কোনো একটি জ্ঞানচর্চা হয়।
চলো দেখে নেই, অন্যকে শেখানোর মধ্য দিয়ে কীভাবে তুমি নিজে লাভবান হবে:
১। যেকোন বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা অর্জন:
ধরো, তুমি মানবদেহে হৃদপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বেশ ভালো করে পড়েছো। পরের দিন তোমার মনে পড়ছে না। তখন তুমি সেটি আবার পড়ে তাকে বর্ণনা করলে। এতে পুরো রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়াটি তোমার মনে স্পষ্টভাবে গেঁথে গেলো!
এভাবেই যেকোনো বিষয় কাউকে শেখালে যেমন তুমি নিজের দুর্বলতাগুলোকে খুঁজে পাবে, তেমনি ঐ বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠবে।
২। সাবলীল বক্তা হিসেবে দক্ষতা অর্জন:
আমার মত অনেকেই আছো, যাদের জনসম্মুখে গুছিয়ে কথা বলতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়!
কিছু শেখানোর মাধ্যমে একজন সাবলীল বক্তার দুটি অসাধারণ গুণ অর্জন করা যায়।
প্রথমত, জনসম্মুখে কথা বলার সাহস লাভ করা যায়। অনেক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময়ে যে অস্থিরতা কাজ করে, তাকে জয় করা সম্ভব পড়ানোর মাধ্যমে।
কোনো বিষয় মুখস্থ করার চেয়ে আত্মস্থ করা শ্রেয়
দ্বিতীয়ত, গুছিয়ে কথা বলার দক্ষতা অর্জন করা যায়। সামনের মানুষটির মনোযোগ কীভাবে ধরে রাখা যায় কিংবা শব্দচয়নে কতটা সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার- ইত্যাদি বিষয়েও পারদর্শী হওয়া সম্ভব।
৩। আত্মবিশ্বাস অর্জন:
পড়ানোর মাধ্যমে যেমন উপস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পায় তেমনি আত্মবিশ্বাসও গড়ে ওঠে। ঠিক কোনভাবে একটি বিষয় উপস্থাপন করলে শ্রোতা বক্তার কথা বুঝতে পারবেন এবং বিষয়টি শ্রোতার কাছে আকর্ষণীয় হবে, তা পড়াতে গিয়ে উপলব্ধি করা যায়।
একজন ভালো উপস্থাপকের অন্যতম গুণ হলো শারীরিক অঙ্গভঙ্গির যথাযথ ব্যবহার, যা পড়ানোর মাধ্যমে শেখা সম্ভব। এসকল দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়েই একজন ব্যক্তি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
৪। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি:
পড়াতে হলে অবশ্যই আগে নিজের পড়তে হবে। পড়ার পাশাপাশি একই জিনিস বারবার কাউকে বুঝানোর সময় তা সহজেই স্মৃতিতে গেঁথে যায়। কোনো গণিতের সূত্র হয়ত তোমার সহজে মনে থাকে না, তবে এক কাজ করো। সেই সূত্রটি অন্য কাউকে শেখাও। দেখবে সূত্রটি মনে রাখতে আর বিন্দুমাত্র কষ্ট হচ্ছে না! সুতরাং, তুমি নিজে পড়ার পাশাপাশি অন্যকে পড়ালে বা শেখালে স্মৃতিশক্তি হবে আরো প্রখর।
৫। ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করতে শেখা:
যেকোন বিষয়ে পড়াতে হলে তার গভীরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। কেননা, নিজের কাছে কোনো ধারণা স্পষ্ট না হলে তা অন্যকে স্পষ্টভাবে বুঝানো কোনোমতেই সম্ভব না! গভীরভাবে পড়তে যেয়ে যেমন চিন্তাশক্তি আলোড়িত হয়, তেমনি গতানুগতিক ধারার বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করতে শেখা যায়।
তাছাড়া, পড়ানোর সময়ে প্রচুর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, যার উত্তর খুঁজতে গিয়েও তুমি ওই বিষয় সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে বা উদ্ভাবন করতে পারো।
কোনো বিষয় মুখস্থ করার চেয়ে আত্মস্থ করা শ্রেয়। বারবার পড়ার মাধ্যমে যেমন মুখস্থ করা যায়, তেমনি আত্মস্থ করা যায় অন্য কাউকে শেখানোর মাধ্যমেই!
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Adobe Illustrator Course (by Mohammad Yeasir)
- Graphic Designing with Photoshop Course (by Sadman Sadik)
- Graphic Designing with PowerPoint Course (by Anisha Saiyara Taznoor)
- মোবাইল দিয়ে Graphic Designing Course (by Sadman Sadik)
- Facebook Ads Mastery by Mark Anupom Mollick
- Web Design Course (by Fahim Murshed)
- Communication Masterclass Course by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course (by Ayman Sadiq and Sadman Sadik)
- Data Entry দিয়ে Freelancing Course (by Joyeta Banerjee)
- SEO Course for Beginners (by Md Faruk Khan)
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন