আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে প্লেটো কিছু অসাধারণ জীবন দর্শনের দীক্ষা দিয়েছিলেন। সহজ সরল এই দর্শনগুলোর গূঢ় অর্থ রয়েছে, যা জীবনে চলার পথটাকে করে তুলবে মধুর।
দয়া হৃদয়ে প্রশান্তি আনে
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিসটি হচ্ছে ভালবাসা। স্বার্থহীন, চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে ভালবাসা। ছোট্ট শিশুর ফোকলা দাঁতের হাসি আমাদের মুখেও যেমন হাসি ফুটিয়ে তোলে, অনেকটা সেরকম।
পথে আমাদের কত না মানুষের সাথে দেখা হয়। বাসার গৃহকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে দোকানদার, রিকশাচালকসহ অনেক মানুষ আমাদের সেবা দিয়ে চলেছেন প্রতিদিন। এই মানুষগুলোর সাথে আমরা যদি একটু সুন্দর ব্যবহার করি, হেসে কথা বলি, একটু খোঁজ-খবর নেই তাঁরা কেমন আছেন- তাতে আমাদের কোন পরিশ্রম হবে না, কিন্তু মানুষগুলোর মনটা অনেক আনন্দে ভরে উঠবে।
রবীন্দ্রনাথের জীবনে একটি গল্প আছে। তাঁর ঘরে কাজ করত বুড়ো মতন একটি লোক। টানা দুইদিন সে কাজে আসেনি, রবীন্দ্রনাথ তো বেশ চটেছেন। তাকে ধমকালেন, ‘কই ছিলে দুইদিন?’ লোকটি নির্বিকার মুখে গামছা দিয়ে চোখ মুছে বললো, তার একমাত্র মেয়েটি মারা গেছে বলে দুইদিন আসা হয়নি কাজে। রবীন্দ্রনাথ হতবাক হয়ে গেলেন।
আমাদের চারপাশে মানুষগুলোর প্রত্যেকের একটি করে গল্প আছে- সংগ্রামের, বেদনার, যন্ত্রণার। একটুখানি দয়া সেই ক্ষতে ঢেলে দিতে পারে প্রশান্তির প্রলেপ। এতে হয়তো জগত বদলে যাবে না, কিন্তু সেই মানুষটির জগত আমূল বদলে যেতে পারে।
ভাবিয়া করিও কাজ
আমাদের সবার জীবনেই এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে যেটার কথা ভাবলে আমরা লজ্জা পাই। ভাবি, ইশ! যদি সেই সময়টায় আবার ফিরে যাওয়া যেত, তাহলে কথাটা অন্যভাবে বলতাম বা কাজটা ভিন্নভাবে করতাম!
একটি মানুষের সম্পর্কে ধারণা গড়ে ওঠার প্রধান মাধ্যম তার কথাবার্তা। ফেসবুকে অনেকেই এমন আচরণ করে থাকে যেটা মোটেই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য নয়। ‘Cool’ হতে চেয়ে এমন কিছু বলা বা করা ঠিক না যেটার জন্য পরে নিজেরই অনুতাপ করতে হবে।
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
ব্যাংক জবস কোর্স
যেকোন কোম্পানিতে প্রার্থী যাচাই করার সময় তার ফেসবুক একাউন্টটি দেখা হয় আজকাল। সেখানে যদি বস দেখে ‘একদিন তো মরেই যাবো!’ ‘এ কেমন বিচার!’-এধরণের স্ট্যাটাস দিয়ে ভরা, যেখানে সেখানে বেকুবের মতো ‘HAHA’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে বেড়ায় সেই প্রার্থী- তাহলে তার সম্পর্কে ধারণাটা কেমন হবে তা বুঝতেই পারছো!
বাস্তব জীবনে হোক আর ফেসবুকে হোক- বুঝেশুনে কথা বলা, নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখা আমাদের সবার জন্যই অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
শুরু করো! এখনই!
যেকোন কাজ শুরু করার সবচেয়ে ভাল সময় হচ্ছে- এখন! অপেক্ষা করো না, শুরু করে দাও! আমরা সবাই এমন কাউকে চিনি যে অনেকদিন ধরেই কিছু লিখতে/আঁকতে/স্কিল শিখতে/ব্যায়াম শুরু করতে চাচ্ছে, কিন্তু বিভিন্ন কারণে করা হচ্ছে না এবং ৯৯% ক্ষেত্রেই দেখা যায় কারণটা আর কিছুই নয়- আলসেমি। আত্মবিশ্বাসের অভাব।
আবার অনেকে ভাবে ‘আরেকটু দক্ষ হয়ে নিই, তারপর শুরু করে দিবো।’ এটাও ভুল একটি সিদ্ধান্ত। কেন বলছি? কারণ, যে মানুষটির দাঁতে সমস্যা সে কিন্তু কাউকে হাসতে দেখলেই মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করে তার দাঁতগুলো কীরকম! তোমার হয়তো কখনো এভাবে কারো দাঁত দেখার কথা মাথায়ই আসেনি!
ঠিক সেরকম, মনে করো, আমার রান্না শেখার ইচ্ছা।আমি একশোটা অনুষ্ঠান দেখলাম রান্নার উপর কিন্তু কখনো বাস্তবে কিছু রান্নার চেষ্টা করিনি।
এভাবে কিন্তু শেখা হবে না। যখন আমি নিজে রান্না করতে যাবো, তখনই কেবল সূক্ষ্ম বিষয়গুলো- বিভিন্ন উপাদান কতোটুকু কীভাবে দিতে হয়, কীভাবে নাড়তে হয়, মেশাতে হয় ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সচেতনভাবে আমার মস্তিষ্ক লক্ষ্য করতে শিখবে এবং শেখাটা সার্থক হবে।
তাই যে অবস্থায়ই থাকো না কেন, কাজ শুরু দাও। শুরু করলে ফলাফল আসবেই, বিজয় হবেই!
প্রতিদিন একটি ভাল কাজ করো!
আমাদের সবার ভেতর ‘Mirror Neuron’ বলে একটি জিনিস আছে, তাই কেউ আমাদের সাথে হাসিমুখে কথা বললে আমাদের ভাল লাগে, আবার কেউ ঝগড়াটে সুরে কথা বললে আমাদের মেজাজটাও সাথে সাথে খিঁচড়ে যায়! ঠিক সেরকম, তুমি একটি ভাল কাজ করলে সেটির অনেক সুদূরপ্রসারী প্রভাব হতে পারে।
প্রতিদিন আমরা ফেসবুকে/পত্রিকায় অনেক মন খারাপ করা খবর দেখি এবং আমাদের ইচ্ছে করে কিছু একটা করার, কিন্তু ‘আমি একা কীই বা করতে পারবো’-এই ভেবে কিছুই করা হয় না।চিন্তা করে দেখো, লাখ লাখ মানুষ এরকম ‘আমি একা কিছু করতে পারবো না’ মানসিকতা নিয়ে বসে আছে, কিন্তু কিছু করছে না- তাদের যদি একসাথে করা যেতো তাহলে কিরকম একটা বিপ্লব বয়ে যেতো!
কোর্সটিতে যা যা পাচ্ছেন:
বিসিএস প্রিলি লাইভ কোর্স
তাই সবসময় মনে রেখো, তুমি একা নও। তোমার সাথে লাখো মানুষের সমর্থন আছে, কিন্তু সেটি তুমি জানতে পারবে না যতোক্ষণ না তুমি বাস্তবে কাজ শুরু করছো! একটি ভাল কাজ একটি বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে।
ব্যাপারটি অনেকটা ‘Butterfly Effect’ এর মতো, একটি প্রজাপতি ডানা ঝাপটালে সেটির সুদূরপ্রসারী প্রভাবে কোথাও একদম ঝড়-ঝঞ্ঝা বয়ে যেতে পারে! Hope is a good thing, & no good thing ever dies.
ভেতরের বারুদটিকে জ্বালিয়ে তোলো!
আমাদের সবার ভেতর একটা বারুদ আছে, কেউ কেউ সেটিকে খুঁজে বের করে জ্বালিয়ে দেয় এবং তখন একটি অসাধারণ ব্যাপার ঘটে যায়- মানুষটির আত্মবিশ্বাস আকাশ ছুঁয়ে যায়! কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ সেই বারুদটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে না, অথবা পরিবার/সমাজের চোখরাঙানির ভয়ে স্বপ্নের পথে পা বাড়াতে সাহস পায় না।
চোখ বন্ধ করে একবার চিন্তা করো- ছোটবেলায় বাবার হাতে পিটুনি খেয়ে সাকিব আল হাসান যদি খেলাধুলা ছেড়ে পড়ালেখায় মন দিতেন, তাহলে হয়তো এখন রাত-দিন এক করে নাক-মুখ গুঁজে প্রস্তুতি নিতেন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য! তাঁর বারুদটি ছিলো খেলাধুলার ক্ষেত্রে, তিনি হাজার প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সেটি থেকে সরে আসেন নি।
It’s all about MINDSET. স্রষ্টা সবাইকেই অপরিমেয় ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছেন, বেশিরভাগ মানুষ সেটিকে কাজে লাগায় না। তোমার ক্ষমতাটি কী সেটি খুঁজে বের করো, কাজে লাগাও- তা নাহলে সারাটি জীবন কেটে যাবে এমন পেশায় যেটিতে তুমি আনন্দ অনুভব করো না।
একটি মাত্র জীবন, ভুল পেশায় মাথাকুটে মরে কাটিয়ে দেওয়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছু হতে পারে না।
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন