যুদ্ধের প্রস্তুতি:
যুদ্ধ?? যুদ্ধই তো। ১ ঘণ্টার একটি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীর পরবর্তী জীবনের গতিপথ ঠিক হলে তাকে পরীক্ষা না বলে যুদ্ধ বলাই ভালো। এই বছর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০,০০০+ এবং এর বিপরীতে সিট সংখ্যা সরকারিতে ৩৫০০+। যারা এবার পরীক্ষার্থী তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, তোমাদের কি মনে হয় না এই ৮০,০০০ এর মধ্যে ৮০০০ শিক্ষার্থী চান্স পাওয়ার উপযুক্ত অথবা সে চান্স পাওয়ার মতো যথেষ্ট কষ্ট করেছে? তো এই ৮-১০ হাজার থেকে সেরা ৩৫০০ কিভাবে বাছাই হবে? এই ৮হাজারের মধ্যে মূল পার্থক্য তৈরি হবে এই শেষ সপ্তাহের প্রস্তুতি ও পরীক্ষার হলে তার পারফরমেন্সের উপর। তাই এই শেষ সাতটি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সব কথার শেষ কথা, সৃষ্টিকর্তা সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক। তুমি যদি আসলেই এর উপযুক্ত হও তাহলে তুমি চান্স পাবে, আর না হলেও হতাশ হবার কিছু নেই, আল্লাহ তোমার জন্য হয়তো আরো ভালো কিছুর ব্যবস্থা করেছেন।
মানসিক অবস্থা:
এই সময় ভয় পাওয়া, বিচলিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কেউ যদি বলে সে তার নিজ পরীক্ষার আগে ভয় পায়নি তাহলে হয়ত তার মূল লক্ষ্য মেডিকেল ছিল না অথবা সে মিথ্যে বলছে। তুমি তোমার পড়া চালিয়ে যাও। At the end of the day you will get what you deserve.
প্রস্তুতি:
সবারই যেহেতু সব কিছু revision দেওয়া শেষ তাই সবাই জানো তোমাদের দুর্বলতা ঠিক কোন কোন জায়গায়, ওই জিনিসগুলো ভালো করে বারবার দেখো।
বায়োলজি:
বেশিরভাগ প্রশ্নই প্রাণিবিজ্ঞান থেকে হয়। আরো নির্দিষ্ট করে বললে ‘মানবদেহ’ অধ্যায় থেকে। এছাড়াও কোষতন্ত্র, টিস্যুতন্ত্র ও রোগসংক্রান্ত যত বিষয় আছে তা ভালো করে পড়বে। উদ্ভিদবিজ্ঞানেও তোমরা সালোকসংশ্লেষণ সহ অন্যান্য অর্থনৈতিক উদ্ভিদবিজ্ঞান,ভাইরাস,ব্যাক্টেরিয়া ও রোগ ব্যাধি সংক্রান্ত সকল কিছু ভালো করে পড়বে।
পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন:
সকল প্রকার সূত্র, সূত্রের বিভিন্ন চলকের পারস্পরিক সম্পর্ক ও ছোট কিন্তু টেকনিক্যাল অংকগুলো তোমরা সবই দেখবে। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ চার্ট অবশ্যই দেখবে। কিন্তু আমার নিজস্ব মতামত হল, সংখ্যাভিত্তিক সমস্যায় মাথা না ঘামিয়ে অন্য বিষয়গুলো ঠিকভাবে দেখা।
English ও সাধারণ জ্ঞান:
আমার মনে হয় এখন ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের পেছনে খুব বেশি সময় দেওয়া ঠিক হবে না। তবে বিগত বছরের মেডিকেলের প্রশ্ন, BCS এর প্রশ্ন এবং সাধারণ জ্ঞানের ‘আজকের বিশ্ব’ বইটির বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের ‘বিবিধ’ অংশটুকু পড়া যেতে পারে।
পরীক্ষার আগেরদিন:
তোমার যে যে জায়গায় সমস্যা সেই জায়গাগুলোর পাতা উল্টিয়ে যাবে এবং রাতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাবে।
পরীক্ষার হলে:
১. পরীক্ষার হলে অবশ্যই আগে আগে পৌঁছাবে। কেননা সিট খুঁজে পাওয়া ও হলের পরিবেশের সাথে adjust করার একটি ব্যাপার থাকে
২. রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর অবশ্যই ভালোভাবে পূরণ করবে
৩. প্রশ্ন পাওয়ার পর যে যে প্রশ্ন তুমি পারো তা সাথে সাথে দাগিয়ে নিবে এবং যে যে প্রশ্নে তোমার কনফিউশন আছে তা মার্ক করে রাখবে.
কোর্সটিতে যা যা থাকছে
মেডিকেল এডমিশন কোশ্চেন সল্ভ কোর্স
৪. OMR Sheet ভরাট করার সময় অবশ্যই সিরিয়াল ঠিক রেখে করবে।
৫. পুরো প্রশ্ন একবার দেখার পর যে যে প্রশ্নে কনফিউশন ছিল তা সমাধান করার চেষ্টা করবে
৬. প্রশ্ন কঠিন মনে হলে বিচলিত হবার কিছু নেই,মনে রাখবে শুধু তোমার জন্যই তা কঠিন নয়, সবার জন্যই
৭. যদি কোন প্রশ্নে এমন হয় তুমি নিশ্চিত যে ২টি অপশন ভুল,অন্য দু’টি ঠিক; এরকম অবস্থায় আমি মনে করি প্রশ্নটি দাগিয়ে আসাটাই শ্রেয়
এক্ষেত্রে, পড়ায় মন যখন বসছে না, তখন উল্লিখিত অনুপ্রেরণামূলক ভিডিওগুলো দেখলে বেশ কাজে আসতে পারে এবং পড়াশোনার প্রতি মন ফিরে আসতে পারে-
পড়াশোনা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য, সরাসরি চলে যেতে পার ১০ মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইটে: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন