আমরা যখন খুব ছোট, কেবল সুর করে পড়তে শিখেছি “অ-তে অজগর, অজগরটি আসছে তেড়ে, আ-তে আম, আমটি আমি খাব পেড়ে”, তখনই আমাদের মনের মধ্যে যেভাবেই হোক, ঢুকে যায় (বা ঢুকিয়ে দেয়া হয়!) বড় হয়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবো। আর যদি তোমার স্বপ্ন থাকে একজন ইঞ্জিনিয়ার হবার, তাহলে অবশ্যই তোমার স্বপ্নের পরিধির একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকে বুয়েট। কিন্তু কেন বুয়েটে পড়ব? শুধুই কি একজন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য? মোটেও না!
ঝটপট প্রতিজ্ঞা করে ফেলি, বুয়েটে পড়ব কিছু মজাদার স্মৃতি অর্জনের জন্য। বাকিটা বোনাস!
১। হল
হল বললেই হয়তো আমাদের মনে ভেসে ওঠে হোগওয়ার্টসের মত ম্যাজিকাল এবং মজাদার ব্যাপার-স্যাপার। হলফ করে বলতে পারি, বুয়েটের হল হোগওয়ার্টসের মত ম্যাজিকাল না হলেও হোগওয়ার্টসের চেয়েও অনেক বেশি আনন্দময় অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার।
নতুন বন্ধুত্বের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত জীবনের স্বাদ, হলগুলো তোমাকে দেবে এক নতুন আনন্দময় সুধা। আর পাশাপাশি বার্ষিক হল ফেস্টের মত বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আছে গরু উৎসব, খিচুড়ি উৎসব, তরমুজ উৎসবের মত ফেস্ট (মজার না?)
২। ফেস্টিভ বুয়েট
বুয়েটে সব মোটামোটা ফ্রেমের চশমা পরা রসকষহীন মানুষজন থাকে। তাঁদের জীবনে শুধু আছে মোটামোটা বই, কোড আর ম্যাথমেটিকাল ইকুয়েশন। তাঁরা আনন্দ করতে, উপভোগ করতে জানে না।তুমি কি জানো, এটা কত বড় ভুল ধারণা?! তোমার এই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে পারে বুয়েটের প্রতিটি ফেস্ট।
প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের রিসেপশন, স্বাধীনতা-বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখ, Rag Batch কনসার্ট, কালার ফেস্ট, ডিপার্টমেন্টাল পিকনিকগুলোর প্রতিটি তোমার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করবে আর বুয়েটের প্রেমে ফেলবে, নিশ্চিত!
৩। ভোজনবিলাস(!)
তুমি কি ভোজনরসিক? উত্তর হ্যাঁ? কোথায় ছিলে এতোদিন?! বুয়েট তোমারই জন্য! ব্যাপারটা এমনই যে, ক্লাস টেস্টে খারাপ করেছ সব বন্ধুরা? চল চাঙ্খারপুল থেকে খেয়ে আসি। আজকে ক্লাসে কারো জন্মদিন? চল ‘পলাশীর চাইনিজ(!)’ খেয়ে আসি সবাই। গভীর রাতে বন্ধুরা মিলে খেতে বের হওয়ার পাশাপাশি পলাশী আর ক্যাফের ফলের জুস তো আছেই। তাহলে দেরি কেন?!
বুয়েট কোশ্চেন সলভ কোর্স
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:
৪। অনুপ্রেরণার বুয়েট
বুয়েট ক্যাম্পাসে তুমি তোমার আশেপাশে যাঁদের দেখবে বা যাঁদের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ পাবে, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব।শুধু চিন্তা করো…ফজলুর রহমান খান, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, আইনুন নিশাত, ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, আনিসুল হক, মুনির হাসান স্যারদের মত বড় মাপের মানুষরা যে রাস্তায় একসময় হেঁটেছেন বা হাঁটছেন, তুমিও হতে পারো তাঁদের উত্তরসূরী!
৫। তৃপ্তির ঢেঁকুর(!) :
তোমার বাবা-মা নিশ্চয়ই কখনো তোমার পড়ালেখায় সন্তুষ্ট না? তাঁরা মনে করেন তুমি ঠিকমত পড়ছো না, আরো দরকার। বুয়েটে ভর্তি তোমার জন্য বয়ে আনতে পারে স্বস্তির সুবাতাস! যখন কেউ তোমাকে জিজ্ঞেস করবে, কোথায় পড়ো…তোমার আগে তোমার বাবা-মা মহা উৎসাহে বলে দিবেন, “আমাদের ছেলে/মেয়ে বুয়েটে পড়ে।” আমাদের জন্য যারা এতটা কষ্ট করছেন, তাঁদের মনে হয় এই উপলক্ষ দেয়া যেতেই পারে। বিশ্বাস করো, যে তৃপ্তি তুমি তাঁদের চোখেমুখে দেখবে, তা অমূল্য। সাথে বুয়েটে ভর্তি মাত্রই বোনাস হিসেবে পাচ্ছো আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত-অপরিচিত সবার অতিরিক্ত খাতির যত্ন! তৃপ্তির ঢেঁকুর একটা আসবেই, হোক না সেটা গোপনে!
ইঞ্জিনিয়ারিং এডমিশন কোর্স ২০২২
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীরা পাবে:
আরও পড়ুন:
শেষ মুহূর্তের বুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি
বুয়েটে পড়তে পারলে এত ভালো ভালো বিষয় যখন তোমার সাথে ঘটতে চলেছে, বুয়েটে আসার জন্য কিছুটা প্রস্তুতি নেওয়াই যায়, তাইনা?! যেকোনো ভর্তি পরীক্ষাই কিছুটা প্রতিযোগিতার। তাই এক্ষেত্রে প্রস্তুতিও হতে হবে সেরা। সেটা কেমন? কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক।
১। ভর্তি পরীক্ষা অনেক কঠিন ব্যাপার। বিশেষত বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা…সে তো আরো এলাহী কাণ্ড – এসব ভেবে হতাশ হয়ে বসে থাকলে মোটেই চলবে না। বরং প্রস্তুতি নিতে হবে নিজের সবটুকু দিয়ে। পরিশ্রমে কি না হয়?! নাওয়া খাওয়া ভুলে রাতদিন পড়তে হবে, ব্যাপারটা তা নয়। বরং তোমাকে লক্ষ্য রাখতে হবে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহারের। দুইদিন অনেক বেশি পড়াশোনা করে ফেললাম, আর দুইদিন রিলাক্স করলাম, এসব বাদ দিতে হবে। নিয়মিত রুটিন করে পড়াশোনা করতে হবে। এতে করে চাপ কম পড়বে আর প্রস্তুতিও ফলপ্রসূ হবে।
২। একটা মজার ব্যাপার হলো, বিজ্ঞাপন দেখে বা ভয় পেয়ে অনেক ধরণের কঠিন কঠিন বই পড়া শুরু করে। কিন্তু সত্যি ব্যাপারটা কি জানো? তোমার যে মূল বইগুলো আছে এইচএসসির, সেগুলো যদি তুমি ভালোমত জানো, অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্য পাবে। এটা সব ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সত্য। ভর্তি পরীক্ষা প্রতিযোগিতামূলক। তাই এখানে ভালো করার কিন্তু কোনো শর্টকাট নেই। প্রশ্ন যেকোনো জায়গা থেকে (তবে অবশ্যই তোমার সিলেবাসের) হতে পারে। তাই শর্টকাটের আশায় না থেকে বইগুলো ভালোমত আয়ত্ব করার চেষ্টা করো।
১০ মিনিট স্কুলের পক্ষ থেকে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি-সহায়ক অনলাইন লাইভ এডমিশন কোচিংয়ের আয়োজন করা হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে!
৩। একটা প্রশ্ন সবার মনেই থাকে, বাজারে এত লেখক/প্রকাশনীর বই, কোনটা পড়ব। সিলেবাসে যে টপিকগুলো আছে, সেগুলো দেখ। কোন বই থেকে বুঝতে তোমার সুবিধা হচ্ছে, সেটা পড়। যে বইটিই পড়না কেন, সেটা ভালোমত আত্মস্থ করো, তাতেই চলবে। সাথে অনুশীলনের জন্য বাড়তি বই রাখতে পার। যারা ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায়, তারা প্রত্যেকেই কিন্তু নিজের যোগ্যতাবলেই পায়। চান্স কিন্তু সবাই পায় না। এর কারণ ভর্তি পরীক্ষায় সময় থাকে কম। যা এইচএসসিতে হয়তো ১০ মিনিটে করেছ,তা হয়তো অর্ধেকেরও কম সময়ে করে ফেলতে হবে। তাই সময়ের দিকে নজর রাখা খুবই জরুরি। আর এতে তোমাকে সাহায্য করবে প্রচুর অনুশীলন।
৪। কখনোই অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করবে না। আরেকজন ভালো করছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তুমিও ভালো করবে, আরো পরিশ্রম বাড়াও। আরেকজন খারাপ করছে, তাতেও তৃপ্তির সুযোগ নেই। নিজের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করো, আরেকজনের সাথে প্রতিযোগিতার নয়।
হতাশ হলে চলবে না কোনোমতেই!
৫। বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন দেখ এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সলভের চেষ্টা করো। এটা অনেক উপকারী। এতে কোশ্চেন প্যাটার্ন আর নিজের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হবে। বুয়েটে যেহেতু পুরো পরীক্ষাই লিখিত, তাই বইয়ের সব টপিকের কনসেপ্ট ক্লিয়ার থাকা সবচেয়ে জরুরি। প্রতিটি টপিক ভালোমত বোঝার চেষ্টা করবে। কারণ কোশ্চেন হয় এই বেসিক ব্যাপারগুলো থেকেই। পরীক্ষা পদ্ধতির কিছুটা ধারণা পেতে ঘুরে আসতে পারো 10 Minute School এর BUET Admission Test Info থেকে।
আসলে ভর্তি পরীক্ষা কিন্তু অনেক বেশি কঠিন না। বুয়েটে চান্স পেতে অনেক বেশি মেধাবী হতে হবে, তা-ও না। যেটা প্রধান, তা হলো প্রচুর অনুশীলন আর রুটিনমাফিক পড়াশোনা। যদি কলেজে থাকাকালীনই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে পড়াশোনা করো, এতে তোমার কলেজ বা এইচএসসির ফলাফল যেমন ভালো হবে, বুয়েটে চান্স পাওয়াটাও সহজ হবে।
হয়তো এইচএসসির প্রস্তুতি আরো ভালো থাকলে যেটা তুমি ১০ মিনিটে পারতে, সেটা এখন ১৫ মিনিট লাগছে। এটাকে কাটাতে হবে। তার জন্য করণীয়? রুটিন করে পড়ালেখা। আর এইচএসসির প্রস্তুতি ভালো ছিল,তা নিয়ে আত্মতৃপ্তিরও সুযোগ নেই। তবুও পরিশ্রম করতেই হবে। নতুবা হয়তো অন্য কেউ তোমাকে কাটিয়ে যাবে। দুশ্চিন্তা ভর্তি পরীক্ষায় একটা খুব বাজে প্রভাব ফেলে। তাই সব দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। আর সাজেশন কিন্তু একটাই,’রুটিনমাফিক পড়াশোনা’! তো আশা করি দেখা হচ্ছে বুয়েটে!
আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:
- HSC Bangla Course
- ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩
- SSC 2023 শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কোর্স [বিজ্ঞান বিভাগ]
HSC 2023 ব্যাচের জন্য
- HSC 2023 শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কোর্স বান্ডেল
- HSC 2023 শর্ট সিলেবাস ক্র্যাশ কোর্স [বিজ্ঞান বিভাগ]
- HSC 2023 শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কোর্স [বিজ্ঞান বিভাগ]
- HSC 2023 শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কোর্স [বাংলা, ইংরেজি, ICT]
HSC 2024 ব্যাচের জন্য
- HSC 2024 ক্র্যাশ কোর্স – প্রথম পত্র [বিজ্ঞান বিভাগ]
- HSC 2024 ক্র্যাশ কোর্স – দ্বিতীয় পত্র [বিজ্ঞান বিভাগ]
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন