একুশে পদক কী? কেন দেয়া হয়?

February 11, 2019 ...
পুরোটা পড়ার সময় নেই? ব্লগটি একবার শুনে নাও।

‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, ‘আমাদের দাবী মানতে হবে’, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ – শ্লোগান দিতে দিতে পাঁচ সাতজনের ছোট ছোট দল করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এগিয়ে যাচ্ছে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সামলানোর জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ আর কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা শুরু করল। এতেও ছাত্রদের টলাতে না পেরে গুলি করা শুরু করল পুলিশ। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ বাংলার দামাল ছেলেরা বুকে বুলেট বিঁধিয়ে ‘অ আ ক খ’, ‘বাংলা আমাদের মাতৃভাষা’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে বাংলার রাজপথ রক্তে রাঙিয়ে সৃষ্টি করে গেলেন এক অনন্য ইতিহাস।

হ্যাঁ, বলছিলাম বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন এর কথা। সেদিন আমাদের জন্য তো বটেই পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো জাতি ভাষার জন্য প্রথম রক্ত দিয়েছিল। বাংলার সেই সাহসী সন্তানদের জন্য আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলাম। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি পায় শহীদ দিবসের মর্যাদা। পরবর্তীতে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বায়ান্নর সেই ভাষাশহীদদের স্মরণে প্রতিষ্ঠা করা হয় একুশে পদক। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই যোগ্য ব্যক্তিদের দেওয়া হচ্ছে এই একুশে পদক। একুশে পদক কী কিংবা একুশে পদকের ইতিহাস জানতে হলে পড়তে হবে এই লেখাটি।

সুন্দর ও দ্রুত বাংলা হাতের লেখা

এই কোর্সটি আপনাকে কীভাবে সাহায্য করবে?

  • বাংলা হাতের লেখা পরিষ্কার ও দ্রুত করার কৌশল আয়ত্ত করে।
  • বাংলা হাতের লেখা উন্নত করার মাধ্যমে পরীক্ষায় সফলতা বৃদ্ধি করে।
  • বাংলা লেখা নিয়ে ভয় ও সংশয় দূর করে।
  •  

    একুশে পদক কী?

    একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও দেশের উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখা সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বা সংগঠনকে সম্মানিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একুশে পদক প্রদান করা হয়। ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন এর অমর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে।

    একুশে পদক বিজয়ী প্রত্যেককে একটি পদক, একটি সম্মাননা সনদ, একটি রেপ্লিকা এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রদান করা হয়। পদকটিতে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ নির্মিত ৩৫ গ্রাম ভরের একটি মেডেল আছে যেটির ডিজাইন করেছেন নিতুন কুণ্ডু। প্রাথমিকভাবে পুরস্কারের অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হলেও বিভিন্ন সময়ে তা বেড়ে ২ লক্ষ টাকা হয়েছে। একুশে পদক এমন একটি পুরস্কার যে এটিকে অর্থ দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। এটি প্রাপ্তিতে যে প্রেরণা কাজ করে তা কোনো স্বর্ণ বা অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

    একুশে পদকের ইতিহাসঃ

    ১৯৭৬ সালে তৎকালীন শিক্ষা-সংস্কৃতি বিষয়ের উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ সাহিত্যিক আবুল ফজলের পরামর্শে বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান একুশে পদক প্রবর্তন করেন। প্রথমবারের মত বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একুশে পদক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৭৬ সালে সাহিত্য, শিক্ষা ও সাংবাদিকতা – এই তিনটি বিভাগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবি জসীম উদ্দীন, বেগম সুফিয়া কামাল, ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ- খুদাসহ মোট নয়জনকে একুশে পদক দেওয়া হয়।

    ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট ৪৫৭ জন ব্যক্তি এবং The Mother Language Lovers of the World কে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, UNESCO কে বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মাঝে যথাযোগ্য মর্যাদায় তুলে ধরার জন্য এবং বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীকে শিল্পকলায় অবদান রাখার জন্য একুশে পদক প্রদান করা হয়।

    একুশে পদকের নীতিমালাঃ

    একুশে পদকের বেশ কিছু নীতি আছে। এই নীতিমালাতে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা আছে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক-

    একুশে পদক যারা পেতে পারেনঃ   

    কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য সরকার একুশে পদকে ভূষিত করতে পারে-

          ১)  ভাষা আন্দোলন

          ২)  শিল্পকলা (সংগীত, নৃত্য, অভিনয়, চারুকলাসহ সকল ক্ষেত্র)

          ৩)  মুক্তিযুদ্ধ

          ৪)  সাংবাদিকতা

          ৫)  গবেষণা

          ৬)  শিক্ষা

          ৭)  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

          ৮)  অর্থনীতি

          ৯)  সমাজ সেবা

          ১০) রাজনীতি

          ১১) ভাষা ও সাহিত্য এবং

          ১২) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্র।

    উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলোতে একুশে পদক দেওয়া হয় এবং একুশে পদক পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার বিশেষ অবদান থাকতে হবে। আবার একুশে পদক পাওয়ার জন্য ব্যক্তিকে চরিত্রগুণ ও দেশাত্মবোধে অনবদ্য হতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব দেখে একুশে পদক দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হবে।

    একুশে পদকের নীতিমালায় বলা আছে যে, কোন বছর পনেরটির চাইতে বেশি পদক দেওয়া হবে না এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশের নাগরিক/ প্রতিষ্ঠান/ সংস্থাই একুশে পদক নিতে পারবে। তবে সরকার ইচ্ছা করলে কোন বছর পদক এর সংখ্যা কমাতে কিংবা বাড়াতে পারে এবং যে কোন যোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করতে পারে।

    বিসিএস প্রিলি লাইভ কোর্স

    বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিন পিএসসি প্রদত্ত সিলেবাসের ওপর নেওয়া লাইভ ক্লাস, লেকচার শিট, টপিকভিত্তিক এক্সাম ও সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট এর সাহায্যে।

     

    কমিটি গঠণঃ

    সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন প্রতিনিধি নিয়ে একুশে পদক প্রদান সংকান্ত সাব-কমিটি গঠণ করা হয়।

    কার্যক্রমঃ

    কমিটি প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মাঝেই প্রাপ্ত আবেদনসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বাছাই করে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন করে। এরপর প্রাথমিকভাবে মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আবেদনের বিবরণসহ তালিকা কাগজ জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মাঝেই জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


    একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসআরো পড়ুন: অমর একুশে ফেব্রুয়ারি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস


    একুশে পদক প্রদানের পদ্ধতিঃ

    সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, জেলা প্রশাসক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর/ দপ্তর/ সংস্থা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একুশে পদক প্রদানের বিষয় উল্লেখ করে সংযুক্তি ছক অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহবান করা হয়। একুশে পদক পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিদের নামের প্রস্তাব বা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যমে প্রেস রিলিজ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েববসাইটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

    পূর্বে যারা একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক লাভ করেছেন তাঁরাও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বা প্রতিষ্ঠানের মনোনয়ন প্রস্তাব পাঠাতে পারেন। প্রস্তাবকদের তাঁদের প্রস্তাবিত ব্যক্তি সম্পর্কে ৩৫০ শব্দের মধ্যে সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি সংযুক্তি ছকে উল্লেখ করতে হয়।

    জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একুশে পদক মনোনয়ন বাছাই সংক্রান্ত সাব-কমিটি প্রাথমিক তালিকা বাছাই করে অথবা মন্ত্রিসভা কমিটির বিবেচনায় উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরণ করে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতার, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে নির্বাচিত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানসমূহের নাম প্রকাশ করা হয়। তার আগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের (মরণোত্তর পদকের ক্ষেত্রে নির্বাচিত ব্যক্তির স্বামী/ স্ত্রী/ উপযুক্ত উত্তরাধিকারী) সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের কাছ থেকে পদক গ্রহণের সম্মতিপত্র নেবে।

    আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠান পদক গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে বা নির্দিষ্ট সময়ে তাঁদের মতামত না জানালে তা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে জানাতে হবে। ঐ ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নাম পদকপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং তাঁদের নাম পদকপ্রাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে না।

    যে বছর পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে সেই বছর মহামান্য রাষ্ট্রপতি/ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে পদক তুলে দিবেন।

    আবার মরণোত্তর পদক প্রদানের ক্ষেত্রে পদক প্রাপক যদি একুশে পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে অপারগ হন, তবে সেক্ষেত্রে পদক প্রাপকের স্বামী বা স্ত্রী অথবা যথযথ উত্তরাধিকারী পদক গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবে। কিন্তু যদি কোন পদক প্রাপক বা মরণোত্তর পদক প্রাপ্ত ব্যক্তির যথাযথ উত্তরাধিকারী পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে কোনভাবেই সক্ষম না হন, তবে তিনি পদকটি বীমাকৃত ডাকযোগে বা অন্য কোন অনুমোদিত মাধ্যমে তাঁর কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।

    একুশে পদকের জন্য সাব কমিটি কর্তৃক মনোনীত সুধীবৃন্দ/ প্রতিষ্ঠানের নাম জাতীয় পুরষ্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের পর যেসকল সুধী/ প্রতিষ্ঠান ঐ বছর একুশে পদক প্রাপ্ত হননি, তাঁদের নাম পরের বছরের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হবে।

    একুশের মহান চেতনাকে তাৎপর্যপূর্ণ করার পাশাপাশি আমাদের সৃজনশীল ও প্রতিভাবান ব্যক্তিদের উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের জন্য একুশে পদক প্রবর্তন করা হয়েছিল। জাতির কৃতী সন্তানরা তাঁদের মেধা আর কর্মের মাধ্যমে আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এবং তাঁরা এই ক্ষেত্রগুলোতে অসামান্য অবদান রেখে একুশে পদকে ভূষিত হয়ে বায়ান্নর সেই ভাষা আন্দোলন আর ২১ ফেব্রুয়ারির মহান চেতনা উজ্জ্বীবিত করে রাখছেন। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ যেমনটা আমরা চিরকৃতজ্ঞ আমাদের মহান ভাষাশহীদদের প্রতি।  


    তথ্য সংগ্রহঃ


    আমাদের কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে ক্লিক করুন:



    ১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com

    ১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com

    ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩

    দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই দেশসেরা শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হও ইন্টারেক্টিভ লাইভ ক্লাসে, নাও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সম্পূর্ণ সিলেবাসের ?তে? প্রস্তুতি!

    আপনার কমেন্ট লিখুন