পুরোটা পড়ার সময় নেই ? ব্লগটি একবার শুনে নাও !
পৃথিবীতে আশি শতাংশ মানুষের সবচেয়ে অপছন্দনীয় কাজ হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে ওঠা। কিন্তু কী আর করার, উঠতে তো হবেই! তাই আপনি কী করে সহজেই এই ঘুমকে জয় করে আপনার সারাদিনের কাজগুলো ফ্রেশ মাইন্ডে সকাল থেকেই করা শুরু করতে পারেন তারই কয়েকটা উপায় বলে দিচ্ছি।
সকালের ঘুম দূর করার উপায়ঃ
১। দুপুরের আগে যে কাজ গুলো করবেন তার একটা টু-ডু লিস্ট বানিয়ে ফেলুন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে কোন কোন কাজ করবেন তার একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলুন। পরিকল্পনাগুলো সব আগে থেকে সাজিয়ে রাখুন, জরুরী কাজ গুলোকে লিস্টের শুরুতেই রাখুন। তাহলে ঘুমের মাঝেই আপনার অবচেতন মস্তিষ্ক ঠিক সময় আপনার ঘুম ভেঙ্গে দিবে।
২। চিরতরে ভুলে যান Snooze বাটনকে।
অ্যালার্ম বাজছে? এক্ষুনি উঠে পড়ুন! এক্ষুনি! হুম হয়ত আর ১০ মিনিট ঘুমালে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না শুধু একটু তাড়াহুড়ো করতে হবে আর কী। কিন্তু এতে করে আপনার বাজে অভ্যাসের সৃষ্টি হবে এবং দিনের অন্যান্য কাজও অগোছালো হয়ে যাবে। মনে রাখবেন একটা সুন্দর দিনের প্রথম শর্তই হচ্ছে একটা সুন্দর সকাল।
৩। চার ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট নয়।
আমাদের তরুণ সমাজের একটা খারাপ অভ্যাস হচ্ছে আমরা আমাদের দিনের মাত্র চার ঘন্টাকে ঘুমের জন্য বরাদ্দ রাখি। রাত করে ঘুমাতে গেলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে অবশ্যই কষ্ট হবে। তাই রাতে অন্তত ৬-৮ ঘন্টা হাতে নিয়ে ঘুমাতে যেতে হবে। যেই কাজটা রাতে করে রাখতে গেলে এই ৬-৮ ঘন্টা সময় ঘুমানোর জন্য পাওয়া যাবে না, সেই কাজটাকে পরের দিনের টু-ডু লিস্টে টুকে রাখতে হবে।
৪। সঠিক সময়ের একটু আগে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তৎক্ষণাৎ উঠে পড়তে হবে।
৭টায় ওঠার কথা ছিল কিন্তু চোখ খুলে দেখছেন ৬:৪০ বাজে? তখনই বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ুন কারণ এই বিশ মিনিটের ঘুম হয় ভালমত হবেই না, নাহয় এত গভীর হবে যে তা বিশ মিনিট ছাড়িয়ে যাবে। বরং ব্যপারটাকে পজিটিভলি চিন্তা করুন যে, এই বিশ মিনিটে আপনি আপনার কাজ কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
৫। প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠুন।
ব্যাপারটা হয়ত অত সহজ মনে হচ্ছে না। কিন্তু একবার যদি এই সুন্দর অভ্যাসটা করে ফেলতে পারেন তাহলে আপনার মস্তিষ্ক এই ব্যাপারটার সাথে খাপ খেয়ে যাবে আর তখন ঘুম থেকে উঠতে কষ্টও করতে হবে না। শুধু মাত্র উইকডেতেই নয়, বরং বন্ধের দিনগুলোতেও এই নিয়মে চলুন।
৬। দিনের শুরু হোক ছোট কয়েকটা লাফ দিয়ে।
শুনতে হাস্যকর লাগলেও ঘুম থেকে উঠেই যদি ছোট ২-৩ টা লাফ দিতে পারেন তবে ঘুম ঘুম ভাবটা একেবারে কেটে যাবে। আর এমনিতেও, Jumping makes you look younger!
৭। স্ট্রেচ!
আড়মোড়া ভাঙ্গতে স্ট্রেচিং এর উপর আর কিচ্ছু নেই। বেশি না ৫-১০ মিনিট বিছানায় শুয়েই স্ট্রেচিং করা গেলে আলস্য কেটে সারাদিনের কাজের জন্য শক্তি সঞ্চার হয়।
৮। জানালা খুলে দিন।
মাঝে মাঝে লাফ দেয়ার পরও ঘুম ঘুম ভাবটা পুরোপুরি ভাবে কাটে না। এমনটা হলে গিয়ে জানালাগুলো খুলে দিন কিংবা সোজা বারান্দায় চলে যান। সকালের মুক্ত বাতাসে প্রাণভরে শ্বাস নিন। দেখবেন ঘুম ঘুম ভাবটা চলে গিয়ে নিজেকে কত ফ্রেশ লাগছে!
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Personal Fitness
৯। গ্লাস ভরে পানি খান।
আরেকটা ঘুম তাড়ানোর উপায় হচ্ছে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয়া। বিশেষ করে তাতে যদি হালকা লেবু ও মধু মিশিয়ে নিতে পারেন তবে আপনিই নিজেই দেখবেন যে সারাদিনের কাজগুলো করা কত সহজ হয়ে যাচ্ছে।
১০। নাস্তাটা হালকা হোক।
আমার একটা বন্ধুকে যখনই প্রশ্ন করা হয় যে সে ঘুম থেকে কখন উঠেছে, তার উত্তর হয়, “৭ টায় উঠসি, খাইসি, আবার ঘুমায় ১০টায় উঠসি” এমন করে আপনিও যদি দ্বিতীয় দফা ঘুমাতে না চান তাহলে নাস্তায় ভারী কিছু না খাওয়াই ভাল। কারণ ভারী খাবার খেলে আপনা আপনিই আবার ঘুম চলে আসবে। তাই নাস্তায় ভারী কিছু না খাওয়াই ভাল।
যদি আপনিও পৃথিবীর সেই আশি শতাংশ মানুষের মাঝে একজন হন, আর এ কারণে যদি আপনার সারাদিনের কাজকর্ম খারাপভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকে, তবে এই উপরের পয়েন্টগুলো অনুসরণ করেই দেখুন না!
আমাদের কোর্সগুলোর তালিকা:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Study Smart Course by Seeam Shahid Noor
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Course by Abtahi Iptesam
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
- Personal Finance Course by Nafeez Al Tarik
১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট করুন: www.10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন