এই তো সেদিনকার ঘটনা। অলসভাবে ইন্সটাগ্রামের হোমপেইজটা স্ক্রল করছিলাম আমি। হঠাৎ করেই একটা ছবির উপর আমার চোখ দু’টো আটকে গেল। প্রথম দেখায় ছবিটার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পরে যখন আবার ছবিটার দিকে তাকালাম, তখন নিজের অজান্তেই বলে উঠলাম, “আরেহ! এতো দেখি ঢেউয়ের মধ্যে একটা বাড়ি। বাড়ির চারদিক আবার তারা দিয়ে ঘেরা, আবার তার আশেপাশে মেঘ ঘোরাঘুরিও করছে! বাব্বাহ!”
এরকমই হিজিবিজি আঁকাজোকা করাকে বলা হয় Doodling!
উইকিপিডিয়া অনুসারে Doodling হলো-
‘An unfocused or unconscious drawing, made while a person’s attention is occupied.’
wikipedia.com
অর্থাৎ ইচ্ছেমত অর্থহীন (কিংবা অর্থপূর্ণ) হাবিজাবি-হিজিবিজি আঁকিবুঁকি করাকে বলা হয় DOODLING. তুমি ভেবে অবাক হবে যে, আমাদের সবারই কোনো না কোনোভাবে জীবনে অন্তত একবার হলেও doodling এর অভিজ্ঞতা হয়েছে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? আরে, কোনো বোরিং ক্লাসে সময় কাটানোর জন্য খাতার পেছনে যেই কাটাকাটি করতে কিংবা মনটা একটু উড়ুউড়ু করলেই খাতার মার্জিনের বাইরে যেইসব গোল্লাগোল্লা ছবি আঁকতে, সেগুলোই তো doodle! এমন মানুষ খুঁজে বের করা দুষ্কর, যাদের খাতার পেছনে বা সাইডে কোনো doodle নেই!
ডুডলিংয়ের সূত্রপাত:
Dooding কিন্তু কোনো নতুন বিষয় না৷ হয়তো ইদানীং এটার বেশ চল শুরু হয়েছে, কিন্তু ডুডল আঁকা শুরু হয়েছে সেই আদিম কাল থেকেই৷ প্রাচীনকালে গুহামানবেরা তাদের গুহায় যেসব চিত্রকর্ম করতো, সেগুলোও কিন্তু একধরণের ডুডলই৷
Doodling এর প্রকারভেদ:
ছবি: Alvy Arnob
Doodling Abstract Art এর অন্তর্ভূক্ত। সাধারণত এইসব ছবির কোনো অর্থ হয় না, বা হলেও ছবি দেখে চট করে এর অর্থ বের করা যায় না। ছবির দিকে কিছুক্ষণ তাকানোর পরেই অর্থ বের হবে। বর্তমানে বেশ কিছু ধরণের ডুডলের প্রচলন আছে। যেমন: Mandala, Cartoon Art, Zentangling, Tangling, Stendoodling ইত্যাদি। তবে আমার মনে হয় ডুডল আঁকার যেহেতু কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই, তাই এর প্রকারভেদগুলোও খুব একটা জরুরি নয়।
ডুডল আঁকা যেভাবে শুরু করবো:
‘Doodling’ শব্দটার মত জিনিসটাও কিন্তু খুব সহজ ও বেশ মজার! Doodling শুধু বোরিং ক্লাসগুলোকে মজাদারই বানায় না, একই সাথে নিজের ছবি আঁকার দক্ষতাটাও বৃদ্ধি করে থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি রিল্যাক্স থাকবে এবং তোমার হাতকে কীভাবে চালাবে সেটা ভাবতে পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার কলম থেকে বের হবে অদ্ভুত সব সুন্দর ও মজাদার ডুডল! Doodling কিন্তু কোনো কঠিন জিনিস না। কিছু বিষয় মাথায় রাখলেই তুমি খুব সহজেই ডুডলিংয়ের উপর তোমার দখল আনতে পারবে!
ডুডলিংয়ের বেসিক:
ছবি: Alvy Arnob
প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি:
তুমি যদি একজন ডুডল মাস্টার হতে চাও, তবে তোমাকে যেকোনো পরিবেশে, যেকোনো অবস্থায় ডুডল আঁকার মানসিকতা রাখতে হবে। কারণ কখন কোন জিনিসটা দেখে তোমার আঁকতে ইচ্ছে হবে কিংবা তোমার বোরডম তোমাকে আঘাত করবে, তা কিন্তু তুমি জানো না! তাই তো আমি যেখানেই যাই না কেন, ব্যাগের মধ্যে একটা ছোট্ট স্কেচবুক ও একটা কলম রেখে দিই৷ তাই তোমরাও যখন বাইরে বের হবে বা কোথাও যাবে, হাতের কাছে একটা ছোট্ট স্কেচবুক/ নোটবুক/ রাইটিং প্যাড রেখে দিতে পারো। সেই সাথে একটা কালো কালির কলম রাখতে ভুলবে না কিন্তু। ডুডলিংয়ের জন্য এক টুকরো কাগজ আর কলম থাকাটাই যথেষ্ট। তবে যারা নতুন নতুন Doodling করছো, তারা এই দু’টোর পাশাপাশি-
- পেন্সিল
- কালারফুল জেলপেন
- কালো জেলপেন
- হাইলাইটার
- মার্কার
- সিগনেচার পেন/ সাইনপেন
- বলপয়েন্ট পেন
- ইংক পেন
- কাগজ
আর যারা বেশ আগে থেকেই ডুডলিংয়ের সাথে জড়িত, তারা উপরের জিনিসগুলোর সাথে-
- ব্রাশ পেন
- পিগমা ম্যাক্রন
- ফেইথ পেন
- কপিক মার্কার
- প্যাস্টেল কালার
- পোস্টার কালার
- ওয়াটার কালার
- চারকোল
- রাবার স্ট্যাম্প
- কার্টিজ পেপার
- আর্ট পেপার। ইত্যাদি জিনিসও কিনে নিতে পারো।
বেসিক জিনিসগুলো বিভিন্ন স্টেশনারিতেই পাওয়া যাবে৷ এছাড়াও ঢাকার নিউমার্কেটের মর্ডান স্টেশনারি, ক্যানভাস স্টেশনারি আর আজিজ সুপার মার্কেটেও পাওয়া যাবে৷ বিভিন্ন অনলাইন পেইজের মাধ্যমেও আজকাল ঘরে বসে এইসব আইটেম অর্ডার দেওয়া যায়। তবে ভালো মানের জিনিস পেতে হলে দেশের বাইরে থেকে অর্ডার দেওয়াটাই ভালো।
ফেইথ পেন ০.২, ০.৪, ০.৫ সহ আরো অনেক সাইজের হয়৷ ০.২ ও ০.৫ টা কিনে রাখলে তোমারই সুবিধা। এগুলোর দাম সাধারণত ৯০ টাকা করে কারণ এগুলো ওয়াটারপ্রুফ ও এদের কোয়ালিটিও বেশ ভালো। আর কপিক মার্কারের বদলে সিগনেচার পেনও কেনা যায়। তবে কপিক মার্কারের সুবিধা হচ্ছে এদের দুই সাইডে দুই রকমের নরম ব্রাশ থাকে৷ ছবি আঁকলে মনে হবে ওয়াটার কালার দিয়ে আঁকা এবং এইগুলো দিয়ে ছবিতে শেডিংয়ের কাজও করা যায়৷ এগুলোর দাম বেশ বেশি, শুরুই হয় ১১০ টাকা থেকে।
নিজেই হও নিজের ইন্সপায়ারেশন:
ছবি: Vexx
যখনই তোমার হাত ডুডলিংয়ের জন্য নিশপিশ করবে, সাথে সাথে আঙ্গুলের ফাঁকে একটা কলম পুরে ফেলো! এবার সেই কলমটা কাগজের উপর রাখো, ব্যস! এতেই দেখবে কী সুন্দর করে তোমার হাতটা কাগজের চারদিকে ঘোরাফেরা করছে! ডুডল আঁকার জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। নিজেই পিন্টারেস্ট, গুগল, ইন্সটাগ্রাম কিংবা ইউটিউবে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবে অসংখ্য ছবি ও টিউটোরিয়াল। সেগুলো দেখো আর প্র্যাকটিস করো৷ কারণ প্র্যাকটিসের কোনো বিকল্প নেই!
যা যা আঁকতে পারো:
ছবি: Mahbub Rumy
আসলে কী আঁকবে না আঁকবে সব তোমার নিজস্ব ব্যাপার-স্যাপার৷ কারণ কেউই কখনো অন্য কারো ভাবনার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না৷ তবে তুমি চাইলেই আঁকতে পারো বিভিন্ন জ্যামিতিক আকৃতি দিয়ে ডিজাইন, কার্টুন, মানুষ, অনুভূতি, গান কিংবা তোমার নিজের নাম। এটার কোনো সাবজেক্ট নেই৷ তুমি শুধু তোমার হাত আর কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগাও, তাহলেই চলবে!
অনেকসময় এমন হয় যে, তুমি হয়তো কিছু একটা আঁকছো। হঠাৎ করে পেইজের একদিকে একটা দাগ পড়ে গেল। আরেহ! দাঁড়াও দাঁড়াও! পৃষ্ঠাটা ছিঁড়ে ফেলো না! বরং সেই দাগের উপরেই কিছু একটা এঁকে ফেলো। তোমরা যারা ছবি আঁকো তারা সবাই আর্টিস্ট ব্লকের সাথে পরিচিত। তবে আমার মনে হয় যারা ডুডলিংয়ের সাথে জড়িত, তারা খুব কমই আর্টিস্ট ব্লকের খপ্পরে পড়েছো৷ কারণ একবার Doodling শুরু করলে আপনাআপনিই হাত ও মাথা, দু’টোই চলা শুরু করবে৷ যারা Doodling করে, তারা বেশ কয়েকটা সহজ জিনিসই আগে আঁকা শুরু করে। যেমন-
ফুল:
ছবি: Mahbub Rumy
ফুল আঁকা ডুডলিংয়ের একটা বেসিক স্টেপ। তুমি শুরুতে ৩-৫টা পাঁপড়ি দিয়ে একটা ফুল আঁকবে। এরপর সেই ফুলটার চারপাশে ঢেউ দিয়ে দিতে পারো, কিংবা ছোট ছোট ডট ডট দিয়ে ডিজাইন করতে পারো। পাঁপড়ির ভেতরে ইচ্ছেমত নকশাও করতে পারো৷ শুধু তাই নয়, তুমি চাইলে ফুলসহ ফুলদানি এঁকে ডিজাইন করতে পারো। সেই সাথে আঁকতে পারো ফুলের বাগান, সার্কেলের ভেতরে ফুল, ত্রিভূজের ভেতর ফুল, হরেক রকমের ফুলের বাগান ইত্যাদি!
কার্টুন বা মুখমণ্ডল:
ছবি: Paint Ink
সাধারণত কোনোকিছুর চেহারা আঁকা একটু বেশিই কম্পলিকেটেড জিনিস৷ এক চোখ ঠিক হলে আরেক চোখ বাঁকা হয়ে যায়, নাকটা কানের দিকে চলে যায়, উপরের ঠোঁট ছোট হলে নিচের ঠোঁট বড় হয়ে যায়। তবে ডুডলিংয়ের ক্ষেত্রে এইটা আঁকা বেশ সহজ কিন্তু! কেননা তুমি একটা গোল্লা দিবে আর গোল্লার মধ্যে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে চোখ- নাক- মুখ বসিয়ে দিবে। চাইলে দিতে পারো একটা চোখ, ১০টা চোখ কিংবা ঘাসফড়িংয়ের মতন হাজারটা ওমাটিডিয়াম(!) কেউ মানা করবে না৷ ডুডল ফেস আঁকা বেশ সহজ কাজ৷ একটা সার্কেলের ভেতরে বিভিন্ন ধরণের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন বসিয়ে দিলেই হবে৷ চাইলে শুধু চোখ- নাক- মুখ এঁকেও প্র্যাকটিস করতে পারো।
নেম আর্ট ডুডল:
এইটা সবচাইতে পপুলার ক্যাটাগরি এবং এর চাহিদাও সবচেয়ে বেশি অন্যগুলোর থেকে৷ এইটা প্র্যাকটিস করাটাও ইজি৷ শুরুতে নিজের ডাক নাম একটা খাতায় লিখো বোল্ড লেটারে। এবার সেই লেটারগুলোর চারপাশে বর্ডার টানো। বর্ডারের ফাঁকফোকরে তারা আঁকো, ছোট ছোট মিনিয়ন, ফুল, প্রজাপতি এঁকে খালি জায়গাগুলো পূর্ণ করে ফেলো। Cursive, loop, italic, bold, bubble letter, block letter ইত্যাদি ধরণের ফন্ট ইউজ করে নিজের নাম লিখে এভাবে ডিজাইন করতে পারো। শব্দ যত ছোট হবে ততই ডুডলিং করতে তোমার সুবিধা হবে৷ সেই লেটারগুলো জেলপেন ও গ্লিটার পেন দিয়ে কালার করলে দেখতে আরো সুন্দর লাগবে।
- প্রাণীর কার্টুন:
ছবি: Gawx Art
একটা কাগজে বড় করে একটা বিড়ালের ছবি আঁকো৷ এবার সেই বড় বিড়ালটার পাশে ছোট- ছোট বিড়ালের মুখ দিয়ে দিতে পারো৷ সেই বিড়ালগুলোর আশেপাশে আবার বো, ক্যাটফুড, ফুল, ছোট ছোট ডট, তারা, ফিতা ইত্যাদি দিয়ে দাও৷ কিংবা একটা পৃষ্ঠার মধ্যেই বিড়াল, কুকুর, পাখি, বাচ্চা হাঁস, ডলফিন ছোট- বড় করে এঁকে দিতে পারো৷ তুমি কিন্তু একটা থিম ঠিক করেও আঁকতে পারো৷ যেমন: আন্ডারওয়াটার ক্রিয়েচার, জাঙ্গল ক্রিয়েচার, ড্রিম পেট, স্কেয়ারি এনিমেলস ইত্যাদি৷
ছবি: Gawx Art
চাইলে নিজের বানানো হাইব্রিড প্রাণীও ( বিড়ালের মাথার সাথে পেঙ্গুইনের বডি!) তৈরি করতে পারো।
সামনে যা আছে তাই আঁকো:
ছবি: Vexx
তোমার সামনে এখন হয়তো একটা কোকের ক্যান আছে৷ ক্যানটা স্কেচবুকে এঁকে ফেলো৷ এবার সেই ক্যানের মুখ থেকে এমন করে ছোট ছোট কার্টুন আঁকা শুরু করো, যেন দেখে মনে হয় কোকের বদলে ক্যান থেকে কার্টুনের ফোয়ারা বের হচ্ছে। কিংবা তুমি হয়তো একটা ট্রেনে বসে আছে৷ ঝটপট একটা ট্রেনের বগি এঁকে ফেলো৷ আর ট্রেনের জানালাগুলো থেকে ছোট ছোট মিনিয়ন বের হচ্ছে সেইটা আঁকো৷ হয়ে গেল একটা ডুডল! এমনি ভাবে চায়ের কাপ, হার্ট, বই ইত্যাদি দিয়ে ডুডল আঁকতে পারো।
তুমি যা শুনছো:
বেশ কয়েকদিন ধরে একটা গান তুমি গুনগুন করছো। সেই গানের লিরিক্সকেই ডুডলে কনভার্ট করে ফেলো!
ক্লাসে খুব বোরিং একটা ফিজিক্স ক্লাস চলছে। ক্লাস করতে তোমার একটুও ভালো লাগছে না। তাহলে ফিজিক্সের বিভিন্ন সূত্র ও এদের প্রতীকগুলো নিয়েই ডুডলিং শুরু করে দাও।
ছবি: Audibug25
এছাড়াও কোনো ঐতিহাসিক স্থান, ঐতিহাসিক দালানকোঠা, পার্ক, শহরের দৃশ্য, তোমার ঘরের জানালা দিয়ে রাতের আকাশটাও কিন্তু ডুডল আঁকার বেশ ভালো বিষয়। শুধু তোমার চিন্তাভাবনার পরিধিটাই একটু বাড়াতে হবে।
ছবি: Mahbub Rumy
এছাড়াও বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্ন দিয়েও ডুডল আঁকা যায়।
ডুডলিংয়ের লাভ- লোকসান:
ডুডলিংয়ের কোনো লোকসান নেই, যদি না তুমি তোমার দরকারি কাজের সময় এর পেছনে খরচ করো! তবে এর লাভ কিন্তু অনেক৷ বন্ধুর জন্মদিনে তাকে তার নাম দিয়ে ডুডল করে দিতে পারো অথবা তার জন্য বানানো কার্ডের চারপাশে ডুডল এঁকে দিতে পারো। এছাড়াও বুকমার্ক, টিশার্ট, ওয়াল আর্ট, কার্ড, ফটোফ্রেমেও ডুডল আঁকতে পারো৷ এইভাবে কিন্তু তুমি বেশ ভালো পরিমাণ অর্থও আয় করতে পারবে!
ডুডলিংয়ের জন্য আমি ইন্সটাগ্রামে যাদেরকে ফলো করি-
- Vexx
- Mr. Doodle
- Visothkakvei
- Gawx Art
- Paint Ink
- Sharara Zaheen
- Audibug25
তুমি ইন্সটাগ্রামে #doodle লিখে সার্চ দিলেও অনেকগুলো একাউন্ট পাবে, যারা নিয়মিত ডুডলিং করে।
এছাড়া ইউটিউবে Vexx ও Gawx Art এর টিউটোরিয়ালগুলো দেখে প্র্যাকটিস করি।
ছবি: Audibug25
ডুডল ও মানডালা আর্ট কিন্তু আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়৷ ফেসবুকে আমি Ishrat Jahan Shaeera, Alvy Arnob, Al Mahbub Rumy, Nanziba Duti- এদের ডুডলগুলো দেখি, চাইলে তোমরাও দেখতে পারো।
তাহলে আর দেরি কেন? বোরিংনেসকে দূর করতে হাতে কলম নাও আর হারিয়ে যাও ডুডলিংয়ের রাজ্যে!
সূত্র: https://m.wikihow.com/Doodle
আপনার কমেন্ট লিখুন