সাফল্য বনাম ব্যর্থতা: ব্যবধান গড়বে যে ১০টি বৈশিষ্ট্য

July 2, 2017 ...

পুরোটা পড়ার সময় নেই ? ব্লগটি একবার শুনে নাও !

বৈচিত্র্যের জন্যই পৃথিবী এত সুন্দর। শীতের জমাট কুয়াশা আছে বলেই ধূসর মেঘ কেটে রূপালী আকাশে সূর্যের ঝলমলে হাসি আমাদের প্রাণ ছুঁয়ে যায়। কিন্তু একটি ক্ষেত্রে এই বৈচিত্র্য আমাদের কারো কাম্য নয়- আমরা কেউ ব্যর্থ হতে চাই না! পৃথিবীতে সাড়ে সাতশো কোটির বেশি মানুষ আমরা সবাই চাই সফল হতে।

কিন্তু চাওয়া এবং পাওয়ার মাঝে একটা পাহাড়সম দেয়াল আছে, সেই দেয়াল পেরিয়ে বিজয়নিশান উড়িয়ে দিতে পারে এমন মানুষ কমই আছে। সেজন্যই ক্লাসে প্রথম হয় একজনই, বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় একটি দলই, পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছাতে পারে খুব অল্প কিছু মানুষ। বাকিদের সারাটি জীবন কেটে যায় সাফল্যের মরীচিকার সন্ধানে, নাগালের বাইরে থেকে যায় সোনার হরিণ।


আরও পড়ুন: জেনে নিন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ১০০+ কিবোর্ড শর্টকাট!


কেউ বলে সবই ভাগ্যের খেলা, কেউ দোহাই দেয় মেধা, সুযোগ, সম্ভাবনার। আসলেই কি তাই? একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবে একজন সফল আর ব্যর্থ মানুষের চিন্তা-ভাবনা, অভ্যাস, কাজের ধরণে ছোট ছোট অনেকগুলো পার্থক্য রয়েছে। দিনের শেষে এই ক্ষুদ্র পার্থক্যগুলোই গড়ে দেয় যত ব্যবধান। চলো দেখে নেওয়া যাক এমনই দশটি বৈশিষ্ট্য- যা ব্যবধান গড়ে দেয় সাফল্য এবং ব্যর্থতার মাঝে।

success, failure

১. সমালোচনাঃ বরণ করে নেওয়া vs রেগে যাওয়া

ফেসবুকে অনেকে আছে ভুলভাল ইংরেজি লেখে আমার সাহস হয় না তার ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার, কারণ আমি জানি সেটি জানালে মানুষটি ভীষণ রেগে যাবে! শত শত মানুষ তার সেই ভুলে ভরা পোস্টটি দেখেছে, কেউ ধরিয়ে দিচ্ছে না ভুলগুলো এরচেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে?

তাই কেউ আমার প্রশংসা করলে যতটুকু খুশি হই, তারচেয়ে একশগুণ বেশি আনন্দ পাই যখন কেউ গঠনমূলক সমালোচনা করে। নিজের দোষত্রুটিগুলো নিজে নিজে বের করা কঠিন কাজ, অন্য কেউ এসে সেই কাজটি করে দিচ্ছে, আমি সুযোগ পাচ্ছি নিজেকে আরো পরিণত করার- এরচেয়ে চমৎকার আর কী হতে পারে?

২. ক্ষমা vs ক্ষোভ

কেউ তোমাকে কষ্ট দিলে তাকে তুমি ক্ষমা করে দিতে শেখো, তাতে তোমারই কল্যাণ হবে। ভেবে দেখো, আমাদের জীবন কতো ছোট! একটা কচ্ছপ পর্যন্ত কয়েকশ বছর বাঁচতে পারে। তাই এই ছোট্ট জীবনের একটি দিনও কারো উপর রাগ পুষে নষ্ট করার মানে হয়না।

অন্তরের শান্তি জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, পৃথিবীর কারো এতটা গুরুত্ব থাকতে পারে না তোমার সেই শান্তি নষ্ট করে দেওয়ার। তাই সফল হতে হলে ক্ষমা করতে জানতে হয়, ক্ষোভ পুষে রেখে কেবল নিজেরই অন্তরে ক্ষত বাড়ে।

৩. বর্তমানে বাঁচা vs অতীতে পড়ে থাকা

একদল মানুষ রয়েছে একটা পরীক্ষা শেষ হলে সাথে সাথে সেই পরীক্ষা নিয়ে সবরকম চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পরের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। আরেকদল দেখবে বসে বসে আগের পরীক্ষায় কয়টা প্রশ্ন মিলেছে, কারটা ভাল হয়েছে, নিজেরটা কেন খারাপ হয়েছে এসব নিয়ে মাথা খারাপ করে ফেলবে! এরচেয়ে বড় বোকামি আর কিছু হতে পারেনা।

পরীক্ষা শেষ মানে শেষ, এটির নিয়ন্ত্রণ আর তোমার হাতে নেই। যেই সময়টুকু তুমি দুশ্চিন্তা আর মন খারাপ করে নষ্ট করছো এই সময়টুকু তুমি পরেরবারের জন্য ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে কাজে লাগাতে পারতে। তাই বাঁচতে শেখো বর্তমানে, ভুলে যাও গতকাল কী হয়েছিল।inspirational, success tips

৪. দায় নেওয়া vs দায় চাপানো

জীবনটা কিন্তু তোমারই, এ জীবন কীভাবে সাজিয়ে তুলবে সে সিদ্ধান্ত একান্তই তোমার। আমরা অনেকসময় মানুষের কথায় প্রভাবিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেই এবং পরে আফসোস করা ছাড়া কিছু করার থাকে না।

নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবচেয়ে ভাল দিকটি কী জানো? তোমার সিদ্ধান্ত যদি ভুলও হয় তবু কোন আক্ষেপ থাকবে না, কারণ তুমি মনের ইচ্ছাটিকেই অনুসরণ করেছ। তাই সবসময় কাজের দায়ভার নিজের কাঁধে নিতে শেখো, অন্যদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে কখনো জীবনে এগোনো যায়না।

Personal Finance Course

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়ার জন্য বিনিয়োগ করার গাইডলাইন।
  • স্টক মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড, DPS, FDR, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের টিপস এন্ড ট্রিক্স।
  • রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান ও ইমার্জেন্সি ফান্ড গঠন করার উপায়
  •  

    ৫. শেয়ার করা vs লুকিয়ে রাখা

    একটা সময় ছিল যখন কেবল স্যারের কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের কাছে সুন্দর নোট থাকতো, তারাই পরীক্ষায় ভাল করতো। যেই ছেলেটির প্রাইভেট পড়ার সামর্থ্য নেই তাকে কেউ সাহায্য করতো না। এখন টেন মিনিট স্কুল আসার ফলে একটি মজার ব্যাপার হয়েছে- সারা বাংলাদেশের হাজার হাজার ছেলেমেয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন নোট, টিপস, ফর্মুলা, মনে রাখার কৌশল ইত্যাদি শেয়ার করছে! 

    হয়তো অমুক কলেজের স্যার অঙ্ক খুব সহজ করে বুঝান এখন টেন মিনিট স্কুলের প্ল্যাটফর্মটির কারণে সেটি সারা দেশের শিক্ষার্থীরা জানার সুযোগ পাচ্ছে। সফল হতে হলে সবাইকে সাহায্য করার এই মনোভাব থাকতে হয়। পৃথিবীতে জ্ঞান এবং ভালবাসা এ দুটি জিনিস ছড়িয়ে দিলে কখনো কমে না, বরং বহুগুণে বেড়ে যায়!

    কথায় রয়েছে, “If you want to go fast, go alone. But if you want to go far, go together.” তাই সফল যদি হতে চাও, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও সবার কাছে। সিংহ ও ইঁদুরের গল্পটি মনে আছে তো?

    ৬. উৎসাহ vs পরিহাস

    কথায় রয়েছে, “Great minds discuss ideas, average minds discuss events, small minds discuss people

    তোমার আশেপাশে অনেক মানুষ থাকবে যারা সবসময় অন্যদের নিয়ে হাসাহাসি, ঠাট্টা বিদ্রূপ করে বেড়াবে। এই মানুষগুলো নিজেরা জীবনে কিছু করতে পারেনি, তাই কেউ এগিয়ে যাচ্ছে দেখলে প্রাণপণে টেনে ধরে নামিয়ে দিতে চেষ্টা করে যেন কেউ উন্নতি করতে না পারে!

    প্রতিটি মানুষের কিছু না কিছু গুণ থাকে, সবসময় চেষ্টা করবে সেটিতে উৎসাহ দেওয়ার, অনুপ্রেরণা যোগানোর। তোমার একটু উৎসাহ একজন মানুষের জীবন একদম পাল্টে দিতে পারে।

    ৭. শিখতে ইচ্ছুক vs সবজান্তা

    তরুণ বয়সে মানুষ মনে করে, “বাবা-মা সেকেলে চিন্তা-চেতনার মানুষ, তারা আর কী জানে?” সেই মানুষটিই পরিণত বয়সে গিয়ে উপলব্ধি করে, “ইশ! তখন যদি বাবা-মা’র কথা শুনতাম!”

    একটি জিনিস মেনে নাও, তুমি পৃথিবীর সবকিছু জানো না। সবার থেকেই তোমার কিছু শেখার আছে, এই জিনিসটি যখন অনুভব করবে দেখবে জীবন অনেক বদলে যাবে। অনেকে পত্রিকার হকার, ভিক্ষুক এই পেশাগুলোকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে, অথচ এদের থেকেই জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান শিক্ষাগুলো পাওয়ার আছে।

    ঝড়-বৃষ্টি-বন্যা-শীত কিছুই হকারকে দমিয়ে রাখতে পারে না, সব দুর্যোগ উপেক্ষা করে প্রতিদিন ঠিক ঠিক ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয় সে পত্রিকা। ভিক্ষুকের কাজ ভিক্ষা চাওয়া, হাজার হাজার লোকের ঘৃণা-অপমান-তাচ্ছিল্য-লাঞ্ছনা অগ্রাহ্য করে একমনে তার কাজ করে যায় সে। নিজের কাজে এমনই একনিষ্ঠ, এমনই একাগ্র হওয়ার শিক্ষা এদের চেয়ে ভাল আর কে দিতে পারে?

    সফল হতে চাইলে সবখান থেকেই শিখতে জানতে হয়। The very moment you’ll feel like you know everything, that’s when you are finished.

    ঘরে বসে Freelancing

    কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত গাইডলাইন।
  • আন্তজার্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (যেমন: Upwork, Fiverr) এ নিজের প্রোফাইল তৈরি এবং কাজ পাবার উপায়।
  •  

    ৮. বই পড়া vs টিভি দেখা

    টিভিতে রাতজেগে খেলা দেখছো, টিভি সিরিজ পুরো সিজন এক বসায় দেখে শেষ করছো, ফেসবুক-ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও দেখছো প্রতিদিন। একটা জিনিস খেয়াল করেছ- এসবকিছুই কিন্তু অন্য কারো তৈরি করা content, তুমি নিজে কি কিছু তৈরি করছো? তুমি কি আদৌ কিছু শিখছো এসব থেকে? সফল মানুষরা প্রত্যেকটি কাজ এমনভাবে করে যেন সেখান থেকে তাদের কিছু পাওয়ার থাকে।

    তুমি স্রেফ বেড়াতে যাচ্ছো কক্সবাজারে, তোমার পরিচিত সফল মানুষটিও যাচ্ছে সেখানে- শুটিং করতে। তুমি স্টেডিয়ামে গ্যালারি মাতাচ্ছো খেলার সমর্থনে, সেই মানুষটিও যাচ্ছে- অমুক কোম্পানির Brand ambassador হিসেবে। তুমি যখন টিভি দেখে সময় নষ্ট করছো, সেই মানুষটি বই পড়ছে, শিখছে, নিজেকে করে তুলছে আরো পরিণত। পার্থক্যটা কোথায় তৈরি হচ্ছে বুঝতে পারছো?

    ৯. আনন্দ: পরিশ্রমে vs বিশ্রামে

    পড়ালেখা করতে কি তোমার ভাল লাগে? আমার একটুও ভাল লাগে না! কিন্তু একাডেমিক পড়ালেখার বাইরে এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলোর পেছনে আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজে লেগে থাকতে পারি এবং আমি জানি এগুলো আমাকে জীবনে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করবে। সাকিব আল হাসান পড়ালেখায় ভাল ছিলেন কিনা সেটা কেউ দেখতে যাবে না, তাঁর ধ্যানজ্ঞান ক্রিকেট জুড়ে সেটাতে তিনি বিশ্বসেরা।

    সফল মানুষদের একটা কিছু ধ্যানজ্ঞান থাকে যেটার পিছে তারা নাওয়াখাওয়া ভুলে লেগে থাকতে পারেন। ব্যর্থ মানুষদের জীবন কাটে নিজের কাজকে ঘৃণা করে। তাদের না আছে কোন দক্ষতা, না আছে কোন গঠনমূলক কাজের প্রতি ভালবাসা। তাদের ধ্যানজ্ঞান থাকে রাজ্যের আনপ্রোডাক্টিভ সব কাজে- খেলা দেখা, সিরিজ দেখা, অপ্রয়োজনীয়ভাবে ঘুমানো, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া, আড্ডা দেওয়া, ফেসবুকিং করা এসব।

    পরিশ্রম না করে তুমি জীবনে কোনদিন বড় হতে পারবে না। আর একটি কাজ করে যদি আনন্দ না পাও, তবে এরচেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু হয়না। তাই ভাল লাগার জায়গাটি খুঁজে নাও, যেখানে দিনরাত এক করে কাজ করতেও কোন আপত্তি থাকবে না তোমার।

    সাফল্য

    ১০. Goal vs গণ্ডগোল

    জীবনটা একটা অভিযান, পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার মতো। তোমার প্রতিদিনের কাজগুলো ঠিক করে দেবে তুমি কি চূড়ায় ওঠার পথে একধাপ এগিয়ে গেলে নাকি আরো পিছিয়ে পড়লে। ব্যর্থ মানুষদের জীবনের একটি বড় অংশ কেটে যায় অন্যদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে। প্রতিদিন আড্ডা দিতে হবে, সোশাল মিডিয়ায় তৎপর হতে হবে, হ্যাংআউটে যেতে হবে- কারণ তা নাহলে বন্ধুমহলে “cool” হওয়া যায় না! এই “cool” সাজার চেষ্টাটি যে কতোটা বোকামি সেটা কি বুঝতে পারছো?

    যাদেরকে impress করার চেষ্টা করছো প্রাণপণে, এই মানুষগুলো পাঁচ বছর পর তোমার জীবনে থাকবে না। ক্লাসের কোণায় বসে বই পড়ুয়া চুপচাপ যেই ছেলেটিকে নিয়ে হাসাহাসি করছো, দশ বছর পর তোমাকে সেই ছেলেটির কোম্পানিতে চাকরি করতে হতে পারে। কারণ সেই ছেলেটি বন্ধুবান্ধব, খেলাধুলা এসবের পিছে অনর্থক মেতে নেই, তার সব ধ্যানজ্ঞান জীবনে বড় হওয়ার, নিজের লক্ষ্যকে ছোঁয়ার। 

    সফল মানুষদের সবসময় এমন সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য থাকে, সাধারণ মানুষের কাছে তা অনেকসময় পাগলামি মনে হয়। তাই ইতিহাস পড়লে দেখবে এই পাগলাটে মানুষগুলোই পৃথিবী বদলে দিয়েছে, যুগের সাথে ‘তাল মিলিয়ে চলা’ লক্ষ্যহীন মানুষগুলোর না আছে কোন অর্জন, না কোন অবদান। কেউ মনে রাখেনি তাদের কথা।

    If you want to be better than everybody, you have to make sure you’re working harder than anybody else


    ১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/

    ১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com


    আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:


    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন