চ্যাটিং-এ যে ৮টি ভুল কখনোই করবে না

September 30, 2018 ...

পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবার শুনে নাও।

ফেসবুকের এই জমানায় চ্যাটিং ছাড়া দিন কাটানো কিন্তু বেশ কঠিন একটা কাজ। না, কেবল বন্ধু-প্রিয়জনের সাথে গল্প করা নয়, এই চ্যাটিং অফিশিয়াল বিভিন্ন কাজেও লাগছে এখন! এমনকি অনেক অফিসের কাজ এখন ই-মেইল নয়, বরং ফেসবুকের মেসেঞ্জারেই হয়ে যাচ্ছে।

সমস্যা হলো, তোমার বন্ধুদের সাথে চ্যাট করার সময় কোন নিয়ম লাগে না। ইচ্ছেমতো গালি দিতে পারো, গল্প করতে পারো, যা খুশি করতে পারো। কিন্তু এই চ্যাটিং যখন অফিশিয়াল হয়ে যায়, তখন কিন্তু তোমাকে কিছু নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। না গেলে আনপ্রফেশনাল হিসেবে উর্ধ্বতনের কুনজরে পড়তে হয়। 

আর অফিসের কিংবা ফর্মাল কাজকর্মে যাতে চ্যাটিং কোন বাধা না সৃষ্টি করতে পারে, এজন্যেই চ্যাটিং এর কিছু সহজ আর কার্যকরী নিয়মের কথা বলি।

English Grammar Crash Course

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • নিয়ম মুখস্থ না করে প্র্যাকটিকাল উদাহরণের মাধ্যমে ইংরেজি গ্রামার শেখার সহজ উপায়।
  • আত্মবিশ্বাসের সাথে Fluently ইংরেজিতে কথা বলা এবং কোনো গ্রামাটিক্যাল ভুল ছাড়াই ইংরেজি লেখা।
  •  

    চ্যাটিং করার নিয়মঃ

    ১/ মেসেজের রিপ্লাই দিয়ে কাজ কনফার্ম করা:

    আমরা কিন্তু একটা ভুল প্রায়ই করে থাকি। ধরো তুমি তোমার ক্লাবের কোন কাজ করবে। তোমার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট তোমাকে টাস্ক দিলো, তুমি সেটা দেখে সিন করে কাজে বসে গেলে। তোমার প্রেসিডেন্ট মনে করলেন তুমি মনে হয় সিন করে ঘুমিয়ে গেছো, তিনি প্রচণ্ড রাগ করে কাজটা অন্য আরেকজনকে দিয়ে দিলেন।

    কাজ শেষে তুমি দেখলে একই কাজ আরেকজন করে ফেলেছে। তোমার পণ্ডশ্রম হলো, প্রেসিডেন্টের চোখেও তুমি হয়ে গেলে ইররেসপন্সিবল একজন। এজন্যে, মেসেঞ্জারে কেউ কোন কাজ দিলে কাজটা শুরু করার আগে একবার Acknowleded বা On it বলে রিপ্লাই দিয়ে কাজ শুরু করলেই চলবে।

    ২/ কথাবার্তা বলবে রয়েসয়ে:

    আমরা অনেকসময়ই মেসেঞ্জারকে আমাদের নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনা বানিয়ে দিয়ে যার তার সাথে যেকোন বিষয় নিয়ে কথা বলি। স্ক্রিনশটের এই যুগে সেটা আমাদের দিকেই বুমেরাং হয়ে যে আসতে পারে, সে খেয়ালটা থাকে না। বেমক্কা বেফাঁস একটা কথা বলে হঠাৎ খেয়াল হয়, “আরে! এটা আমি কী বলে বসলাম!”

    তখন আমাদের অনেকেই পুরো কনভারসেশন ডিলিট করে দেই। কিন্তু সত্যিটা হলো, তাতে কোন লাভ হয় না। অপরপক্ষের কাছে সেই কনভারসেশনটা থেকেই যায়, তাই লুকোতে আর পারি না আমরা। এই বিশ্রী সমস্যায় পড়তে না চাইলে, রয়েসয়ে কথা বলো চ্যাটিং এ, আর মেসেজ ডিলিটের মতো বোকামি করো না! 

    ৩/ শর্ট ফর্মকে না বলো!

    Good Night. পুরো একটা বাক্য শুনতে অনেক ভালো লাগছে না? এই বাক্যটাকে যদি ছোট করে gdn8 বলা হয়, কেমন বিশ্রী শোনায় না? এটা শুধু বিশ্রীই নয়, খুবই আনপ্রফেশনাল একটা কাজ। nice শব্দটা লিখতে দুই সেকেন্ডের বেশি লাগে না। এটাকেও ছোট করে nc বলার কি কোন দরকার আছে?

    হ্যাঁ, ছোটবেলায় আমিও এই দোষে দুষ্ট ছিলাম। মনে করতাম, শর্ট ফর্মে লেখা মনে হয় অনেক কুল একটা ব্যাপার, এই কাজটা করলে আমি অনেক জোস হয়ে যাবো- ইত্যাদি ইত্যাদি। বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো।

    একটু বড় হয়ে বুঝতে পারলাম এই বিষয়টা কুল তো নয়ই, বেশ ক্ষ্যাত এবং আনপ্রফেশনাল। শুরু করলাম পুরনো সব স্ট্যাটাস ডিলিট আর এডিট করা। আমার মতো এইরকম মহাবিপদে পড়তে না চাইলে এখনই শর্ট ফর্মকে জানাও ‘না’!

    ৪/ ক্যাপিটাল লেটারটাকে ঠিকভাবে কাজে লাগাও!

    লেখাকে ক্যাপিটাল বা বড় ফন্টে লিখতে দেখেছি অনেককেই। আমি নিজেও অনেক লেখায় ক্যাপিটাল ফন্টে শব্দ লিখি, শব্দটার গুরুত্ব বোঝানোর জন্যে। ধরো তোমার সহকর্মীকে তুমি কোন কাজ দেবে, তাকে মেসেজ দিলে “Your DEADLINE is extended till next week”

    এখানে ডেডলাইনের উপরে জোর দেয়া হয়েছে, কারণ এটাই মেসেজের মূল উদ্দেশ্য। এরকম ক্যাপিটাল করলে কারো কোন সমস্যা নেই।

    কিন্তু তুমি যদি সবাইকেই ইচ্ছেমতো ‘HELLO FRANS KI OBOSTHA SHOBAR” এভাবে ক্যাপিটাল ফন্টে মেসেজ দিতে থাকো, সবাই ভাববে তুমি মনে হয় সবসময়ই খুব রেগে অথবা এক্সাইটেড থাকো। এটাও বেশ আনপ্রফেশনাল চ্যাটিং, বাদ দেবে এটা।

    ৫/ Be right back ব্যবহার করো, স্মার্ট থাকো!

    আমাদের, বিশেষত বাঙ্গালির মধ্যে একটা বড় সমস্যা কি জানো? ধরো তুমি কারো সাথে চ্যাট করছো অনেকক্ষণ থেকে। বেশ দারুণ কথা চলছে। এর মধ্যে তোমার ডিনারের ডাক পড়লো। আম্মুর ডাকে সাড়া দিয়ে তুমি চ্যাটিং ছেড়ে উঠে এলে, ওপ্রান্তের মানুষটা কিন্তু জানে না তুমি কোথায় গেলে। সে তোমার জন্যে অপেক্ষা করতে করতে প্রথমে কনফিউজড, পরে রাগ এবং সবশেষে হতাশ হয়ে মনে মনে তোমাকে এক দুইটা গালি দিয়ে মেসেঞ্জার থেকে বের হয়ে যায়।

    এই রকম ঘটনা যাতে না ঘটে, তার সহজ উপায় হচ্ছে be right back বা brb বলে চলে যাওয়া, তাতে অন্যপ্রান্তের মানুষটি বুঝবে তোমার ব্যস্ততা এবং ওই হিসেবেই তোমাকে নক করবে। গালিও খেতে হবে না তোমার, অন্যদিকে তোমার স্মার্টনেসে মুগ্ধ হবে সবাই।


    আরও পড়ুন:

    মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কী? জেনে নিন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড -এর কিছু কার্যকরী ব্যবহার

    নামাজ পড়ার নিয়ম: কোন নামাজ কত রাকাত ও নামাজের ফরজ কয়টি?


    ৬/ হুট করে কাউকে কোন থ্রেডে অ্যাড করবে না:

    ধরো, খুব জম্পেশ একটা আড্ডা দিচ্ছো তুমি। দারুণ জমজমাট আড্ডা, বন্ধুদের সাথে হাসি-আনন্দের শেষ নেই। হুট করে তোমার বন্ধু তার এক বন্ধুকে নিয়ে এলো আড্ডায়। তাকে তুমি চেনো না, তার কিছুই তুমি জানো না। হাসি ঠাট্টাটা কিন্তু হুট করেই থেমে যাবে! নতুন মানুষটা যেমন বিব্রত হবে, তুমি আরো বেশি বিব্রত হবে নতুন মানুষের সামনে।

    ফেসবুক চ্যাটিং এও এই বিষয়টা খুব হচ্ছে ইদানীং। মেসেঞ্জারে কোন গ্রুপ থ্রেডে হুট করেই মানুষদের অ্যাড করে দেয়া হচ্ছে, তারা নিজেরাও কনফিউজড হয়ে যাচ্ছে সেখানে আসলে তাদের কাজটা কী! 

    এই সমস্যার সমাধান খুব সোজা। যদি ওই থ্রেডে নতুন কাউকে অ্যাড করতে হয়, তাহলে তাকে অ্যাড করে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দাও। তাকে জানাও, কী নিয়ে কথাবার্তা চলছে সেই থ্রেডে। তাকে পরিবারের একজন করে নাও, তাতে ঝামেলা কমবে। ওহ হ্যাঁ, অ্যাড করার আগে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে নেবে!

    Microsoft Office 3 in 1 Bundle

    Microsoft Office এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি সফটওয়্যার: Word, Excel এবং Powerpoint শিখুন একটি কোর্স বান্ডলের মাধ্যমেই!।

     

    ৭/ কাজের কথায় আসো:

    ফেসবুকে নতুন একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে। Wave নাম। তো চালু হবার পর থেকেই দেখা গেল বিভিন্ন মানুষ আমাকে ওয়েভ দেয়। আমি বলি, ‘কী খবর’? তারা আমাকে আরো ওয়েভ দিতে থাকে। এই বিষয়টা চলতেই থাকে।

    আবার অনেকে আছে, আমাকে লেখে “Hey bhaiya!” আমি রিপ্লাই দেই, দুইদিন পরে আবারো একই মেসেজ! এই “Hey Bhaiya!” রোগের রোগীরা মনে হয় একটা Loop এর মধ্যে পড়ে যায়, অন্য কিছু তাদের মাথাতেই আসে না!

    বলা বাহুল্য, এই বিষয়টা পাল্টাতে হবে। তোমার মেসেজে, শুরুতেই সালাম দিয়ে লিখে ফেলবে ঠিক কেন তুমি তাকে মেসেজ করছো। খোলাখুলি কথা বললে সাফল্যের হারও থাকে বেশি।

    ৮/ মেসেঞ্জারে কল দেয়ার আগে জিজ্ঞেস করে নেবে

    আগেকার দিনে মোবাইল ফোনে একটা বিষয় ছিল। যে কল দিতো, তার যেমন টাকা কাটতো, যে কল রিসিভ করতো, তারও টাকা কেটে নেয়া হতো। ফেসবুক মেসেঞ্জারেও কিন্তু একই অবস্থা, কথা বললে মেগাবাইট কেটে নেয়া হয় দুই পক্ষ থেকেই!

    ধরো তুমি আছো ওয়াইফাই জোনে। তোমার বন্ধুর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে খুব, ফ্রি ওয়াইফাই বলে কথা! তোমার বন্ধু আছে রাস্তায়। ফোনে মাত্র এক মেগাবাইট বাঁচিয়ে রেখেছে, পাঠাও কল করা লাগবে তার। বলা নেই কওয়া নেই, তুমি তাকে ফোন দিয়ে দিলে। ত্রিশ সেকেন্ড কথা বলে সে দেখলো তার মেগাবাইট সব শেষ, পাঠাও আর কল করা হলো না তার। মনে মনে অনেকগুলো গালি দিলো সে তোমাকে।

    এই বিষয়টা করবে না। রাত-বিরাতেও কাউকে মেসেঞ্জারে ফোন দেবে না, যদিও তারা একটিভ থাকে। মেসেঞ্জার কল করার সময় আগে ছোট্ট একটা অনুমতি নিয়ে নেবে, তাহলেই হবে। তাতে কোন অসুবিধাই হবার কথা নয়।

    আমার ভাই, সাদমান থাকে আমার পাশের রুমে। তারপরেও আমাদের কোন দরকার হলে আমরা কথা বলি মেসেঞ্জারে। ধরা যাক, আমার খুব চকলেট খেতে ইচ্ছে করছে, চকলেট ফ্রিজে।  আমি সাদমানকে মেসেঞ্জারে কল দিয়ে বলি চকলেটটা নিয়ে আমার রুমে আসতে। সে তখন বলে আম্মুকে মেসেঞ্জারে কল দিতে, সাদমান জানে না চকলেট কোথায়।

    এইভাবে আমাদের মধ্যে মেসেঞ্জার কলেই কথা হয়, দিন কেটে যায়। মেসেঞ্জারের এই ভুলগুলো শুধরে উঠে তুমি হয়ে উঠতে পারো সফল একজন মানুষ!


    আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:



    ১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com


     

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন