বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (Bangladesh Civil Service) বা সংক্ষেপে বিসিএস (BCS) হলো বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাশ করার জন্য আপনাকে বিসিএস সিলেবাসের (BCS Syllabus) ব্যাপারে কৌশলী হতে হবে। এজন্য কোন বিষয় থেকে কতটুকু পড়লে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নম্বর আপনি পেতে পারবেন সে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। যারা ৪৬তম বিসিএসের মাধ্যমে আপনাদের বিসিএস যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য এই সাজেশন অত্যন্ত উপকারী হবে বলে আমি মনে করি।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মানবন্টন
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য | ||
বাংলা সাহিত্য (মোট: ২০ নম্বর) | প্রাচীন ও মধ্যযুগ |
৫ নম্বর |
আধুনিক যুগ |
১৫ নম্বর |
|
বাংলা ব্যাকরণ |
১৫ নম্বর |
|
মোট |
৩৫ নম্বর |
|
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য | ||
ইংরেজি সাহিত্য (English Literature) |
১৫ নম্বর |
|
ইংরেজি গ্রামার (English Grammar) |
২০ নম্বর |
|
মোট |
৩৫ নম্বর |
|
বাংলাদেশ বিষয়াবলি |
৩৫ নম্বর |
|
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি |
২০ নম্বর |
|
গণিত |
১৫ নম্বর |
|
মানসিক দক্ষতা |
১৫ নম্বর |
|
সাধারণ বিজ্ঞান |
১৫ নম্বর |
|
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি |
১৫ নম্বর |
|
ভূগোল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা |
১০ নম্বর |
|
নৈতিকতা ও সুশাসন |
১০ নম্বর |
|
সর্বমোট |
২০০ নম্বর |
বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস: বাংলা সাহিত্য (২০ নম্বর)
প্রাচীন ও মধ্যযুগ (৫):
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগে আছে শুধু চর্যাপদ। এখান থেকে বিসিএস প্রিলিমিনারিতে প্রশ্ন আসবেই, প্রায় প্রতি বিসিএস -এই আসে। এছাড়া, মধ্যযুগেও টপিক সংখ্যা সীমিত। সব মিলিয়ে আপনি যদি প্রাচীন ও মধ্যযুগ অংশ খুব ভালোমত পড়েন, তাহলে সেখান থেকে ৫ নম্বর খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারেন। বাংলা সাহিত্যর প্রাচীন ও মধ্যযুগ বিসিএস সিলেবাস (BCS Syllabus) -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আধুনিক যুগ (১৫):
বাংলা আধুনিক যুগের কলেবর বৃহৎ। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাংলা সাহিত্যের এই ভাগে বেশ ভোগান্তিতে পড়ে। আপনি বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থী না হলে এখানে ৮০% এর অধিক নম্বর পাওয়ার চিন্তা না করাই ভালো (৮০% নম্বর পাওয়ার প্রয়োজনও নেই আসলে)। নিম্নলিখিত সাহিত্যিকগণের সকল সাহিত্যকর্ম যদি ভালোভাবে পড়ে যান, তাহলে এখান থেকে ৬/৭ নম্বর আপনি কমন পেতে পারেন-
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- কাজী নজরুল ইসলাম
- জসীম উদদীন
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
- মীর মশাররফ হোসেন
- দীনবন্ধু মিত্র
- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন
- কায়কোবাদ
- ফররুখ আহমদ
এছাড়াও বাংলা সাহিত্যে পঞ্চপাণ্ডব নামে খ্যাত নিম্নলিখিত সাহিত্যিকগণ সম্বন্ধেও আপনাকে জানতে হবে-
- জীবনানন্দ দাশ
- বিষ্ণু দে
- অমিয় চক্রবর্তী
- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
- বুদ্ধদেব বসু
আরো পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম: বিদ্রোহী বাঙ্গালির প্রতিচ্ছবি
বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন পত্রিকা বাংলা সাহিত্যের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এজন্যে প্রতিবছর বাংলা পত্রিকা ও তাদের সম্পাদক রিলেটেড ১/২টি প্রশ্ন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় থাকে। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনভিত্তিক বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম থেকেও নিয়মিতই প্রশ্ন থাকে এবং এগুলি বিসিএস সিলেবাস -এর বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই আধুনিক যুগের প্রিপারেশন নেয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে এই বিষয়গুলোতে ফোকাস করে আপনি যদি অন্যান্য ক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতি বিস্তৃত করতে পারেন তাহলে একটি স্মার্ট প্রিপারেশন আপনি খুব সহজেই নিয়ে নিতে পারবেন।
বিসিএস প্রিলি লাইভ কোর্স
কোর্সটিতে যা যা পাচ্ছেন:
বিসিএস সিলেবাস: বাংলা ব্যাকরণ (১৫ নম্বর)
বাংলা ব্যাকরণে ভালো করার জন্য আপনি “৯ম-১০ম শ্রেণির মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর বাংলা ব্যাকরণ” বইটি ফলো করতে পারেন। এছাড়াও বিগত বছরের প্রশ্ন এবং বিভিন্ন চাকুরির পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সল্ভ করতে পারেন। তবে সবার আগে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে পিএসসি কর্তৃক প্রদত্ত বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস (BCS Preliminary Syllabus) অনুযায়ী টপিকগুলো শেষ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ টপিক: প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি ও সমাস।
বিসিএস সিলেবাস: ইংরেজি সাহিত্য (English Literature) [১৫ নম্বর]
ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থী ব্যতীত সবাই কম-বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। আপনাকে প্রথমেই লেখকভিত্তিক প্রিপারেশন নেয়া উচিত কারণ প্রশ্নগুলো হয় লেখক কেন্দ্রিক। নিম্নলিখিত ২৫ জন সাহিত্যিককে নিয়ে আপনি যদি ভালোমত পড়েন তাহলে আপনি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৬/৭ নম্বর কিংবা তারও বেশি নম্বর কমন পেয়ে যেতে পারেন।
- G. Chaucer
- C. Marlowe
- William Shakespeare
- William Wordsworth
- John Milton
- John Keats
- S. T. Coleridge
- W. S. Maugham
- Charles Dickens
- Robert Browning
- Ernest Hemingway
- Jonathan Swift
- P. B. Shelley
- Edmund Spencer
- O’ Henry
- Bertrand Russell
- Jane Austen
- H. G. Wells
- G. B. Shaw
- Alfred Tennyson
- William Blake
- W. B. Yeats
- T. S. Eliot
- E. M. Foster
- Sir Walter Scott
এছাড়াও ইংরেজি সাহিত্যের যুগভিত্তিক টাইমলাইন, লিটারেরি টার্মস থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। অবশ্যই এগুলো পড়বেন। আর সবার আগে যে কাজটি করবেন, পূর্ববর্তী বছরে আসা সকল প্রশ্ন পড়ে ফেলবেন। এরপরে এই স্টেপগুলো ফলো করলে আপনি ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ তে ১০ কিংবা তারও বেশি নম্বর রাখতে পারবেন।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
English for Govt. Jobs
বিসিএস সিলেবাস: ইংরেজি গ্রামার (English Grammar) [২০ নম্বর]
ইংরেজি গ্রামারে ভালো করা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। সাধারণত ইংরেজিতে যাদের বেসিক ভালো তারা এখানে বেশ ভালো নম্বর রাখতে পারেন। যাদের ইংরেজিতে বেসিক দুর্বল এবং খুব দ্রুত বেসিক ভালো করার জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নেই, ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য তাঁরা নিচের দুইটি বই অনুসরণ করতে পারেন-
- English for Competitive Exam- M. Fazlul Haq (বিগত বিভিন্ন পরীক্ষার আসা ইংরেজি গ্রামার সম্পর্কিত সব প্রশ্ন নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে)
- Cliff’s Toefl (অল্প সময়ে ইংরেজি বেসিক ভালো করার জন্য কার্যকর একটি বই)
এছাড়াও রোজ ইংরেজি দৈনিক পড়ার অভ্যাস করুন। অনেকে বিসিএস এবং অন্যান্য চাকুরির পরীক্ষায় ভোকাবুলারি নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ে থাকেন। SAT এর হাই ফ্রিকুয়েন্সি ৮০০ ওয়ার্ড যদি আপনি আয়ত্ত্বে নিতে পারেন তাহলে ভোকাবুলারির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। শর্টকাটে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আপনি বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা ভোক্যাবুলারিগুলো পড়ে যান। কিছু কমন পেলেও পেতে পারেন।
বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস: বাংলাদেশ বিষয়াবলি (৩০ নম্বর):
বাংলাদেশ বিষয়াবলি নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী অনেক ঝামেলায় পড়ে থাকেন। এখানে আপনি যদি নিচের এই ৩টি টপিকের ওপর ভালো দখল রাখতে পারেন তাহলে ১৮-২০ নম্বর পর্যন্ত কমন পেতে পারেন।
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (এখান থেকে ৬ নম্বর কমন পেতে পারেন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায়)
- বাংলাদেশের সংবিধান (এখান থেকে সর্বোচ্চ ৯ নম্বর পর্যন্ত কমন পেতে পারেন)
- চলতি বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষা (এখান থেকেও বেশ কিছু প্রশ্ন কমন পাবেন)
এছাড়াও বাংলাদেশের অর্জন বিষয়ক সাম্প্রতিক তথ্যগুলো যদি আপনারা জানেন, তাহলে বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৬০-৮০% নম্বর আপনি অবশ্যই রাখতে পারবেন। গ্যারান্টেড।
বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস: আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (২০ নম্বর):
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে বিগত বিসিএস প্রিলি পরীক্ষাগুলোতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন বেশি আসে। সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি, পরিবেশগত কূটনীতি রিলেটেড বিষয়াদি, আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে বাংলাদেশের অবস্থান ইত্যাদি টপিকগুলোর উপরে ভালো ধারণা থাকলে ৬০% নম্বর এখান থেকে কমন পাবেন। সর্বোপরি ওয়ার্ল্ড ম্যাপের উপর ভিত্তি করে আপনি যদি আপনার প্রিপারেশন সাজান তাহলে এই বিষয়ের প্রস্তুতিতে আপনি স্বাভাবিকভাবেই অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস: গণিত (১৫ নম্বর):
গণিতে ভালো করার একটিমাত্র উপায়: প্র্যাকটিস, প্র্যাকটিস এবং প্র্যাকটিস। এর জন্য আসলে কোনো শর্টকাট সাজেশন নেই। আমরা যদি গণিতের বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস (BCS Preliminary Syllabus) ব্রেকডাউন করি তাহলে দেখতে পাই:
- পাটিগণিত থেকে ৩ নম্বর,
- বীজগণিত থেকে ৬ নম্বর,
- পরিমিতি থেকে ৩ নম্বর,
- সেট-সম্ভাব্যতা, বিন্যাস ও সমাবেশ থেকে ৩ নম্বর আসে।
এক্ষেত্রে আমার সাজেশন থাকবে আপনি আপনার স্ট্রেংথ ও উইকনেস বের করে যেখানে ফোকাস দেয়া জরুরি সেখানে ফোকাস করুন।
বিসিএস সিলেবাস: মানসিক দক্ষতা (১৫ নম্বর):
এখানে ভালো নম্বর পাওয়ার একমাত্র উপায় আগের বছরে আসা সকল প্রশ্নগুলো সল্ভ করুন। তাহলেই আপনি ১২/১৩ নম্বর রাখতে পারবেন এখান থেকে।
বিসিএস সিলেবাস: বিজ্ঞান (১৫ নম্বর)
বিজ্ঞানের পুরো বিসিএস সিলেবাস (BCS Syllabus) -কে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়:
- ভৌত বিজ্ঞান (ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রির টপিক এই ভাগের অন্তর্ভুক্ত)
- জীববিজ্ঞান
- আধুনিক বিজ্ঞান
এই ভাগেও প্রশ্ন অনেক রিপিট হয়। বিগত বছরের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নগুলি সল্ভ করুন। ১০ মিনিট স্কুলের ডাইজেস্ট অথবা বাজারে প্রচলিত যেকোন বই ফলো করুন। খুব সহজেই এই টপিকে ১০-১৩ নম্বর পেতে পারবেন।
বিসিএস সিলেবাস: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি (১৫ নম্বর):
আরো পড়ুন: কম্পিউটার কী? কম্পিউটার কত প্রকার? জেনে নিন বিস্তারিত
এই ভাগের প্রশ্নগুলো বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছে একটু কঠিন হয়। যারা ইন্টারমিডিয়েটে আইসিটি পড়েছেন তারা এখানে কিছুটা সুবিধা পান। এক্ষেত্রে প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের ১১-১২ শ্রেণির আইসিটি বইটি বিসিএস প্রিলিমিনারির সিলেবাস ধরে পড়লে উপকৃত হতে পারেন, তাতেই এই অংশের ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে বলে আসা করা যায়। ক্লাউড কম্পিউটিং, অপারেটিং সিস্টেম, ক্লায়েন্ট সার্ভার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি টপিকের বেসিক বুঝতে অনেকে সমস্যাইয় পড়েন। টেন মিনিট স্কুলের আইসিটি ক্লাসগুলো এই বেসিকগুলো ডেভেলপ করতে আপনাকে অনেকাংশে সাহায্য করবে। নিম্নলিখিত কিছু টপিক থেকে প্রতি বছর কিছু না কিছু প্রশ্ন এসে থাকে। তাই আইসিটি প্রিপারেশনের ক্ষেত্রে এই টপিকগুলোর উপর গুরুত্ব প্রদান করা উচিত:
- কম্পিউটারের অঙ্গ সংগঠন
- অপারেটিং সিস্টেম
- কম্পিউটার প্রোগ্রাম, ভাইরাস, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি
- ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
- সেলুলার ডেটা নেটওয়ার্ক
- মোবাইল ডেটা নেটওয়ার্ক
- ক্লায়েন্ট সার্ভার ম্যানেজমেন্ট
- ক্লাউড কম্পিউটিং
সরকারি চাকরি প্রস্তুতি বেসিক কোর্স
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
বিসিএস সিলেবাস: ভূগোল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (১০ নম্বর):
ভূগোল পড়ার ক্ষেত্রে নিচের স্ট্র্যাটেজিটি অনুসরণ করতে পারেন।
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (২ নম্বর): অনেক ছোট একটি অংশ। প্রশ্ন আসবেই। আর তথ্যও সীমিত। ১ দিন সময় দিলেই এটার ওপরে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রিপারেশন হয়ে যাবে।
- ভৌগোলিক উপাদানসমূহ (যেমন: শিলা, খনিজ, জলপ্রপাত, প্রণালী ইত্যাদি) (২ নম্বর)
- বাংলাদেশ ও অঞ্চল ভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পারিবেশিক, আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব (২ নম্বর): এই টপিকটি পড়লে আপনার এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। বাংলাদেশ বিষয়াবলি এবং ভূগোল দুইটি অংশই এই টপিক কাভার করবে।
- বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ (২ নম্বর)
- বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক জলবায়ু (২ নম্বর)
বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস: নৈতিকতা ও সুশাসন (১০ নম্বর):
অনেকে এই টপিক পুরোপুরি তাদের বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস (BCS Preliminary Syllabus) থেকে বাদ দেন এই ভেবে যে এখানে উত্তর করলে নেগেটিভ নম্বর পাবার চান্স বেশি। এখানে ফুল মার্কস পাওয়া আসলেই কঠিন। তবে বিসিএস প্রিলিতে তো পাশ করার জন্য আপনার পূর্ণ নম্বর পাওয়ার দরকারও নেই। আপনি কিছু নির্দিষ্ট টপিকের ওপর ফোকাস করলে এখান থেকে ৫/৬ নম্বর খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে পেতে পারেন। কীভাবে?
বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন সম্পর্কিত যত উক্তি দিয়েছেন, সেই উক্তিগুলো পড়ে ফেলুন। সুশাসনের উপাদান একেকটি সংস্থা একেকরকম বলেছে। যেমন, জাতিসংঘের সুশাসনের উপাদান সংখ্যা একটি আবার বিশ্বব্যাংকের উপাদান সংখ্যা আরেকটি। এগুলো থেকে প্রতি বছর প্রশ্ন হয়। তাই এটি নিয়েও পরিষ্কার ধারণা নিয়ে যাবেন।
নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অনেক প্রকারভেদ আছে। এই প্রকারভেদ থেকে প্রশ্ন নিয়মিত আসে। এটি পড়ে ফেলতে পারেন। সর্বোপরি, বিগত বছরের সব প্রশ্ন ভালোমত পড়ে যাবেন।
আপনি যদি কৌশলী হয়ে উপরিউক্ত উপায়ে বিসিএস প্রিলির জন্য প্রিপারেশন নিতে পারেন, তাহলে ২/৩ মাসের পরিশ্রমেই আপনার বিসিএস প্রিলিমিনারি পাশ করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি। অবশ্যই সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার সময়ের সর্বোচ্চ ভাগ পড়াশুনায় বিনিয়োগ করতে হবে। সাফল্য পেতে গেলে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। আপনার বিসিএস যাত্রা শুভ হোক।
লেখক:
কে. এম. রাফসান রাব্বি
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
(৪০তম বিসিএস ‘প্রশাসন ক্যাডার’-এ মেধাক্রম: ৪৮)
সাবেক সহকারী পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- সরকারি চাকরি প্রস্তুতি বেসিক কোর্স
- সরকারি চাকরি পরীক্ষা মডেল টেস্ট
- ব্যাংক জবস কোর্স
- ব্যাংক জবস প্রশ্ন সমাধান + মডেল টেস্ট কোর্স
টেন মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন