মানবদেহ মানুষের জন্য একটি খোলস বিশেষ। এটি এমন একটি খোলসসরূপ, যার অভ্যন্তরীণ বেশীরভাগ জিনিসই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের অনেকের কাছেই এই বিষয়গুলো অজানা। যার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে মানবদেহের তন্ত্র। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, তন্ত্রের কাজ কি? মনে করো, একটা অফিসে শত শত কর্মচারী কাজ করে। কিন্তু তাদের কাজের সার্বিক দেখাশোনা ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন একজন ম্যানেজার। ঠিক তেমনি আমাদের দেহের সকল কাজ সার্বিকভাবে পরিচালনা করে এসব তন্ত্র।
মানবদেহে সর্বমোট ১১টি তন্ত্র রয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তন্ত্রগুলো হলো,
১. পরিপাকতন্ত্র (Digestive System)
মানবদেহে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তু এনজাইমের সহায়তায় ভেঙ্গে জীবদেহের বিপাকক্রিয়ায় ব্যবহারযোগ্য সরল, দ্রবণীয় ও শোষণযোগ্য অবস্থায় পরিবর্তিত হয় তাকে পরিপাক (Digestion) বলে। যে তন্ত্রের মাধ্যমে পরিপাক ও শোষণ ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে পরিপাকতন্ত্র বা পৌষ্টিক তন্ত্র (Digestive System) বলে। মানবদেহের পৌষ্টিকতন্ত্র পৌষ্টিকনালি ও সংশ্লিষ্ট পৌষ্টিক গ্রন্থি নিয়ে গঠিত।
কোর্সটিতে যা যা থাকছে
মেডিকেল এডমিশন কোর্স ২০২২
পরিপাকতন্ত্রের কাজের ধাপগুলো নিম্নরূপ:
মুখগহ্বরে খাদ্য পরিপাক
আমরা সামান্য খাবার মুখে দেয়ার পর থেকেই মূলত এই তন্ত্রের কাজ শুরু হয়ে যায়। মুখের ভেতরের খাবারের অংশকে দাঁতের সাহায্যে টুকরো করা, লালাগ্রন্থি থেকে রস ক্ষরণ ও মিশ্রিত হওয়া, খাদ্যকে খাদ্যমন্ডে পরিণত করার মত পরিপাকের কাজগুলো মুখের ভেতরেই সম্পন্ন করে থাকে পরিপাকতন্ত্র।
পাকস্থলীতে খাদ্য পরিপাক
মুখ থেকে গলঃধকৃত খাবারগুলো পাকস্থলীতে এসে প্রায় ২-৬ ঘন্টা জুড়ে অবস্থান করে। এসময় শুরু হয় পাকস্থলীতে খাদ্য পরিপাকের কাজ। পাকস্থলী থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) ক্ষরণ হয়, যা খাদ্যের সকল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে থাকে। পাকস্থলীতে সকল খাদ্য এক ধরণের পেস্টস্বরূপ আকার ধারণ করে। খাদ্যের এই অবস্থা কাইম বা মন্ড নামে পরিচিত। পাকস্থলীতে রাসায়নিক পরিপাকের অংশ হিসেবে পরিপাকতন্ত্র কতৃক এক ধরণের রস নিঃসরণ করা হয়, যার নাম পাকরস। পাকরসে মিশ্রিত খাদ্য পরবর্তীতে দেহের বিভিন্ন অংশ যেমন যকৃত, ডিওডেনাম, অগ্ন্যাশয় এ পৌঁছায়।
এভাবেই পরিপাকতন্ত্র বা পৌষ্টিকতন্ত্র খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
২. রক্ত সংবহনতন্ত্র ( Blood Circulatory System)
মানবদেহের পুরো অংশজুড়েই চলমান থাকে রক্তকণিকাগুলো। হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবেশ, তারপর সেই রক্ত প্রক্রিয়াকরণ এবং সবশেষে সেই হৃদপিণ্ড থেকেই পুনরায় দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ- পুরো কাজটি পরিচালনা করে থাকে দেহের যেই তন্ত্র, তার নাম রক্ত সংবহনতন্ত্র (Blood Circulatory System)।
মানবদেহের রক্তসংবহনতন্ত্র দুই ধরণের রক্তচক্র – সিস্টেমিক বা তন্ত্রীয় সংবহন ও পালমোনারি বা ফুসফুসীয় সংবহন। সিস্টেমিক সংবহনে হৃদপিণ্ডের বাম নিলয় থেকে বিভিন্ন রক্ত বাহিকার মাধ্যমে অঙ্গগুলোতে পৌঁছায়, একইসাথে অঙ্গগুলো থেকে রক্ত ডান অলিন্দে ফিরে আসে। হৃদপিণ্ড প্রসারণের সময় রক্ত সংবহনতন্ত্র দেহের রক্ত হৃদপিণ্ডের দিকে ধাবিত করে এবং হৃদপিণ্ডের সংকোচন ঘটলে রক্ত দেহের বিভিন্ন টিস্যু ও অঙ্গের ধমনিকা ও জালিকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জালিকা থেকে রক্ত পুনরায় সংগৃহীত হয়ে উপশিরার মাধ্যমে শিরায় প্রবেশ করে।
