১.
আমার ছোট এক ভাই এসেছে ঢাকায়। উদ্দেশ্য বিকেএসপি অনূর্ধ্ব ১৪ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা। আমার ভাইটি ক্রিকেটের জন্য পাগল। সারাদিন ক্রিকেট খেলবে। আমার মনে হচ্ছে কয়েক বছরের মধ্যেই সে পড়ালেখায় ইতি টেনে পুরোপুরি ক্রিকেটে মনোনিবেশ করবে। এতে অবশ্য আমার সায় আছে। সবার জীবনের লক্ষ্য তো আর পড়ালেখা করে চাকরি করা হয় না, কেউ কেউ ক্রিকেটার, ফুটবলার ও হতে চায়। আসলে আমি চাই আমার ভাই যা হতে চায় তাই যাতে হতে পারে। একদম সোজাসাপ্টা কথা।
তো যাই হোক, সে আপাতত থাকছে আমার খালার বাসায়। তো বড়বোনের দায়িত্ব পালন করতে আমি ক্লাস শেষ করেই তার সাথে দেখা করতে গেলাম। কিন্তু গিয়েই দেখি এইটুকু ছেলে মুখে যথাসম্ভব গাম্ভীর্য এনে গালে হাত দিয়ে বসে আছে। মনে হয় কী যেন একটা ভাবছে। আমি তো একটু ভয়ই পেলাম! কী রে বাবা! কী এত ভাবে এইটুকু বাচ্চা?
আস্তে আস্তে করে হেঁটে গিয়ে ওর পাশে বসলাম। বললাম, “কিরে অর্ণব ? কী এত ভাবিস?”
“কালকের খেলার গেইম প্ল্যান করছি।“ গম্ভীর সুরে উত্তর দিল।
“ওহ আচ্ছা! কর কর! তুই তো আবার ক্যাপ্টেন শুনলাম! “ আমি হেসে হেসে বললাম। কিন্তু হাসিটা যে মারাত্মক ভুল হয়ে যাবে সেটা কে জানতো? আমার ছোট ভাই আমাকে যেমন একটা লুক দিল আমি তো সত্যি সত্যি ভয় পেয়েছি!
তারপর খুব ঠান্ডা গলায় বলল ( তার গম্ভীর ভাবটা কিন্তু এখনো আছে ), “দেখো আপু, তোমার কাছে এটা হাসির লাগতে পারে। তবে একটা ক্যাপ্টেনের অনেক দায়িত্ব থাকে। ১১ জনের টিমের দায়িত্ব থাকে তার উপর। তার একটা ভুল সিদ্ধান্ত পুরো টিমকে ডুবিয়ে দিতে পারে। আবার তার একটা বেস্ট ডিসিশন টিমকে জয় এনে দিতে পারে। শুধু কি তাই? পুরো টিম তার কথা মেনে চলবে এমন দক্ষতাও থাকা উচিত, তাকে অনেক বিচক্ষণতার সাথে সব ভাবতে হয়। কখন কোন মূহুর্তে কাকে দিয়ে বল করাতে হবে, ফিল্ডিং কেমন হতে হবে, টসে জিতে ব্যাটিং নিব না ফিল্ডিং নিব সেটাও একটা ক্যাপ্টেনকেই নিতে হয়। তাই আমি যদি ঠিকমতো গেইম প্ল্যান না করি তাহলে আমার টিমটার অবস্থা খারাপ হবে।“
এত কিছু শুনে আমি ত থ! ওবাবা! ছোট একটা লেকচার দিয়ে দিল আমার পিচ্চি ভাইটা। তবে হ্যাঁ, ঠোঁটের কোণে একটা মুচকি হাসি ছিল। ভাইকে জড়িয়ে ধরে বললাম, “সরি রে। আমার হাসা উচিত হয়নি। তুই ভালো করে গেইম প্ল্যান কর। দেখিস, তোর টিম অবশ্যই জিতবে। আর দোয়া করি, তুই অনেক বড় ক্রিকেটার হবি।“
অর্ণব বলল, “আপু, আমি শুধু ক্রিকেটার হতে চাই না। আমি মাশরাফি হতে চাই!”
আমি বললাম, “আরে আমি তো সেটাই বললাম। মাশরাফির মতই বড় ক্রিকেটার হতে পারবি, দেখিস!“
“আপু, মাশরাফি মানে কেবল বড় ক্রিকেটার না। একজন ক্যাপ্টেন। একজন নির্ভরযোগ্য ক্যাপ্টেন। ক্যাপ্টেন নাম শুনলেই সবার আগে কার কথা মাথায় আসে বলো তো! মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা। জানো? উনাকে শুধু ক্যাপ্টেন বললে কম বলা হবে, উনি একজন অভিভাবক। ক্রিকেটিয় অভিভাবক খুব কম মানুষই পায়। সবার বড় ভাই মাশরাফি!
আবার দেখো, কিরকম মাটির মানুষ! আচ্ছা, এমন কোনো মানুষ পাবে যে মাশরাফিকে পছন্দ করে না? আমাদের পাশের বাসার ঐশী আছে না? ও তো খেলাও বুঝে না তারপরো মাশরাফি শুনলেই অজ্ঞান! সে বুঝছো একটা সবার মধ্যে ঐক্য তৈরি করেছে। এই দেখো, কেউ হয়তো একে অপরের শত্রু, বা কারো সাথে কারো কথাবার্তা নেই, তেমনি ধনী, গরিব, ছোট বড় সবার মধ্যে যত ভেদাভেদই থাকুক না কেন মাশরাফিকে পছন্দের দিক দিয়ে সবাই কিন্তু এক! সবার মনে জায়গা করে নেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে জন্ম হয়েছে তাঁর। আমি তাই শুধু ক্রিকেটার না, আমার মেইন লক্ষ্য মাশরাফি হওয়া।“
কথাটা শুনে আমি চশমা পড়েও অল্প ঝাপসা দেখতে শুরু করলাম। চোখের কোণে পানি জমলে যা হয় আরকি!
২.
“আপু জানো? মাশরাফির না বার্থডে এই অক্টোবরে!” অর্ণবের চোখে মুখে উত্তেজনার ঝিলিক। আর সেদিনই আমাদের ফাইনাল ম্যাচ। মাশরাফি আসবে। প্লিজ দোয়া করো যাতে ফাইনালে উঠি।
“অবশ্যই উঠবি। বার্থডে কখন মাশরাফির?”
“কী? তুমি উনার বার্থডেও জানো না?”
“ইয়ে মানে…আসলে”
“থামো আমি বলছি। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর এই লিজেন্ডের জন্ম! বল তো কোথায়?
“নড়াইলে। বাবার নাম গোলাম মুর্তজা, মায়ের নাম হামিদা বেগম। তাঁর পুরো নাম হচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজা কৌশিক। তাঁর স্ত্রীর নাম সুমনা হক সুমি। তাঁদের এক ছেলে, এক মেয়ে! “ খুব ভাব নিয়ে বললাম আমি।
“আপু জানো? মাশরাফির জন্মের সময় ইন্ডিয়ায় কৌশিক চ্যাটার্জী বলে নাকি একজন ফেমাস অভিনেতা ছিলেন। মাশরাফির মায়ের খুব পছন্দের ছিলেন। তাই তাঁর নাম রাখা হয়েছে কৌশিক। আমাদের কাছে মাশরাফি নামে পরিচিত হলেও আপনজনরা তাঁকে কৌশিকই ডাকেন। আর জানো, তাঁর এলাকার সবাই তাঁকে “প্রিন্স অফ হার্ট” ডাকে। “
“বাহ! তুই তো দেখি অনেক কিছু জানিস!”
“আরে! তুমি কী বলো? আমি মাশরাফিকে নিয়ে পুরো রিসার্চ করে ফেলেছি!”
“তাই নাকি? তো ক্যাপ্টেন ভাইয়া আমাকেও একটু জানান প্লিজ।“
“অবশ্যই!”
তারপরই অর্ণব ওর জ্ঞানের ভান্ডার খুলল। বলল, “মাশরাফিকে ধরা হয় বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুততম বোলার। ২০০০ এর দিকে তার বোলিং স্পিড ছিল 134km/h. অনূর্ধ্ব ১৯ খেলার সময় তাঁর পেস বোলিং এ মুগ্ধ হয়েছিলেন অ্যান্ডি রবার্টস, তখনকার বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত বোলিং কোচ। তাঁরই কথাতে মাশরাফিকে জাতীয় দলে নেওয়া হয়।“
“দারুণ তো! তারপর, ক্যাপ্টেন কখন হয়?” আমার প্রশ্ন শুনে অর্ণব বিরক্ত হয়ে বলল, “উফ! ধাপে ধাপে বলছি তো! এত বড় হয়েও এত অধৈর্য তুমি!” পিচ্চি একটা বাচ্চা থেকে ধমক খেয়ে আমি চুপ করলাম। তারপর সে আবার বলতে লাগলো, “ ৮ নভেম্বর, ২০০১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের মাধ্যমেই জাতীয় দলে অভিষেক হয়। আবার সেটি ছিল তাঁর প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ। বিরল এই ঘটনা শুধু পুরো ক্রিকেট বিশ্বে তাঁর আগে মাত্র ৩০ জনের ঘটেছে। তিনি ৩১ নম্বর। প্রথম শিকার ছিল গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার। অভিষেকেই ১০৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।
২৩ নভেম্বর, ২০০১ এ আবার সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ওয়ানডে অভিষেক ঘটে। সেবার ৮.২ ওভার খেলে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। ২৮ নভেম্বর, ২০০৬ এ টি-২০ অভিষেকটাও কিন্তু সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ঘটে।“
“কিন্তু মাশরাফির তো বেশিরভাগ সময়ই মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে ইনজুরির জন্য” আমি বললাম।
“হ্যাঁ। দুইটি টেস্ট খেলার পরই পাকিস্তান টেস্ট বাদ দিতে হয়েছিল তাঁর ব্যাক ইনজুরির জন্য। আট মাস খেলার বাইরে ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ব্যাক করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেকেন্ড টেস্টে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়াটা তাঁর টেস্ট ক্রিকেটের এখনো ব্যক্তিগত ভালো স্কোর হয়ে আছে। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন বছরেই এত ইনজুরিতে পড়েছিলেন যে মাত্র ১২টি টেস্ট খেলতে পেরেছিলেন। পরে ২০০৪ এ ফিরে এসে নিজের স্বরূপ জানান দেন।“
“আচ্ছা, আমি জানতাম ২০০৬ সালে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে মাশরাফি ওয়ানডে ক্রিকেটে সবোর্চ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন। ৪৯টা উইকেট নিয়েছিলেন।“ আমি বললাম।
আমার কথা শুনে অর্ণব খুশিতে বলল, “বাহ! আপু, ইম্প্রেসিভ! বাংলাদেশে তখনকার সময় একজন ভালো পেস বোলারের অভাব ছিল। তিনি তা পূরণ করেছেন। কার্ডিফে মারকুটে ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে শূন্য রানে আউট করে আবার তাক লাগিয়ে দেন।
২০০৭ এর বিশ্বকাপে মাশরাফির ভূমিকা ছিল দেখার মতো। মাশরাফি ভালো খেললেও তখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের তেমন উন্নতি হচ্ছিল না। একের পর এক খালি পরাজয় দেখতে হতো। আর সেখানেই কিনা, ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সেকেন্ড রাউন্ডে উঠেছিল। সেবার মাশরাফি ৩৮ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। সেবার তিনি ভাইস ক্যাপ্টেন ও ছিলেন। ওয়ানডে তাঁর সেরা স্কোর হচ্ছে ৬/২৬।“
“মাশরাফি বিন মুর্তজা একটা সম্পদ আমাদের জন্য। কিন্তু তাঁকে এতবার ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে যে বারবার নিজেকে ভেঙ্গে গড়তে হয়েছে তাঁকে।“ আমি বললাম।
অর্ণব আমাকে প্রশ্ন করল, “আপু বলতো, মাশরাফি কেন আর টেস্ট খেলে না?”
“কারণ বারবার ইনজুরিতে পড়ে তাঁর পক্ষে এত লম্বা ম্যাচ খেলা সম্ভব হচ্ছিল না। হাঁটুর ইনজুরি তাঁকে অনেক বেশি ভোগাচ্ছিল। তবে তিনি মাত্র একটা টেস্ট ম্যাচের অধিনায়ক ছিলে এবং সেটাই আমরা জিতেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল। আমিও টুকটাক জানি।“ ভাব নিয়ে আমি উত্তর দিলাম।
“ওরে আপু সেরা! ২০০৯ এ শেষ টেস্ট খেলেন তিনি। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১১ বারের মত চোট পেয়েছেন। কখনো পিঠের চোট, কখনো হাঁটুর চোট, কখনো হয়ত লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলো আরো কত কি! তারপরো দমে যাননি। হাঁটুর ইনজুরিতে সবচেয়ে ভোগা এই মানুষটিকে যখন বাকিরা ভাবছে তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা তখন তিনি হাঁটুতে সাতটা অপারেশন নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে দেশের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিলেন। এর মধ্যে জেতা ম্যাচের সংখ্যাইতো বেশি।
“ম্যাশ তো এখন টি২০ খেলে না? তাই না?” আমার প্রশ্ন।
“হ্যাঁ, ২০১৭ তে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলে তিনি বিদায় জানান টি-২০ কে। ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন একবার টি-২০তে। সেরা স্কোর। ২৬টি খেলার অধিনায়কত্ব করে জিতেছিলেন ৯টি। আচ্ছা, জানো আপু, ম্যাশের ইনজুরির লিস্ট যেমন লম্বা তেমনি তার রেকর্ডের লিস্ট ও লম্বা।“
“বল তো শুনি!”
“টেস্টে বাংলাদেশের জন্য সবোর্চ্চ নবম উইকেটে ৭৭ রান দিয়েছেন মাশরাফি আর শাহাদাত হোসেন ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ১০০০ বল বা এর বেশি। ৬৭.২০ স্ট্রাইক রেট।
আবার ওয়ানডেও আছে। এখানে তাঁর সবোর্চ্চ নবম উইকেট পার্টনারশিপ আছে সাকিব আল হাসানের সাথে। ৯৭ রান পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখানেও সবোর্চ্চ ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ৮৯.০০ । একজন উইকেটকিপার না হয়েও সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার রেকর্ডও তাঁর দখলে (৫০)।
কী জোস ক্রিকেটার না আপু?”
“শুধু কি জোস ক্রিকেটার? জোস একজন মানুষও বটে। ঐ যে বলে না, সাদা মনের মানুষ, তিনি হচ্ছেন সেটা। এত নামিদামি খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কোনো অহমিকা নেই। কত মেধাবি ছাত্রকে নিজের টাকায় পড়ালেখা করান। আর বাংলাদেশের মানুষ যখন “বীর” উপাধি দিতে চাচ্ছিল তখন মনে আছে উনি কী বলেছিলেন?”
“হ্যাঁ। উনি বীর না। সত্যিকার বীর হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা। একজন মানুষের মধ্যে এত গুণাবলি পাওয়া অনেক বিরল। অসাধারণ অধিনায়কত্ব, দুর্দান্ত বোলিং, মাটির মতো মন সবকিছু মিলে মাশরাফি অনন্য!”
“ঠিক বলেছিস!”
“এই আপু, প্লিজ দোয়া করো আমরা যাতে জিতে যাই। খুব শখ মাশরাফির সাথে সেলফি তোলার!”
“অবশ্যই! তোর আইডল যেহেতু মাশরাফি তুই নিশ্চয়ই পারবি!”
“সেটাই যাতে হয়!”
“আচ্ছা শুন,” মুচকি মুচকি হেসে বললাম আমি, “মাশরাফিকে তো নড়াইল এক্সপ্রেস ডাকে। তোকে কি ডাকবে? চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস ডাকবে? নাহ! শুন, তোকে আমরা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ডাকব। ঠিক আছে! এই ট্রেন করেই এবার ঢাকা এসেছিস না! হুম…ভালো নাম। সুবর্ণ এক্সপ্রেস!”
এতক্ষণ গম্ভীর মুখ করে থাকা আমার পিচ্চি ভাইটি তার স্বরূপে ফিরে মেকি সুরে বলল, “আপুউউউউ… কী বলো? কেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস ডাকবে?”
“হ্যাঁ। তোকে সবাইকে সুবর্ণ এক্সপ্রেসই ডাকবে।“
“না…না…হবে না।“
“হ্যাঁ। এটিই হবে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস!”
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন