পৃথিবীর সমুদ্রতলের বিস্ময়, স্থলভাগের বিস্ময়ের চাইতে কয়েক হাজারগুণ বেশি। সিইডিএএম- আন্তর্জাতিক, মহাসাগরীয় গবেষণা ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত আমেরিকায় অবস্থিত একটি ডুবুরিদের সংস্থা, যা প্রস্তুত করে পৃথিবীর সমুদ্রতলের সাতটি বিস্ময়ের একটি তালিকা।
১৯৮৯ সালে সমুদ্রতলে সংরক্ষণোপযুক্ত স্থানগুলির চিহ্নিতকরণের জন্য CEDAM ড. ইউজেনী ক্লার্কসহ কয়েকজন সমুদ্র–বিজ্ঞানীর একটি দল গঠন করে। তাদের গবেষণায় প্রকাশিত সাগরতীরের বিস্ময়–গুলোসহ বর্তমান পৃথিবীতে সাগরের তীরে এখনো যে রহস্যে ঘেরা স্থানগুলো অবিকৃত আছে সে জায়গাগুলো তুলে ধরলাম এই লেখায়।
উত্তর লোহিত সাগর
লোহিত সাগরকে ‘মৃত সাগর’ বা ‘The Sea of Death’ বলা হয়। সাগরের পশ্চিমে ইসরায়েল এবং পূর্বে জর্ডান অবস্থিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার (১,৩৭৮ ফিট) নিচে এটি পৃথিবীর নিম্নতম স্থলভূমি। এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০ ভাগ এবং এটি সমুদ্রের পানির চাইতে ৮.৬ গুণ বেশি লবণাক্ত।
প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে। ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়। রহস্যের আড়ালে আজো ঘেরা রয়েছে লোহিত সাগর। জলের নিচে অধিত্যক বড় প্রবালটির নাম দেয়া হয়েছে ‘গার্ডেন অফ ইডেন‘। বিস্ময় জাগানো ‘ট্রিগার ফিশ‘-এর কথা বলতে হয় আলাদাভাবে। তবে লোহিত সাগরের অন্যরকম আকর্ষণের তালিকায় রয়েছে ‘অ্যানিমন সিটি‘। এটি আসলে একটি প্রাচীরের মতো।
এখানে অসংখ্য সাদা ও সবুজ রঙের অ্যানিমন সমুদ্রের তলায় যেন নরম পারস্যদেশীয় গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। রেড সি‘র ‘ফিশারম্যান ব্যাংক‘ থেকে পানিতে ঝাঁপ দিলে অজস্র গুহা দেখা যায়। আর আছে কুঠারের মতো দেখতে খুদে পাখানাওয়ালা ‘গ্লাসি সুইপার‘ মাছ। এই মাছগুলো ডুবুরিদের চারদিকে অদ্ভুত এটা শোঁ–শোঁ আওয়াজ করে ঘুরপাক খায়। লোহিত সাগর ডুবুরিদের জন্য ‘স্বর্গ’ স্বরূপ। সাগরের স্বচ্ছ জলে দৃষ্টি যায় বহু দূর, প্রায় সারা জলের উষ্ণতা ডুবুরিদের মায়াবী হাতে ডাকে। কিন্তু সময়ের পালা বদলে এখন পরিবর্তন যোগ হয়েছে এই সাগরেও। বৈচিত্র্যের পাশাপাশি এক অপার রহস্যভাণ্ডার সাগরটি।
বেলিজ ব্যারিয়ার রিফ
পৃথিবীতে যে কয়টি গহ্বর এই পর্যন্ত আবিষ্কার হয়েছে তাঁর মধ্যে এটি সবচাইতে বড়। এটি পানির গভীরে অবস্থিত একটি গহ্বর। গোলাকৃতির গহ্বরটি চমৎকার নীল রঙের কারণে আলাদা আকর্ষণের তৈরি করে। এর আরেক নাম দ্যা গ্রেট ব্লু হোল। এটি বেলিজ উপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর চারপাশে রয়েছে বিশাল কোরাল দ্বীপ যা এই গাঢ় নীল পানিকে হালকা ফিরোজায় রূপান্তরিত গবেষকদের মধ্যে পৃথিবীতে যে কয়টি এমন গহ্বর রয়েছে এটি তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
গোলাকৃতির এই গহ্বরটির বিস্তৃতি ৩০০ কিলোমিটার এবং গভীরতা ১২৫ মিটার। এটি একটি উপহ্রদের প্রবাল প্রাচীরের মধ্যে অবস্থিত যার নাম লাইটহাউজ রিফ। ডুবে থাকা গহ্বরটি সৃষ্টি হয় সেই তুষার–যুগে। এটি ছিল একটি চুনাপাথরের গুহা আর তখন সমুদ্রের গভীরতা ছিল অনেক কম। যতই সমুদ্রপৃষ্ঠের গভীরতা বাড়তে থাকে ততই গুহাটি ডুবে যেতে থাকে পানির নিচে। আর একসময় পুরোপুরি তলিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় সমুদ্রের নিচে ‘ভার্টিক্যাল কেভ‘।
সমুদ্রে ডাইভ করে বেড়াতে ভালবাসেন যারা তারাই মূলত এখানে যান এবং উপভোগ করেন গুহাটির ভৌগলিক গঠন যা এখন পরিণত হয়েছে পানির নীচের গহ্বরে।
গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ
গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ এর মূল স্পেনীয় নাম Archipiélago de Colón। দ্বীপের আবিষ্কার যদিও ১৫৩৫ সালে হয়, তারও তিন শতাব্দী পর্যন্ত কেউ এর ধারে কাছে ঘেঁষেনি। কারণ, জায়গাগুলো ছিলো দুর্গম ও ভয়ঙ্কর। একমাত্র তিমি শিকারি ও জলদস্যুদেরই আশ্রয়স্থল ছিল। বর্তমানে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে, মূলত তার অনন্য সাধারণ জীব–বৈচিত্র্যের কারণে। গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস প্রদেশের অন্তর্গত এবং দেশটির জাতীয় পার্ক সিস্টেমের অংশ। দ্বীপপুঞ্জের মানুষদের প্রধান ভাষা স্প্যানিশ।
বিবর্তনবাদের জনক চার্লস ডারউইনের ‘অরিজিন অব স্পিসিস’ সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সবারই জানা। ১৮৬৯ সালের ২৪শে নভেম্বর প্রকাশিত হওয়া তাঁর এই বইয়ের বদৌলতে উনবিংশ শতাব্দীতে উদ্ভিদবিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের কেবল দৃষ্টিভঙ্গি–ই পাল্টায়নি, সমগ্র বিশ্বে তুলে দিয়েছিলো অস্তিত্বের মূল সন্ধানের ঝড়। সেই বইটির বহুলাংশে একটি দ্বীপের বর্ণনাই তিনি দিয়েছেন। দ্বীপপুঞ্জটিতে এমন অনেক প্রজাতির প্রাণীর বসবাস যা পৃথিবীর আর অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। বিষুবীয় অঞ্চলের উভয়পাশে দ্বীপগুলোর অবস্থান হবার কারণে সূর্যরশ্মি দ্বীপের সর্বত্র লম্বভাবে আপতিত হয়। যার ফলে দ্বীপের সবখানেই তীব্র গরম। পৃথিবীর মাঝে এই ধরণের স্থান খুবই কমই আছে। দ্বীপগুলো পাশাপাশি অবস্থিত হলেও প্রত্যেকটির প্রাণীর মধ্যে প্রচন্ডরকম অমিল।
আরো পড়ুন: সপ্তাশ্চর্যের সাত সতেরো: বিশ্বসেরা সাতটি সেতু (পর্ব-৬)
দ্বীপের মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান হলো ফিঞ্চ পাখি। এগুলোকে ‘ডারউইনের ফিঞ্চ’ বলে অভিহিত করা। পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে এই ধরণের পাখি খুব একটা দেখা যায় না বললেই চলে। গ্যালাপাগোসের দ্বীপগুলোর মধ্য পারস্পরিক দূরত্ব ৭০–৮০ কি.মি. এর বেশি নয়। তারপরেও এদের ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু এবং বাস্তুতান্ত্রিক অসামঞ্জস্য অবাক করার মতোই। ডারউইন তাঁর পাঁচ সপ্তাহের সফরে যে উপাত্ত সংগ্রহ করেছিলেন তা নিয়ে আজও প্রকৃতিবিদরা নিমগ্ন।
বাল্ট্রা দ্বীপ
প্রকৃতির বিচিত্র কিছু দ্বীপ অমীমাংসিত রহস্য হিসেবে আজও বিস্ময়ের সৃষ্টি করে রেখেছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল বাল্ট্রা দ্বীপ। এটি ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের একটি বিশেষ দ্বীপ। বাল্ট্রা মূলত মানববসতি–শূন্য। দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডরের নিকটবর্তী ১৩টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত গ্যালাপোগোস দ্বীপপুঞ্জ। এ ১৩টি দ্বীপের একটি হচ্ছে বাল্ট্রা। এখানকার অন্য ১২টি দ্বীপ থেকে বাল্ট্রা একেবারেই আলাদা, অদ্ভুত এবং রহস্যময়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কৌশলগত কারণে এ দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি দ্বীপে বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছিল মার্কিন সরকার। এরপর থেকেই বিশ্ববাসী জানতে পারে বাল্ট্রা দ্বীপের অদ্ভুত রহস্যের কথা। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপপুঞ্জ হওয়ায় এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল, বৃষ্টির এক ফোঁটাও পড়ে না বাল্ট্রাতে। কী এক রহস্যজনক কারণে বৃষ্টি বাল্ট্রার অনেক ওপর দিয়ে গিয়ে অন্যপাশে পড়ে। বৃষ্টি যত প্রবলই হোক এ যেন সেখানকার এক অমোঘ নিয়ম।
বাল্ট্রা বাদে এখানকার প্রতিটি দ্বীপেই আছে সিল–মাছ, ইগুয়ানা, দানবীয় কচ্ছপ, গিরগিটিসহ বিরল প্রজাতির কিছু পাখি। কিন্তু বাল্ট্রার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ দ্বীপে কোনো উদ্ভিদ, প্রাণী বা কীটপতঙ্গ নেই। কোনো পশুপাখি এ দ্বীপে আসতেও চায় না। দেখা গেছে, বাল্ট্রাকে এড়িয়ে পাশের দ্বীপ সান্তাক্রুজের ধার ঘেঁষে চলছে প্রাণীগুলো। শুধু তাই নয়, উড়ন্ত পাখিগুলোও উড়তে উড়তে বাল্ট্রার কাছে এসেই ফিরে যাচ্ছে। দেখে মনে হয় যেন কোনো দেয়ালে ধাক্কা খাচ্ছে ওরা। এ দ্বীপের রহস্যের কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা এ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা আজও এ রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারেননি।
বৈকাল হ্রদ
বৈকাল রাশিয়ার সাইবেরিয়ার দক্ষিণভাগে অবস্থিত একটি সুপেয় পানির হ্রদ। হ্রদটির আয়তন প্রায় ৩১,৫০০ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের গভীরতম হ্রদ। এর সর্বাধিক গভীরতা ১,৬৩৭ মিটার। তিনশোরও বেশি নদীর পানি এসে এই হ্রদে পড়েছে। কেবল মাত্র নিম্ন আঙ্গারা নদীর মাধ্যমে হ্রদের পানি বাইরে নিষ্কাশিত হয়।
প্রকৃতির এক আশ্চর্য বিস্ময় এই হ্রদটি মৎস্য-সম্পদে সমৃদ্ধ এবং এর আশেপাশের অরণ্য অঞ্চল জীব-বৈচিত্র্যের এক বিপুল প্রাকৃতিক সম্ভার। বৈকাল হ্রদ এলাকায় ১৭০০ এরও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী আছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। বৈকাল হ্রদের পানি অত্যন্ত অক্সিজেন-সমৃদ্ধ; হ্রদের পাঁচ হাজার ফুট গভীরেও জলজ প্রাণীর বাস আছে। ১৯৯৬ সালে এটিকে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করা হয়।
বৈকাল হ্রদ “সাইবেরিয়ার মুক্তা” নামে পরিচিত। সঞ্চিত পানির আয়তন অনুযায়ী এটি বিশ্বের বৃহত্তম মিষ্টি পানির হ্রদ। এখানে মিষ্টি পানির পরিমাণ উত্তর আমেরিকার সবগুলি হ্রদে সঞ্চিত মিষ্টি পানির চেয়ে বেশি। বৈকাল হ্রদ প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পুরনো; এটিই বিশ্বের প্রাচীনতম হ্রদ। বৈকাল হ্রদ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ১৮৬.৫ মিটার বা ৩ হাজার ৮৯৩ ফুট নিচে। এই হ্রদে রয়েছে ছোট-বড় ২৭টি দ্বীপ। বিশালতার কারণে প্রাচীন চীনা পাণ্ডুলিপিতে এই হ্রদকে ‘উত্তর সাগর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বোরা বোরা
বোরা বোরা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ফরাসি পলিনেশিয়া দ্বীপে অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার মোটামুটি মাঝামাঝিতে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ বোরা বোরা। । স্বর্গ নিয়ে যাদের নানা জল্পনা–কল্পনা, তারা স্বর্গের দেখা পেয়ে যাবেন ফরাসি পলিনেশিয়া দ্বীপের কাঁচের মত স্বচ্ছ, পরিষ্কার নীলাভ সবুজ জলের উপর থাকা এই দ্বীপটি দেখে। বোরা বোরা কয়েকটি ছোট আগ্নেয়গিরিবিশিষ্ট দ্বীপ যা সুবিশাল জঙ্গলে আচ্ছাদিত, সাদা বালু দিয়ে আবৃত সমুদ্র সৈকত এবং যতদূর চোখ যায় ছড়িয়ে আছে চমৎকার সৌন্দর্য।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Data Entry দিয়ে Freelancing
বহু শতাব্দী ধরে বোরা বোরা সম্মানিত হয়ে আসছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে। বোরা বোরা ১২ বর্গ মাইল আয়তনের একটি দ্বীপপুঞ্জ, যা ফরাসি পলিনেশিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত। ফরাসি পলিনেশিয়ার রাজধানী পপেইট থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার (১৪৩ মাইল) উত্তর–পশ্চিমে অবস্থিত, একটি উপহ্রদ এবং একটি প্রাচীরের প্রস্থ দ্বারা ঘেরা দ্বীপটি। দ্বীপের মাঝখানে দুটি মৃত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট পেহিয়া এবং মাউন্ট ওটারমমেনু রয়েছে। সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে যা ৭২৭ মিটার (২৩৮৫ ফুট)। পর্বত আর সমুদ্রের এক ধরনের অসাধারণ সমন্বয়ে গঠিত এই দ্বীপটি উপর থেকে একটি মালার মতো মনে হয়।
ফি ফি আইল্যান্ড
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলারসদের একটি বিশেষ আগ্রহের ট্রাভেলিং স্পটের নাম হচ্ছে ফি ফি আইল্যান্ডস। ফি ফি আইল্যান্ডগুলো থাইল্যান্ডের ফুকেট এবং মলাক্কার পশ্চিম প্রণালীর মাঝে অবস্থিত। এই সমষ্টিগত আইল্যান্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় আইল্যান্ড হচ্ছে ৪০ কিমি আয়তনের এই কোহ ফি–ফি ডন আইল্যান্ড। এই আইল্যান্ডে ৬টি দ্বীপ আছে। ফি ফি আইল্যান্ড পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল আইল্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম আইল্যান্ড।
১৯৪০ সালের দিকে এই আইল্যান্ডটি ছিল মূলত মুসলিম জেলেদের উপনিবেশ। ১৯৪০ এর পরবর্তী সময়ে মুসলমানদের সাথে সাথে বৌদ্ধদেরও বসতি গড়ে উঠে। এই দ্বীপে এখনো ৮০% এর বেশি মুসলিমদের বসতি। ২০০০ সালে আমেরিকান চলচিত্র ‘দ্য বীচ’ ছবিতে এই ফি ফি আইল্যান্ডের দৃশ্য উঠে আসে। ছবিটির বেশিরভাগ শ্যুটিংয়ের কাজ এই দ্বীপে করা হয়। ছবিটি মুক্তি পাবার পরেই মূলত এই আইল্যান্ডটি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এরপর থেকেই দ্বীপটি টুরিস্ট স্পট হিসেবে বিশেষ মর্যাদা পায়।
উপরের সাতটি স্থান-ই সমুদ্রতীরে গড়ে উঠা বিস্ময়কর স্থানগুলোর মধ্যে অনন্য ও বিশ্বসেরা। বিস্ময় ও রহস্যে ঘেরা প্রাকৃতিক এই স্থানগুলো যুগে যুগে মানুষের কাছে সমাদৃত হয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতে সমুদ্রের গভীরে কিংবা তীরে থাকা এমন আরও নিগূড় রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করা যায়।
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন