(১)
আলেক্সান্ডার তৃতীয় খুবই ব্যস্ত। তিনি প্রাসাদে এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে বেড়াচ্ছেন। সবকিছু ঠিকমত হতে হবে আজ। রাশিয়ায় তখন বসন্ত। বাতাসে লাইলাক ফুলের সুঘ্রাণ। আলেক্সান্ডার তৃতীয় প্রাসাদের বারান্দায় দাঁড়ালেন। দৃষ্টির সামনে সবুজ লন, ঝলমলে আলো বাইরে। বসন্তের দিন সাধারণত লম্বা হয়। আর এই দিনটি আলেক্সান্ডারের জন্য আরও বেশি লম্বা। তিনি আজ প্রথমবারের মত বাবা হবেন। লনের দিকে তাকিয়ে নস্টালজিক বোধ করলেন আলেক্সান্ডার তৃতীয়। এই লনেই তিনি ছোটবেলায় হামাগুড়ি দিতেন। এত বছর পর আবার কেউ হামাগুড়ি দিতে আসছে।
তিনি বেশি সময় নষ্ট করলেন না। আবার ছুটে গেলেন ভেতরে। তার সন্তান আসছে, রাশিয়ার নতুন উত্তরাধিকার আসছে। কে জানত তখন, ১৮৬৮ সালের ১৮ মে জন্ম নেয়া এই শিশুটি একদিন পরিনত হবে রাশিয়ার সবচেয়ে বিফল জারে?
রোমানোভ পরিবারে নতুন সন্তান আগমনের উৎসবকে রেখে এখন একটু ঘুরে আসা যাক জার্মানিতে।
১৮৬৭ সালে প্রকাশিত হয় ডাস ক্যাপিটাল বইটির প্রথম খন্ড। লেখক তৎকালীন সময়ের বহুল বিতর্কিত মানুষের একজন। জার্মানিতে জন্ম নেয়া এই লোকটিকে বাধ্য করা হয়েছিলো দেশ ছাড়তে। তিনি দেশ ছেড়ে ফ্রান্সে গেলেন, ফ্রান্স থেকে আবার গেলেন ব্রাসেলসে। সেখান থেকে শেষমেশ থিতু হলেন নিউইয়র্কে। ডাস ক্যাপিটাল তার প্রথম বই না যেটি আলোচিত হয়েছিল। ১৮৪৮ এ তিনি এঙ্গেলস এর সাথে একত্র হয়ে লেখেন কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো, তার লেখা সেই বই যা তখনকার বাতাসে মুক্তির ঘ্রাণ এনে দিয়েছিল। শুধু লেখা দিয়ে মুক্তির স্বপ্ন সবাই দেখাতে পারে না।
ধার্মিকরা বিশ্বাস করে যে বিধাতা ভাগ্যলিপি হাতে দিয়েই একটি প্রাণকে পৃথিবীতে পাঠায়। এটা বিধাতারই খেল কিনা জানি না। নতুন রাজা জন্মের বিশ বছর আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিলো তার মৃত্যুনামা। কার্ল মার্কস। মনে রাখবেন এই নামটি। কেননা এই রুশ বিপ্লবকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গেঁথেছে এই সুতোই।
লোহার শ্রমিকদের জন্য কার্ল মার্কসের লেখা ছিল একটা খোলা জানালা, যার ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছিলো তাদের জীবন। উল্লেখ্য যে শিল্প বিপ্লবের পরে পৃথিবীবাসীর অধিকাংশই ছিল শ্রমিক। কার্ল মার্কস তাদের স্বপ্ন দেখান। আপনি কি জানেন একজন দরিদ্র মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে তখন সে ঠিক কতটা বেপরোয়া হয়ে যায়?
এমন এক পরিবর্তনের সময় জন্ম হল আলেক্সান্ডার তৃতীয়েরর প্রথম সন্তানের। শিশুটির নাম রাখা হল নিকোলাই আলেক্সান্দ্রোভিচ রোমানোভ। তখন কেউ জানতো না এ শিশুটিকেই ইতিহাস জানবে নিকেলাস দা ব্লাডি নামে।
(২)
২১ জানুয়ারি, ১৮৬৯ সাল, সাইবেরিয়ায় এক হতদরিদ্র কৃষক পরিবারে সবাই চিন্তিত মুখে বসে আছে। কৃষকের ঘরে আজ নতুন সন্তান আসবে। রাজপ্রাসদের মতন আড়ম্বর না থাকলেও উত্তজেনা কাজ করছে বাড়ির কর্তা এফিম রাসপুটিনের মধ্যে। তার স্ত্রী অ্যানা সন্তান প্রসব করলেন। ছেলে সন্তান, নাম রাখা হল গ্রেগরি ইয়েফিমোভিচ রাসপুটিন।
আপনি এ প্রশ্ন করতেই পারেন যে আমরা এক কৃষকের ছেলের খবর দিয়ে কী করব? কেননা এ বিপ্লবে শুধু দু’টো পক্ষই আছে। এক শ্রমিক, আর দুই রাজা। এর মাঝে রাসপুটিনের কী দরকার?
আচ্ছা, আপনারা তো গল্প পড়েন। না? আপনারা কি জানেন না যে ইতিহাসে সবসময়ই এমন একজন থাকে যে আসলে ছায়ার মত? সবার দৃষ্টির ভেতরে থেকেও অদৃশ্য। রহস্যময় এক চরিত্র যে হুটহাট গল্পের মোড় বদলে দিতে পারে? আমাদের গল্পে রাসপুটিন ওরকম একজন।
রাসপুটিনের শুরুর জীবন কেমন ছিল তা নিয়ে কিছুই জানতে পারেননি ঐতিহাসিকরা। ইতিহাসের চোখ ফাঁকি দেয়ার মত একটা প্রায় অসম্ভব কাজ রাসপুটিন করে ফেললেন কী অবলীলায়! আসলেই কি রাসপুটিন করেছেন নাকি এটা ঐতিহাসিকদেরই দোষ যে তারা মঞ্চের ছায়ায় চোখ রাখতে পারেননি?
জন্ম থেকে রহস্যের পর্দায় ঢাকা এই মানুষটি সবাইকে আশ্চর্য করে দিয়ে একদিন পৌছে যান রুশ রাজদরবারে। রহস্যময় ভাবে তিনি রাজা নিকোলাসের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বন্ধুতে পরিণত হন। এবং তারপরই ইতিহাস নতুনভাবে লেখা শুরু হয়।
(৩)
আপনি দাবা খেলেন না? দাবা খেলার আগে আপনি কি গুটি সাজিয়ে নেন না? আমরা এখন দাবার কোর্টে একটা একটা করে গুটি সাজাচ্ছি। নাটক মঞ্চায়িত হবার আগে চরিত্রের ব্যাখ্যা দিচ্ছি। আপনারা কি খেয়াল করেছেন, আমি এখনও কোনো নায়কের কথা বলিনি? এখন আমি যার কথা বলব অনেকের দৃষ্টিকোণ থেকে সেই নায়ক। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এই নাটকে কোনো নায়ক নেই। আমি কেবল ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটা নাটককে সাদা চোখে দেখে আপনাদের কাছে ব্যাখ্যা করছি। গল্পের নায়ক নির্ধারণ আপনার হাতে।
যাওয়া যাক সিমব্রিস্কে। এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে এক ছেলে আর এক মেয়ের পর জন্ম নিতে যাচ্ছে তৃতীয় সন্তান। ১৮৭০ সালের এপ্রিলে জন্ম নিল উলিয়ানভ দম্পতির তৃতীয় সন্তান। নাম রাখা হল ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ। ডাকনাম লেনিন। লেনিন তার ছোট বোন ওলগাকে বেশ ভালবাসত। সারাদিন একইসাথে খেলা, স্কুলে যাওয়া, এরকমই যাচ্ছিলো লেনিনের শৈশব। লেনিনের দিকে তাকিয়ে আপনারা ভুলে যাবেন না যে রাজপ্রাসাদে এখন আছে নিকোলাস। সিমব্রিস্কে লেনিন আর ওলগা যখন মাঠে দৌড়েচ্ছেন তখন হয়ত সেন্ট পিটাসবার্গে আলেক্সান্ডার প্যালেসে ভাই বোনদের নিয়ে মাছ ধরছেন রাজপুত্র নিকোলাস। রাসপুটিন যেহেতু ইতিহাসকে ফাঁকি দিয়েছে তাই আমরা এ মুহূর্তে দেখতে পারব না রাসপুটিন কী করছে।
এ গল্প বেশি বিস্তৃত না। কিন্তু এই গল্পে জড়িয়ে আছে অসংখ্য চরিত্র। তাই পাঠকদের বলছি, আপনারা চরিত্রগুলোকে ভুলে যাবেন না। এবং অবশ্যই ভুলবেন সেই সুতোটিকে। কার্ল মার্কসের ডাস ক্যাপিটালের রুশ অনুবাদ করা হয় ১৮৭২ সালে। বের হয় তিন হাজার কপি। ছাত্রদের মধ্যে চাপা গুঞ্জন। কিছু শ্রমিকদের মধ্যেও ছড়িয়ে গেছে নতুন গান। রাশিয়ার শ্রমিকরা উইকেন্ডে ভদকা খেতে খেতে অন্য রকমের স্বাধীনতার গল্প করছে। যদিও বেশিরভাগ সময়েই আলোচনা নিখাদ নারী বিষয়ক। রাশিয়ায় সবার অলক্ষ্যে একটা কাঠামো গড়ে উঠছে।
কোনো গল্পে আমরা হর হামেশাই দেখি নায়কের চরিত্র গঠিত হয় কোনো একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আমাদের নায়ক লেনিন কিভাবে গড়ে উঠলো? তা জানতে হলে আমাদের চোখ সরাতে হবে এক নতুন চরিত্রের দিকে।
আপনারা হয়ত ইতিমধ্যে খেয়াল করেছেন কাহিনী সামনে আগাচ্ছে। কাহিনীর মাঝেই এবার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি নতুন চরিত্রের। যার ডাকনাম, সাশা। সাশা একটি সংক্ষিপ্ত চরিত্র। সাশার যেখানে শেষ একটা অস্ফুট বিপ্লবের সেখানেই শুরু।
লেনিন প্রচন্ড শ্রদ্ধা করত তার বড় ভাই আলোক্সান্ডার কে। ভালোবেসে লেনিন যাকে ডাকত সাশা। হ্যাঁ, আমাদের নতুন চরিত্র সাশা। ১৮৮৬ সালে, সাশার প্রতি তার ভালবাসা নির্ধারণ করে দেয় ভবিষ্যৎ রাশিয়ার ভাগ্য। কিভাবে?
(৪)
নিকোলাসের জন্ম থেকে আরও বিশ বছর আগে যাই এখন। ১৮৪৮ সাল। ফ্রেডরিক এঙ্গেলো আর কার্ল মার্কস সম্মিলিতভাবে রচনা করলেন ‘কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’। বাতাসের সাথে ছড়িয়ে পড়লো কমিউনিজম নামটি। তার অনেক পরে নিকোলাসের জন্মের এক বছর আগে প্রকাশিত হয় ‘ডাস ক্যাপিটাল’। আলোচনায় তখন এই বইটি। কিন্তু এখনও আমরা নজর দেব আগের বইটিতে। ১৮৮২ সালে রুশ ভাষায় অনুদিত হল ‘কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’। রাশিয়ায় ছড়াতে লাগলো কমিউনিজম। সামন্তবাদের খোলস রাশিয়া ছেড়েছে ১৯ শতকে যেখানে সিজারের সাথেই ইউরোপ মুক্ত হয়েছিলো সামন্তবাদ থেকে। পুঁজিবাদী সমাজ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে রাশিয়াতে ছড়াতে লাগলো সমাজতন্ত্র। প্রথম বিপ্লব হয় রাজা তৃতীয় আলেক্সান্ডারের বিরুদ্ধে।
আপনি এখানে ইতিহাস জানতে আসেননি। এসেছেন কাহিনী শুনতে। তাই আমি এখন ইতিহাসের সাথে কাহিনীকে জোড়া লাগাবো। আরও ভালো করে বলতে গেলে, সাশাকে।
১৮৮৬ সাল, লেনিনের বড় ভাই, যাকে তিনি সাশা ডাকতেন জড়িয়ে পড়ে বামপন্থি আন্দোলনে। তৃতীয় আলেক্সান্ডারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিলো, সেই আন্দোলন শেষ হয়নি তখনও। আসলে রুশ বিপ্লব এসব খুচরো আন্দোলনেরই ফল।
সাশা ছিলেন জাত বিপ্লবী। “মরবো তবু অধিকার ছাড়ব না”- নীতিতে বিশ্বাসী। তাই হয়ত নিজেই চেয়েছিলেন আত্মঘাতি বোমা হামলায় নিজেকে জড়াতে। তা করতে গিয়েই ধরা পড়েন পুলিশের হাতে।
সাশাকে যেদিন ফাঁসিতে ঝোলানো হল সেদিনও রাশিয়ায় বসন্ত ছিল, বাতাসে লাইলাকের সুঘ্রাণ। নিকোলাসের জন্মও হয়েছিলো এক বসন্তে। সাশার মৃত্যু জাগিয়ে দেয় লেনিনকে। যে লেনিনকে ইতিহাস চিনেছে তার জন্ম সেদিনই। রুশ বসন্ত দু’টো চরিত্রকে একই সমান্তরালে নিয়ে আসলো। লেনিন এবং নিকোলাস।
বলেছিলাম, সাশার যেখানে শেষ, একটা অস্ফুট বিপ্লবের সেখানেই শুরু। সেই অস্ফুট বিপ্লবের নাম লেনিন। এবার আমরা বিপ্লবী হিসেবে লেনিনের বেড়ে ওঠা দেখব।
(৫)
১৮৮৭ থেকে ১৮৯৩ এর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ এর লেনিন হয়ে ওঠার গল্প। শুরুটা হয় নিকোলাই ফেডোসিভের বিপ্লবী চক্রের সাথে। পড়া শুরু করলেন কার্ল মার্কসের কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো। এবার গল্পটা জোড়া লাগছে। বলেছিলাম এ গল্পের সুতো কার্ল মার্কস। এই বছরগুলোতে লেনিন বেড়ে উঠছিলেন কমিউনিজমের সাথে।
সরাসরি একটিভিস্ট হিসেবে লেনিন সামনে আসলেন ১৮৯৩ এর পর। রবাচো ডেলো নামের একটা সংবাদ পত্র বানানোর সময় ৪০ জন একটিভিস্টসহ পুলিশের হারে ধরা পড়েন লেনিন। ১৮৯৭তে তাকে তিন বছরের নির্বাসনে পাঠানো হয় সাইবেরিয়ায়।
লেনিনকে সাইবেরিয়ায় রেখে এবার চোখ ফেরানো যায় নিকোলাসের দিকে। যেহেতু আমাদের গল্পের পরিসর ছোটো কিন্তহ চরিত্র অনেক তাই আমাদের সব চরিত্রের দিকে চোখ ফেরাতে হবে। ধরুন আপনি পুতুল বাড়ির বাইরে থেকে দেখছেন। তাই আপনি জানেন কোন ঘরে কী আছে। আপনি ইচ্ছা করলে চোখ ঘুরিয়ে ঘরের যেকোনো কোণা দেখতে পারেন। এবার আমরা চোখ ঘুরাই নিকোলাসের দিকে।
(৬)
১৮৯০ সাল, নিকোলাস তার ভাইবোনদের নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছেন। তার দিন কাটছে ভ্রমণে। স্বাভাবিকভাবেই আলেক্সান্ডারের পর রাজা হবেন নিকোলাস। কিন্তু রাজপরিবারের উত্তরাধিকার হওয়ায় যে পরিমাণ প্রশিক্ষণের ভেতর দিয়ে তার যাওয়ার কথা, তাকে রাজা আলেক্সান্ডার তৃতীয় সেরকম কোনো প্রশিক্ষণ দেননি।
এবার আমরা এক চতুর চরিত্রের সাথে পরিচিত হব। এই বিচক্ষণ চরিত্রটি প্রথমেই আঁচ করতে পেরেছিলেন যে নিকোলাসকে রাজনীতি শেখানো দরকার, নতুবা ভেঙে পড়বে রাজ্য। তিনি হল অর্থমন্ত্রী সেরজেই। তিনি তৃতীয় আলেক্সান্ডারকে অনুরোধ করে বললেন নিকোলাসকে প্রশিক্ষণ দিতে।
আলেক্সান্ডার তৃতীয় হেসেই উড়িয়ে দিলেন, কেননা তার বয়স তখনও চল্লিশের কোঠায়। এখনই নিকোলাসের ঘাড়ে রাজ্যের বোঝা চাপানোর মানেই হয় না। পাঠক, আপনারা কি জানেন সবসময় সব জিনিস হেসে উড়িয়ে দিতে নেই? মাঝেমধ্যে হেসে উড়িয়ে দিয়েই আপনি হাসির পাত্র হয়ে যেতে পারেন। বিধাতা কী চাল চাললেন ওপর থেকে?
বিধাতা আলেক্সান্ডারের হাসি দেখে স্মিত হাসলেন। ১৮৯৪ এর শীতেই আলেক্সান্ডারের শরীর খারাপ হতে লাগলো। ভুলে যাবেন না, আলেক্সান্ডার কিন্তু চল্লিশের কোটায় এবং নিকোলাসের রাজ্য সামলানো সম্পর্কে সেরকম কোনে জ্ঞানও নেই। কী হবে রাশিয়ার? কী হবে নিকোলাসের?
গল্প যেখানে পরিণতি পাচ্ছে সেখানেই আজ ছেড়ে দিতে হবে। এটা লেখকের সাসপেন্স তৈরির খেলা। এরপর কী হল জানতে পড়তে হবে এর পরের পর্ব।
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন