এস.এস.সি’র বাংলা ২য় পত্রের টুকিটাকি কৌশল!

July 24, 2024 ...

পুরোটা পড়ার সময় নেই ? ব্লগটি একবার শুনে নাও !

বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়াটা যতোটা না ভাগ্যের খেলা, তার চেয়েও বেশি তা বুদ্ধির খেলা। ৩০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি পুরোটাই বুঝে বুঝে বই পড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কিন্তু বাকি ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে খাতা ভরে লেখার পরও অনেকেই সত্তরে সত্তর উত্তর করে পরীক্ষার হল থেকে বের হতে পারে না।

বন্ধুরা হল থেকে বের হয়ে কুশলাদি বিনিময় না করে চট করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় আমাদের দিকে, “কীরে বন্ধু! রচনা কয় পৃষ্ঠা?” আমাদের, “আঠার পৃষ্ঠা লিখেছি” উত্তরের বিপরীতে যখন আমরা শুনি, “আমি বন্ধু ছাব্বিশ পৃষ্ঠা লিখেছি। আরো লেখা উচিত ছিল।” তখন আসলে আশেপাশে ডুব দেয়ার জন্য কূপ খোঁজা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আবার প্রতিবেদন, ভাব-সম্প্রসারণ এমনকি সারাংশও অনেকে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে সন্তুষ্টির জন্য। একটা বিষয় পরিষ্কার করে নেয়া প্রয়োজন সবার, সেটা হলো, নম্বরটা আসলে পৃষ্ঠার উপর মোটেও নির্ভর করে না।

ssc exam

তবে কীসের উপর নির্ভর করে? কী করা উচিত তবে?

SSC বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ 

অনুচ্ছেদ লিখন:

অনুচ্ছেদে নম্বর দেয়া হবে দশের উপর। কোন বিষয়ের উপর অনুচ্ছেদ লিখতে হবে, তা প্রশ্নে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। কিন্তু বিষয়টা পূর্ব-নির্ধারিত হবে না। সেক্ষেত্রে সাজেশন দিলেও আসলে লাভ নেই। কারণ, কোন অনুচ্ছেদ আসবে তা আঁচ করা একটু কঠিন। তবে সাম্প্রতিক বিশ্ব সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে এবং বাংলা ১ম পত্রের গল্পগুলো ভালোমত পড়া থাকলে, প্রশ্নের এই অংশ উত্তর করতে পরিশ্রম করার কোনো দরকার নেই বললেই হয়।

আর পৃষ্ঠার হিসাব? কোনো দরকার নেই। একেবারে খাতার উপরে সুন্দর করে প্রশ্নের নম্বর দেয়ার পর নীল কালির কলম ব্যবহার করে অনুচ্ছেদের নাম লিখবে। এক প্যারায় শুরু হবে এবং মাঝে নতুন কোন প্যারা থাকবে না। পুরো অনুচ্ছেদে তিনটা বিষয়ের উপর নম্বর দেয়া হবে;

১. তুমি বিষয়টা সম্পর্কে কতটুকু জানো,

২. ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা,

৩. প্রভাব।

আর যেহেতু এখানে দশের উপর নম্বর দেয়া হচ্ছে, অবশ্যই দুই-তিন লাইন লিখে ভালো নম্বর আশা করা যাবে না।

৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৫

ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:

  • লাইভ ক্লাস ও মাস্টার প্র্যাকটিস বুক
  • প্যারেন্টস মিটিং ও রিপোর্ট কার্ড
  • ক্লাসের পরই হোমওয়ার্ক সাবমিশন ও ডাউট সল্ভ
  • আনলিমিটেড পরীক্ষা
  •  

    সারাংশ / সারমর্ম:

    যদিও এখানেও অনুচ্ছেদের মতো দশের উপর নম্বর দেয়া হবে, তবু মনে রেখো, এখানে কিন্তু বলেই দেয়া আছে যে হয় সারমর্ম অথবা সারাংশ লিখতে হবে। শুরুতেই উল্লেখ করা দরকার যে সারমর্মে বিশেষ কোনো কবিতাংশ এবং সারাংশে কোনো গল্প বা প্রবন্ধের কিছু অংশ প্রশ্নে তুলে দেয়া হয়। দুই ক্ষেত্রেই উল্লেখিত অংশের মূল বক্তব্য লিখতে হয়।

    এখানে যে ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করে নম্বর দেয়া হয়-

    ১. তোমার লেখার ধরণ দেখে আঁচ করা হয় যে তুমি উদ্ধৃতাংশটুকু পড়ে দেখেছো কিনা।

    ২. মূল বক্তব্যটা আসলে কোথায়, তুমি ধরতে পেরেছো কিনা।

    ৩. একই বাক্য বারবার ব্যবহার করা থেকে বিরত ছিলে কিনা।

    ৪. লিখতে লিখতে অন্য প্রসঙ্গে চলে গিয়েছো কিনা।

    তাই, খুব ভালোমতো উদ্ধৃতাংশটুকু পড়ে দেখবে। অংশটুকুর বিষয়বস্তু আসলে কী, তা খুঁজে দেখবে। একই বাক্য বারবার ব্যবহার থেকে বিরত থেকো আর গাছ নিয়ে লিখতে গিয়ে দেশ নিয়ে লিখে ফেলো না যেন!


    আরও পড়ুন:

    বাংলার প্রাচীন জনপদ ও রাজনৈতিক অবস্থা: কেমন ছিল প্রাচীন বাংলা?

    মহাদেশ কী? মহাদেশ কয়টি ও কি কি?


    উদ্ধৃতাংশে বিশেষ কোনো উক্তি থাকলে অবশ্যই তা হুবহু উল্লেখ করবে না, ধারণাটা লিখবে শুধু। খাতার উপরে সুন্দর করে প্রশ্নের নম্বর দেয়ার পর নীল রংয়ের কলম দিয়ে বাক্যাংশের প্রথম কয়েকটা শব্দ লিখে পরে ‘…’ দিয়ে শেষ বাক্যাংশের দুইটা শব্দ লিখবে। এভাবে,

    কে তুমি………………………জন্মদাতারে চিনি।

    এরপর আলাদা প্যারায় সারাংশ বা সারমর্ম লিখে লেখা শুরু করবে মূল বক্তব্য। সর্বোচ্চ ছয় লাইনের মধ্যে লিখে শেষ করা শ্রেয়। একটা ভালো ব্যাপার হলো, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সুন্দর বই দেয়া হয়েছে, নাম রচনা সম্ভার। সেখানে বেশ কয়েকটা নমুনা সারাংশ/সারমর্ম দেয়া আছে। মূলত, সেগুলো পড়লেই হবে।

    হাতে সময় রেখে রচনা লিখবে!

    ঘরে বসে Spoken English

    দৈনন্দিন জীবনে Spoken English-এ পারদর্শী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন। ইংরেজি বলায় দক্ষ হয়ে উঠতে এনরোল করুন “ঘরে বসে Spoken English” কোর্সে।

     

    রচনা:

    রচনা লেখার ক্ষেত্রে খুব প্রাথমিক যে পরামর্শটা আমলে নেয়া উচিত, সেটা হলো, নীল আর কালো কালির কলমের যৌথ ব্যবহার আর যথেষ্ট সময় হাতে রাখা। অন্তত পঞ্চাশ মিনিট তো রাখা আবশ্যক। রচনার নাম আর প্রত্যেকটা বিষয়বস্তুর নাম নীল রং দিয়ে লিখলে পয়েন্টগুলো চোখে পড়ে আর পরীক্ষকের বিবেচনা করে নম্বর দিতে সুবিধা হয়।

    মনে রেখো, যে বিষয়ের উপরই রচনা লিখো না কেন, সেটা যাতে সাহিত্যগুণ বর্জিত না হয়। তাছাড়া-

    . প্রত্যেকটা প্যারায় বিষয়বস্তু নিয়ে যুক্তিসংগত আলোচনা করতে হবে।

    ২. প্রশ্ন দেখে রচনা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রবন্ধ রচনা নির্বাচন করা সবচেয়ে ভালো।

    ৩. বিশেষ কিছু প্যারায় কবিতার চরণ বা ব্যক্তিবিশেষের স্মরণীয় উক্তি উদ্ধরণ চিহ্নের মধ্যে রেখে লিখলে অতিরিক্ত নম্বর পাওয়ার জায়গা আসে। সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য নীল কালির কলমের ব্যবহার বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

    ৪. যেহেতু রচনায় ২০ নম্বরের উপর মান দেয়া হবে, অবশ্যই চেষ্টা করবে যাতে ভালো রকম বড় হয় তোমার রচনাটি। তবে অযৌক্তিক কথা লিখলে কিন্তু নম্বর পাওয়ার আশা করা ঠিক না। হাতে সময় রেখে রচনা লিখবে, যাতে রচনা লিখতে গিয়ে অন্য প্রশ্নগুলো উত্তর করার সময় না চলে যায়। রচনা সম্ভার বইয়ে বেশকিছু নমুনা রচনা দেয়া হয়েছে, যেগুলো পড়া যথেষ্ট। তবে আরেকটু ভালো লিখতে চাইলে আরো দুইটা বই ঘাটতে দোষ কী?

    বাংলা ২য় পত্র এর নির্মিতি অংশে নম্বর পাওয়াটা পরীক্ষার্থীর সৃজনশীলতা আর বিচক্ষণতার উপর নির্ভর করে। পরীক্ষার খাতার সুন্দর উপস্থাপনা আর পরিচ্ছন্নতার উপর অনেকটা নম্বর আসে আর যায়। তাই একটু কৌশল করে নির্মিতি অংশের ২.৩০ মিনিটের ব্যবহার করলে ভালো নম্বর প্রাপ্তি কোনো ব্যাপারই না!


    এইচএসসি ও এডমিশন পরীক্ষার্থীদের জন্য আমাদের কোর্সসমূহঃ

    বছরজুড়ে অভিজ্ঞ টিচারদের সাথে ক্লাস 6-10 এর পড়াশোনা ও পরীক্ষার জন্য সেরা প্রস্তুতি নিতে আজই ভিজিট করো আমাদের অনলাইন ব্যাচ ২০২৫ -এ:


    ১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট: www.10minuteschool.com

    আপনার কমেন্ট লিখুন