টাইম ট্রাভেল কি সম্ভব? পর্ব-২

September 10, 2018 ...
পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবার শুনে নাও।

ভেবেছিলাম এটিই হবে শেষ পর্ব, কিন্তু যতোই টাইম ট্রাভেল নিয়ে পড়ছি ততোই মজার মজার কিছু থিওরি বের হচ্ছে যা সত্যিই দারুণ! গত পর্বে আপনারা জেনেছেন ওয়ার্মহোল, ব্ল্যাকহোল ইত্যাদি নিয়ে নানা থিওরি। আজ আমরা একদম মূল বিষয়ে প্রবেশ করবো। তবে তার আগে যারা প্রথম পর্ব পড়েননি তাদেরকে পড়ার অনুরোধ রইলো।

টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনি ভবিষ্যতে ভ্রমণ করতে পারবেন যা আপাতত কাগজে কলমের ক্ষেত্রেই সম্ভব বলে ধরে নেয়া যাচ্ছে, ওয়ার্মহোলের দেখা মিললে বিজ্ঞানীরা অবশ্যই আর খাতা কলমের হিসেব নিয়ে পড়ে থাকবে না, শুরু করে দেবে সময় ভ্রমণ। তো যাই হোক গত পর্বে আমি বলেছিলাম টাইম ট্রাভেল করে অতীতে যাওয়া কেন সম্ভব নয় তা পরের পর্বে(এই পর্বে) ব্যাখ্যা করবো। অতীতে টাইম ট্রাভেলের ক্ষেত্রে কিছু প্যারাডক্স এসে বেশ ঝামেলা সৃষ্টি করছে। কথা হচ্ছে প্যারাডক্স আবার কী? চলুন প্যারাডক্স নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

প্যারাডক্সের প্যারাসমূহ

Paradox শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় ‘কূটাভাস’ বা ‘আপাতদৃষ্টিতে স্ববিরোধী’। এটি কোনো কিছুর সম্ভাবনাকে বাতিল করে দেয়। পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত অথচ বিপরীতধর্মী কোনো ব্যাপারকে বুঝাতে এই প্যারাডক্স ব্যবহার করা হয়

‘’ A paradox is a statement that apparently      contradicts itself and
yet might be true (or wrong at the same time)’’

পদার্থবিদ্যায় সময় পরিভ্রমণ কূটাভাস দু’টি বড় ভাগে বিভক্তঃ একটি হল Consistancy Paradox বা ‘কন্সিস্টেন্সি (মিলে যাওয়া) প্যারাডক্স’, যা ব্যাখ্যা করা হয় গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্সের উদাহরণ দ্বারা। আর অপরটি হল ক্যাজুয়াল প্যারাডক্স, অর্থাৎ রীতিবিবর্জিত বা খাপছাড়া চক্র বা প্যাঁচ। আবার একে ক্যাজুয়াল লুপও বলে। মানে ঘুরেফিরে আগের অবস্থানে এসে পরিবর্তন দেখতে পাওয়া। এটিই প্যাঁচ বা লুপের খেলা। সময় ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্যারাডক্সগুলো কী আগে তা জানার চেষ্টা করি।

ক্যাজুয়াল লুপ বা রীতিবিবর্জিত চক্র

যখন ভবিষ্যতের কোন ঘটনার দ্বারা অতীত পরিবর্তিত হয়ে যায়, আবার ঐ অতীতের কোনো ঘটনার পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতের ঘটনাও স্বভাবত পরিবর্তিত হয়ে যায় (অর্থাৎ সেই প্রথমে উল্লেখিত ভবিষ্যতটি অন্য ভবিষ্যৎ হয়ে যায়), এই ঘটনাকে বলা হয় ক্যাজুয়াল লুপ।

Screenshot 1 1

আবার সেক্ষেত্রে দুটি ঘটনা-ই তখন স্থান-সময়ে সহাবস্থান করে কিন্তু তাদের অতীত নির্দিষ্টভাবে খুঁজে পাওয়া যায় না। ক্যাজুয়াল লুপটি কোন ঘটনা, ব্যক্তি বা বস্তু, বা তথ্যের কারণে ঘটে থাকতে পারে। গল্প-উপন্যাসের ক্ষেত্রে ক্যাজুয়াল লুপ শব্দটির পরিবর্তে boot-strap paradox, predestination paradox বা ontological paradox ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

হিটলার প্যারাডক্স

আসল জায়গায় এসেছেন, এই প্যারাডক্সটি বেশ মজার। ধরুন কোনো কারণে অতীতে সময় পরিভ্রমণ সম্ভব হলো। আপনাকে একটি টাইম মেশিন বানিয়ে দিলাম, আপনি এই টাইম মেশিন ব্যবহার করে অতীতে চলে গেলেন। আপনি টাইম মেশিনে করে ১৮৮৯ সালে চলে গেলেন। ১৮৮৯ সালের ২০শে এপ্রিল হিটলারের জন্ম। উনি জন্মানোর সাথে সাথেই আপনি তাঁকে গুলি করে হত্যা করলেন।

বেচারার তাহলে আর কোনো ইতিহাস থাকবে? যেমন তিনি ইহুদী নিধন করে সারাবিশ্বের খলনায়ক হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। যার জন্য আমরা আজ তাঁকে চিনি। যদি তিনি তৎকালীন অস্ট্রিয়ার কোনো সাধারণ নাগরিক হিসেবেই জীবনধারণ করতেন এবং প্রকৃতিগত কারণে একসময় মারা যেতেন তবে অবশ্যই তাঁকে আজ আমরা স্মরণ করতাম না, তাই না? আর যেহেতু এই প্যারাডক্স অনুসারে আপনি তাঁকে অতীতে জন্মের পরপরই মেরে ফেলেছেন সুতরাং হিটলার নামক এক শিশু হত্যার দায়ে অস্ট্রিয়াতে আপনার নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। এর বেশি কিছু তো হচ্ছে না? তার মানে যুগের পর যুগ তাকে কেউই মনে রাখবে না। আপনিও না আমিও না। তাহলে আপনি কেন অতীতে ফিরে গিয়ে হিটলারকে হত্যা করবেন?

তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়ালো এই যে, হিটলারকে আপনি শিশু অবস্থায় মারতে পারবেন না, যদি পারতেন তাহলে সে ইতিহাসের পাতায় থাকতো না, আর ইতিহাসের পাতায় না থাকলে ‘হিটলার’ শব্দটির সঙ্গেও আপনার কোনো পরিচয় থাকতো না। সুতরাং হিটলার প্যারাডক্স অনুসারে সময় ভ্রমণে করে অতীতে যাওয়া অসম্ভব।

বুটস্ট্রেপ প্যারাডক্স

বুটস্ট্রেপ প্যারাডক্স বা Bootstrap Paradox এর ক্ষেত্রে এখানে Bootstrap শব্দটির অর্থ হলো- ‘’pull oneself over a fence by one’s bootstraps’’। বুঝিয়ে বলছি।

এই প্যারডক্সটি নির্দেশ করা হয় এমন কোনো এক আবিষ্কারকে যা অতীতে নিয়ে গেলে ‘কে আবিষ্কার করেছে অথবা কোথা থেকে আসলো বা এর উৎপত্তি কোথায়’ ইত্যাদি প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। মাথা ঘুরপাক খেলো? সহজ উদাহরণে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

আগের প্যারাডক্সগুলোর মতো এইবারও ধরেন আপনি টাইম ট্রাভেল করে অতীতে যাবেন। তবে এই প্যারাডক্সের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু জিনিস হাতে করে নিয়ে যেতে হবে। টাইম মেশিনের একপ্রান্তে ঢুকে অন্য প্রান্ত দিয়ে বের হয়ে চলে গেলেন অতীতে, ধরুন ৫ বছর বয়সী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে। সেখানে গিয়ে আপনি গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ রবি ঠাকুরের হাতে ধরিয়ে দিলেন। তিনি রীতিমত অবাক! ‘এ আবার কী?’ আপনি বললেন যে ‘এটি আপনারই লেখা’।

লক্ষ করুন, আপনি কবিগুরুকে আগেই তার কাব্যগ্রন্থ দিয়ে দিয়েছেন, যা কবি নিজে লেখেননি। তাহলে এটি কে লিখলো? ধরে নিলাম আপনার দেয়া গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ দেখে হুবহু অবিকল একটি কাব্যগ্রন্থ রবি ঠাকুর প্রকাশ করলেন যা আপনার এনে দেয়া গীতাঞ্জলির মতোই, প্রতিটি শব্দে শব্দে মিল। কথা হচ্ছে আপনার দেয়া জ্ঞান ফটোকপি করে রবি ঠাকুর সেই কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন, তাহলে আপনি অতীতে আসার সময় যে কাব্যগ্রন্থটি এনেছিলেন সেটি কার লেখা? ঐ কাব্যগ্রন্থটির উৎপত্তি কোথায়?

উত্তর- অসমাধানযোগ্য। তার মানে অস্তিত্বহীন বা মালিকানাহীন কোনো একটি বস্তু বা জ্ঞান বলে কিছু থাকতে পারে না। তার মানে এই প্যারাডক্স অনুসারে অতীতে ভ্রমন কি সম্ভব? অবশ্যই না।

ফার্মির প্যারাডক্স

টাইম ট্রাভেল যদি সম্ভব হয় তাহলে টাইম ট্রাভেলার বা সময় পরিভ্রমণকারীরা কোথায়? এখনো আসেনি কেন?” – সময় পরিভ্রমণ সংক্রান্ত ফার্মির প্যারাডক্সটি এভাবে বলা যেতে পারে। এটিই ফার্মির প্যারাডক্স নামে পরিচিত।

তবে প্যারাডক্সটির উত্তর এরকম পাওয়া যায় যে- “সময় পরিভ্রমণ সম্ভব নয়” বা “ভবিষতের কোন ভ্রমণকারী সংঘাত সৃষ্টি হয় এমন কোন ঘটনা/স্থানে উপস্থিত হতে পারবে না” বা “তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে ঘুরে বেড়ায় যাতে কেউ তাদের চিনতে/ সনাক্ত করতে না পারে” ইত্যাদি। তবে ছদ্মবেশে ঘুরতে পারে এবং তারা আমাদের আশেপাশেই আছে, এমন সম্ভাবনার কথা কার্ল স্যাগান নিজেও বলেছিলেন।

তার মানে ফার্মির প্যারাডক্সের উত্তর এমনভাবেই দেয়া যায় যে আপনি অতীতে যদি যান তাহলে আপনার উপস্থিতি এমন হবে যে আপনি সেখানে থেকেও কিছু করতে পারবেন না বা আপনাকে সেখানকার কেউ খুঁজে পাবে না।

গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স

দাদাজানের দোষ কী এখানে? দোষ কিছুই না। একটু দাদাকে দিয়ে থিওরিটিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট করবো আর কি! সেটা আবার কেমন?

দাদা বা পিতামহ নিয়ে কূটাভাস বা গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স বিষয়টিকে টাইম ট্রাভেলের সব প্যারাডক্সের রাজা বলতে পারি। এই প্যারাডক্সের জন্য পুরো টাইম ট্রাভেলের সম্ভাবনাই নাকচ হয়ে যায়।

ধরুন কোনো ব্যক্তি টাইম ট্রাভেল করে অতীতে যেতে চায়। ঠিক আছে, টাইম মেশিনে ঢুকে চলে গেল অতীতে। একদম অতীতে গিয়ে তার দাদাকে জন্মের পরপরই হত্যা করলো। তাহলে তার দাদা শিশু অবস্থায় মারা গেল। যেহেতু দাদা শিশু অবস্থায় মারা গেল, সেহেতু ঐ ব্যক্তির বাবার জন্ম হওয়া অসম্ভব, কারণ দাদা কোনো সন্তান জন্মদান করে যাননি। আর বাবার জন্ম না হলে সেই ব্যক্তিটিই বা আসলো কোথা থেকে? ব্যস! এই একটি প্রশ্নই যথেষ্ট টাইম ট্রাভেল করে অতীতে যাওয়া আটকাতে।

Screenshot 2 1

তার মানে আপনি অতীতে গিয়ে যদি এমন সব কর্মকান্ড করে বসেন যা বর্তমানের পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাহলে সেক্ষেত্রে কিভাবে অতীত ভ্রমণ করবেন?

টাইম ট্রাভেলের প্যারাডক্সের বিষয়ে প্রচলিত ২টি থিওরি আছে। ধরে নিতে পারেন উপরের যত প্যারাডক্স পরে আমাদের মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে টাইম ট্রাভেল হয়তো সম্ভবই না, সেসকল প্যারাডক্সসমূহের সম্ভাব্য সমাধান। প্যারাডক্সের সমাধানে যাওয়া যাক তবে।

থিওরী দুটি হচ্ছে-

১. নভিকভের আত্মরক্ষার থিওরী এবং

২. প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরী।


১. নভিকভের আত্মরক্ষার থিওরি (Novikov’s self-consistency theory)

রাশিয়ান পদার্থবিদ ইগর ডিমিয়েত্রিভিচ নভিকভের আবিষ্কার এই থিওরি। এই থিওরি অনুযায়ী টাইম ট্রাভেল করে অতীতে ফিরে গেলেও কেউ এমন কোনো কাজের সাথে সংযুক্ত হতে পারবে না (মানে জগতের নিয়ম অনুযায়ী জগত সেটা হতে দেবে না) যেটা তার প্রকৃত বর্তমানকে প্রভাবিত করবে। ধরা যাক কেউ একজন ব্যক্তি যদি অতীতে গিয়ে তার ছোটবেলার শিশু অবস্থায় নিজেকে হত্যা করার চেষ্টা করে, সে সেটা পারবে না। কারণ নিয়ম অনুযায়ী সে তার শিশু অবস্থাকে হত্যা করলে তার অস্তিত্বই অসম্ভব হয়ে যায়।

হয়তো সে ছোটবেলায় যেখানে থাকতো সেখানে গিয়ে শৈশবের নিজেকে খোঁজার চেষ্টা করে তাহলে দেখবে যে সেখানে তারা থাকে না। অন্য কোনো পরিবার সেখানে বসবাস করছে। জগতই তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে দিয়েছে। এই থিওরি অনুযায়ী কেউ যতই চেষ্টা করুক না কেনো, এমন কোনো কাজ করতে পারবে না যা প্রকৃত বর্তমানকে পরিবর্তন করবে।
তার মানে এই থিওরি অনুসারে দাদার প্যারাডক্স, বুটস্ট্র্যাপ প্যারাডক্স ইত্যাদির একটি সম্ভাবনাময় সমাধান তৈরি সম্ভব।

ম্যাসাচুসেটাস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এর সেথ লয়েড (Seth Lloyed) ও তার গবেষক দল নভিকভের থিওরির একটু বিস্তৃত বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, “প্যারাডক্স থেকে রক্ষা পেতে সম্ভাবনা সবসময়ই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন যাবে। তার মানে আপনি অতীতে ভ্রমণ করতে পারবেন তবে দাদাকে হত্যা করার কোনো শক্তি আপনাকে দেয়া হবে না।

আপনার বর্তমান অস্তিত্বের বিন্দুমাত্র যেন ক্ষয়ে না যায় সেজন্য অতীতে গেলে আপনাকে সীমাবদ্ধতার মাঝে কাজ করতে হবে। আপনি হিটলারকে মেরে ফেলতে চান শিশু অবস্থায়? দেখা যাবে আপনি তাঁকে খুঁজেই পাচ্ছেন না। তার মানে বর্তমানে যা রয়েছে, তার সবই অপরিবর্তিত থাকবে। অতীতে গিয়ে নিজের ভুল শুধরে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করারও সুযোগ নেই। তাহলে অতীতে গিয়ে কী লাভ? সেখানে দর্শকের ভূমিকায় থাকা ছাড়া আমি নিজেও কোনো লাভ খুঁজে পাচ্ছি না।

প্যারাডক্সের আরও একটি সমাধান রয়েছে। প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরি। এটি নিয়ে সামনের পর্বে আলোচনা করবো। প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরী আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে বেশ পছন্দের। গত পর্বে বলেছিলাম যে এই দ্বিতীয় পর্বেই প্যারালাল ও মাল্টিভার্স থিওরি অনুসারে টাইম ট্রাভেলের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবো, কিন্তু প্যারাডক্সে পড়ে ইতোমধ্যে আমি নাজেহাল!

প্যারাডক্স নিয়ে আপনারা নতুন কোনো তথ্য জানলে কমেন্ট সেকশনে বলতে পারেন। একটি মজার ঘটনা দিয়ে আজকের পর্বটি শেষ করতে চাই।

স্টিফেন হকিং ২০০৯ সালের ২৮শে জুন ক্যামব্রিজের কাছে কোনো এক স্থানে একটি নৈশভোজ পার্টির আয়োজন করেন। তবে তিনি মানুষকে দাওয়াত দেন পার্টির শেষে, সময় তখন ২৯জুন হয়ে গেছে। তিনি পার্টির শেষে ২৮জুনের পার্টিতে অংশ নেয়ার জন্য ‘ইনভাইটেশন লেটার’ বানিয়ে রাখেন।

কী অদ্ভুত! হ্যাঁ এটা অদ্ভুত হলেও তিনি বেশ আশা নিয়েই এই পৃথিবী ত্যাগ করেছেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল ভবিষ্যতের কেউ না কেউ এই ইনভাইটেশন লেটারটি নিয়ে অতীত ভ্রমণ করে পার্টিতে অংশ নেবেন। তবে এই সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেয়া যায় না!

তথ্যসূত্র:

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Temporal_paradox

https://www.google.com/amp/s/mashable.com/2018/03/14/stephen-hawking-time-travel-party.amp/

https://worldbuilding.stackexchange.com/questions/63979/how-do-you-prevent-causal-loops-from-happening-with-the-novikov-self-consistency


১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com

৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

আপনার কমেন্ট লিখুন