পুরোটা পড়ার সময় নেই ? ব্লগটি একবার শুনে নাও !
Procrastination কিংবা দীর্ঘসূত্রিতা যেন আমাদের এক মুদ্রাদোষ। আমরা অনেক সময়ই অনেক কাজ শুরু করার সময় ভেবে রাখি যে এই ক’দিনের মাঝে এই কাজটা শেষ করে ফেলব অথচ হাতে অবসর থাকার পরও আমরা দিনের পর দিন কাজটাকে অর্ধেক শেষ করেই ফেলে রাখি।
যেমন ধরুন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টার্ম পেপারগুলো। এক সপ্তাহের ডেডলাইন দেয়া হোক কিংবা এক মাসের, কাজ কিন্তু করি আমরা সেই আগের রাতেই। এর পেছনে যে কারণটা সবচেয়ে বেশী দায়ী তা হচ্ছে ‘অলসতা’। মনে করুন, আপনাকে যদি ২ সেকেন্ড ভাবার সময় দেয়া হয় যে পৃথিবীতে কোন দেশের মানুষের মাঝে এই অলসতা বিষয়টা একেবারেই নেই তবে আপনার মাথায় সবার আগে কোন নামটা আসবে? অবশ্যই জাপান কিংবা চীন!
জন্মগতভাবে কোনো মানুষই কিন্তু নিরলস নয়। না আমরা, না জাপানিজরা। এরপরও অলসতাকে দূর করার জন্য জাপানিজ নাগরিক মাসাই লামাই এক অভিনব কৌশল আবিষ্কার করেছেন যার নাম হচ্ছে “Kaizen: One-Minute Principle” মাসাই বিশ্বাস করেন যে, এই পদ্ধতি একজন মানুষকে ব্যবসায়িক কিংবা ব্যক্তিগত যেকোনো জীবনেই সক্রিয়তা দান করবে। এখানে Kai ও Zen শব্দের অর্থ যথাক্রমে পরিবর্তন এবং জ্ঞান।
Kaizen এর পদ্ধতি:
অলসতা দূর করার জন্য Kaizen হচ্ছে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি যা ঘরে বসেই যে কেউ যেকোনো সময় করতে পারবে। এর জন্য ব্যবহারকারীকে প্রথমে একটা কাজ নির্বাচন করতে হবে যা সে করতে ভালবাসে। হতে পারে তা বাগান করা কিংবা উপন্যাসের বই পড়া ইত্যাদি যে কোনো কিছু।
এখন সেই কাজটা একটা নির্দিষ্ট সময় দৈনিক এক মিনিটের জন্য করতে হবে। পরবর্তীতে সে যখন কাজটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়বে এবং প্রতিদিন কাজটা করতে তার ভাল লাগা শুরু করবে, তখন ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে হবে। যেমন, আস্তে আস্তে পাঁচ মিনিট, এরপর আধা ঘণ্টা… এভাবে।
Kaizen এর উপকারিতা:
উন্নত বিশ্বের অনেকেই মনে করেন যে, অলসতা কাটানোর জন্য পরিশ্রমের বিকল্প নেই যার কারণে Kaizen তাদের কাছে সমাদৃত নয়। কিন্তু অলসতা কাটানোর জন্য Kaizen এর বাস্তবেই জুড়ি নেই কারণ,
১। এটি যে কেউ ঘরে বসে সুবিধামত যেকোনো সময় করতে পারে। একজন্য অনেক পরিশ্রম নয় বরং ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন।
২। এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে সময়ানুবর্তিতা আসে। অনেক বেশী অলস মানুষগুলোও এতে করে সময়ের কাজ সময় করতে শেখে।
৩। এতে করে দায়িত্ববোধের সৃষ্টি হয়। “আমার এটা সঠিক সময় করতেই হবে” এমন একটা মনোভাবের সৃষ্ট হয়।
৪। এর দ্বারা মানুষ বুঝতে পারে যে, চাইলে তাকে দ্বারা কোনো কিছুই অসম্ভব নয় এবং সে আত্মবিশ্বাসী হতে শেখে।
৫। এর ব্যবহারকারী কোনো কাজ না করতে পারার অজুহাত দেয়ার অভ্যাস দূর করতে পারবে।
৬। ব্যবস্থাপনায় এই পদ্ধতি সবচেয়ে বেশী উপকার করে।
এরপরও কি কোনো কাজে আশ্রয় নেবেন দীর্ঘসূত্রিতার? তার চেয়ে বরং তিনটা কাজ করে জীবনটাকে বদলে ফেলুন। কাজ নির্বাচন করুন, সময় ঠিক করুন, এক মিনিট হাতে নিন এবং কাজে লেগে যান!
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন