পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবারে শুনে নাও!
১.
ইয়া বড় একটা গাছ। গাছের একটা শাখা বের হয়েছে। শাখা থেকে ঢেউয়ের মত অনেকগুলো প্রশাখা এঁকেবেঁকে এদিক ওদিক ছড়িয়ে গিয়েছে। সেই প্রশাখাগুলোর শেষপ্রান্তে কচি কচি পাতার জন্ম হয়েছে। কচি পাতাগুলো থেকে আবার কতগুলো লাইন এঁকেবেঁকে গিয়ে স্পর্শ করেছে আরেক পাতাকে। এভাবে করে লহরির পর লহরি তুলে এঁকেবেঁকে পাতাগুলো নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। সিলভিয়া খুব মনোযোগ দিয়ে পাতার নকশাটি দেখছিল। ত্রয়ী আর ও এসেছে বেঙ্গল গ্যালারিতে। সেখানে জয়নুল আবেদীনের নিজস্ব সংগ্রহের কিছু নকশি কাঁথার প্রদর্শনী চলছে। নকশি কাঁথার পুরো কন্সেপ্টটাই অনেক চমকপ্রদ লাগছে সিলভিয়ার। কাঁথার উপর দিয়ে হরেক রকমের সুঁই সুতা চালিয়েও যে গল্প বলা যায় সেটা তার জানা ছিল না। কাঁথার প্রতিটা ফোঁড় হচ্ছে একেকটা চরিত্র, আর পুরো কাঁথাটি যেন একটা গল্প। সেই গল্প কখনো কষ্টের, কখনো হাসির, কখনো বা কাল্পনিক আবার কখনো ঐতিহাসিক। আবার কিছু কাঁথায় আছে কেবল আলপনার মত নকশা আঁকা। হরেক রকমের নকশা। সিলভিয়া যখন নকশি কাঁথার নকশার রহস্য ভেদ করতে ব্যস্ত, তখনই তার মনোযোগে হালকা ব্যাঘাত ঘটিয়ে ত্রয়ী বলল, “কী, বলেছিলাম না, এখানে একেকটা নকশা একেকটা গল্প বলে?” সিলভিয়া মুচকি হাসি দিয়ে বলল, “ঠিক তাই। আমি তো দেখছি আর অবাক হচ্ছি। আমি যতটুকু জানি বাংলার গ্রামীণ মেয়েরা নকশি কাঁথা সেলাই করে। তাদের হাত দিয়ে এমন সব শিল্প তৈরি হচ্ছে সেটা ভাবতেই ভালো লাগছে।” ত্রয়ী বলল, “হ্যাঁ। সাধারাণত নকশি কাঁথা গ্রামের মেয়েরা বানিয়ে থাকে। ছেলেদের এই কাজে তেমন একটা দেখা যায়না। নকশি কাঁথা শিল্প গড়ে উঠেছে বাংলার নারীদের হাত ধরে। এবং যুগ যুগ ধরে সেই পরম্পরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু আমাদের মেয়েরাই। তারা তাদের কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতা দিয়ে পরম যত্নে তৈরি করে থাকেন এই কাঁথাগুলো।“
কথা বলতে বলতে তারা দুইজন এসে দাঁড়াল এক বিশাল আকারের বোর্ডের সামনে যেখানে আছে নকশি কাঁথা নিয়ে নানান তথ্য। বাংলা এবং ইংরেজী দু’টোতেই লেখা আছে। সিলভিয়া এক এক করে পড়তে শুরু করল। প্রথমেই লেখা আছে, কাঁথা বানানোর তথ্য। সাধারণত কাঁথা বানানো হয় পুরনো শাড়ি, কাপড়, লুঙ্গি, ধুতি ইত্যাদি ব্যবহার করে। ভারী মোটা কাঁথা বানাতে ছয় থেকে সাতটা শাড়ি লেগে যায়। সিলভিয়ার কাছে পুরো ব্যাপারটা কিছুটা অদ্ভুত শুনালো। ত্রয়ী তাকে বুঝিয়ে দিল। কাঁথাকে ধরা হয় মিতব্যয়ীতার প্রতীক হিসেবে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামের মানুষজন তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে কাঁথা বানালে এমনভাবে বানাতো যাতে খরচ কম লাগে এবং পুরানো জামাকাপড়গুলোও যাতে বিকল্প ব্যবহার উপযোগী হয়। তবে বর্তমানে একদম নতুন কাপড় দিয়েও কাঁথা তৈরি হয়। তারপর আছে, নকশি কাঁথার উৎপত্তির কথা। ময়মনসিংহকে নকশি কাঁথার শহর ধরা হয়। এছাড়াও রাজশাহী, যশোর, ফরিদপুর নকশি কাঁথার জন্য বিখ্যাত। আসলে বাংলাদেশের সব গ্রামেই কম বেশি নকশি কাঁথা তৈরির চল আছে। উৎপত্তির পর সিলভিয়া জানতে পারলো কাঁথার উপরের নকশার খুঁটিনাটি। নকশি কাঁথার নকশা মূলত যেই ফোঁড় দিয়ে করা হয় তাকে বলে চলমান ফোঁড় বা রানিং স্টিচ। নকশি কাঁথার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে, এর উপরের নকশাগুলো হবে রানিং স্টিচ দিয়ে। আর নকশা করার জন্য মেয়েরা কোনো সেলাই মেশিন ব্যবহার করেন না। তারা তাদের নিজ হাত দিয়েই কাঁথার উপর ধীরে ধীরে ফুটিয়ে তুলেন তাদের শত ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নের কথা। তাই একটা কাঁথা তৈরিতে প্রায় ২-৩ মাস সময় লেগে যায়।
আরো পড়ুন: মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস: যেভাবে অর্জন করলাম বাংলায় কথা বলার অধিকার
বোর্ডের লেখাগুলো পড়া শেষ। সিলভিয়া আর ত্রয়ী সামনে অগ্রসর হল। তাদের নজর কাড়লো একটি বিশাল নকশি কাঁথা। কিন্তু দুই সাইডেই একই রকমের নকশা। ফলে কোনটা সঠিক সাইড বা কোনটা উপরে আর কোনটা নিচে সেটা বলা মুশকিল। সিলভিয়া কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করল, “এ নকশি কাঁথাটা একটু অন্যরকম না, ত্রয়ী?” “হ্যাঁ। তবে সত্যি বলতে কী, আমিও ঠিক এ ধরনের নকশি কাঁথার সাথে পরিচিত না।” দ্বিধান্বিত কণ্ঠে ত্রয়ী উত্তর দিল। ভাগ্যিস তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বয়োজ্যেষ্ঠ্য একজন তাদের কথা শুনতে পেরেছিলেন। তিনি তাদের বললেন, “এ ধরনের নকশি কাঁথার নাম দোরোখা নকশি কাঁথা। তার মানে এসব কাঁথার নকশাগুলো উপরে নিচে একই রকম থাকে। একটু কাছ থেকে দেখলেই বোঝা যায় কোন নকশাটি প্রথমে কথা আর কোন নকশাটি আগের নকশারই পুনরাবৃত্তি।” এমন একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য জানতে পেরে তারা দুইজনই বয়োজ্যেষ্ঠ্য ভদ্রলোকটিকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে সামনে এগুলো। হাঁটতে হাঁটতে ত্রয়ী সিলভিয়াকে জিজ্ঞেস করল, “আমি লক্ষ্য করলাম তুমি প্রত্যেকটা নকশি কাঁথাই অনেক মনোযোগ দিয়ে দেখেছো। তাই ভাবছি তোমার একটা পরীক্ষা নেওয়া গেলে মন্দ হয় না। কী বলো?” চেহারায় কৃত্রিম একটা ভয় এনে সিলভিয়া বলল, “হায় হায়! পরীক্ষাও দিতে হবে।” পরে অবশ্য হেসে বলল, “ঠিক আছে। রাজি আছি। শুরু হোক পরীক্ষা।” ত্রয়ী প্রশ্ন করল, “নকশি কাঁথার মৌলিক কিছু মোটিফ বা নকশা আছে। সেগুলো কী, বলো তো?” “নকশি কাঁথার মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি দেখেছি পদ্ম নকশা। পদ্ম ফুলের আশেপাশে বিশাল লতাপাতার বহর আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে। এছাড়াও সূর্য, চাঁদ, পাখি, বিভিন্ন রকম প্রাণী, চক্র, জীবনবৃক্ষ ইত্যাদিও দেখেছি। আরেকটি নজরকাড়া নকশা লেগেছে স্বস্তিকা নকশা। আমি ভারতীয় আর্ট নিয়ে পড়ার সময় এটা নিয়ে জানতে পারি। ও আচ্ছা, পালকি, বিভিন্ন আসবাব পত্র, তৈজসপত্র এসবের নকশাও রয়েছে দেখছি।” সিলভিয়া বলল। চিত্র: পদ্ম নকশা ত্রয়ী হেসে বলল, “বাহ। অনেক ভালো খেয়াল করেছো দেখছি। সাধারণত পদ্ম নকশা থাকে একদম নকশি কাঁথার মাঝে বিশাল অংশ জুড়ে। নকশার ক্ষেত্রেও আমরা কিছু ধর্মীয় প্রভাব লক্ষ্য করতে পারি। যেমন চাঁদ নকশা যেটা দেখেছো সেটা মূলত আমরা জায়নামাজ কাঁথায় দেখতে পাই। ঈদের চাঁদের মত নকশা ফুটে উঠে জায়নামাজ কাঁথায়।” সিলভিয়া বলে উঠল, “হ্যাঁ। আমিও লক্ষ্য করেছি। অনেক জায়গায় মসজিদের নকশা, আবার কোথাও মন্দির, রথযাত্রার।” “আচ্ছা, এবার আমার পরবর্তী প্রশ্ন। কিছুটা কঠিন”, বলে ত্রয়ী প্রশ্ন করল, “কাঁথার সীমানার অংশের দিকে তুমি কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করেছো কি?” এইবার সিলভিয়াকে একটু ভাবতে হলো। কিছুক্ষণ ভেবে বলল, “হ্যাঁ, আমি খেয়াল করেছি। একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন অনুসরণ করে কাঁথার সীমানার অংশগুলো নকশা করা। রানিং ফোঁড় দিয়ে। কিছু কিছু কাঁথাতে দেখেছি সীমানাগুলো গাছের মত নকশা করা, কিছু আবার দেখলাম চোখের নকশা করা, কোথাও ঢেউয়ের মত নকশা। তুমি যদি ব্যাপারটা আমাকে একটু বুঝাতে ভালো হতো।” “হ্যাঁ, অবশ্যই,” ত্রয়ী বলল। তারা দুইজন হাঁটতে হাঁটতে গ্যালারির সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ত্রয়ী হাঁটতে হাঁটতেই বলা শুরু করল, “কাঁথার সীমানার অংশকে বলা হয় পাড়। মাঝেমাঝে শাড়ির পাড় দিয়ে কাঁথার পাড় বানানো হয়। মাঝে মাঝে নকশা করে পাড় তৈরি করা হয়। নানারকম পাড় আছে। যেমন ধরো, চোক পাড়, বরফি পাড়, চিক পাড়, বেকি পাড়, গাছ পাড়, আনাজ পাড়, মাছ পাড় আরো কত কী! একেকটা পাড় আসলে একেক ধরনের নকশা। আরেহ এই দেখো, কত রকমের পাড়ের একটা তালিকা দেওয়া আছে।“ এরপর ত্রয়ী তার থেকে একটু ডান দিকে রাখা একটা বোর্ডের কাছে এসে দাঁড়াল। পাশে সিলভিয়াও দাঁড়াল। তাঁরা লিস্টটি পড়তে শুরু করল। চোক পাড়: চোখের নকশা বরফি পাড়: হীরার আকৃতি বেকি পাড়: ঢেউয়ের নকশা মাছ পাড়: মাছের নকশা নোলক তাগা: নোলকের নকশা এভাবে তারা এক এক করে করে মই পাড়, ধান পাড়, পাঁচ পাড়, বাইশা পাড়, শামুক পাড়, গ্রেফি পাড়, অনিয়ত পাড়, মালা পাড়, তাবিজ পাড়, গাট পাড় অনেকগুলো পাড়ের নাম জেনে নিল। সিলভিয়া যতই নকশি কাঁথা নিয়ে জানতে পারছে ততই মুগ্ধ হচ্ছে। ছোট একটি দেশের গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত মানুষরা তাদের স্বকীয়তা, সরলতা, কল্পনা দিয়ে কি সুন্দর করেই না তৈরি করেন নকশি কাঁথাগুলো। সুঁই সুতা দিয়ে তারা কাঁথার উপর তাদের নিজস্ব গল্প রচনা করেন।
২.
কিছুদূরে কয়েকটি স্টল বসেছে। কয়েকজন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য সামগ্রী নিয়ে বসেছেন। হ্যান্ড ব্যাগ, মোবাইলের ব্যাগ, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, শাড়ি, কাঁথা, রুমাল অনেক কিছু কেনাবেচা হচ্ছে সেখানে। সবই নকশি কাঁথা ডিজাইনের। স্টলগুলো কাছে যেতে যেতে ত্রয়ী সিলভিয়াকে বুঝালো যে আজকাল নকশি কাঁথার ঐতিহ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে নতুন আঙ্গিকে নকশি কাঁথার ডিজাইনকে তুলে ধরা হচ্ছে। লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। নকশি কাঁথার নকশাগুলো কেবল এখন কাঁথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এসব ডিজাইনগুলো এখন শোভা পাচ্ছে শাড়ি, কাপড়, সালোয়ার কামিজ, বিছানার চাদর, পর্দা, ব্যাগ আরো অনেক কিছুতে। নকশি কাঁথার এই আধুনিক ছোঁয়া তরুণদের বেশ প্রিয়। তারা এসে দাঁড়াল একটা স্টলের সামনে। রুমাল, বিছানার চাদর এসবের পশরা সাজিয়ে বসেছেন তিনি। ত্রয়ী তাঁকে প্রশ্ন করল, “খালা, কতদিন হলো এই পেশায় আছেন?” “সে ম্যালাখানেক বছর হয়ে গেসে। আমাগো বংশেই আসে নকশি কাঁথা সিলানো।” স্টলে বসা নারীটি উত্তর দিলেন। – “তো কেমন আয় হয় এতে?” – “একটা নকশিকাঁথা বিক্রি করলে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ হাজার পাওয়া যায়।” – “নকশাগুলো কিভাবে তুলেন?” – “যখন মনে যেইটা আসে সেইটাই আঁইকা দিই গো মা। প্রথমদিকে তো চারকোল দিয়ে কাঁথায় আঁইকা নকশা তুলতাম। অহন টেরেস (ট্রেস) কাগজ দিয়া তুলি। দিন পাল্টাইসে তো। আগে তো কাপড় থেইকা সুতা বাইর কইরা নকশা তুলতাম। অহন নতুন কিছু সুতা আছে, যেমন মার্কিন শালু, সিলিক (সিল্ক) পেটি এসব।“ – “আচ্ছা খালা, শুধু কি পেশার জন্যই নকশি কাঁথা বানান নাকি শখের বশেও বা অন্য কোনো কারণেও বানানো হয়ে থাকে?” – “কী কন মা আপনে! শুধু ট্যাকার জন্য কেন বানামু? এইটা আমাদের জন্য কেবল নকশার জিনিস না তো মা। এইটা আমাগো ভাগ্য ফিরায়।”
আরো পড়ুন: আল মাহমুদ : একটি নাম, একটি ইতিহাস
একটা ছোট কাঁথা দেখিয়ে খালা আবার বললেন, “এই যে, এইটা দেখতেসেন, এইটা আমি বেচুম না কারো কাছে। এইটা বানাইসি আমার নাতি বা নাতনির জন্য। আমার মেয়েটা পোয়াতি। দোয়া রাইখেন। এইটাতে এর কপালে সুখ আসবে।” সিলভিয়া খেয়াল করল খালার চোখের কোণে পানি জমছে। সে বুঝতে পারছে, নকশি কাঁথা একটা আবেগের নাম। এটাকে তাই সৌভাগ্যের প্রতীক ভাবে।
৩.
সিলভিয়া আর ত্রয়ী কফিশপে বসে আছে। ত্রয়ী সিলভিয়াকে নকশি কাঁথা ডিজাইনে একটা সুন্দর ব্যাগ গিফট করেছে। সিলভিয়া সেটির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে। কফির দিকে তার খেয়াল নেই। নিরবতা ভেঙ্গে ত্রয়ী জিজ্ঞেস করল, “কী ভাবছো?” “নকশিকাঁথা।” সিলভিয়ার সংক্ষিপ্ত উত্তর। ত্রয়ী কিছু বলল না। শুধু মুচকি হাসল। কারণ সে জানে আমাদের এই লোকশিল্পের প্রতি বিদেশিদের ও আগ্রহের কমতি নেই। তাই তো শৌখিন পণ্য হিসেবে বিদেশের নানা জায়গায় নকশিকাঁথা বিক্রি হয়। আসলে গ্রামীণ মেয়েরা তাদের সাংসারিক কাজকর্ম সেরে যখন নকশি কাঁথা বুনতে বসে তখন নকশি কাঁথাটা হয়ে উঠে একটা ক্যানভাস। আর গ্রামীণ মেয়েরা সেই ক্যানভাসে তাদের স্বপ্ন আঁকে। পুরো ক্যানভাস জুড়ে রঙিন সুতাগুলো এঁকেবেঁকে ফুটিয়ে তোলে তাদের মনের কথা, পাওয়া না পাওয়ার গল্প, হাসি,কান্নার গল্প। মেয়েদের হাতের জাদুতে সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি হতে থাকে একের পর এক না বলা গল্প। নকশি কাঁথা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই নীরবে কফিশপ থেকে উঠল তারা। কালকে থেকে ওদের আর্ট সামিট। সেখানে নকশি কাঁথা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা সেটা ভাবছে ত্রয়ী। সেই ইটালি থেকে আসা তার বন্ধু সিলভিয়াও যে মনে মনে সেই একই জিনিস ভাবছে সেটা সে কি জানে?
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Graphic Designing with Photoshop
তথ্যসূত্র :
১. নকশি কাঁথা – উইকিপিডিয়া।
এই লেখাটির অডিওবুকটি পড়েছে সাদিকুল্লাহ মাহমুদ
আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:
- Communication Masterclass by Tahsan Khan
- Facebook Marketing Course by Ayman Sadik and Sadman Sadik
- ঘরে বসে Freelancing by Joyeta Banerjee
- ঘরে বসে Spoken English Course by Munzereen Shahid
- Microsoft Office 3 in 1 Bundle
- Microsoft Word Course by Sadman Sadik
- Microsoft Excel Premium Course
- Microsoft PowerPoint Course by Sadman Sadik
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
আপনার কমেন্ট লিখুন