পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবারে শুনে নাও!
আজকাল যেকোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দেয়ার আগে আপনাকে আপনার সিভি এবং সাথে একটি কভার লেটার জমা দিতে হবে। আমাদের অনেকেরই ধারণা যে, সিভির সাথে পাঠানো কভার লেটারটি পড়ে দেখা হয় না। এটি কিন্তু একদম ভুল। কোথাও চাকরি পেতে হলে আপনার সিভি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি কভার লেটারটিও। কিন্তু এই কভারলেটার লেখার সময় আমরা বেশ কিছু ভুল করে ফেলি।
এ ধরণের ১০ টি কভার লেটার কিলার নিয়ে আজকের এই লেখাটি।
১. সঠিক সম্বোধন ব্যবহার না করা
কভার লেটারের শুরুতেই ”To whom it may concern” বা ”Dear Sir/ Madam” লেখার যুগ আর নেই এখন। এই শব্দগুলোর পরিবর্তে হায়ারিং ম্যনেজারের নাম ব্যবহার করুন। কোনো কারণে সঠিক নাম না জেনে থাকলে ”Dear Hiring Manager” বা ”Dear Human Resources Manager” এই ধরনের সম্বোধন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
২. পদ বা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করতে ভুলে যাওয়া
আমরা অনেকেই একই সিভি, একই কভার লেটার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেইল করে থাকি। এক্ষেত্রে পদ বা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। এ ধরনের ভুল খুবই দৃষ্টিকটু। তাই কভার লেটারটি সেন্ড করার আগে বারবার রিচেক করুন আপনি যে পদ বা প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করছেন তা সঠিকভাবে লিখেছেন কি না।
৩.অপ্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান
আপনার কভার লেটারটি প্রাসঙ্গিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। আপনি যদি এমন কোনো অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন যা আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন সেটির সাথে সম্পর্কিত নয়, তাহলে সেটি কভার লেটারের মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। তাই শুধু সে বিষয়গুলোই উল্লেখ করুন যা প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ।
৪. সিভিতে লেখা বিষয়গুলোর পুনরাবৃত্তি করা
কভার লেটারে সে বিষয়গুলোই লিখুন যা আপনার সিভিতে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয় নি। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা খুব জরুরি, তা হলো – কভার লেটারে এমন কোনো বিষয় উল্লেখ করবেন না, যা আপনি আপনার সিভিতে লিখেন নি। অর্থাৎ, নতুন তথ্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. ওভার কনফিডেন্ট হলে চলবে না
আপনি আপনার কভারলেটারে অবশ্যই নিজের পারদর্শিতার দিকগুলো তুলে ধরবেন। কিন্তু এই কাজটি করার সময় যদি আপনার দাম্ভিকতা প্রকাশ পায় তাহলে সেটি আপনার চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। মনে রাখবেন- There’s a fine line between confidence and arrogance – make sure you don’t cross it.
৬. পর্যাপ্ত গবেষণা না করা
আপনি যে প্রতিষ্ঠানের চাকরিপ্রার্থী সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য আপনার জানা থাকা উচিত। না জেনে ভুল কোনো তথ্য কভার লেটারে লিখে ফেললে সেটি আপনার উদাসীনতার পরিচয় দিবে।
৭. মিথ্যা তথ্য প্রদান
কোনোভাবেই মিথ্যা কোনো তথ্য প্রদান করা যাবে না। যদি কোনো বিষয়ে আপনি পারদর্শী না হয়েও সেটি সম্পর্কে আপনার কভার লেটারে উল্লেখ করেন এবং পরবর্তীতে তা অসত্য বলে প্রমাণিত হয় তাহলে সেটি মোটেও আপনার জন্য মঙ্গলজনক হবে না। তাই মিথ্যা তথ্য প্রদান করা থেকে সবসময় বিরত থাকুন।
৮. সহজপাঠ্য এবং সংক্ষিপ্ত না রাখা
কভারলেটার লিখতে গিয়ে রচনা লিখে ফেললে কিন্তু মুশকিল। যিনি আপনার লেখা কভার লেটারটি পড়বেন তিনি যেন সেটি পড়তে পড়তে বিরক্ত না হন, এই বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি। আবার অনেকেই মনে করেন কঠিন সব শব্দের ব্যবহার আপনার কভার লেটারটিকে আকর্ষণীয় করে তুলবে। এটি ভুল একটি ধারণা। সহজ এবং সংক্ষিপ্ত কভার লেটার আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে।
৯. নিয়মাবলি না মানা
অনেক সময় কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি নিয়মকানুন উল্লেখ করে দেয় যা আপনার জন্য মেনে চলা বাধ্যতামূলক। আবেদন করার সময় কভার লেটারটি পাঠানোর আগে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নিয়ম মেনে চলা উচিত।
১০. অসম্পূর্ণ রাখা
কভার লেটারের শেষে যদি আপনি আপনার নাম বা সংক্ষিপ্ত পরিচয় উল্লেখ না করেন তাহলে সেটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই আপনার কভার লেটারের শেষ লাইনের নিচে আপনার নাম এবং সংক্ষিপ্ত পরিচয় লিখতে ভুলবেন না যেন!
এই লেখাটির অডিওবুকটি পড়েছে মনিরা আক্তার লাবনী
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন