নবম আর দশম শ্রেণির এতোগুলো পরীক্ষা দিয়ে আসলাম। পরীক্ষার খাতায় লিখতে লিখতে পৃষ্ঠা শেষ। অথচ নম্বর শুনে কাঁদবো না হাসবো? বুঝে উঠতে না উঠতেই চলে আসে এসএসসি পরীক্ষা। আমরা কি জানি, কেন আসলে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে নম্বর লিখেও না লেখার মতো আসে? একবার কারণগুলো ঘুরে আসি।
১। তথ্যের ঘাটতি
২। প্রসঙ্গের বাইরে লেখা
৩। সৃজনশীলতার অভাব
তথ্যের ঘাটতি:
আমরা কিন্তু লিখি, ঠিকই। কিন্তু যা লিখি, যে তথ্য দেই, তার উৎস কি বই? প্রাথমিকভাবে কিন্তু বই-ই হওয়ার কথা। আমরা ভুলটা এখানেই করি। আমরা প্রচুর লেখার পরে বইয়ের তথ্য লিখতে ভুলে যাই। কেউ কেউ হয়তো বই পড়েই যাই না, যেটা কিনা কম নম্বর পাওয়ার মূল কারণ। তাই খাতা ভরে লেখার আগে মনে রাখতে হবে দুইটি কথা:
ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:
৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৫
১। পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে পাঠ্যবইটা ভালোভাবে আয়ত্ত্বে আনতে হবে। বইটা নিয়ে আমাদের ভীষণ আক্ষেপ থাকলেও এটা সত্যি যে, বইই প্রয়োজনীয় সব তথ্যের ভাণ্ডার। এই তথ্য যে শুধু পরীক্ষার খাতায় কাজে লাগছে, তা নয়। কাজে লাগছে সবসময়। একটু সময় নিয়ে, নোট করে কিংবা নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করে বইটা পড়ে আয়ত্ত্বে আনার চেষ্টা করো।
২। যা পড়েছো, তা প্রশ্নের চাহিদা মোতাবেক দিলে কিনা, খেয়াল করে দেখো।
প্রসঙ্গের বাইরে লেখা:
আমরা প্রায় সময়ই সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে প্রসঙ্গ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সরে যাই। নম্বরটা কমে যায় প্রয়োগ আর উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময়ে। এই দুই ধাপের প্রশ্নেই তিনটা ধাপ একই।
- প্রথমে জ্ঞান, যেখানে কিনা পাঠ্যের সাথে উদ্দীপকের কোন জায়গায় মিল বা অমিল তার একটি সমাধান দিতে হবে।
- দ্বিতীয়ত অনুধাবন, যেখানে পাঠ্যবইয়ের তথ্য দিতে হবে।
- তৃতীয়ত প্রয়োগ, যেখানে উদ্দীপক নিয়ে কথা বলে এর সাথে পাঠ্যের মিল বা অমিল স্পষ্ট করে দিতে হবে।
- উচ্চতর দক্ষতায় বাংলার মতোই চতুর্থ পর্যায়ে গিয়ে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয়।
এই ধারা অবলম্বন করে যদি প্রশ্নের চাহিদা পূণ করা যায়, তাহলে নম্বর পাওয়া কোনো ব্যাপারই না। প্রসঙ্গ যাতে প্রসঙ্গেই থাকে, লক্ষ্য রাখতে হবে।
সৃজনশীলতার অভাব:
অনেকের ধারণা, নম্বর মনে হয় পৃষ্ঠা গুনে দেয়া হয়। ধারণাটা আসলে আংশিক সত্য। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো এমন হয়। তবে, নিজের শতভাগ দিয়ে তবেই শতভাগ আশা করা উচিত।
তাই বুঝেশুনে বাক্য বিনিময় করতে হবে খাতায়। একই বাক্য বারংবার লিখে পৃষ্ঠার সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে যৌক্তিক আলোচনা করতে হবে। নতুবা ভালো কিছু আশা করা বৃথা।
এই কোর্সটি থেকে যা শিখবেন
সুন্দর ও দ্রুত ইংরেজি হাতের লেখা
আবার, এত কথা মনে রাখতে গিয়ে আমরা মাঝেমাঝে সময়ের কথা ভুলে যাই। তাই পুরো প্রশ্ন উত্তর করতে পারি না। সেটা করলে কিন্তু মুশকিল। সময়ের কথা মাথায় রাখতে হবে।
নৈব্যর্ক্তিকে শতভাগ সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবেই সমাজ পরীক্ষা দেয়ার পর কোনো ভীতি কাজ করবে না।
এইচএসসি ও এডমিশন পরীক্ষার্থীদের জন্য আমাদের কোর্সসমূহঃ
- HSC 25 অনলাইন ব্যাচ ২.০ (বাংলা, ইংরেজি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)
- HSC 26 অনলাইন ব্যাচ (বাংলা, ইংরেজি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)
- HSC 25 অনলাইন ব্যাচ (ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, বায়োলজি)
- HSC 26 অনলাইন ব্যাচ (ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, বায়োলজি)
- মেডিকেল এডমিশন কোর্স – ২০২৪
- ঢাকা ভার্সিটি A Unit এডমিশন কোর্স – ২০২৪
- ঢাকা ভার্সিটি B Unit এডমিশন কোর্স – ২০২৪
- বুয়েট কোশ্চেন সলভ কোর্স
- গুচ্ছ A Unit এডমিশন কোর্স – ২০২৪
- গুচ্ছ B Unit এডমিশন কোর্স – ২০২৪
বছরজুড়ে অভিজ্ঞ টিচারদের সাথে ক্লাস 6-10 এর পড়াশোনা ও পরীক্ষার জন্য সেরা প্রস্তুতি নিতে আজই ভিজিট করো আমাদের অনলাইন ব্যাচ ২০২৫ -এ:
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন