এসএসসি ২০২২
করোনার কারণে সবার আগেই বন্ধ হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপরে কয়েক দফায় স্কুল-কলেজ খুললেও, পরিস্থিতির কারণে আবারও সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ যার ফলে তোমাদের নিশ্চয়ই পড়াশোনায় একটা বিশাল বড়ো গ্যাপ পড়ে গিয়েছে? সামনেই এসএসসি পরীক্ষা, কীভাবে এত বড়ো সিলেবাস শেষ করবে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছ না? আচ্ছা চলো তাহলে, কীভাবে মাত্র ৫০ দিনে এসএসসির সিলেবাস শেষ করা যায় তা জানা যাক!
সময়ের পড়া সময়ে শেষ করা
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আমরা ঠিক করি, “আজকে তো পড়াশুনা করে পুরো বই শেষ করে ফেলব! এ প্লাস পাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না!” কিংবা, “আরেহ পরীক্ষা তো শর্ট সিলেবাসে হবে, এত প্যারা খাওয়ার কী আছে? আগের এক মাস ধুমায় পড়ে সব কভার দিব!”
সারাবছর আজ পড়ব, কাল পড়ব ভেবে সব পরীক্ষার আগের রাতের জন্য জমিয়ে রাখার শোচনীয় অভিজ্ঞতা কম-বেশি সবারই আছে। এমন ঝামেলার মুখোমুখি আমাদের হতে হয় আমরা সময়ের কাজ সময়ে করি না বলে। তুমি যদি একটা রুটিন করে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই শেষ করে ফেলো, তাহলে কিন্তু এই ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
রুটিন করে পড়া
“রেজাল্ট কার্ড পেয়ে আমি মনে মনে বলি, পরেরবার যেন আমি ভালো রেজাল্ট করি।” তোমাদেরও কি এমনটা মনে হয়? কিন্তু কীভাবে ভালো রেজাল্ট করব সেটা আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। মনে হয় এক বসাতেই পুরো বই শেষ করে ফেলি। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তাড়াহুড়ো করে পড়তে যেয়ে কোনো পড়াই ঠিকমতো হয়নি। তাই পড়তে বসার আগে রুটিন সেট করে নেওয়াটা খুবই কার্যকর। কোন দিন কী কী বিষয়ের কতটুকু অংশ ঠিক কতটা সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে তার একটা রুটিন তৈরি করে নাও। বুঝতে পারছ না কোন বিষয়ে কতটা সময় দেওয়া উচিত? তোমার দুশ্চিন্তা কাটাতে টেন মিনিট স্কুলের শিক্ষকরা তৈরি করেছেন দারুণ একটি রুটিন!
গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন চ্যাপ্টারকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে তুমি পুরো সিলেবাসটা শেষ করতে পারো মাত্র ৫০ দিনেই। চলো দেখে নেয়া যাক রুটিনটি-
এই রুটিনটিতে প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের পেছনে কতটুকু সময় দিতে হবে, তা খুব ভালোভাবে বর্ণনা করা আছে৷ তোমরা যদি এই রুটিনটা ফলো করো তাহলে খুব সহজেই মাত্র ৫০ দিনে তোমার পুরো সিলেবাস শেষ হয়ে যাবে!
গুরুত্ব অনুযায়ী বিষয় ভাগ
ধরা যাক, তোমার পছন্দের বিষয় হচ্ছে কেমিস্ট্রি। তুমি এটা খুব ভালো পারো আর তোমার কেমিস্ট্রি পড়তেও খুব ভালো লাগে৷ এতই ভালো লাগে যে প্রতিদিনই এই একটা বিষয়ই তুমি পড়ে যাচ্ছ। এদিকে ম্যাথ আর ফিজিক্স পড়ার কথা তোমার মনেই নেই৷ অথবা তুমি ঠিক করেছ সামনের এক সপ্তাহের মধ্যে তুমি তোমার ফিজিক্স সিলেবাস শেষ করবে। টানা তিন দিন ফিজিক্স পড়ার পর তোমার এই বিষয়ের প্রতি বিরক্তি চলে এসেছে৷ এক জিনিস কতক্ষণ পড়া যায়?
আসলে আমরা সবসময় শুনে এসেছি “স্টাডি হার্ড”। যেন বেশি বেশি পড়াশোনা করলেই ভাল রেজাল্ট হবে। আসলে বলে উচিত “স্টাডি স্মার্ট”। কারণ সঠিক নিয়মে পড়াশোনা এরচেয়ে অনেক বেশি ফলপ্রসূ। এসএসসির এই রুটিনটিতে প্রতিটি বিষয়ের অধ্যায় এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে পড়ার সময় একটুও একঘেয়েমি না লাগে৷ প্রথম দুইদিন ফিজিক্সের দুইটা চ্যাপ্টার শেষে পরের দুইদিন জেনারেল ম্যাথ ও হায়ার ম্যাথের একটি করে চ্যাপ্টার সেট করা। এভাবে ধাপে ধাপে কেমিস্ট্রি, বায়োলজিসহ অন্যান্য সব বিষয়ের রুটিন ঠিক করা আছে। এতে করে তোমরা একদমই দিশেহারা না হয়ে খুব ভালোমতো এসএসসির সিলেবাস শেষ করতে পারবে।
যদি তুমি চাও এই রুটিনটা অনুসরণ করে নিয়মিত অভিজ্ঞ শিক্ষকের ক্লাস করতে, টপিক অনুযায়ী নোটস পেতে এবং একই সাথে পরীক্ষা দিয়ে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করে দেখতে, তাহলে চলে যেতে পারো আমাদের এস এস সি শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কোর্সটিতে!
সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে এসএসসির বাধা জয় করার পথে তোমার জন্য শুভকামনা!
আপনার কমেন্ট লিখুন