পালমোনারি বা ফুসফুসীয় রক্ত সংবহনতন্ত্র মূলত দেহের রক্ত ফুসফুসের কাজে ব্যবহারের জন্য একটি মাধ্যম হিসেবে আচরণ করে। ডান ভেন্ট্রিকল থেকে রক্ত ফুসফুসে এবং সেখান থেকে বাম অ্যাট্রিয়ামে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে রক্ত সংবহনের যে সংক্ষিপ্ত পরিক্রম সম্পন্ন হয়, তাকে পালমোনারি সংবহন বলে। ফুসফুসের মধ্যে গ্যাসের বিনিময় ঘটে। রক্ত থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড অপসারিত হয় এবং সেই সঙ্গে অক্সিজেন যুক্ত হয়। পালমোনারি সংবহন শেষে হৃদপিণ্ডে আনীত রক্ত পুনরায় সিস্টেমের সংবহনের মাধ্যমে সারা দেহে প্রেরিত হয়।
রক্তের বিভিন্ন কণিকা যেমন- লোহিত রক্তকণিকা বা এরিথ্রোসাইট, শ্বেত রক্তকণিকা বা লিউকোসাইট, অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট ইত্যাদি সঞ্চালনের মূল দায়ভারও থাকে রক্তসংবহন তন্ত্রের উপর।,
৩. শ্বসনতন্ত্র (Respiratory System)
সরল প্রাণীরা পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং তা সরাসরি দেহকোষে বা কোষ থেকে কোষান্তরে পৌঁছায় এবং বিপরীত পথে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। মানুষের মত উন্নত প্রাণীদের গ্যাস বিনিময়ের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট শ্বসন অঙ্গ। মানবদেহের প্রধান শ্বসন অঙ্গ একজোড়া ফুসফুস। শ্বসন পথ দিয়ে ফুসফুসে বায়ু প্রবেশ করে এবং একই সাথে বহির্গত হয়। বহিঃনাসারন্ধ্র থেকে শ্বসন পথের শুরু। এসকল নিয়েই মানবদেহের শ্বসনতন্ত্র (Respiratory System) গঠিত।
শ্বসনতন্ত্র ব্যবস্থা ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করিয়ে সমস্ত দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে। শ্বসনতন্ত্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সম্মুখ নাসারন্ধ্র, নাসাগহ্বর, স্বরযন্ত্র, শ্বাসনালী বা ট্রাকিয়া, ব্রঙ্কাস, ফুসফুস ও অ্যালভিওলাস।
সম্মুখ নাসারন্ধ্র: সর্বদা খোলা থাকে এবং এর মধ্যদিয়ে বায়ু দেহে প্রবেশ করে।
নাসাগহ্বর: এটি নাসারন্ধ্র থেকে আগত বায়ুকে কিছুটা সিক্ত করে। সিলিয়াযুক্ত ও মিউকাস কোষগুলো ধুলাবালি এবং রোগজীবাণু আটকে দেয়। নাসাগহ্বরের অলফ্যাক্টর কোষ ঘ্রাণ উদ্দীপনা গ্রহণে সহায়তা করে।
স্বরযন্ত্র: ছেলের গলার দিকে একটু উঁচু অংশ দেখা। এই উঁচু অংশটি মূলত শ্বসনতন্ত্রের স্বরযন্ত্রের একটি অংশ, যার নাম অ্যাডামস অ্যাপল (Adam’s Apple) । স্বরযন্ত্র কম্পিত হয়ে শব্দ উৎপন্ন করে।
শ্বাসনালি: ট্রাকিয়া নামেও পরিচিত এই শ্বাসনালি ফাঁপা নলের ন্যায়। ট্রাকিয়া নাকের বিভিন্ন অংশের সাথে ফুসফুসের যোগাযোগ স্থাপন করে।
ফুসফুস: মানবদেহের শ্বসনতন্ত্রের মূল ও সর্ববৃহৎ অঙ্গ ফুসফুস। ফুসফুসে অক্সিজেনযুক্ত বায়ু প্রবেশ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিপূর্ণ বায়ু নির্গত হয়।
অ্যালভিওলাস: ছোট ছোট অ্যালভিওলাই গঠন করে একটি অ্যালভিওলাস। শ্বসনতন্ত্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্র অংশ এই অ্যালভিওলাই।
৪. রেচনতন্ত্র (Excretory System)
প্রাণিকোষে বিপাকের ফলে সৃষ্ট নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্যপদার্থ রেচন প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে নিষ্কাশিত হয়, যা অত্যন্ত দ্রুত ও নিয়মিত একটি প্রক্রিয়া। রেচন পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য মানবদেহে সুনির্দিষ্ট অঙ্গ তন্ত্র রয়েছে যা রেচনতন্ত্র (Excretory System) নামে পরিচিত। রেচনতন্ত্রের সাহায্যেই ৮০ শতাংশ রেচন পদার্থ মানবদেহ থেকে বাহিরে চলে যায়। বাকি ১০ ভাগ রেচন পদার্থ সরাসরি নিষ্কাশিত না হয়ে বিভিন্ন ক্রিয়াকর্মে উৎপন্ন ও বিভিন্ন অঙ্গের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়। এগুলো সহকারী রেচন অঙ্গ হিসেবে পরিচিত। মানুষের রেচনতন্ত্রের প্রধান রেচন অঙ্গ হলো বৃক্ক (Kidney) ।
আরো পড়ুন: মেধার চর্চায় মেডিটেশন
রেচনতন্ত্রের কাজগুলো হচ্ছে-
- রক্ত থেকে প্রোটিন বিপাকে সৃষ্ট নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা।
- দেহে এবং রক্তে পানির ভারসাম্য রক্ষা করা
- রক্তে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফেট এবং ক্লোরাইডসহ বিভিন্ন লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা
- রক্তে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করা
- হরমোন ও এনজাইম নিঃসরণ করা
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা
রেচনতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত অঙ্গগুলো হচ্ছে বৃক্ক, ইউরেটর, রেনাল ধমনি ও শিরা, মুত্রথলি ও মূত্রনালি । বৃক্কের অসংখ্য নেফ্রন একদিকে রক্ত পরিশোধনের কাজ করে, অন্যদিকে ইউরেটর রক্তের সকল দূষিত পদার্থ মূত্রথলির দিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া রক্তে পানি ও আয়নসাম্য রক্ষার কাজও করে থাকে মানবদেহের রেচন সিস্টেম, চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম অসমোরেগুলেশন।
৫. কঙ্কাল ও পেশিতন্ত্র (Skeletal and Muscle System)
মানবদেহে এক ধরণের পদার্থ থাকে, যাকে বলা হয় ভ্রূণীয় মেসোডার্ম। এই ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উৎপন্ন হয় বিশেষ ধরণের এক টিস্যু, মূলত এক ধরণের যোজক টিস্যু। এই যোজক টিস্যুর রূপান্তরিত রূপ হচ্ছে অস্থি ও তরুণাস্থি (Cartilage) । অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে গঠিক যে অঙ্গতন্ত্র দেহের কাঠামো নির্ধারণ করে, অন্তঃস্থ নরম অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে, দেহের যাবতীয় ওজন বহন করে এবং পেশি সংযোজনে সহায়তা করে, তার নামই হচ্ছে কঙ্কাল ও পেশিতন্ত্র (Skeletal and Muscle System) ।
মানব কঙ্কালতন্ত্র ২ ভাগে বিভক্ত- অক্ষীয় ও উপাঙ্গীয়। অক্ষীয় কঙ্কালতন্ত্রে মোট ৮০টি অস্থি রয়েছে এবং উপাঙ্গীয়তে রয়েছে ১২৬টি, সর্বমোট ২০৬টি অস্থি নিয়ে মানবদেহের কঙ্কালতন্ত্র গঠিত। কঙ্কালতন্ত্রের সর্ববৃহৎ অস্থি হচ্ছে পায়ের ফিমার অস্থি এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্র হচ্ছে স্টেপিস, যা দেহের কানের দিকে অবস্থিত।
কঙ্কালতন্ত্রের কাজ:
- দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ রক্ষা করা
- হাড়ের সাহায্য বিভিন্ন ধরণের ফ্যাট সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে নিঃসরণ
- বিভিন্ন ধরণের রক্তকোষ উৎপন্ন করা
- খনিজ পদার্থ জমাকরণ
- হাত-পা এর মত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো গঠনে সাহায্য করা
- সম্পূর্ণ দেহের অবলম্বন হিসেবে কাজ করা
পেশিতন্ত্রে ৩ ধরণের পেশি রয়েছে- স্কেলেটাল পেশি বা ঐচ্ছিক পেশি, হৃদপেশি বা কার্ডিয়াক পেশি ও অনৈচ্ছিক পেশি। পেশিতন্ত্রের কাজ হচ্ছে,
- বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো চালনায় সাহায্য করা
- দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সমন্বয় এর স্থানের জোড়া অটুট রাখা
- দেহের তাপমাত্রা কমে গেলে অনেকসময় পেশিতন্ত্রের ঐচ্ছিক পেশিগুলো দেহের ভেতরে তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে
৬. স্নায়ুতন্ত্র (Nervous System)
সামান্য চিমটি থেকে শুরু করে হাজারো উদ্দীপনায় সাড়া দেয়া আমাদের মানবদেহের খুব সাধারণ একটা মৌলিক চরিত্র। প্রাণী বিবর্তনের সাথে সাথে বহুকোষী জীবের আবির্ভাব ঘটে। এসব বহুকোষী জীবের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে ছড়িয়ে থাকা অগণিত কোষের বৈচিত্র্যময় ক্রিয়ালাপের সাথে যোগসূত্র রচনা করা এবং পরিবেশের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সারাক্ষণ সক্রিয় থাকে মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্র (Nervous System) । স্নায়ুতন্ত্র হচ্ছে নিউরন সমন্বিত তন্ত্র যার সাহায্যে দেহ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে বিভিন্ন দৈহিক ও শরীরসম্বন্ধীয় কাজের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে দেহকে পরিচালনা করে।
স্নায়ুতন্ত্র ২ প্রকার- মূল স্নায়ুতন্ত্র (Central Nervous System) এবং পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র (Peripheral Nervous System) । মানবদেহের মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ড মূল স্নায়ুতন্ত্রের অংশবিশেষ। মূল স্নায়ুতন্ত্রের কাজ হচ্ছে শরীরের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে উপস্থিত থাকা এবং সকল অন্তর্গামী ও বহির্গামী বার্তা প্রক্রিয়াজাত করা। পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ঐসকল শিরা-উপশিরা, যা মূল স্নায়ুতন্ত্রে বার্তা বহন করে এবং পুনরায় মূল স্নায়ুতন্ত্র থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে।
৭. ত্বক (Integumentary System)
সবশেষে, মানবদেহের সর্ববৃহৎ তন্ত্র হচ্ছে ত্বকতন্ত্র (Integumentary System) । এই তন্ত্র আমাদের সম্পূর্ণ দেহকে ত্বকের আবরণের সাহায্যে আবৃত রাখে। এই তন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত উপাদানগুলো হলো- ত্বক, চুল, দেহের লোম, নখ, দাঁড়ি। ত্বকতন্ত্র যেভাবে আমাদের দেহে প্রভাব বিস্তার করে তা নিম্নরূপ-
- দেহের বাহিরের ধুলাবালি, পানি, বিষাক্ত দ্রব্য দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশে বাঁধা দেয়
- দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
- দেহের অভ্যন্তরের কোষ, টিস্যু ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বাহিরের আঘাত থেকে রক্ষা করে ও রোগ প্রতিরোধ করে
- পানিস্বল্পতা থেকে দেহকে রক্ষা করে
- ঘামের মাধ্যমে দেহের বর্জ্য পদার্থ নিঃসরণে সাহায্য করে
- পানি ও চর্বি সংরক্ষন করে
- বিভিন্ন উদ্দীপনা বহন করে থাকে
নিশ্চয়ই এবার ধরতে পেরেছো মানবদেহের সকল তন্ত্রের মন্ত্র !
Source:
- https://www.khanacademy.org/science/high-school-biology/hs-human-body-systems
- https://study.com/academy/lesson/what-are-the-organ-systems-of-the-human-body.html
- http://sciencenetlinks.com/student-teacher-sheets/integumentary-system/
- https://www.ptdirect.com/training-design/anatomy-and-physiology/the-muscular-system-2013-an-overview
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- English Grammar Crash Course by Sakib Bin Rashid
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন