খোলা কোন প্রান্তরে দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছে অথবা ঘুমুতে যাবার আগে যেই না বাতি নিভিয়ে দিতে যাবে অমনি ছেলেটির কাছে এসে উপর কেউ ছুঁড়ে মারলো মুঠো পাকানো কাগজ। সেটিতে অর্থহীন কিছু লেখা। সাধারণ কারো পক্ষে এই ভাষার মর্মার্থ বের করা সম্ভব নয়। কিন্তু ছেলেটি বুঝতে পারলো তার ঘোর বিপদ। বিপদ থেকে পরিত্রাণের অথবা বিপদ কী তা জানার একমাত্র রাস্তা হলো এই চিরকুটের গুপ্ত সংকেত উদ্ধার করা। টান টান উত্তেজনাকর এমন মুহুর্ত সিনেমায় কখনোই দেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিদেশি থ্রিলার সিনেমাগুলোর অনেকাংশ জুড়েই থাকে এসব দৃশ্যের ছড়াছড়ি। সেই গুপ্ত সংকেত বের করতে নেমে পড়ে সিনেমার নায়ক।
আদিযুগ থেকে শুধু গুপ্ত সংকেত নিয়েই মানুষ ভেবে এসেছিলো ব্যাপারটা কিন্তু সেরকম নয়। সিনেমার মত তখন দরকার হয়ে পড়লো এই বিদ্যা শেখার, যা দিয়ে তারা গুপ্ত সংকেতের পাঠোদ্ধার করতে পারবে। আধুনিক যুগে আবিস্কৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কম্পিউটার কিংবা রোবট অথবা এতসব প্রযুক্তির মাঝে গুপ্ত সংকেতকে গুপ্ত রাখাটা আর সহজ নেই। তবে যুগের তালে গুপ্ত সংকেতগুলোও হয়ে উঠেছে বেশ জটিল।
কিন্তু আগের যুগে যখন এত্তসব প্রযুক্তির কথা ছিলো মানুষের কাছে স্বপ্নের মত তখন তারা কী করতো? তুমি যদি ভেবে থাকো তারা মুখ বুজে বসে বসে অন্যরা কী করবে তার আশায় ছিলো, তবে কিন্তু ব্যাপারটা একদম ভুল! আজও অনেকের কাছে গুপ্ত সংকেত বা গোপন ভাষার কোড যেখানে ঘোরওয়ালা রহস্যের মতো, সেখানে তুমি হয়তো শুনলে অবাক হবে যে, তুমি যখন টেন মিনিট স্কুলের ব্লগে এই লেখাটি পড়ছো তার থেকে ঠিক ৯৮ বছর আগে একদল সংকেত সন্ধানী লোক কিনা আস্ত একটা কোড উদ্ধারের ডিভাইস বানিয়ে ফেলেছিলো!
আচ্ছা তোমরা কি ‘এনিগমা’ কোডের নাম শুনেছো? এনিগমা শব্দের নাম শোনার সাথে সাথেই হয়তো অনেকের মুখে হাসি ফুটে গেছে। হ্যাঁ হ্যাঁ ঐ যে হিটলার বাহিনী যুদ্ধ করার সময় যে কোড ব্যবহার করতো! তুমি ধরতে পেরেছো ঠিকই তবে একটু ভুল ভাবে আর কি! আসলে বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার বাহিনী নিজেদের সাথে কথা বলার যে গোপন কোড বের করেছিলো সেটিই এনিগমা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বিষয়টা কিছুটা উল্টোই বলা চলে!
১৯২০ সালের আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত জার্মান বাহিনীর কোড উদ্ধারের জন্য একটি যন্ত্র বানানো হয়। সেটির নামই ছিলো মূলত এনিগমা। এনিগমা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে গোপন বার্তাগুলোর অর্থ বের করার চেষ্টা করতো। নানান রকম জটিল জটিল কায়দা ছিলো এসব কোড বের করার। যদিও কায়দাগুলো জটিল হলেও মূলত এসবের পেছনে থাকতো সোজাসাপ্টা কোন না কোন আইডিয়া। তবে চলো একটা উদাহরণ দেয়াই যাক।
আমরা আগেই জানি যে গুপ্ত সংকেতের বার্তা প্রেরণ করে তাকে বলা হয় অ্যালিস। আর যার কাছে বার্তাটি পাঠানো হয় বা প্রাপক হলো বব। আর ইভ হলো তারা যারা এসব কোডের মাথামুন্ডু কিছুই বুঝবে না। অর্থাৎ যাদের চোখ ফাঁকি দিতে এত আয়োজন তারাই হলেন আমাদের ইভ। এখন ধরো, অ্যালিস ভাবলো একটা গোপন বার্তা ববকে পাঠাতে হবে। এখন সে খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে এক অক্ষরের জায়গায় অন্য অক্ষর বসিয়ে একটি দুর্বোধ্য বার্তা তৈরি করলো। এবং অক্ষর পালটে বানানো বার্তাটি পাঠিয়ে দিলো ইভের কাছে। এদিকে একজন ইভ ভাবলো সে বার্তার গোপন সংকেতের মর্মার্থ উদ্ধার করবে। যেই ভাবা সেই কাজ। সে নেমে পড়লো গোপন বার্তা পাঠোদ্ধার করার অপারেশনে।
এখন ইভের চরিত্রে থাকা ভদ্রলোক (যেহেতু সে অন্যের গোপন বার্তা পড়তে চাচ্ছে তাই আসলেই সে ভদ্রলোক কিনা বলা যাচ্ছে না) হয়তো আগে থেকেই জানতো যে, ইংরেজি ভাষায় শতকরা ৪৭ ভাগ ‘এ” অক্ষর ব্যবহার করা হয়। অথবা ‘টি’ অক্ষরটি ১৬ শতাংশ ব্যবহার করা হয়। এখন ইভ খেয়াল করে দেখলো তার হাতে থাকা গোপন বার্তাটিতে তুলনামুলক ভাবে ইংরেজি ভাষায় কম ব্যবহার হওয়া ‘ডব্লিউ’ অক্ষরটি বার্তাটির মধ্যে ব্যবহার হয়েছে প্রায় ৪৭ ভাগ। এতে সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে যে এই গোপন বার্তায় ইংরেজি ‘এ’ অক্ষরের বদলে মুলত ‘ডব্লিউ’ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ অ্যালিস হয়তো বার্তাটির যেখানে যেখানে ‘এ’ ছিলো সেখানে এর পরিবর্তে ‘ডব্লিউ’ বসিয়ে দিয়েছে। এমনি করে করে একটু খাটুনি দিলেই কিন্তু প্রায় পুরো বার্তাটির পাঠোদ্ধার করা তেমন কঠিন কোন ব্যাপার হবেনা।
ক্রিপ্টোগ্রাফি চর্চায় এগিয়ে আছে নিঃসন্দেহে পশ্চিমা বিশ্ব। মজার ব্যাপার হলো দিনে দিনে ক্রিপ্টোগ্রাফির উন্নতিও হয়েছে চোখে পড়ার মত। বিভিন্ন কোম্পানীর নাম বা লোগোর পাশেই যে হিজিবিজি কালো রঙের বার কোড দেখতে পাও তাও কিন্তু সেই ক্রিপ্টোলজির একটি আধুনিক সংস্করণ বলা চলে। ক্রিপ্টোগ্রাফি বিদ্যা কিছুটা সাগরের মতই। যতই গভীরে যাবে তলিয়েই যাবে। উত্তরণের কোন পাকাপোক্ত পথ আজ অবধি বের হয়নি। ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো। তবে যাদের সেই পর্যন্ত তর সইবে না তারা গুগল মামার সাহায্যে পরিচিত হয়ে আসতে ক্রিপ্টোলজির চোখ ধাঁধানো সব কান্ড-কারখানার সাথে। তাছাড়া জার্নাল অব ক্রিপটোলজি তো আছেই!
আমরা বরং ক্রিপ্টোগ্রাফি থেকে এখন চলে আসি হিটলারের নাৎসি বাহিনীর কাছে। খোঁজ নেয়া যাক তাদের এনিগমা কোডের আদ্যোপান্ত। তাদের কোড ভাঙার যন্ত্রের নাম এনিগমা হওয়ায় তাদের গোপন ভাষাকে মানুষ এখন এনিগমা কোড হিসেবে চেনে। মূলত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিজেদের মধ্যে খবর আদান প্রদান করতে, যুদ্ধের গোপন কৌশল গোপনে সবার কাছে পৌঁছে দিতে তারা এ কোডের আশ্রয় নিয়েছিলো। রেডিও তরঙ্গ এবং মোর্স কোডের মাধ্য,এ তাদের এসব গোপন সাংকেতিক বার্তা এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হতো।
নতুন করে বলার কিছু নেই, সেসব কোডে লুকিয়ে থাকতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য ও বার্তা। ধারণা করা হয় এই কোডগুলোও একটি মেশিন দ্বারা প্রস্তুত করা হতো। এনিগমা নামে পরিচিত এসব কোড সাধারণ চোখে এতটাই দুর্বোধ্য ছিলো যে নাৎসি বাহিনীরা মোটামোটি নিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো যে এগুলো তাদের লোক ছাড়া কারো পক্ষে এক অক্ষরও উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
কিন্তু নাৎসি বাহিনীরা যখন এসব ভাবছিলো, তাদের অজান্তেই তাদেরই মিত্রপক্ষের ব্রিটিশ ও ফরাসী যৌথভাবে একটি ক্রিপ্টোগ্রাফি টিম তাদের এসব দুর্বোধ্য কোড ভাঙার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এটা যে কত বড় এক মহাযজ্ঞ ছিলো তা ছিলো নাৎসিদের চিন্তার বাইরে। কিভাবে কারা এসব করেছিলো তা বলার আগে একটি বিষয় বলে রাখা দরকার যে, বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন যে শুধুমাত্র ক্রিপ্টোগ্রাফি এক্সপার্ট টিমের দ্বারা এনিগমা কোড ভাঙার কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় বেশ কয়েক বছর সংক্ষিপ্ত করা সম্ভব হয়েছিলো। এবং এটির কারণেই জীবন রক্ষা হয়েছিলো কয়েক লক্ষ মানুষের। সুতরাং বুঝতেই পারছো ক্রিপ্টোগ্রাফি গুরুত্বহীন বিষয় নয়। সুতরাং এতক্ষণ যারা এটাকে ছেলেখেলা ভাবছিলে, তাদের সময় এসেছে এখন নড়েচড়ে বসবার।
সবাই মিলে মজা করতে করতে কোড ভাঙবে- ব্যাপারটা আসলে এত সোজাও ছিলো না। যুদ্ধকালীন সময় আসলে কোন কিছুই সোজা হয় না। তবুও গোপনে নেয়া হয় বড় একটি পদক্ষেপ। তুমি অবাক হলেও হতে পারো এটা শুনলে যে, এই কোড ভাঙার মহাযজ্ঞে মেধা ও শ্রম দিয়েছিলো দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ তিনভাগের দুইভাগই ছিলো নারী। ভাবা যায়, যেখানে একবিংশ শতাব্দীতেও নারীর সক্ষমতা নিয়ে অনেক জায়গায় বলতে শোনা যায় সেখানে আজ থেকে শত বছর আগে পৃথিবীকে যুদ্ধের হাত থেকে শান্তির পথে নিয়ে যেতে এমন অদ্ভুত সব বিষয়ে মাথা ঘামিয়েছিলো নারীরাই? এজন্যই হয়তো কাজী নজরুল বলে গেছেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’।
যদিও তারা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো যুদ্ধ থামাতে, কিন্তু ব্রিটিশ সরকার নানা স্বার্থে এই প্রোজেক্টের বিষয়টি গোপন রেখেছিলো। আর শুধুমাত্র এ কারণেই নিজের কাজের স্বীকৃতি কখনোই পায়নি এসব নারীরা। এমনকি অনেকের পরিবার কখনো জানতেও পারেনি তাদের কেউ যুক্ত ছিলো এসব কর্মকান্ডে। আজ আমরা জানবো এমন ঐতিহাসিক কাজের সাথে যুক্ত থাকা কয়েকজন মানুষ সম্পর্কে যারা কিনা জার্মান বাহিনীর হাত থেকে যুদ্ধের রণকৌশল ছিনিয়ে এনেছিলো মেধার মাধ্যমে।
তাদের সাথে পরিচিত হবার আগে আমরা এক ফাঁকে একটু জেনে নেই আসলে কেন আমরা এসব কোড ব্রেকারদের এতটা সম্মান দিচ্ছি। কারণ এনিগমা কোড এতটাই কঠিন ছিলো যে তা তখনকার মানুষের কাছে আদৌ কোনদিন ভাঙা যাবে কিনা এই সন্দেহও ছিলো। আমরা সিনেমাতে যেসব গোপন কোড দেখি সেসব হয়তো থাকে উলটো লেখা। বুদ্ধি করে আয়নার সামনে কোড ধরলেই বেরিয়ে আসে আসল বার্তা। অথবা কোন অক্ষের বদলে কোন অক্ষর বসবে এমন একটি নির্দিষ্ট তালিকা তৈরী করে কোন গুপ্ত সংকেত লেখা। ওসব তালিকা যার কাছে থাকবে শুধুমাত্র তারাই বার্তার আসল কথা জানতে পারবে।
কিন্তু এনিগমা কোডের কাছে এসব সত্য নয়। এটার ফর্মুলাটাই ছিলো ঘোলাটে। একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। ধরা যাক, নাৎসী বাহিনীর একটা কোড পেয়ে তুমি প্রথম লাইন সমাধান করলে একটি বীজগণিতের সূত্র দিয়ে। সেটি হলো এ প্লাস বি হোল স্কয়ার। এখন ধারণা হতেই পারে হয়তো পরের লাইনগুলোও কোন না কোন বীজগাণিতিক সূত্র দিয়ে বের করা সম্ভব। কিন্তু না! এনিগমা কোড মানেই আলাদা।
দেখা যেত তাদের প্রথম লাইন লেখা হয়েছে বীজগাণিতিক সুত্রের আদলে। কিন্তু পরের লাইনের ফার্সী কোন কবিতার লাইন হলো এটির আসল বার্তা। তিন নম্বর লাইনে দেখা গেলো এটি উগান্ডার কোন ক্লাসিক্যাল গানের লিরিক্স। অর্থাৎ আমি বুঝাতে চাচ্ছি একটি ফর্মুলা দিয়ে একটা কোড কেন, এক লাইনও বের করা সম্ভব কিনা তারো কোন গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি কিছুই ছিলোনা।
এবার চলো পরিচিত হই সেসব কঠিন সব এনিগমা কোড উদ্ধার করার পেছনে থাকা কয়েকজনকে।
আইরিন ডিক্সন
জার্মানিরা যখন বুঝতে পারলো তাদের কোডের অর্থ বের করা কিছুটা সম্ভবপর হয়ে গেছে তখন তারা দিনকে দিন কোডগুলোকে আরো জটিল করে তুলছিলো। কিন্তু সেসময় ডিক্সন নামের এক তরুণী বিচলি পার্কের একটি অনুচ্চ ভবনে বসে মাথা খাটাচ্ছিলো কলোসাস নামের একটি কোড ব্রেক করার কম্পিউটার নিয়ে। ১৯৪৪ সালে কলোসাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র হয়ে দাঁড়ায় কোড ভাঙার জন্য।
আইরিন ডিক্সন যদিও ছিলেন কলোসাসের একজন সাধারণ অপারেটর। কিন্তু তিনি তার সহকর্মী প্রকৌশলীর সাহায্য নিয়ে এটির প্রোগ্রামকে আরো উন্নত করেন। এর দ্বারা স্বাভাবিক অবস্থায় কলোসাস প্রতি সেকেন্ডে পাঁচ হাজার ক্যারেক্টার পড়ে ফেলতে পারতো। কলোসাসের অবিশ্বাস্য এ কাজের গতি এক সপ্তাহের কাজকে কয়েক ঘণ্টায় নামিয়ে এনেছিলো।
যুদ্ধ শেষের পর কলোসাস ও এর প্রক্রিয়া গোপন রাখতে কোন রকম সূত্র না রেখেই এর প্রোগ্রাম এমনকি এর ডিজাইন সহ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলা হয়। তাই এটি একটি কম্পিউটার হলেও মুল কম্পিউটারের বিবর্তন বা উন্নিতকরণে এর কোন ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়নি।
ডিক্সনের জন্য সেটি ছিলো একটি উপভোগ্য সময়। কেননা পৃথিবীর বিখ্যাত সব গণিতবিদদের সাথে তখন তার কাজ করার সুযোগ হয়েছিলো। কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্য, পৃথিবীর প্রথম আধুনিক কম্পিউটারের অপারেটর হওয়া সত্ত্বেও পরবর্তী জীবনে ডিক্সন কম্পিউটার তেমন একটা ব্যবহারের সুযোগ পাননি কখনোই!
আমরা গুপ্ত সংকেত নিয়ে এর পরের পর্বে জানবো আরো কয়েকজন মানুষ সম্পর্কে যারা এই কোড ব্রেক করার অপারেশনে গোপনে কাজ করেছিলেন। আর সাথে পরিচিত হবো এমন কিছু পান্ডুলিপির সাথে যেগুলো আবিস্কারের বয়স শতক পেরিয়ে গেলেও পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে শেষ করার আগে তোমাদের জন্য থাকলো একটি সহজ গুপ্ত বার্তা।
নিচের এই বার্তাটি লিখেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিচিত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি তার পিতার কাছে এই চিঠিটি পাঠান। তার ধারণা হয়েছিলো এই চিঠি খুলে কেউ পড়তে পারে এবং সুযোগ নিতে পারে। তাই তিনি কিছুটা ঘুরিয়ে লিখেন এভাবে,
“চরন বরন নমস্করন
টকত পঠন
নইলে ভত ভত মরন”
তো বন্ধুরা, ডিক্সনের মত তোমরাও না হয় লেগে পড় বিদ্যাসাগরের এই কোদ উদ্ধারের অপারেশনে!
১০ মিনিট স্কুলের ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি তোমার লেখাটি ই-মেইল কর এই ঠিকানায়: write@10minuteschool.com
আপনার কমেন্ট লিখুন