পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবারে শুনে নাও!
১.
রাজাকার: কইয়া দাও, মুক্তি কোথায়?
ইয়াহিয়া: মুক্তি কিধার হ্যায়?
অমনি একজন কৃষক এসে ইয়াহিয়ার সামনে বুক চাপড়িয়ে বলল, “মুক্তি এইখানে, এইখানে মুক্তি। বুকের মধ্যেই মুক্তি থাকে।“
আর সঙ্গে সঙ্গে পুরো অডিটোরিয়াম জুড়ে তালির বন্যা শুরু হয়ে গেলো। সিলভিয়া আর ত্রয়ী হাঁ করে দেখছিল এবং বাচ্চাদের মত উচ্ছ্বসিত হয়ে তালি দিচ্ছিল। ভাগ্যিস পাশের স্ক্রিনে ইংরেজিতে সংলাপগুলো উঠছিল। না হলে সিলভিয়ার বুঝতে অনেক বেগ পেতে হতো।
তারা এখন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। পাশাপাশি বসে আছে অন্ধকার একটা অডিটোরিয়ামে। মঞ্চের দিকে সবাই একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে। এতক্ষণ দেখছিল মোস্তফা মনোয়ারের “একজন সাহসী কৃষক” পাপেট শো’টি। জ্যামের কারণে একটু দেরিতে পৌঁছালেও অনেকটুকুই দেখতে পেরেছে তারা। পুরোটা রাস্তা ত্রয়ী কোনো কথা বলেনি। শুধু তার সেই রহস্যময় হাসি হেসে গিয়েছিল। সিলভিয়া এখন পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারছে। ত্রয়ী জানতো এটা তার অন্যতম পছন্দের বিষয়। তাই সে চাইছিল সিলভিয়া যেন নিজ থেকেই পাপেট শো নিয়ে কথা বলা শুরু করে।
২.
কফি ব্রেক এখন।
“পুতুল নাচ হচ্ছে অন্যতম প্রাচীন শিল্প। এর সূত্রপাত কোন দেশে তা ঠিক বলা মুশকিল। তবে ধারণা করা হয় চার হাজার বছর পূর্বে এর প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন গ্রীসে। বর্তমানে পুতুল নাচের সবচেয়ে প্রাচীন দেশ ধরা হয় জার্মানিকে। তাঁদের হাত ধরেই ধীরে ধীরে পুরো বিশ্ব চিনতে লাগল পুতুল নাচকে।
পুতুল নাচ একটি সম্পূর্ণ বিনোদনের প্যাকেজ হিসেবে সারাবিশ্বে খ্যাত। এখানে গান, নাচ, কবিতা, অভিনয়, চিত্র সবকিছুই যেন একবিন্দুতে মিলিত হয়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, ফেস্টিভ্যালে পুতুল নাচ প্রদর্শিত হয়। পৌরাণিক কাহিনী, রূপকথার রাজকন্যার কাহিনী ইত্যাদি ফুটে উঠতো পুতুল নাচে।” বলেই কফিতে এক চুমুক দিল সিলভিয়া। কফি এতক্ষণে ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সে তেমন একটা কেয়ার করছে বলে মনে হচ্ছে না।
সে আবার বলা শুরু করল, ‘মধ্যযুগের ইটালিতে “পুলসিনেলো” নামে আবির্ভাব ঘটে সুতা পাপেটের। যা পরে ফ্রান্সে গিয়ে হয় “পলসিনেল” এবং ইংল্যান্ডে এসে এর নাম দাঁড়ায় “পাঞ্চ”। পাঞ্চ তখনকার আমলে ভালোই খ্যাতি অর্জন করেছিল।’
সিলভিয়ার কথা শেষ হতে না হতেই অডিটোরিয়াম থেকে ঘোষণা এলো যে বাংলাদেশের পুতুল নাচ নিয়ে ডকুমেন্টারি দেখানো হবে এখন। সবাই যাতে নিজ নিজ আসনে বসে যায়।
দেরি না করে তারা দুইজনই তাদের সিটে গিয়ে বসল।
ডকুমেন্টারি শুরু হল।
পুতুল নাচের সাথে বাংলার সম্পর্ক হাজার বছরের। কথিত আছে, এই হাজার বছরের পুরোনো শিল্পের প্রচলন শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সাধারণত চার ধরনের পুতুল দেখা যায়। তারের পুতুল, লাঠি পুতুল বা কাঠি পুতুল, বেণী পুতুল, ছায়া পুতুল। তবে বাংলাদেশে শ্যাডো পাপেটের প্রচলন তেমন একটা নেই। বাকি তিন ধরনের পাপেট শোই দেখা যায়।
তার দিয়ে যেসব পুতুল নাচ পরিচালিত হয় সেগুলোকে বলা হয় তারের পুতুল। আর যদি কাঠি দিয়ে পরিচালনা করা হয় তবে সেটির নাম হয়ে যায় লাঠি বা কাঠি পুতুল। যখন দুই বা ততোধিক পুতুলকে একসাথে বেঁধে পুতুল নাচ পরিচালনা করা হয় তখন সেটার নাম হয় ট্রেসড পাপেট। বাংলায় বলে বেণী পুতুল। আর এছাড়াও হ্যান্ড পাপেট ও গ্লাভস পাপেট আছে। যেসব পুতুল হাতে ঢুকিয়ে পরিচালিত হয় তারা হ্যান্ড পাপেট। গ্লাভস পাপেট মূলত একধরনের হ্যান্ড পাপেট। পুতুলগুলো গ্লাভসের মত পরে তারপর পাপেট শোটি হয়।
পুতুলগুলো তৈরি হয় শোলা, নরম কাঠ, কাপড় ইত্যাদি দিয়ে। পুতুল বানানোতে কাপড়ের জুড়ি নেই। নরম কাপড় দিয়ে পুতুল আকৃতি বানিয়ে এককালে গ্রামের মানুষজন পুতুল নাচের জন্য পুতুল বানাতো। চুল হিসেবে ব্যবহার করতো পাটের আঁশকে। পুতুল নাচের জন্য গ্রামবাসীরা নিজ হাতেই পুতুল বানাতো। নিজেদের স্বকীয়তা ঢেলে দিয়ে পুতুল সাজাতো।
নাচের পুতুল বানানোর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কান্দিপাড়া গ্রাম খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও ফরিদপুর, রাজশাহী ও বিখ্যাত পুতুল বানানোতে। বর্তমানে অনেক আধুনিক উপায়ে অনেক ভালোমানের পুতুল তৈরি হয়। সেগুলোতে তুলা, কাঠ, এমনকি সিরামিক ও উপাদান হিসেবে থাকে।
পুতুল নাচের ব্যাপারে যেহেতু সিলভিয়া ভালো জানে তাই ত্রয়ী তাকে জিজ্ঞেস করল, “সাধারণত কতজন থাকে একটা পুতুল নাচের দলে?” ত্রয়ীর প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল পরবর্তী স্লাইডে।
সেখানে উল্লেখ আছে যে, সাধারণত একটা পুতুল নাচের দল ১৪ জন নিয়ে গঠিত হয়। এর মধ্যে দশজন থাকেন পরিচালক। যারা পুতুলগুলো পরিচালনা করেন। পুরো শো’টার আর্কষণ ধরে রাখার মহা দায়িত্ব থাকে তাদের উপর। তারা বিভিন্ন আওয়াজে কথা বলে সংলাপ দেন। কয়েকজন সময়ের সাথে সাথে পুতুলগুলোর অবস্থান বদলাতে থাকেন। বলতে গেলে, প্রতিটি সফল পুতুল নাচের নেপথ্যের নায়ক তারা।
সাধারণত, পুতুল নাচের দলে কোনো মেয়ে সদস্য থাকে না। বিশেষ করে গ্রামের দলগুলোতে। তাই সেখানে মেয়েদের কণ্ঠ অনুকরণ করারও দায়িত্ব বর্তায় সেই পরিচালকদের উপর। তবে নতুন যুগের পাপেট শোগুলোতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়।
আর বাকি চারজন হচ্ছেন বাদ্যযন্ত্রক। এর মধ্যে একজন হারমোনিয়াম বাজান, একজন বাঁশি, একজন সারিন্দা, একজন ঘণ্টা। তাঁরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রত্যেকটি দৃশ্যকে ফুটিয়ে তুলেন। গানে, সুরের মূর্ছনায় পুতুল নাচ হয় আরো বেশি প্রাণবন্ত।
“এইবার দেখবে পুতুল নাচের বিষয়বস্তু নিয়ে স্লাইড আসবে।” খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বলল সিলভিয়া। ত্রয়ী বলল, “না, এবার আধুনিক পুতুল নাচ নিয়ে বলবে।“
ডকুমেন্টারি চলাকালীন সময়ে কোনটার পর কোন স্লাইড আসতে পারে সে নিয়ে তারা প্রেডিকশন দিচ্ছে। যারটা ঠিক হয় তার এক পয়েন্ট। আপাতত, সিলভিয়া ২-১ এ এগিয়ে আছে। কতজন নিয়ে পুতুল নাচ গঠিত হয়, কী দিয়ে তৈরি এই দুটো ঠিক ঠিক বলতে পেরেছিল। এবার ত্রয়ী পারলে তাদের মধ্যে টাই হয়ে যাবে। তাই একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে।
ত্রয়ীকে হতাশ করে দিয়ে স্লাইড শুরু হল সিলভিয়া যা বলেছিল তা দিয়ে। পুতুল নাচের বিষয়বস্তু।
অন্যান্য দেশসমূহে যেমন পৌরাণিক কাহিনী ছিল মূল বিষয়বস্তু। তেমনি এদেশেও পৌরাণিক কাহিনী যেমন, মহাভারত, রামায়ণ, সীতার অপহরণ, কৃষ্ণা কাহিনী, রাবণ বধ ইত্যাদির উপরই পুতুল নাচ হতো। এইসব বিষয়বস্তু ষাটের দশকে বেশি জনপ্রিয় ছিল। পৌরাণিক কাহিনীর পাশাপাশি রূপকথার কাহিনী, ঐতিহাসিক কাহিনী, সামাজিক, দৈনন্দিন জীবনকাহিনীও ফুটে উঠত এই শোলা, কাপড়ে তৈরি রং চং এ জামা পরিহিত পুতুলের অঙ্গভঙ্গিতে। শোলা, কাঠের তৈরি পুতুলগুলোই যখন সামাজিক ব্যাধি যৌতুকের বিরুদ্ধে কথা বলে, পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়, নারী পুরুষ বৈষম্য রোধে আওয়াজ তুলে তখন আমরা সমাজের শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে একটু তো সোচ্চার হতেই পারি।
“এবার দেখবে বাংলাদেশের পুতুল নাচের পথিকৃৎ নিয়ে বলবে।“ কথাটা বলল ত্রয়ী। এবং সৌভাগ্যবশত এবারেরটা মিলে গেল।
নতুন স্লাইড শুরু হল।
বাংলাদেশের আধুনিক পুতুল নাচের পথিকৃৎ বলতে আমারা মুস্তাফা মনোয়ারকেই চিনি। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আধুনিক পাপেট্রিতে প্রবেশ করে। ছোটবেলায় বিটিভিতে পারুল নামের পুতুলকে আমাদের সবারই কম বেশিই চেনা। বিটিভিতে তিনি টানা ১২ বছর “মনের কথা” নামে পাপেট শো পরিচালনা করেছেন। নব্বইয়ের দিকে এবং একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের সেই একমাত্র বাংলা পাপেট শো’র কথা ভাবলে এখনো আমরা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি।
“মনের কথা” শোটিতে পারুল হচ্ছে প্রধান চরিত্র। তার ছিল সাত ভাই যারা অভিশপ্ত হয়ে ফুলে পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে ছিল কাহিনী যা তখনকার বাচ্চাদের মনে বিনোদনের প্রধান উৎস ছিল। শুধু তাই না। এখানে ছিল আরো শিক্ষনীয় বিষয়ও। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি Rod puppet-এর প্রচলন করেন।
ত্রয়ী ফিসফিস করে সিলভিয়াকে জিজ্ঞেস করে নিল Rod puppet কী জিনিস। সিলভিয়া উত্তরে বলল, “উপর থেকে তার দিয়ে পুতুল নিয়ন্ত্রণ করে আমরা সেটি দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এখনকার আধুনিক পাপেটে খেয়াল করলেই আমরা দেখব যে, প্রতিটি পুতুল নিচ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ পুতুলগুলোর তার নিচে থাকে। তারাই Rod puppet যেটা সারা বিশ্বে Sesame street নামে খ্যাত সেটা তোমাদের এখানে মনে হয় সিসিমপুর তাই না?”
ত্রয়ীর ঝটপট উত্তর, “হ্যাঁ হ্যাঁ। সিসিমপুর।“
শিবিরে তাঁর দেখানো পুতুল নাচে ফুটে উঠতো মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব।
শিবিরের অসহায় মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্নও দেখাতেন।
“সিসিমপুরের পাপেটগুলো রড পাপেটের উদাহরণ।“ সিলভিয়া তার কথা বলা শেষ করলে আবার ডকুমেন্টারিতে মনোযোগ দিলো তারা।
স্যার মুস্তাফা মনোয়ার Educational Puppet Development Centre (EPDC) চালান। যেখানে নতুন পাপেট্রিদের ট্রেনিং দেওয়া হয়। এছাড়া এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দেশীয় ঐতিহ্যকে ধরে রেখে পাপেট শোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই এদের পুতুল নাচের মূল উপাদান হিসেবে থাকে ফোক গান, লোকজ রুপকথা ইত্যাদি। পন্ডিত ও মাঝি, প্রবাদ বাক্য, বহুরূপি, আগাছা, লোভ, লিচুচোর, মোমের পুতুল, শান্তির পায়রা, ছোট মেয়ে ও প্রজাপতি, খুকি ও কাঠবেড়ালি ইত্যাদি শো পরিচালনা করেছেন। আর এসবকিছুরই নেপথ্যের কারিগর হচ্ছেন স্যার মুস্তাফা মনোয়ার।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিল তাঁর বিশেষ অবদান। শরণার্থী শিবিরে গিয়ে তিনি পাপেট শো দেখাতেন। তুলে ধরেছিলেন পাকহানাদার বাহিনীর বর্বরতা। পাশাপাশি সাহসী মুক্তিসেনার গল্প। শিবিরে তাঁর দেখানো পুতুল নাচে ফুটে উঠতো মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব। শিবিরের অসহায় মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্নও দেখাতেন।
স্লাইড শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সবাই দাঁড়িয়ে স্যারকে সম্মাননা জানাল। আর আস্তে আস্তে স্টেজে উঠলেন প্রবীণ শ্রদ্ধেয়ভাজন ব্যক্তিটি। ইশারায় সবাইকে বসার অনুরোধ করলেন। সবাই বসার পর তিনি বলা শুরু করলেন, “প্রথমেই ধন্যবাদ সবাইকে। আমাদের লোকজ শিল্প শহুরের যান্ত্রিক শিল্পের জন্য বিলুপ্তির দিকে চলে যাচ্ছে। পুরোনো এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে।“
তাঁকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়ার পর সিলভিয়া ও ত্রয়ী আস্তে আস্তে অডিটোরিয়াম থেকে বের হলো। অনুষ্ঠান শেষ হলেও পুতুল নাচ নিয়ে তাদের আলোচনা শেষ হচ্ছে না। ত্রয়ী বলল, “স্যারের শেষ কথাটি খুব ভাবাচ্ছে। আমাদের লোকশিল্প এভাবে বিলুপ্ত হতে দেওয়া যায় না।“
সিলভিয়া তার কথায় সায় দিল।
ত্রয়ী আবার বলতে শুরু করল, “তবে আশার ব্যাপার কী জানো, এখন সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ও এ ব্যাপারে অনেক সোচ্চার হয়ে গিয়েছে। মার্চের ২১ তারিখ ওয়ার্ল্ড পাপেট ডে-তে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পাপেট শোগুলো এখনো সক্রিয় থাকে। বাচ্চাদের জন্য প্রথম বাংলা কার্টুন চ্যানেল দুরন্ততে প্রথমবারের মত পাপেট সিরিজ শো শুরু হয়েছে। আশা করি, আমরা যদি এই শিল্পে আরো সক্রিয় হয়ে উঠতে পারি তবে আমরা স্যারের শেষ কথাটির মান রাখতে পারব।“
৩.
পরেরদিন সকাল। সিলভিয়া আর ত্রয়ী রিকশাতে চড়ছে। রিকশা মানিকমিয়া এভিনিউ ক্রস করছে। সিলভিয়া তো নিচে তাকিয়ে অবাক। এত দীর্ঘ নকশা সে কখনোই দেখেনি। ত্রয়ী থেকে জানতে পারল এদের আলপনা বলে। বরারবের মত সিলভিয়া ওরা কোথায় যাচ্ছে এটা জিজ্ঞেস করে ঠিক উত্তরটা পেলো না। ত্রয়ী তার চিরাচরিত রহস্যময় হাসি হেসে বলল, “যাচ্ছি; এমন এক জায়গায় যেখানে একেকটা নকশা তোমাকে একেকটা গল্প শোনাবে।“
সিলভিয়া বলল,”উফ! তুমি না কিচ্ছু বলো না!”
ত্রয়ী আবারো হেসে বলল, “আরেহ, একটু ধৈর্য ধরোই না।“
তাদের রিকশা এগুচ্ছে। ধীরে ধীরে রাস্তার নকশাগুলোকে অতিক্রম করছে।
তথ্যসূত্র :
১. পুতুল নাচ সৃজনশীল জীবন ও ঐতিহ্যের কাব্যগাঁথা।। দৈনিক জনকণ্ঠ
২. PUTUL NACH ।। World Encyclopedia of Puppetry Arts,
৩. Puppet Theatre ।। Banglapedia http://en.banglapedia.org/index.php?title=Puppet_Theatre
এই লেখাটির অডিওবুকটি পড়েছে সাদিকুল্লাহ মাহমুদ
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন