আমরা অনেকেই কম বেশী ডায়েরি লিখে থাকি। “ডায়েরি অফ আ উইম্পি কিড” পড়ে ডায়েরি লেখার শখ হয়নি এমন হয়তো খুব কম মানুষই আছে! ডায়েরি লেখার অভ্যাস ভাষাগত দক্ষতা বাড়ায়, অনেকটা থেরাপির মত কাজ করে, আর তোমাকে অর্গানাইজড থাকতে সাহায্য করে। ডায়েরি কেন লিখবে আর কীভাবে লিখবে ? এসো সেটা নিয়ে কিছু কথা বলি।
১. তোমার ভুলগুলোকে জানো
আজকে যে কাজটা ঠিক ভেবে করে ফেললে, সেই কাজটাই কালকে তোমার জন্য ভুল হয়ে দেখা দিলো কিনা, সেটা ভেবে দেখবার উপযুক্ত সুযোগ দেবে ডায়েরি লেখার অভ্যাস। তোমার ডায়েরি পড়ে পরবর্তীতে তুমি নিজেই নিজেকে চিনতে পারবে, বুঝতে পারবে তুমি ইতিবাচকভাবে বদলেছো নাকি নেতিবাচকভাবে।
কলেজ বাঙ্ক করে বন্ধুদের সাথে মুভি দেখতে যাবার যে সিক্রেটটা বাসায় কেউ জানেনা, সেটা ডায়েরিকে জানিয়ে রাখো
আগামীকালকের ‘তুমি’র জন্য পিছন ফিরে দেখার মত কিছু একটা রেখে যাও। সেলফ এসেসমেন্ট করো। স্কুল/কলেজ বাংক করে মুভি দেখতে গিয়েছিলে আর প্রতিদিন ফেসবুকের পিছনে সাত আট ঘন্টা করে নষ্ট করেছিলে বলে ফার্স্ট টার্মের রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল, সেকেন্ড টার্ম শুরু হবার আগে ডায়েরিটা একবার পড়ে নিলেই বুঝতে পারবে, কী ভুলটা করেছিলে।
২. স্মৃতিগুলো ধরে রাখো
আজকে থেকে কয়েক বছর পর, যে জিনিসটা আসলেই কাজে আসবে তা হলো তোমার অভিজ্ঞতা। ফেসবুকে পিকনিকের ছবি আপলোড করে হয়তো লাইক পাওয়া যাবে, কিন্তু পিকনিকে কী কী হলো, কার জামা ছিঁড়ে গিয়েছিলো, কে চালাকি করে দুইবার খাবার নিয়েছিলো, এগুলো লিখে রাখলে কোনো একদিন এগুলোই তোমার মুখে জেনুইন হাসি এনে দেবে। তোমার সেই কলেজ বাংক করে বন্ধুদের সাথে মুভি দেখতে যাবার যে সিক্রেটটা বাসায় কেউ জানেনা, সেটা ডায়েরিকে জানিয়ে রাখো। কে জানে হয়তো কোনোদিন তোমার মিনি ভার্সনরা ডায়েরিটা পড়ে বুঝতে পারবে, তুমিও তাদের মতই ছিলে!
৩. লিখতে লিখতে লেখক
লেখালেখির শখ থাকলে বা লেখার দক্ষতা বাড়াতে চাইলে ডায়েরি লেখা খুবই কার্যকর। বাংলা ইংরেজী যে ভাষায় ইচ্ছা লিখতে পারো। প্রতিদিন লেখা না হলেও সপ্তাহে ৩-৪ বার লেখার অভ্যাস করতে পারো। তোমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করে লেখার সময় তুমি নিজের দৃষ্টিকোণটা নিজে বুঝতে পারবে।
ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:
৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩
৪. ডায়েরি লেখার অ্যাপ
ডায়েরী যে কাগজ কলমেই লিখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এখন অনেক রকম অ্যাপ বের হয়েছে, যেগুলো ট্রাই করে দেখতে পারো। এমন কিছু অ্যাপ হচ্ছে – “Penzu”, “Diaro”, “Journey- Diary, Journal”, “Daylio” ইত্যাদি। এসব অ্যাপের ইউজার ইন্টারফেস তোমার স্বাচ্ছন্দ্যে ডায়েরি লেখার জন্য খুবই কাজে দেবে।
এখানে লেখার পাশাপাশি ছবি এটাচ করা, ম্যাপে তোমার অবস্থান এটাচ করা, ক্যালেন্ডার মার্কিং করা ইত্যাদি অপশন রয়েছে। পাসকোড দিয়ে তোমার ডায়েরি এনক্রিপ্টেড করে রাখতে পারবে। কিছু অ্যাপ আছে যেখানে তোমার কিছু লিখতে হবেনা, তুমি তোমার মুড আর সারাদিনের হাজারো একটিভিটি থেকে তোমার এক্টিভিটি সিলেক্ট করে ডায়েরী এন্ট্রি সেভ করতে পারবে। মাসের শেষে অ্যাপ তোমাকে মান্থলি মুড চার্টও দেখাবে!
আরো কয়েক বছর পরে যখন তুমি খুব বিখ্যাত একজন মানুষ হবে, আর তোমার ডায়েরি কোনো প্রকাশক এসে চাইবেন প্রকাশ করার জন্যে, সেদিনের জন্য প্রিপারেশন এখন থেকেই না হয় নিয়ে রাখো।
১০ মিনিট স্কুলের লাইভ এডমিশন কোচিং ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে সরাসরি চলে যেতে পারো এই লিঙ্কে: www.10minuteschool.com/admissions/live/
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন