সবকিছু হাতে কলমে করতে হয়। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এখন পরীক্ষা অনেকক্ষেত্রে কম্পিউটার নির্ভর হয়ে গেছে। অনেক দেশে বর্তমানে সরাসরি কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও নতুন নতুন পরিবর্তন আসছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারি।

    পরীক্ষাকে ভয় পাই না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কিন্তু পরীক্ষা আছে বলেই পরীক্ষার পরের ছুটি কিংবা ভালো ফলাফল গুলো আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য। তাই একটু কষ্ট করে হলেও ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার ভয় জয় করে ফেল। কে জানে হয়ত পরীক্ষার পড়া পড়তে পড়তেই হয়ত কোন একদিন তুমিই খুঁজে পেয়ে যাবে আসল পরীক্ষার আবিষ্কারককে…


    Reference:


    আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:



    ১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com

    ১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন