তোমার বিভাগের গর্বের ঐতিহ্য কী?

October 23, 2017 ...

বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। এদেশের রয়েছে হাজার বছরের ইতিhহাস এবং ঐতিহ্য। আমাদের দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পুরো দেশকে ভাগ করা হয়েছে ৭টি ভাগে, ৭টি বিভাগে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট এবং রংপুর বাংলাদেশের ৭টি বিভাগ।

জেনে নেয়া যাক এই বিভাগীয় শহরগুলোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং কিছু ঐতিহ্যের কথা।

ঢাকা:

ঢাকা হলো বাংলাদেশের রাজধানী যা বিশ্বের অন্যতম এক মেগাসিটি ঢাকা শহর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। ঢাকা শহরটি মসজিদের শহর  নামেও পরিচিত। একসময় বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো এই ঢাকায়। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা বাণিজ্যকেন্দ্র।

সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরনো ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের সুবহে বাংলা (বাংলা প্রদেশ) এর প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে এই শহর জাহাঙ্গীরনগরনামে পরিচিত ছিলো। যদিও আধুনিক ঢাকা শহরের বিকাশ ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসন আমলে।

এই সময় নবাবগণ ঢাকা শাসন করতেন। এই সময় কলকাতার পরেই ঢাকা বাংলা প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হয়ে ওঠে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পরে ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীতে পরিণত হয়।। ১৯৭১ সালে ঢাকা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষিত হয়।

জাতীয় দর্শনীয় স্থানগুলো যেমন লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, জাতীয় সংসদ ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় শহীদ মিনার ইত্যাদির মূলস্থান হলো এই ঢাকা।

ঢাকার ঐতিহ্য:

লালবাগ কেল্লা:

সম্রাট আওরঙ্গজেবের ৩য় পুত্র , মুঘল রাজপুত্র আজম শাহ বাংলার সুবেদার থাকাকালীন ১৬৭৮ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু করেন একটি মসজিদ দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়।

নবাব শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে পুনরায় বাংলার সুবেদার হিসেবে ঢাকায় এসে দুর্গের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন। ১৬৮৪ সালে এখানে শায়েস্তা খাঁর কন্যা ইরান দুখত রাহমাত বানুর (পরী বিবি) মৃত্যু ঘটে। কন্যা পরী বিবির মৃত্যুর পর শায়েস্তা খান দুর্গটিকে অপয়া মনে করেন এবং ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে অসমাপ্ত অবস্থায় এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।

লালবাগের কেল্লার তিনটি প্রধান স্থাপনার একটি হল পরী বিবির সমাধি । শায়েস্তা খাঁর ঢাকা ত্যাগ করার পর এটি এর জনপ্রিয়তা হারায়।

আহসান মঞ্জিল:

অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জালালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থানে রংমহল নামে একটি প্রমোদভবন তৈরি করেন। পরবর্তীতে তাঁর পুত্র রংমহলটি এক ফরাসি বণিকের নিকট বিক্রি করে দেন। নওয়াব আবদুল গণি ১৮৭২ সালে প্রাসাদটি নতুন করে নির্মাণ করান। নতুন ভবন নির্মাণের পরে তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল।

জাতীয় সংসদ:

তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের আইনসভার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৬১ সালে। ১৯৮২ সালের ২৮শে জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর একই বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে প্রথম সংসদ ভবন ব্যবহৃত হয়।

এই স্থাপনার স্থাপত্য দর্শনের মূলে ছিল স্থানের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং স্থাপত্যশৈলীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা। এটি পৃথিবীর অন্যতম শিল্পকলাগুলোর মধ্যে একটি।

নিজের জীবনকে করে তোলো সহজতর!

 

চট্টগ্রাম:

৯৫৩ সালে আরাকানের চন্দ্রবংশীয় রাজা সুলা‌-তাইংসন্দয়া চট্টগ্রাম অভিযানে আসলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে তিনি বেশি দূর অগ্রসর না হয়ে একটি স্তম্ভ তৈরি করেন। এটির গায়ে লেখা হয় চেৎগৌঙ্গ যার অর্থযুদ্ধ করা অনুচিত সে থেকে এলাকাটি চৈত্তগৌং হয়ে যায় বলে লেখা হয়েছে আরাকানি পুঁথিরাজাওয়াং’-এ। চৈত্তগৌং থেকে কালক্রমে চাটিগ্রাম, চাটগাঁ, চট্টগ্রাম, চিটাগাং ইত্যাদি বানানের চল হয়েছে।

চন্দ্রবংশের পর লালবংশ এবং এরপর কয়েকজন রাজার কথা কিছু ঐতিহাসিক উল্লেখ করলেও ঐতিহাসিক শিহাবুদ্দিন তালিশের মতে ১৩৩৮ সালে সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহেরচট্টগ্রাম বিজয়ের আগ পর্যন্ত ইতিহাস অস্পষ্ট। বিজয়ের ফলে চট্টগ্রাম স্বাধীন সোনারগাঁও রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। সে সময়ে প্রায় ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম আসেন বিখ্যাত মুর পরিব্রাজক ইবনে বতুতা।

১৩৫২‌-১৩৫৩ সালে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের পুত্র ইখতিয়ার উদ্দিন গাজী শাহকে হত্যা করে বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার মসনদ দখল করলে চট্টগ্রামও তাঁর করতলগত হয়। তাঁর সময়ে চট্টগ্রাম বাংলার প্রধান বন্দর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্য:

ফয়েস লেক:

বন্দরনগরীর অন্যতম আকর্ষণ ফয়েস লেক। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনামলে রেলকর্মীদের পানির চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে এলাকাটি। কেউ কেউ এটিকে প্রাকৃতিক লেক ভেবে ভুল করে। আসলে এটি কৃত্রিম লেক। স্থাপিত হয়েছে ১৯২৭ সালে।
পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কালক্রমে এটি হয়ে ওঠে বিনোদনকেন্দ্র। পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে গেছে নাতিদীর্ঘ লেক, লেকের এপারেওপারে সৌন্দর্য নিয়ে গর্বিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় দৃশ্য সহজেই মুগ্ধ করার মতো।

 

লালদীঘি:

লালদীঘির ময়দান নানা কারণে মানুষের কাছে বহুল পরিচিত।

ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা এখানেই হয়

চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ স্থল এটি। বিভিন্ন সভাসমাবেশে যে পরিমাণ মানুষ জমায়েত হয় তা বিস্ময়কর। এছাড়া সংগ্রামআন্দোলনের অন্যতম, প্রধানতম বললেও ভুল হবে না, সূতিকাগার এটি। ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা এখানেই হয়।

জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর:

এশিয়া মহাদেশের দুটি জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের একটি অবস্থিত চট্টগ্রামে। এটি নগরীর আগ্রাবাদে অবস্থিত। এতে সংরক্ষিত রয়েছে বিভিন্ন উপজাতি জনগোষ্ঠীর জীবনধারা, নানা কৃষ্টিআচার। আরও রয়েছে ভিনদেশী সংস্কৃতির কিছু নমুনা।

খুলনা:

খুলনা ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পরে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। খুলনা জেলা এবং খুলনা বিভাগের সদর দপ্তর এই খুলনা শহরে অবস্থিত। খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা এবং ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় খুলনাকে শিল্প নগরী হিসেবে ডাকা হয়।

পৃথিবী বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন খুলনা জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত। খুলনাকে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয়।রাজধানী ঢাকা থেকে খুলনা শহরের দূরত্ব সড়কপথে ৩৩৩কি.মি. ১৯১২ সালে থেকে অত্র অঞ্চলে নদীপথে স্টিমার (স্টিমবোট) চলাচল করে।

খানজাহান আলী সেতু রূপসা নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু। এটি রূপসা ব্রিজ নামেও পরিচিত। এই সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা যায় কারণ এই সেতু খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলির বিশেষত মংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।

সেতুটিতে পথচারী অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে। বর্তমানে এটি খুলনার একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। রাতে সেতুর উপর থেকে খুলনা শহরকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়।

এই সেতুরবিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো দুই প্রান্তে দুটি করে মোট চারটি সিঁড়ি রয়েছে যার সাহায্যে মূল সেতুতে উঠা যায়। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী সেতুটি পরিদর্শন করতে আসেন।

খুলনার ঐতিহ্য:

খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর:

খুলনা জেলার শিববাড়ী ট্রাফিক মোড়ের জিয়া পাবলিক হলের পাশেই প্রতিষ্ঠিত খুলনা জাদুঘর। খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় জাদুঘরের আওতায় প্রত্নতত্ত অধিদপ্তরের তত্তাবধানে জাদুঘরটি পরিচালিত।

দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত নানান প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন বিশেষ করে ঝিনাইদহের বারবাজার, যশোরের ভরত ভায়ানা এবং বাগেরহাটের খানজাহান আলী সমাধিসৌধ খননের ফলে প্রাপ্ত নানান দুর্লভ নিদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে জাদুঘরে।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি:

রূপসা বাসস্ট্যান্ড থেকে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়ক ধরে মাত্র ৫০ গজ গেলেই চোখে পড়বে মাজারটি। ১৯৭১ সালে রূপসা নদী তীরবর্তী খুলনা শিপইয়ার্ডের সামনে রুহুল আমিন শহীদ হন। তাকে বাগমারা নামক গ্রামে সমাহিত করা হয়।

র্তমানে দেড় একর জমি নিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন এবং বীর বিক্রম মহিবুল্লাহর সমাধি কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। ২০০৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন করে সমাধিসৌধের সংস্কার করা হয়।

রাজশাহীঃ

রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিভাগীয় শহর। রাজশাহী শহর বিখ্যাত পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। রাজশাহী শহরের নিকটে প্রাচীন বাংলার বেশ কয়েকটি রাজধানী শহর অবস্থিত। এদের মাঝে লক্ষনৌতি বা লক্ষনাবতি, পুণ্ড্র ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী তার আকর্ষণীয় রেশমীবস্ত্র (Silk), আম, লিচু এবং মিষ্টান্নসামগ্রীর জন্য প্রসিদ্ধ। রেশমীবস্ত্রের কারনে রাজশাহীকে রেশমনগরী (Silk City) নামে ডাকা হয়। রাজশাহী শহর শিক্ষানগরী নামেও পরিচিত।

রাজশাহী ছিল প্রাচীন বাংলার পুন্ড্র সাম্রাজ্যের অংশ। বিখ্যাত সেন বংশের রাজা বিজয় সেন-এর সময়ের রাজধানী বর্তমান রাজশাহী শহর থেকে মাত্র কি.মি. দূরে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগে বর্তমান রাজশাহী পরিচিত ছিল রামপুর বোয়ালিয়া নামে।

রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।

ব্রিটিশ রাজত্বের সময়েও রাজশাহী বোয়ালিয়া নামে পরিচিত ছিল। তখন এটি ছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গ আসাম অঞ্চলের অন্তর্গত রাজশাহী জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র।

রাজশাহীর ঐতিহ্য:

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর:

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁতে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা।

পুঠিয়া রাজবাড়ী:

পুঠিয়া বাজারে দক্ষিণ পার্শ্বে দ্বিতল বিশিষ্ট আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত পুঠিয়া রাজবাড়িটি একটি আকর্ষণীয় ইমারত। বহুকক্ষ বিশিষ্ট রাজবাড়ীর প্রধান প্রবেশপথ সিংহ দরজা উত্তরদিকে অবস্থিত। জমিদার বা রাজারা এখান থেকে তাদের রাজ কর্ম পরিচালনা করতেন। রাজবাড়িতে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বন্দীশালারও ব্যবস্থা ছিল। স্থানীয় জমিদার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা উনবিংশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয়েছিল।

 

হজরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) এর মাজার:

বহু পীর সাধকের পূণ্যভুমি রাজশাহী মহানগরী।

যখন এই জনপদের মানুষ কুসংস্কার আর অপপ্রথার নিবিড় অন্ধকারের অতল গহ্বরে ডুবে থেকে নানান কুকর্মে লিপ্ত ছিল, দেবদেবীর নামে নরবলি দেয়া হতো, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ছিল প্রকট, তখন থেকেই সকল পীর সাধকের আগমন ঘটতে থাকে সুদূর মধ্য প্রাচ্য অন্যান্য অঞ্চল থেকে। তাদের ডিঙ্গাতে হয় নানা প্রতিকূলতার দেয়াল। এমনকি প্রাণ বিসর্জনও দিতে হয় কাউকে কাউকে। সকল মহৎ প্রাণের অন্যতম পদ্মা পাড়ে চিরশায়িত হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ)

বরিশাল:

বাকেরগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেসি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৭৯৭ সালে রেগুলেশন অনুযায়ী বাকলাচন্দ্রদ্বীপ নিয়ে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার আগা বাকের খানের নামানুসারে জেলার নামকরণ হয়। ১৮০১ সালের ১লা মে স্যার জন শ্যোর জেলার সদর দপ্তর বর্তমান বরিশাল শহরে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে বরিশাল নামেই জেলা পরিচিতি পায়।

১৮১৭ সালে এ জেলা একটি কালেক্টরেটে পরিণত হয়। ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলে এই জেলা ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হয়। যে চারটি কালেক্টরেট নিয়ে ঢাকা বিভাগ বা কমিশনারশিপ গঠিত এটি তারই একটি। এটি কলকাতা থেকে প্রায় ১৮০ মাইল পূর্বে অবস্থিত ছিল। সেসময় জেলার আয়তন ছিল ,০৬৬ বর্গমাইল (১৮৭২ সাল অনুসারে) যা বর্তমান মাদারীপুর, বরিশাল, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী ভোলা জেলা জুড়ে বিস্তৃত ছিল।

১৮৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘Calcutta Gadget’ থেকে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার সীমানার উল্লেখ পাওয়া যায়, তাতে বলা হয়, বিশদভাবে এই জেলার উত্তরে ফরিদপুর, পশ্চিমে ফরিদপুর বলেশ্বর নদী যা যশোর থেকে পৃথক করেছে, দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্বে মেঘনা নদী এর মোহনা।

বরিশালের ঐতিহ্য:

অশ্বিনীকুমার টাউন হল:

বরিশাল শহরের সদর রোডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী অশ্বিনীকুমার টাউনহল। বরিশাল শহরের উন্নয়নের প্রাণপুরুষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অশ্বিনীকুমার দত্তের নামানুসারে হলের নামকরণ করা হয়। হলটি প্রতিষ্ঠার পেছনে আছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

১৯০৬ সালে রাজা বাহাদুরের হাবেলিতে মিছিলের উপর পুলিশ হামলা চালায়। ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে অশ্বিনীকুমার দত্ত একটি হল নির্মাণের প্রস্তাব করেন। ১৯২০ সালে অশ্বিনীকুমারকে সভাপতি শরৎচন্দ্র গুহকে সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরের বছর হলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৩০ সালে। এর মাঝে ১৯২৩ সালে অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু হলে এক শোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে হলটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়।

কড়াপুর মিঞাবাড়ি মসজিদ:

জেলার সদর উপজেলার কড়াপুর ইউনিয়নের মিঞাবাড়িতে রয়েছে প্রাচীন একটি মসজিদ। একটি উঁচু ঢিবির উপরে নির্মিত মসজিদে ওঠার জন্য সামনের দিকে ঠিক মাঝখানে একটি সিঁড়ি আছে। সামনের দেয়ালের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর পশ্চিম দেয়ালে আছে তিনটি মিহরাব। ধারণা করা হয়, মসজিদটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত।

বায়তুল আমান মসজিদ:

জেলা সদর থেকে প্রায় পনের কিলোমিটার দূরে বরিশালবানারীপাড়া সড়কের পাশে গুঠিয়া এলাকায় রয়েছে আধুনিক স্থাপত্যরীতিতে তৈরি বায়তুল আমান জামে মসজিদ। স্থানীয়রা একে গুঠিয়া মসজিদও বলে থাকেন। বিস্তীর্ণ খোলা চত্বরের মাঝে বিশাল মসজিদটির কেন্দ্রে রয়েছে কারুকাজ খচিত একটি গম্বুজ। মসজিদের উঁচু মিনারটিও বেশ আকর্ষণীয়। এটি বাংলাদেশের আকর্ষণীয় মসজিদগুলোর একটি।

সিলেট:

সিলেটের আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ অনুসারে এই অঞ্চলের প্রাচীন সীমানার যে উল্লেখ পাওয়া যায় সে অনুসারে তৎকালীন শ্রীহট্টমণ্ডল বর্তমান সিলেট বিভাগের চেয়ে আয়তনে অনেক বড় ছিল, এমনকি বাংলাদেশের বর্তমান সরাইল বা সতরখণ্ডল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত), জোয়ানশাহী (বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত), ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য শ্রীহট্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল ।

প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থ কামাখ্যা তন্ত্র  অনুযায়ী প্রাচীন কামরুপ রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমাই প্রাচীন শ্রীহট্ট ছিল অর্থাৎ শ্রীহট্ট ছিল কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত। যোগিনী তন্ত্রে শ্রীহট্টের সীমার বিবরণ এরকম:

পূর্ব্বে স্বর্ণ নদীশ্চৈব দক্ষিণে চন্দ্রশেখর

লোহিত পশ্চিমে ভাগে উত্তরেচ নীলাচল

এতন্মধ্যে মহাদেব শ্রীহট্ট নামো নামতা।

অতপর খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলের ভৌগোলিক রুপরেখার বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে সিলেট বিভাগের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ ত্রিপুরা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের অনেক অংশ হরিকেল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।

অবশিষ্টাংশে শ্রীহট্টের প্রাচীন রাজ্য জয়ন্তীয়া, লাউড় ও গৌড় বিস্তৃত ছিল। দশম শতাব্দীতে মহারাজা শ্রীচন্দ্র কর্তৃক উৎকীর্ণ পশ্চিমবাগ তাম্রলিপি থেকে জানা যায় যে, তিনি সিলেট জয় করেছিলেন। ঐতিহাসিকদের ধারণা, সিলেট বা শ্রীহট্ট(সমঋদ্ধ হাট) বহু আগে থেকেই একটি বর্ধিষ্ণু বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বর্তমান ছিল। প্রাচীন শ্রীহট্টে বিপুল হারে বাঙালি অভিবাসন হয়েছিল।

১৪ শতকে ইয়েমেনের সাধক পুরুষ হযরত শাহ জালাল (রাঃ) সিলেট জয় করেন এবং ইসলাম প্রচার শুরু করেন। মুঘল যুগে পাঠান বীর খাজা ওসমান সিলেটের স্থানীয় সামন্তদের সহায়তায় আক্রমণকারী যুগলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সুলতানী আমলে সিলেটের নাম ছিল জালালাবাদ। ১৮৫৭ সালে বিদ্রোহের সময়ে সিলেটে বিদ্রোহীরা ব্রিটিশ বেনিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ব্যর্থ হয়। নানকার বিদ্রোহ সিলেটের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

 

সিলেটের ঐতিহ্য:

সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.):

হযরত শাহজালাল (র.) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর। তিনি ছিলেন ওলিকুল শিরোমণি। সিলেট অঞ্চলে তাঁর মাধ্যমেই ইসলামের প্রসার ঘটে। সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বোরহান উদ্দিন (র.) এর ওপর রাজা গৌড়গোবিন্দের অত্যাচার এবং এর প্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল (র.) ও তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ কারণে সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়। কেউ কেউ সিলেটকে পূণ্যভূমি অভিধায়ও অভিহিত করেন।

জালালী কবুতর নিজাম উদ্দিন আউলিয়া:

হযরত শাহজালাল (.) এর আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয় পেয়ে হযরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া(.) তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেন। প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ তিনি তাঁকে এক জোড়া সুরমা রঙের কবুতর বা জালালী কবুতর উপহার দেন। সিলেট আশপাশের অঞ্চলে বর্তমানে যে সুরমা রঙের কবুতর দেখা যায় তা ওই কপোত যুগলের বংশধর এবং জালালী কবুতর নামে খ্যাত। সিলেটে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউই কবুতর বধ করে না কিংবা খায় না।

মহাপ্রভূ শ্রী চৈতন্যদেবের বাড়ি:

বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যদেবের পূর্বপুরুষের বাড়ি তাঁরই নামে খ্যাত মন্দির। তেরো ধাপ সিড়ি ভেঙে উপরে উঠলে মন্দিরপ্রাঙ্গণ। প্রথমেই সিংহদ্বার। বামদিকে পাশাপাশি পাঁচটি ছোট মন্দির। এগুলোর নাম হলনাট মন্দির, দোল মন্দির, রাম মন্দির, শ্রীমন্দির আর ভোগ মন্দির। এখানে দোল মন্দিরই মূল মন্দির। পঞ্চদশ শতাব্দীতে শ্রীচৈতন্য ছিলেন বাংলার একজন সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক। তিনি ২৫ বছর বয়সকালে গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসী হন। জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেন। শ্রীকৃষ্ণের মানববিগ্রহ হিসেবে লাখ লাখ লোকের দ্বারা তিনি পূজিত হন। বাংলার ঘরে ঘরে তাঁর নাম প্রচার হয়।

রংপুর:

রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এক ঐতিহ্যবাহী জনপদ। সুপ্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চল গৌরবময় বৈচিত্র্যপূর্ণ ইতিহাসের অধিকারী।

এই অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যমুনা,তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, ধরলা, করতোয়া, পুনর্ভবা প্রভৃতি নদনদী। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী ভারতের পূর্বাংশ কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষ রাজ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যার অন্তর্গত ছিল বর্তমান রংপুর তথা রঙ্গপুর অঞ্চল।রাজা ভগদত্তের সময় (খ্রিস্টপূর্ব ১৫শঅব্দ) রংপুর প্রাগজ্যোতিষের অন্তর্গত ছিল। আবার রাজা সমুদ্র গুপ্তের সময় (৩৪০ খ্রি.) কামরূপের করদ রাজ্যে পরিগণিত হয়। পরবর্তীতে আবার এই অঞ্চল কোচবিহারের কিছু অংশ হিসেবে পরিচালিত হতো। ৪র্থ শতাব্দীর মধ্য থেকে অঞ্চল সর্বপ্রথম বর্মা রাজবংশের অন্তর্ভুক্ত হয়। কালক্রমে পালবংশ, সেনবংশ সহ আরও অনেক রাজবংশ এখানে রাজত্ব করে।

১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানী লাভের পর রংপুর নতুন ব্যবস্থায় ইংরেজ শাসনাধীনে আসে। রংপুর অঞ্চলে সর্বপ্রথম ১৭৬৫ সালে কৃষক বিদ্রোহ দেখা দেয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবে বিদ্রোহী সিপাহীরা  অঞ্চলে ইংরেজ শাসকদের মাঝে ত্রাসের সঞ্চার করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৩০ সালে রংপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে সর্বপ্রথম কংগ্রেসের ডাকে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে এখানে উত্তরবঙ্গের কৃষক নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং নভেম্বরে তেভাগা আন্দোলন শুরু হয়।

রংপুরের ঐতিহ্য:

তাজহাট জমিদার বাড়ি:

প্রাসাদটি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজ কুমার গোপাল লাল রায় নির্মাণ করেন। মহারাজ গোপাল রায় ছিলেন হিন্দু এবং পেশায় ছিলেন একজন স্বর্ণকার। কথিত আছে, তাঁর মনোমুগ্ধকরতাজবা মুকুটের কারণেই এলাকা তাজহাট নামে অভিহিত হয়ে আসছে।

১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রাসাদটি ব্যবহৃত হয় রংপুর হাইকোর্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একটি শাখা বা বেঞ্চ হিসেবে। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রাসাদটিকে একটি সংরক্ষিত স্থাপনা তথা স্থাপত্য হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ সরকার স্থাপত্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করতঃ ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে রংপুর জাদুঘরকে সরিয়ে প্রাসাদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসে।

মার্বেলের সিঁড়ি বেয়ে জাদুঘরে উঠলেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী কক্ষ যাতে রয়েছে দশম একাদশ শতাব্দীর টেরাকোটা শিল্পকর্ম। এখানে রয়েছে সংস্কৃত এবংআরবি ভাষায় লেখা বেশ কিছু প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। এর মধ্যে রয়েছে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়ের কুরআনসহ মহাভারত রামায়ণ। পেছনের ঘরে রয়েছে বেশ কয়েকটা কালো পাথরের হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর প্রতিকৃতি।

কারমাইকেল কলেজ:

বাংলার গভর্নর লর্ড ব্যারন কারমাইকেলের দ্বারা ১৯১৬ সালে কারমাইকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে রংপুরের কিছু শীর্ষস্থানীয় জমিদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁরা ৩০০ একর জমিতে কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য ৭৫০০০০ টাকা সংগ্রহ করেন। জার্মান নাগরিক . ওয়াটকিন ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ। ৬১০ ফুট লম্বা ৬০ ফুট প্রশস্ত কলেজ ভবন যা বর্তমান বাংলা বিভাগ জমিদারি স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। যা বাংলার সমৃদ্ধশালী ইতিহাস ও মোঘলীয় নির্মাণ কৌশলকে মনে করিয়ে দেয়। কারমাইকেল কলেজকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯১৭ সালে কলা বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক স্নাতক চালু করা হয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান ১৯২২ সালে  স্নাতক বিজ্ঞান ১৯২৫ সাল থেকে শুরু হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিলদেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে নতুনভাবে স্থাপিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধীন করা হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কারমাইকেল কলেজ ১৯৯২ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়।


৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের 💯তে💯 প্রস্তুতি!

আপনার কমেন্ট লিখুন