বারাক ওবামা, ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, হেনরি কিসিঞ্জার, বিল গেটস, জন এফ কেনেডি, টি এস ইলিওট কিংবা মার্ক জাকারবারগ– এমন অন্তত শ’খানেক দুনিয়া বদলে দেয়া মানুষের নাম বলতে গেলে তার সাথে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অনায়াসে চলে আসে।
উপরের উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে কেউ গ্র্যাজুয়েট আবার কেউবা ড্রপ আউট। কিন্তু তাতে কি ! সফল জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁরা এই “আলমা ম্যাটারের” অবদান অকপটে স্বীকার করেছেন।
বলছিলাম বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।
এইবার একটি ছোটখাটো পরিসংখ্যান বলি।
দারুণ সব লেখা পড়তে ও নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ঘুরে এসো আমাদের ব্লগের নতুন পেইজ থেকে! The 10-Minute Blog!
ইউনাইটেড স্টেটসের ৮ জন প্রেসিডেন্ট এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের পড়ালেখার পর্ব চুকিয়েছেন।
পুরো দুনিয়া জুড়ে অন্তত ৬২ জন বিলিয়নিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আরও আছেন ১৫৮ জন নোবেল বিজয়ী !
এর সাথে যোগ করো আরও ১০টি অস্কার, ৪৮টি পুলিৎজার পুরস্কার , ১০৮টি অলিম্পিক মেডেল।
এই স্কলার তৈরির কারখানা নিয়েই আজকের পুরো লেখাটি সাজিয়েছি।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
IELTS Course by Munzereen Shahid
ভেরিটাস হার্ভার্ডঃ
রোমান মিথোলোজিতে ভেরিটাস শব্দের অর্থ সত্য। আর ভেরিটাস হলেন সত্যের দেবী।
১৬৩৯ সালে ভেরিটাস মূলমন্ত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করে নিউ “কলেজ” যার মূল উদ্দেশ্য ছিল খ্রিস্টীয় চার্চের যাজকদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।
শুরুতেই এর নাম “হার্ভার্ড” ছিল না।
তাহলে হার্ভার্ড নামটা আসলো কোথা থেকে?
জন হার্ভার্ড থেকে Harvard University (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়):
জন হার্ভার্ড ছিলেন এই বিদ্যাপীঠেরই একজন ছাত্র। তিনি চার্লসটাউনের মন্ত্রী ছিলেন। ১৬৩৮ সালে মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পদের প্রায় অর্ধেক ( ৭৯৯ ডলার) এবং তাঁর তৈরি করা বিশাল বইয়ের সংগ্রহ তিনি
প্রিয় “নিউ কলেজের” জন্য দান করে গেলেন। পরবর্তীতে ১৬৩৯ সালে জন হার্ভার্ডের নাম অনুসারে নিউ কলেজের নাম রাখা হোল “হার্ভার্ড কলেজ”।
এরপরে প্রায় চারশো বছরের টাইমলাইন পেরিয়ে সেই হার্ভার্ড কলেজই হয়ে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ক্যামব্রিজে অবস্থিত সেরাদের সেরা ক্রিমসন কালারের “হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি”।
“ সবই বুঝলাম কিন্তু ক্রিমসন কালার কেন?”
ক্রিমসন হচ্ছে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল কালার। আর হার্ভার্ডিয়ানদের স্পোর্টস টিমের একটি ডাক নামও আছে। সেটি হোল “হার্ভার্ড ক্রিমসন”।
হার্ভার্ডের আঙিনায় প্রথম দাতা জন হার্ভার্ডের একটি ব্রোঞ্জের স্ট্যাচুরও দেখা মিলবে।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলঃ
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল হচ্ছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর মেডিকেল স্কুল হচ্ছে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল। ১৭৮২ সালে এই মেডিকেল স্কুল এর যাত্রা শুরু হয়। মিশন হিলের লংউড মেডিকেল এরিয়ার এই মেডিকেল স্কুলে একেবারে শুরুর দিকে কোনো টিউশন ফি দেয়া লাগত না! শিক্ষার্থীরা ৫/৬টি লেকচারের জন্য টিকেট কিনতেন এবং সেই টিকেট দেখিয়ে বসে যেতেন লেকচার শুনতে!
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কয়েকটি যুগান্তকারী সাফল্য বলে তোমাকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছি-
- হার্টের ভাল্বের প্রথম সফল সার্জারি।
- প্রথম সফল কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট।
- পুড়ে দগ্ধ হয়ে যাওয়া মানুষদের জন্য প্রথম আর্টিফিশিয়াল স্কিন।
- অপারেশনের সময় ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যানেসথেসিয়ার প্রথম সফল প্রয়োগের দৃষ্টান্ত কিন্তু হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের দখলে।
এমন আরও অনেকগুলো যুগান্তকারী অর্জনের মাধ্যমে নিজেদেরকে বার বার সেরাদের সেরা প্রমাণ করেছে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল!
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলঃ
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল বোস্টনে অবস্থিত। এখানে এমবিএ প্রোগ্রাম, ডক্টরাল প্রোগ্রাম এবং আরও অনেকগুলো উপায়ে এক্সিকিউটিভ পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। এম বি এ প্রোগ্রামের জন্য আন্তর্জাতিক পত্রিকা “Financial Times” এর মতে সাড়া বিশ্বেে এর রেঙ্কিং পাঁচ নম্বর । ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিজনেস স্কুলে ১০টি একাডেমিক ইউনিট রয়েছে।
আমেরিকার ৪৩তম রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ , বিখ্যাত খান একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সালমান খান সহ আরও অনেক বড়সড় ব্যাক্তিবর্গ এই বিজনেস স্কুলের গ্র্যাজুয়েট!
আশা করি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছুটা হলেও তোমাকে জানাতে পেরেছি।
“কিন্তু ভাইয়া, আমি কি হার্ভার্ডে পড়তে পারবো ?”
কেন পারবে না?
সঠিক তথ্য আর ইচ্ছাটা ঠিকঠাক মতো থাকলে তুমিও হতে পারবে হার্ভার্ডিয়ান!
তোমাকে কিছু গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা: আমি কি পারবো ?
শুরুতেই জানিয়ে নেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোন স্কুল আর ফ্যাকাল্টিগুলোর অধীনে তোমার হার্ভার্ডিয়ান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ফ্যাকাল্টিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিজনেস, ডেন্টাল, মেডিকেল, পাবলিক হেল্থ, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ইত্যাদি।
এবার আসি সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় ভর্তি পরীক্ষার পালায়!
আসলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোনো ভর্তি পরীক্ষা লাগে না !
“বলেন কি!” হ্যাঁ, কোনো ভর্তি পরীক্ষা লাগে না। কিন্তু যা লাগে তা ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেধা আর শ্রমের চেয়ে কোনো অংশে তো কম নয় বরঞ্চ কিছু অংশে অনেক বেশি!
আরো পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন করণীয়! (পর্ব ১)
হার্ভার্ডে ভর্তির প্রক্রিয়াঃ
আমেরিকানদের মতো তোমার জন্য হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসে সুযোগ আর সুবিধা দুটোই আছে । সেই সুযোগটি হোল হার্ভার্ডে ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপের জন্য অ্যাপ্লাই করার সুবিধা আর এই সুবিধাটি আমেরিকার বাইরে থেকে আগত ছাত্র ছাত্রীদের জন্যও রয়েছে । কিন্তু তার আগে হার্ভার্ডের কোনো প্রফেসরের সাথে তোমাকে যোগাযোগ করতে হবে কিন্তু। তাহলে পুরো ব্যাপারটা খানিকটা সোজা হয়ে যাবে।
হার্ভার্ড স্কলারশিপ সম্পর্কে জেনে নাওঃ
টাকার কথায় আসি এইবার।
পরিবারের আয় বছরে যদি ৬৫০০০ ডলারে কম হয় তাহলে একজন অ্যাপ্লিকেন্ট ফুললি ফান্ডেড স্কলারশিপের জন্য যোগ্য হিসেবে প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হবে। থাকা খাওয়া থেকে পড়াশোনার খরচ সব কিছুই বহন করবে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।
যাদের পরিবারের আয় বছরে ৬৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজারের ডলারের মধ্যে তাদেরকে বার্ষিক আয়ের 0% থেকে ১০% পর্যন্ত সামগ্রিক ব্যয়ের ভার বহন করতে হতে পারে তবে সেটি নির্ভর করবে পরিবারের অবস্থার উপর। টাকায় রুপান্তর করলে সেটি ১৫ হাজার ডলারের মতো হয়।
আর যাদের বার্ষিক পারিবারিক আয় এর চেয়েও বেশি তাদেরকে ১০% এর বেশি ব্যয় বহন করতে হবে।
আরও ভালোভাবে জানতে চাইলে তুমি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এই লিঙ্কটিতে গিয়ে বিস্তারিত পড়তে পারো
লিঙ্কঃ https://college.harvard.edu/financial-aid/how-aid-works
অ্যাপ্লিকেশন করবো কিভাবেঃ
পুরো অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসে তোমাকে ভালো শ্রম দিতে হবে। একটু কষ্টসাধ্য হলেও ব্যাপারটা মোটেও অসম্ভব কিছু নয়!
ধাপগুলো বলছি তোমাকেঃ
- কমন অ্যাপ্লিকেশনের নাম শুনেছো? এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এখানে নিজের তথ্য তো দেয়া লাগবেই উপরন্তু নিজের সম্বন্ধে ২৫০ থেকে ৬৫০ শব্দের মধ্যে একটি রচনা লেখা লাগবে যেখানে তোমার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা থেকে শুরু করে কি করতে চাও- প্রায় সবই লেখার প্রয়োজন পড়বে। এর সাথে থাকবে অন্যান্য আনুসঙ্গিক বিষয়ে আরও দুইটি রচনা।
কমন অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে একদন খুঁটিনাটি জানতে চাইলে এক্ষুনি চলে যাও এই লিঙ্কটিতেঃ
লিঙ্কঃhttps://uscollegeinternational.com/2017/03/11/common-application-101-complete-breakdown/
- পরের ধাপটি হোল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা। এর জন্য মাস খানেক সময় লেগে যেতে পারে !
আরো পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন করণীয় (শেষ পর্ব)
কাগজপত্রগুলো কি কিঃ
- ৭৫ ডলারের অ্যাপলিকেশন ফি।
- আমেরিকান কলেজ টেস্ট (ACT) আর স্কলাস্টিক অ্যাপ্টিচুড টেস্ট (SAT)
- SAT হবে টু সাবজেক্ট টেস্টের উপর ভিত্তি করে। ফাইনেনসিয়াল সমস্যা থাকলে এক্ষেত্রে হার্ভার্ড বিবেচনা করে দেখতে পারে।
- সেকেন্ডারি স্কুল রিপোর্ট
- মিড-ইয়ার স্কুল রিপোর্ট
- দুইজন শিক্ষকের ইভালুয়েশন।
অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস নিয়ে ভালো ভাবে জানতে চাইলে এই লিঙ্কে গিয়ে চিরুনি বিশ্লেষণ শুরু করে দাও।
লিঙ্কঃhttps://college.harvard.edu/admissions/application-process/application-requirements
হার্ভার্ডে অ্যাপ্লাইয়ের জন্য নিচের ভিডিও দুটি তোমাকে বেশ সাহায্য করবেঃ
লিঙ্ক ১ঃ https://youtu.be/sejuQnNuBSA
লিঙ্ক ২ঃ https://youtu.be/AO4wcmePB6o
অ্যাপ্লিকেশন আকর্ষণীয় করতে হলে কি করবোঃ
ব্যাপারটা একদম সোজা সাপটা বলি।
প্রথমে নিজের গ্রেডের প্রতি যত্ন নাও। স্বপ্ন দেখা ভালো কিন্তু সেই অনুযায়ী পরিশ্রম না করলে ফয়াফল তো আসবেই না উল্টো হতাশার দুষ্ট চক্রে জড়িয়ে পরার সম্ভাবনা অনেক বেশি। একটা নির্মম তথ্য দেই। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে করা অ্যাপ্লিকেশনের গ্রহণযোগ্যতা অনেক কম ( তিন শতাংশ! ) কাজেই তোমার অ্যাপ্লিকেশনের রচনা বেশ আকর্ষণীয় হওয়া চাই। কারণ মনে রাখবে হার্ভার্ড কেবল “ বেস্ট অফ দ্যা বেস্ট” দের জন্য।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে পড়াশোনার পাশাপাশি তুমি কি করতে ভালোবাসো , তোমার কোন কোন বিষয়ে আগ্রহ আছে সেই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা শুরু করে দাও হোক সেটা নাছ কিংবা গান অথবা সোশ্যাল ওয়ার্ক- যে কোনো কিছু। অক্সফোর্ড বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বলেছেন-
“একমাত্র প্রতিভা নিয়োগের মাধ্যমেই একটি বিশ্ববিদ্যালয় সেরা অবস্থানে যেতে পারে। যা সত্যিই খুব সহজ!”
আর এই ব্যাপারটি হার্ভার্ড সহ সব স্বনামধন্য আর জগৎখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য।
কাজেই নিজের পছন্দের বিষয়ে সেরা হয়ে ওঠার চেষ্টা করো। হার্ভার্ড চায় পরীক্ষার পড়া শেষ করার পাশাপাশি পৃথিবীর জন্য যুগান্তকারী কিছু করার ক্ষমতাটাও তুমি রাখো।
আর আমার মনে তুমি চাইলেই সেটি অনায়াসে আয়ত্ত্ব করতে পারবে!
ইংরেজিতে ভয়ঃ
“ কিন্তু আমি তো ইংরেজিতে দুর্বল!”
ইংরেজি ভাষা নিয়ে টেনশনের কোনো কারণ আমি দেখছি না। TOEFL, IELTS পরীক্ষার প্রিপারেশন নিলে পুরো ব্যাপারটা পানির মতো সোজা হয়ে যাবার কথা। আর প্রতিদিন যদি অনুশীলন করা যেতে পারে তাহলে আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে , একজন নেটিভ আমেরিকানের মতো ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলার যোগ্যতা তো তুমি অর্জন করবেই বরঞ্চ কিছু জায়গায় সেই নেটিভকেও ছাড়িয়ে যেতে পারো।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পরার সুযোগ পেলে আমার কথার সাথে ব্যাপারটি মিলিয়ে নিয়ো!
বাংলাদেশ থেকে হার্ভার্ডঃ
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি জমিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন তারিক আদনান মুন। কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেন মুন। এইচ এস সি এর পরে পড়ালেখার সুযোগ পান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি কিন্তু আন্তর্জাতিক গনিত অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ মেডেল জয়ী! গণিতের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর গণিতের জন্য শ্রম তাঁর হার্ভার্ডে পড়ার স্বপ্নকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিল। সিলিকন ভ্যালীতে বন্ধুরা মিলে একটি স্টার্ট আপও শুরু করে দিয়েছেন ইতোমধ্যে।
তারিক আদনান মুনের হার্ভার্ড যাত্রার খুঁটিনাটি জানতে পারবে এই লিঙ্কটিতেঃ
লিঙ্কঃ http://www.campus2career24.com/archives/12179
আর এই লিঙ্কটিতে বাংলাদেশের আরও কিছু গর্বিত হার্ভার্ডিয়ানকে খুঁজে পাবেঃ
লিঙ্কঃ http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-04-18/news/240920
শেষকথাঃ
অনেক বকবক করলাম।
আমার এতো কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল তোমাকে সেরাদের সেরা হওয়ার জন্য মোটিভেট করা।
আর ইতোমধ্যে তুমি জেনে গেছো যে “সেরাদের সেরা” দের আরেক নাম হচ্ছে হার্ভার্ডিয়ান!
বসে না থেকে হার্ভার্ডিয়ান হওয়ার জন্য এক্ষুনি আদাজল খেয়ে লেগে যাও।
ওহহো! হার্ভার্ড দেখতে কেমন, সেখানকার মানুষের হার্ভার্ড নিয়ে অনুভূতি কেমন সে সম্পর্কে কিছুইতো বলা হোল না!
ভিডিওটি দেখে হার্ভার্ডিয়ান হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দাও আজকেই !
আর হ্যাঁ,তোমাকে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে রাখলাম।
লিঙ্কঃ https://youtu.be/7YUzkARKtVE
সুত্রঃ
- https://en.wikipedia.org/wiki/Harvard_University
- https://www.harvard.edu
- https://uscollegeinternational.com/2017/03/11/common-application-101-complete-breakdown/
আমাদের ইংরেজি শেখার কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- IELTS Course by Munzereen Shahid
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- সবার জন্য Vocabulary by Munzereen Shahid
- Spoken English for Kids by Munzereen Shahid
- চাকরিজীবীদের জন্য English by Munzereen Shahid
- English Grammar Crash Course by Sakib Bin Rashid
- English Writing for Students by Sakib Bin Rashid and Shahnawaz Hossain Jay
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন