প্রোগ্রামিং এর হাতেখড়ি (পর্ব-৪)

February 5, 2017 ...

ভেরিয়েবলের জন্য নির্ধারিত ডাটা নিয়ে কাজ:

ভেরিয়েবল কিভাবে ডিক্লেয়ার করা যায় আগের পর্বে আমরা জানলাম। কিন্তু একটি প্রোগ্রামের ভেতর ভেরিয়েবলে ডাটা রেখে লাভ কি? আর ডাটা কিভাবে ব্যবহার করব?

প্রশ্নের উত্তর জানার আগে চলো একটা প্রোগ্রাম রান করে ফেলি। 😀

আচ্ছা, কি প্রোগ্রাম রান করা যায়? চলো একটি প্রোগ্রাম বানাই যাতে তুমি ইচ্ছে মত যে কোন সংখ্যা যোগ করতে পারবে।

একদম শুরুর পর্বে কিন্তু বলেছিলাম ল্যাংগুয়েজ শিখার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লজিক ডেভেলপ করা।

তাহলে আমরা আমাদের একটা সমস্যা পেলাম।

সমস্যা হলোঃ  দুইটি সংখ্যার যোগফল বের করতে হবে।

Programming for kids

কোর্সটি করে যা শিখবেন

  • Javascript, HTML ও CSS এর জটিল বিষয়গুলো সহজেই শিখে ফেলার পদ্ধতি।
  • অ্যাপ তৈরি করার বিভিন্ন ফাংশন, ভেরিয়েবল ও লজিক ব্লকের ব্যবহার।
  • কীভাবে HTML এবং CSS ব্যবহার করে অনায়াসে একটি ইনভেন্টরি ট্র্যাকার এবং সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ডিজাইন করা যায়।
  •  

    সমস্যা সমাধানের প্রসেস এরকম হতে পারেঃ

    ১। প্রথমে তিনটি চলক নিতে হবে। দুইটি ইনপুটের জন্য যেহেতু আমরা দুইটা সংখ্যা যোগ করব। আর আরেকটি চলক লাগবে   আউটপুটের জন্য।

    ২। ইউজার থেকে দুটি ইনপুট দেয়া।

    ৩। যোগ করা।

    ৪। আউটপুট।

    চলো এখন সি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে প্রসেসগুলো সম্পন্ন করে ফেলি।

    #include<stdio.h>

    int main()

    {

    int a, b, c;

    printf(“\n Enter first value:”);

    scanf(“%d”, &a);

    printf(“\n Enter second value:”);

    scanf(“%d”, &b);

    c=a+b;

    printf(“\n %d+%d is %d”, a,b,c);

    }

     

    এখন আমরা এই প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করব।

       int a, b, c;

    এই লাইনের মাধ্যমে প্রোগ্রামে int টাইপের তিনটি ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করা হয়েছে যার নাম a, b এবং c

    এই টাইপের ভেরিয়েবলে অবশ্যই তোমাকে ইন্টিজার নাম্বার মানে পূর্ণ সংখ্যা রাখতে হবে।

    printf(“\n Enter first value:”);

    এই লাইনের মাধ্যমে Enter first value: লেখাটা স্ক্রিণে দেখানো হচ্ছে।

    scanf(“%d”, &a);

    এই লাইনের মাধ্যমে ইউজার থেকে একটা পূর্ণ সংখ্যা ইনপুট চাওয়া হচ্ছে যা ইউজার কি-বোর্ডের বাটনের মাধ্যমে প্রেস করবে। যে সংখ্যা ইউজার টাইপ করবে তা a ভেরিয়েবলে থাকবে।

    &a এর অর্থ হল address of a. অর্থাৎ, এই স্টেটমেন্টের মাধ্যমে কম্পাইলারকে জানানো হয় যে প্রাপ্ত সংখ্যা a এর জন্য নির্ধারিত এড্রেসে রাখতে হবে।

     printf(“\n Enter second value:”);

    এই লাইনের মাধ্যমে Enter second value: লেখাটা স্ক্রীণে দেখানো হচ্ছে।

     

       scanf(“%d”, &b);

    এই লাইনের মাধ্যমে ইউজার থেকে আরেকটা পূর্ণ সংখ্যা ইনপুট চাওয়া হচ্ছে যা ইউজার কি-বোর্ডের বাটনের মাধ্যমে প্রেস করবে। যে সংখ্যা ইউজার টাইপ করবে তা b ভেরিয়েবলে থাকবে।

     

    c=a+b;

    এই লাইনের মাধ্যমে a আর b এড্রেসে রাখা ডাটা যোগ করা হবে। যোগ করে প্রাপ্ত যোগফল c ভেরিয়েবলের জন্য নির্ধারিত হচ্ছে।

    printf(“\n %d+%d is %d”, a,b,c);

    এই লাইনের মাধ্যমে a,b,c তে রাখা ডাটাগুলো আউটপুটে দেখানো হচ্ছে।

    পাওয়ারপয়েন্টে বানিয়ে ফেলুন আপনার সিভি!

    পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে ফেলতে পারেন আপনি!

    তাই, আর দেরি না করে ১০ মিনিট স্কুলের এক্সক্লুসিভ এই প্লে-লিষ্টটি থেকে ঘুরে আসুন, এক্ষুনি!

     

    scanf() ফাংশানের ব্যবহার:

    দুটি সংখ্যা যোগ কিন্তু  scanf() ফাংশান দিয়ে ইনপুট না নিয়েও করা যায়।

    নিচের প্রোগ্রামটি রান করে দেখি।

    #include<stdio.h>

    int main()

    {

    int a, b, c;

    a=3;

    b=2;

    c=a+b;

    printf(“\n %d+%d is %d”, a,b,c);

    }

     

    এই প্রোগ্রামটি লিখেও কিন্তু আমরা দুটি সংখ্যা যোগ করতে পারছি। কিন্তু সমস্যা হল এখানে শুধু মাত্র নির্দিষ্ট দুটি সংখ্যা যোগ করতে পারব।

    পরবর্তীতে কোন সংখ্যা যোগ করতে হলে আমাদের সোর্স প্রোগ্রাম আবার পরিবর্তন করে নিতে হবে যা মোটামুটি কষ্টসাধ্য একটা কাজ।

    তাই প্রোগ্রামের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য ইউজার থেকে ইনপুট নিলে আমরা নির্দিষ্ট দুটি সংখ্যা যোগ না করে বরং যে কোন দুটি সংখ্যা যোগ করে ফেলতে পারি।

    আবার একই নামে একাধিক ভেরিয়েবল ঘোষণা করতে পারবে না

    এবার তুমি যে কোন তিনটি সংখ্যা যোগ করতে চাইলে কি করবে? চারটি ভেরিয়েবল নিবে নাকি তিনটি? নিজে ভেবে বের কর। 😛

    আর যে কোন দুটি সংখ্যার গুণ বা বিয়োগ কি করতে পারবে? আশা করি পেরে যাবে।

    Microsoft PowerPoint Course

    এই কোর্সটি যাদের জন্য:

  • যাদেরকে ক্লাস, অফিস কিংবা ব্যবসার কাজে প্রায়ই প্রেজেন্টেশন দিতে হয়।
  • গতানুগতিক টেমপ্লেট বাদ দিয়ে যারা নিজেরাই আকর্ষণীয় স্লাইড ডিজাইন করতে চান।
  •  

    কি-ওয়ার্ড:

    কি-ওয়ার্ড হলো প্রোগ্রামে ব্যবহৃত কিছু বিশেষ শব্দ। প্রত্যেকটি কি-ওয়ার্ডের কিছু নির্দিষ্ট অর্থ আছে এবং প্রোগ্রামে একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করে।

    যেমনঃ auto, for, double, break, int, void, float ইত্যাদি কি-ওয়ার্ড। প্রোগ্রামিং করতে করতেই কি-ওয়ার্ড সম্পর্কে তোমাদের আইডিয়া চলে আসবে। তবে একটা জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, কি-ওয়ার্ডের নাম একটি শব্দে লিখতে হবে। অর্থাৎ, এর মাঝে কোন গ্যাপ থাকতে পারবে না। তবে কোন প্রোগ্রামে যদি দুটি কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় তাহলে মাঝখানে গ্যাপ থাকবে।


    রোবটিক্স -এ হাতেখড়ি: রোবট তৈরির গাইডলাইন

    আরও পড়ুন: রোবটিক্স -এ হাতেখড়ি: রোবট তৈরির গাইডলাইন


    কিছু সাধারণ ভুল:

    সি তে প্রোগ্রাম লিখার সময় কিছু সাধারণ ভুল হতেই পারে। যেমন যখন কোন ইন্সট্রাকশন দেওয়া হচ্ছে তখন সেমিকোলন না দিলে প্রোগ্রাম এরর দিবে।

    আবার এক টাইপের ভেরিয়েবলের জন্য অন্য টাইপের মান দিলেও প্রোগ্রামে ভুল ফল আসবে। কিন্তু এক্ষেত্রে কম্পাইলার কোন ভুল ধরবে না, অথচ তোমার ফল উলটাপালটা আসবে। আবার একই নামে একাধিক ভেরিয়েবল ঘোষণা করতে পারবে না।

    int Value1=Value1=9;

    এরকম লিখলেও কম্পাইলার এরর ম্যাসেজ দিবে।

    পরের পর্বগুলোতে আমরা অপারেটর, স্টেটমেন্ট বা লুপ সম্পর্কে বেসিক তথ্যগুলো জানব।

     

    Happy Programming… 😀


    ১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/

    ১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com


    আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন