পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবার শুনে নাও।
ব্যর্থ মনে হচ্ছে নিজেকে? মনে হচ্ছে কিছুই হবে না তোমার দ্বারা?
বর্তমান সময়ে তরুণদের বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স। নিজেকে অন্যদের থেকে ক্ষুদ্র ভাবা, অকাজের ভাবা, অকারণে নিজেকে ব্যর্থ মনে করা – এগুলোই ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সের লক্ষণ।
এই ব্যাপারটা যেমন একজন মানুষের সর্বোচ্চ সক্ষমতাকে বিকশিত হতে দেয় না, তেমনি এটি ঠেলে দেয় এক বিষণ্ণ জীবনের দিকে। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স যে কারো জীবনেই বড় অভিশাপ হয়ে আসতে পারে। এই ভয়াবহ জিনিসটি কাটিয়ে ওঠার কিছু পন্থা দেখে আসা যাক –
১। নিজের জীবনধারা পাল্টাও
যদি মনে হয়ে থাকে অন্য মানুষরা তোমার থেকে ভালো করছে, বা নিজের জীবনকে তুমি সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছো না, তাহলে নিজের জীবনধারা পাল্টানোর সময় এটাই।
প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে বর্তমানের কোন কোন বিষয়গুলো তোমার জীবনকে সফলতার দিকে যেতে বাধা দিচ্ছে। খুঁজে নিয়ে সেগুলো বাদ দিতে হবে। এর পরপরই আসে জীবনের কোন বিশেষ দিকে ঘাটতি আছে না কি – তা বের করা।
যদি সামাজিক জীবনে, ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোন সমস্যা রয়ে থাকে – সমস্যাগুলোর উৎপত্তি বের করে তা ঠিক করে নিতে হবে। প্রথম দিকে এই কাজগুলো করতে খারাপ লাগতে পারে – যেমন বহুদিনের কোনো সম্পর্ক ছেদ করা বা নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসা, কিন্তু আখেরে লাভ তোমারই হবে।
Personal Fitness
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
২। মন্দ কথা বলা বন্ধ করো
তোমার হয়তো কিছু কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। হয়তবা তোমার মনে হয় তুমি অন্য অনেকের মত খুব আকর্ষণীয় নও কিংবা নিজের কাজে তুমি ততটা দক্ষ নও। তার মানে মোটেই এই না যে, তোমার কোনো গুণ নেই। তুমি হতে পারো অসম্ভব বুদ্ধিমান, সুন্দর মনের মানুষ।
নিজের নামে মন্দ কথা বলা বন্ধ করো। “আমি খুবই নড়বড়ে” না বলে “আমার আরো সাবলীল হতে হবে” বলা প্র্যাক্টিস করো। নিজের শরীর নিয়ে বাজে কথা না বলে, তুমি পরিমিত আহার আর ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের শরীরের যত্ন নিচ্ছ – এভাবে দেখার চেষ্টা করো বিষয়টাকে। যেসব বিষয় তোমাকে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভোগায়, সে সব জায়গায় উন্নতি করবার চেষ্টা করো।
৩। নিজেকেই নিজের রোল মডেল বানাও
আমরা অন্য মানুষকে এত বেশি অনুসরণ করি আজকাল, যে নিজের মত হওয়াটাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় মাঝেমাঝে। কোন ব্যক্তিকে রোল মডেল হিসেবে রাখা খুবই ভালো জিনিস, কিন্তু তাকে অন্ধভাবে অনুকরণ করাটা মোটেও ভালো নয়। বরঞ্চ এটা হয়ে দাঁড়ায় সমস্যার মূল।
আমরা ক্রমাগত অন্য কেউ হতে চাই, তার মতো জীবন চালাতে চাই, আর এটাই থাকে সাধারণত ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সের মূলে।
তোমার যেসব ইতিবাচক দিক রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করো
রোল মডেলের যে জিনিসগুলো ভাল্লাগে, সে জিনিসগুলো ফলো করো। তার আইডিয়াগুলো নিজের জীবনে কাজে লাগাবার চেষ্টা করো। কিন্তু অন্ধ অনুকরণে যেও না, নিজের সত্ত্বাকে হারিয়ে ফেলে কেউ বড় হতে পারে না। একটা জিনিস তোমার মেনে নিতেই হবে – তোমার রোল মডেলের অবিকল হওয়া তোমার পক্ষে কখনোই সম্ভব না। নিজের গতিতেই তোমার নিজের এগিয়ে যেতে হবে।
৪। নিজের দুর্বলতার বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা বাদ দাও
তোমার হয়তো মনে হতে পারে, জীবনের একমাত্র সমস্যা তোমার দুর্বলতাটাই। ওই এক জিনিস থেকে সব সমস্যা, সব খারাপ জিনিসের সূত্রপাত। এই চিন্তাগুলো এখনই বাদ দাও।
ব্যাপারটা মোটেই এমন না যে, তোমার দুর্বলতাটা তুমি কাটিয়ে উঠলেই বাকি সব সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে সেই দুর্বলতাটা তোমার হাতে নাও থাকতে পারে। ধরা যাক, তুমি খাটো। এটা জৈবিক প্রক্রিয়া, তোমার নিজের দোষ তো নয়!
ব্যাপারটা এমনও না যে, অলৌকিক উপায়ে তুমি লম্বা হয়ে গেলে সাথে সাথে তোমার জীবনের সব ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে। এই বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা বাদ দিয়ে নিজের জীবনকে উপভোগ করো, তোমার যেসব ইতিবাচক দিক রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করো।
৫। সবাই মোটেও তোমাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছে না
তোমার কোনো সমস্যা আছে? বন্ধুরা মনে করে তুমি খুব অগোছালো, অদ্ভুত, বিরক্তিকর? মানুষ ব্যঙ্গ করবে বা বিরক্ত হবে, এই ভয়ে কোন কাজ করতে পিছিয়ে যাও?
সবারই জীবনে কোন না কোন সমস্যা আছে। কেউই নিখুঁত জীবন যাপন করছে না। খুব সম্ভবত যার কথা ভেবে তুমি ভয় পাচ্ছো, সে নিজের কোন সমস্যা নিয়েই চিন্তায় আছে। তোমার বিষয়ে মাথা ঘামানোরই সময়ে নেই তার। তাই নিজের কোন সমস্যা থেকে থাকলেও সেটার ভয়ে স্বাভাবিক জীবনকে আটকে দিও না।
আরও পড়ুন:
সোশ্যাল মিডিয়া এর সদ্ব্যবহার: জেনে নাও কয়েকটি টিপস!
নিজেকে ছোট ভাবার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। জগতের প্রতিটি মানুষের জীবনেই ব্যর্থতা আসে, এইটাই প্রকৃতির নিয়ম। এই ব্যর্থতাকে মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। এর নামই জীবন, যা কারো জন্যই আটকে থাকে না।
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Study Smart Course by Seeam Shahid Noor
আপনার কমেন্ট লিখুন